#সিনিয়র_খালাতো_বোন
#part_02
#writer_srabon
মনে মনে এগুলো ভাবতেছি আর একা একা হাসতেছি। আমাকে এই অবস্থায় কেউ দেখে ফেললে শিওর সে আমাকে পাগল বলবে।।।
তখনই আমাকে পিছন থেকে কে যেন ডাক দিল…
আমি পিছে ফিরে তাকাই। ছাদের লাইটের হালকা আলোতে স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছি নিশি দাঁড়িয়ে আছে।
কথায় আছে না,,যেখানে বাঘের ভয় সেখানেই সন্ধ্যা হয়।
আমি এই মেয়ের কাছ থেকে যতই দূরে দূরে থাকার চেষ্টা করতেছি ততই মেয়েটা কাছে চলে আসতেছে।।।
— কি ব্যাপার.?? আপনি একা একা হাসতেছেন কেন.? আমাকে ডাক দিতেন। দুজনে মিলে হাসতাম।। (নিশি আমার কাছে এসে)
— হুহহ,,আমার ঠেকা পরেছে। তোকে ডাকি আর তুই বকবক শুরু করে দে..(মনে মনে বললাম)
— কিছু বললেন.???(নিশি)
— কই..? না তো..! কিছু বলি নাই। এমনিতেই হাসতেছিলাম। (আমি)
— হুম,,ভালো… আচ্ছা,,আপনার সেই ডাইনি বন্ধবীটা কই..? আজ দুই তিন দিন ধরে দেখতেছি না। আগে তো রোজ আসত আপনার বাসায়।। (নিশি)
— দেখুন,,আপনাকে কিন্তু অনেক বার বলেছি ওর একটা নাম আছে। অজান্তা স্পর্শি.. নাম ধরে বলতে পারেন না.?(আমি)
— নাম না ছাই.. হুহহ ওকে তো আমি ডাইনি বলেই ডাকব।। তা কোথায় আপনার সেই ডাইনি..?(নিশি)
— ওর বিয়ের কথাবার্তা চলতেছে। তাই বাসায় গেছে দুইদিন আগে। (আমি)
— মানে.?? কার সাথে বিয়ে..? আপনার সাথে নয় তো..?(অবাক হয়ে)
— আরে পাগল নাকি.?? আমার সাথে স্পর্শির বিয়ে হবে কেন.? ওর বয়ফ্রেন্ড কি যেন নাম। ওর সাথে পারিবারিক ভাবেই বিয়ে ঠিক করতে গেছে মেবি..(আমি)
এইবার নিশি একটা হাসি দিয়ে বলল…
— উফফফ,,,বেচে গেলাম। আমি তো কি না কি ভেবে নিয়েছিলাম…! যাক ভালোই হলো, আমার পথের কাটা সরে গেছে একেবারে.. (আস্তে বলল)
— মিন মিন করে কি বলেন..??(আমি)
— তেমন কিছু না..! আচ্ছা,,আজকে জানেন আমি ভার্সিটিতে গিয়ে কি কি করেছি…?? (নিশি)
[আল্লাহ আমাকে রক্ষা করো.. এই মেয়ে যদি একবার গল্প শুরু করে তাহলে আর আমার রক্ষে নেই। এখন ভার্সিটি দিয়ে শুরু করবে আর পরে বাসায় আসা পর্যন্ত সব গল্প আমাকে বলবে। এমনকি রিকশাওয়ালাকে কত টাকা ভাড়া দিছে সেটাও বলবে। শুধু বকবক করে। এখন গল্প শুরু করলে শিওর আজকের রাত পেরিয়ে সকাল হয়ে যাবে। না,,যে করেই হোক এখানে থেকে এইবার আমাকে কেটে পরতে হবে।।।]
— ইসস,,আমার তো মনেই ছিল না। সোহান আমাকে ফোন করে দেখা করতে বলেছিল।। অনেক দেড়ি হয়ে গেছে। আমাকে এখনি যেতে হবে। (আমি)
— আজকেও..? আপনি রোজ রোজ আমাকে এইভাবে বোকা বানিয়ে চলে যান।।(নিশি)
— সরি..! আসলে আমাকে যেতেই হবে আসি..
— ধুর ভাল্লাগেনা…
আমি আর কিছু না শুনেই নিচে চলে এলাম। এরপর রুমে এসে ওয়ালেট নিয়ে বেরিয়ে গেলাম।।
যদিও এখন বাইরে যাওয়ার কোন ইচ্ছেই ছিল না।
কিন্তু পাজি মেয়েটার জন্য রাতে হুদাই বের হতে হচ্ছে। একদিক দিয়ে ভালোই হলো,,রাতের খাবারটা একবারে বাইরে থেকে খেয়ে আসব। আর রাতে কষ্ট করে রান্না করতে হবে না।।
গ্যারেজ থেকে বাইক বের করে বাইরে বের হলাম।।
উদ্দেশ্য সিনেমা হল..! ফ্রেন্ডদের কাছে যাওয়া যাবে না।
ওদের কাছে গেলে আমি নিশ্চিত শহিদ হয়ে যাব..!
তাই একা একা একটা হলিউড মুভি দেখলে মন্দ হয় না।
আর তাছাড়া অনেক মেয়ে,ছেলে আসবে। আর আমি তাদেরকে দেখে,,, কি জেন বলে..? ও মনে পরেছে ক্রাশ খাবো…😁😁
আমার বাসা থেকে সবচেয়ে কাছের একটা সিনেমা হলে চলে এলাম।
বাইক পার্কিং করে টিকিট কাউন্টারে চলে গেলাম।
সেখানে গিয়ে দেখি এখন হলে নাকি ‘Road Wars (2021) মুভিটা চলতেছে। আমার তো মেজাজ টা হেব্বি চাংগা হয়ে গেল।
কারন মুভি দেখার বাদশা মি. সুকুর আমাদের ফ্রেন্ড সার্কেলের সবাইকে বলেছে মুভিটা নাকি সেই মাপের।
সেই মাপের ভাক্কা দিছে সকলের কাছে।
তাই আমারো দেখার খুব ইচ্ছে ছিল মুভিটা। যাই হোক আজকে সেই ইচ্ছেটা পূরন হতে চলেছে।
[সুকুর আলী,,হচ্ছে আমার একটা ফ্রেন্ড এর নাম। আমার জানা মতে এমন কোন মুভি নেই যেগুলো এই সুকুরের বাচ্চা দেখে নাই। সারা দিন রাত শুধু মুভি নিয়ে পরে থাকে। যেমনটা আমি ক্রিকেট খেলা নিয়ে৷ তাই সুকুরকে আমরা সবাই মুভি দেখার বাদশা বলে ডাকি। i think,,এইবার আপনাদের কাছে বিষয়টি ক্লিয়ার হয়েছে]
যাই হোক আমি আমি টিকিট কেটে তাড়াতাড়ি করে ভিতরে চলে গেলাম।
কারন ওলরেডি মুভি স্টার্ট হয়ে গেছে।
আমি ভালো করে দেখে একটা মেয়ের পাশের সিটে বসে পরলাম..!
মেয়েটার দিকে আর চোখে তাকিয়ে দেখি,,মোটামুটি দেখতে শুনতে ভালোই। তবে,,ক্রাশ খাওয়ার মতো না। আরে ভাই ক্রাশ খেতে কোন টাকা পয়সা কিচ্ছু লাগে না আমি মানলাম। তাই বলে কি যার তার উপরে নাকি.? আমার একটা পারসোনালিটি আছে না।
আমিও আর বেশি কিছু না ভেবে মুভি দেখায় মনোযোগ দিলাম।
কিছুক্ষণ মুভিটি দেখার পরে বুঝলাম মুভির নাম যেমন,,, মুভিটাও ঠিক তেমনি বাম্পার। আসলে সব হলিউড মুভিই দারুণ হয়ে থাকে।
যাইহোক আরো কিছুক্ষণ দেখার পরে হটাৎ মনে হলো কেউ আমাকে চিমটি দিল..!
আমি আশেপাশে তাকালাম। চারিদিকে অন্ধকার তাই ভালো বুঝলাম না বিষয়টি।
আমি মুভি দেখায় মন দিলাম। আবারো,, একই কান্ড এইবারো ধরতে পারলাম না কে চিমটি দিছে। আমার বাম পাশে একটা মেয়ে। আর ডান সাইড ফাকা।
পিছে এন্ড সামনে অনেক লোক আছে। তাই বুঝে ওঠা কষ্টকর।।।
দেখতে দেখতে মুভিটা শেষ হয়ে গেল।।
আমি তাড়াতাড়ি বেড়িয়ে গেলাম হল থেকে।
হাতের ঘড়িতে তাকিয়ে দেখি রাত ১০.৩০ বাজে।। একটু খুদা খুদা লাগতেছে। যাই রেস্টুরেন্টে থেকে কিছু খেয়ে আসি.
বাইকের কাছে এসে বাইক স্টার্ট দিব। তখনই আমার পাশের সিটের সেই মেয়েটা আমার সামনে এসে দাড়াল…
— কিছু বলবেন…?(আমি)
— আপনি তো অনেম বোকা আছেন…(মেয়েটি)
— মানে..? ঠিক বুঝলাম না।।(আমি অবাক হয়ে)
— মানে,,সিনেমা হলে বসে আপনাকে এত গুলো চিমটি দিলাম। তাও আমাকে ধরতে পারলেন না..?(হেসে)
— ওহহ,,মাই গড..! এর মানে আপনি…(আমি)
— হুম,,,আমি.. (মেয়েটি)
— আমি আসলে,,মুভি দেখায় বিজি ছিলাম। তাই আরকি খেয়াল করি নাই…(আমি)
— ও আচ্ছা…! আমি নাবিলা…(নাবিলা হাত বারিয়ে)
— আমি শ্রাবন….(হাত মিলিয়ে)
— বাই দা ওয়ে… আপনি কি এখন বাসায় যাবেন.? নাকি অন্য কোথায়..?(নাবিলা)
— না,,,ঠিক বাসায় যাব না। ব্যাচেলর মানুষ তো তাই,,রাতের খাবার খেতে রেস্টুরেন্টে যেতে হবে। (আমি হেসে)
— আপনি কিছু মনে না করলে আমরা কি আজকে রাতের ডিনারটা একসাথে করতে পারি..?(নাবিলা)
আমি কিছুসময় ভেবে বললাম,,
— কেন নয়..! বাইকে উঠুন..(আমি)
— শিওর…
এরপর আমি আর নতুন পরিচিত নাবিলা একটা রেস্টুরেন্টের সামনে এসে দাড়ালাম।
বাইক থেকে নেমে রেস্টুরেন্টের ভিতরে চলে গেলাম।।
এরপর খাওয়ার সময় আমার অজ্ঞান হওয়ার মতো অবস্থা৷ কারন আপনার আগে থেকেই জানেন বকবক করা মেয়ে আমার একটুও পছন্দ নয়। প্রথমে ভেবেছিলাম নাবিলা মেয়েটা বুঝি একটু শান্ত হবে। কিন্তু এটা তো নিশির থেকে বেতাল।।
আমার লাইফ থেকে এই একটা ঘন্টা শুধু শুধু চলে গেল।
শুধু শুধু একটা বাচাল মেয়ের পিছে সময় নষ্ট করলাম।।
আমি শুধু মুখে হ্যা হ্যা বলে কোন মতে বাইক নিয়ে চলে এসেছি। আসার সময় খচ্ছর মেয়েটা আমার মোবাইল নাম্বার রেখে দিয়েছে। আমরা নাকি এখন থেকে ফ্রেন্ড..
যাই হোক,,এইবার আমি বেশি বকবক করে ফেলতেছি।
চলুন বেশি কথা না বলে বাসায় যাই। অনেক রাত হয়ে গেছে।।।।
[নাবিলা নামের মেয়েটার গল্পে এখন কোন ভূমিকা নেই। কিন্তু পরে নাবিলা নামের এই মেয়েটার কিছুটা ভূমিকা থাকবে। তাই আগে থেকেই পরিচয় করিয়ে রাখলাম ]
সকালবেলা এলার্ম-ঘড়ি এর কারনে আমার সুন্দর ঘুমটা ভেঙে গেল।।
বিছানায় শুয়ে ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখি সকাল ৮ টা বাজে।।
তাড়াতাড়ি বিছানা থেকে উঠে ফ্রেশ হতে চলে গেলাম।
কারন,, আজকে অফিসে যেতে হবে।
অফিসে গিয়ে একটা গুরুত্বপূর্ণ ফাইল জমা দিতে হবে।
সময় মতো অফিসে না গেলে কোম্পানির অনেক বড় লস হয়ে যাবে।
ফ্রেশ হয়ে রুমে এসে অনলাইনে খাবার ওর্ডার দিলাম।(ল্যাপটপ)
খাবার ওর্ডার করে অফিসের ফাইলটা একটু চেক করতে লাগলাম। সব কিছু ঠিকঠাক আছে কি না,,একবার চেক করে দেখতেছি।
ফাইলটা চেক করে গুছিয়ে রাখার পরপরই বাসার কলিং বেল বেজে উঠল।
আমি বাসার দরজা খুলে তো বড়সড় একটা শক পেলাম + একটু খুশিও হলাম।
কারন আমার সামনে রাহুল খাবার নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। মানে রাহুল হচ্ছে খাবার ডেলিভারি বয়।
এটা দেখে আমি অনেক খুশি হয়েছি।
আর রাহুল ও যে আমাকে দেখে অনেক অবাক হয়েছে সেইটা দেখেই বোঝা যাচ্ছে।।।
— স্যার,,আপনি এখানে..??(রাহুল)
— আরে ব্যাটা,,কথা না বলে আগে বাসার ভিতরে আয়। এরপর বাকি সবকিছু হবে।।।(আমি হেসে)
এরপর আমি রাহুলকে নিয়ে বাসার ভিতরে এলাম।।
— তো রাহুল….!! সৎ পথে ইনকাম করে এখন কেমন লাগতেছে তোর.??(আমি)
— স্যার,,অনেক ভালো লাগতেছে।। সেই দিনের জন্য আমি দুঃখিত স্যার।।(রাহুল)
— তুই এখনো সেই দিন নিয়ে পরে আছিস.?? তোকে এইভাবে দেখে জানিস আমি কত খুশি হয়েছি.? এইভাবে কাজ করে যা,,দেখবি অনেক বড় হবি একদিন।।(আমি)
— জি,,স্যার।। দোয়া করবেন।। (রাহুল)
— হুম,,অবশ্যই….!!!
[আপনারা কিছু বুঝতে পারতেছেন না। এইটা আমি জানি। আসুন কয়েক দিন আগের ফ্লাস ব্যাকে চলে যাই..এরপর আপনাদের কাছে সব কিছু ক্লিয়ার হয়ে যাবে]
#ফ্লাস-ব্যাক (২ মাস আগে)
আমি তখন প্রায় ৫ মাসের মতো কোম্পানিতে চাকরি পেয়েছি। নতুন নতুন চাকরি পেয়েছিলাম তখন। এর উপরে বাসায় কেউ নেই। আমি একাই। আমার নিজের খরচ ছাড়া বাকি কোন খরচই নেই। অফিসের বেতন আমার অনুমানের থেকে কয়েক গুন বেশি ছিল।
তাই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম বাইক কিনব।।
যে ভাব সেই কাজ।
৩ আগস্ট অফিসের বেতন পেয়ে সোজা বাইকের শো-রুম এর দিকে যাচ্ছিলাম।। (সাথে আরো টাকা ছিল)
মনে মনে অনেক হ্যাপি ছিলাম। নতুন বাইক কিনতে যাচ্ছি।
ছোটবেলা থেকে অনেক সপ্ন ছিল আমার নিজের একটা বাইক থাকবে। আব্বুর কাছে অনেক বায়না ধরেছি বাইক কিনে দেওয়ার জন্য কিন্তু,, কোন লাভ হয় নি।।।
যাই হোক গল্পে ফেরা যাক,,
তো আমার অফিস থেকে শো-রুম বেশি দূরে নয়। তাই ভাবলাম হেটেই চলে যাই। তাছাড়া বাইক কিনতে যদি রিকশা নিয়ে যাই, কেমন একটা দেখায় না.? তাই হেটেই যাচ্ছিলাম।।
আমার ডান হাতে টাকার ছোট একটা প্যাকেট ছিল।।।
একটা বস্তির রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলাম। তখনই কোথা থেকে একটা ছেলে এসে আমার হাত থেকে টাকার প্যাকেটটা ছিনিয়ে নিয়ে দৌড় দেয়।।
ব্যাপারটা বুঝতে আমার ৩০ সেকেন্ড সময় লাগে। এরপর আমিও সাথে সাথে ওর পিছে দৌড় মারি।।
ছোট বেলা থেকে ইচ্ছে ছিল বড় হয়ে পুলিশ হব। তাই দৌড়টা আমি ছোটবেলা থেকে একটু বেশিই জানতাম।।
অবশেষে। ছেলেটাকে আমি ধরে ফেলি।
এবং সাথে সাথে অনেক মারধর করি।।
আশেপাশে লোকজন ছিল না। থাকলে ছেলেটাকে মেরে ফেলত একদম।
পরে যখন টাকা নিয়ে চলে আসতে যাব। তখনই খেয়াল করি,,ছেলেটার অনেক জায়গায় কেটে গেছে। আর ছেলেটা ফ্যালফ্যাল করে আমার দিকে তাকিয়ে আছে। ওকে দেখে তখন আমার একটু মায়া হল। তাই বাধ্য হয়ে হাসপাতালে নিয়ে গেলাম।।।
ডাক্তারের কাছ থেকে জানতে পারি ছেলেটা ঠিকঠাক খাওয়া দাওয়া করে না। তখন আমি চুরির আসল কারন বুঝতে পারি। এখানে ওর তো কিছু করার নেই। খুদার অভাবে বাধ্য হয়ে চুরি করে।
তাই আমি ছেলেটার কাছে গিয়ে অনেক কথা বলি।
কথা বলে জানতে পারি ছেলেটার নাম রাহুল।
আমার এমন উদারতা দেখে রাহুল অনেক অবাক হয়েছিল। আর রাহুল আমাকে কথাও দিয়েছিল যে,,ও আর কোন দিন চুরি করবে না। আর যদি অতিরিক্ত খুদা লাগে তাহলে যেন আমার কাছে চলে আসে।
এরপর আর কোন দেখা সাক্ষাৎ হয় নি রুহুলের সাথে।।
#বর্তমানে,,,
এরপরের সব কিছু তো আপনার জানেনই।।
রাহুল যে খাবার নিয়ে এসেছিল সেইটা আমি আর রাহুল দুজনে মিলে খেয়ে নেই। রাহুল তো খেতে রাজি হচ্ছিল না। আমি জোর করার পরে খেতে রাজি হয়।।
রাহুলকে বিদায় দিয়ে আমি বাইক নিয়ে বেরিয়ে পরলাম অফিসের উদ্দেশ্যে। অফিসে এসেই…….
.
.
.
.
.
#চলবে……????