শেষ থেকে শুরু পর্ব-১৮

0
2109

#শেষ_থেকে_শুরু
কলমে: লাবণ্য ইয়াসমিন
পর্ব:১৮

গভীর রজনী, হালকা তন্দ্রা এসে ভর করেছে অরিনের আঁখি পল্লবে। কিছু সময় মানুষের জীবন সত্যিই বিষাদের ঘন আধারে আছন্ন হয়ে যায়। হঠাৎ করে অরিন অবুঝ থেকে বুঝদার হয়ে উঠেছে। আরাফাতকে নিয়ে হৃদয়ের গহীনে নানারকম চিন্তার ঘুরপাক খাচ্ছে। সঠিক সময়ে সম্পর্কের মূল্য দিতে জানতে হয় নয়তো পরে কিছুই করার থাকে না। আরাফাত ভদ্রলোকের ছেলে, নিজেও যথেষ্ট ভদ্রলোক তাতে সন্দেহ নেই। লোকটা ওকে পর্যাপ্ত স্বাধীনতা দিয়েছে এমনকি বিয়ের এতগুলো দিন পার হলো তবু ওর কাছে স্বামীর অধিকার নিয়ে ঝামেলা করেনি কাছেও আসেনি। হয়তো এটা একপক্ষিক ভালো তবে আদো কি এটা ভালো? একদম ভালো না। যদি হঠাৎ ছেলেটার মন মেজাজ পরিবর্তন হয়ে যায় তখন? হতেই পারে অস্বাভাবিক কিছু না। সমাজের ন‍্যায় মানুষও পরিবর্তনশীল। মানব মনের তল পাওয়া সহজ না। তাছাড়া চিরন্তন সত্য অনুযায়ী মানুষের কিছু জৈবিক চাহিদা আছে। যেটাকে অস্বীকার করার স্বাদ বা সাধ‍্য কারো নেই। কথাগুলো ভেবে অরিনের মাথা পাগল হয়ে যাচ্ছে। ভালো মানুষের বড্ড অভাব পৃথিবীতে। পাওয়া কষ্ট যদি পেয়েও তাকে হেলাই হারিয়ে ফেলা হয় তার মতো হতভাগ্য কেইবা আছে? না না কিছুতেই অরিন ওকে ছাড়বে না। রবিন ওর হৃদয় পটভূমি থেকে সেই কবেই বিলীন হয়ে আরাফাত জায়গা দখল করে নিয়েছে এটা বুঝতে বেশ সময় লেগে গেলো। লোকটা আজ দুদিন হাসপাতালে আসছে না। অরিন ফোন দিতে চেয়েও দিতে পারেননি। কথা বলতে জড়তা কাজ করে সঙ্গে জমা হয়েছে মরার লজ্জা। এই লজ্জা জিনিসটা ওর বিরক্তি লাগে। মনে হয় ভূলে যাবে ওর লজ্জা নামের অদৃশ্য বস্তুটা আছে। কিন্তু হয়না লোকটা ওর আশেপাশের থাকলেই হয়েছে। কথা পযর্ন্ত জড়িয়ে যায়,হাতপা ঠকঠক করে কাঁপাকাঁপি করে। তবে এসব নিয়ে চললে তো হবে না। ওকেই এগিয়ে যেতে হবে। সন্তানের কাছে বাবা যেমন গুরুত্বপূর্ণ স্ত্রীর কাছে স্বামীও তেমন গুরুত্বপূর্ণ ব‍্যাক্তি। একজনের জন্য অরেকজকে আঘাত করা বোকামি। সম্পর্কের যত্ন না করলে মরিচা পড়ে যায়। অরিন সিদ্ধান্ত নিলো এখন থেকে লোকটার আশেপাশে থেকে ভালোবাসার উপলব্দি করাবে। কথাগুলো ভাবতে ভাবতেই ওর চোখ লেগে গিয়েছিল। কেবিনের বাইরে বসে ছিল এতক্ষণ। ওর বাবার শরীর মোটামুটি ভালো। চোখ খুঁলে তাকাতে পারে আঙ্গুল নড়াচড়া করছে। ডাক্তার বলেছে খুব তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠবে।। আবির এসেছিল কিছুক্ষণ বাবার কাছে বসে চলে গেছে।ওর অফিসের কাজ আছে। গতকাল মিটিংয়ের জন্য কোথায় একটা যাবে। হঠাৎ মাথার উপরে কারো স্পর্শ পেয়ে অরিনের তন্দ্রা ছুটলো। তাড়াতাড়ি সোজা হয়ে ঘুমঘুম চোখে তাঁকিয়ে দেখলো আরাফাত ওর পাশে দাঁড়িয়ে আছে। লোকটার দৃষ্টি সোজাসুজি ওর চোখের উপরে। অরিন গুটিয়ে গেলো। কয়েকবার চোখের পাতা ঝাপটে অভিমানি কন্ঠে বলল,

> দুদিন কোথায় ছিলেন? খোঁজখবর নেই কেনো?

আরাফাত মলিন হেসে বলল,

> কাজের জন্য বাইরে গিয়েছিলাম। হৈমির খোঁজ চলছে। বন্ধুকে দিয়ে ওখানকার পুলিশের কাছে ডাইরি করেছি । যদি খোঁজ পাই। তুমি এখানে কি করছো? আম্মুতো আছে। তুমি একদিন বাড়িতে গিয়ে বিশ্রাম করতে। চেহারার কি অবস্থা হয়েছে দেখেছো?

আরাফাত কথাগুলো বলতে বলতে অরিনের কোলঘেঁসে বসে পড়লো। অরিন নড়েচড়ে বসলো। শরীরে কাঁটা দিচ্ছে। লোকটাকে নিয়ে কিছুক্ষণ আগেও উল্টাপাল্টা ধারণা তৈরী হয়েছিল ভেবেই লজ্জা লজ্জা পাচ্ছে। অরিকে চুপচাপ দেখে আরাফাত ওর হাতটা নিজের মুঠোয় নিয়ে বলল,

> ঘুমিয়ে যাও শরীর খারাপ হবে। আমি ভেবেছি আগামীকাল থেকে রাতে এখানে থাকবো তুমি বাড়িতে থাকবে। রাতে এমনিতেই আমার তেমন ঘুম আসেনা। নানারকম চিন্তাভাবনা হচ্ছে। পাগল পাগল লাগছে। বোনটা কোথায় আছে কে জানে।

অরিন মন খারাপ করে ফেলল। চোখ জোড়া ছলছল করছে। হৈমির জন্য সবাই কষ্ট পাচ্ছে। আবিরের মুখে আগে হৈমির নাম শুনলেও এখন আর শোনা যায়না। তাছাড়া দরকার ছাড়া ছেলেটা একটা কথাও উচ্চারণ পযর্ন্ত করেনা। ছেলেটা আগে এমন ছিল না। ওর এই পরিবর্তনের জন্য কোথাও না কোথাও হৈমি একটু হলেও দোষী। অরিন দীর্ঘনিশ্বাস ফেলে বলল,

> মেয়েটার মধ্যে জিদ চেপেছে। ছোট থেকেই আপনারা ওর উপরে শুধু ঝামেলা চাপিয়ে দিয়েছেন। একবার না দুই দুইবার বিয়ে দিয়েছেন। আবার নাকি রোহান ভাইয়ার সঙ্গে বিয়ে ঠিক করে ফেলেছেন এসবের জন‍্যই হৈমি পালিয়ে আছে। ও কাউকে কষ্ট দিতে চাইনি তর্কাতর্কি করে। নিরবে সরে গিয়েছে।

আরাফাত চোখ বন্ধ করে কয়েক সেকেন্ড ভেবে বলল,

> ছোট থেকেই ও চুপচাপ স্বভাবের। ওর এমন চুপচাপ থাকাটাই আমাদের ভাইবোনদের নজর কাড়ে। প্রচণ্ড ভালোবাসি আমরা ওকে। ও সকলের বাধ‍্য মেয়ে। বড় ভাইয়া ওর জন্য দুবার ছেলে দেখেছে ও একবারের জন্য ও মানা করেনি। মন থেকেই মেনেছে। ভেবেছে ভাইয়া ওর ভালো চাই। যা হবে ওর মঙ্গলের জন‍্যই হবে। মেয়েটার নিয়তি ওর সঙ্গে খেলা করেছে। ভালো চাইতে গিয়ে খারাপ করে ফেলেছি। যাইহোক এমনটা আর হবে না। ও নিজের মতো যা করতে চাইবে সাপোর্ট করবো কিন্তু এভাবে লুকিয়ে থাকাটা মানতে কষ্ট হচ্ছে। আমাকে অন্তত বলতে পারতো।

আরাফাত একদমে কথাগুলো বলে থামলো। চারদিকে শুনশান নির্জন পরিবেশ। কেবিনের বাইরে দুজন মানব মানবি বসে আছে। রাস্তায় গেটের কাছে কুকুর ডাকছে। হাসপাতাল বড্ড নিষ্ঠুর জায়গা। জীবনের শেষ বা শুরু এখান থেকেই সূচনা হয়। একদিকে সাদা কাপড়ে ঢেকে কারো লাশ নিয়ে যাওয়া হচ্ছে অন‍্যদিকে অপারেশন থিয়েটারে কোনো সদ‍্য ভূমিষ্ঠ হওয়া শিশুর চিৎকারের আকাশ বাতাস কেঁপে উঠছে। জীবন বুঝি এমনিই। আরাফাত হঠাৎ অরিনকে নিজের পায়ের উপরে ঘুমানোর জন্য টেনে নিলো। হঠাৎ ওর এমন কাজে অরিন চমকে উঠলো। লোকটার কাছাকাছি আসার সুযোগ হয়নি তেমন। আরাফাতের মুখে কোনো ভাবলেশ নেই। শুধু মৃদু কষ্টে বলল,

> একটু ঘুমাও, আমি জেগে আছি। ভেতরে আম্মা আছে অসুবিধা হবে না।

অরিন গুটিসুটি মেরে আরাফাতের পায়ের উপরে মাথা রেখে শুয়ে পড়লো। ওর ডান হাতটা এখনো আরাফাতের হাতের মধ্যে মুষ্টিবদ্ধ। অরিন ছাড়িয়ে নিতে চাইছে না। দরকার কি ছাড়িয়ে নেওয়ার? লোকটা ওর নিজস্ব সম্পত্তি। একান্ত নিজের।

_____________

ঘরময় পায়চারি করছে লতা। মন মেজাজ প্রচণ্ড খারাপ। ইচ্ছা করছে সবকিছু ধ্বংস করে ফেলতে। খুন করা সহজ হলে আজকে অনেকগুলো খুন করে ফেলতো। ফরহাদ একগাদা শপিং করে আলমারিতে লক করে রেখেছে। সেখানে নানারকম জিনিসপত্রের ঠাসাঠাসি। হয়তো হৈমন্তীর জন্য দামি দামি শাড়ি আর জুয়েলারি কিনেছে। কিন্তু সেসব পাওনা তো হৈমন্তীর জন্য না। এগুলো লতার অধিকার। এসব নিয়ে মাথার মধ্যে ঘুরপাক খেতে খেতেই আরেক ঝামেলা হাজির। ফরহাদ জেলে থাকতে কালু নামের এক পাতি বখাটে মস্তানের সঙ্গে লতার গভীর প্রেম হয়। এতোটাই গভীর ছিল যে লতা তখন চোখে কালুকে ছাড়া কাউকে দেখতো না। ফলাফল যা হবার হলো। লতা প্রেগনেন্ট হয়েছে কালুকে জানানোর পরে কিসের ভালোবাসা। কালু লা পাত্তা। শেষমেষ সেই ফরহাদের কাছেই আসতে হলো। সেই কালু এতোদিন পরে ওকে আর বাবলুকে ফিরিয়ে নিতে চাইছে। কতবড় সাহস লোকটার ভেবেই রাগে গা জ্বলছে লতার। যখন চেয়েছিল তখন নিলো না এখন প্রেম দেখাতে আসছে। তাছাড়া তখন অভাবের মধ্যে ছিল। এখন তো আর তেমন কিছুই হচ্ছে না। ফরহাদ ওর সঙ্গে কথাবার্তা না বললেও টাকা পয়সা ঠিকই দিচ্ছে। এমন সুযোগ হেলাই হারানোর মতো বোকা মেয়ে লতা না। কালুর কাছে কিছু নেই। বস্তিতে থাকে। রাতদিন মারামারি কাটাকাটি করে সাতবেলা জেলে থাকে। ওই কুমিরের কাছে গিয়ে মরতে পারবে না। কালু ওকে থ্রেট দিচ্ছে। লতা গেলেই ফরহাদ হৈমন্তীকে ফিরিয়ে আনতে পারে ভেবেই গায়ে কাটা দিচ্ছে। কিভাবে কালুকে বোঝাবে এই কঠিন সমস্যাগুলো বুঝতে পারছে না। একবার কালুর কাছে যাওয়া উচিৎ ভাবলো তবে মন সাড়া দিলো না। লোকটা এক নাম্বারের লম্পট। কিভাবে যে প্রেমটা হয়ে গিয়েছিল কে জানে। বাবলুকে ফেরত দেওয়া যাবে না। সবাই জানে বাবলু ফরহাদের ছেলে। এখন কালু ওকে নিয়ে গেলে ফরহাদের সম্পত্তি হাতছাড়া হয়ে যাবে এটাই বোঝাতে হবে কালুকে। বাইরে ফরহাদ এসেছে। গাড়ির শব্দে ওর ধ‍্যান ভাঙলো। লতা উঁকি দিয়ে দেখলো লোকটা চাবি ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে সিঁড়ি দিয়ে উঠছে। লতা সময় নষ্ট না করে একবারে ফরহাদের সামনে গিয়ে দাঁড়িয়ে পড়লো। হঠাৎ লতার আগমনে ফরহাদের ভ্রু কুচকে গেলো। বিরক্তি নিয়ে পাশ কাটিয়ে যেতে গেলো কিন্তু হলো না। ও এবার মুখ খুলল,

> লোকজন কম পড়েছে যে আমার রাস্তা আটকে দিচ্ছিস? চরিত্রহীন মেয়ে, দিলি তো আমার মেজাজ খারাপ করে?

ফরহাদের ধমক শুনে লতা কাঁদো কাঁদো কন্ঠে বলল,

> আমার সঙ্গে তুইতুকারি করছো কেনো? ভূলে যেওনা একসময় আমি তোমার পরম প্রিয় ছিলাম।

> সেসব মনে করলে আমার মরে যেতে মন চাই। কি জঘন্য ছিলাম আমি। ছি তোর মতো মেয়েকে স্পর্শ করেছি। ইয়াক বমি আসছে

লতা ফুপিয়ে কেঁদে উঠে বলল,

> একসময় তুমি আমার জন্য পাগল ছিলে। তখন হৈমন্তীর জন্য তোমার মনে ঠিক এমনিই ধারণা ছিল। আসলে কি জানো ফরহাদ তুমি কাউকেই ভালোবাসো না। তুমি শুধু নিজেকে ভালোবাসো। নিজের সুখের কথা ভেবে একজনকে ছেড়ে আরেকজনকে আকড়ে ধরতে চাইছো। যাইহোক আমি তোমাকে ছাড়ব না কখনও না।

লতা কথাগুলো বলে চলে গেলো। ফরহাদের মেজাজ খারাপ হলো। ইচ্ছা হলো লতাকে গিয়ে উত্তম মাধ্যম রড দিয়ে পিটাতে কিন্তু হাত নোংরা করতে ইচ্ছা করছে না। হৈমন্তীর খোঁজখবর করছে ফরহাদ। খুব তাড়াতাড় বউ বাচ্চাকে নিজের দখলে নিয়ে নিবে। ভাবলো একবার শুধু খোঁজ পাই।
_______________________________
ল‍্যাপটপে মুখ গুজে বসে আছে আবির। একটা প্রজেক্টের কাজ করছে। রাতদিন সব একাকার অবস্থা। কোনো বিরাম নেই। ফারজানা হক গুটি গুটি পায়ে ছেলের পাশে এসে দাঁড়ালেন। আবির চোখ নিচে রেখেই বলল,

> আম্মো কিছু বলবে?

ফারজানা হক বহু কষ্ট ওষ্ঠে হাসি ফুটিয়ে বলল,

> আরশীকে তোর কেমন লাগে?

আরশী হচ্ছে ফারজানা হকের বোনের মেয়ে। খুব গম্ভীর আর রাগচটা স্বাভাবের জন্য সবাই ওকে এটোম বোম বলে ডাকে। আবির কিছু না ভেবেই বলল,

> এটোম বোমকে আবার কেমন লাগবে? মোটামুটি কিন্তু কেনো?

> গতকাল আসছে মেয়েটা। পড়াশোনা শেষ হয়েছে। তোর খালামনি একটা প্রস্তাব পাঠিয়েছে। আমি ভেবেছিলাম তোকে বলবো না তবুও বলছি। বয়স হচ্ছে বিয়ে সাদি করবি তো?

আবির চট করে মায়ের মুখের দিকে তাঁকালো। এদের মতিগতি বুঝতে ওর অসুবিধা নেই। তাইবলে আরশী কিভাবে কি? আরশী আমেরিকা ছিল। ওর খোঁজখবর রাখা হয়নি আবিরের। তাছাড়া মেয়েটা বড্ড বেশিই অহংকারী। ওসব মেয়েকে বিয়ে করলে জীবন শেষ। আবির মুখটা কঠিন করে বলল,

>দেশে আর মেয়ে ছিল না শেষপর্যন্ত তোমার বোনের মেয়ে? শোনো আম্মু আমি বিয়ে টিয়ে করবো না। আব্বু সুস্থ হলে ভেবে দেখবো এখন আসো। সুখে থাকলে ভূতে কিলোই।

ফারহানা হক কষ্ট পাচ্ছেন। স্বামী সুস্থ থাকলে ছেলেটাকে ধুমধাম করে বিয়ে করাতে পারতেন। আগামীকাল বোন আর বোনের মেয়ে আসছে। কিছুদিন এখানেই থাকবে। ওদের বাসা চট্টগ্রামে। মেয়েটা এখানে কিসের জব করবে তাই এখানে বাসা নিবে। বোনের বাড়ি থাকতে বাইরে থাকা কেমন দেখাই তাই উনি জোরজবরদস্তি করেই নিজের বাড়িতে তুলছেন। তাছাড়া চোখের সামনে ঘুরতে ঘুরতে যদি আবিরের চোখে মেয়েটার জন্য ভালোলাগা তৈরী হয়ে যায় মন্দ হবে না। কিন্তু আদো কি আবিরের নজর অন‍্য কোনো মেয়ের উপরে আছড়ে পড়বে?কি জনি পড়তেও পারে আবার নাও পারে।

_______________

আরাফাত ভিডিও কলে কথা বলছে আমেরিকার এক বন্ধুর সঙ্গে। গতকাল থেকে সেখানে তল্লাশি চলছে। হাসপাতাল থেকে শুরু করে কবরস্থান পযর্ন্ত কিছুই বাদ রেখেনি। সন্দেহজনক বিষয় হচ্ছে মেয়েটা এক বছরের বেশি নিজের একাউন্ট থেকে টাকা উঠাইনি। কিভাবে সম্ভব এটা? আরাফাত ভাবলো, ওকি কোনো কাজকর্ম করছে? ওর একাউন্ট থেকে না টাকা উঠানো হয়েছে, না টাকা জমা হয়েছে। যেমনি ছিল তেমনই আছে। টাকা উঠানো হলে একটা ক্লু পাওয়া যেতো। ওর ইউনিভার্সিটি থেকেও কোনো তথ্য দিচ্ছে না। তবে সেখানে ও একদিনও ক্লাশ করতে যায়নি। পরীক্ষা শেষ হয়েছে দুমাস আগেই। কথাছিল এক বছর থেকে চলে আসবে। ভিসার মেয়াদ বাড়ানো হয়নি। আরাফাত কথা শেষ করে ল‍্যাপটপ নিয়ে বসলো। হৈমন্তীর একাউন্ট চেক করে যখন ল‍্যাপটপ বন্ধ করতে গেলো ঠিক তখনই ওর মেসেঞ্জারে একটা ছবি আসলো।। আরাফাত চেক করে দেখলো এটা দুদিন আগে আমেরিকার থেকে বাংলাদেশে আসার যাত্রীদের লিস্ট। ও মনোযোগ দিয়ে লিস্টটা চেক করতে থাকলো। প্রশ্ন,এখানে কি আদো হৈমন্তীর নামটা পাওয়া যাবে?

চলবে

ভুলত্রুটি মার্জনা করবেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here