সত্য পিঞ্জর পর্ব : ১৬

0
646

‘সত্য পিঞ্জর’
পর্ব ১৬.
তাবিনা মাহনূর

__________

তিনটা দিন পার হয়ে গেল, রাশেদের কোনো খোঁজ নেই। ইলেকশনের আর অল্প কিছুদিন বাকি। আজিমপুর ওয়ার্ড থেকে আফজালের দলের কোনো প্রার্থী নেই। তাই বিজয় অন্যান্য দল থেকেই আসবে। লাবিবকে দলে আনতে চাইলেও তিনি রাজি হননি। তিনি আর রাজনীতি করবেন না বলে ঘোষণা দিয়েছেন। প্রিয় দল থেকে প্রতারণার শিকার হওয়ায় তিনি রাজনীতিকে ঘৃণা করতে শুরু করেছেন।

আরশের ‘কিছু না’ শব্দ দুটো ছিল রিশতাকে প্রশান্তি দেয়ার জন্য। কিন্তু নাছোড়বান্দা রিশতা আরশের মুখভঙ্গি দেখেই বুঝে গিয়েছিল তার মনের অবস্থা ভালো নেই। অতঃপর রিশতার জেরায় আরশ বলতে বাধ্য হয়েছিল রাজীব কি লিখে পাঠিয়েছে। রাজীবের সাথে সে ফোনে কথা বলেছে সেসময়। আর রিশতা কাটিয়েছে নির্ঘুম চিন্তা মগ্ন রাত।

আজও কোনো খবর পাওয়া যায়নি। ধানমন্ডি থানার পুলিশের সাথে আরশের যোগাযোগ হয়েছে। সিআইডি জাহাঙ্গীর আরশকে ফোন করেছিল। আরশ কিছুটা অবাক হয়ে বলেছিল, ‘আপনিও জানতেন না আসল অপরাধী কে?’

জাহাঙ্গীর হতাশ কণ্ঠে বলেছিল, ‘না আরশ। অনিরুদ্ধ, কার্তিক স্যার আর রাশেদ স্যার এসবের সাথে জড়িত। আমাকে তারা কিছু জানায়নি।’

জাহাঙ্গীরকে সাথে নিয়ে রাশেদের খোঁজ খবর চলছে কয়দিন ধরে। জাহাঙ্গীর নিজেই একটা দল তৈরি করে রাশেদকে খোঁজার জন্য সব রকম চেষ্টা করছে। এদিকে আরশের কাঁধে দায়িত্ব পড়েছে আজিমপুর থানার সবকিছু সামলানোর। বাতাসে খবর ভেসে এসেছে, আরশকে সরকারের পক্ষ থেকে পদোন্নতি দেয়া হতে পারে।

তাই বাড়ির লোকজনের খুশির কমতি নেই। তারা ভেবেছিল আরশের জীবন সংকটপূর্ণ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু তার সাহসিকতা তাকে এতোটা সম্মানিত করবে তা তারা ভাবতেই পারেনি। আরশকে ফোন করে আফজালের দলের একজন প্রভাবশালী এমপি এবং বিভিন্ন থানার ওসিরা শুভেচ্ছা জানিয়েছে। বিশেষ করে তার ইহসান স্যার তাকে নিয়ে অত্যন্ত গর্বিত। তিনি বলেছেন, যেকোনো প্রয়োজনে যেন তাকে অবগত করা হয়।

_____

চোখ খুললো আরশ। তার স্ত্রী নির্নিমেষ তাকিয়ে আছে তার দিকে। রিশতা ইদানিং ঘুমায় না। চুপ করে শুয়ে থেকে আরশকে দেখে। আরশ হাত মাথার নীচে রেখে বললো, ‘আর কয়দিন এভাবে না ঘুমিয়ে কাটাবেন?’

রিশতা নিস্তেজ কণ্ঠে বললো, ‘যতদিন না স্যারকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে, ততদিন আমার আতঙ্ক কমবে না।’

উঠে বসলো আরশ। রিশতার মাথায় হাত বুলিয়ে বললো, ‘ঘুমিয়ে পড়ুন। এভাবে দিন দিন অসুস্থ হয়ে পড়ছেন।’

রিশতা উঠে বসে বললো, ‘ওরা যদি আপনাকেও গুম করে?’
আরশ ছোট এক নিঃশ্বাস ফেলে বললো, ‘এই প্রশ্নটা মনে হয় তিন দিনে তিনশবার করেছেন।’

রিশতা অন্যমনষ্ক হয়ে বললো, ‘আমি কিছুই চাই না। আপনি চাকরি ছেড়ে দিবেন। আমরা বান্দরবান চলে যাবো। ওখানে পাহাড়ে ছোট্ট কুটিরে থাকবো। আপনি দিনমজুরের কাজ করুন, তাও আমি এই আতঙ্কিত জীবন চাই না! সবসময় আপনাকে নিয়ে ভয় হয়।’

রিশতাকে জোর করে শুইয়ে দিয়ে মাথায় হাত বুলিয়ে আরশ বললো, ‘ঘুমান। আর একটা কথা নয়।’

রিশতার মানসিক অবস্থার অবনতি ঘটছে। আরশ বুঝতে পারছে তার স্ত্রী এখন আগের রিশতা নেই যে পরিস্থিতি মেনে নিয়ে কাজ এগিয়ে রাখতো। এখন তার স্ত্রী অনেকটা ভঙ্গুর। রিশতা ঘুমিয়ে গেলে আরশও তার পাশে ঘুমিয়ে পড়লো।

মাঝরাতে ফোনের আওয়াজে ঘুম ভাঙলো আরশের। রিশতার ঘুম আরো আগেই ছুটে গিয়েছে। আরশ উঠে বসে ফোন হাতে নিলো। রিশতা কৌতুহল নিয়ে আরশের দিকে তাকিয়ে আছে। আরশ বললো, ‘অচেনা নম্বর।’

রিশতার আতঙ্ক বেড়ে গেল। আরশ ফোনটা ধরবে কিনা ভাবতে ভাবতে ফোন কেটে গেল। সে অপেক্ষা করলো দ্বিতীয় কোলের জন্য। দ্বিতীয়বার একই নম্বর থেকে ফোন এলে আরশ ধরলো।

– আরশ, আমি রাশেদ।

চমকে উঠে আরশ বললো, ‘স্যার আপনি! আপনি কোথায়? ঠিক আছেন তো?’

রিশতা চুপ করে ওদের কথোপকথন শুনছে। রাশেদ বললেন, ‘বেশি সময় নেই। তোমাকে একটা ঠিকানা বলছি। ওখানে ফোর্স নিয়ে চলে এসো।’

– বলুন স্যার।
– বাড়ির ঠিকানা জানি না। তবে এটা নারায়ণগঞ্জ এর ‘এ সি ধর রোড’ দিয়ে কালীর বাজারের দিকে…

আরশ রিশতাকে নোটপ্যাডে ঠিকানা নোট করে রাখতে বললো। রিশতা তা ফোনের নোটপ্যাডে লিখে রাখলো। আরশ বললো, ‘এখনই আসবো স্যার?’

– এক্ষুনি। আমি ওদের একজনকে অজ্ঞান করে তার ফোন দিয়ে কল করেছি। বেশি সময় নেই, কারণ ওরা আমাকে কাল হয়তো নাও বাঁচিয়ে রাখতে পারে।
– চিন্তা করবেন না। আমরা আসছি।

দ্রুত ফোন কেটে দিলেন রাশেদ। আরশ বিছানা ছেড়ে দাঁড়াতেই রিশতা বললো, ‘আপনি কি এখনই যাবেন?’

– অবশ্যই। জাহাঙ্গীরকে ফোন করতে হবে।

জাহাঙ্গীরের সাথে কথা বলে আরশ পরিকল্পনা সাজিয়ে ফেললো। ফোন রেখে রাজীবের সাথেও কথা বললো সে। সবাই একটা দল গঠন করে এসি ধর রোড পর্যন্ত যাবে তারপর বিভিন্ন দিকে ছড়িয়ে পড়ে ফোন নাম্বার ট্র্যাক করে রাশেদকে খুঁজতে শুরু করবে। রিশতা চুপচাপ বসে আছে। আরশ জামা কাপড় বের করার সময় শুনতে পেলো, ‘আপনি যাবেন না।’

আরশ কোনো কথা বললো না। এই রিশতাকে তার অচেনা মনে হয়। এতোটা আবেগী রিশতা কখনোই ছিল না। রাশেদ হারানোর পর থেকে রিশতার আচরণে অনেক পরিবর্তন এসেছে। একটু শব্দ হলে ঘুম ভেঙে যায়। আরশ বাইরে গেলে সেও তার সাথে যাওয়ার জন্য জেদ করে। বহু কষ্টে তাকে বোঝানো হয় আরশের সাথে সে বের হলে ঝুঁকি আরো বাড়বে। এখনো রিশতা অদ্ভুত ব্যবহার করছে যেটা আরশ মোটেও আশা করেনি। রিশতাকে কিছু না বলেই সে ওযু করতে চলে গেল। এই ঝুঁকিপূর্ণ কাজের পূর্বে আল্লাহর সান্নিধ্যে গিয়ে মন প্রশান্ত করতে চায় সে।

রিশতার বারবার মনে হচ্ছে আরশ আর ফিরে আসবে না। সে চাইছিল নিজেকে আটকে রেখে আরশকে তার কাজে বাধা না দিতে। কিন্তু তার হঠাৎ করেই মনে হলো, আরশকে যেতে দিলে আর ফিরে পাবে না সে। আরশকে জানানো হয়নি তার ভালোবাসার কথা। সেদিন রিশতা চেয়েছিল আরশকে তার মনের সমস্ত কথা খুলে বলবে। সে বলতে চেয়েছিল তার হৃদয়ের ঝড় সম্পর্কে, তার পবিত্র ভালোবাসা সম্পর্কে। সেদিনের মোহনীয় সময়টা চিন্তার সাগরে পরিণত হয়েছিল রাশেদের ঘটনা জানার পর। সেদিনও সে জানাতে পারেনি আরশ তার জন্য কতখানি। আরশ হয়তো এখনো ভাবে রিশতা তার স্বার্থে আরশকে মেনে নিয়েছে।

আরশের সালাত শেষে তাকে তৈরি হতে দেখে রিশতা বললো, ‘শুনছেন? আপনি যাবেন না দয়া করে।’

এবার উত্তর দিলো আরশ, ‘পাগলামি করো না রিশতা।’

উঠে দাঁড়িয়ে রিশতা বললো, ‘পাগলামি করবো। তুমি যাবে না।’

আরশের প্রচন্ড রাগ উঠছে। আবেগী মেয়ে বিয়ে করবে না বলে সে এতো খুঁজে খুঁজে রিশতাকে পেয়েছে। অথচ আজ রিশতার আচরণ অন্য সব মেয়েদের মতোই। মনে পড়লো আনিকার বলা কথাটা, ‘বিয়ের পর সব মেয়েই আবেগী হয়ে যায়। নাহলে তোরই তখন মনে হবে, মেয়েটা কি আমাকে ভালোবাসে না?’

আনিকার কথা মনে করে সে নিজেকে শান্ত রাখলো। শীতল কণ্ঠে বললো, ‘আমার এমন বিপদ হলে যদি কেউ না এগিয়ে আসে, তোমার খারাপ লাগবে না? তেমনই রাশেদ স্যারের বিপদে…’

– আমি এজন্যই বলছি তুমি যেও না। আমার মনে হচ্ছে রাশেদ স্যার নয়, বিপদ ডাকছে তোমাকে।

আরশ এবার রেগে গেল, ‘রিশতা! কি শুরু করেছো তুমি? এমন রিশতাকে আমি কখনোই চাইনি!’

রিশতার চোখ ছলছল করছে। একটু পরেই গড়িয়ে পরবে অভিমানের জল। সে বললো, ‘কি করবো আমি? আমাকেও নিয়ে চলো, আমার খারাপ লাগছে।’

আরশ তৈরি হতে হতে বললো, ‘খারাপ লাগলেও কিছু করার নেই। তুমি যে এমন আচরণ করবে তা আমি ভাবতেই পারিনি। আমি কখনোই আশা করিনি তোমার কারণে আমার কাজে ব্যাঘাত ঘটবে। আবেগ দিয়ে সবসময় সবকিছু বিচার করা যায় না রিশতা। এটা তোমাকে বুঝতে হবে। পরিস্থিতি অনুযায়ী কাজ করা রিশতার আজকের রূপ সত্যিই অচেনা।’

রিশতার নয়ন জোড়া অশ্রুর স্পর্শে সিক্ত। ভেজা কণ্ঠে সে বললো, ‘আমি কি করবো? আমিও একটা মানুষ, অনুভূতি শূন্য নই। আমি যে তোমাকে ভালোবাসি।’

রাজীবকে ফোন করার মুহূর্তে রিশতার শেষ বাক্যটা শুনে থমকে গেল আরশ। অঝোরে অশ্রু ঝরানো রিশতার দিকে তাকিয়ে সে বুঝতে চাইলো, রিশতা কি সত্যিই তাকে কথাটা বললো? সে জিজ্ঞেস করলো, ‘কি বললে তুমি?’

রিশতা আরশকে জড়িয়ে ধরে বললো, ‘তুমি যেও না। আমি ভালোবাসি তোমাকে।’

– হ্যালো, হ্যালো! আরশ তুমি কি শুনতে পাচ্ছো?

রাজীব ফোন ধরেছে। আরশ রুদ্ধ কণ্ঠে বললো, ‘জি।’

– তৈরি আছো তো নাকি?
– জি ভাই।
– তাহলে আর দাঁড়িয়ে থেকো না। দ্রুত নেমে পরো। ধানমন্ডি থানা থেকে লোকজন চলে গিয়েছে তোমার বাড়ির নীচে। আমি আজিমপুর থানা থেকে রওনা হচ্ছি, আর জাহাঙ্গীর বেইলি রোড থেকে।
– জি ভাই।
– আল্লাহ ভরসা আরশ। আমরা স্যারকে অক্ষত খুঁজে পাবো।
– ইন শা আল্লাহ।

ফোন রাখার পর রিশতার দিকে তাকালো আরশ। তার নূরজাহানের কান্না থেমে গিয়েছে। অদ্ভুত দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে সে। আরশ সেই দৃষ্টিতে হারিয়ে যাচ্ছে। এমন সময় রিশতা তাকে ছেড়ে দিয়ে বললো, ‘আপনি যান। আল্লাহ ভরসা।’

আরশ চুপ করে দাঁড়িয়ে আছে। রিশতা ঘরের দরজা খুলে বললো, ‘মায়ের সাথে দেখা করে যান।’
আরশ প্রশ্ন করলো, ‘তুমি যেতে বলছো আমাকে?’

– হুম। আপনি যান, আমি আপনাকে ভালোবাসি না।
– আমি সব জানি নূরজাহান।
– আমি তোমাকে ভালোবাসি না, তুমি যেতে পারো।

বারবার এই কথা বলে রিশতা নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে চাইছে। তবু নিঃশব্দে অশ্রু গড়িয়ে পড়লো কপোল বেয়ে। আরশ খুব ভালো করেই জানে রিশতার মনের কথা কি। সে প্রয়োজনীয় জিনিসগুলো নিয়ে দরজার কাছে গেল। রিশতা চুপ করে দাঁড়িয়ে আছে। আরশ রিশতার মতোই বিপরীত উত্তর দিলো, ‘আমিও তোমাকে ভালোবাসি না, আমার জাহানের নূর।’

রিশতা অঝোরে না কেঁদে ভেজা চোখে মলিন হাসি হাসলো। উত্তরে বললো, ‘আমরা আল্লাহকে ভালোবাসি, রাসূলকে ভালোবাসি।’

নাজিফা অনেক কেঁদেছেন। কেঁদে ছেলেকে জড়িয়ে ধরে আর যেতেই দিবেন না! উনার কান্নার আওয়াজ শুনে লুকমান আর আমানও জেগে গিয়েছিল। আমান চলে আসায় রিশতা শেষ বিদায় দিতে পারেনি। কেননা আরশের চোখ বলছিল, ‘ঘরে যাও নূরজাহান।’

সিঁড়ির উপরে দাঁড়িয়ে রিশতা দেখেছে, আমান আরশকে জড়িয়ে বিদায় জানাচ্ছে। একবার নিজে সঙ্গে করে যেতে চেয়েছিল। আরশ মুচকি হেসে থামিয়েছে। লুকমান কাঁদেননি কিন্তু অভিমানে ছেলেকে বিদায় দেননি তিনি। নাজিফাকে নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন শুকনো মুখে। আরশ চলে যাওয়ার পর সবাই ঘরে ফিরে গেল। দাঁড়িয়ে থাকলো রিশতা। শুকনো বকুলগুলো তার হাতে গুঁড়ো গুঁড়ো হয়ে যাচ্ছে, যেগুলো সে অতি যত্নে রেখেছিল তার অলংকারের বাক্সে। যা আরশ জানে না।

_____

আরশ নিচে নামার পর জাহাঙ্গীরকে দেখতে পেলো। সে বললো, ‘জাহাঙ্গীর ভাই? আপনি বেইলি রোড থেকে এতো দ্রুত এলেন যে?’

জাহাঙ্গীর জবাব দিলো, ‘এখন মধ্য রাতে কোনো জ্যাম নেই। আসতে পাঁচ দশ মিনিট লাগলো। কেবলই পৌঁছেছি। চলো চলো দেরি করা যাবে না। ওদিকে আবার রাজীব রওনা হয়েছে।’

দ্রুত গতিতে গাড়ি ছুটছে। খুব তাড়াতাড়ি গাড়ি ঢাকা পেরিয়ে কাঁচপুর ব্রিজে পৌঁছে গেল। নারায়ণগঞ্জে ‘এ সি ধর’ রোড পৌঁছাতে একটু সময় লাগলো। সেখানে আসতেই গাড়ির গতি কমে গেল। কালীর বাজারের সামনে না গিয়ে অদূরে একটা জায়গায় গাড়ি পার্ক করে আরশ আর জাহাঙ্গীর নেমে পড়লো।

জাহাঙ্গীর জানালো, ‘আমাদের আলাদা আলাদা করে সবদিকে ছড়িয়ে পড়তে হবে। ফোন নম্বর ট্র্যাক করে জেনেছি, রাশেদ স্যারের অবস্থান কালীর বাজার থেকে উত্তর দিকে। আমরা উল্টো পথ দিয়ে যাবো। তুমি গাড়ি নিয়ে সোজা পথে যাও।’

জাহাঙ্গীরের কথা অনুযায়ী আরশ গাড়ির ড্রাইভিং সিটের পাশে বসলো। ড্রাইভার নিজেও একজন পুলিশ। দুজন মিলে সামনে এগিয়ে গেলে আরশ বললো, ‘এখানেই রাখুন। বেশি সামনে আগানো ঠিক হবে না।’

পুলিশ গাড়ি রাখলেন। আরশ নীচে নেমে পেছনের পকেটে হাত দিতেই দেখলো, তার রিভলবার নেই। সে ভ্রু কুঁচকে গাড়িতে উঁকি দিলো। পুলিশের হাতে তার রিভলবার। যিনি সেটা ঘুরিয়ে বলছেন, ‘পেছনে তাকিয়ে দেখুন!’

পেছনে তাকানোর সময় পেলো না আরশ। তার ঘাড় বরাবর কেউ দ্রুত আঘাত করে অজ্ঞান করে ফেললো।

_____

(চলবে ইন শা আল্লাহ)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here