শরতের বৃষ্টি পর্ব-৫১

0
2125

#শরতের_বৃষ্টি
#লেখনীতে_তাশরিফা_খান
পর্ব–৫১

ভোরের আলো ফুটেছে অনেক আগে৷ পাখিদের ডাক শেষ হয়ে এখন মানুষের কোলাহল শোনা যাচ্ছে। এই ব্যস্ত শহরে সকাল হতেই শুরু হয় মানুষের কোলাহল৷ মাঝ রাত অব্দি এসব চলতেই থাকে। এই শহরের এত ভুরি ভুরি মানুষকে সকাল হলেই নামতে হয় জীবিকার লড়াইয়ে। এ লড়াই কখনও শেষ হওয়ার নয়৷ বেঁচে থাকার জন্য লড়াই প্রয়োজন। কেউ ছুটে অফিরের উদ্দেশ্যে কেউ বা দিনমজুরের কাজে কেউবা নিজের ব্যবসায়। আমিনুর রহমান সোফায় বসে চা খাচ্ছেন। আর মাঝে মাঝে টিভিতে খবর দেখছেন। সকাল হতেই শহরের বিভিন্ন খবর দেখতে লেগে পড়েন তিনি। আতিক মন খারাপ করে টিভি দেখছে বসে বসে। ওর এই খবর দেখতে একটুও ভালো লাগছে না। এখন ও কার্টুন দেখতো। মিসেস রোকেয়া রহমান রান্নাঘরে সকালের নাস্তা বানাচ্ছেন। তার মনটা বেশ খারাপ৷ আঁখির কথা বারবার মনে পড়ছে। মেয়েটা কতদিন হতো বাসায় আসেনা। ভালো মন্দ রান্না করে খাওয়াতে পারেনা। তিনি হতাশ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন। তাড়াতাড়ি হাতের কাজটা শেষ করে শাড়িতে হাত মুছতে মুছতে ড্রইংরুমে গেলেন। আমিনুর রহমানের সামনে সোফায় বসতে বসতে বললে।

“এভাবে কতদিন মেয়েটার উপর রাগ করে থাকবে বলো? এবার তো বাবা মেয়ের এসব মান অভিমান শেষ করো! আমার আর ভালো লাগছে না। একমাত্র মেয়ে জামাই তাকেও বাসায় আনতে পারছি না।”

আমিনুর রহমান ঘাড় ঘুরিয়ে বেশ গম্ভীর চোখে রোকেয়া রহমানের দিকে তাকালেন। রোকেয়া রহমান উত্তরের অপেক্ষায় অধীর আগ্রহে বসে আছেন। আতিকও আগ্রহ নিয়ে তাকালো। আখি নাই বলে ওর ও ভালো লাগছে না। আমিনুর রহমান বেশ চুপচাপ ছিলেন। কিছুই বললেন না। হয়তো উত্তর দেওয়ার প্রয়োজন মনে করলেন না। রোকেয়া রহমান বেশ স্বামী ভক্ত। তার মুখের উপর বেশি কথা বলেন না। তবুও আজ সাহস করে আবারও বললেন।

“মেয়েটা নাহয় ভুল করে ফেলেছে তাই বলে এভাবে ওকে দূরে টেলে দিবে? একটুও মায়া হয় না তোমার?”

রোকেয়া রহমানের কথা শুনে আমিনুর রহমান টিভিটা অফ করলেন। অগত্যা রোকেয়া রহমানের দিকে ঘুরে বসলেন। জোরে একটা শ্বাস ছেড়ে শান্ত স্বরে বললেন।

“শোনো রোকেয়া! একজন বাবাকে কখনও মায়া শিখাতে হয় না। তারা জন্ম দেওয়ার কষ্ট না করতে পারে কিন্তু সন্তানের জন্য তাদের বুকের মাঝে আলাদা স্থান থাকে। মার্কেটে কিছু কিনতে গেলে আগে সন্তানের প্রয়োজনের কথা ভাবে। সব চেয়ে দামি ড্রেসটা তাদের জন্য কিনে। নিজে কম দামের একটা ড্রেস নিয়ে বাড়ি ফিরে। যদি টাকা না থাকে তবে নিজের দরকারী জিনিসটা না কিনে সন্তানের মুখে হাসি দেখতে তার জন্য আবদার পুরন করে। বাবারা সন্তানকে কোলে পিঠে করে মানুষ করে না ঠিকই কিন্তু সারাদিন রাত পরিশ্রম করে টাকা আয় করে সন্তানের মুখে একটু ভালো খাবার তুলে দিবে বলে। তারা মায়েদের মতো সন্তানকে নিজের হাতে আদর করে খাওয়ায় না ঠিকই কিন্তু তারা নিজের প্লেটের খাবারটা ঠিকই সন্তানের প্লেটে তুলে দিতে পারে৷ বাবারা সবেই পারে বুঝেছো?”

কথাটা বলতে বলতে আমিনুর রহমানের গলাটা ভারি হয়ে আসলো। আতিক মাথা নিচু করে মন খারাপ করে বসে আছে৷ রোকেয়া রহমান আহত চোখে স্বামীর দিকে তাকিয়ে আছেন। আমিনুর রহমান একটু চুপ থেকে জিব দিয়ে ঠোঁটটা ভিজিয়ে আবারও বলতে লাগলেন।

“আমি রাগ করেচি কেনো বলতে পারো? ওকে জীবনে অনেক স্বাধীনতা দিয়েছি তবুও এসব করলো? আমায় বললে কি মেনে নিতাম না? এসব করার আগে একটা বারও কি আমার সম্মানের কথা ভাবেনি? ও ভাবেনি এটা করলে ওর বাবাকে কত ছোট হতে হবে? এত বছরের ভালোবাসার এই প্রতিদান দিলো? তুমি বলছো এটা ভুল? নাহ! ও ছোট বা অবুঝ নয়, যে ভুল করবে৷ ভুল হয় ভুলবশত! সব অন্যায় কে ভুল বলে পার করে দেওয়া ঠিক না। অন্যায়ের শাস্তি সবাইকেই পেতে হয়। না হলে ভবিষ্যতে আরও বড় ভুল করতেও ভাববে না। মনে করবে আগের বার তো কিছু বলেনি এবারও বলবে না। হ্যাঁ! আমি রেগে আছি ওর উপর। ওর কথা শুনলে বা দেখলে আমার খারাপ লাগে। আমার এত বছরের নিঃস্বার্থ ভালোবাসাকে অবহেলার কথা মনে উঠে। তাই চাইনা ও আমার সামনে আসুক! ওর কথাও কখনও আমার সামনে উঠাবে না!”

কড়া বাবে শেষের কথাটা বলে নিজের রুমে চলে গেলেন আমিনুর রহমান। তিনি ভিতর থেকে খুবেই আঘাত পেয়েছেন বুঝা যাচ্ছে। রোকেয়া রহমান অসহায় চোখে স্বামীর যাওয়ার দিকে তাকিয়ে আছেন৷ আতিকও মন খারাপ করে বসে আছে। ও বুঝতে পারলো ওর বাবা ওদের কত ভালোবাসে।

——————–

সূর্যের কড়া রোদ চোখে পড়তেই ঘুম ভেঙে গেলো আঁখির। প্রচন্ড গরমও লাগছে ওর। গরমে পুরো শরীর ঘেমে গেছে। উপরে তাকাতেই বিশাল আকাশ দেখে ভয় পেয়ে গেলো ও। পরক্ষনেই ভালো করে এদিক ওদিক তাকাতেই ওর রাতের কথা মনে পড়লো। ও তো ছাদেই ঘুমিয়ে পড়েছিলো। কখন ঘুমাইছে নিজেও জানে না। রাতের কথা মনে হতেই ওর আবার বুক চিড়ে কান্না বের হতে চাইলো। আঁখির শরীরে যেনো একটু শক্তি না৷ আস্তে করে উঠে বসলো। ফ্লোরে হাত পা ছড়িয়ে ভাবলেশহীন ভাবে বসে রইলো। চুল গুলো এলোমেলো হয়ে আছে। ওগুলো ঠিক করে বাধতেও ইচ্ছে করছেনা ওর। থাকনা ওভাবেই। ওর জীবনেই তো চলছে লাগামহীন তাহলে চুলের যত্ন নিয়ে কি করবে? আঁখির প্রচন্ড ক্ষুধা পেলো। কি করবে ও? কোথায় যাবে এখন? এভাবে ছাদে আর কতদিন থাকবে? সাজ্জাদ কি ওকে ভুলেই গেছে? আঁখি হাজার ভাবনা ভাবতে লাগলো। ওর চোখ দিয়ে নীরবেই জল ঝরছে। চোখ দুটোও ওর কথা শুনছে না। জলকে এত বটকে রাখতে চাইছে তবুও জোর করে বের হয়ে যাচ্ছে৷ হঠাৎ করেই আখি ছাদে কারও পায়ের আওয়াজ পেলো। ও চোখটা মুছে উঠে দাড়ালো। যেনো কেউ বুঝতে না পারে কি হয়েছে। এই বিল্ডিংয়ের কেউ জানলে খারাপ হবে। ব্যাপারটা ওর মা বাবার কানেও পৌছাবে৷ আঁখি চোখ মুছে রেলিং ধরে দাড়িয়ে রইলো। যাতে কেউ মুখ না দেখে তাহলেই বুঝে যাবে ও কাঁদছে।

“তুমি আবার চলে এসেছো আমায় বিরক্ত করতে? এই তোমার সমস্যা কি আনায় একটু বলবে?”

পরিচিত কন্ঠস্বর শুনে আখির ধ্যান ঘুরলো। নিরব প্রচন্ড বিরক্তি নিয়ে কথাগুলো কাউকে বলছে। আঁখি পিছনে ঘুরলো। মনে মনে ভাবলো নিরব এসব আবার কাকে বলছে? কে ওকে বিরক্ত করছে। কিন্তু অতটা পাত্তা না দিয়ে আবার চুপ করে রইলো। ওর জন্যই সব হয়েছে। ওকে একদম ভালো লাগছেনা আঁখির! যদিও দোষ ওরও আছে কিন্তু তবুও নিরবকে সহ্য হচ্ছে না। যদিও ও দোষ করেনি কারও থেকে গিফট নেওয়া দোষের না।

“আমি আপনায় বিরক্ত করি? এটাকে আপনার কাছে বিরক্ত মনে হয়? আমার কাছে তো এটা মনে হয় না।”

দহঠাৎ একটা পরিচিত মেয়েলী কন্ঠ শুনে আঁখি চমকে গেলো। এটা সাদিয়ার গলা না? তার মানে সাদিয়া? সাদিয়া নিরবকে বিরক্ত করে? ব্যাপারটা কি? ওর কৌতুহল যেনো বেড়েই চললো। ও আস্তে করে নিঃশব্দে ছাদের মাঝে আসলো। ছাদের চিলেকোঠার দেয়ালের পিছনে লুকিয়ে উকি দিলো। দেখলো নিরব কপাল কুচকে বিরক্ত নিয়ে সাদিয়ার দিকে তাকিয়ে আছে। সাদিয়ার মুখটা দেখা যাচ্ছে না। নিরব একেই ভঙ্গিতে আবারও বলে উঠলো।

“তোমার এসব ফাজলামি ছাড়ো! এগুলো আমার কাছে বিরক্তই মনে হয়। আমি কাল চলে যাবো তখন কাকে বিরক্ত করবে? ভাগ্য ভালো কাল আমি তোমার নিস্তার পাবো।”

আঁখি ভ্রু কুচকে তাকিয়ে রইলো। ওদের কথা কিছুই বুঝতে পারছে না ও। সাদিয়া কি ফাজলামো করে? কিসের কথা বলছে নিরব? ও আরও আগ্রহ নিয়ে দাড়িয়ে রইলো। নিরবের যাওয়ার কথা শুনেই সাদিয়া মনের ভিতরে ধুক করে উঠলো। এই মানুষটাকে আর দেখতে পাবে না? কি করে থাকবে ও? এই ক’টা মাস নিরবকে দেখার জন্য ও যেখানে যেত সেখানেই যেত। ওকে না দেখলে সাদিয়ার মনটা অস্থির হয়ে ওঠে। এবার কি করে থাকবে ও? ভাবতেই সাদিয়ার চোখে জল চলে এলো। মন খারাপ করে অসহায় ভাবে নিরবের দিকে তাকিয়ে বললো।

“আপনি তো বলেছিলেন এবার এখানেই থাকবেন। কেনো চলে যাবেন? থেকে যান না?”

সাদিয়ার আকুল আবেদন। কিন্তু নিরবের এতে মন টললো না। ও যেনো বিরক্ত। সাদিয়া কাঁদো কাঁদো চেহারায় নিরবের হাত ধরে বললো।

“প্লিজ যাবেন না। আপনি তো জানেন আমি আপনাকে কত ভালোবাসি। আপনাকে না দেখে থাকতে পারি না। খুব কষ্ট হয়। যদি যেতে হয় আমায় বিয়ে করে নিয়ে যান আপনার সাথে প্লিজ! আমাকে আজ ফিরিয়ে দিবেন না।”

আঁখি চমকে গেলো! এগুলো কি বলছে সাদিয়া? ও নিরব কে ভালোবাসে? কিভাবে কি হলো? ও তো কিছুই বুঝতে পারেনি। নিরব বিরক্ত নিয়ে ওর হাত ঝাড়া মেরে ছুটিয়ে নিলো। রেগে সাদিয়ার দিকে তাকিয়ে বললো।

” আর একটা কথা বললে থাপ্পড় মেরে সব দাঁত পেলে দিবো বেয়াদ্দব মেয়ে৷ এই তুমি বিয়ের কি বোঝো? বিয়ের বয়স এখনও হয়েছে? এত বেহায়া কেনো তুমি? সেই আসার পর থেকেই আমার পিছনে পরে আছো। এতকরে বলছি বুঝতে পারছো না? আমি তোমাকে ভালোবাসি না। কখনও বাসবোও না। ছোট বলে এতদিন কিছু বলিনি কিন্তু তোমায় বেহায়াপনা দিনদিন বেড়েই চলেছে। অসভ্য মেয়েদের মতো করো কেনো? ভালোবাসার মানে বোঝ তুমি? ভালোবাসলে এভাবে বেহায়াপনা নয়, ধৌর্য ধরে অপেক্ষা করতে হয়। জোর করে কখনও ভালোবাসা হয় না। বুঝেছো? প্লিজ আর কখনও আমার সামনে এসো না।”

সাদিয়ার মনটা ভেঙে গেলো৷ ভিতর থেকে দুমড়ে মুচড়ে এলো ও। নিরবের কথা যেনো ওকে বিদ্যুতের মতো আঘাত করছে। ওর হৃদয় ক্ষতবিক্ষত হয়ে যাচ্ছে। ওর ভালোবাসাকে এভাবে অপমান করলো? ওকে বেহায়া বললো? এত ভালোবাসার নাম হলো বেহায়াপনা। ওকে অসভ্য মেয়ে বললো? সাদিয়ার সম্মানে আঘাত লাগলো খুব। ওর ভিতরে কঠিন অভিমান জড়ো হলো। ও চোখের জলটা মুছে শক্ত হয়ে নিরবের দিকে তাকিয়ে বললো।

“ঠিক বলেছেন। আমি হয়তো বেহায়া। আমার ভালোবাসা আপনার কাছে বেহায়াপনাই মনে হবে। আমার কাছে ভালোবাসা মানে অপেক্ষা করা নয়। আমার কাছে ভালোবাসা মানে ভালোবাসার মানুষের সাথে থাকা। আমি আপনার পিছনে পরে থাকতাম ঠিকই তাই বলে আমি অসভ্য বা বেহায়া? সবাই চায় নিজের ভালোবাসার মানুষকে যে কোনো মূল্যে পেতে। আমিও চেয়ছি তাই বলে আমায় এসব বললেন? আপনি নিজেও তো কাউকে ভালো বাসেন তাহলে ভালোবাসার মানুষকে না পাওয়ার কষ্ট বোঝেন না? তাহলে কি করে অন্য একজন কে কষ্ট দেন? ধরে নিবো আপনি তাকে ভালোই বাসেন নি।কাউকে ভালোবাসলে সবার ভালোবাসাকে সম্মান করতে শিখতে হয়। যেটা আপনি পারেন না। ঠিক আছে আজকের পর আমি কখনও আসবো না। আপনাকে বিরক্তও করবো না।সাদিয়া আছে নাকি মরে গেছে সেটাও জানবেন না। এই ক’টা মাস যেই স্বপ্ন দেখেছিলাম সেটা স্বপ্নের মাঝেই রাখবো আমি। কখনও বাস্তব করতে চাইবো না। কাউকে বলবোও না। ভালো থাকবেন! কখনও কাউকে কিছু বলার আগে ভেবে বলবেন। তাকে নিজের জায়গায় দাড় করিয়ে দেখবেন তার কষ্টটা ঠিক কতটা হবে। তার জায়গায় থাকলে আপনি কি করতেন। হয়তো কখনও মনে করবেন না। বিরক্ত নিয়ে হলেও দু একবার মনে কইরেন। আসি!”

সাদিয়া কথাটা বলে কাঁদতে কাঁদতে চলে গেলো। নিরব নিশ্চুপ হয়ে তাকিয়ে আছে। সাদিয়ার চোখের পানি দেখে ওর খুব খারাপ লাগছে। কি বলবে ভেবে পাচ্ছে না। ওকে আটকানোর জন্য হাত বাড়িয়েও ফিরিয়ে নিলো। ও কি বেশি বলে ফেলেছে? নিজের রাগ সামাল দিতে পারেনি। ঠিকই ও ভালোবাসা বুঝেনা। আঁখি কে না পেয়ে ও যতটা কষ্ট পাচ্ছে সাদিয়াও তো তেমনেই পাচ্ছে। ও কেনো আগে এসব ভাবেনি? যজেনে শুনে কাউকে এত কষ্ট দেওয়া ভারি অন্যায়। নাহ! এটা ঠিক করেনি ও। নিরবের খুব আফসোস হতে লাগলো।

আঁখি নিজেও হতবাক! সাদিয়া এত মাস এসব লুকিয়ে রেখেছে? নিরবের উপর আজ অনেক রাগ হলো ওর! আজ নিরবকে ও ছাড়বে না। সাদিয়া ওকে যাই বলুক মনের দিক থেকে মেয়েটা খুবেই ভালো। আঁখি রেগে আড়াল থেকে বের হলো। নিরব ওকে দেখেই চমকে গেলো। সাদিয়া দরজার পিছনে দাড়িয়ে ছিলো এই আশায় যে নিরব হয় তো ওকে আটকাবে কিন্তু আসলো না। সাদিয়া নিজেও আঁখি কে দেখে চমকে গেলো। আঁখি এখানে কি করছে? ও যেতেই আড়াল থেকে বের হলো কেনো? তাহলে কি ওর ভাইয়ার কথাই সত্যি? আঁখি কি তাহলে নিরবের সাথেই ছিলো? ও কিছুই ভাবতে পারছে না।

ইনশাআল্লাহ চলবে….

রি চেইক করিনি…

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here