শেষটা সুন্দর’ পর্ব-২৫শেষ পর্ব

0
2376

#শেষটা_সুন্দর
#অন্তিম_পর্ব
#নুসরাত_তাবাস্সুম_মিথিলা

ভারী মেকআপ, গর্জিয়াস লেহেঙ্গা, অনেক গহনা পরে লম্বা ঘোমটা টেনে বউ সেজে বসে আছি আমার আর রেহানের ফুলশয্যার বিছানায়। আর অপেক্ষা করছি রেহান আসবে বলে। ঘড়ির কাটা রাত ১১ টা ছুঁই ছুঁই। অবশেষে দীর্ঘ ৪ বছরের অপেক্ষার প্রহর শেষে ফাইনাললি আমি রেহানের। আজকের রাতের কথা চিন্তা করতেই সারা শরীরজুড়ে অদ্ভুত শিরশিরানি বয়ে চলছে। ও আমার জন্য অনেক কষ্ট সহ্য করেছে। আজকে ও আমার কাছে যা চাইবে ওকে আমি তাই দেব। আর কোনো বাধা না। কোনো সংকোচ নয়, ও তো আমারই। আজ ওকে আমি হতাশ করতে চাই না। নিজেকে ওর কাছে আত্মসমর্পণ করতে চাই। পুরো রুমজুড়ে বিভিন্ন ফুলের মিষ্টি সুবাস। যা আমার মনকে আরো পুলকিত করছে। হঠাৎ দরজা খোলার শব্দে ভাবনা থেকে বাস্তবে ফিরে এলাম। ঘোমটার আড়াল থেকে উঁকিঝুঁকি দিয়ে রেহানকে দেখার সংগ্রাম চালাচ্ছি। তাতে সফলও হলাম। ওকে আজ শেরোয়ানিতে চোখ ধাধানো সুন্দর লাগছে। আচ্ছা ছেলেরাও কি এতো সুন্দর হতে পারে? ও আস্তে আস্তে আমার দিকে এগিয়ে আসছে। আমার শ্বাস ঘন ঘন পড়ছে। হৃদপিন্ড অস্বাভাবিক ভাবে ছুটে চলেছে। ও বিছানায় আমার পাশে বসল। আমার ঘোমটা তুলে দিয়ে বলল,

“যাও মুগ্ধ, ফ্রেশ হয়ে এসো। একটা কথা বলবো।”

“হুম।”

“তুমি যেমন তোমায় তেমনি বেশি মায়াবী লাগে। এখন যে খারাপ লাগছে তা নয়। তবে আমার ন্যাচারাল মুগ্ধতাকেই ভালো লাগে।”

আমি মুচকি হেসে ফ্রেশ হতে গেলাম।

ফ্রেশ হয়ে এসে দেখি রুমের ভেতরটা একদম ঘুটঘুটে অন্ধকার। রেহানকে কোথাও দেখছি না। আমি বেশ কয়েকবার ওর নাম ধরে ডাকলাম। কোনো সাড়াশব্দ নেই। এবার অসস্তি হতে শুরু হলো। গেল কই ছেলেটা? ধীর কদমে অন্ধকার হাতড়ে বারান্দার কাছে গেলাম হঠাৎ পেটে কারো গভীর স্পর্শ অনুভব করলাম। স্পর্শটা ধীরে ধীরেই গভীর থেকে গভীরতর হচ্ছে। আমি লেহেঙ্গা পাল্টে একটা সুতির শাড়ি পড়েছি। তাই খুব সহজেই পেটের নাগাল পাওয়া সম্ভব। আর এতোক্ষনে বুঝতে পেরেছি এই স্পর্শের মালিক রেহান। এবার ও আমার কাধে নাক ঘষতে শুরু করেছে। প্রতিবারই ওর স্পর্শে কেপে উঠছি। এবার ও আদুরে কণ্ঠে বলল,

“মুগ্ধ, শুনো।”

“হুম।”

“কালকের শর্তের কথা মনে আছে?”

“হ্যাঁ। বলো কি চাও।”

“যা চাইব দেবে তো? না করবে না তো।”

“বলেই দেখো।”

“একটা গান শোনাবে?”

“শুধু এইকথা। এটাই তোমার শর্ত।”

“হুম। কেন অন্যকিছু আশা করছিলে বুঝি? চিন্তা করো না গান শেষে ওইদিকে এগোবো।”

“যাহ।”

“আমি বললেই যাহ আর নিজে ভাবলে কিছু না!”

আমি প্রচণ্ড লজ্জায় পরে গিয়েছিলাম ওর কথায়। পরে নিজেকে স্বাভাবিক করে গান শুরু করেছিলাম।

কেন মেঘ আসে হৃদয়-আকাশে
কেন মেঘ আসে হৃদয়-আকাশে, তোমারে দেখিতে দেয় না
মোহমেঘে তোমারে…
অন্ধ করে রাখে, তোমারে দেখিতে দেয় না
মাঝে মাঝে তব দেখা পাই, চিরদিন কেন পাই না
মাঝে মাঝে তব দেখা পাই, চিরদিন কেন পাই না
ক্ষনিক আলোকে আঁখির পলকে তোমায় যবে পাই দেখিতে
ওহে ক্ষনিক আলোকে আঁখির পলকে তোমায় যবে পাই দেখিতে
ওহে ‘হারাই-হারাই’ সদা হয় ভয়
‘হারাই-হারাই’ সদা হয় ভয়, হারাইয়া ফেলি চকিতে
আশ না মিটিতে হারাইয়া- পলক না পড়িতে হারাইয়া-
হৃদয় না জুড়াতে হারাইয়া ফেলি চকিতে
মাঝে মাঝে তব দেখা পাই, চিরদিন কেন পাই না
মাঝে মাঝে তব দেখা পাই, চিরদিন কেন পাই না
ওহে কী করিলে বল পাইব তোমারে, রাখিব আঁখিতে আঁখিতে-
ওহে কী করিলে বল পাইব তোমারে, রাখিব আঁখিতে আঁখিতে-
ওহে এত প্রেম আমি কোথা পাব, নাথ
এত প্রেম আমি কোথা পাব, নাথ, তোমারে হৃদয়ে রাখিতে
আমার সাধ্য কিবা তোমারে-
দয়া না করিলে কে পারে-
তুমি আপনি না এলে কে পারে হৃদয়ে রাখিতে
মাঝে মাঝে তব দেখা পাই, চিরদিন কেন পাই না
ওহে আর-কারো পানে চাহিব না আর, করিব হে আজই প্রাণপণ-
ওহে আর-কারো পানে চাহিব না আর, করিব হে আজই প্রাণপণ-
ওহে তুমি যদি বল এখনি করিব…
তুমি যদি বল এখনি করিব বিষয় -বাসনা বিসর্জন
দিব শ্রীচরণে বিষয়- দিব অকাতরে বিষয়-
দিব তোমার লাগি বিষয় -বাসনা বিসর্জন
মাঝে মাঝে তব দেখা পাই, চিরদিন কেন পাই না
কেন মেঘ আসে হৃদয়-আকাশে
কেন মেঘ আসে হৃদয়-আকাশে, তোমারে দেখিতে দেয় না
মাঝে মাঝে তব দেখা পাই, চিরদিন কেন পাই না
মাঝে মাঝে তব দেখা পাই, চিরদিন কেন পাই না

আমি যতোক্ষন গেয়েছি ও মুগ্ধ নয়নে তাকিয়েছিল। ওর চোখে গভীর নেশা দেখেছি। গান শেষে রেহান আমার হাতে চুমু খেয়েছিল। তারপর একটা সুন্দর আংটি পরিয়ে দিয়েছিল। তারপর আমরা হারিয়ে ছিলাম অন্য এক জগতে। ভালোবাসার জগতে। সেই রাতটুকু ছিল আমার জীবনের অন্যতম শ্রেষ্ঠ একটি রাত। ওকে আপন করে নেয়ার রাত।

এটুকু বলে থামলাম। আবার বলতে শুরু করলাম,

“দেখতে দেখতে আমাদের বিয়ের একটা বছর পূর্ণ হয়ে গেল। রেহান আমার জীবনের পূর্ণতা। ডাক্তার সাহেব এই বছরে আরো বেশি কেয়ারিং হয়ে উঠেছেন। আমার প্রতিটি কাজে তার নজরদারি করতেই হবে। ওর মতো জীবনসঙ্গি বড়ো কপাল করে পেয়েছি।”

“ওয়াও কি মিষ্টি প্রেমগাথা গো তোমাদের। দোয়া করি তোমাদের মাঝে এই ভালোবাসা, বন্ডিং যেন দিনকে দিন আরো মজবুত হয়।”

“ধন্যবাদ।”

“আপু ধন্যবাদ বলে পর করে দিওনা। দিলে লাগে গো।”

“আচ্ছা ননদীনি।”

আমাদের আড্ডায় আড্ডায় এক ঘণ্টা পার হয়ে গেল। কিন্তু রেহান আর রোহান ভাইয়ের আসার খবর নেই। এতো সময়তো লাগার কথা না। রেহানতো সন্ধ্যা ৬ টার মাঝেই বাসায় চলে আসে। তাহলে আজ কি হলো? ওর তো আজ আরও আগেই ফেরার কথা ছিল। আম্মু বাসায় নেই, নয়তো এতোক্ষনে চিন্তায় অস্থির হয়ে পড়তেন। কিছুদিনের জন্য ছোট মামার বাড়িতে গেছেন। এই দুএক দিনের মাঝেই ফিরে আসার কথা। কিন্তু এখন আমার রেহানের জন্য চিন্তা হচ্ছে। সন্ধ্যে সাড়ে সাতটা বাজতে চললো। ওকে ফোন করার উদ্দেশ্যে ফোন হাতে নিয়েছি। আর এদিকে সোহানা আমায় শান্ত হতে বলছে। ও রোহান ভাইকে ট্রাই করছে। কিন্তু ফোন বন্ধ। এতেই আমার যতো চিন্তা। হঠাৎ আমার ফোনটা বেজে উঠলো। রেহানের নাম্বার থেকেই কলটা এসেছে। তাড়াহুড়ো করে কলটা রিসিভ করলাম। কিন্তু অপরিচিত কণ্ঠস্বর শুনে বুকের ভেতরটায় ছ্যাৎ করে উঠলো। বুকে সাহস সঞ্চয় করে বললাম,

“জ্বী কে বলছেন?”
……………

“হ্যাঁ আমি মিসেস রেহান।”
……………….

“কীহ? কোথায় আছে ওরা? কোন হসপিটালে? জ্বী আমি এক্ষুণি আসছি।”

আমার চোখ থেকে অবিরত জল পড়ছে। সোহানা হন্তদন্ত হয়ে জিগ্যেস করল,

“আপু কি হয়েছে? তুমি কাঁদছো কেন?”

“রর…রে..রেহা…ন”

“হ্যাঁ ভাইয়া কি? আপু। চুপ করে থেকো না, প্লিজ।”

“ওরা বাইক অ্যাকসিডেন্ট করেছে। সোহানা………..”

“কি বলছো তুমি?”

“তাড়াতাড়ি চল, হাতে সময় নেই।”

হসপিটালে পৌঁছনোর পর,

নার্স কিছুক্ষণ আগে দুজন এডমিট হয়েছিল, উনারা কোথায়?
কেবিনে শিফট করা হয়েছে ওনাদের। আপনি কি মিসেস রেহান?
জ্বী, এখন ওনাদের কি অবস্থা?
আউট অফ ডেন্জার । একটুর জন্য বড় ক্ষতির হাত থেকে ওনারা রক্ষা পেয়েছেন । ওনাদেরকে মার্ডার করার চেষ্টা হয়েছিল । প্রত্যক্ষদর্শীদের তৎপরতায় অ্যাটাককারীকে এরেস্ট করা হয়েছে । ও নাকি চারটি রেপ কেসের প্রধান আসামি । কি জানো নাম ? মিনহাজ মনে হয় । ছেলেটা আমেরিকা থেকে আজকেই এসেছে আর এসেই ডক্টরের ওপর এই হামলা । অবশ্য পথচারীরা ওকে পুলিশে দিয়েছে ।

সবটা শুনে বুঝতে পারলাম আসল ঘটনা । আর মিনহাজ আমাকে হয়তো কোনো বিমানবন্দর থেকে ওই হুমকি দিয়ে কল দিয়েছিল । মানুষ কতটা হীন মন মানসিকতার হলে এহেন গর্হিত কাজ করতে পারে । ছিহ , এসব ভাবতেও ঘৃণা করছে । আমি নার্সকে কেবিন এর নাম্বারটা জিজ্ঞাসা করলাম । উনি আমাদের পৌঁছে দিলেন । একই কেবিনের দুটো আলাদা বেডে রেহান আর রোহান ভাই শুয়ে আছে । ওদের দেখে খুব কষ্ট হচ্ছিলো । আজ আমার জন্য ওদের এই অবস্থা । আমি যদি রেহানের জীবনে না আসতাম তবে এসবের কিছুই হতো না । রেহানের বেডের পাশে টুল এগিয়ে নিয়ে বসলাম । ওর হাত ধরে চুমু খেলাম । আমার চোখের জল ওর হাতে গড়িয়ে পরল । ও চোখ মেলে আমাকে কাছে টেনে নিলো । বলল ,

আমার মুগ্ধ কাঁদছে কেন ? সেকি ভুলে গেছে তার চোখের পানি রেহানকে কষ্ট দেয় ।
তোমার খুব লেগেছে না ?
আমি ঠিক আছি পাগলি । আর কাদে না । এই সোহানা কাছে আয় । দূরে দাঁড়িয়ে কেন ? ও রোহানকে দেখছিলি বুঝি ?
ভাইয়া …
আস্তে বল কানের পর্দা ফেটে গেল ।
হাহাহা । ঠিক হয়েছে তোর ।

৭ বছর পর ,

সেদিন আমার রেহান অল্পের জন্য বড় ধরনের ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পেয়েছিল । আমাদের প্রথম বিবাহবার্ষিকী উৎযাপন করাও হয়নি । তবে আমার রেহান সুস্থ আছে এই আমার প্রাপ্তি । আর কিছু চাই না আমার । শুধু ওর সুস্থতা কামনা করি । দেখতে দেখতে সময় গড়িয়েছে , দিন পেরিয়েছে । কিন্তু আমাদের ভালোবাসা আরো মজবুত হয়েছে , গাঢ় হয়েছে । না আমি ওর কাছে পুরোনো হয়েছি , আর না ও আমার কাছে পুরোনো হয়েছে । কেমন করে যেন বিয়ের ৭ বছর কাটিয়ে ফেললাম তবে আজও মনে হয় এইতো সেইদিন না আমাদের পরিচয় হলো । ও মিনহাজের পরিণতি জানতে ইচ্ছে করছে না ? বিভিন্ন মামলায় ওর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়েছে । আর আমার আদরের ননদীনি সোহানা , রোহান ভাইকে বিয়ে করে ইতালিতে পাড়ি জমিয়েছে । ওদের ৩বছরের ফুটফুটে একটা ছেলে আছে । নাম তার রাহুল আহমেদ স্নিগ্ধ । ওরা বছরে একবার দেশে বেড়াতে আসে । ছেলেটা খুব ছটফটে , আমার সাথে তার খুব ভাব । আর আম্মু দুবছর আগেই পৃথিবীর মায়া কাটিয়ে পরপারের বাসিন্দা হয়েছেন । তার বিদায়ে রেহান ভেতর থেকে ভেঙে পরেছিল । তবে সময়ের সাথে শোক কাটিয়ে উঠেছে ।

মাম্মা কোথায় তুমি ? আমাকে রেডি করিয়ে দাও ।
ওলে সোনাটা , আসো তুমি ।
পাপাও রেডি আর তুমিও । অথচ আমার দিকে কারো খেয়ালই নেই ।
কি ব্যাপার মুগ্ধ ? আমার রুহি মামণি কি বলছে ?
এসেছে ডাক্তার সাহেব জ্ঞান দিতে ।
হাহাহা , তা তো দিতেই হবে ।

আজ আমাদের ৮ম বিবাহ বার্ষিকী । সেই সাথে আমাদের আদরের প্রিন্সেস মিলিশা চৌধুরী রুহি মামণির ৫ম জন্মদিন । তাই বাসায় ছোট খাটো একটা অনুষ্ঠান । সব আয়োজন শেষ হতে হতে সন্ধ্যে পার হয়ে গেল । আমার রুহি আম্মু ঘুমিয়ে পরেছে । আমি বারান্দায় গিয়ে দাঁড়ালাম । হঠাৎ পেছনে কারো উপস্থিতি টের পেলাম । জানি পেছনের মানুষটা কে ? সে আমায় জড়িয়ে ধরে আমার কাধে নাক ঘষছে ।

কি হয়েছে মুগ্ধ ? এতো কি ভাবছো ?
ভাবছি হঠাৎ করেই আমার জীবনে তোমার আগমনের কথা । তারপর তোমার দূরে চলে যাওয়া , আবার ফিরে আসা । এরপর আমাদের বিয়ে , রুহির জন্ম । কতটা সুন্দর সময় আমরা এই ৮ বছরে কাটিয়েছি । সবটাই স্বপ্নের মতো । তোমাকে অনেক ধন্যবাদ আমার জীবনের #শেষটা_সুন্দরের_জন্য ।
ধন্যবাদ তো তোমার পাওনা মুগ্ধ । আমার #শেষটা_সুন্দর_করেছো তুমি । ভালোবাসি তোমায় মুগ্ধ । তোমার কল্পনার চেয়েও বেশি ভালোবাসি ।
আমিও রেহান । অনেক ভালোবাসি তোমায় ।
আমার কি মনে হচ্ছে জানো ?
কী ?
রুহির একজন খেলার সাথী প্রয়োজন ।
তাই বুঝি ?
হুম ।
সরো যাও । ঘুমাও ।
প্লিজ ।
একদম না ।

____সমাপ্ত_____

[রি চেক হয়নি।]

(ভুলত্রুটি ক্ষমা করবেন। বড়ো করতে চেয়েছিলাম কিন্তু কাহিনি অহেতুক বড়ো করতে চাইলে গোলমেলে হয়ে যায় তাই আর করিনি। জানিনা এই গল্পটা আপনাদের মন ছুতে পেরেছে কিনা। তবে আজ বিদায় বেলায় খুব খারাপ লাগছে। এই তিনদিন গল্প না দেয়ায় অনেক ইনবক্স পেয়েছি। আমি সত্যিই আপনাদের এতো ভালোবাসা পাবো ভাবিনি। এই ৪০ দিনের জার্নিতে আপনাদের পাশে পেয়েছি বলে ধন্যবাদ।)

আমার গল্পের যারা সাইলেন্ট রিডার ছিলেন, এই বিদায়বেলায় একটা অনুরোধ আজকে অন্ততপক্ষে জানান নিজের অনুভুতি এই গল্প সম্পর্কে। আমি অপেক্ষায় আছি। জানিনা নতুন গল্প নিয়ে আবার আপনাদের মাঝে ফিরব কিনা। দোয়া করবেন আমার জন্য। এই গল্প চলাকালীন সময়ে কখনো কারো মনে আঘাত করে থাকলে আমি একান্ত ক্ষমতাপ্রার্থী। নতুন গল্প #নীলকণ্ঠ আনতে চাই। আপনাদের মূল্যবান মতামতের অপেক্ষায় রইলাম। সকলের জন্য ভালোবাসা।

🎉🎉হ্যাপী রিডিং 🎆🎆

#মিথিলা

#NUSRAT_TABASSUM_METHILA

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here