#শেহজাদী
Part–20
Arishan_Nur (ছদ্মনাম)
–এই খবরদার আমাকে কানি বলবেন না! চশমা পড়লেই কেউ কানি হয় না।
ইমানের চোখে-মুখে বিরক্তির ছাপ। মহা ঝামেলা তো! বাসের কন্ট্রাক্টর কিভাবে তাদের ফেলে যায়! অযোগ্য কন্ট্রাক্টর কোথাকার! সামনে খালি একবার পাক, ব্যাটার কানের নিচ লাল করে দিতে হবে। এখন কি করবে তারা? এইসব মহা গুরুত্বপূর্ণ চিন্তার মাঝে মিরার উপরোক্ত কথাগুলো কানে বাজলো তার৷
সে মিরার দিকে লক্ষ করলো। সত্যি বলতে মিরাকে দেখতে কেমন একটু অন্যরকম দেখাচ্ছে। সবসময় চশমা পড়তে দেখে দেখে অভ্যস্ত হওয়ার সুবাদে এখন চশমাহীন মিরাকে অচেনা লাগছে।
ইমান বলে, আমার প্রতি কৃতজ্ঞ হও! আমি না থাকলে ভুল বাসে উঠে ঘুম দিতা। কোথায় কৃতজ্ঞতাস্বরুপ লম্বা একটা ধন্যবাদ দিবে তা না! আমার সঙ্গে তর্কে জড়াচ্ছো? ফাযিল মেয়ে!
মিরা এতোক্ষণ তার থেকে একটু দূরে দাঁড়িয়ে ছিল। তার কথা শুনে সে এগিয়ে এসে মুখোমুখি দাঁড়ালো। এতে ইমান বিব্রতবোধ করতে শুরু করলো। সে আশেপাশে চোখের মণি ঘুরালে লাগলো।
মিরা মিস্টি করে হেসে বলে, আমার সঙ্গে বাস থেকে নামার জন্য ধন্যবাদ, আমার জন্য অপেক্ষা করার জন্য ও ধন্যবাদ এবং আমাকে ভুল বাসে উঠতে বাঁধা দেওয়ার জন্য ও আপনাকে ধন্যবাদ। আরো একবার ধন্যবাদ আমাকে,,,,,,
ইমান ইতস্ততভাবে বলে, ঠিক আছে! ঠিক আছে! একবার বললেই চলবে। ধন্যবাদের পুকুর চাইনি।
মিরা মুচকি হাসলো। ইমান তা দেখে সঙ্গে সঙ্গে চোখ ফিরিয়ে নিয়ে বলে, অযথা কারণ ছাড়া হাসবে না তো। অসহ্য লাগে।
মিরা ঠোঁটে টিপে হেসে বলে, এখন আমরা কি করব? কারো কাছে সাহায্য নিতে হবে৷
ইমান নড়েচড়ে উঠে বলে, সাদকে কল দিচ্ছি। ও তো বাসেই আছে।
— সাদ! মানে আপনার ছোট ভাই? ও এসেছে আমাদের সঙ্গে?
— হু।
— কই? আমি তো জানতাম না!
ইমান ফোন কানে নিয়ে বিড়বিড় করে বলে, তুমি বহুত কিছুই জানো না!
রিং হচ্ছে কিন্তু সাদ কল ধরছে না। ইমান পরপর দুইবার কল দিলো। ধরছে না ফোন। মিরা হাঁটতে হাঁটতে একবার খানিক সামনে দাঁড়ানো বট গাছের দিকে যাচ্ছে তো, আবারো ইমানের দিকে ফিরে আসছে। তার চেহারায় বিন্দুমাত্র চিন্তার রেশ নেই। তার সঙ্গে ফোন ও নেই। ফোন সঙ্গে নেয়নি।হাতে একশ টাকা গুজে নিয়ে বাস থেকে নেমেছিল। আপাতত পঁচিশ টাকা আছে। মিরা চিন্তা করছে, এই পঁচিশ টাকায় এক কাপ চা খাবে।
মিরা এবারে বটগাছের নিচে এসে থামলো। উঁকিঝুঁকি মেরে হোটেলের দিকে তাকালো। একটু দূরেই যেখানে চার-পাঁচ জন লোক তাশ খেলছিল। তাদের মধ্যে একজন মিরাকে দেখে অদ্ভুত ভাবে তাকালো। এরপর নিজেদের মধ্যে কিসব কথা বলে, সে সহ আরো একজন এগিয়ে আসতে লাগে, এদিকে তথা মিরা যেদিকটায় দাঁড়িয়ে আছে।
লোক দুটো মিরার দিকে এগিয়ে এসে দাঁত বের করে উগ্রতামূলক হাসি হেসে বলে, আফা কি একলা নাকি?সাহায্য লাগবে? আমাদের বলেন। আমরা আছি আপনার সাহায্য করার জন্য।
মিরা তাদের কথা শুনে অস্বস্তিবোধ করতে লাগলো। তাদের গা থেকে কেমন বিশ্রী গন্ধ নাকে আসছে। নিশ্চয়ই সস্তা মদ পান করেছে৷ মিরা একদন্ড সময় অপচয় না করে পেছন ঘুরে ফিরে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত হতেই তার মনে হলো কেউ তার হাত চেপে ধরেছে৷ নিশ্চয়ই ওই মদখোর লোক দুটোর কেউ একজন! এটা ভাবতেই মিরার গা গুলিয়ে যেতে লাগলো। সে এক সেকেন্ড থেমে বিকট আওয়াজে চিৎকার করে “ইমান” বলে হাক পেড়ে ডাক দিলো।
ইমান মিস্টার চৌধুরীকে কল লাগিয়েছে মাত্র। তাতেই পেছন থেকে মিরার ডাক শুনে তার কলিজা ধক করে উঠে। কি হলো আবার? সে পেছনে ফিরে তাকিয়ে দেখে মিরা তার পাশে নেই।
ইমানের আত্মা শুকিয়ে যাওয়ার উপক্রম। এক মুহূর্তের জন্য শ্বাস আটকে যাচ্ছিল। পরবর্তীতে মনে পড়লো, মিরার আওয়াজ যেহেতু কানে এসেছে তবে কাছে কোথাওই আছে সে।
ইমান ফোন হাতে নিয়েই সামনের গিয়ে দৌঁড়ে গেল। তার নজরে এলো, সামনের বটগাছের একটু দূরে তিন জনের অবয়ব। এরমধ্যে একজন যে মিরা এটা দিব্যি টের পাচ্ছে ইমান। সে যত দ্রুত সম্ভব হাঁটার গতি বাড়ালো।
তাদের কাছাকাছি যেতেই তার কানে মিরার কণ্ঠস্বর ভেসে আসে। সে গলা উঁচিয়ে কার সঙ্গে যেন ঝগড়াটে গলায় বলছে, এই বেয়াবপের বেয়াদপ! সাহস কি করে হয় আমার হাত ধরার? তোর ওই হাত যদি আমি আগুনে না জ্বলাই আমার ও মিরা না! আমি এখুনি পুলিশ ডাকব৷
ইমান হাঁপাতে হাঁপাতে এসে বলে, কি হয়েছে কি মিরা? তুমি ঠিক আছো?
মিরা ইমানের দিকে মুখ করে বলে, এই বেয়াদব ছেলে তার হাত ধরতে গিয়েছিল।
তখনই দুইটা লোকের মধ্যে একজন বলে উঠে, মিথ্যা কথা। আমি হাত ধরি নাই। আপনার হাতে কাক ইয়ে করছে।
মিরা রাগ দেখিয়ে বলে, কাক ইয়ে করছে মানে কি?
— কাকের গু লেগে আছে আপনার হাতে৷
মিরা বলে, এই রাতে কাক কোথা থেকে আসলো?আর কাক রাতে ইয়ে-টিয়ে করেনা। ওরা রাতে ঘুমায়। দিনে খায়, দিনেই বর্জ্য ত্যাগ করে! তোর নামে এই মামলা দিব! আমাকে চিনিস না তুই! তোদের নিয়ে ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে ভাইরাল করব দেশবাসীর কাছে। আমার অনেক ফ্যান-ফলোয়ার আছে!
ইমান লক্ষ করে, আসলেই মিরার হাতে হলুদ রঙের কিছু লেগে আছে। সে উপরে তাকিয়ে দেখে গাছের উপর আসলেই একটা কাক বসে বসে ঝিমুচ্ছে। এতো রাত কাক জেগে আছে কিভাবে তা নিয়ে ভাবার সময় নেই তার। মানুষ জন জোড়ো হচ্ছে। সে মিরার অন্য হাতটা ধরে টান মেরে প্রায় জোর করে ঘটনাস্থল থেকে টেনে আনলো৷
— চুপ একদম চুপ! একদম নাটক করবে না। মিরা তোমাকে ড্রামা কুইন উপাধি দেওয়া উচিত। এতো ঢং কেমনে করতে শিখলে?
মিরা রাগে ফুসতে ফুসতে বলে, আশ্চর্য! আমাকে সরিয়ে আনলেন কেন? ওই লোক আমার হাত ধরেছিল? আমি পুলিশ ডাকব!আর আপনি আমাকে ড্রামাবাজ বলছেন? এই আপনার সহবোধ?
— হাত তো আমিও ধরলাম। এক কাজ করো আমাকেও জেলে পাঠাও তবুও ক্ষ্যামা দাও৷
মিরা দমে গেল। ইমান বলে উঠে, বুঝে শুনে কাজ করতে পারো না? তোমার হাতে আসলেই কাক বাথরুম করেছে। সি!
মিরা নিজের হাতের দিকে তাকিয়েই বিষ্মিত হলো। নাক-মুখ কুচকে মুখ দিয়ে কুচকে “ইউউউ” বলে উঠে।
ইমান মিরার রিয়্যাকশন দেখে দাঁত কেলিয়ে হেসে বলে, কাকেরাও মানুষ চিনে।
মিরা ব্যতিব্যস্ততা দেখিয়ে বলে, ইশ! কি বাজে গন্ধ। আমি হাত ধুবো৷
ইমান মিস্টার চৌধুরীকে কল লাগিয়ে কথা বলতে আরম্ভ করলো৷
★★★
ইরার ঘুম ভাংতেই সে ঘুমু ঘুমু চোখে দেখে, আপু তার পাশে নেই। সে জানালার দিকে মুখ করতেই ধড়ফড়িয়ে উঠে কাত হয়ে আবারো আপুর সীটের দিকে তাকালো এবং দেখলো আপু নেই। সে এক দন্ড অপেক্ষা না করে আশেপাশে চোখ দিয়ে খোঁজ চালালো এবং যখন বোনকে কোথাও দেখলো না। সে আবারো তার বিশ্ব বিখ্যাত চিৎকার জুড়ে দিলো। তার চিৎকারের আওয়াজে সাদ সহ বাকি সবার ঘুম ছুটে গেল।
সাদ সীট ছেড়ে দাঁড়িয়ে উঠল এবং বললো, কি হয়েছে? বাসে আগুন লেগেছে?
সাদের পেছনের সীটে এক বৃদ্ধা লোক ছিলো। সে কি বুঝলো কে জানে, সে হাক ছেঁড়ে দিয়ে বলে, ইয়া আল্লাহ! ইয়া মাবুদ! রক্ষা করো আমাদেরকে।আগুন থেকে তুমি আমাদের রক্ষা করো!
আগুন শব্দটা বাসের প্রতিটা যাত্রীর কানে বাতাসের বেগের চেয়ে তিন গুণ দ্রুত পৌঁছে গেল। বাসে মূহুর্তের মধ্যে তুমুল হৈচৈ পড়ে গেল। মানুষ-জন ও সাদের দেখাদেখি আগুন আগুন আগুন লেগেছে বলে আহাজারি শুরু করে দিয়েছে৷
এরমধ্যে ইরাও ঘাবড়ে গেছে। আসলেই কি আগুন লেগে গেছে? কি সর্বনাশ!
সাদ এবারে উপায় না পেয়ে ইরার দিকে এসে বলে, কি হয়েছে?
ইরা মুখ কাচুমাচু করে বলে, আপু নেই। সীট খালি। আমার মনে হয়, আপুকে কেউ কিডন্যাপ করেছে৷
সাদকে ইমান ইতিমধ্যেই মিরা আর ইরার কথা বলেছে। বাস চলাকালীন। সে জানে ইরা আর মিরা দুইবোন। আর এরা ভাইয়ার কাজিন বা মামাত বোন। সাদের ও মামাত বোন হয় কিন্তু সৎ কাজিন। কাজিন কখনো সৎ হয় কিনা জানে না সে! আর ইরার কাজিন ভাইয়া হওয়ার ইচ্ছাও তার নেই৷
সাদ মুখ শুকনো করে বলে, তোমাদের কোন শক্রু আছে? না মানে সন্দেহ আছে কারো প্রতি? তাহলে কিডন্যাপারকে ধরতে সুবিধা হত!
ইরা সাদের এহেন কথা শুনে কেঁদে ফেলে। সাদ তাকে ধমকিয়ে বলে, কেমন বোন তুমি? পাশ থেকে বড়বোন উধাও হয়ে যায় অথচ টের পেলে না? সত্যি করে বলো, তুমি এসবের সঙ্গে জড়িত নও তো?
ইরার কান্নার বেগ বেড়ে গেছে। এদিকে বাসে বিশৃঙ্ঘলা হচ্ছে দেখে ড্রাইভার বাস থামিয়ে দিয়েছেন। যাত্রীদের বারবার কন্ট্রাক্টর বলছে, আগুন লাগেনি। কেউ সেটা শুনতে নারাজ। একজন তো কন্ট্রাক্টর কে একটা কিল ও মেরেছে।
সাদ ঘাড় ঘুরিয়ে নিজের সীটের দিকে তাকাতেই চোখ পড়লো ভাইয়ার সীটের দিকে। সেই সীটটাও শূন্য দেখে তার চোখ বড় বড় হয়ে গেল। মাথা ঝিম মেরে গেল। সে ইরার কানের কাছে এসে ফিসফিস করে বলে, ভাইয়াও নেই। নিশ্চয়ই কিডন্যাপার দুইজনকে একসঙ্গে কিডন্যাপ করেছে।
ইরা চিল্লিয়ে বলে, কেমন ভাই আপনি? নিজের বড় ভাই পাশ থেকে উধাও হয়ে গেল অথচ আপনি টের পেলেন না?
সাদ ইরার কথা শুনে থ হয়ে যায়। তারই ডায়লগ তাকেই ঝাড়া হচ্ছে। আচ্ছা বজ্জাত তো এই ডানাকাটা পরী!
সাদ নিজের ফোন বের করে দেখে ভাইয়া দুইবার তাকে কল ও দিয়েছিলো।
ইরা কাঁদো কাঁদো মুখ করে বলে, আমার ভাইটা শেষবারের মতো বাঁচার আকুলতায় , শেষ আশায় আশায় আমাকে কল করেছিল কিন্তু অভাগা আমি রিসিভ করতে পারলাম না। আমি আসলেই ভাই হিসেবে অযোগ্য। আপনি এক কাজ করুন, আমার গালে একটা চড় মারুন !
সাদ ভাবতেও পারেনি ইরা তার কথার কথাটাকে সিরিয়াসলি নিয়ে নিবে এবং সত্যি সত্যি তার ডান গালে ঠাস করে থাপ্পড় বসাবে। সাদ হা হয়ে ইরার দিকে তাকালো।
ইরা বলে, আপনি ই তো বললেন থাপ্পড় মারতে।
সাদ কিছু বলতে পারলো না। ক্ষণেই মিস্টার চৌধুরী হন্তদন্ত হয়ে এসে বলে, বিরাট মসিবত হয়ে গেছে। ইমান আর মিরা ফুড ভিলেজে থেমেছিল ফ্রেস হওয়ার জন্য আর এদিকে বাস ছেড়ে দিয়েছে।
একথা শুনে সাদ এবং ইরা উভয়ই স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে। তার মানে তাদের বোন বা ভাইয়ের কিছু হয়নি। সুরক্ষিত আছে৷বড় বাঁচা বাঁচলো!
মিস্টার চৌধুরী ড্রাইভার আর কন্ট্রাক্টরের সঙ্গে ঝগড়া শুরু করে দিলো। ফলস্বরূপ বাস পেছনে ঘুরিয়ে আবারো হোটেলের দিকে নেওয়া হলো। এতে যাত্রীরা বিরক্ত হলো।
★★★
মিরা হোটলের সামনেই একটা সাবান ম্যানেজ পাশে থাকা কল থেকে হাত ধুচ্ছে। ইমান বিরস মুখে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে মিরার কান্ড দেখছেন।মেয়েটা পারেও বটে। এই মধ্যরাতে এক অপরিচিত মহিলার কাছ থেকে সাবান উদ্ধার করে এখন কাকের গু পরিষ্কার করছে৷
মিরা হাত ধুয়ে নাকে শুঁকছে এরপর আবার সাবান লাগাচ্ছে হাতে। ইমান গননা করেছে মোট ছয়বার মিরা হাত ধৌত করলো। এই নিয়ে সপ্তম বার হলো।
মিরা সাবান ফেরত দিয়ে এসে বলে, বাস কি ফেরত আসছে?
— হ্যাঁ। দশ মিনিটের মধ্যে এখানে চলে আসবে৷
— আলহামদুলিল্লাহ।
ইমান অন্য দিকে তাকালো। মিরা তাকে উদ্দেশ্য করে বলে, ওয়েটার বলছিলো এখানকার চা খুব ভালো। এই দশ মিনিটে আসো চা খাই!
ইমান মুখে বিরক্ততা এনে বলে, এখানকার সমুচাও ভালো। চল সমুচা আর চা খাই৷
মিরা বলে, আচ্ছা ঠিক আছে চলো।
কথা শেষ করতেই ইমান তার দিকে এমন দৃষ্টি নিক্ষেপ করলো যে মিরা বলতে বাধ্য হলো, আমি চা খাব না।
অতঃপর দশ মিনিট পর বাস আগের অবস্থানে ফিরে এলে ইমান আর মিরা বাসে উঠলো।
ইমান মিস্টার চৌধুরীকে দেখে লাজুক হেসে বলে, কি যে বিপদে পড়ে গিয়েছিলাম!
মিস্টার চৌধুরী রসিকতা করে বলে, তোমরা কি হোটেলে গিয়ে প্রেম করছিলে? যে বাস ছেড়ে দিলেও খেয়াল ছিলো না। না মানে
প্রেমে পড়লেই মানুষ দিন-দুনিয়ার হিসাব-নিকাশ ভুলে যায়। তোমরা কি ডুবে ডুবে জল খাচ্ছো কিনা?
চলবে৷