শুভ্র বর্ষণ পর্ব- ১৩

0
2488

#শুভ্র_বর্ষণ
#প্রভা_আফরিন
#পর্ব_১৩

শ্রাবন মাস প্রস্থানের জন্য ব্যাকুল। অথচ তার অবিরাম বারিধারা যেন আকাশ এবং মাটির দখল ছাড়তে নারাজ। পুকুর জলাশয় সব পানিতে টইটম্বুর হয়ে আছে। দুইদিন যাবত সূর্যের দেখা নেই।আবহাওয়ার অবস্থা অনেকটা অভিমানী কিশোরী মনের মতো। হুটহাট আকাশ কাপিয়ে বর্ষণ হচ্ছে। এই বৃষ্টির দিনেও এসাইনমেন্ট নিয়ে ভার্সিটি যেতে হয়েছে মিহাকে। কাদা মাড়িয়ে ঘর থেকে বের হতে একটুও ইচ্ছে ছিলো না। শোভার এইচএসসি পরিক্ষা শেষে এখন অলস সময় কাটছে। মিহা বাড়ি থাকলে দুজনে মিলে আজ খিচুড়ি রান্না করা যেত। তবে ভার্সিটি এসে মনে হলো এসে ভুল কিছু করেনি। বেশ আনন্দে সময় কাটলো বন্ধুদের সাথে। রেস্টুরেন্টে গিয়ে খাওয়া হলো। আড্ডা হলো। অনেকদিন পর একসাথে শপিং করাও হলো।

বন্ধুদের সাথে থাকলে সময় যেন ট্রেনের গতিতে ছুটে চলে। বাড়ির উদ্দেশ্যে যখন রওনা দিলো তখন বিকেল গড়িয়েছে। বৃষ্টিতে গাড়ি চলাচল খুবই কম। মিহা ছাউনির নিচে অপেক্ষা করছিলো বাসের জন্য। পরিবেশটা শীতল। বৃষ্টি থেমে গেলেও কালো বর্ণে সেজে থাকা আকাশ রুপ বদলাতে রাজি হলো না। একটু সময় গড়াতে ছাউনির নিচে আরো দুইজন ব্যক্তি উপস্থিত হলো। তারাও বোধহয় গাড়ির অপেক্ষা করছে। মিহা একবারও তাদের মুখের দিকে তাকালো না।
লোকগুলো খুব ধীর গলায় কথা বলছে। মিহা এককোণে গুটিসুটি মেরে দাঁড়িয়ে রইলো। আরো পাঁচ মিনিট গড়ালেও বাসের দেখা পেলো না সে। এদিকে দুইজন ব্যক্তির সাথে ছাউনির নিচে দাড়াতেও অস্বস্তি হচ্ছে ভীষণ। তাই মনে মনে ঠিক করলো একটা সিএনজি ভাড়া করবে।

যদিও সিএনজি ভাড়া বাসের থেকে দ্বিগুন। বৃষ্টিতে তা তিনগুন হবে এতে কোনো সন্দেহ নেই।
বাসস্টেন্ড থেকে সিএনজি স্টেশন দুই মিনিট দূরে। সেই পথটুকু হেটে যেতে হবে। গুড়িগুড়ি বৃষ্টি পড়ছে আবারো। কাদা মিশ্রিত ভাঙাচোরা রাস্তায় হাটার ইচ্ছা না থাকলেও মিহা নেমে পড়লো। তবে ভাগ্য সহায় ছিলো না বোধহয়।
কিছুদূর যেতেই কাদায় পা পিছলে গিয়ে টাল সামলাতে না পেরে পড়ে গেলো মিহা। কাধের ব্যাগটা ছিটকে গিয়ে পড়লো কাদা পানিতে। হুট করে এমন ঘটনা দেখায় ছাউনির নিচে থাকা দুইজন মানুষও ভড়কে গেলো। একেতো মেয়ে, তারওপর রাস্তায় পড়ে যাওয়া। এর থেকে খারাপ বিষয় আর কিইবা হতে পারে! লোক দুইজন এগিয়ে এলো ওকে সাহায্য করতে। মিহা কোনো মতে ওঠার চেষ্টা করলো। কান্না পাচ্ছে ভীষণ। এতো মন্দ ভাগ্য কেনো ওর!

লোকদুইজন এগিয়ে এলো। একটি ভরাট কন্ঠের মালিক জিজ্ঞেস করল,
“আপনি কি ঠিক আছেন মিস?”

মিহা চোখের ভেতর চলে যাওয়া কাদা পানি মোছার চেষ্টা করে যখন তাদের দিকে মুখ তুলে তাকাতে চাইলো, সাথে সাথেই একজন ফিক করে হেসে ফেললো ওর মুখে কাদা লেগে যাচ্ছেতাই অবস্থা দেখে। এতে লজ্জায়, অপমানে মিহা এবার সত্যি সত্যিই কেদে ফেললো। সাথে সাথেই সেই ভরাট কন্ঠের অধিকারী ধমকে উঠলো,

“কি হচ্ছে কি অরন্য! ওনাকে বিব্রত করছিস কেনো?”

অরন্য হাসি থামিয়ে বললো,
“সরি মিস, আসলে আমি আপনাকে অপমান করতে চাইনি। আপনি আমার হাত ধরে উঠুন।”

অরন্য হাত বাড়িয়ে দিলো। মিহা ধরলো না। যে ব্যাক্তি তাকে অপমানে করলো তার উপকার সে ভুলেও নেবে না। ও নিজে নিজেই ওঠার চেষ্টা করলো। খেয়াল করলো পায়ে প্রচন্ড ব্যাথা অনুভব হচ্ছে। যার ফলে উঠতে গিয়েও বসে পড়লো। অরন্যের হাত সরিয়ে পাশে থাকা ব্যক্তিটা এবার হাত বাড়িয়ে বললো,

“আপনি বোধহয় ব্যাথা পেয়েছেন। আমার হাত ধরে ওঠার চেষ্টা করুন। একা একা পারবেন না হয়তো।”

মিহা ব্যর্থ হয়ে হাত বাড়িয়ে দিলো লোকটার দিকে। তবে চোখ তুলে তাকাতে পারলো না। লজ্জায় এখনো সংকুচিত হয়ে আছে। লোকটা ওকে টেনে তুলতে গেলে আবার বিপত্তি বাধলো। মিহা ওঠার বদলে এবার লোকটাকে নিয়েই কাদায় পড়ে গেলো। সারা গায়ে, মুখে কাদা ছিটলো তারও। অরন্য এবার আরো জোরে হেসে বললো,

“এটা কি হলো নিশু! উপকার করতে গিয়ে নিজেই ফেসে গেলি! হা হা। ”

“না হেসে ধর আমায়।”

মিহা আড়ষ্ট ভঙ্গিতে কয়েকবার সরি বললো। তবে লোকটা ছোট করে ‘ইটস ওকে’ উচ্চারণ করে উঠে গিয়ে মিহাকেও হাত ধরে ওঠালো। মিহা মুখ তুলে তাকিয়ে দেখলো কাদায় লেপ্টে যাওয়া একটি মুখ।শুধু কপাল, ভ্রু ও চোখ কাদা থেকে বেচে গেছে। ভ্রু গুলো তুলনামূলক ঘন ও বড় হওয়ার দরুন বৃষ্টিতে ভিজে সেগুলো এলোমেলো এবং আরো কালো লাগছে।
লোকটার চোখে একটু উৎকন্ঠা দেখা গেলো। মিহা লোকটার মুখ খুব একটা বুঝতে পারলো না। পাশে দাঁড়িয়ে থাকা সাদা শার্ট পরিহিত অরন্য নামক লোকটার দিকে তাকাতেই দেখলো অরন্য কাদা মাখা লোকটাকে কনুই দিয়ে খোচা মেরে ভ্রু নাচাচ্ছে। আর সেই লোকটা চোখ কটমট করছে। মিহা সেদিকে পাত্তা না দিয়ে নিজের ব্যাগটা খোজার চেষ্টা করলো। অরন্য তা বুঝতে পেরে ব্যাগটা কাদাপানি থেকে তুলে এনে বললো,

“এটা পুরোই ভিজে গিয়েছে।”

মিহা ব্যাগটা হাতে নিলো। এক পায়ে ভর দিয়ে দাঁড়িয়ে ব্যাগের চেইন খুলে বুঝলো কাদা পানিতে প্রায় সবই ভিজে গেছে। এমনকি টাকা গুলোও। মিহার এবার আরো কান্না পাচ্ছে। এবার বাড়ি কিভাবে যাবে ও! কাদামাখা লোকটি বোধহয় বুঝতে পারলো ওর অবস্থা। জিজ্ঞেস করলো,

“কোথায় যাবেন আপনি?”

মিহা যায়গার নাম বলতে চাইলো না। লোকগুলো যদি ভালো না হয় তবে! তাই শুধু বললো,
“আমায় সামনে থেকে একটা সিএনজি ডেকে দিন প্লিজ।”

সে অরন্য নামক লোকটাকে ডেকে বললো
সিএনজি এখানে নিয়ে আসতে। অরন্য মাথা দুলিয়ে চলে গেলো। বাকিটা সময় মিহা চুপ করে মাথা নত করে রইলো। ওড়না দিয়ে নিজের মুখ হাতের কাদা মুছতে পেরেছে। তবে পাশের জন এখনো ভুতের মতো চেহারা নিয়েই দাঁড়িয়ে আছে। পাশ দিয়ে কেউ যাওয়ার সময় উৎসুক হয়ে ওদের দিকে ঘুরেফিরে তাকাচ্ছিলো। এতে মিহার ইচ্ছে করছিলো মাটির সাথে মিশে যেতে। কিছুক্ষন পর অরন্য সিএনজি নিয়ে এলে মিহা হাটার চেষ্টা করে বুঝলো গোড়ালিতে বেশ চোট লেগেছে। শুধু তাই নয় ডান পায়ের স্লিপারটাও ছিড়ে গিয়েছে। পাশের ব্যক্তিটা আক্ষেপ করে বললো,

“আজকের দিনটা আপনার জন্য খুবই অশুভ। জুতোজোড়া খুলে ফেলুন। সমস্যা না থাকলে আমার হাত ধরুন, সিএনজি পর্যন্ত পৌঁছে দিচ্ছি।”

মিহা ধরবে না ধরবে না করেও শেষমেষ হাত ধরলো। সিএনজিতে উঠে যায়গার নাম বলতেই হলো। সেই অনুযায়ী ভাড়া পরিশোধ করতে গেলো লোকটা। মিহা তা দেখে ব্যস্ত হয়ে বললো,

“আপনাকে ভাড়া দিতে হবে না। আমি বাড়ির সামনে নেমে দিয়ে দেবো।”

অরন্য পাশ থেকে হেসে বললো,
“পরেরবার ভালো জুতা পড়ে বের হবেন। বৃষ্টির দিনে এমন স্লিপ করা জুতা না পড়াই ভালো।”

মিহা কোনো উত্তর দিলো না। শুধু একবার কাদামাখা সেই লোকটার চোখদুটোতে নজর বুলালো। চোখদুটো ওর দিকেই তাকিয়ে আছে। বাড়ি ফেরার পর মিহার মনে হলো লোকটাকে আসার সময় ধন্যবাদ দেওয়া উচিৎ ছিলো। একজন এতোটা সাহায্য করলো অথচ সে শুধু উপকার নিয়ে মুখ বুজে চলে এলো! এটা মোটেও ঠিক হয়নি। ওর উচিৎ ছিলো বিনয়ের সাথে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করে। লোকটার মুখটাও স্পষ্ট বুঝতে পারলো না যে পরবর্তীতে দেখা হলে ধন্যবাদ দেবে। সেই লজ্জাজনক ঘটনার পর এক সপ্তাহ মিহা বাড়ি থেকেই বের হয়নি। তবে ভেতরে ভেতরে একটা খারাপ লাগা কাজ করতো লোকটাকে সরি বলতে না পারায়।

এই এতোদিন পর আবারো সেই কাদামাখা সিক্ত, কোচকানো ভ্রু এবং সেই উদ্বিগ্ন চোখদুটো মিহাকে সেই মানুষটাকে এক লহমায় মনে করিয়ে দিলো। এইজন্যই বুঝি নিশান্তের চোখ দেখলেই আপন মনে হয়। মনে হয় এই চোখ ওর চেনা। মিহার মনের সকল দ্বিধার সমাপ্তি ঘটলো আজ। নিশান্ত ওর গাল টেনে দিয়ে বললো,

“অবশেষে চিনলে! মুখের অবয়ব দেখেও বুঝতে পারোনি আমায়। হায়রে।”

মিহা ততক্ষনে ভেজা অবস্থায় ঠান্ডায় কাপতে শুরু করেছে। মিহা কাপতে কাপতেই বললো,
“আমি অনেক বোকা, তাইনা!”

“খুব। আর তাই তুমি আমার মাহযাবীন, বুঝলে। এইজন্যই আমি এক বছর আগে পায়ের সাথে মন পিছলে পড়েছিলাম।”
কিছুটা থেমে এবার ধমকের সুরে বললো,
“কোন আক্কেলে সন্ধ্যায় বৃষ্টিতে ভিজেছো? বাড়ির কেউ বাধা দিলো না কেনো? এক্ষুনি ভেতরে চলো।”

মিহা চুপসানো মুখেই ভেতরের দিকে যেতে লাগলো। কিন্তু মনে এক অন্যরকম আনন্দ খেলে যাচ্ছে। তাহলে সেই সময় থেকেই নিশান্ত ওকে পছন্দ করে! এই কথাটা এতটা অনুভূতি প্রবণ করেছে যে মিহার খুশিতে চোখে জল চলে আসছে। আহা, নিশান্ত কাছে থাকলে সবই যেন রঙিন লাগে। সাধারণ বিষয়ও অসাধারণ লাগে। নিজেকে পৃথিবীর সবচেয়ে সুখী মানুষ মনে হয়।

নিশান্ত মিহার এইরকম অবস্থার জন্য রাগ করলেও মিহার খুশিটা ধরতে পেরেছে। আনমনে ওর ঠোঁটেও হাসি ফুটে উঠলো।
সেদিন বৃষ্টিতে ছাউনির নিচে একটা সুন্দরী মেয়েকে জড়োসড়ো হয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে স্বভাবতই চোখ চলে গিয়েছিলো তার দিকে। ওর বেস্ট ফ্রেন্ড অরন্য তখন ওর সাথেই ছিলো। সেই মিষ্টি মেয়েটা ভীতু চোখে ওর মন নিয়ে গিয়েছিলো। সেদিন কাদায় মাখামাখি হওয়ায় মিহা কাদলেও নিশান্ত খুশিই হয়েছিলো। বৃষ্টি এবং কাদার জন্যই সে মিহার কাছাকাছি যেতে পেরেছিলো। কথা বলতে পেরেছিলো। ওর হাত ধরতে পেরেছিলো।

তারপর কষ্ট করে সেই স্টেশন থেকে সিএনজি চালক কে খুজে বের করে মিহাকে নামিয়ে দেওয়ার ঠিকানা বের করেছে। এলাকায় খোজ নিয়ে মিহার পরিচয় বের করে জানতে পারে মিহা আনোয়ার আঙ্কেলের ভাগ্নী। আনোয়ার আঙ্কেলের সাথে ওর বাবার অল্পস্বল্প পরিচিতি ছিলো। লজ্জার মাথা খেয়ে বাবাকে সব জানিয়ে নিশান্ত পরিচিতটুকু সখ্যতায় পরিনত করেছে বহু কাঠখড় পুড়িয়ে।

নাজমুল সাহেবও ছেলের কথা মেনে নিয়ে আনোয়ার সাহেবের সাথে যোগাযোগ বাড়িয়ে দেয়। ছেলে কেমন মেয়েকে পছন্দ করেছে সেটা জানাও জরুরি ছিলো। ধীরে ধীরে দুইজনে বেশ সখ্যতা গড়ে ওঠে। একসময় নাজমুল সাহেব মিহার প্রতি মুগ্ধ হয়ে নিজেই বিয়ের প্রস্তাব দেন। আনোয়ার সাহেবও অনেক ভেবেচিন্তে রাজি হন। সেই সূত্রেই আজ নিশান্তের স্ত্রী রুপে তার আকাঙ্ক্ষিত প্রেয়সী। কতবার যে লুকিয়ে সে মিহাকে ফলো করেছে তার ইয়ত্তা নেই। অথচ বোকা মিহা কখনো টেরই পায়নি সেসব।

ঘরে পা রাখতেই সুমা বেগমের সামনে পড়লো মিহা-নিশান্ত। সুমা বেগম ওদের দেখেই আঁতকে উঠলো। ব্যস্ত ভঙ্গিতে নিশান্তের কাছে এসে বললো,
“একি! এই অবস্থা কেনো তোমাদের?”

নিশান্ত হাতের ব্যগটা টেবিলে রেখে বললো,
“ও অসময় বাহিরে ভিজছিলো কেনো আম্মা?”

সুমা বেগম অবাক হয়ে বললেন,
“আমি তো ভেবেছি ও রুমে ঘুমাচ্ছে। দরজা ভিড়িয়ে দেওয়া দেখে রুমে উঁকি দেইনি। এই মেয়ে, কি শুরু করেছিস তুই? এই অসময়ে ভিজলি কেনো? এখন জ্বর হলে?”

মিহা কিছুতেই সত্যিটা জানাতে চাইলো না কাউকে।ইশ! কি ভাববে নিশান্ত যদি সত্যিটা জেনে যায়। সারাদিন লজ্জা দিয়ে বেড়াবে। কোনোমতে মাকে পাশ কাটিয়ে মিনমিন করে বললো,

“কিছু হবে না আমার। বৃষ্টিতে ভিজতে ইচ্ছে করছিলো, অল্পই ভিজেছি।”

মিহা আর কিছু বলার সুযোগ না দিয়েই রুমে গেলে পিছনে পিছনে নিশান্তও ভেতরে ঢুকলো। সুমা বেগম দুজনের এমন অবস্থার কিছুই না বুঝে হতভম্ব হয়ে দাঁড়িয়ে রইলেন।
রুমে এসে নিশান্ত মিহাকে আবার চেপে ধরে জিজ্ঞেস করলো,
“সত্যি করে বলোতো, অবেলায় কেনো ভিজছিলে?”

“ক কিছু না। বৃষ্টি ভালো লাগছিলো শুধু তাই…”

“মিথ্যা।”

মিহা উত্তর দিলো না। মাথা নিচু করে ফেললো। নিশান্ত ওকে ভালোমতো পর্যবেক্ষণ করে হেসে বললো,

“এটাকে প্রেম রোগ বলে বেগমসাহেবা। তুমি প্রণয়াক্রান্ত।”

চলবে….

(ব্যক্তিগত ব্যস্ততার কারণে পরের পর্বগুলো একদিন পর পর দিবো। দুঃখিত।)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here