সুবর্ন বন্ধন-২
……….
৩
সাইফ সাহেব নামকরা ব্যবসায়ী, বেশ পুরনো ব্যবসা তার। বাবার কাছ থেকে পাওয়া ব্যবসা তিনি দেখাশোনা করছেন। অন্য দুইভাই ভালো চাকরি করে, একজন সচিবালয়ে চাকরি করে আরেক জন তিতাস গ্যাসে। সাইফ সাহেবের টাকা পয়সার অভাব না থাকলেও মনে মনে একটা দুঃখ আছে, তার দুই ভাই শিক্ষিত কিন্তু তিনি এইচএসসি পাশ। ভাইরা তাকে সম্মান করলেও মনে মনে হীনমন্যতায় ভোগেন তিনি। ইচ্ছে ছিল একমাত্র ছেলে সেহজিদ ভালো পড়াশোনা করবে। ছেলেটা সারাদিন বাইক নিয়ে ঘোরে, আর ভিডিও গেম খেলে। একমাত্র ছেলে, তাই কিছু বলতে পারেন না।
তার চাইতে সুবর্ণা লক্ষী মেয়ে, বিবিএ পড়ছে ঢাকায় একটা বেসরকারি ইউনিভার্সিটিতে। ওর জন্য ভালো পাত্র পাওয়া যেত, কিন্তু তার শ্যালক যখন এই সরকারি কলেজের লেকচারার জাহিদের কথা জানালেন, সাইফ সাহেবের মনে হলো, এই ছেলে আমার চাই ই। টাকা পয়সা আমার আছে, এই মাস্টার ছেলেই আমার জামাই হবে।
-সুবর্ণার মা, চার পাঁচ কেজি ওজনের দশটা কাতলা মাছ অর্ডার দিয়া আসছি, সুবর্ণার শ্বশুরবাড়ির লোকজন আর মেহমান যারা আছে, হবে না?
-দশটা মাছ, কি বলেন, এত মানুষ তো হবে না! মাছ নষ্ট হবে।
-না হইলে না হোক, থাক। জামাই কি পছন্দ করে তাও তো জানি না, সে আসলে একবেলা শুধু মাছ রান্না করবা, যত মাছ আছে সব পদের। সেগুলাও আমি বলে আসছি আড়তে, অনুষ্ঠানের পরে বাড়ি আইসা কাইটা দিয়া যাবে।
-শোনেন না, সেহজিদ ফোন করছিল, একদম ভালো না বাড়ির অবস্থা, সবাই একদম কেমন পদের, মানে বোঝেন না, ও বলতেছে ক্ষ্যাত নাকি!
-ক্ষ্যাত মানে কি, তোমার ছেলেরে জিজ্ঞেস করো!
-মানে অবস্থা ভালো না আত্মীয় স্বজনের, আপনে খোঁজ নেন নাই?
-নিছি, জামাই ভালো, ভার্সিটিতে পড়ছে, সরকারি চাকরি করে, আর কী লাগবে? টাকা পয়সা আমার আছে।
-তবুও, মানুষ দেখতে গেলে কী বলবে!
-বললে দুদিন বলবে, তারপর আর বলবে না।
-সুবর্ণাকে এত আদরে রাখছেন, মাসের মধ্যে তিনবার টাকা পাঠান, সে থাকতে পারবে?
-সে তো থাকবে জামাইর সাথে, ওর সংসার তো আমি সাজাইয়া দিবো।
স্বামীর সাথে পারা যাবে না। জামাইর ভদ্রতায় সে মুগ্ধ, তার প্রফেসর জামাই! কিন্তু আসলে কী হবে, মেয়ে কী থাকতে পারবে! এইসব ছোট পরিবার থেকে উঠে আসা ছেলেদের মন মানসিকতা কিন্তু ভালো হয় না, সেটা কী উনি জানেন? “আল্লাহ উপর ভরসা” বলা ছাড়া আর কী ই বা বলবেন সুবর্ণার আম্মা।
সুবর্ণার ঘুম ভেঙেছে খুব সকালে। আশপাশে তাকিয়ে গতরাতের কথা মনে পড়ল। জাহিদ সাহেব ঘুমাচ্ছেন। এর পাশে শুয়ে কয়েক ঘন্টা ঘুমিয়ে ফেলল! ভাবতেই অবাক লাগছে সুবর্ণার।
কিন্তু লোকটা ভালো, গতরাতে সুবর্ণার যে অবস্থা হয়েছিল! তার বাসর রাত হলেও কোন অপ্রীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়নি সুবর্ণার জন্য। সুবর্ণা উঠে ফ্রেশ হয়ে পোশাক পাল্টে নিলো, চুল ঠিক করছিল, তখন দেখলো জাহিদের ঘুম ভাঙছে।
-গুড মর্ণিং, এখন কেমন আছ? কোনো সমস্যা?
-না, কোনো সমস্যা নেই, ভালো আছি।
একটু থেমে জিজ্ঞেস করল, আমরা আজ বাড়িতে যাবো?
-না আজ নয়, কাল সকালে যাবো আমরা।
-আচ্ছা। আমি কিন্তু ওখান থেকে ঢাকায় চলে যাব।
এখানে আর ফিরব না।
জাহিদ হেসে বলল, আচ্ছা , আমিও তো এখানে থাকি না, রাধানগর সরকারি কলেজ কোয়ার্টারে থাকি।
-ওহ আচ্ছা, ওখানে একটা পুরনো বিল্ডিং আছেনা?
-হুম, রাজবাড়ি, গিয়েছ?
-ছোটবেলায় গিয়েছি,রিসেন্ট যাইনি।
-রাজবাড়িটা পরিত্যাক্ত, পাশেই কলেজ। রাজবাড়ির জায়গায়ই।
-হুম, জানি।
-ওখানে আমার ছোট্ট একটা কোয়ার্টার আছে। খুব সুন্দর। বলেই ফেলল জাহিদ। মনে হয়েছে, এখানকার চাইতে ওখানের কথা শুনলে সুবর্ণার আগ্রহ তৈরি হবে।
কিন্তু কিছুই হলো না।
তার বদলে সুবর্ণা বলল, ব্রেকফাস্ট দিতে দেরী হবে?
জাহিদের খেয়াল হলো, কাল থেকেই সুবর্ণা তেমন কিছু খায়নি। তাই জাহিদ উঠে ভেতরে চলে গেল খোঁজ নিতে।
সুবর্ণা চারপাশটা দেখছিল, এসময় ফোনে রিং বাজলো ।
রাজীব ফোন করেছে!
-হ্যালো, বল।
– যাক, তুই ফোন ধরলি অবশেষে ! কাল সারাদিন পাইনি তোকে।
-কাল আমার বিয়ে ছিল।
-বিয়ে করে ফেলছিস, ভালো! কিন্তু এসব বিয়ে টিয়ে তোকে আমার থেকে আলাদা করতে পারবে না। ক্যাম্পাসে আয়, আমরা আবার বিয়ে করব।
-দূরে গিয়ে মর, যখন ডাকলাম তখন আসতে পারিস নাই!
-ওরে বাবা, একরাতে জামাই কি দিলো যে স্বর পাল্টে গেল!
-রাজীব নোংরা ইঙ্গিত দিবি না খবরদার। যদি দিয়েই থাকে, আমার স্বামী তো! নিজের ঘরে বিয়ে করে এনে দিছে! তোর মতো চিপায় নিতে টানাটানি করে নাই!
-টাইনা তো বিশেষ লাভ হয় নাই বর্ণ, তুই যাস নাই, আর অচেনা স্বামীর সাথে একরাতেই ঘরে ঢুকে গেলি!
-বাজে কথা বলিস না, রাখছি!
-ফিরবি কবে?
-জানিনা।
-শোন, ভালো করে মনে রাখ বিয়ে করছিস ভালো কথা, জামাই সংসার এলাকায় রাইখা ক্যাম্পাসে আইসা আগের মতো চলবি, ওক্কে?
সুবর্ণা ফোন কেটে দিলো, রাজীব অত্যন্ত খারাপ আচরণ করছে। ক্যাম্পাসে গেলে কি হবে আল্লাহই জানে।
মানুষে মানুষে কত পার্থক্য হয়, রাজীব রাজীবের বন্ধুর ফ্ল্যাটে নিয়ে যেতে সুবর্ণার হাতে পায়ে ধরা বাকি রাখছে শুধু! সেখানে কেন যেতে হবে, এটুকু বোঝার মতো বুদ্ধি সুবর্ণার আছে। তাই রাজী হয়নি। রাজীবকে তার খারাপ লাগে না, ছেলেটা একটু ক্রেজি, বিয়ে করে ফেললেই হয়!
সুবর্ণার আব্বা তাকে এত বেশি বিশ্বাস করে, মাসে তিন চার বার টাকা দেয় হিসাব ছাড়া, কিছু চাওয়ার আগেই হাজির হয়ে যায় সামনে। তাই সুবর্ণা তার বিশ্বাস ভাঙতে পারেনি। রাজীব প্রতিমাসেই সুবর্ণার কাছ থেকে টাকা ধার নেয়, নামেই ধার, কোনো দিনও ফেরত দেয় নি।
আর জাহিদ ভদ্রলোক বউকে কাছে বন্ধ ঘরে পেলেন কিন্তু কোন অস্থিরতা দেখালেন না। ধীর স্থির ভদ্রলোককে ভালো লাগতে শুরু করেছে কী একটু একটু!
জাহিদ সাহেব সুবর্ণার থেকে খুব বেশি বড়ও না, তিন চার বছর হতে পারে, চার পাঁচও হতে পারে কিন্তু অনেক ম্যাচিউরড মনে হলো।
জাহিদ ঘরে ঢুকেছে, সাথে ওর মেজ ননদ। কি যেন নাম, জয়নাব না জয়তুনি!
-ও ভাবী, আসো, এখন একটু খাও তুমি, জয়তুনি আদর করে কাছে ডাকল।
সুবর্ণা আড়চোখে দেখল কি এনেছে, পরোটা আর গরুর মাংস, ডিম ভাজি, সেমাই! ভালো ব্রেকফাস্ট। কিন্তু কোথায় বসে খাবে! বিছানায়?
জয়তুনি একটা নতুন শীতল পাটি মেঝেতে বিছিয়ে সুবর্ণা আর জাহিদকে খেতে দিলো। সুবর্ণার কাল খুব খারাপ লাগছিল, এদের সবাইকে দেখে। আজ আর লাগছে না। প্রচন্ড আন্তরিক। এরা সবাই জাহিদ তো ভালো, তার থেকেও ছোটো, কিন্তু বিয়ে আগে হয়ে গেছে বাচ্চাও আছে ,
খিদে ছিল প্রচন্ড, তাই সুবর্ণা খেতে শুরু করল।
৪
সারাদিন অনেক মেহমান এসেছেন, নতুন বৌয়ের মুখ দেখে আশীর্বাদ করে গিয়েছেন। সুবর্ণাকে শাড়ি পরে মধ্যমণি হয়ে বসে থাকতে হয়েছে। জাহিদ খুব একটা রুমে আসেনি। দুপুরে খাওয়ার পরে জাহিদ ঘরে ঢুকল।
সুবর্ণা তখন শাড়ি পাল্টে নিয়েছে। এমনিতে ও খুব একটা শাড়ি পরে না। জাহিদকে দেখে অস্বস্তি লাগছে না এখন।
কালরাতে তিনি অনেক করেছেন, যেটা না করলেও সুবর্ণা কিছু বলতে পারত না।
-সুবর্ণা, কেমন আছো এখন, আবার এলার্জি এ্যাটাক করেনি তো?
-না, ভালো আছি।
-আমি ভয়ে ছিলাম, কালরাতে তোমাকে দেখে খুব বিধ্বস্ত লাগছিলো।
সুবর্ণা একটু হেসে বলল, আমার এই সমস্যা মারাত্মক, ডাস্ট, গরম, কাতান শাড়ি এগুলোতে এডজাস্ট করতে পারিনা।
-এখানে খুব সমস্যা হচ্ছে?
-না, একদম না। আপনার বাড়ির সবকিছু অনেক পরিস্কার। আমি এতোটা আশা করিনি! – এইকথাটা বলেই সুবর্ণার মনে হলো এটা বলা ঠিক হয়নি, ভদ্রলোক মন হয়তো খারাপ করবেন।
কিন্তু জাহিদ হেসে বলল , আসলে তোমাকে বলা হয়েছে তোমার যেখানে বিয়ে হচ্ছে, তাদের অবস্থা বেশি ভালো না, অন্তত তোমার বাবার তুলনায় কিছুই না, শুধু ছেলেটা ভালো, তাই তোমার ধারণা হয়েছে, এখানে তোমার অনেক সমস্যা হতে পারে। অবচেতন মন সেটা ধরে বসে আছে।
সুবর্ণা লজ্জা পেয়ে বলল, একচুয়েলি তা না!
জাহিদ বলল, অস্বস্তি করো না, দারিদ্র্যের মধ্যে কোন লজ্জা নেই। আমি একটা সময় অনেক কষ্ট করেছি। সেটা নিয়ে আমার কোনো হীনমন্যতা নেই। তবে দারিদ্র্যের সাথে পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার কোন বিরোধ নেই। আমার মা ভীষন কর্মঠ মানুষ। আমি দুটো শার্ট পরে কলেজ করেছি কিন্তু তিনি কোনটা কখনো ময়লা হতে দেননি। এই যে চকচকে মেঝে, পরিস্কার বিছানা বালিশ সব তিনি নিজ হাতে গুছিয়ে রাখেন।
সুবর্ণা এ প্রসঙ্গে আর কথা বলতে চাইলো না। একটু বাইরে যেতে মন চায়। কিন্তু বের হওয়া যাবে না বোধহয়।
-সুবর্ণা একটা আটকা লাগছে, বাড়ির বাইরে যাবে?
সুবর্ণা একটু চমকালো, ও তো জোরে বলেনি, মনে মনে বলেছে, উনি শুনলেন কীভাবে!
-না মানে বলছিলাম কাল থেকে তো এ ঘরেই আছ, ইচ্ছে করলে বাইরে যেতে পারো। সামনে অনেক মানুষ, পেছনের পুকুরের পাশ দিয়ে বের হলে একটা বাগান আছে, ছোট একটা সাঁকো পাড় হলেই ছায়া ঢাকা মাটির রাস্তা। বৈশাখ মাসের বাতাস বইছে , যাবে?
সাধারণ কথাগুলো মনে হলো আবৃত্তি করে বলছেন।
-আপনি কি আবৃত্তি করতেন? সুবর্ণা জিজ্ঞেস করলো।
-করতাম ক্যাম্পাসে দুবছর, তারপর কয়েকটা টিউশনি, ক্লাশের পড়া, চাকরির পড়া আর সুযোগ হয়নি।
-আপনার ভয়েস শুনলে বোঝা যায়।
-হ্যা, আমার ভয়েস একটু ভারী, আমার স্যারেরা বলতেন, টিচিং এ ভালো করবে।
-উপস্থাপনাও ভালো লাগবে।
-টুকটাক করেছি। তুমি আবৃত্তি, উপস্থাপনা করো?
-ডিপার্টমেন্টে করেছি, তেমন কিছু না। এসব প্রোগ্রাম তো নিজেরা নিজেরাই!
-আচ্ছা এসো, বাইরে থেকে হেঁটে আসি!
-আপনার কথায় আঞ্চলিকতা নেই একদম!
-আছে, সবার সাথে না। আমাদের একজন ম্যাডাম ছিলেন, ছিলেন মানে এখনো আছেন, তিনি বলতেন, আঞ্চলিকতা আমাদের অহংকার, কিন্তু সব জায়গায় বলার জন্য না। খুব সুন্দর করে কথা বলতেন তিনি। খাইছি, গেছি এগুলো শুনলেই রেগে যেতেন। ওনার জন্যই কথা সুন্দর করে শিখতে হয়েছে। এটা পরবর্তীতে আমার খুব কাজে লেগেছে।
পুকুরের পাড় দিয়ে হেঁটে সাঁকো পর্যন্ত এলো জাহিদ। পেছনে পেছনে সুবর্ণা। সাঁকো পাড় হয়ে মাটির রাস্তা। একদম সুনশান।
সুবর্ণা একবার জাহিদকে দেখলো ভালো করে। একটা চেক শার্ট পড়েছে। সাথে ট্রাউজার, চোখে মোটা ফ্রেমের চশমা৷ ভদ্রলোককে দেখতে একটু বেশি ভারিক্কি আর আর আর একটু কালো । তবে দেখতে ভালো লাগছে।
আচ্ছা এই ভদ্রলোকের বাচ্চা কাচ্চা তো কালোই হবে মনে হচ্ছে, সুবর্ণা চোখ গোল গোল করে ফেলল। কিসব ভাবছে সে!
-সুবর্ণা, এসো। এইই সুবর্ণা, কি ভাবছ?
-কিছু না, সুবর্ণা সামনে এগিয়ে গেল।
কি ভাবছে সেটা বলা যাবে না!
-আচ্ছা এদিক দিয়ে কোথায় যায়? এত নিরিবিলি রাস্তা!
-এদিক দিয়ে কদমতলী যায়, ওদিকে পাঁকা রাস্তা আছে, এই রাস্তায় শীতকাল ছাড়া তেমন কেউ আসে না।
রাস্তাটা ছায়া ঢাকা, পাশে ধানক্ষেত। ছোট ছোট সবুজ ধানগাছ। বাতাস আছে অল্প সল্প। রোদমাখা ভর দুপুর রোদের একটা আলাদা সৌন্দর্য আছে। সুবর্ণার ভালো লাগছিল।
-বিবিএ শেষ করে কি করতে চাও? এমবিএ করবে না?
-হ্যা করব না কেন, সাথে ফ্যাশন ডিজাইনিং এ একটা কোর্স করতে চাই। পরীক্ষা শেষ হলে ভর্তি হয়ে যাব।
-আচ্ছা। আমার বাড়ির কারো সাথে কথা হয়েছে ভালো করে?
-না, আসলে বাইরের অনেক গেস্টরা ছিল। আন্টি মানে আপনার মা এসেছিলেন, তিনিও বসতে পারেননি, আবার ডেকে নিয়ে গেছে রান্নাঘরে।
-আস্তে আস্তে আলাপ হয়ে যাবে। কাল সকালেই তো চলে যাবে তোমার বাড়িতে। ঢাকায় কবে যাবে?
-আমি তো তাড়াতাড়ি যেতে চাই, বাবা কবে ছাড়ে, দেখি।
– তাড়া আছে? আমি দিয়ে আসব?
-না তাড়া নেই, আরো সপ্তাহখানেক থাকতে পারব।
-আমি সামনের মাসে ঢাকায় যাবো। ট্রেনিং আছে একটা।
-ওহ আচ্ছা।
-তোমার ক্যাম্পাস ধানমন্ডিতে?
-ছিল প্রথম দুবছর। পরে আশুলিয়া মেইন ক্যাম্পাসে শিফট হয়েছে।
-তুমি তাহলে আশুলিয়া থাকো?
-হ্যা, আগে ধানমণ্ডি ছিলাম, ক্যাম্পাসের বাস ছিল। পরে গার্লস ডরমিটরিতে সিট পেয়ে উঠে গেলাম।
-ক্যাম্পাসের মধ্যেই?
-হ্যা।
– আচ্ছা।
অনেকটা পথ চলে এসেছে দেখে জাহিদ বলল, চলো ফিরি। বাড়ির দিকে ফিরতে ফিরতে বিকেল হয়ে গেল।
চলবে
শানজানা আলম
আমার নতুন বই “হিজলের ফুল জলে ভাসা ভুল” পাওয়া যাচ্ছে অন্যপ্রকাশ প্যাভিলিয়নে।
ঘরে বসে সংগ্রহ করতে আমাকে এড্রেস দিতে পারেন।