সিক্ত সুভানুভব’ পর্ব-১৫

0
2393

‘সিক্ত সুভানুভব’
[১৫]
লেখনীতে:- নূরজাহান আক্তার (আলো)

আলোঃআপনি এটা বলতে পারলেন যে,আমি লোভী।একবারো কি আপনার মুখে আটকালো না,একবারো খারাপ লাগলো না এসব বলতে।ওকে আমি আপনার সব কথা মেনে নিলাম,হুম আপনি ঠিক বলছেন রোদ মেহবুব আমি লোভী, আর কি করবো বলুন নিম্নবিত্ত ঘরের মেয়ে এতকিছু দেখে লোভ সামলাতে পারি নি,এজন্য নতুন বাবা মা জুটিয়ে ফেলছি।

রোদঃযাক তাহলে মেনে নিলে।
আলোঃহুমম না মেনে নেওয়ার কি আছে?আমরা নিম্ন শ্রেনীর তো সব কথা হজম করার শক্তি, আল্লাহ তা’য়ালা আমাদের দিয়েছে।তাই মেনে নিলাম।

আলো এটা বলে কাঁদতে কাঁদতে রুম থেকে বেরিয়ে যায়,রোদ উঠে নিজের হাতেই দেওয়ালে সাথে আঘাত করে,রোদ এমনটা বলতে চায়নি।রোদ তো আলোকে রাগিয়ে দিয়ে আলোর মুখ থেকে সব সত্যিটা জানতে চেয়েছিলো।বাট আলো মুখে কিছু না বলে সব কথা মুখ বুঝে মেনে নিল।রোদের মাথা গুলিয়ে যাচ্ছে এত রহস্য করার কারন কি?এসব করে কার কি লাভ হয়েছে?কালকে রাতের জন্য রোদের নিজের কাছেই খারাপ লাগছে,বাট তখন সেই সেন্স ছিলো না।ওদিকে আলো কালকে রাতে রোদের এমন করাতে খুব কষ্ট পেয়েছে তারপর নিজের ভালবাসার মানুষ, আর সে তার এখন হাজবেন্ড।আর সবচেয়ে বড় কথা আলো নিয়তিকে মেনে নিয়েছে।রোদ নিজের হাতে আঘাত করাতে ওর হাতে কালসিটে পড়ে গেছে।

আলো আশেপাশে তাকিয়ে ছাদে চলে যায়, আর ছাদে গিয়ে দুর আকাশের দিক তাকিয়ে বলে,,

আলোঃআমার জীবনটা এমন কেন?যাদেরকে কাছে টানতে যায় তারাই আমাকে দুরে ঠেলে দেয়,আমি কি অপরাধ করছি, কেন আমার সাথে এমন হয়।আমিও তো ভালো থাকতে চাই, আমিও সবার ভালবাসা পেতে চায় তারপরেও কেন আমাকে সবার এভাবে দুরে ঠেলে দেয়।আমি যে আর নিতে পারছি না, আর কত সহ্য করবো আমি।

আলো কাঁদছিলো এমন সময় রোদের আম্মু আলোর কাঁধে হাত রাখে,আলো সাথে সাথে চোখ মুছে নেয় আর পেছনে ঘুরে তাকায়।রোদের আম্মু আলোর চোখ মুছে দেয় আর আলোকে জড়িয়ে ধরে আর বলে,,

আম্মুঃমা রে আমি কল্পনাও করি নি রোদ এমন করবে।ভুল আমার সেদিন রাতে হয়েছিলো, যদি তোর সাথে দেখা না করতাম,সজীব আর রামিসা(আলোর নতুন বাবা মায়ের )কাছে না পাঠাতাম তাহলে এটা হতো না।আমি কি করবো বল?আমি তো তোর জীবনের অতীত শোনার পর এটা ছাড়া আমার কিছু করার ছিল না।

আলোঃ আম্মু জানো তো,সবার জীবনে সুখ আসে বাট কেউ সেটা ধরতে পারে আর কেউ সেটা ধরতে পারে না।আমার জীবনেও এমন অবস্থা আমি সব পায় বাট ধরে রাখতে পারি নি,আমার জীবনটা কি এভাবে কাঁদতে কাঁদতে যাবে আম্মু

আম্মুঃতুই চিন্তা করিস না,সব ঠিক হয় যাবে।আমি নিজে রোদকে বুঝিয়ে বলবো,ও সব জানলে তোকে আর কথা শুনাবে না আর কষ্টও দিবে না।এখন নিচে চল,,
আলোঃহুমম।

সেদিন রাতে মেঘ ওর আম্মু সব বলে দিয়েছিলো, আর ওর আম্মু রোদের সাথে কথা বলতে এসেছিলো বাট রোদ তখন আলোর সাথে কথা বলছিলো।রোদের আম্মু সব শুনে আর মেঘের থেকে কোন হোস্টেলে আলো থাকে জেনে নিয়ে,সেই রাতেই আলোর সাথে দেখা করে।রোদের আম্মু আলোকে দেখে তখনই খুব পছন্দ করে ফেলে, আলোর জীবনের সব কথা উনি শুনে আর খুব কষ্টও পায়।আলোর সাথে কথা বলার সময়ই সজীব(আলো যাকে বাবা ডাকে)সে ফোন দিয়ে জানায় রোদের আম্মুর বান্ধবী রামিসা হসপিটালে উনি নাকি সুইসাইড করতে গিয়েছে তার একটাই কারন তারা নিঃসন্তান।আর রামিসাই নিজেকে দায়ি ভাবে সন্তান না হওয়া জন্য।রোদের আম্মু হুট করে আলোর কথা মনে পড়ে আর আলোকে সাথে করে হসপিটালে যায়।আর রামিসা আলোকে দেখে ওর সব কথা জেনে আলোকে মেয়ে হিসেবে মেনে নেয়।এতে একটা মা মেয়ে পায় আর একটা অসহায় মেয়ে একটা নিরাপদ আশ্রয় চাই।

ওরা আলোকে নিয়ে সিঙ্গাপুর চলে যায়, একটা ভাল পরিবেশে আলোকে তৈরী করার জন্য। আলো ওর নিজের মাকে অনেক খুঁজেছে বাট কোথাও খুজে পাইনি,সিঙ্গাপুরে যাওয়ার আগে,আলো রোদের সাথে দেখা করতে চেয়েছিলো বাট রোদের আম্মু আলোকে রোদের কসম দিয়েছিলো, এজন্য আলোর হাজার কষ্ট পেলেও রোদের সাথে কন্টাক্ট করতে পারে নি।রামিসা আর সজীব উনারা আলোকে আইনি ভাবে এড্রোপ নিয়েছে,আর আলোকে কোনদিন বুঝতোও দেয়নি তারা আলোর নিজের বাবা মা না।তারা আলোকে সিঙ্গাপুরে নামকরা ইংলিশ মিডিয়ামে ভর্তি করিয়ে দেয়,আর ওখানেই আলোকে পড়াশোনা করিয়েছে,আলো ইন্টার পরীক্ষাও দিয়েছে,,আর ভাল ভাবে বৃত্তি পেয়ে পাশ করছে,,,,

রোদের আম্মু নিজের বান্ধবী একটা অসহায় মেয়ের ভাল করতে গিয়ে,নিজের ছেলেকে নিজের কলিজার টুকরো রে কাঁদতে দেখেছে,কষ্ট পেতে দেখেছে তারপরেও উনি উনার জায়গা থেকে একপা পিছুটান হয় নি,আলোকে রোদের পাশে দেখে কেউ যাতে আলোর দিকে আঙুল তুলে বলতে না পারে যে,রোদের যোগ্য না আলো।এজন্য রোদের আম্মু আলোকে সেইভাবে গড়ে তুলেছেন নিজের বান্ধবীকে দিয়ে,আর রোদেরও সেইসময় টা ছিলো নিজেকে একজন বড় বিসনেজ ম্যান হিসেবে, নিজের জায়গাটা পাকাপোক্ত করা।আজকে আলোকে আলোর ভাগ্য এখানে এনে দাঁড় করিয়েছে,রোদের আম্মু আলোকে, রোদ, মেঘের থেকে কম ভালবাসে না।আর রোদের আম্মুর পাশে দাড়িয়ে, সব সময় রোদের আম্মুকে সাপোর্ট দিয়েছে রোদের বাবা।

আলোর জন্য রোদের আম্মু রোদের রুমে একটা সিসি ক্যামেরা লাগিয়ে রাখে, রোদের অফিসের কেবিনেও,আলো সিঙ্গাপুর থেকে ওর লেপটপ সাথে কানেক্ট করে,রোদ কি করছে সব দেখতো?রোদ যখন কাঁদতো তার দশগুন কষ্ট আলো পেতো,রোদের পাগলামি ওর মন খারাপ, ওর না বলা সব কথা আলোর সব জানা। এজন্য কালকে রাতের পরেও রোদের জন্য আলোর মনে কোন অভিযোগ নেয়।

রোদের আম্মু আলোকে নিয়ে যায় আর গিয়ে দেখে রোদ ড্রয়িং রুমে সোফাতে বসে নিউজ পেপার পড়ছে।আলো আর ওর আম্মুকে নামতে দেখে ঘাড় ঘুরিয়ে ওদের দিকে একবার তাকিয়ে আর নিউজ পেপারে মনযোগ দেয়।রোদের আম্মু খাবার বেড়ে দিচ্ছে আর আলো গিয়ে খাবার টেবিলে সাজিয়ে রাখছে। শাশুড়ি বউমার খুব মিল সেটা রান্নাঘরে থেকে ওদের হাসির শব্দ শুনে বুঝতে পারছে,রোদ কি মনে করে রান্নাঘরের দিকে তাকালো আলো সোনালী পাড়ের এক রংয়ের লাল শাড়ি পড়ছে, আর মাথাতে ঘোমটা দেওয়াতে দেখতে পুরো বউ বউ লাগছে।লাল শাড়িটা ওকে দারুন মানিয়েছে রোদ আলোর দিকে তাকিয়ে এসব ভাবছিলো,হঠাৎ করে রোদের আম্মুর কথাতে রোদের হুশ আসে,,

আম্মুঃতা বাবা আমার মেয়েটাকে এভাবে চুরি করে দেখার কি আছে?নিজের সামনে বসিয়ে রেখে দেখলেই তো পারো,এখন তো তোমাকেই দিয়ে দিয়েছি।

রোদঃআ আ আম্মু চু চুরি করে দেখবো কেন?আর তোমার মেয়ে এতটা সুন্দরী না যে ওর দিকে আমার তাকিয়ে থাকতে হবে(আমতা আমতা করে)

আম্মুঃআমি যে দেখলাম,তুমি হা করে তাকিয়ে আছো,আরে এখানে লজ্জা পাওয়া কি আছে?তোমার বাবাও আমার দিকে এমন করে চুরি চুরি দেখতো।

বাপিঃতুমি তো ছেলেকে এতক্ষণ পঁচালে এটা ঠিক আছে,এখন আবার ছেলের বাপিকে নিয়ে টানছো কেন?আর ছেলের বউয়ের সামনে এভাবে ইজ্জতের ফালুদা না করলে হচ্ছে না।এটা ঠিক হচ্ছে না তোমার, রোদের আম্মু।

আলো কথাটা শুনে খিলখিল করে হাসতে লাগল।

আম্মুঃজানিস আলো রোদের বাপি আমার সাথে রান্নাঘরে প্রেম করতে এসে, আমার শাশুড়ির কাছে ধরা খেয়েছিলো,,,সেই কথা মনে পড়লে আজো আমার হাসি থামেনা,সেইদিন আমার শাশুড়ি আর আমি খুব হেসেছিলাম রোদের বাপির কান্ড দেখে।

বাপিঃতোমরা থাকো আমি উঠলাম,নিজের ইজ্জতের ফালুদা আর নিজে বসে দেখতে পারছি না।

আলোঃআরে বাপি তুমিও না,আমরা আমরা তো, এখানে তো অন্য কেউ নেই তাহলে এত লজ্জা পাচ্ছো কেন?আর তুমি তো আর অন্য কারো বউয়ের সাথে প্রেম করতে যাও নি,নিজের বউয়ের সাথেই করতে গিয়েছিলো।
আর সবাই কিন্ত তোমার মত এত রোমান্টিক হয় না,এভাবে প্রেম করতে যেতেও বুকের পাটা লাগে, যেটা সবার নেই।(আড় চোখে রোদকে উদেশ্য করে)

রোদ খুব ভালো করেই বুঝে গেছে আলো ওকেই বলছে,রোদ কিছু না বলে ওর ফোন টিপতে বিজি হয়ে পড়ে,মেঘ বাগান থেকে দৌড়ে আসে আর রোদের পাশে লুকায়,পিকুও দৌড়ে এসে মেঘকে খুঁজতে থাকে।আলো পিকুরে ইশারা করে মেঘকে দেখিয়ে দেয়।আলোর ইশারা পিকু বুঝতে পারছে আর মেঘের পেছনে গিয়ে মেঘের প্যান্ট ধরে টানতে থাকে।মেঘ ঘাপটি মেরে থাকলেও আর থাকতে পারলো না।পিকু যেভাবে ওর প্যান্ট টানছে বউমনির সামনে না সত্যি খুলে যায়।মেঘ রোদের সামনে কোমরে হাত দিয়ে রাগী চোখে তাকিয়ে,,,

মেঘঃদাভাই তুমি পিকুকে দেখিয়ে দিয়েছো তাই না,এটা কেন করলো? জানে এখন ওকে আমার সব ডেরেমন কেক গুলো দিতে হবে,সেই সকাল দেখছে সেই থেকে আমার পিছু ছাড়ছে না।

রোদঃআমি কখন দেখালাম,আমি তো এখানে বসে আছি।আর পিকুকে খেয়াল করি নি।

রোদ আলোর দিকে তাকায়, আলো মুছকি মুছকি হাসছে।রোদ বুঝে গেল এখানে এই ভদ্র মেয়েটা কিছু করছে,আর রোদের ঘাড়ে চাপিয়ে দিয়েছে।রোদের আম্মু ওদের খেতে ডাকলো সবাই খেতে৷ বসলো,আলো ওদের খাবার দেওয়া জন্য দাড়িয়ে ছিলো কিন্ত রোদের আম্মু আলোকে জোর করে,রোদের পাশে বসিয়ে দিল।রোদের বাপি পাশে ওর আমমু,রোদের পাশে আলো আর মেঘের পাশের চেয়ার টা ফাঁকা,,এজন্য মেঘ মন খারাপ করে বললো,,

মেঘঃআজ একটা বউ নেয় এজন্য আমার চেয়ারটা ফাঁকা,পিকু তুই এসে বস ভাই।আমি কষ্টটা তুই ছাড়া আর কে বুঝবে বল,,

সবাইঃ আহারে

সবাইকে রোদের আম্মু আর আলো হাতে হাতে খাবার বেড়ে দিলো, সবাই খাওয়া শুরু করলো।বাট আলো খাওয়া বাদ দিয়ে রোদের দিকে তাকিয়ে আছে,আলো যখন খেতে যাবে ওমনি রোদ আলোর হাত ধরে আটকে দিসে,আর এমন ভাব করে আছে যেন রোদ কিছু জানে না।আলো রোদের থেকে হাত ছুটানোর চেষ্টা করছে বাট পারছে না রোদ আরো শক্ত করে ধরছে।আলো রোদের দিকে তাকিয়ে আছে, আর রোদের কান্ড দেখছে।রোদের আম্মু আলোর দিকে তাকিয়ে বলছে,,

আম্মুঃআলো খাচ্ছিস না কেন?আর আমি জানি আমার ছেলেটা দেখতে খুব সুন্দর তাই বলে খাবার টেবিলেও এভাবে তাকিয়ে থাকবি,আমার ছেলেটাকে তো দিবি তাই না।

আলোঃ আম্মু আসলে তা না,,মানে

বাপিঃতুমি সময় ওদের এভাবে লজ্জাতে ফেলে,এত মজা নাও কেন?দিন দিন কি বুদ্ধি কুতকুত খেলতে যাচ্ছে নাকি?

আম্মুঃতুমি চুপ থাকো তা না হলো,তোমারও ইজ্জত নিয়ে লুডু খেলবো বলে দিলাম।আর আমি ওইসব ডায়নি শাশুড়ির দের মত হতে পারবো না বুঝলে,আমি ওদের বন্ধু হতে চাই।

রোদঃ আম্মু তুমি তো বললে আমি নাকি তাকিয়ে থাকি, তোমার মেয়ের দিকে,আর এখন তোমাদের সামনে কেমন করে তাকাচ্ছে দেখছো?কি রকম নিলজ্জ মেয়ে একটা,,অসহ্য

আম্মুঃতুই এভাবে কথা বলছিস কেন রোদ?আমি তো মজা করলাম,আর হয়তো তোকে কিছু বলতে চায় এজন্য তাকাচ্ছিলো।রোদ তুই যদি আলোর সাথে আর একবার বাজে বিহেভ করিস তাহলে আমারর চেয়ে খারাপ কেউ হবে না বলে দিলাম।

রোদঃআমি তো ভুল কিছু বলিনি,যে যেমন কাজ করে তাকে তো সেই কাজের মাশুল গুনতে হয় তাই না।আমার খাওয়া হয়ে গে,,ছে

রোদ এটা বলে চেয়ার থেকে ওঠার আগেই আলো কাঁদতে কাঁদতে দৌড়ে চলে যায়, দৌড়াতে গিয়ে শাড়িতে বেধে পড়তে গেলে নিজেই নিজেকে সামলে নেয় আর রুমে গিয়ে বেডে শুয়ে কাঁদতে থাকে।রোদের আম্মু রোদের দিকে রাগী চোখে তাকিয়ে আছে,,

আম্মুঃ এবার শান্তি লাগছে তোমার,এবার নিশ্চয়ই খুশি হয়েছো তাই না।মেয়েটাকে এখানে আনার পর থেকে তো কম অপমান করছো না তুমি। এখুনি ওকে খাবার খাইয়ে দিয়ে আসবে,এখুনি মানে এখুনি,,,

রোদঃআ আ আমু আম্মু।

আম্মুঃআমি কোন কথা শুনতে চাই না,আর যদি না পারো তাহলে আজকে থেকে আমাকে আম্মু বলে ডাকবে না।

রোদ এবার খাবার প্লেট নিয়ে রাগে গজরাতে গজরাতে রুমের দিকে হাটা দিল,রোদ রুমে গিয়ে আলোকে একটানে হাত ধরে বসায়।হুট এমন করাতে আলো কান্না ভেজা চোখে রোদের দিকে তাকিয়ে আছে,রোদ আলোর গাল চেপে ধরে আর খাবার মুখের ভেতর ঢুকিয়ে দেয়।আলো মুখে খাবার নিয়ে ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কান্না করতে থাকে,রোদ রাগী চোখে আলোর দিকে তাকায় আর বলে,,,

রোদঃআর একবার কান্না করতে দেখে মেরে পুঁতে দিবো,ফাজিল মেয়ে।

তোমার কারণে পাঠকরা আমাকে ভুল বুঝছে,যে যা ইচ্ছে বলছে,তারাও তো আমাকে কথা শুনাতে কম করছে না।
,আমি যখন কষ্ট পেয়েছি কেউ তো শান্তনা দিতে আসেনি,ওহ তুমি মেয়ে বলে তারা তোমার বেলাতে কষ্টে ফেটে চৌচির হয়ে যাচ্ছে, তাহলে আমার ভালবাসা ঠুনকো ছিলো নাকি, তাহলে আমি কেন এত কষ্ট পেলাম?কেন এত লুকোচুরি বলো আমাকে,,,।আমাকে কেন তিনটা বছর এত কষ্ট কেন দিলে?আমি ছেলে এত ন্যাকামি করতে পারি না,কারো মন যোগানো কথা বলতে পারি না এজন্য, আমি রোদ খারাপ আর খারাপই থাকবো দরকার নেই আমার ভালো হবার।আর এসব কান্না বন্ধ করো,এখনই খাবারটা খেয়ে পেইন কিলার খেয়ে নিবে।আর একটা কথাও শুনতে চাইনা আমি,,,তারাতারি মুখের খাবার শেষ করো,,আর একটা কথা শুনতে চড় দিয়ে সব দাঁত ফেলে দিবো।

আলোঃহুমমম খা খা খাচ্ছি।


চলবে,,
(আলোর আম্মুর কথাও ঠিক জানতে পারবেন,একটু ওয়েট করুন।আপনাদের উৎসাহ যত পাবো,গল্পতে তত টুইস্ট বাড়াবো)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here