শেষ রাত পর্ব-৩০

0
1893

#শেষ_রাত
#পর্বঃ৩০
#সাইয়ারা_হোসাইন_কায়ানাত

‘ধ্রুব ভাইয়ের কি হয়েছে রে অনু? ইদানিং খুব ব্যস্ত থাকে মনে হচ্ছে। এখানেও তো তুলতুলের কাছে বেশি আসে না।’

ভাইয়ার কথায় খানিকক্ষণের জন্য আমি হাত আপনাআপনি থেমে গেল। নিজের অজান্তেই বুক চিড়ে দীর্ঘশ্বাস বেরিয়ে আসলো। নিজেকে যথাসাধ্য সংযত করে আবারও তুলতুলের জামা কাপড় ভাঁজ করে ব্যাগে গুছিয়ে রাখতে লাগলাম। ভাইয়ার প্রশ্নাত্মক চোখ জোড়া এখনও প্রতিত্তোরের আশায় স্থির চেয়ে আছে আমার দিকে। তবে আমি প্রত্যুত্তর করলাম না। তুলতুলের সকল জিনিসপত্র ব্যাগে গুছিয়ে বেডের পাশে রাখলাম। কিছুক্ষণের মধ্যেই তুলতুলকে নিয়ে আবারও বাড়ি ফিরবো। বিষাদ আর একাকিত্বে ঘেরা বাড়িটা আবারও তুলতুলের প্রাণোচ্ছল হাসিতে মুখরিত হয়ে উঠবে। স্বস্থির নিঃশ্বাস ফেলে তুলতুলের ঘুমন্ত মুখের দিকে একনজর চাইলাম। তিনদিন ধরে মেয়েটা হসপিটালের কেবিনে পরে আছে। অথচ ধ্রুবর দেখা পাওয়া যেন দুষ্কর হয়ে উঠেছে এই সময়টায়। উনি এতটা বেখেয়ালি বা ব্যস্ত আগে ছিলেন না। তুলতুলের অসুস্থতার সাথে সাথেই যেন ওনার ব্যস্ত পালা দিয়ে বেড়েছে। সারাদিনে তাকে একবার দেখতে পাওয়া-ই ভীষণ ভাগ্যের ব্যাপার হয়ে গেছে সবার জন্য। ভাইয়া সোফায় বসে ফোন টিপছে। আমি নিঃশব্দে এসে ভাইয়ার পাশে বসলাম। ঠোঁটের কোণে ম্লান হাসির রেখা টেনে নিয়ে সহজ গলায় বললাম-

‘উনি কিছুদিন ধরে অফিসের কাজে একটূ ব্যস্ত তাই তুলতুলের সাথে বেশি সময় কাটাতে পারে না।’

ভাইয়ার ফোনের দিকে দৃষ্টি স্থির রেখেই বলল- ‘সত্যি-ই ব্যস্ত না-কি তুই আবার ওনার সাথে কোনো ঝামেলা টামেলা পাকিয়েছিস!’

ভাইয়া কথাটা বলেই মাথা তুলে আমার দিকে সন্দেহের দৃষ্টি নিক্ষেপ করলো। আমি কিছুটা সময় চুপ থেকে ঝাঁঝালো কণ্ঠে বললাম-

‘তোর কি মনে আমি সব সময় শুধু ঝামেলা-ই পাকাই!’

‘ধ্রুব ভাইয়ের মতো ভালো আর শান্তশিষ্ট স্বভাবের মানুষ কখনও ঝগড়াঝাটি করবে বলে মনে হয় না। আর তুই হলি পেত্নি। পেত্নিরা সবার সাথে ঝামেলা করে বেড়াবে এটাই তার আসল কাজ।’

আমি জ্বলন্ত চোখে ভাইয়ার দিকে চাইতেই ভাইয়া জোরপূর্বক দাঁত বের করে হাসলো। সোফা থেকে উঠে ফোন পকেটে রাখতে রাখতে ব্যস্ত ভঙ্গিতে বলল-

‘বিকেল হয়ে গেছে চল এখন তোকে তোর শ্বশুর বাসায় দিয়ে আসি। বাকি সত্য কথা অন্য আরেকদিন বলবো।’

আমি ভ্রু কুচকে তিক্ত গলায় বললাম- ‘এসব তোর সত্য কথা!’

ভাইয়া কিছুই বললো না। আমার দিকে চেয়ে দাঁত কেলিয়ে হাসলো। আমাকে রাগানোর মিশন কমপ্লিট হয়েছে তার।
ভাইয়া ঘুমন্ত তুলতুলকে খুব সাবধানে কোলে নিয়ে অন্য হাতে ব্যাগ তুলে নিলো। আমি দ্রুত পায়ে ভাইয়ার কাছে এসে বললাম-

‘ব্যাগটা আমার কাছে দে। তুই তুলতুল আর ব্যাগ একসাথে নিতে পারবি না।’

‘তোর এত পাকনামি করতে হবে না। আমার যথেষ্ট শক্তি আছে। আমি তোর মতো বাতাসের সাথে উড়ে বেড়াই না। যা সর।’

ভাইয়া আর এক মুহুর্ত দেরি না করে কেবিন থেকে বেরিয়ে গেল। আমি একমনে তাকিয়ে রইলাম ভাইয়ার যাওয়ার পানে। চোখের সামনে ভাসছে ভাইয়ার কাঁধে চড়ে ঘুরেবেড়ানোর স্মৃতিগুলো। বেশিদিন তো না এইতো সেদিনের-ই তো কথা। এই রুম থেকে ওই রুমে যেতেই ভাইয়ার কাঁধে চড়ে যেতে হয়েছে। আমার চেয়েও বেশি ভাইয়া আনন্দ পেতো আমাকে তার কাঁধে চড়িয়ে। আর এখন আমার সেই জায়গাটা আমার মেয়ে পেয়েছে। চোখের সামনেই যেন আবারও আমার ছোটবেলা দেখতে পাচ্ছি। ভাইয়া কর্কশ গলায় আমাকে ডাকলো। আমি ভাবনার জগৎ থেকে বেরিয়ে এলাম। মুচকি হেসে ভাইয়ার পিছু পিছু হাঁটা শুরু করলাম।

বৃষ্টিস্নাত বিকেল। ঘন্টা খানেক হলো বৃষ্টি থেমে প্রকৃতি শান্ত হয়েছে। মেঘহীন ঝকঝকে পরিষ্কার আকাশ। ঝিরিঝিরি হিম শীতল বাতাস বইছে চারপাশে। কোলাহলপূর্ণ শহরটাতে ঝুপ করেই নিরবতা নেমে গেল। বৃষ্টি ভেজা পিচঢালা রাস্তার পাড় দিয়ে নিঃশব্দে হাঁটছে লাজুক প্রেমিকা আর তার পাশেই মুগ্ধ নয়নের প্রেমিক পুরুষ। বৃষ্টির স্নিগ্ধতায় মেতে উঠেছে প্রেমিক প্রেমিকার মন। আমি মুগ্ধ হয়ে গাড়ির জানালা দিয়ে বাহিরের দৃশ্য দেখছি। রাস্তায় জমে থাকা পানিতে গাঁ ভিজিয়ে পথশিশুরা খেলছে। কি সুন্দর প্রাণখোলা তাদের হাসি৷ এই হাসিতে নেই কোনো চিন্তা কিংবা বিষাদের ছোঁয়া। সব কিছুর মাঝে আচমকাই আমার দৃষ্টি আটকে গেল দুটো মানুষের দিকে। রাস্তার পাশে ফুটপাত দিয়ে পাশাপাশি হাঁটছে দু’জন। লাল জামা পড়া খোলা চুলের মেয়েটা এক নজরে তাকিয়ে আছে তার পাশে হাঁটতে থাকা মানুষটার দিকে। খুব মনোযোগ দিয়েই শুনছে মানুষটার কথা। ক্ষনিকের জন্য নিজের চোখদুটোকে অবিশ্বাস করতে ইচ্ছে হলো এই মুহুর্তে। ঝট করেই আমি চোখ বন্ধ করে ফেললাম। আবারও পূর্নাঙ্গ দৃষ্টিতে সেদিকে তাকিয়ে দেখতে চাইলাম মানুষটাকে। তবে তা আর সম্ভব হলো না। ঘুমন্ত তুলতুলের তোয়াক্কা না করেই গাড়ির স্পিড আগের চেয়েও বাড়তে লাগল। আচমকাই ভাইয়া হড়বড়িয়ে বলে উঠলো-

‘অনু শোন না তোকে তো একটা কথা বলতে ভুলেই গেছি। মনে আছে একটা মেয়ে দেখতে গিয়েছিলাম! তারা তো বিয়ের কথা ফাইনাল করতে চাচ্ছে৷ তোর কি মনে হয় আমার এখন বিয়ে করা উচিত? কয়েকমাস হলো আব্বুর ব্যবসায় মন দিয়েছ। এখনই সবাই বিয়ের জন্য উঠে পরে লেগেছে। খুব জলদি হয়ে যাচ্ছে না! কিরে কথা বলছিস না কেন? তোকে কিছু বলছি আমি। আমাকে একটু সাহায্য কর।’

হঠাৎ করেই ভাইয়ার এমন ব্যবহারে আমি কিছুটা বিস্মিত হলাম। মাথাটা এলোমেলো লাগছে। আমি কি সত্যিই দেখলাম না-কি আমার মনের ভুল ছিল! মানুষটা কি সত্যিই এখানে ছিল! আমি আর বেশিক্ষণ এসব নিয়ে চিন্তাভাবনা করতে পারলাম না। ভাইয়ার উদ্ভট আচরণ আর একনাগাড়ে কথা বলায় অতিষ্ঠ হয়ে গেলাম। তুলতুলও এবার নেড়েচেড়ে উঠলো। আমি বিরক্ত হয়ে চাপা কন্ঠে বললাম-

‘ভাইয়া! তোর বকবক বন্ধ কর তো। আর গাড়ির স্পিড কমা। তুলতুল ঘুমাচ্ছে দেখছিস না! আর বিয়ে নিয়ে তোর এত মাথা ঘামাতে হবে না। আব্বু আম্মু যা সিদ্ধান্ত নিবে তোর সেটাই মানতে ব্যস।’

ভাইয়া গাড়ির স্পিড কমিয়ে আমতা আমতা করে বলল- ‘আমি তো তোর মতামত চাচ্ছিলাম।’

‘এখন মন দিয়ে গাড়ি চালা এসব নিয়ে বাসায় যেয়ে কথা বলবো।’

ভাইয়া আর কথা বাড়ালো না। চুপ থেকেই পাড় করলো সারা পথ। কেমন যেন চিন্তিত লাগছে ভাইয়াকে। বাসায় এসে তুলতুলে কোলে নিয়ে নির্বিকার ভঙ্গিতে আমার রুমে চলে আসলো। মনি মা সাথেও কেমন নির্লিপ্ত ভাবেই কথা বলল।

‘অনু একটু এদিকে আয়। আমার পাশে বস।’

আমি তুলতুলের গায়ে কাঁথা জড়িয়ে দিয়ে ভাইয়ার দিকে চাইলাম। বিছানার এক কোনে পা ঝুলিয়ে বসেছে। দারুণ আগ্রহ নিয়ে তাকিয়ে আছে আমার দিকে। আমি ভাইয়ার পাশে এসে বসলাম। বিস্ময় নিয়ে জিজ্ঞেস করলাম,

‘কিছু বলবি?’

ভাইয়া কিছু বলল না। মাথা নিচু করে চুপচাপ দু’হাত এক করে বসে রইলো। খানিকক্ষণ ইতস্তত করে আমার হাত আলতো করে ধরলো। নিজের দু’হাতের মুঠোয় আমার বা হাত আগলে নেয়। নির্লিপ্ত দৃষ্টিতে একমনে তাকিয়ে আছে আমার দিকে। আমার ভ্রু জোড়া কুচকে এলো। ভীষণ কৌতূহল নিয়ে দেখছি ভাইয়াকে। এর আগে কখনও ভাইয়া এমন ব্যবহার করে নি। আমার সাথে কথা বলতে তার এতো জড়তা কাজ করেনি। তাহলে আজ কেন এমন করছে?

‘অনু আমি জানি তোর বিয়েটা অন্য সব বিয়ের মতো স্বাভাবিক না। তুই একমাত্র তুলতুলের জন্যই এই বিয়েতে রাজি হয়েছিস। অনেক কিছু বিসর্জন দিয়েছিস এই সম্পর্কের জন্য। এই ক’দিন তোর পাগলামো দেখেই আমি বুঝেছি তোর জন্য এই পরিবার কতটা গুরুত্বপূর্ণ। আসলে এই পরিবারের প্রতিটা মানুষই ভালোবাসা পাওয়ার যোগ্য। ওনারা সবাই খুব ভালো সেটা আমরা ছোট থেকেই জানি। তোকেও খুব ভালোবাসে সবাই৷ বিশেষ করে মনি আন্টি। ওনার মতো ভালো মানুষ পাওয়া মুশকিল। আর..’

ভাইয়াকে মাথ পথে থামিয়ে দিয়ে আমি বললাম-

‘আর তোর ধ্রুব ভাইও খুব ভালো। কিছুক্ষণ আগেই হসপিটালে ওনার প্রসংশা করলি। আমার সব মনে আছে৷ তাই এখন আবার শুরু করিছ না। আমি জানি সবাই ভালো। এখন আসল কথায় আয়। বল কি বলবি!’

ভাইয়া আমার হাত আরও শক্ত করে চেপে ধরলো। চোখমুখে গাম্ভীর্যতা এনে ভারী কন্ঠে বলল-

‘আমার কাছে সবার উপরে তুই। তোকে কেউ কষ্ট দিলে আমি তাকে কখনোই ছাড়বো না। সেটা আমার ভালো ধ্রুব ভাই হোক বা অন্য কেউ। এখন থেকে একটা কথা মাথায় ডুকিয়ে রাখ। তোর কোনো দরকার বা কোনো ঝামেলা হলে তুই আমাকে অবশ্যই জানাবি। আমি জানি তোর ধৈর্য্য শক্তি অনেক। তুই চাপা স্বভাবের মেয়ে। তবে আমার কাছে কোনো কিছু লুকানোর চেষ্টা করিস না। মনে রাখিস তোর পাশে কেউ না থাকলেও আমি সব সময় থাকবো।’

আমি হতভম্ব হয়ে গেলাম ভাইয়ার কথা শুনে। আমার আর বুঝতে কষ্ট হলো না ভাইয়া রাস্তায় ধ্রুবর সাথে মেয়েটাকে দেখে ফেলেছে৷ আমি নিজের হতভম্ব ভাব কাটিয়ে যথাসম্ভব স্বাভাবিক হওয়ার চেষ্টা করলাম। মৃদু হেসে বললাম-

‘তুই হয়তো কোনো কিছু নিয়ে ভুল বুঝছিস ভাইয়া। কেউ আমাকে কষ্ট দিবে না৷ শুধু শুধু চিন্তা করিস না তো।’

‘হ্যাঁ আমিই যেন ভুল হই। সব কিছু ভুল হয়ে যাক শুধু তুই হ্যাপি থাকলেই হবে।’

রাত নয়টায় বাসায় ফিরলেন ধ্রুব। তুলতুলকে দেখেই খুশিতে আত্মহারা হয়ে গেলেন তিনি। মেয়েকে কোলে নিয়ে বেশ কিছুক্ষন সময় আদর করার পর শান্ত হয়ে বসলেন। তবে তুলতুল তার পাপার গলা জড়িয়ে ধরে থাকলো আগের মতোই। আমি দূর থেকে তাদের দু’জনকে দেখলাম। তাদের দেখে মনে হলো কত বছর তুলতুল বাসায় এসেছে। বাচ্চা মেয়েটাও অসুস্থতা থেকে বেরিয়ে একটু বেশিই চঞ্চলতা দেখাচ্ছে। আমি এগিয়ে গেলাম তাদের কাছে। ধ্রুবর দিকে চেয়ে ক্ষীন স্বরে বললাম-

‘কিছুদিন ধরে আব্বুর সাথে আসেন না যে কোনো কিছু হয়েছে!’

ধ্রুব তুলতুলকে বিছানায় বসিয়ে গালে চুমু দিয়ে ভ্রুক্ষেপহীন গলায় বললেন-

‘আমার কাজ থাকে তাই আমি অফিসেই থেকে যাই৷ তুলতুলকে কখন নিয়ে এসেছেন হসপিটাল থেকে? আমি তো কিছুই জানি না।

‘আপনার হয়তো খেয়াল নেই তবে আপনাকে জানানো হয়েছিল। আর বিকেলেই ভাইয়া নিয়ে এসেছে। আপনার কথাও জিজ্ঞেস করেছিল। তুলতুলের সাথে দেখা করতে যাননি তাই।’

আমার কথায় ধ্রুবর মুখশ্রীতে পরিবর্তন হলো। ঠোঁটের কোণে ঝুলে থাকা হাসি মিলিয়ে গেল ধীরে ধীরে। অনুভূতিহীন হয়ে কিছুটা সময় চুপ থেকে বললেন-

‘অফিসে কাজের চাপ বেশি তাই যেতে পারিনি।’

আমি বাকরুদ্ধ হয়ে গেলাম। ধ্রুব জঘন্যতম একটা কাজ করলেন। মিথ্যা বললেন তিনি। যে জিনিসটা আমি সব চেয়ে বেশি ঘৃণা করি ধ্রুব সেইটাই করলেন। আমাকে মিথ্যা অযুহাত দেখাচ্ছেন! আমি তো দেখেছি তিনি অফিসে ছিলেন না। আর আব্বুও তো বলেছেন অফিসে কাজের তেমন চাপ নেই। তাহলে কেন তিনি মিথ্যা কথা বলছেন আমাকে? আর ওই মেয়েটা!

‘তুলতুলের আম্মু? কোথায় হারিয়ে গেলেন! আপনাকে একটা কথা বলার ছিল।’

আমি ধ্রুবর দিকে চাইলাম। ক্ষীণ স্বরে বললাম- ‘জ্বি বলুন।’

ধ্রুব হাসলেন। আমার দিকে খানিকটা এগিয়ে এসে ফিসফিস করে বললেন-

‘আমি আপনাকে ভালোবাসি। আর আপনিও আমাকে ভালোবাসেন।’

আমি নির্লিপ্ত দৃষ্টিতে ধ্রুবর দিকে তাকিয়ে রইলাম। আজ আর কিছু বললাম না৷ কিছু বলতে ইচ্ছে করলো না। বার বার মনে হচ্ছে তার মিথ্যা কথা আর রাস্তায় মেয়ের পাশে হাঁটার সেই দৃশ্যটা। কে ওই মেয়েটা যার কারণে উনি আমাদের সবাইকে মিথ্যা কথা বলছেন? আমার কি ওনাকে জিজ্ঞেস করা উচিত? কিন্তু কোথাও যেন একটা বাঁধা কাজ করছে।
আচমকাই তুলতুল অস্পষ্ট উচ্চারণে বলল- ‘ভালোবাসি’

পর পর কয়েকবার তুলতুল এই শব্দটা-ই উচ্চারণ করলো। ধ্রুব হেসে ফেলল শব্দ করে। আমি ব্যস্ত ভঙ্গিতে তুলতুলকে কোলে নিয়ে রুম থেকে বেরিয়ে এলাম। এখনও ধ্রুবর আকর্ষণ কাড়া হাসির তীক্ষ্ণ শব্দ তীরের মতো কানে এসে বাজছে।

চলবে….

[আমার ব্যস্ততা আর মাথা ব্যথায় গল্পটা খাপছাড়া হয়ে যাচ্ছে। অনিয়ম হচ্ছে ভীষণ। আপনাদেরও হয়তো বিরক্ত লাগছে আর আগ্রহ কমে যাচ্ছে। তাই আমি চেষ্টা করবো গল্পটা তাড়াতাড়ি শেষ করে দিতে৷ দুঃখিত সবাইকে অপেক্ষায় রাখানোর জন্য। ধন্যবাদ আর ভালোবাসা।❤️]

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here