সিনিয়র খালাতো বোন পর্ব-৮

0
1871

#সিনিয়র_খালাতো_বোন
#part_08
#writer_srabon

আমি বাসার ভিতরে প্রবেশ করে আরো অবাক হই।
বাসার সব লোকজন ড্রয়িং রুমে বসে আছে।
আমি জিজ্ঞেস করতে যাব তার আগেই আমার গালে
ঠাসসসস করে একটা চর বসিয়ে দেয় আব্বু…

আমি সাথেসাথেই আম্মুর দিকে তাকাই। কিন্তু আম্মু তার মুখ অন্যদিকে ঘুরিয়ে নেয়। এরপর ভাবির দিকে তাকাই। ভাবিও চুপ করে দাঁড়িয়ে আছে।

আমার এমন করে তাকানোর পিছনে একটা অন্যতম কারন হচ্ছে,, যখন আব্বু বা ভাইয়া আমাকে বকা দিত তখন আম্মু না হয় ভাবি আমাকে তাদের হাত থেকে বাচিয়ে নিত। আর আজকে তো আব্বু সরাসরি আমার গালে থাপ্পড় দিয়েছে। অথচ তাদের কোন রিয়েকশন আমি দেখতে পেলাম না।

আমি আব্বুর দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করলাম,,,

— আব্বু,,তুমি আমাকে মারলে কেন..??(আমি)

— তুই তোর খালুর বাসায় গিয়ে কি কান্ড ঘটিয়েছিস..?? তোর খালু একটু আগে আমাকে ফোন করে যে কথাগুলো বলেছে সেগুলো কি সত্য..??(আব্বু)

আমার আর বুঝতে বাকি নেই যে খালু আব্বুকে ফোন করে সবটা জানিয়ে দিয়েছে।।কিন্তু আব্বু এটাতে এত রিয়েক্ট করতেছে কেন বুঝলাম না।

— হুম….!(আমি আস্তে বললাম)

আমার কথা শেষ হতে না হতেই ভাইয়া এসে আমার গালে আরেকটা ঠাসসসসস করে চর বসিয়ে দিল।।
এইবার আমার ভিষণ রাগ হলো। কারন আমি তেমন কোন অপরাধ করি নাই। এইটা সম্পূর্ণ অসীমের কাজ। ওকে তো শুধু আমি ভয় দেখাতে বলেছিলাম কিন্তু অসীম তো বিশাল এক কান্ড ঘটিয়ে ফেলেছে।

— ভাইয়া,,তুমি আমাকে যতই মার না কেন, আমি শিমলাকে ভালোবাসি। আর ওকেই বিয়ে করব। (আমি)

— তোর এত বড় সাহস..? তুই আমার সামনে দাড়িয়ে এমন কথা বলিস..??(আব্বু)

— যেটা সত্যি আমি তাই বলেছি। (আমি)

— তুই যদি এটাই ঠিক করে থাকিস তাহলে আমি ভাবব যে আমার মাত্র দুই ছেলে। ভেবে নিব ছোট ছেলে কোন এক দুর্ঘটনায় মারা গেছে। (আব্বু)

পরিবারের সকলের সাথে আমার সম্পর্ক ভালো থাকলেও আব্বুর সাথে তেমন একটা ভালো বন্ডিং ছিল না। যার ফলে আমি আব্বুকে ছোটবেলা থেকেই ভয় পেতাম। আর মনে মনে অনেক সম্মান করতাম। কিন্তু আব্বু এখন যে কথাটা বলল তাতে আমার মাথা পুরো গরম হয়ে গেল।
একদিকে বিনা অপরাধে শিমলার কাছে আজীবনের জন্য ক্রিমিনাল হয়ে গেছি। আর এদিকে আব্বুর এমন কথা কার ভালো লাগে.?

তাই আমি কাউকে কিছু না বলে সবার সামনে থেকে উপরে আমার রুমে চলে আসি।
নিজের রুমে এসে আমার প্রয়োজনীয় সব কিছু একটা ব্যাগে প্যাক করে নিয়ে নিচে চলে আসি।

আমাকে এমম ভাবে দেখে সবাই একটু অবাক হলো।
আম্মু তো টলমল চোখে আমার দিকে তাকিয়ে আছে।
এরপর আমি আব্বুর সামনে এসে বলি,,,

— আমার ভালোবাসা এত সস্তা না। যে তোমার হাতের একটা থাপ্পড়েই সব ভালোবাসা পালিয়ে যাবে।
আমি যাকে ভালোবাসি আর তাকেই ভালোবেসে যাব। আমার নিজের কারনেই আমি শিমলার কাছে অপরাধী হয়েছি। কোথায় ভেবেছিলাম তোমাদের কাছ থেকে একটু সাপোর্ট পাব এই সময়ে কিন্তু না। আমাকে ভুল প্রমান করে দিয়ে তোমরা আমাকেই বকাবকি করতেছ.? ভালো। আব্বু বিশ্বাস করো তোমার মুখের কথা গুলো শুনে খুব অবাক হলাম।
আমি শিমলাকে কোনদিনও ভুলতে পারব না। আর এই বাসায় থাকতে হলে তো শিমলার সাথে কোন যোগাযোগ রাখা যাবে না। তাই, আমি নিজেই বাসা থেকে চলে যাচ্ছি। আর আব্বু এখন থেকে তুমি তোমার দুই ছেলেকে নিয়েই থাকো। ভেবে নিও শ্রাবন নামে তোমার কোন ছেলেই ছিল না। আসি….. (আমি)

আমি এই কথা গুলো বলে সকলের দিকে একবার তাকিয়ে দেখলাম। কিন্তু কারো চোখে আমাকে আটকানোর সাহস ছিল না।। তাই আমি ওই দিনই বাসা ছেড়ে বেরিয়ে যাই। আমি যখন দরজার কাছে চলে এসেছিলাম তখন আম্মু আমাকে একটা ডাক দেয়।
আমি সাথে সাথেই পিছে ফিরে তাকাই। ভেবেছিলাম আম্মু হয়তো আব্বুর বিরুদ্ধে গিয়ে আমাকে আটকিয়ে রাখবে।
তখনই আব্বু আবার বলে ওঠে,,,

— এতদিন বাপের হোটেলে খেয়েছে তো, তাই বুঝতে পারতেছে না যে দুনিয়াটা আসলে কত ভয়ংকর। কত কঠিন বেচে থাকা। যখন পেটের কষ্ট অনুভব করবে তখন দেখবে এমনিতেই ছুটে আসবে। শুধু শুধু আটকানোর দরকার নেই। (আব্বু)

সেই দিনের বলা আব্বুর কথা গুলো আসলেই সত্য ছিল।
আমি নিজের জীবনে এটা অনুভব করেছি। তাই এত জোর দিয়ে কথাটা বললাম।।

— তুমি শুধু শুধু এত রাগারাগি করো না। আমার ছেলেটা কোথায় যাবে..? ছোটবেলা থেকে কত আদর যত্ন করে ওকে বড় করেছি আমরা। আর এখন হুট করেই কোথায় যাবে ছেলেটা। তাছাড়াও আমি ওকে ছাড়া এক মুহুর্তও থাকতে পারব না। তুমি তো জানো ছোটবেলা থেকেই ওর রাগ একটু বেশি। এখন তোমরা দুজনই যদি রাগ দেখাও তাহলে কি করে হবে বলো..?(আম্মু কান্না করে)

— আম্মু,,,তুমি শুধু শুধু কান্না করবে না বলে দিচ্ছি। তুমি কার জন্য কান্না করতেছে.?? যে কি না কলেজের সস্তা পোলাপানদের সাথে ঘুরে ভেরায়। আর সারাদিন এই জায়গায় মারামারি না হয় ওই জায়গায় মারামারি। আব্বু -আম্মু তোমার বিশ্বাস করবে না ও এই বয়সে তিনবার জেলের ভিতরে গিয়েছে। আর প্রত্যেক বারই আমি তোমাদের থেকে লুকিয়ে গিয়ে ওকে ছাড়িয়ে এনেছি। (বড় ভাইয়া)

আমি দরজার কাছে দাড়িয়ে সব কথা গুলো শুনতেছিলাম। আসলে ভাইয়া সত্য কথা বলতেছে। এর আগে কয়েকবার ছোটখাটো ঝামেলার কারনে জেলে যেতে হয়েছে। আর প্রত্যেক বারই ভাইয়া ছাড়িয়ে এনেছে।
মাথাটা নিচু করে আছি। আর ভাবতেছি আসলেই তো আমি কোথায় যাব এখন.? কি করব.? আমার কাছে তো তেমন টাকাও নেই। কেন শুধু শুধু রাগ দেখিয়ে ব্যাগ গুছিয়ে নিচে চলে এলাম.? মনে মনে নিজেকেই বকা দিলাম। রেগে গেলে যে আমার কি হয়ে যায় আমি নিজেও জানি না।।।।

— এই নিবাবের বাচ্চা,,এখন মাথা নিচু করে আছিস কেন.?? ও যে কথা গুলো বলল সে সব কি সত্যি.??(আব্বু)

আমি আব্বুর দিকে তাকিয়ে মাথা নারিয়ে হ্যাঁ বললাম।।

আব্বু আমার এই কথাটা শুনেই যেন তেলেবেগুনে জ্বলে উঠল,,,সাথে সাথেই খুব জোরে আম্মুকে উদ্দেশ্য করে বলল,,,

— তুমি এখনি তোমার আদরের দুললাকে আমার বাড়ি থেকে বেরিয়ে যেতে বলো..। আমি বেঁচে থাকতে যেন ও আমার সামনে না আসে। এটাই আমার শেষ কথা। (আব্বু)

— বাবা,, আপনি একটু শান্ত হয়ে বসুন। আর….(ভাবিকে থামিয়ে দিয়ে)

— আর যদি ওর হয়ে কেউ কথা বলতে চাও,,তাহলে সেও ওর সাথে চলে যেতে পারো। (আব্বু)

আব্বু এইটা বলে তার রুমে চলে গেল।
আম্মু কান্না করতে করতে রান্নাঘরের দিকে চলে গেল। ভাবি আমার দিকে আসতে গেলে ভাইয়া তাকে জোর করে নিয়ে যায়।
নিচের ড্রয়িং রুমে এখন শুধু আমি আর মেজ ভাইয়া..!

ভাইয়া তার পকেট থেকে মানিব্যাগ বের করে আমার কাছে দেয়। আর বলে,,

— ভাই,,তুই আপাতত একটা রুম ভাড়া করে থাক। আব্বুর মাথা ঠান্ডা হলে আমি নিজে গিয়ে তোকে বাসায় নিয়ে আসব।আর এইখানে কিছু নগদ টাকা আর আমার এটিএম কার্ড আছে। তুই তোর ইচ্ছে মতো খরচ করতে পারিস সমস্যা নেই। (ভাইয়া)

আমি ভাইয়ার মানিব্যাগটা নিচে ছুড়ে ফেলে দিলাম। আর বললাম,,,

— আমাকে দেখে কি তোর ভিখারি মনে হয়.?? একবার বাসা থেকে বের করে দিবি। আবার ইচ্ছে হলে নিয়ে আসবি। ফাজলামো করিস আমার সাথে.? তোর দুই ভাই ইনকাম করিস তাই তোদের সাথে আব্বুর খুব ভালো একটা সম্পর্ক আর আমি ইনকাম করি না বলে আব্বু আমাকে যা ইচ্ছে তাই বলবে.??(আমি)

— দেখ ভাই আমি এইভাবে বলতে চাই নি। তোর বোঝার ভুল এইটা। আব্বু আমাদের সবাইকেই সমান ভালোবাসে৷ (ভাইয়া)

— ভালো থাক তোরা তোদের ফ্যামিলি নিয়ে। আমি যাই..! বেচে থাকলে দেখা হবে। আর আমি চাইব না যে আমার মতো ফালতু লোকের সাথে আবার তোদের দেখা হোক।

এইটা বলে আমি বাসা থেকে বেরিয়ে আসি সেইদিন। ভাইয়া পিছন থেকে অনেক ডেকেছিল। কিন্তু আমি আর ডাক শুনি নাই। কারন আমার মাথা তখন প্রচুর গরম ছিল।।

যেহেতু সেইদিন অনেক রাত হয়ে গিয়েছিল। তাই সেই দিন রাতে একটা বন্ধুর বাসায় থেকে যাই।

এরপর সকালবেলা বন্ধুর বাসা থেকে বের হয়ে সোজা ভার্সিটি যাই। সেখানে গিয়ে ক্যাম্পাসের সকল জায়গায় অসীমকে খুজি। কিন্তু ওকে কোথাও খুজে পাই না। অবশেষে বাধ্য হয়ে প্রিন্সিপাল স্যার এর রুমে যাই। সেখান থেকে আমার প্রয়োজনীয় সকল কাগজ নিয়ে নেই।
উদ্দেশ্য ঢাকা কারন, বড় ভাইদের কাছে শুনেছি কাজের সবচেয়ে বেশি জায়গা নাকি ঢাকাতে। তাই আমিও মনে মনে ঠিক করি ঢাকা গিয়ে যেকোনো একটা কাজ ঠিক করে নিজের জীবন চালাব। পরিবারের কারো সাথে কোন যোগাযোগ রাখব না৷

ভার্সিটির কাছেই বাসস্ট্যান্ড ছিল।
সেখানে গিয়ে একটা টিকিট কেটে বাসে উঠে পরি। হাতে মাত্র অল্প কিছু টাকা ছিল।
কি থেকে কি করব কিছুই মাথায় আসতেছিল না।

আনুমানিক বিকাল ৩ টার সময় আমি ঢাকা এসে পৌছায়।
বাস থেকে নেমে চারিদিকে দেখতে লাগলাম। প্রচুর লোকজন চারিদিকে। আর সবচেয়ে বিরক্তিকর বিষয়টি হচ্ছে গাড়ি। এত পরিমাবে যানবাহন যে ঠিক ভাবে হাটাই যাচ্ছে না।
সারা দিনে তেমন কিছু খাওয়া হয় নি। তাই প্রচুর খুদা লেগেছিল।
একটা চায়ের দোকানে গিয়ে কিছু খেয়ে বাসা খুজতে বের হয়ে পরি।
কিন্তু অনেক খোজা খুজি করেও কোন বাসা ভাড়া পাই না।

রাত ৯ টার সময় মন খারাপ করে রাস্তার পাশ দিয়ে হাটতেছিলাম। হাতে মোবাইলটা নিয়ে শিমলা আপুর ছবি গুলো দেখতে লাগলাম। নিজের অজান্তেই মুখের কোনে একটা হাসি চলে এলো।। কিন্তু হটাৎ করে কোথা থেকে একটা লোক এসে আমার হাত থেকে আমার ফোন কেড়ে নিয়ে দৌড় দেয়।
আমি যেহেতু ঢাকা শহরে নতুন ছিলাম তাই কোন অভিজ্ঞতা ছিল না। আমিও লোকটিকে ধাওয়া করতে করতে ওর পিছে যাই।

কিন্তু আমি লোকটাকে ধরতে পারি না। বরং আমি রাস্তার মাঝখানে চলন্ত একটা প্রাইভেট কারের সাথে ধাক্কা খাই। আমার মুখটা গাড়ির সামনের গ্লাসে গিয়ে প্রচুর গতিতে ধাক্কা খায়। দেখতে দেখতে আমার নাখ,মুখ দিয়ে রক্ত বের হতে লাগল। আর এদিকে পায়ে প্রচুর ব্যাথা পেয়েছি। আর নিজেকে ঠিক রাখতে পারলাম না। আমি রাস্তায় লুটিয়ে পরলাম। তবে আমার দুচোখ খোলা ছিল।

আমি চোখ বন্ধ করা পর্যন্ত দেখতে পাই গাড়ি থেকে একটা মেয়ে বের হয়ে আমার দিকে আসতেছে। আর কিছু মনে নেই।

————————————

এরপর আমি যখন চোখ মেলে তাকাই তখন নিজেকে হাসপাতালের বেডে আবিষ্কার করি। আমার সাথে সাথেই সব কিছু মনে পরে গেল। যখনই আমি বেড থেকে উঠতে যাব,,তখন মাথায় প্রচন্ড ব্যথা অনুভব করলাম।
তখনই খেয়াল করি আমার মাথায় ব্যান্ডেজ করা।

একটা নার্স আমার জ্ঞান ফিরতে দেখে বাইরে কাকে যেন ডাকতে চলে গেল।
আমি চুপচাপ বেডে শুয়ে রইলাম। কিছু সময় পরে একটা মেয়ে আর একজন ডাক্তার আমার কাছে এলো।
আমি ভালো করে দেখতে লাগলাম। হুম এই সেই মেয়েটা যার গাড়ির সামনে আমি চলে এসেছিলাম।
আমি কথা বলতে যাব। কিন্তু মুখে ভিষণ ব্যথা অনুভব করলাম।
আমাকে এমন করতে দেখে ডাক্তার বলল,,,

— এখন একদম কথা বলার দরকার নেই। আস্তে আস্তে মুখের ব্যথা ঠিক হয়ে যাবে। তখন এমনিতেই কথা বলতে পারবেন। (ডাক্তার)

— আচ্ছা,,স্যার এখন কি কোন ভয়ের কারন আছে..?(মেয়েটি)

— না,,এখন কোন সমস্যা নেই। তবে রুগীর অনেক যত্ন নিতে হবে। তাহলেই তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠবে। (ডাক্তার)

— রুগীকে বাসায় নিয়ে যাব কবে..?(মেয়েট)

— তিনদিন এখানেই রাখতে হবে। এরপর আপনি চাইলে বাসায় নিয়ে যেতে পারবেন৷

— আচ্ছা,,,অসংখ্য ধন্যবাদ স্যার..!!..

এরপর ডাক্তার চলে গেল। আর আমি মেয়েটা আমার কাছে চলে এলো। আমার সামনে একটা চেয়ারে বসে বলতে লাগল,,

— I am so sorry… আসলে কাজে একটু ব্যস্ত ছিলাম তাই জোরে ড্রাইভ করতেছিলাম। যার কারনে এই এক্সিডেন্টটা হয়ে যায়। (মেয়েটি)

আমি চুপ করে আছি। শুধু তাকিয়ে তাকিয়ে দেখতে ছিলাম।

— অনেক হয়েছে সরি বলা। এইবার পরিচয় হয়ে নেই। হায়..! আমি অজান্তা স্পর্শি। আর আপনি…?(মেয়েটি)

মেয়েটার নামটা তো সুন্দর। তবে আমি আমার কথা কি করে বলি.? আমি তো কথাই বলতে পারতেছি না। তখনই মেয়েটা বলল,,,

— ওহহহ,,,সরি..! পরে পরিচয় হয়ে নিব। এইবার আপনার বাসার ঠিকানা বলেন।।

আমি শুধু তাকিয়ে তাকিয়ে দেখতে লাগলাম মেয়েটির কান্ড। মেয়েটি শুধু কথা বলেই যাচ্ছে আর আমি মাথা নারিয়ে হ্যাঁ, না বলতেছি।

এইভাবে দেখতে দেখতে তিনিদিন কেটে যায়।
আজকে আমাকে এখান থেকে চলে যেতে হবে। আমি এখন মোটামুটি সুস্থ। তাই ভাবলাম কাউকে কিছু না বলেই চলে যাব। কিন্তু……

.
.
.
.
#চলবে…..???

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here