#সীমাহীন ভালোবাসার নীড়
#লেখিকা:নওশিন আদ্রিতা
#পার্ট:২০
,
,
,
,
আদ্রিকে রুমের ভিতরে আটকে নির গাড়ি নিয়ে চলে গেলো অন্য কোন জায়গায়।নির সোজা গেলো খান মঞ্জিলে।
নাহিদ খান নিউজ পেপাড় পরছিলেন। হঠাৎ প্রচন্ড আওয়াজে কেঁপে উঠলেন সামনে তাকায়ে দেখে নির লাল চোখে তাকায় আছে নাহিদ খানের দিকে মনে হচ্ছে চোখের আগুনেই জ্বলসে দিবে নাহিদ খানকে। নির আর নাহিদ খান এর মাঝখানেই কাঁচের টি টেবিল টা গুরোগুরো হয়ে পরে আছে।
নাহিদঃএই সব কি অসভ্যতা মিস্টার নির।
নিরঃঅসভ্যতামির দেখলেন কি মিস্টার খান। যে লোক টাকার বিনিময়ে নিজের মেয়েকে বিক্রি করতে পারে যে লোক টাকার বিনিময়ে নিজের স্ত্রীকে খুন করতে পারে। তার সাথে অসভ্যতামী করতেও ঘৃণা লাগে।
নাহিদ ঘাবড়ে যায়। কাপা কাপা হাতে কপালের ঘাম আঙুল দিয়ে মুছে। নির সেটা দেখে নিজের পকেট থেকে রুমাল বের করে নাহিদ খান কে দেয়।
নিরঃনেন মুছে নেন। আপনার নোংরা ঘাম মাটিতে ফেলে সেটা দূষিত করবেন না।
নাহিদঃএই ছেলে এই কি বলছো এগুলো হ্যা ভুলে গেছো তুমি এখন কার বাসায় দাঁড়ায় আছো। তোমার মাথায় আছে আমি চাইলেই তোমাকে এখানেই শেষ করে ফেলতে পারি।(জোড়ে চিল্লিয়ে)
নিরঃওহ রিয়েলি ওকে এই নেন বসে গেলাম করেন শেষ।
নাহিদঃগার্ডস(চিল্লিয়ে)
নাহিদের সাড়াই কেউ ভিতরে প্রবেশ করলোনা সেটা দেখে হেসে ফেললো নির শব্দ করে নাহিদ তাকাতেই ভয় পাওয়ার অভিনয় করে ঠোঁটে আঙ্গুল দিলো।
নিরঃসরি সরি। আপনার ডাকে তো কেউ আসলোনা
এবার আমি ডাকি কি বলেন (ভ্রু নাচিয়ে) বয়েজ কাম (চিল্লিয়ে)।
নির এর এক ডাকে সেখানে ৫০০ ওর উপরে গার্ডস এসে হাজির হলো। মিস্টার খান কিছুটা ঘাবড়ে গেলেন। সেটা দেখে হেসে দিলো নির।
নিরঃবয়েজ তোমরা বাহিরে যাও নাহলে বেচারার এক পা এমনিতেই কবরে আছে আরেক পাও চলে যাবে।
নাহিদঃনির বেশি হচ্ছে এইসব (চিল্লিয়ে)
নিরঃজাস্ট কিপ ইউর মাউথ সাট।ভুলেও আমার সামনে গলা উচু করার সাহস দেখাবেন না। (দ্বিগুন চিল্লিয়ে)
নাহিদ খান চুপ হয়ে গেলো।
নিরঃএবার শুরু করা যাক স্টোরি তো বলেন মিস্টার খান কোথা থেকে শুরু কাহিনী।
(পায়ের উপর পা তুলে)
নির কোন উত্তর না দিয়ে সুট করে দিলো নাহিদ এর বাম পায়ে। নওরিন বেগম দূর থেকে দেখছিলেন নিচে যাওয়ার সাহস হয়নি কিন্তু স্বামির রক্ত দেখে ঠিক থাকতে পারলেন না চিৎকার করে উঠলেন।
নিরঃওহ মিসেস খান এতো জোড়ে চিল্লান কেন রিনা খানের মতো রুমে যান আপনার সাথেও অনেক হিসাব বাকি আছে। গার্লস মহিলাকে সসম্মানে রুমে নিয়ে যাও তো।(মেয়ে গার্ডস দের ডেকে)
ওইদিকে নাহিদ খান ব্যাথায় কাতরাছে।ফ্লোর রক্তে লাল হয়ে গেছে।
নিরঃতো আপনি কি বলবেন নাকি আরেকটা (গুলি তাক করে)
নাহিদঃআ আমি বলছি।
নির সোফায় হেলান দিয়ে পায়ের উপর পা তুলে দিয়ে বসে পড়লো।
নাহিদঃ১২ বছর আগের কথা। কম্পানির লস চলছিলো তখন। যে প্রজেক্ট টা হাতে নিয়েছিলাম সেটাতেও লোস হয়ে গেছিলো।এদিকে শেয়ার হোল্ডার দের টাকা দিতে হতো এদিকে ব্যাংক থেকেও লোন নেওয়া হয়েছিলো মাথায় কিছু কাজ করছিলোনা। কি করবো না করবো।তখন অনেক বড় এক বিজনেস ম্যান আমাকে হেল্প করে,,,,,,
নিরঃআহাদ চৌধুরী এম আই রাইট(শান্ত স্বরে)
নাহিদঃহ্যা। সে আমার সকল লোন শোধ করে আর আমাকে তার নিউ প্রজেক্ট এর পার্টনার করে।
আমি বুঝে পায়না একজন অচেনা লোক যাকে আমি জানিনা চিনিনা সে কেনো আমার এতো হেল্প করছে।
পরে জানতে পারি সে আমার বিজনেস পার্টনার নিহাল চৌধুরীর ভাই উর্ফে তার শত্রু কোন এক কারনে দুইজনার ভিতরে ছিলো আলাদা এক রাগ।
সে তার ভাইকে মারতে চেয়েছিলো কিন্তু এটাতে সে একা পারতোনা।আমাকে বললে আমি রাজি হয়না কিন্তু পরে টাকা যেগুলা সে আমাকে হেল্প করেছিলো সেগুলো দিতে বলে নাহলে জেল এ পাঠানোর ভয় দেখায় এই সব শুনে ফেলে আমার স্ত্রী মানে আদ্রির আম্মু।
সে বলে সে নাকি সবাইকে বলে দিবেন।কোন রকম তাকে মানায়।কিন্তু সে বুঝতে চায়না বলে যে আহাদ চৌধুরী কে পুলিশে দিতে।এদিকে আহাদ চৌধুরী প্রেশার দিতে থাকে আদ্রির আম্মুকে মেরে ফেলতে। আমি কোন উপায় না পেয়ে রাজি হয়ে যায় বদলে সে আমাকে নিহাল খানের প্রোপার্টির ২০ পার্সেন্ট দিবে বলে।
ব্যাস প্ল্যান করে সবাইকে এক জায়গায় নিয়ে আসি আদ্রির আম্মুকে বলি যে তাকে নিয়ে ঘুরতে যাবো তাকে রেডি হতে বলে আমি বের হয়ে যায় ড্রাইভার কে বলে রেখেছিলাম। সেও রাজি হয়ে যায় টাকার লোভে সবাই সব করতে রাজি থাকে।
নিহাল চৌধুরী রাও ফ্যামিলি কে নিয়ে সেদিন বের হয়েছিলো ঘুরতে। সেদিন আমি আহাদ খান আর আরো একজন সেও ছিলো আমাদের সাথে।
নিরঃ৩ ব্যাক্তিটা কে
নাহিদঃ৩য় ব্যক্তিটা হলো আ,,,,,,,,
নাহিদ খান কিছু বলতে যাবে তার আগেয় কেউ নাহিদ এর মাথা বরাবর সুট করে পরপর ৩টা গুলি।
নাহিদ খান সেখানেই লুটিয়ে পরে।নির তাকিয়ে দেখে গুলি গুলো একটা ড্রোন ম্যাসিং থেকে বের হয়েছে।
নির এর গার্ড গুলো গুলি করে ড্রোন টা নষ্ট করে দেয়। নির রেগে আসেপাশের জিনিস গুলো ভেংগে চুরে শেষ করে দেয়।
সেখানকার সব কিছু বড় একটা স্ক্রীনে প্লে হচ্ছে । মনিটারের সামনে চেয়ারে বসে আছে একটা মেয়ে।মুখে তার রহস্যময়ী হাসি।
মেয়েটাঃওও নির বাচ্চা। তুমি কোনদিন ও যানতে পারবা না আমি কে কারন হুকুমের ইক্কা আমার হাতে তোমার খুব কাছের একজন আমার হাতে তুমি চাইলেও আমার কিছু করতে পারবানা। বাট ডোন্ট ওয়ারি খুব শীঘ্রই তোমার সামনে আসবো তোমার মৃত্যু হয়ে।তোমাকে তো সেদিন ই তোমার আব্বুর সাথে সোজা উপরে পাঠায় দিতে চায়েছিলাম বাট তুমি বেঁচে গেলে দ্যান তোমার নানা নানি তোমাকে দূরে পাঠায় দিলো। আর আসলা তো বাবার সম্রাজ্য বড় করতে আমার অবশ্য ভালো হলো প্রোপাটি আরও বেরে গেলো।আর ভাগিদার ও কমে গেলো।(শয়তানী হাসি দিয়ে)
——
কিছু বুঝলেন না তো কি হলো।তাহলে শুনুন আদ্রি যেদিন বলেছিলো নির কে সব কথা সেদিন ই নির এর মনে খটকা লাগে যে একই দিনে এতো এক্সিডেন্ট কো-ইনসিডেন্টস তো হতে পারেনা নিশ্চয় কোন ঘাপলা আছে। ধীরে ধীরে সব ক্লু মিলাতে যেয়ে তার হাতে পরে তার ফ্যামিলি ফোটো যেখানে দুইটা চেহারা ছিলো অচেনা একটা তার চাচা সেটা সে জানতে পারে তার নানুর কাছ থেকে।সব কিছু শুনে নির তার চাচুর পিছুঁ করে আর চলে যায় ইতালি লন্ডনের নাম করে। আর সেখানেই তার চাচা কে ধরে সেখানে যানতে পারে এই সব ঘটনা প্লাস এটাও জানতে পারে নাহিদ খান টাকার লোভে পরে আহাদ এর কাছে নিজের মেয়েকে বেঁচে দিয়েছিলো কথাটা শুনেয় মাথায় রক্ত চেপে বসে।
তার।কিন্তু আহাদ খান কেও সেম ওয়েতে মেরে ফেলা হয় যখন ই সে ওই ৩য় ব্যাক্তির নাম নিতে যায়।।
,
এখন আপনাদের প্রশ্ন হলো একটা বাবা কিভাবে তার মেয়েকে বেঁচে দিতে পারে বা তার স্ত্রীকে মেরে ফেলতে পারে। তো নাহিদ একটা কথা বলেছিলো টাকা সব পারে। আর এক টা পর্বে আমি বলেছিলাম নাহিদ এর কাছে টাকা পাওয়ার পজিশান রেস্পেক্ট এগুলোই সব যে নিজের মেয়ের রাতের সময় বাসা থেকে বের করে দিতে পারে সে সব পারে।
আহাদ চৌধুরী চেয়েছিলো আদ্রিকে নিজের রক্ষিতা করে রাখতে ছোট থেকেই আহাদ এর নজর ছিলো আদ্রির উপর। সে বার আদ্রির চাচাতো ভাইয়ের বার্থডে তে ভাইকে টাকা দিয়েছিলো আদ্রিকে মলেস্ট করতে সব প্রি প্লেনড ছিলো।আদ্রির বাবা আদ্রিকে মেরে রাস্তায় ফেলে দিতো আর আহাদ তার লোক দের দিয়ে তুলে আনাতো কিন্তু বাধ সাজে তার ছোট চাচী।আর পরে আড়ালেই আদ্রির ঢাল হয়ে উঠে আদ্রিয়ান ছোট হলেও নিজের বোনকে প্রটেক্ট করার মতো ঢাল হয়ে গেছিলো সে।সেদিন রাতেও আদ্রিকে বাসা থেকে বের করার পরে আহাদ এর লোক গুলো আদ্রির পিছনেই ছিলো কিন্তু সেখানে নির চলে আসায় সব গন্ডগোল হয়ে যায়।
সব শুনে নির এর মাথা নষ্ট হয়ে যায়।আহাদ খান মারা যাওয়ায় নির তার পিএ কে ধরে ৩য় ব্যাক্তির নামটা না জানলেও এই সব কিছু জানা ছিলো বলে দেয়।সব শুনে আহাদ এর শরীরকে ১০০ টুকরো করে এসিডে ডুবিয়ে ঝলসে দেয়।
নির ক্লান্ত শরীর নিয়ে ফিরে বাসায়।আদ্রির রুমের দরজা খুলে দেখে আদ্রি নিশ্চিন্তে ঘুমুছে বেডে মাথা দিয়ে।নির ব্লেজার টা বিছানায় ছুড়ে আদ্রি চুল গুলো কানের পিছনে গুজে আদ্রির কোলে শুয়ে পরে বাচ্চাদের মতো করে,,,,,,
চলবে!!!!!
জানিনা কি লিখেছি জ্বরে অবস্থা খারাপ সরি গাইজ