শেষ থেকে শুরু পর্ব-১৭

0
2130

#শেষ_থেকে_শুরু
কলমে: লাবন্য ইয়াসমিন
পর্ব:১৭

বিষাদের পরে আসে কাঙ্ক্ষিত সুখ। সুখ দুঃখ অঙ্গ অঙ্গিভাবে জড়িত। দুঃখ ছাড়া সুখের মর্ম বোঝা যায় না। ক্ষুদ্র এই মানব জীবন, কারো সরল রেখার মতো সোজাসাপ্টা হয় কারো আবার বক্র । হৈমন্তীর জীবনটা সরল রেখার মতো হয়নি। নিজের ভূলে বা পরিবারের ভূলে পথচলা কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে।
আরাফাত অরিনকে নিয়ে আমেরিকা ফিরে যেতে চেয়েছিল কিন্তু ঝামেলা তৈরী হয়ে গেলো। আবিরের বাবা সুস্থ মানুষ অফিসে গিয়ে অসুস্থ হয়ে গেলেন। উনি সকালবেলায় সুস্থ সবল ছিলেন কিন্তু অফিসে যাবার কিছুক্ষণ পরেই আবির খবর পাই ভদ্রলোক অফিসের লিফটের মধ্যে পড়ে আছে। আবির আর অপেক্ষা করেনি দৌড়ে গিয়েছে। অরিন কান্নাকাটি করে একাকার অবস্থা করে ফেঁলেছে। হাসপাতালে নেওয়ার পরে আবিরের বাবা রেসপন্স করছে খুব কম। ডাক্তার প্রথমে ভেবেছিল উচ্চ রক্তচাপের জন্য এমন হয়েছে কিন্তু পরীক্ষা করে তেমন কিছুই ধরা পড়েনি।তবে উনার শরীরে বিষাক্ত কিটনাশকের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে যেটা রক্তের মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে সারা শরীরে। আবিরের অবস্থা খারাপ। ডাক্তার দ্রুত রক্ত পরিবর্তনের ব‍্যবস্থা করলেন। জমে মানুষের টানাটানি চললো। ফারজানা হক ভেঙে পড়ছেন স্বামীর শোকে।

এসব ঝামেলায় এক মাস পার হয়ে গেলো তবুও উনার উন্নতি হলো না।ডাক্তার বললেন উনি সুস্থ হবেন তবে সময় লাগছে। আবির এক সঙ্গে অফিস আর হাসপাতাল সামলাতে গিয়ে হৈমন্তীর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেনি। কিভাবে মাস পেরিয়ে গেছে বুঝতেই পারেনি। তাছাড়া মায়ের কান্নাকাটি তো আছেই।যখন একটু ফ্রি হলো ফোন করতেই হৈমন্তীর নাম্বার বন্ধ পেলো। আবির ভ্র কুচকে ফেলল। সঙ্গে সঙ্গে মারিয়াম আন্টিকেও ফোন করলো কিন্তু সেখানেও একই অবস্থা ফোন বন্ধ। পাগলের মতো দুদিন একভাবে ফোন করলো কিন্তু ফলাফল শূন্য।। কিভাবে যোগাযোগ করবে বুঝতে পারছিল না। ওখানে চেনাজানা একজনের সঙ্গে কথা বলে তাকে পাঠিয়ে দিলো হৈমন্তীর বাসাই গিয়ে খোঁজ নেওয়ার জন্য। লোকটা ওখানে গিয়ে যা বলল
তাঁতে আবিবের পায়ে নিচে মাটি সরে গেলো। মারিয়াম আন্টি খুন হয়েছেন। হৈমন্তী আর জান্নাতের খোঁজ পাওয়া যায়নি। মারিয়াম আন্টির খুনেরর পরে উনার ছেলে এসে বাড়িতে তালা লাগিয়ে দিয়েছে। কেউ বলতে পারেনা হৈমন্তী আর বাচ্চাটা কোথায় আছে। বিপদ যখন আসে তখন এক সঙ্গেই আসে। আবির বাংলাদেশ থেকে কিভাবে হৈমন্তীর খোঁজ নিবে। বাড়ির পরিস্থিতি খারাপ এই অবস্থায় ওর কোথাও যাওয়া যাবে না। আরাফাতও যেতে পারেনি। অরিন যেতে রাজি না। পড়াশোনার চাইছে বাবা মা অধিক প্রিয়। বাবার কাছাকাছি থাকতে চাই দূরে গিয়ে যদি কিছু হয় পরে আফসোস করতে হবে। এমন কিছুই সে করবে না। আরাফাত শশুরের কাজকর্মগুলো দেখাশোনা করছে। তাছাড়া উপাই নেই। আবির যখন হৈমন্তীর কথা ভেবে পাগল হয়ে যাচ্ছিলো তাঁর ঠিক দুদিন পরে ওর কাছে একটা চিঠি আসলো। হৈমন্তী লিখেছে,

মিস্টার আবির এহসান,
আমি ভালো আছি আর ভালো থাকবো। আমাকে নিয়ে ভাবতে যাবেন না। আপনি বরং নিজের মতো জীবনটা আবারও শুরু করুন। আমার ভালো থাকা আমি খুঁজে নিয়েছি। আরেকটা বিয়ে করে সংসার করেন আপনার ভালো হবে। আমার পিছনে হাত ধুয়ে পড়ে আছেন এটা আমি পছন্দ করছি না। তাই চলে যাচ্ছি নতুন যায়গায়। আমাদের কখনও আর দেখা হবে না। ভালো থাকবেন।
ইতি
হৈমন্তী।

চিঠিটা পড়ে আবিরের চোখ দুটো অশ্রুতে পূর্ণ হয়ে উঠলো। ভালোবাসার অপরাধে মেয়েটা ওকে শুধু দুঃখই দিলো। কি হতো যদি শেষ থেকে শুরু করতো? হৃদয় ভাঙার হাহাকার নিয়ে জ্বলপুড়ে অঙ্গার হয়ে বাঁচার চাইতে মৃত্যু ভালো ছিল। কিন্তু ওর উপরে তো অনেক দায়িত্ব। বাবার চিকিৎসা বোন আর মায়ের দেখাশোনা করা। একটা মেয়ের জন্য স্বার্থপরের মতো জীবন থেকে পালিয়ে যাওয়ার মানেই হয়না। আবির চিঠিটা কয়েকবার পড়লো। তবে খটকা লাগলো চিঠিটা হাতে লেখা না বরং কম্পিউটারে টাইপ করে লেখা। আবির ভ্রু কুচকে ভাবলো ফোন কম্পিউটারের জন্য আজকাল কি লোকজন পেন বিক্রি ছেড়ে দিলো? বুঝতে পারলো না এর রহস্য কি তবে হৈমন্তীর উপরে ও প্রচণ্ড ক্ষেপে গেলো। সিদ্ধান্ত নিলো এই মেয়েকে নিয়ে ও আর ভাববে না। হিটলারের মতোই চলুক ওর কি যায় আসে। আবিরের চিঠির সঙ্গে সঙ্গে ও বাড়িতে রাজীব আর আরাফাতের কাছও কম্পিউটারে টাইপ করা চিঠি আসলো। সকলে বুঝতে পারলো হৈমন্তী ইচ্ছে করেই লুকিয়ে আছে। যে ইচ্ছা করে লুকিয়ে থাকে তাকে খুজে পাওয়া যায় না। থাকুক যদি ভালো থাকে । আরাফাত লোকজন দিয়ে খোজখবর নিয়েছে কিন্তু পাইনি চিঠি পেয়ে কিছুটা স্বস্তি পেয়েছে। এভাবে আরও কয়েক মাস পার হয়ে বছর পেরিয়ে গেলো সেই চিঠির পরে হৈমন্তীর আর কোনো চিঠি আসলো না। রাজীব অস্থির হয়ে আরাফাতকে পাঠিয়েছিল তবুও খোঁজ মিলাতে পারলো না। সকলের চিন্তা কোথায় গেলো মেয়েটা? হৈমন্তীকে না পেয়ে আরাফাত দেশে ফিরে এসেছে। আপাতত দেশেই থাকবে। অরিন বাবা মায়ের সঙ্গে থাকে। আরাফাত নিজের বাড়িতে। ওদের সম্পর্কটা এগোতে পারেনি সেখানেই আছে। বাবার অসুস্থতার জন্য শশুর বাড়িতে থাকা হয়না। হাসপাতালে পালা করে বাবার দেখাশোনা করছে। আবির আগের মতো নেই গম্ভীর হয়ে গেছে। সারাদিন অফিসে থাকে রাতে হাসপাতালে বাবার কাছে। ভেবেছিল বাইরে নিয়ে চিকিৎসা করাবে কিন্তু ডাক্তার বলে দিয়েছে। এখানে থেকেও যা হবে বাইরে গিয়েও তাই হবে। নড়াচড়া কথা বলা কিছুই পারেনা। বিছানায় পড়ে থাকে। তবে কিছুদিন হচ্ছে সামান্য পরিবর্তন হয়েছে। আরাফাত দিন একবার হাসপাতালে এসে খোঁজখবর নিয়ে যায়। তাছাড়া কি বা করার আছে। অরিনের এক কথা যতদিন বাবা সুস্থ না হচ্ছে ততদিন সে আরাফাতের সঙ্গে থাকবে না। আরাফাত জোরজবরদস্তি করে না। ছেলেমেয়েদের কাছে বাবা মা কতটা প্রিয় ওর জানা আছে। বউ পালিয়ে যাবে না। সারাজীবন পড়ে আছে কিন্তু বাবার য‍দি কিছু হয়ে যায় তখন কি হবে।

_______________
মাথায় হাত রেখে উদাস দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে চয়নিকা। হৈমন্তীর জন্য খারাপ লাগে। মেয়েটা ওকে মা হওয়ার সুযোগ করে দিয়েছিল সেই জন্য ও সারাজীবন হৈমন্তীর কাছে ঋণী থাকবে। মেয়েটার কথা ভাবলেই বুকের মধ্যে হুহু করে। আদো বেঁচে আছে কি তারও নিশ্চয়তা নেই। ভিবিন্ন কথা মনের মধ্যে ঘুরপাক খাচ্ছে। রনি ইস্কুলে গেছে। বয়স ছয় বছর পেরিয়ে গেছে। ছেলেটা দেখতে ঠিক মায়ের মতোই হয়েছে। চয়নিকার ধ‍্যান ভাঙলো রোহানের কথা শুনে। রোহান হঠাৎ হঠাৎ সপ্তাহে একদিন হাজির হয়। তাছাড়া তাকে পাওয়া যায় না। কোথায় তাকে কি করে একমাত্র সে আর আল্লাহ্ জানে। চয়নিকা দীর্ঘনিশ্বাস ফেলে ঠোঁটে হাসি ফুটিয়ে বলল,

> হাওয়া হয়ে যাওয়া তোর স্বভাব হয়ে গেছে। একটা বিয়ে করনা ভাই তাহলে অন্তত বাড়িতে থাকার টনিক খুঁজে পাবি। বয়স কতো হচ্ছে দেখেছিস?

রোহান দাঁত বের করে অমায়িক হাসি দিয়ে বসতে বসতে বলল,

> নিশ্চয়ই করবো তবে সময় হয়নি এখনো। আপা দুলাভাই কোথায়রে?

চয়নিকা সোফায় হেলান দিয়ে চোখ বন্ধ করে বলল,

> অফিসে আছে। রোবট হয়ে যাচ্ছে দিনদিন। হৈমির খোঁজ নেই বাড়িতে অশান্তি লেগেই আছে। মেয়েটা জিদ করে এমন করলো। কত আশা করেছিলাম এবার বুঝি সব ঠিক হবে। কিছুই হলো না।

> একটা কথা বলবো আপা? দেখ রাগ করবি না কিন্তু?

> বল।

> দুলাভাই হৈমন্তীর নামে কিছু অর্থসম্পদ রেখেছে তুই বিস্তারিত জানিস?

> হুম জানি।

রোহান ভ্রু কুচকে বলল,

> জেনেশুনে তুই চুপচাপ আছিস? শোন আপা দুলাভাই যা কিছু করছে সব কিন্তু হৈমন্তীর নামে চলে যাবে। দেখ তোরা যাকে আদর যত্ন দিয়ে মানুষ করছিস সে কিন্তু হৈমন্তীর ছেলে। তোদের কোনো সন্তান নেই বিধায় সব কিছু রনির হয়ে যাবে তোদের কি থাকবে? ভালো মানুষ তোরা তাইবলে এতো ভালো? এতো পরিশ্রমের টাকা পয়সা বোন আর বোনের ছেলে পাবে তোরা কি পাবি?

রোহানের কথা শুনে চয়নিকা ভ্রু কুচকে ফেলল। ভাইকে ওর অসহ‍্য লাগছে। সিনেমার কুটনৈতিক শাশুড়ির মতো চিন্তা ভাবনা। রনি ওদের ছেলে। হৈমন্তী কখনও ছেলেকে ফিরিয়ে নিবে না এইটুকু ভরসা মেয়েটার উপরে করাই যায়। তাছাড়া রনি যে ওদের ছেলে না এটা বাইরের কেউ জানেনা। শুধু নিজেদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ আছে । রোহান ছাড়া রনিকে নিয়ে এমন মন্তব্য আজ অবধি কেউ করেনি। চয়নিকাকে সকলে রনির আম্মু বলেই ডাকে। ওকে এভাবে চুপচাপ ভাবতে দেখে রোহান আবারও বলল,

> আপা ভাবার দিন শেষ। মা ছেলে মিলে তোদের লুটপাট করছে। তাছাড়া ফরহাদের মতো অমানুষের ছেলেকে তোরা পালবি কেনো? বাচ্চার অভাব নেই দেশে। টাকা থাকলে সব হয়। আমি হাসপাতালে খোঁজ নিয়েছি একটা বাচ্চা আছে ওদের কাছে। এক বছর বয়স। ছেলেটা খুব কিউট তুই রাজি থাকলে ওকে নিয়ে আসি। আর রনিকে ওর বাপের কাছে দিয়ে আসব। কি বলিস?

চয়নিকা নিজেকে সামলাতে পারলো না। ওর চোখমুখ শক্তি হয়ে উঠেছে। রাগ নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে ঠাটিয়ে রোহানের গালে থাপ্পড় লাগিয়ে দিলো। ভাই না হলে এতক্ষণ খুন করে ফেলতো। রনি ওর জীবন। সেই ছোট থেকে তিলতিল করে মানুষ করেছে। ছেলেটা মা ভক্ত। রাতে মায়ের কোলে ছাড়া ঘুমাতে পারেনা। হাতে করে খাওয়াতে হয়। সেই ছেলেকে ও কিভাবে দূরে ঠেলে দিবে? কখনও না বেঁচে থাকতে না। মন হয় মরে গেলেও আত্না ছেলের আশেপাশে ঘুরবে। কত দরদ দিয়ে সন্তান লালনপালন করেছে। চয়নিকা দাঁতে দাঁত লাগিয়ে ফিসফিস করে বলল,

> এখুনি তুই আমার চোখের সামনে থেকে দূর হয়ে যা। অর্থসম্পদের দরকার নেই আমার। আমি শুধু রনিকে চাই। ও আমার ছেলে শুধু আমার। জন্ম দিলেই মা হওয়া যায় না। ওকে আমি এই দুহাতে মানুষ করেছি। ওকে দেওয়ার কথা তুই কিভাবে বলতে পারিস? তুই আমার রনিকে কেড়ে নেওয়ার চিন্তা করছিস তাইনা?

রোহান বেশ বিপদে পড়ে গেলো। ভেবেছিল বোন ওর কথা শুনবে এভাবে রেগে যাবে না। বাঁচার জন্য জোরকরে ঠোঁটে হাসি এনে বলল,

> আপা রাগ করিস না আরে আমি তো মজা করছিলাম। তুই কি রিয়াক্ট করিস দেখার জন্য। তাছাড়া বাচ্চা পাওয়া কি ডালভাত নাকি। তুই প্লিজ রাগ করিস না। রনি তোর ছেলে সবাই জানে।

রোহানের কথা শুনে চয়নিকা শান্ত হতে পারলো না। হাতমুখ শক্ত করে হুটকরে উপরে চলে গেলো। রোহান কিছুক্ষণ একা বসে থেকে বেরিয়ে গেলো। মাথায় পেশার চলছে। একটা পরিকল্পনা করেছিল সফল হতে পারলো ন।
________________________
আলিশান বাড়ির সোফায় বসে আছে লতা। এই বাড়িটা গতমাসে ফরহাদ কিনেছে। লোকটা জাদুর চেরাগ পেয়েছে। কিসের একটা ব‍্যবসা করছে সেখান থেকেই ফেঁপে ফুলে আজ এই অবস্থানে। লতা চাহিদা মতোই সবকিছু পেয়েছে কিন্তু পাইনি নিজের স্বাধীনতা। ফরহাদ ওকে কিছুর অভাবে রাখেনা।কিন্তু ওর আশেপাশেও ঘেঁষে না। রুম পযর্ন্ত আলাদা করেছে। লতার বাইরের টান কমেছে। ও চেয়েছে ফরহাদের সঙ্গেই থাকতে। জীবনে যায় করেছে আর এসব করবে না। কিন্তু কর্মফল তো পেতেই হয়। ফরহাদ ওকে হাতে মারেনি ঠিক তবে ভাতে মেরেছে। বাইরের লোকজনের কাছে ওর পরিচয় গোপন রাখে। হৈমন্তীর জন্য লোকটা পাগল হয়ে উঠেছে যেটা লতা সহ‍্য করতে পারেনা। ফরহাদের মা শায়লা বানু ঘরের এক কোনে পড়ে থাকে। ফরহাদ উনার সঙ্গে কথা বলা বহু আগেই বন্ধ করে দিয়েছে। ভদ্রমহিলা ধুকেধুকে মরছে। নিজের কৃতকর্মের জন্য আফসোস করেন। একমাত্র ছেলে কথা বলেনা মা বলে ডাকেনা এর থেকে কষ্টের কিবা আছে। ফরহাদ বাড়িতে থাকেনা বললেই চলে। বাড়িতে যেটুকু থাকে লতা আশেপাশে ঘুরঘুর করে কথা বলতে চাইলে ওকে কঠিন কোনো কথা বলে দমিয়ে দিতে দুবার ভাবেনা। ওর দৃষ্টিতে লতা চরিত্রহীন লোভী মহিলা।। লতার ছেলেকে দেখলে ওর রাগ দ্বিগুণ বেড়ে যায়। জীবন বাঁজি রেখে অর্থসম্পদের পাহাড় গড়ে তুলছে শুধু হৈমন্তীর জন্য। মেয়েটাকে ওর চাই। যেভাবেই হোক চাই।

(চলবে )

ভুলত্রুটি মার্জনা করবেন। লেখালেখিতে আমি সত্যিই দক্ষ না। গল্পটা সবার যে ভালো লাগবে এমনটা আশাও করছিনা। তবে যায় বলবেন একটু ভদ্রভাবে বলবেন। বুঝিয়ে বললে আমি কিছু শিখতেও পারবো। আক্রমনাত্মক কথাবার্তা বলবেন না প্লিজ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here