#শেষ_থেকে_শুরু
কলমে: লাবন্য ইয়াসমিন
বোনাস পর্ব
রবিনদের বাসার সামনে দাঁড়িয়ে আছে হৈমন্তী। চারদিকে অসংখ্য লোকজন হৈচৈ করছে। স্টেজের কিছু ছেলে সাউন্ড বক্সে মৃদু ছন্দে গান বাজাচ্ছে। হৈমন্তী সকলের সঙ্গে ভেতরে ঢুকলো।বেশ আগ্রহ নিয়ে অতিথিদের স্বাগত জানানো হচ্ছে। হৈমন্তী আশেপাশে চোখ বুলিয়ে নিলো। বহুকাল আগে রবিনের বাবাকে দেখেছিল এখন তাঁর চেহারা ঠিক মনে নেই। চেনার মধ্যে শুধু রবিনকে চিনে। ওর সঙ্গে কিছু বখাটে বেড়াতো ওদেরকে মোটামুটি চিনতো। হৈমন্তী বিড়বিড় করতে করতে অপরিচিত একটা মেয়েকে বলল,
> আপু আমি মেয়ে বাড়ির বিশেষ আত্মীয়। রবিন ভাইয়া আমাকে চিনে আমি উনার সঙ্গে একটু দেখা করবো। উনাকে কোথায় পাওয়া যাবে বলতে পারেন?
মেয়েটা কয়েক সেকেন্ড ভেবে ওকে দেখিয়ে দিল রুমটা। হৈমন্তী অপেক্ষা করলো না। একবার মুখে হাত রেখে দেখে নিলো কিছু দেখা যাচ্ছে কিনা। তারপর সিউর হয়ে মেয়েটার দেখানো রুমটাতে চলে গেলো। রবিন রুমে একা থাকতে পছন্দ করে। কিছুক্ষণ পরে বাইরে যেতে হবে কিন্তু আমেরিকার এক গার্লফ্রেন্ডর সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে বাইরে যাওয়া হয়নি। দুজন ভিডিও কলে বাক্য আদান প্রদানে ব্যস্ত সেই সময় হৈমন্তী ভেতরে প্রবেশ করলো। ও খুব সাবধানে দরজা লাগিয়ে দিয়ে রবিণের পেছনে গিয়ে দাড়ালো। ভিডিও কল চলছে মেয়েটা রবিনকে কিছু বলার আগেই রবিন পেছনে তাঁকিয়ে কিছুটা আবার হয়ে বলল,
> কি চাই এখানে?
হৈমন্তী চোখের পাতা নাড়িয়ে বলল,
> আপনাকে চাই। দিবেন আপনাকে?
রবিন ভ্রু কুচকে ফেলল। মেয়েটাকে ওর চেনা লাগছে না।ভাবলো ফাজলামি করছে তাই কিছুটা রেগে বলল,
> আসতে পারেন আমি বিজি আছি।
হৈমন্তী মুখের নেকাবটা আস্তে করে খুঁলে ফেলল। রবিন ওর মুখের দিকে বিস্মিত হয়ে তাঁকিয়ে আছে। হৈমন্তীকে এতো বছর পরে দেখবে আশাকরেনি। ও কাপা কাপা কন্ঠে বলল
> তুমি?
> আশা করেননি তাই না? বাড়িতে বউ বাচ্চা রেখে আবারও বিয়ে করছেন মেয়ে বাড়ির লোকজন জানে?
রবিন ঢোক গিলে বলল,
> ওকে আমি ডিভোর্স দিয়েছি। আমার কোনো বউ নেই। বাচ্চা ছিল চাচাতো ভাইকে দিয়ে দিয়েছি আর আমি তোমাকে এতোকিছু বলছি কেনো। কে তুমি?
এখুনি আমার বাড়ি থেকে বের হও।
হৈমন্তী ঠোঁটের কোনে হাসি ফুটিয়ে বলল,
> রাগ করছেন কেনো। আমি কাউকে বলছি নাতো। শুধু জিঞ্জাসা করছি। প্রথমে আমি তারপর ডলি এখন অরিন মাঝখানে কতগুলো মেয়েকে যে আপনার চোখে ধরেছে তাঁর হিসাব নেই। কেনো এমন করেন?
> আমার ব্যক্তিগত ব্যাপার,তোমাকে কি জন্য বললো আমি? বের হতে বলেছি নয়তো কিন্তু খুব খারাপ হবে।
হৈমন্তী ওকে রাগিয়ে দেবার জন্য বলল,
> অরিনকে আমি সব বলে দিব। আপনি ডলিকে খুন করেছিলেন। আপনি খুনি ঠক আর লম্পট।
রবিনের মাথায় আকাশ ভেঙে পড়লো।অরিনকে ওর বেশ পছন্দ। ওকে কিছুতেই হাতছাড়া করা চলবে না।কি করবে ভেবে না পেয়ে হুমকি দিয়ে বসলো,
> ডলির চেহারা মনে আছে? লাশের যেই অবস্থা করেছিলাম না তোকেও তাই করবো। তুই কি ভেবেছিস তোকে ছেড়ে দিবো? চুপচাপ চলে যাবি কিছু করার চেষ্টা করলে খুন করে গুম করে দিবো।
হৈমন্তীর ভয়ে বুক ধুকপুক করছে। তবুও দমে না গিয়ে বলল,
> আমার ধারণা ঠিক ছিল ওকে তুই মেরেছিস। কেনো এমন করলি ওর সঙ্গে। গরিব মেয়েটাকে এভাবে মারতে তোর হাত কাঁপেনি। ওর বাবা এখনো কেঁদে বেড়ায়। তুই কি মানুষ?
রবিন তাচ্ছিল্যের হাসি দিয়ে বলল,
> রবিনকে থাপ্পড় দিয়েছিল না প্রতিশোধ নিয়েছি। ওর কলিজা খুব বড় ছিল। ওর সঙ্গে কি কি করেছি তুই ভাবতেও পারবি না। যখন বারবার ক্ষমা চাইছিল আমার কি যে মজা লেগেছিল। এখন হলে ভিডিও করে রাখতাম।।
হৈমন্তী রাগে ঘৃণার ফেঁটে যাচ্ছে। এই ভদ্রবেসি শয়তানের জন্য ডলি আজ পৃথিবীতে নেই। হৈমন্তী চোখের পানি মুছে নিয়ে বেরিয়ে আসতে চাইলো কিন্তু পারলো না রবিন ওর হাত ওরে ফেলল।তারপর মুখটা কঠিন করে বলল,
> তোর ফোনটা বের কর। আমাকে পাগল পেয়েছিস রেকর্ড করে পুলিশে দিবি আমি বুঝতে পারবো না। বের কর।
হৈমন্তী ফোন বের করবে না বলে ব্যাগ ধরে দাঁড়িয়ে থাকলো। রবিন হাতে মুঠো শক্ত করে জোরে হৈমন্তীর মুখে থাপ্পর বসিয়ে দিয়ে এক ঝটকায় ব্যাগ নিয়ে ফোনটা বের করলো। কোনো রেকর্ড চলছে না দেখে ওকে ফিরিয়ে দিয়ে বলল,
> তুই কিছুই করতে পারবি না। কে বিশ্বাস করবে তোকে? যা পারিস করে নিস।
কথাটা বলে ওকে ধাক্কা দিয়ে দরজার দিকে ফেলে দিলো ঠিক তখনই আবির ভেতরে প্রবেশ করলো। হৈমন্তী ওর গায়ের উপরে পড়তে পড়তে নিজেকে সামনে নিলো কিন্তু শেষরক্ষ হলো না। আবিরের পায়ের কাছে পড়ে গেলো। পা কাটা ছিল সেখানে আঘাত লেগে রক্ত বেরিয়ে গেলো। তাছাড়া দুদিন আগে পানি লেগে ইনফেকশন হয়েছে হৈমন্তী ভেবেছিল ঠিক হয়ে যাবে এতো ঝামেলার মধ্যে সেদিকে খেয়াল ছিল না। হৈমন্তী যন্ত্রণায় চোখ বন্ধ করে ফেলল। ঠোঁট চেপে কান্না আটকানোর চেষ্টা করলো। আবির তাড়াতাড়ি ওকে তুলতে গেলো কিন্তু হৈমন্তী ওর হাত সরিয়ে দিয়ে উঠে দাঁড়ালো। আবির ভ্রু কুচকে রবিনের দিকে তাঁকিয়ে বলল,
> ওকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিলেন না?
রবিন কিছু বলার আগেই হৈমন্তী উত্তর করলো,
> উনি আমাকে ধাক্কা দেননি আমি এমনিই পড়ে গেছি। আপনারা কথা বলুন আমি আসছি।
হৈমন্তী আবিরকে অচেনার ভান করে বেরিয়ে গেলো। আবির বিচক্ষণ মানুষ বুঝতে পেরেছে কিছু ঘাপলা আছে। তাই না দাঁড়িয়ে রবিনকে এটা ওটা বুঝিয়ে বাইরে বের হলো। হৈমন্তী বাইরে এসে ভেবেছিল দ্রুত চলে যেতে পারবে কিন্তু হলো না। বহুদিন শাড়ি পরার অভ্যাস নেই তখন ছিটকে পড়ে শাড়ির কোনা খুঁলে গেছে। জড়সড় হয়ে হাটতে হচ্ছে। মুখ বাঁধা হয়নি। যদিও এখানে চেনা পরিচিত কেউ নেই তবুও খুব বিরক্ত লাগছে। দুঘর সামনে এগিয়ে আরেক ঝামেলা এসে হাজির। রবিনের বাবা ওকে আটকে দিয়ে বলল,
> এই তোমাকে কেমন চেনা লাগছে। তুমি হৈমন্তী না? খলিল মির্জার ছোট মেয়ে।
হৈমন্তী মনে মনে ভাবলো এবার ষোলো কলা পূর্ণ হলো। আল্লাহ্ রক্ষা করো এই বিপদ থেকে।লোকটা যে বদের হাড্ডি কুটনৈতিক বুদ্ধি প্রখর। হৈমন্তী তাড়াতাড়ি আচল মুকে দিয়ে মুখ ঢেকে বলল,
> কোন খলিল আঙ্কেল?আমি কোনো খলিল টলিলকে চিনি না। আপনাকে ভেতরে ডাকছে।
হৈমন্তী কথাটা বলে তাড়াতাড়ি কেটে পড়লো। রবিনের বাবা ডাকছে পেছনে থেকে কিন্তু হৈমন্তী ভূলেও তাকালো না। ভদ্রলোক তাড়াতাড়ি রবিনকে ডাকতে গেছে। আবির বাইরে এসে হৈমন্তীকে খুঁজতে খুঁজতে রাস্তায় এসে আশেপাশে খোঁজ করলো। তখনই হৈমন্তী এসে হাজির। হৈমন্তী হাপাতে হাপাতে বলল,
> তাড়াতাড়ি গাড়ি আনুন ফিরতে হবে।
> এইটুকু আসতে তোমার এতক্ষণ লাগলো?
> গাড়িতে বসে বলবো। দ্রুত করুন না হলে আমি চলে
যাচ্ছি।
হৈমন্তী হাটতে শুরু করলো। আবির ভেতরে গিয়ে গাড়ি এনে হৈমন্তীকে তুলে নিলো। আবির গাড়ি ছেড়ে কিছুদূরে এসে ওকে জিঞ্জাসা করলো,
>প্রচুর সাহস বেড়েছে একা একা চলে এসেছো। একটা থাপ্পর দিয়ে ছেড়ে দিলো ভেবেছিলাম আরেকটা দিবে। পা থেকে রক্ত বের হচ্ছে। কবে থেকে ইনফেকশন হয়েছে?
হৈমন্তী ছিটে হেলান দিয়ে চোখ বন্ধ করলো। আপাতত উত্তর দেবার ইচ্ছে না।পয়ে প্রচণ্ড যন্ত্রণা করছে। ওকি রোবট যে ওর যন্ত্রণা হবে না। তাছাড়া শক্ত থাপ্পর খেয়ে মুখ বাঁকা হওয়ার অবস্থা। মা আর ফরহাদ ছাড়া ওকে কেউ মারেনি। শেষ থাপ্পর ফরহাদ মেরেছিল তারপর এই রবিনের বাচ্চা। পরের হাতে মার খেতে খেতে একদিন না মরেই যায়। কথাটা ভেবে ওর কষ্ট না রাগ হচ্ছে। যে যেমন পাচ্ছে থাপ্পর দিয়ে যাচ্ছে ওকি ফেলনা নাকি। সবগুলো থাপ্পরের জবাব দিবে। আবির ওর নিরবতা দেখে গাড়ি থামিয়ে বলল,
> রবিনের থাপ্পর খেয়ে বোবা হয়ে গেছো? উত্তর দাও।
> পানি খাবো পানি আছে?
আবির বিরক্ত হয়ে ভ্রু কুচকে ওকে পানি এগিয়ে দিলো ঠিক তখনই ফোন বেঁজে উঠলো। আবির ফোন রিসিভ করে কানে ধরলো। ওপাশ থেকে কে কি বলল হৈমন্তী বুঝতে পারলো না। আবিরকে খুব চিন্তিত দেখালো। ঠিক তখনই ওর ফোনটা বেজে উঠলো। হৈমন্তী ফোন চেক করে দেখলো আরাফাত ফোন করেছে। ও তাড়াতাড়ি রিসিভ করে কানে ধরলো। ওপাশ থেকে বলল,
> হৈমিা অরিনকে নিয়ে আমরা সিটি হাসপাতালে আছি। ওয়াশ করছে জানিনা কি হবে খুব চিৎকার চেচামেচি করছে। মেয়েটা কি যে করলো।
হৈমন্তী ভয়ে চুপ হয়ে গেছে। যে ভয়টা পেয়েছিল তাই হয়েছে। একটার পর একটা বিপদ দরজায় এসে কড়া নাড়ছে। মেয়েটা বাঁচবে তো?
________________
আবির দৌঁড়াতে দৌঁড়াতে হাসপাতালে এসে হাজির হলো। অরিনকে অটিতে নেওয়া হয়েছে। বাইরে ওর বাবা মা আর আরাফাত দাঁড়িয়ে আছে। আবিরের মা কান্নাকাটি করছেন। আবির আসতেই ওর গলা জড়িয়ে ধরে কাঁদতে শুরু করলো। হৈমন্তী জড়সড় হয়ে আরাফাতের পাশে এসে ফিসফিস করে বলল,
> ভাইয়া কিভাবে কি হলো। ও কি করছে?
আরাফাত দাঁতের সঙ্গে দাঁত চেপে বলল,
> মাথা মোটা মেয়েটা হারপিক খেয়েছে বিষের অভাবে। ছি আমার ভাবতেই বমি আসছে। কিছু হবে না। তবে জন্মের মতো মরার সখ মিটে যাবে।
আরাফাতের রাগ হচ্ছে ওর কথা শুনেই বোঝা যাচ্ছে। কিন্তু হৈমন্তীর রাগ হচ্ছে না কষ্ট হচ্ছে। যার জন্য এতোকিছু করছে সেই যদি এমন করে। ও ফ্লোরে বসে বড়লো। শাড়িটা ধরে রেখেছিল সেটা এলোমেলো হয়ে গেলো। মুখে পাঁচ আঙুলের ছাপ স্পষ্ট হয়ে আছে। কিছুক্ষণের মধ্যেই অরিনকে বেডে নেওয়া হলো কিন্তু হৈমন্তী সেখানেই বসে থাকলো। আরাফাত ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলতে চলে গিয়েছিল আসেনি। আবির মাকে সামলে বাইরে আসলো। হৈমন্তীকে এভাবে বসে থাকতে দেখে ওর চোখ দুটো লাল হয়ে গেলো। ওর পাশে গিয়ে ধমক দিয়ে বলল,
> বাড়িতে ফিরবে নাকি এভাবেই বসে থাকবে। পাগল হয়ে যাচ্ছি আর ভালো লাগছে না। মুখে তালা এটেছো খুঁলতে বলছি না।
হৈমন্তী চমকে উঠে দাঁড়াতে গেলো কিন্তু পারলো না পায়ের ব্যাথা আরও বেড়েছে। রক্ত জমাট বেঁধে আছে। আবির ওকে থামিয়ে দিয়ে একজনকে ডেকে ওকে পাঠিয়ে দিলো। হৈমন্তীর পায়ে ব্যান্ডেজ করানোর জন্য। মেয়েটার মুখের দিকে তাকিয়ে ওর হাতের মুঠো শক্ত হয়ে আসছে। এই থাপ্পড়ের জবাব থাপ্পরে না ফাঁসিতে শোধ করবে।
আরাফাত ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলে হৈমন্তীর কাছে গেলো। হৈমন্তী অরিণের পাশে বসে আছে। শাড়ি ঠিক করে নিয়েছে। আরাফাত ওকে পাশে ডেকে নিয়ে ফিসফিস করে বলল,
> তোর মুখে কি হয়েছে? কোথায় গিয়েছিলি?
হৈমন্তী সংক্ষেপে বিস্তারিত বলে হিজাব থেকে একটা ক্যামেরা খুলে আরাফাতের হাতে দিয়ে বলল,
> এখানে প্রামাণ আছে ভাইয়াকে দিও। তুমি এখানে কেনো?তুমি না গ্রামে গিয়েছিলে?
> অরিনের টেক্সট পেয়ে ছুটে এসেছি। বাইরে তোকে খুঁজে না পেয়ে ঘরে গিয়ে দেখি ওইটা ফ্লোরে গড়াগড়ি করছে। সব বাইরে গানবাজনা নিয়ে মশগুল। পরে দ্রুত আন্টিকে ডেকে ওকে নিয়ে পেছনের দরজা দিয়ে হাসপাতালে এসেছি। লোকজন জানাজানি হলে সম্মান যাবে সেই ভয়ে আঙ্কেল কাউকে বলেতেও দিলো না। বাড়িতে জানিনা কি অবস্থা। আবির গিয়ে সামলে নিবে। এই রবিনকে না খুন করতে মন চাইছে। হারামির বাচ্চা।
হৈমন্তী চুপচাপ অরিনের কাছে চলে আসলো। মেয়েটা এখনো চোখ বন্ধ করে পড়ে আছে। মুখটা শুকিয়ে আছে। ঠোঁটে রক্ত শুকিয়ে কালো হয়ে আছে। ওকে দেখে হৈমন্তীর নিজের কথাগুলো মনে পড়ছে। স্মৃতি থেকে হারিয়ে যাওয়া বিষাদের দিনগুলো বারবার উঁকি দিচ্ছে। হৈমন্তীর মনে হলো ওর আশেপাশে যারা থাকবে তারাই কষ্ট পাবে। ও এখানে আর থাকবে না। নিখোঁজ হয়ে যাবে।
চলবে
ভুলত্রুটি মার্জনা করবেন।