#সুখের_নেশায়
#লেখিকাঃ আসরিফা সুলতানা জেবা
#পর্ব___৪৭
বাতাবিলেবু গাছের ফাঁক দিয়ে কচি রাঙা রৌদ্র আসছে। বাগানের একপাশে শেষ আয়োজন চলছে সুফিয়া বেগমের। সকালে দ্বিতীয় বার হার্ট অ্যাটাক করলে উনাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। ফিনাইলের উদ্ভট গন্ধে মাখা চার দেয়ালের মাঝে তিনি নিজের শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। চিরতরে হারিয়ে যান ক্ষিতি হতে। মেদিনীর মোহ-মায়া তো তখনই ত্যাগ করেছেন যখন দিনের পর দিন,মাসের পর মাস পঁচে পঁচে মরণ যন্ত্রণা ভোগ করেছেন বিছানায় কাতরে। সেই সময়টা তে বিশ্রী গন্ধে কেউ উনার রুমে পা রাখত না। এমনকি মিনা পর্যন্ত না। রাখত শুধু একটা মানুষ। চৈত্রিকা অবাক হতো সাফারাতকে দেখে কতই না নির্দ্বিধায় লোকটা সুফিয়া বেগমের ঘরে যেত। চৈত্রিকাও যেত তবে শেষ দিকে যাওয়া হতো না আর। গেলেই গরগর করে বমি করে দিত। সুফিয়া বেগমের লাশ আনার পর চৈত্রিকা একটা বার’ও সাফারাতকে দেখতে পায় নি। এমনকি বাড়িতেই আসে নি। হসপিটালে থাকতে ফোন করে শুধু এতটুকুই জানায়,সুফিয়া এহমাদ আর নেই। চৈত্রিকার উনার মৃ*ত্যুর কথা শুনে চমকে নি বরং সেই মুহুর্তে স্তব্ধতায়, বিমূঢ়তায় বাক হারা হয়ে পড়ে পুরুষালি গম্ভীর স্বরে সুফিয়া এহমাদ নামটা কর্ণকুহরে পৌঁছাতেই। যাকে কখনও দাদি বাদে অন্য নামে ডাকতে শুনে নি,দাদির সাথে খারাপ ব্যবহার করতে দেখে নি সেই মানুষটাই উনার নাম উচ্চারণ করেছিল। কিছু একটা ছিল সাফারাতের কন্ঠে। বিয়োগের ছাপ,কষ্ট ছিল না। একদম সাবলীল, স্বাভাবিক, ঠান্ডা ছিল কন্ঠটা।
চৈত্রিকা ফোন হাতে নিল। সাফারাত কোথায় জানতে হবে ওর। আজ বড্ড রহস্যময় লাগছে সাফারাতকে। চৈত্রিকার মনে হচ্ছে সে কিছু একটা মিস করছে। কিছু একটা তার আড়ালে রয়ে গেছে। সাফারাত! সাফারাতকে আরেকটু বুঝার বাকি রইল কি?দ্রুত ডায়াল করলো সাফারাতের নাম্বারে। অপর পাশের মানুষ টা সঙ্গে সঙ্গে কল টা রিসিভ করলো। গম্ভীর স্বরে বললো,
‘ চিন্তা করবেন না চৈত্র। চিন্তা করলে আমাদের সন্তানের ক্ষতি হবে। আমি আসছি। ‘
‘চৈত্রিকার কন্ঠে বিস্ময়,প্রবল উত্তেজনা–‘ কোথায় আপনি?’
সাফারাত আশে পাশে তাকালো। তৎপরে চাইল মা’য়ের কবরটার দিক। উত্তপ্ত, সুদীর্ঘ নিঃশ্বাস উন্মুক্ত অন্তরিক্ষের তলে বিসর্জন দিয়ে বলে উঠল,
‘ আম্মুকে জানাতে এলাম বহু বছর পর তার অপরাধীর পতন ঘটেছে। আসছি। ‘
কল সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেল তৎক্ষনাৎ। চৈত্রিকা বড়সড় ঝটকা খেল। ফোন হাতে পিছিয়ে গেল কয়েক পা। তার সজাগ মস্তিষ্ক নানাবিধ কল্পনায় ব্যস্ত। মুখ দিয়ে অস্ফুটস্বরে বেরিয়ে এলো,
‘ সাফারাত? সাফারাত জানে?নাকি আমার বুঝার ভুল?এ কেমন রহস্য?’
বাড়ির প্রবেশদ্বার হতে কারো গলার আওয়াজ কর্ণে আসছে। উচ্চ চিৎকার, চেচামেচির তীক্ষ্ণ শব্দ। মৌসুমি দৌড়ে গেলেন সেদিকে। ধীর পায়ে চৈত্রিকাও গেল। তব্দা খেল না সে। এটাই যেন স্বাভাবিক। মা’য়ের মৃ*ত্যুতে ছেলের আগমন স্বাভাবিক নয় কি?মাথার সমস্ত চুল সাদা মাঝে এক দু’টো কালো চুল পাহাড়ের ন্যায় উঁচু হয়ে নিজেদের উপস্থিতি জানান দিচ্ছে সবাইকে। হয়ত বুঝাতে চাইছে নির্দয়হীন,নিকৃষ্ট মানুষ টা এখনও পুরোপুরি বুড়ো হয় নি। দারোয়ানের উপর তীব্র রাগ ঝাড়ছেন আধবয়স্ক লোকটা। কেন উনাকে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। দারোয়ান বার বার একই বুলি আওড়াচ্ছেন–‘ স্যারের আদেশ অমান্য করতে পারবো না আমরা। আপনি ঢুকতে পারবেন না। ‘
বাক্য দু’টো যেন দারোয়ান চাচার মুখস্থ। কি সুন্দর করে আওড়াচ্ছেন, কোনো হকচকানো কিংবা আমতাআমতা ভাব নেই। খুবই তুখোড় প্রত্যেক টা শব্দমালা। মৌসুমি কে দেখে ফারুক এহমাদ হাঁক ছাড়লেন। এগিয়েও গেলেন মৌসুমি। জেদ দেখিয়ে বললেন,
‘ গেট খুলো। ঢুকতে দাও ভাইকে। ‘
দারোয়ান আনতস্বরে জানালেন সাফারাতের অর্ডার ছাড়া পারবেন না। চৈত্রিকা ধিমে গতিতে হেঁটে এসে আরেকটু গলা বাড়িয়ে দেখতেই চোখে পড়ল একটা দশ অথবা এগারো বছরের ছেলে বাচ্চা দাঁড়িয়ে আছে একটা সুন্দর চৈত্রিকার মা’র বয়সী মহিলার সাথে। মহিলার চুলগুলো ঈষৎ লালচে কালার। ফারুক এহমাদের সাথে এসেছেন তারা বুঝতে বাকি নেই চৈত্রিকার। ছোট্ট ছেলেটা মাম্মা বলে ডেকে উঠল মহিলা টাকে। নিমিষেই চৈত্রিকার বিস্ময় আকাশ ছুঁয়ে ফেললো। ঘৃণার দৃষ্টি নিক্ষেপ করলো ফারুকের দিক। যেই লোক সাফারাতের মা’কে বয়স করে বাচ্চা নেওয়ার কারণে দিন-রাত অবজ্ঞা করেছে,মার*ধর করেছে সেই লোকের একটা দশ বছরের বাচ্চা আছে। আর সিয়ার মৃ*ত্যুর নয় বছরও হয় নি তাহলে এই বাচ্চা টা?মানে ফারুকের দ্বিতীয় বিয়ের পূর্বেই এই বাচ্চা টা হয়েছে। ছি!একটা মানুষ এত জঘ’ন্য হতে পারে? চৈত্রিকা যেন নিজের শাশুড়ির কষ্টটা অনুভব করতে পারছে। দিনকে দিন কতটা ধোঁকা পেয়েছিলেন সেই নারী। হয়ত জানতেন স্বামী পরকীয়ায় জড়িয়ে অবৈধ বাচ্চার বাপও হতে যাচ্ছেন যা তিনি কাউকে জানান নি। হয়ত লজ্জায়। কিংবা অতীব কষ্টে।
মৌসুমির কর্কশ কন্ঠে চৈত্রিকা সম্বিৎ ফিরে পায়। তিনি দাঁতে দাঁত চেপে বলে উঠলেন–‘এই মেয়ে তুমি বললে নিশ্চয়ই ঢুকতে দিবে। বাড়ি তো এখন তোমার। সব লুটে নিয়েছ ছেলেটাকে মায়া জাদু করে। এখন দারোয়ানকে বলো ভাই-ভাবী কে ঢুকতে দিতে। ‘
গিরগিটি! হ্যাঁ মৌসুমির জন্য এই শব্দ টা শব্দভান্ডার থেকে খুঁজে বের করলো চৈত্রিকা। ক্ষণে ক্ষণে বর্ণ পাল্টায় এই মহিলা। চৈত্রিকা মুখ লুকিয়ে তাচ্ছিল্য হাসল। ফারুক এহমাদ, উনার ওয়াইফ এবং ম’রা বাড়িতে আসা কয়েকজন মানুষের তীক্ষ্ণ দৃষ্টি ওর দিকে। মুহুর্তেই নিজের নরম,কোমল মন লুকিয়ে শক্ত রূপ ধারণ করলো চৈত্রিকা। ছোট্ট নিশ্বাস ফেলে কঠোর কন্ঠে বলে উঠল,
‘ যেই লোক নিজের প্রথম স্ত্রীর,নিজের অংশ, সন্তানের আগুনে পুড়ে যাওয়ার খবর শুনে ম’রার খবর শোনার অপেক্ষা করে,তার মতো নিকৃষ্ট মানবের অপবিত্র পদধূলি পড়তে দিব না আমি এই বাড়ির ভিটে তে। এটা আমার সিয়া মা’র গড়া রাজ্য। কলঙ্ক মুক্ত প্রত্যেকটা দেয়াল। ‘
চৈত্রিকার মুখের আদল বদলে গেছে। ফর্সা বদন রক্তিম হয়ে উঠেছে। মৌসুমি,ফারুক নিস্তব্ধ। সবার দু’ঠোঁট আলগা হয়েছে বেশ। তন্মধ্যে গেটের কাছে একটা গাড়ি আসতেই দারোয়ান দৌড়ে গেট খুলে দেয়। সোজা গ্যারেজে না গিয়ে গাড়িটা চৈত্রিকার কাছ ঘেঁষে থেমে যায়। দরজা খুলে বেরিয়ে আসে সাফারাত। আঁড়চোখে এক নজর তাকায় গেটের দিক। চোয়াল শক্ত হয়ে আসে তার। কপালের শিরাগুলো দপ দপ করে উঠে। রাগ নিবারণের নিমিত্তে অভ্যাসবশত শক্তপোক্ত পেশিবহুল হাত খানা মুঠো হয়। মুষ্টিবদ্ধ হয় পাঁচ আঙ্গুল। ধূসর রঙা দু’চোখ তীব্র দাহে জ্বালা করে উঠল। ঘাড় বাঁকিয়ে কাঠ কাঠ গলায় দারোয়ানের উদ্দেশ্যে বললো সাফারাত,
‘ গেট লাগান। ‘
দারোয়ান গেট লাগিয়ে দিল ফারুকের মুখের উপর। ফারুক ডাকলেন সাফারাতের নাম ধরে কিন্তু তা সাফারাতের শ্রবণগ্রন্থিতে পৌঁছালো কি-না সন্দেহাতীত। কেননা চৈত্রিকার হাত আঁকড়ে ধরে বড় বড় পা ফেলে অতিক্রম করে ফেলেছে অনেকখানি রাস্তা। চৈত্রিকা নিরবে,নিশ্চুপে বাধ্য মেয়ের মতোন স্বামীর পাশে হেঁটে চলেছে। কানাঘুঁষা, ফিসফিস শুরু হয়ে যায় চারদিকে। লোকমুখে ঢেড় নিন্দার বাহার চলছে। চৈত্রিকা মেয়েটাই হয়ত স্বামীকে উস্কে দিয়েছে, নয়ত আপন বাপকে কেন বাড়িতে ঢুকতে দিচ্ছে না৷ এত খারাপ ছেলে যে কি-না বাপকে মা’য়ের লাশ দেখতে দিচ্ছে না আরো কতো কি!
চৈত্রিকা শুনলো, বিনিময়ে হাসলো। সমাজের মানুষ সত্যের গভীরতা জানে?জানে সাফারাতের উপর হওয়া অত্যা’চার- জুলু*মের কথা?একজন গর্ভবতী নারীর নৃ*শংস ভাবে আগুনে পুড়ে মর’বার ঘটনা মনে সজীব রেখেছে?নাকি এটা জানে সেই নারীর মৃৃ*ত্যু কোনো দুর্ঘটনা ছিল না বরঞ্চ কারো উদ্দেশ্য হাসিলের শিকার হয়ে খু*ন হয়েছে?
____________
সুফিয়া বেগমের দাফন কার্য সম্পন্ন হয়েছে বিকেলের দিকে আসরের নামাযের পর পরই। সাফারাত সর্বশেষে এক মুঠো ভিজে মাটি কবরের উপর দিয়ে সরে এলো। বেরিয়ে এলো কবরস্থান ছেড়ে। তার পা জোড়া আর থামল না,একটা বারও পিছু ঘুরে তাকালো না মাটিতে সমাহিত সুফিয়া বেগমের কবরটার দিকে। সদ্য দেওয়া মাটি ভিজে গিয়েছে তুমুল বর্ষনে। সাফারাতের সাদা পাঞ্জাবি বড় বড় বৃষ্টির ফোঁটায় ভিজে সুঠাম দেহে লেগে আছে। দিহান গাড়ির কাছে দাঁড়িয়ে ভিজছে। জুবুথুবু অবস্থা তার। হিমেল হাওয়া বইছে। গা কাটা কাটা দিয়ে উঠছে। সাফারাতকে একান্ত সময় কাটাতে দিয়ে অপেক্ষা করছিল সে। সাফারাত এসে তার পাশে দাঁড়াতেই বলে উঠল,
‘ এখন চৈত্রিকাকে সবটা জানাবি তো?’
‘ জানানোর সময় হয়ে গিয়েছে। অর্ধাঙ্গিনী হিসেবে সবটা জানার অধিকার আছে উনার। ‘
দিহান থতমত খেয়ে গেল। চোখ দুটো বৃহৎ আকৃতির করে জিজ্ঞেস করলো,
‘ আপনি?তুই চৈত্রকে এখনও আপনি বলে সম্বোধন করিস তাও নিজের বেস্ট ফ্রেন্ডকে?’
সাফারাত মুখ উঁচিয়ে আকাশের দিকে তাকালো। কয়েক সেকেন্ড তাকিয়ে থাকতে পারল কেবল। কারণ বিন্দু বিন্দু বৃষ্টির ফোঁটা তেছড়াভাবে চোখের কোলে এসে পড়তে আরম্ভ করে। সাফারাত আবারও অম্বর পানে মুখ উঁচিয়ে ধরে। তবে এবার নেত্রদ্বয় বুঝে রাখে। অধর কার্নিশ ক্ষীণ বাঁকিয়ে বলে,
‘ আপনি সম্বোধন টা বেশ প্রিয়। এই সম্বোধনে সুখ পাই। আপনি বলে সম্বোধন করা সেই নারীতে রয়েছে সুখ। আমার চৈত্র মাসের মাঝে অসীম সুখ খুঁজে পাই আমি। ‘
দিহান হাসলো। বললো,
‘ তোর সুখের সমাপ্তি না হোক। ‘
______________
চৈত্রিকা থম মেরে বসে আছে সোফায়। ফাহমিদা মেয়েকে বার বার বুঝাচ্ছেন। হুট করে কি হলো চৈত্রিকার তিনি বুঝতে পারছেন না। মৌসুমি, চাচী নিজ নিজ রুমে। মিমের শাশুড়ির শরীরটা খারাপ বলে সে চলে গিয়েছে সুফিয়া বেগমের লাশ নিয়ে যাওয়ার পর পর। ফারুককে এই বাড়িতে প্রবেশ করতে না দিলেও জানাযার সময় ছেলে হিসেবে উনাকে চুপি চুপি দেখানো হয় শেষ বার মা’য়ের মুখটা। সব-ই চলছে সময়ের নিয়মে। কিন্তু চৈত্রিকার হঠাৎ এহেন মৌনতা ফাহমিদার ভয় করছে। এক দৃষ্টে চেয়ে আছে মেয়েটা মেঝের দিক। ফাহমিদা সাফারাতকে ফোন করে জানায়। সদর দরজা পাড় করে ছুটে আসে সাফারাত। চৈত্রিকার সামনে হাঁটু গেড়ে বসে পড়ে ভিজা শরীরে। অধৈর্য স্বরে বলে উঠল,
‘ কি হয়েছে চৈত্র? চুপ করে আছেন কেন আপনি?’
চৈত্রিকা দৃষ্টি তুলে সাফারাতের দিকে নিক্ষেপ করলো। জাগতিক সকল বাস্তবতা, দিক বিদিক ভুলে হামলে পড়ল সাফারাতের বুকে। অকস্মাৎ কান্ডে সাফারাত পড়ে যেতে নিয়ে এক হাত মেঝেতে সাপোর্ট হিসেবে রাখে। সামলে নেয় নিজেকে। অন্য হাতে শক্ত করে চৈত্রিকার পিঠ আঁকড়ে ধরে আবদ্ধ করে নিজের মাঝে মোলায়েম দেহ খানি। ফাহমিদা চলে গেলেন। মেয়ের যে এখন প্রয়োজন তার প্রিয় মানুষ টার। চৈত্রিকার ফুঁপানোর শব্দ শোনা গেল না। নতুন করে সাফারাতের পাঞ্জাবি অশ্রুজলে ভিজল না। স্রেফ চুপটি মেরে বুকে পড়ে রইল মেয়েটা। সাফারাত গাঢ় স্বরে ডাকল,
‘ চৈত্র! ‘
এক ডাকেই মাথা তুলে আঁখিদুটি নিবদ্ধ করলো সাফারাতের মুখের দিকে চৈত্রিকা। স্থির দৃষ্টি। হাতের ইনজেকশন সিরিঞ্জ টা দেখিয়ে জিজ্ঞেস করে,
‘ আপনি জানতেন দাদি মা’র খু/নি?’
সাফারাত চমকালো না। দুর্বোধ্য হাসল। নিরলস ভঙ্গিতে জবাব দিল,
‘ জানতাম। শুধু সুফিয়া বেগম নয় আরো একজন আছে মা’য়ের খু*নী যার নামটা আপনার কল্পনার বাহিরে। ‘
চৈত্রিকার হৃদস্পন্দন থমকে গেল ক্ষীণ সময়ের জন্য। তার জানার খাতায় শুধু অপরাধী দাদি তাহলে আরেকজন? কে সে?একটা মানুষকে মা*রার পিছনে এতজনের হাত?
#চলবে,,,!
( আমি চেক দেওয়ার পরও অনেক বানান,ভুল শব্দ চোখে পড়ে না। ভুল-ত্রুটিগুলো ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রইল।)