#শেষটা_সুন্দর
#পর্ব_২১
#নুসরাত_তাবাস্সুম_মিথিলা
তারপর আমরা দুজনে অনেক কথা বললাম ।
বেশ অনেকটা সময় অর্থাৎ অনেক বছর পর কথা বলার কারণে শুরুতে একটু অস্বস্তি লাগলেও আস্তে আস্তে আমাদের দুজনের জড়তাই কেটে গেলো । আজকে রেহান ডার্ক ব্লু রঙের ব্লেজার পড়েছে সাথে সাদা শার্ট , কালো প্যান্ট , হাতে ব্র্যান্ডেড ওয়াচ ,স্পাইক করা চুল সবটা মিলিয়ে ড্যাশিং আর কিলার একটা লুক । ওকে দেখে আমার চোখের তৃষ্ণা যেন মিটছেই না । বার বার তাকিয়ে থাকতে ইচ্ছে হচ্ছে । আমি ওকে বললাম ,
বিগত ১৪৬০ দিন , ৩৫০৪০ ঘন্টা , ২১০২৪০০ মিনিট , ১২৬১৪৪০০০ সেকেন্ড আমাদের কথা তোমার একবারও মনে পড়েনি ? রেহান । আর তুমি জানো এই ১৪৬০ দিনের প্রতিটা রাতেই তোমার নাম্বারে আমি কম করে হলেও ৫বার করে ফোন করতাম । রেহান সবটুকু শুনে বললো ,
আচ্ছা মুগ্ধ , তুমি এতো দ্রুত এতো বড়ো বড়ো হিসেব কি করে বলে ফেললে ? আর কি করবো বলো সিমটা আমি রাগ করে ভেঙে ফেলেছিলাম । আমি রেহানের কথা শুনে অবাক হয়ে গেলাম । আর ওর কথা শুনে ভাবছিলাম আসলেই তো কিভাবে চট করে এই বড়ো বড়ো হিসেব করে ফেললাম ।
আজ মুগ্ধের শাড়ির সাথে আমার ড্রেসের রং একদম মিলে গিয়েছে । মুগ্ধতাকে এই শাড়িতে খুব মানিয়েছে । মনে হচ্ছে আমার সামনে কোনো অপ্সরী বসে রয়েছে । যার মুখটা দেখে আমি ঘন্টার পর ঘন্টা কাটিয়ে দিতে পারি । মায়াবতী তুমি কি জানো তোমার ওই চাহনি বুকের ঠিক মাঝখানটা একদম ঝাঁঝরা করে দেয়। তোমার হাসি আমার হৃদয় উঠোন জুড়ে ঝড় তুলে দেয় একদম একদম তোলপাড় হয়ে যায় গো । তোমার ওই হাতদুটোকে আঁকড়ে ধরে অনেকটা পথ একসাথে চলতে চাই । বৃষ্টিবিলাস করতে চাই । হ্যাঁ , এই তোমাকেই আমার চাই । রোজ তোমার মায়াতে হারাতে চাই । এসব ভাবনার মাঝেই ধ্যান ভাঙল মুগ্ধতার ডাকে ।
রেহান… এই ? কোথায় হারালে তুমি ?
তোমাকে হারিয়েছি গো মায়াবীনি । কি জাদুর কৌশলে তোমার মায়ায় বেঁধেছো গো আমায় ?
রেহানের কথা শুনে একমুহূর্তের জন্য শ্বাস আটকে এসেছিলো । হাত-পা অসম্ভব রকমের কাঁপছিলো । নিশ্বাস বন্ধ হবার উপক্রম হয়েছিলো ঠিক একজন এজমা রোগীর মতো । এ কি শোনালো আমায় ? সারা শরীর জুড়ে শিহরণ বয়ে গেল । রেহান আবারও বললো ,
বললে না যে এতো বড় হিসাব এই স্বল্প সময়ে কিভাবে করলে ? আমি স্বাভাবিক হয়ে হাত কচলাতে কচলাতে বললাম্ ,
জানি না । ও বললো ,
আমি কিন্তু জানি মুগ্ধ । তুমি আমায় ভালোবাসো । তুমি হয়তো তোমার অনুভূতিগুলো নিয়ে সন্দিহান । কিন্তু বিশ্বাস করো আমার এক চিলতে পরিমান সন্দেহ নেই । এবার হয়তো তুমি আমার অনুভুতির কথাটা জিজ্ঞেস করবে ? একটু অপেক্ষা করো , আমিই বলছি । মুগ্ধ প্লিজ ! তখনকার মত করে আমার হাতটা ধরবে ? তোমার স্পর্শে আমি সাহস পাই ।
একথা শোনার সাথে সাথেই মনের অজান্তেই রেহানের হাতটা আঁকড়ে ধরলাম । আর কিচ্ছু ভাবতে পারছি না । শরীরের সব শক্তি যেন হারিয়ে গিয়েছে । ও একটু থেমে আবার বলতে শুরু করলো ,
জান মায়াবিনী এই চার বছরে আমার এই অবাধ্য, বেহায়া মনকে তোমার কথা ভাবতে না করে করে আমি ক্লান্ত । ভেবেছিলাম হয়তো তোমার প্রতি আমার এই অনুভূতিটা হয়তো তীব্র কোনো এক আকর্ষণ । কিন্তু সময় পার হওয়ার সাথে সাথে উপলব্ধি করতে সক্ষম হয়েছি , তোমার প্রতি আমার এই অনুভূতিটা নিছকই আকর্ষণ হতে পারে না আমি জানি না একে কি বলে সংজ্ঞায়িত করতে হয় , এটাই হয়তো ভালোবাসা । যা আমায় এত গুলো বছর জ্বালিয়েছে , পুড়িয়েছে , ছারখার করে দিয়েছে। বিশ্বাস করো আর পারছি না । আমি এই অজানা খরতাপে জ্বলতে , পুড়তে বর্ষণ হয়ে নেমে এসো না আমার জীবনে আমার এই অশান্ত হৃদয়ে শান্তির বর্ষণ হয়ে নামবে ? বিয়ে করবে আমায় ? তুমি বললে আজই বিয়ের প্রস্তাব পাঠাই তোমার বাসায় ?
#চলবে
#NUSRAT_TABASSUM_METHILA
[রি চেইক হয়নি। আজকের লিখাটি বড্ডো অগোছালো । তার জন্য দুঃখিত । ভুলত্রুটি মাফ করবেন ]
[প্রিয় পাঠক ,
আপনারাই বলুন মুগ্ধতার কি করা উচিত ? রেহানের প্রস্তাব গ্রহণ নাকি ওকে ফিরিয়ে দেয়া । আপনারা বলেন তো ওদেরকে আবার আলাদা করে দেই কি বলেন ? শুধু নাইস , নেক্সট না লিখে কিছু গঠনমুলক মন্তব্য করুন । যাতে করে আমি আমার ভুলগুলোকে শূধরে আপনাদের জন্য আরও ভালো কিছু লিখা উপহার দিতে পারি । অনেকেই চুপিসারে পরে চলে যান । আপনার একটা রিয়েক্ট কিন্তু আমার প্রেরণার উৎস । পরিশেষে সকলকে ধন্যবাদ । হ্যাপি রিডিং । ভালোবাসা ও শুভকামনা রইলো । অগ্রিম ইদ মুবারক ।]