#শেষ_রাত
#পর্বঃ৩২
#সাইয়ারা_হোসাইন_কায়ানাত
‘তুমি এখানে কি করছো লিনা?’
ধ্রুব সপ্রশ্ন দৃষ্টিতে লিনা নামের মেয়েটার দিকে প্রত্যুত্তরের আশায় চেয়ে থাকলেন। মেয়েটার ঠোঁটের কোণে এক চিলতে হাসি দেখা দিলো। পরক্ষণেই সেই হাসি ছড়িয়ে পরলো সারা মুখ জুড়ে৷ মেয়েটার হাসিতে তার চোখদুটোও হেসে ফেলল। ইশ, কি সুন্দর হাসি! তবুও মনে হচ্ছে এই হাসিতে প্রাণ নেই। কেমন যেন প্রাণহীন হাসি মনে হচ্ছে। মুখ হাসলো। ঠোঁট হাসলো। তার চোখদুটোও হাসলো তবে তার মন থেকে যেন হাসি আসলো না। ধ্রুবর প্রশ্নে মেয়েটা বেশ নম্রতা সহকারে জবাব দিলো,
‘ফ্রেন্ডের বিয়ে তাই মার্কেট করতে এসেছিলাম।’
মেয়েটা থামলো। সচেতন চোখে আমার দিকে চাইলো একবার। চোখের মনিজোড়া তীক্ষ্ণ হলো। চোখদুটোতে ঝলঝল করে জ্বলে উঠলো কৌতূহলের তারা। ঘাড় বাঁকিয়ে ধ্রুবর দিকে চেয়ে কৌতুহলী হয়ে আবারও প্রশ্ন করল-
‘এটা-ই কি তুলতুলের আম্মু?’
ধ্রুব মৃদু হাসলেন। আমার দিকে চেয়ে চোখেমুখে লাজুক ভাব এনে মাথা দুলালেন। আমি তাকিয়ে আছি মেয়েটার দিকে। ধ্রুবর জবাবে মেয়েটার ভাবভঙ্গি বোঝার চেষ্টা করলাম। তবে আমি ব্যর্থ হলাম মেয়েটার মনের ভাব বুঝতে। কিছুক্ষণ চুপ থেকে খুব স্বাভাবিক ভঙ্গিতেই মেয়েটা ফের প্রশ্ন করলো,
‘তোমরা ঘুরতে বেরিয়েছিলে বুঝি?’
‘নাহ, শাকিল মানে অনন্যর ভাইয়ের বিয়ে তাই সবার সাথে মার্কেট করতে এসেছি।’
ধ্রুবর প্রতিত্তোরে মেয়েটা মলিন মুখে বলল-
‘অহহ, আন্টিও এসেছে!’
‘হ্যাঁ এসেছে। এখন বোধহয় অন্য কোথাও শাকিলের বউয়ের জন্য বিয়ের কেনাকাটা করছে।’
ধ্রুবর কথা শেষ হতেই আব্বু আমাদের কাছে আসলেন। লিনার দিকে খানিক্ষন ভ্রু কুচকে তাকিয়ে থেকে উৎকন্ঠিত হয়ে জিজ্ঞেস করলেন-
‘তুমি নিপার বড় মেয়ে এনি না?’
‘নাহ নাহ আংকেল আমি লিনা। এনি বড় আপুর নাম।’
লিনা বেশ অস্বস্তি নিয়ে কথাটুকু বলেই চুপ করে গেল। মাথা নিচু করে মেঝেতে তার দৃষ্টি স্থির করলো। অস্বস্তিতে মিইয়ে যাওয়া তার চোখ দুটো প্রাণপণে গোপন করার চেষ্টা করছে। বিনাকারণেই মেয়েটার এমন অস্বস্তি বোধ করা ঠিক স্বাভাবিক মনে হলো না আমার কাছে। কিছু একটা বিষয় তো আছেই যা মেয়েটার অস্বস্তির আর তার দৃষ্টি লুকানোর কারণ।
নিজের ভুল বুঝতে পেরে আব্বু অপ্রস্তুত ভঙ্গিতে হাসলেন। ভুল শুধরে নেওয়ার জন্য ইতস্তত করে বললেন-
‘অহহ, বড় হয়ে গেছো তাই চিনতে পারিনি। তাছাড়া তোমাদের চেহারা একই রকম দেখা যায়। যাইহোক কখন আসলে? মনির সাথে দেখা হয়েছে?’
‘আন্টির সাথে অন্যদিন দেখা করবো। এখন আমাকে যেতে হবে। ধ্রুব আমার সাথে একটু আসো তো জরুরি কাজ আছে।’
লিনা হড়বড়িয়ে কথা গুলো বলেই পেছন ফিরে হাঁটা শুরু করলো। ধ্রুব স্তম্ভিত হয়ে কয়েক সেকেন্ড লিনার দিকে তাকিয়ে রইলেন। পরক্ষনেই নিজেকে স্বাভাবিক করে তুলে হাল্কা হেসে বললেন-
‘তোমরা মার্কেট করো আমি আসছি।’
আমার কিংবা আব্বুর প্রতিত্তোরের অপেক্ষা না করেই ধ্রুব লিনার পেছন পেছন চলে গেলেন। আমি নির্লিপ্ত দৃষ্টিতে ঠিক আগের মতোই চেয়ে রইলাম। মুখ দিয়ে টু শব্দটিও বের করলাম না। লিনা আর ধ্রুবর এমন ব্যবহারে আব্বু নিজেও যেন হতভম্ব হয়ে গেলেন।
‘তুই লিনাকে চিনিস?’
আব্বুর প্রশ্নে আমি ডানে বায়ে মাথা নাড়লাম। যার অর্থ আমি চিনি না। আব্বু চোখেমুখে চরম বিরক্তি ভাব নিয়ে এসে বাজখাঁই গলায় বললেন-
‘কেমন গাঁধা ছেলে জন্ম দিয়েছে তোর মনি মা আমি বুঝি না। কই মেয়েটাকে তোর সাথে একটু পরিচয় করিয়ে দিবে এইটুকু বুদ্ধিও এই ছেলের মাথায় নেই। গাঁধা কোথাকার।’
আব্বুর কথায় আমি ম্লান হাসলাম। যদিও হাসিটা শুধু মাত্র আব্বুকে দেখানোর জন্যই। আব্বু হতাশ নিঃশ্বাস ফেলে বললেন-
‘লিনা হলো নিপার মেয়ে। বিয়েতে যে এসেছিল ধ্রুব খালা নিপা। মনে আছে? ওই যে কুটনী টাইপের মহিলাটা যে ছিল ওঁরই ছোট মেয়ে। যাইহোক এদের কথা বাদ দিয়ে এখন কি কেনার বাকি আছে কিনে নে। বাকিদেরও খুঁজতে হবে আবার।’
কুটনী টাইপের মহিলা!! আব্বুর কথা শুনেই আমি হেসে ফেললাম। তবে হাসিটা বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারলাম না। অজানা কারনে মুহুর্তেই সেই হাসি ঠোঁটে মিলিয়ে গেল। আব্বুর দিকে চেয়ে মাথা ঝাঁকিয়ে আবারও শাড়ি দেখতে লাগলাম। একটার পর একটা শাড়ি উলটে পালটে দেখছি তবে কোনটাই ভালো লাগছে। মন বসছে না কিছুতেই। আচমকাই যেন ফুরফুরে মেজাজটা ভীষণ বাজে ভাবেই বিগড়ে গেল। ধ্রুবর এভাবে চলে যাওয়াতে বিষন্নতায় আঁধার হয়ে এলো মন। সব কিছুতেই বিষাদের ছায়া। পুরো পৃথিবীটা-ই যেন এলোমেলো লাগছে।
‘কিরে মা, কিছু পছন্দ হচ্ছে না?’
আব্বুর কন্ঠ শুনে আমি আব্বুর দিকে চেয়ে উদাসীন ভঙ্গিতে দু’দিকে মাথা নাড়লাম। আব্বু মুখ গম্ভীর করে আমার পাশের টেবিলে বসে শাড়ি দেখতে লাগলেন। মিনিট খানেক পেরুতেই কালোর মাঝে লাল সুতোর কাজ করা একটা শাড়ি নিয়ে বললেন-
‘এই নে এটায় তোকে দারুণ মানাবে।’
আমি সরু চোখে শাড়িটার দিকে একমনে তাকিয়ে রইলাম। বাপ ছেলে দেখতে যেমন একই রকম তেমনি তাদের পছন্দও এক রকম। তবুও একথা তারা মানতে রাজি না। আব্বু গলা পরিষ্কার করে ভারী কন্ঠে বললেন-
‘কি! আমার পছন্দের উপর বিশ্বাস হচ্ছে না? তাহলে শুনে রাখ আমি-ই কিন্তু তোর মনি মা আর মোহনার জন্য সব সময় মার্কেট করি। মোহনা শাড়ি কিনলে সব সময় আমাকে সাথে নিয়ে যেতো। আমার মতো না-কি অন্য কেউ শাড়ি পছন্দ করে দিতে পারে না। মোহনা তো নেই তাই এখন আর কেউ বায়না করে না মার্কেটে নিয়ে যাওয়ার জন্য।’
শেষ কথাটুকু বলতে গিয়ে আব্বুর গলারস্বর ধরে এলো। মেয়ে হারানোর কষ্ট মনে পরতেই চোখদুটো চিকচিক করে উঠলো। দৃষ্টি ফিরিয়ে নিলো অন্যদিকে। পুরুষদের কাঁদতে হয় না। নিজের কষ্ট প্রকাশ করতে হয় না। এটাই হয়তো নিয়ম। আর এই নিয়ম মানতেই আব্বু নিজেকে সামলে নেওয়ার যথাসাধ্য চেষ্টা করছে। সন্তান হারানোর কষ্ট বুকে চাপা দিয়ে নিজেকে স্বাভাবিক রাখতে চাইছে। আমি দীর্ঘশ্বাস ফেললাম। পরক্ষণেই ঠোঁটের কোণে হাসি ঝুলিয়ে নিয়ে মুগ্ধ গলায় বললাম-
‘কে বলল পছন্দ হয়নি! আমি তো ভাবছিলাম তুমি এত তাড়াতাড়ি এমন সুন্দর একটা শাড়ি কিভাবে পছন্দ করলে। আর মনে মনে তোমাকে নিয়েই প্রতিবার মার্কেটে আসার চিন্তাভাবনা করছিলাম। তুমি থাকলে শাড়ি খুঁজতে খুঁজতে আমার মাথা আর এলোমেলো করতে হবে না।’
আব্বু হাসলেন। সহজ সরল হাসি। এই মানুষটার প্রতি আমি ছোট থেকেই ভীষণ রকম দূর্বল ছিলাম। ছোট বেলা ওনাকে দেখলেই রহিম আংকেল, রহিম আংকেল বলে গলা জড়িয়ে ধরে থাকতাম। অন্য কারও সাধ্য ছিল না ওনার থেকে আমাকে ছাড়িয়ে নিতে। একটা সময় এসে দেখা গেল এই প্রিয় মানুষ গুলোর সাথেও দূরত্ব তৈরি হয়েছে। সেই দূরত্ব মুছে এত গুলো বছর পর অপ্রত্যাশিত ভাবে আবারও খুব গাঢ় সম্পর্ক হলো। আগের থেকেও মজবুত হয়েছে এবারের সম্পর্ক।
———————
বিকেল গড়িয়ে রাত হলো। সূর্য ডুবে চাঁদের আলোয় ঝলমলিয়ে উঠলো চারদিক। দেয়াল ঘড়িটা শব্দ তুলে এগিয়ে চলছে তার নির্দিষ্ট গতিতে। সময় গড়িয়েছে অনেকটা অথচ ধ্রুব এখনও বাসায় ফেরেনি। চাঁদের আলো আজ পৃথিবীকে মুগ্ধ করতে পারেনি। আর না পারছে সব সময়ের মতো আমার মনকে মুগ্ধ করতে। ধ্রুবকে ছাড়া চাঁদের আলোও আজ ফ্যাকাসে মনে হচ্ছে। মনের কোণে জমতে থাকা বিষাদের ছায়ায় পুরো পৃথিবীটা-ই নিস্তব্ধতার চাদরে মুড়ে গেল। ভয়াবহ নিরবতার নিচে চাপা পরল এই শহর। যেদিকে দৃষ্টি যায় সেদিকেই শুধু বিষন্নতা, উদাসীনতা আর দীর্ঘশ্বাস। এই দীর্ঘশ্বাসের কি মানে! ধ্রুবহীন কিছুটা সময় কেন এত উদাসীন লাগছে? ধ্রুবহীন আকাশের তারা গুলোও কেন আজ আলোহীন? মন খারাপের অসুখ হয়েছে আমার! তবে কি ভালোবেসে নিজেকে দূর্বলতাকে প্রশ্রয় দিলাম? আত্মসমর্পণ করলাম ধ্রুবর কাছে! নিজের সুখ, দুঃখ, হাসি, কান্না সব কিছুই তুলে দিলাম ধ্রুবর হাতে। কোনো কিছুতেই এখন আর আমার নিয়ন্ত্রণে নেই। সব কিছুতেই এখন ধ্রুবর নিয়ন্ত্রণ। ধ্রুব চাইলেই আমাকে ভেঙে গুড়িয়ে দিতে পারে একমুহূর্তেই। আমাকে ভেঙে গুড়িয়ে দেওয়ার অস্ত্র আমি তার হাতে তুলে দিয়েছি। ধ্রুব কাছে থাকলে আমার সব কিছুই তখন রঙিন হয়। ধ্রুব হাসলে আমি হাসি। ধ্রুব দূরে গেলেই ভীষণ রকম মন খারাপে হাহাকার করে ওঠে ভেতরটা। ভালো লাগারা তখন গাপটি মে’রে বসে থাকে মনের এক কোণে। ধ্রুবকে নিজের থেকে দূরে কিংবা অন্য-কোনো মেয়ের সঙ্গে কল্পনা করাই নিজের জন্য ভয়াবহ ধ্বংসের মনে হয়।
কলিংবেল বেজে উঠল। বারান্দায় থেকে বেরিয়ে এলাম ড্রয়িংরুমে। দরজা খুলতেই ধ্রুবর ক্লান্ত মুখখানা আমার দৃষ্টি কেড়ে নিল। ধ্রুব তাকিয়ে থাকলেন আমার দিকে কিছুক্ষন। আমি সরে দাঁড়াতেই ক্লান্ত ভঙ্গিতে ভেতরে চলে এলেন। রুমে এসে ধ্রুব অলস ভঙ্গিতে বিছানায় বসলেন। ঘাড় ঘুরিয়ে পুরো রুমে নজর বুলিয়ে নিলেন একবার। তুলতুলকে রুমে না দেখে ক্ষীণ গলায় প্রশ্ন করলেন-
‘তুলতুল ঘুমিয়ে পরেছে?’
আমি টেবিল থেকে পানির গ্লাস নিয়ে ওনার দিকে বাড়িয়ে দিয়ে শান্ত গলায় বললাম-
‘হ্যাঁ মনি মা’র কাছেই ঘুমিয়ে পরেছে। আপনি ফ্রেশ হয়ে আসুন আমি টেবিলে খাবার দিচ্ছি।’
ধ্রুব আমার হাত থেকে গ্লাস নিয়ে গটগট করে গ্লাসের সব পানি শেষ করতে লাগলেন। স্থির দৃষ্টিতে খানিকক্ষণ ধ্রুবর দিকে চেয়ে থেকে আমি রুম বেরিয়ে রান্নাঘরের উদ্দেশ্যে পা বাড়ালাম।
‘বারান্দায় চলে এলেন যে! ঘুমাবেন না?’
ধ্রুবর উপস্থিতে ঘাড় বাঁকিয়ে একঝলক তার দিকে তাকিয়ে আবারও দৃষ্টি দিলাম অদূর আকাশে। গোলাকার ঝলমলে চাঁদটা কৃষ্ণবর্ণের মেঘের আড়ালে লুকিয়ে গেছে। ঠোঁট হাল্কা প্রসারিত করে মিহি কন্ঠে বললাম-
‘আপনি ঘুমিয়ে পরুন। আমি কিছুক্ষণ পর ঘুমাবো।’
ধ্রুব কিছু বললেন না। আগের মতোই আমার পাশে রেলিঙের উপর হাত রেখে দাঁড়িয়ে আছেন। তার দৃষ্টি এখনও আমার দিকেই তা বুঝতে আমার মোটেও অসুবিধে হচ্ছে না। আর অন্য সময়ের মতো তার চাহনিতে অস্বস্তিও লাগছে না।
তিনি খানিক্ষন নিশ্চুপ থেকে গাঢ় স্বরে প্রশ্ন ছুঁড়ে দিলেন আমার দিকে।
‘আপনি কি আমাকে কিছু বলবেন তুলতুলের আম্মু? মানে আপনার কি কিছু জিজ্ঞেস করার আছে?’
ধ্রুবর প্রশ্নের জবাবে আমি অত্যন্ত স্বাভাবিক ভঙ্গিতে বললাম-
‘নাহ তো। কিছু বলার থাকলে তো বলতাম-ই।’
আমার কথায় ধ্রুব সন্তুষ্ট হলেন না। দীর্ঘশ্বাস ছাড়লেন। হতাশ গলায় বললেন-
‘আপনার কিছু বলার না থাকলেও আমার অনেক কিছুই বলার আছে।’
‘হুম বলুন আমি শুনছি।’
ধ্রুব আমার দিকে ফিরে ঘুড়ে দাঁড়ালেন। অপরাধীর ন্যায় মাথা নিচু করে নিম্ন স্বরে বললেন-
‘আসলে আমি আপনাকে কিছু মিথ্যা কথা বলেছি। আর সেটা লিনার জন্য বলতে হয়েছে।’
‘মিথ্যা কথা বলেছেন! তার জন্য যথেষ্ট কারণ হয়তো আপনার কাছে আছে। আর সেই কারণটা-ই হয়তো আমার কাছে ব্যাখ্যা করতে চাচ্ছেন!’
ধ্রুব মাথা তুলে আমার দিকে অবাক চোখে তাকালেন। নিজেকে স্বাভাবিক করে নিয়ে বললেন-
‘লিনার সম্পর্কে জেনেছেন নিশ্চয়ই! আম্মুর ফুপাতো বোনের মেয়ে। একটা ছেলের সাথে ওর সম্পর্ক ছিল। দু’বছর আগে সকলের অমতে পালিয়ে গিয়ে বিয়েও করে তারা দুজন।’
ধ্রুবকে থামিয়ে দিয়ে আমি নির্লিপ্ত কন্ঠে বললাম-
‘মিথ্যে বলার সাথে এসবের কি সম্পর্ক!’
চলবে…