সাপলুডুর সমাপ্তিতে- পর্ব-০৫

0
1205

#সাপলুডুর_সমাপ্তিতে
তন্বী ইসলাম

০৫

অনেক চিন্তা ভাবনার পর আমি একটা সিদ্ধান্ত নেই। সন্ধ্যের পর আমি তাকে উত্তর দেওয়ার প্রস্তুতি নেই। তবে মুখে নয়, লিখে। আমি ফেইসবুকের মেসেজ অপশনে গিয়ে টাইপ করতে থাকি আমার মনের অব্যক্ত কথা।

প্রথম ভালোবাসায় ব্যর্থ সৈনিক আমি, ভেবেছিলাম তার ভালোবাসার স্মৃতি নিয়েই সামনে এগিয়ে যাবো। দ্বিতীয়বার আর কাউকে ভালোবাসবো না। তবে এই বয়সটাই যে খারাপ। এ বয়সে না চাইতেও ভালোবাসা বার বার এসে উঁকি দেয়, যে ভালোবাসার কাছ থেকে নিজেকে দূরে রাখা খুব কষ্টকর হয়ে পরে। আমিও পারলাম না তার ভালোবাসাকে দূরে ঠেলে দিলে। দ্বিতীয় বারের মতো জরিয়ে পরলাম আবারও ভালোবাসার প্রাচীরে।

মৃদুলের ভালোবাসা পেয়ে আমি প্রথম ভালোবাসাকে ভুলতে শুর করলাম আস্তে আস্তে। বার বার মনে হতে লাগলো, আমি আমার জীবনের সত্যিকারের ভালোবাসা পেয়ে গেছি। সত্যিই তাই, সে প্রচন্ড পরিমাণে ভালোবাসে আমাকে। আমার কোনো বিপদে সে আমাকে সাহস যোগায়, আমার অসুস্থতায় নিজে অসুস্থ অনুভব করে।

ধীরে ধীরে আমাদের ভালোবাসা গভীর থেকে গভীরে যেতে থাকে। সেদিন ভালোবাসা দিবসের দিন মৃদুল বায়না করে আমাকে নিয়ে ঘুরতে বেরোবে। ব্যাপারটায় বেশ ঘাবড়ে যাই আমি। আগে কখনো এমন অভিজ্ঞতা ছিলো না আমার। আমি মানা করে দেই, মৃদুল বার বার অনুনয় করতে থাকে। এটা তার প্রথম ভ্যালেন্টাইন্স, কোনো মতেই সে এটা মিস করতে চায় না। অবশেষে তার আকুতি মিনতির কাছে পরাস্ত হয়ে রাজি হয়ে গেলাম। সারাদিন ঘুরাঘুরি করলাম ভালোই… সাথে ওর কয়েকটা ফ্রেন্ড আর ফ্রেন্ডসদের গার্লফ্রেন্ডরাও ছিলো। সবাই মিলে একসাথে বেশ আনন্দ করেছি আমরা।

সেদিনের পর আমাদের ভালোবাসা আরও বেশি গভীর হয়। এমন এক পর্যায়ে আমরা পৌছে গেছি, যে দুজন দুজনকে ছাড়া বাঁচবো না।

সেদিন সন্ধ্যার পর হঠাৎ মৃদুল ফোন দিয়ে কান্নাকাটি শুরু করে দেয়৷ আমি অবাক হই। বিচলিত হয়ে প্রশ্ন করি..
“কি হয়েছে তোমার? কাঁদছো কেন এভাবে?
“আমার একটা কথা রাখবে?
“অবশ্যই রাখবো। তার আগে বলো কি হইছে তোমার?
সে তরিঘরি করে বলে উঠে
“আমরা কোর্ট ম্যারেজ করবো। মানা করবে না তুমি বলে দিলাম।

হঠাৎ এমন কথায় আমি যথেষ্ট অবাক হই। বিস্ময় নিয়ে বলি
“হঠাৎ এই কথা কেন বলছো? আর আমরা এভাবে কেন বিয়ে করবো? আমরা এখনো স্টুডেন্ট, আগে লেখাপড়া শেষ করি, তুমি কোনো চাকরিবাকরি করো, তারপর নাহয় ফ্যামিলির পার্মিশন নিয়েই আমরা বিয়ে করবো।
সে শক্ত গলায় বলে উঠলো
“এভাবে হবে না। আমরা এখনই বিয়ে করবো, আর যদি আমাকে তুমি হারাতে না চাও তাহলে কোর্ট ম্যারেজ করতে রাজি হয়ে যাও প্লিজ।

হঠাৎ তার এমন কথার মানেটা আমার বুঝে এলো না। তবে কিছু একটা হয়েছে এটা বেশ বুঝতে পেরেছি। আম বার বার প্রশ্ন করতে থাকলাম কি হয়েছে তার, সে উত্তর দিচ্ছেনা। অনেকবার জিজ্ঞাসা করার পর সে বললো

“আমার মা আমার বিয়ে ঠিক করে ফেলেছে।
আমি অবাক হলাম, সেই সাথে বুকে প্রচন্ড ব্যাথাও অনুভব করতে লাগলাম। যে মানুষটাকে নিয়ে আমি ঘর বাধার স্বপ্ন দেখছি, সেই মানুষটা কি আবারও অন্য কাউকে নিয়ে ঘর বাধবে?

আমি নরম হয়ে বললাম
“কি বলো এইসব? যে সমস্যাটা মেয়ে হিসেবে আমার হবার কথা ছিলো, সেটা তোমার বেলায় হচ্ছে। কিন্তু কেন? কেন তোমাকে এক্ষুনি বিয়ে করাতে চাইছেন তোমার মা?
মৃদুল কিছুটা সময় চুপ করে রইলো। আমি আবারও প্রশ্ন করলাম। সে নিরীহ গলায় বললো
“আমার মা লোভে পড়েছে।
“মানে?
“মেয়ের পরিবার অনেক বড়লোক। তাদের মেয়েকে যদি আমি বিয়ে করি তাহলে আমার ব্যাবসাটা আরো বড় করে দিবে, আর নগদ ক্যাশ দিবে কয়েক লক্ষ টাকা।

আমি বিস্ময় নিয়ে বললাম
“যৌতুকের জন্য তোমার মা তোমাকে বিয়ে দিতে চায়?
সে ভেজা গলায় বললো
“হ্যাঁ।
আমি কি বলবো কিছু বুঝতে পারছিলাম না। বুক ভারী হয়ে আসছিলো আমার। আমি নরম হয়ে বললাম
“তুমি তাকে বলো নি, তুমি বিয়ে করবে না?
“বলেছি, কোনো কাজ হয়নি। যে করেই হোক, মা আমাকে ওই মেয়ের সাথে বিয়ে করাবেনই।

আমি হতাশ গলায় বললাম
“তুমি তো আমাকে ভালোবাসো, এটা বলে দেখো তোমার মাকে।
“আমি সব বলেছি। কিছুতেই কাজ হচ্ছে না বলেই তো তোমাকে বলছি কোর্ট ম্যারেজ করার জন্য, যাতে এই উছিলায় হলেও বিয়েটা আটকাতে পারি।
আমি আবারও বললাম
“তুমি তো বললে মেয়েরা অনেক বড়লোক, তাহলে এতো টাকা যৌতুক দিয়ে তোমার সাথে কেন বিয়ে দেবার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে? চাইলে তো উনারা আরো ভালো যায়গায় তাদের মেয়েকে বিয়ে করাতে পারে?

সে নিরাশ গলায় বললো
“মেয়েটির পরিবার ধনী ঠিকই, তবে মেয়েটা ডিভোর্সি, দেখতেও কুৎসিত। অন্য কোথাও চেষ্টা করেও তারা এই মেয়ের বিয়ে দিতে পারছেনা। যে কারণে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে আমার সাথে তার বিয়ে দিতে চাইছে, আর টাকার পরিমাণ এতোই যে আমার মা সেই টাকার লোভ ছাড়তে পারছেনা।।
আমি অবাক হলাম, এমন মাও দুনিয়াতে আছে যে টাকার জন্য নিজের পেটের সন্তানকেও বলি দিতে পারে?

সে আবারও আমাকে তাড়া দিতে লাগলো
“আমাকে বিয়ে করবে কিনা বলো? যদি না করো, আমি প্রয়োজন হলে সুইসাইড করবো, তবুও ওই মেয়েকে বিয়ে করবো না।

আমি কি বলবো না বলবো বুঝতে পারছিলাম না, তাকে মাথা ঠান্ডা করতে বললাম। অনেক বুঝিয়ে শান্ত করে ফোন রাখলাম। কিন্তু মনের অস্থিরতা কমছিলোনা কিছুতেই। তাকে ছাড়া আমি বাচতে পারবো না নিশ্চিত, কিন্তু এভাবে একা একা কোর্ট ম্যারেজ করাটাও আমার পক্ষে সম্ভব না। যে বাবা মা এতো কষ্টে আমাকে মানুষ করেছেন, তাদেরকে কষ্ট দিয়ে কি করে একা একা বিয়ে করি?

এই চিন্তাগুলো বার বার আমাকে তাড়া দিচ্ছিলো। পরের দিন কলেজে গেলে তার সাথে দেখা হলো। তখনও সে আমাকে একই কথা বলছিলো। আমি তাকে আমার কোর্ট ম্যারেজ করার অক্ষমতার কথা জানালাম। সে রেগে গেলো, তাকে বিয়ে না করলে সুইসাইড করবে.. নানান ধরনের কথা শোনালো। আমি ভেঙ্গে পরলাম, কি করবো না করবো বুঝতে পারলাম না। ওর কাছ থেকে দুদিনের সময় নিলাম।

এই দুইদিন অনেক ভেবেছি, বার বারই মনে হয়েছে ওকে ছাড়া আমি নিঃস্ব। কোর্ট ম্যারেজ করাটা আমার জন্য কষ্টসাধ্য, আবার ওকে ছাড়া বাচাটাও অসম্ভব। অবশেষে সিদ্ধান্ত নিলাম, ওকে ফোন দিয়ে শর্ত দিলাম, আমি কোর্ট ম্যারেজ করবো ঠিক, তবে পরবর্তীতে আমাকে পারিবারিক ভাবে বিয়ে করতে হবে আবারও। আর তার আগে পর্যন্ত আমি আমার বাড়িতেই থাকবো, আর এই ব্যাপারটাও আমাদের এখানকার কাউকে জানানো যাবেনা।

সে রাজি হলো।

যেদিন আমাদের কোর্ট ম্যারেজ হলো, সেদিন খুব ভয়ে ভয়ে ছিলাম আমি, কাজটা ঠিক করছি নাকি ঠিক করছি না, বুঝতে পারছিলাম না। সে আমাকে বার বার সাহস দিচ্ছিলো, অভয় দিচ্ছিলো, কিন্তু মন মানছিলো না। বার বার মনে হচ্ছিলো বাবা মাকে ঠকাচ্ছি না তো?

যখন রেজিস্ট্রি পেপারে সাইন দিচ্ছিলাম, হাত কাঁপছিলো থরথর করে। সে সেটা খেয়াল করে তখনও আমাকে সাহস যুগিয়েছে।

বিয়ের পর আমি আমার বাড়িতে চলে এলাম, আর সে চলে গেলো তার বাড়ি। আমি চলে আসার সময় আমার দিকে সে এক নজরে তাকিয়েছিলো, আমার বেশ খারাপ লাগছিলো তখন। নিজের বিয়ে করা বর, ইচ্ছে করছিলো দৌড়ে গিয়ে জড়িয়ে ধরি, বলি সংসার করার কথা। কিন্তু এভাবে বাবা মাকে কষ্ট দিয়ে সংসার কি আদৌ সুখের হবে?

আরো অনেকগুলো দিন কেটে গেছে। সে বিয়ের পর আমার প্রতি আরও বেশি কেয়ারিং হয়েছে। যদিও আমরা এখনো এক হতে পারিনি, তবে মনের মিলন অনেক আগেই হয়ে গেছে। এর মাঝে ওর বাড়ি থেকে বিয়ের চাপ তো আছেই। সে জানিয়ে দিয়েছে তার আর আমার বিয়ের কথা, কিন্তু তার মা এটা মানতে নারাজ। তবে আমার বাপের বাড়ি থেকে যদি ওই মেয়ের ফ্যামিলির মত করে এতো এতো টাকা দেওয়া হয় তবে তারা আমাকে মেনে নিবে, নতুবা ওই মেয়েকে তাকে বিয়ে করতেই হবে।

মৃদুল নতুন সৃষ্ট হওয়া সমস্যার কথা আমাকে জানালো। আমি তাকে সাফসাফ বলে দিলাম
“আমার বাবার এতো টাকা পয়শা নেই যে তোমার পরিবারের মন খুশি করে যৌতুক দিতে পারবে। আর তাছাড়া, যেখানে তারা এখনো তোমার আমার বিয়ের কথা জানেই না সেখানে যৌতুকের কথা আসছে কোথা থেকে?
সে মৃদু কন্ঠে বললো
“আমি কখনোই তোমার ফ্যামিলির কাছ থেকে যৌতুক দাবি করবো না, আমি শুধু তোমাকেই চাই। কিন্তু আমার মা অনেক কড়া। ওরা অনেক ঝামেলা করছে।
“তুমি তোমার মাকে বুঝাও, যৌতুক দেবার মতো সামর্থ্য আমার নেই।
“মায়ের মুখে কথা বলার দুঃসাহস আমার নেই, তবুও আমি তাকে বুঝানোর চেষ্টা করবো।

আমি এবার কিছুটা রেগে গিয়ে বললাম
“শুনো মৃদুল, যদি তুমি আমাকে চাও তাহলে যৌতুকের আশা ছাড়তে হবে। আর যদি তোমার মায়ের মন ভরানোর জন্য যৌতুকের এতই প্রয়োজন হয়, তাহলে আমার আশা ছেড়ে দাও। আমি নিজের সুখের জন্য বাবা মায়ের উপর এতটা কঠোর হতে পারবোনা।
“আমি কি এটা বলেছি? আমার যৌতুক চাই না, আমার তোমাকেই চাই। আমি মাকে বুঝানোর চেষ্টা করবো।

সেদিনের পর তার উপর দিয়ে অনেক ঝড় ঝাপটা গেলো। তার মা কিছুতেই আমাকে মেনে নিবে না যদি আমার বাপ অঢেল পরিমাণ যৌতুক তাকে না দিতে পারে। ঐদিকে ওই মেয়ের পরিবার থেকেও চাপ আসছে দ্রুত তাদের মেয়েকে মৃদুলের সাথে বিয়ে দেওয়ার জন্য। তখনও পর্যন্ত ঐ মেয়ের পরিবার আমার আর মৃদুলের বিয়ের ব্যাপারে জানে না।

একটা সময় পরিস্থিতি যখন অতিমাত্রায় খারাপ হতে থাকে তখন মৃদুল ডিসিশন নেয় আমাকে এক্ষুনি তার বাড়িতে নিয়ে যাবে। এমনিতেও বিয়ে হয়েই আছে আমাদের, এখন যদি বউকে বাড়ি নিয়ে যায় তাহলে ঐ মেয়ের পরিবারও চাইবেনা শতীনের ঘরে মেয়েকে বিয়ে দিতে। তার উপর বউ ঘরে এলে মা ও নিশ্চয়ই এতটা কড়া থাকবে না। হয়তো একটু হলেও নরম হবে।

মৃদুল আমাকে চাপ দিতে থাকে তার সাথে চলে আসার জন্য। আমি অবাক হই, আমার দেওয়া শর্ত সে এতো সহজেই ভুলে গেলো কি করে? আজ ওর মায়ের করা ভুলের জন্য আমি কেন আমার বাবা মাকে কষ্ট দিবো? মৃদুলকে বুঝালাম, সে বললো আমার বিয়ের কথা যেনো ফ্যামিলিতে জানাই।
আমি মেয়ে হয়ে কিভাবে নিজের বিয়ের কথা পরিবারকে বলতে পারি?

অবশেষে সিদ্ধান্ত হলো, সে নিজে এসে আমার পরিবারের কাছে সব বলবে।

আমার বাড়িতে তখন থমথমে পরিবেশ। আমার আব্বু আর বড় ভাই বেশ চটে আছে আমার উপর। মা এক কোনে বসে আছে, চোখেমুখে বেশ দুশ্চিন্তা তার। আমি সামনেই মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে আছি। আমার পাশেই মৃদুল দাঁড়ানো। সে আমার আর ওর বিয়ের ব্যাপারটা সবটা জানিয়ে দিয়েছে আমার পরিবারকে। সেই সাথে তার সাথে যা যা ঘটছে সেগুলোও জানালো। সে অনুরোধ করছে বাবাকে, যেন এই বিয়েটা তিনি মেনে নেন, তাতে সে এই সমস্যাটা থেকে খুব সজনেই পরিত্রাণ পাবে, আর আমাকেও সে যথেষ্ট সুখে রাখবে।

আমার ভাই বার বার আমাকে মারতে উদ্ধত হচ্ছেন। আব্বু খুব কড়া কড়া ভাষায় আমাকে বকাবকি করছেন, মা যেনো কিছু বলার ভাষাটাও হারিয়ে ফেলেছেন। আব্বু বললেন
“এ বিয়ে আমি মানবো না কিছুতেই। তবে হ্যাঁ, তোমার মা নিজে এসে যদি আমার মেয়েকে তার ঘরের বউ করে নিতে চায় তবে আমি মেনে নিবো।।

মৃদুল খুবই ভদ্রতার সহিত বললো
“এটা কখনোই হবে না, আমার মায়ের ডিমান্ড অনেক বেশি থাকলেও আমি যদি ওকে নিয়ে বাড়িতে গিয়ে উঠি তাহলে নিশ্চয়ই তিনি তনুকে মেনে নিবেন, তবে নিজে থেকে কখনোই আসবেন না এ বিয়ের জন্য। আমি শুধু তনুকেই চাই, আমার আর কিছুই প্রয়োজন নেই। দয়া করে আপনারা মেনে নিন।

আব্বু রেগে গিয়ে বললেন
“তোমার মায়ের এতোই আত্মমর্যাদা, আর আমরা কি বানের জলে ভেসে এসেছি? উনি যদি না আসতে পারেন, তবে আমিও মেয়েকে তোমার হাতে কখনোই তুলে দিবো না। চলে যাও তুমি। আমার মেয়ের আশা ভুলে যাও।
“আপনারা যদি মেনে না নেন, তাহলে ওকে আমি এভাবেই নিয়ে যাবো। দরকার নেই আপনাদের অনুমতির

আমার ভাই রেগে গিয়ে মৃদুলকে মারতে চাইলো।
আব্বু তাতে বাধ সেধে আমার দিকে তাকিয়ে বেশ কড়া গলায় বললেন
“যদি এই ছেলেকে চাও তবে আমাদেরকে তোমার ছাড়তে হবে, ভুলে যেতে হবে এ বাড়ির মেয়ে তুমি।
আমার বুকে বাজ পরলো। এ কি বলছে আব্বু?

অন্যদিকে মৃদুল বলে উঠলো
“যদি এই মুহূর্তে আমার সাথে না আসো, তাহলে সারাজীবনের মত আমাকে হারাবে। তোমাকে ছাড়া তো আমি বাঁচতে পারবো না, তাই সুইসাইড করে হলেও তোমার ভালোবাসার প্রমাণ দিয়ে যাবো। কি করবে তুমি তনু?
নিজের ফ্যামিলির সাথে থাকতে চাও নাকি ভালোবাসাকে আপন করে আমার হাত ধরতে চাও?

চলবে…..

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here