#সেই_তো_এলে_তুমি
#পর্ব_১
#Saji_Afroz
-একটা ভদ্র ফ্যামিলির ছেলে হয়ে মেয়ে কিডন্যাপ করার মতো জঘন্য কাজ করবেন আপনি?
.
খালেকুজ্জামান এর কথা শুনে নিহির শার্টের কলারটা ঠিক করতে করতে বলল, ভালোবাসার জন্য মানুষ সব করতে পারে। আমি আমার ভাইকে অনেক ভালোবাসি। ওর জন্যে আমি সব করতে পারব।
.
নিহিরের কথা শুনে খালেকুজ্জামান চিন্তিত হয়ে পড়েন। খালেকুজ্জামান নিহিরের বাসার দেখাশোনা করেন। নিহিরের বাবা ও একমাত্র চাচা ছিলেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী। একটি দূর্ঘটনায় তারা দু’জনেই মারা যান। তারা মারা যাওয়ার পর ব্যবসার হাল ধরেছে নিহির। বাবা মারা যাওয়ার পর নিহিরের মা এর অবস্থা খারাপ হয়ে যায়। বর্তমানে তিনি একজন মানসিক প্রতিবন্ধী। কখন কী করেন, বলেন তার কোনো ইয়ত্তা নেই। নিহিরের সঙ্গে তার চাচীও থাকেন।
নিহিরের একমাত্র ভাই নিখিল। সম্পর্কে চাচাতো ভাই হলেও দুই ভাই এর মধ্যে বেশ মেলবন্ধন রয়েছে। কেননা তাদের আর কোনো ভাই বোন নেই। সে এখনো পড়াশোনা করছে।
নিহিরের তাকে নিয়ে অনেক ইচ্ছে। পড়াশোনা শেষে ভেবেছিল ভাইকে নিয়ে ব্যবসা আরও সামনের দিকে আগাবে। কিন্তু এসবে নিখিলের কোনো আগ্রহ নেই। বলা যায় নিহিরের থেকে নিখিলের স্বভাব পুরাই আলাদা। সে সারাক্ষণ শুয়ে বসে, বন্ধুবান্ধবদের সাথে আড্ডার মাধ্যমে সময় কাটাতে আগ্রহী। তাকে তার মতো করে চলতে দিয়েছে নিহির। ভেবেছে একমাত্র ছোটো ভাই তার, কোনো খারাপ কাজ তো করছে না!
সবই ভালো চলছিল। কিন্তু কিছুদিন ধরে সব খারাপ চলছে! তার ভাইটা সারাক্ষণ উদাস হয়ে থাকে। আর তার এই উদাসীনতার কারণ হলো একটি মেয়ে। যার নাম তায়শা।
খালেকুজ্জামান বললেন, আমার মনেহয় এসব না করে আপনি মেয়েটির সাথে একটাবার কথা বললে ভালো হয়। হতে পারে সে আপনার কথা শুনতে পারে।
-আমি?
-নিখিলের বড়ো ভাই হিসেবে এতটুকু আপনি করতেই পারেন।
.
নিহির একটু ভেবে হ্যাঁ সূচকভাবে মাথা নেড়ে নিখিলের রুমে যায়।
রুমে এসে দেখলো, তার ছোটো ভাইটি সিগারেটের ধোঁয়া উড়াতে ব্যস্ত। যা দেখে নিহিরের মনে আগুন জ্বলে উঠে। সে নিজেকে সামলে নিখিলের পাশে যায়। সে তাকে বলল, তায়শাকে একটাবার আমার সাথে দেখা করতে বল।
.
নিখিল অবাক হয়ে বলল, তুমি দেখা করে কি করবে?
-তোর বড়ো ভাই হিসেবে তাকে বোঝাব। হয়তো বুঝতেও পারে। একটা ফোন দে তায়শা কে।
-দিতে বলছ?
-হু।
.
নিহির তার ভাই এর মোবাইল থেকে ফোন দেয় তায়শা কে। চিনতে না পেরে সে রিসিভ করে ফেললেও নিখিলের কণ্ঠ শুনে সে ফোন রেখে দিতে চায়। নিখিল করুণ স্বরে বলল, আমার ভাই তোমার সাথে একটাবার কথা বলতে চায়ছে তায়শা। প্লিজ ভাইয়ার সাথে কথা বলো।
.
ওপাশ থেকে রাগান্বিত কণ্ঠে তায়শা বলল, তোমার মাথা ঠিক আছে? কেনো আবার ফোন করেছ? বলেছি না আমার বিয়ে! কাল থেকে বিয়ের শপিংও শুরু করছি।
-তোমার তো আমার উপর ভরসা নেই। আমার ভাই এর সাথে কথা বলে জেনে নাও আমাদের সম্পর্কে। কতটা ভালো রাখতে পারব তোমাকে তা জেনে নাও!
-তুমি কি বাংলা ভাষা বোঝো না নিখিল?
-বুঝি। তোমাকেও ভালোভাবে বোঝাব। যদি কাল দেখা না করো তবে খারাপ কিছু হবে।
.
খানিকটা ভয় পেয়ে যায় তায়শা। সে আমতাআমতা করে বলল, আচ্ছা করব দেখা। তবে জাস্ট তোমার ভাই এর সাথে। তোমার সাথে নয়।
-ওকে। লোকেশন আর টাইম জানিয়ে দিও আমায়।
.
এই বলে ফোন রাখে সে। তায়শা ভাবে, ভাইকে ইচ্ছেমতো কয়েকটা কথা শুনিয়ে দেবে সে। এতে করে তার পিছু ছাড়বে তারা৷ বিয়ের সময় এত প্যারা ভালো লাগে!
.
তায়শা…
মা বাবার আদরের বড়ো মেয়ে সে। চঞ্চল স্বভাবের মেয়েটি দেখতে অনেক সুন্দরী। যদিও তার আরও একটি ছোটো বোন আছে। যার নাম নাফিশা। বাসায় তারা দুই বোন, মা-বাবা ও মামাতো বোন বুশরা থাকে। বুশরা অবশ্য বয়সে তার থেকেও বড়ো। এই বাড়িটি মূলত বুশরার বাবার। বুশরার মা তাকে জন্ম দেয়ার সময়-ই মারা যান। বাবা বড়োলোক ঘরের আরেকটি মেয়েকে বিয়ে করে বিদেশে পাডি জমান। এরপর থেকে আর দেশেই ফেরেননি। যাওয়ার আগে নিজের বাড়িতে বোনকে থাকতে দিয়ে বুশরার দায়িত্ব দেন তাকে। কারণ তার নতুন স্ত্রী চাননা তিনি বুশরার দায়িত্ব নেবেন। তাকে অবশ্য ছোটো বোন ও তার স্বামী কথা দিয়েছিলেন, মেয়ের খেয়াল রাখবেন! কিন্তু তারা কথা রাখেননি। নিজের বাড়িতে থেকেও কাজের বুয়ার মতো থাকতে হয় বুশরাকে। তায়শার বয়সে বড়ো বুশরা। কিন্তু তায়শার বিয়ের আয়োজন শুরু হয়ে গেছে। বুশরার জন্য ভালো ভালো সম্বন্ধ আসলেও ফুফু বা ফুফা কখনো গুরুত্ব দেননি। এ নিয়ে অবশ্য বুশরার আক্ষেপ নেই। সে তার জীবনে ভালোবাসার মানুষটিকে পেলেই খুশি। হোক তা দেরীতে! মানুষটি বিদেশ থেকে আসুক। এরপরেই বুশরা তার কথা বলতে পারবে ফুফুকে।
এ নিয়ে ভাবছিল বুশরা, তখনি তায়শা এসে বলল-
আশিক কাল শপিং এ যেতে বলেছে। আমি চাই তুই আর নাফিশা আমার সাথে যাবি।
-তোরা যা। আমি না যাই। বিয়ে বাড়ি বলে কথা, অনেক কাজ রে।
-উফফ! এত কথা বলিস কেনো আপু? তোকে যেতেই হবে। আশিক বলেছে বোনদেরও ড্রেস কেনে দেবে। তোর পছন্দ করতে হবে না?
.
দরজার পাশে দাঁড়ানো তায়শার মা আলিয়া খাতুন বললেন-
তার কোনো দরকার নেই! তুই আর নাফিশা যা। ওর কী দরকার ওখানে যাওয়ার?
.
বুশরা ক্ষীণস্বরে বলল, আমিও এটাই বলছিলাম ফুফু আম্মা।
.
তায়শা বলল, বিয়ে বাড়ির কাজের জন্য ঘরে কাজের লোক রেখেছে বাবা। কিছুক্ষণ বাইরে গেলে মহা ক্ষতি হবে না ওর। তাছাড়া বিয়েটা কালকেই নয়।
.
আলিয়া খাতুন বললেন, যা ভালো বুঝিস কর তো তোরা। আমি ভালোর জন্য বললেও দোষ।
.
এই বলে তিনি রুমে চলে যান। এদিকে তায়শা বুশরাকে জড়িয়ে ধরে বলল, দেখলি কেমনে মা রাজি হয়ে গেল!
.
.
পরেরদিন কথানুযায়ী শপিং এর উদ্দেশ্যে বের হয় তায়শা, বুশরা ও নাফিশা। তায়শাকে চিন্তিত দেখাচ্ছে দেখে বুশরা বলল, কোনো সমস্যা?
-না তো। কেনো বলছিস?
-চেহারা দেখে মনে হচ্ছে।
-বিয়ের শপিং এ যাচ্ছি। বুঝছিস না সামনে বিয়ে? এটা বিয়ের টেনশন।
-বিয়ের আবার টেনশন হয় বুঝি?
-হয়। যখন বিয়ে হবে তখন বুঝবি। নওয়াজ ভাইয়া থাকলে তো তোর বিয়েটায় আগে দিতে বলতাম বাবাকে। কিন্তু তিনি বিদেশে। একবার দেশে আসুক, দেখ কীভাবে ধুমধাম করে তোর বিয়ে দিই।
.
মুচকি হাসে বুশরা। ফুফু-ফুফার শত অপমান সহ্য করেও এই বোন দু’টোর জন্য মুখে হাসি ফোটে তার। বোন গুলো তাকে কখনো আলাদা চোখে দেখেনি। ভালোবেসেছে সবসময়। এমনকি তার ভালোবাসার মানুষটাকেও তারা খুব পছন্দ করে৷ সে দেশে আসলে তাদের মাধ্যমেই ফুফুর কাছে নওয়াজের কথা জানাবে। ভাবতেই আনন্দ পায় তার। কবে সে নওয়াজ আসবে!
.
.
তারা শপিংমলে চলে আসে। আশিক এখনো আসেনি। মূলত তাকে ইচ্ছে করেই ভুল সময় বলেছে তায়শা। কারণ আজ তার নিখিলের বড়ো ভাই এর সাথে দেখা করতে হবে। চ্যাপ্টার টা এখানেই বন্ধ করতে হবে আজ তার। তারা একটি দোকানে প্রবেশ করে। বুশরা বলল, ভাইয়া কবে আসবে?
-হয়তো পথেই আছে। তোরা ড্রেস দেখা শুরু কর না! উনি চলে আসবে।
.
নাফিশা ও বুশরা কাপড় দেখছে। এদিকে শপিংমল এ প্রবেশ করে একই দোকানের দিকে এগিয়ে আসে নিখিল ও নিহির। তাদের আসতে দেরী হচ্ছিলো বলে তায়শাও জামা দেখতে শুরু করেছিল। এবং তার একটি পছন্দও হয়। সে এটি পরে দেখার জন্য ট্রায়াল রুমের দিকে এগিয়ে যায়। ঠিক তখনই তার দিকে চোখ যায় নিখিলের। নিহিরকে দেখানোর আগেই সে ট্রায়াল রুমে প্রবেশ করে। নিখিল নিহিরকে বলল, ট্রায়াল রুম থেকে আকাশি রঙের ড্রেস পরা যে মেয়েটি বের হবে সেই হলো তায়শা। তুমি কথা বলো। আমি আছি ওদিকে। আসলে ও আমাকে দেখতে চায়না তাই আরকি।
.
এই বলে নিখিল চলে যায়। আর নিহির দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করে। একটু বাদে রুম থেকে আকাশি রঙের কামিজ পরা একটি মেয়ে বেরিয়ে আসে। মূলত আজ তারা তিন বোনই একই রকমের জামা পরেছে। মেয়েটিকে দেখে খুব একটা ভালো লাগেনি নিহিরের। শ্যামবর্ণ গায়ের রং, চেহারায় ক্লান্তির ছাপ, চোখের নিচে কালি। মনেহচ্ছে অনেকদিন ঘুমায় না! এমন একটা মেয়ের জন্য এভাবে পাগল হওয়ার কী আছে নিহির বুঝলো না। মেয়েটি সামনের দিকে এগিয়ে আসতেই নিহির তার কাছে এসে বলল-
আমার ভাই এর সাথে এমনটা কেনো করছেন তায়শা? সে আপনাকে অনেক ভালোবাসে। প্লিজ তার অবস্থাটা একটু বুঝুন।
.
অপরিচিত একটি ছেলের মুখে এমন একটি কথা শোনার জন্য প্রস্তুত ছিল না বুশরা। লোকটি হয়তো বুশরাকে তায়শা ভেবেছে। কিন্তু এসব কি বলছেন তিনি? বুশরা বলল, আপনার হয়তো কোথাও ভুল হচ্ছে।
-কি ভুল হবে? ভুল তুমি করছ অন্য কাউকে বিয়ে করে। প্লিজ এটা করো না।
.
বুশরা এদিক সেদিক তাকিয়ে বলল, বিয়ের আর মাত্র কিছুটা দিন বাকি। প্লিজ কোনো রকমের ঝামেলা করবেন না। হাত জোর করছি আমি। আর এখন এখান থেকে যান প্লিজ। কেউ দেখলে সমস্যা হবে।
-কিন্তু…
-আর একটা কথাও শুনতে চাইনা। যান এখান থেকে!
.
নিহির হতাশ হয়ে বেরিয়ে আসে। অন্য একটি ট্রায়াল রুম থেকে বেরুই তায়শা। সে বলল, কি একটা ড্রেস ট্রাই করতে গেলাম শরীরে এমনভাবে ফিট হয়েছে বের-ই হচ্ছিল না।
-একটা লোক তুই ভেবে আমাকে কিসব হাবিজাবি বলে গেছে। কে লোকটা?
-লোক, হাবিজাবি মানে?
-বিয়েটা না করতে বলছে তোকে।
.
তায়শা জিভে কামড় বসায়। এই নিখিল তাকে ফোন করবে না! সে ভেবেছিল ফোন করলে শপের বাইরে দেখা করে কয়েকটা কড়া কথা শুনিয়ে দেবে। তায়শা বলল, তুই কী বললি?
-বললাম আর যেন ডিস্টার্ব না করে।
-ভালোই বলেছিস।
-কিন্তু কে সে?
-এক বখাটের ভাই। আমাকে প্রচুর ডিস্টার্ব করে।
-বলিস নি কেনো আমাকে?
-চিন্তা করবি বলে। এসব বাদ দে এখন। শপিং এ মনোযোগ দে।
.
.
বাসায় ফিরে আসতেই দ্রুত রুমে গিয়ে সজোরে দরজা বন্ধ করে দেয় নিখিল। দরজার শব্দ শুনে তার মা সেনোয়ারা বেগম এগিয়ে এসে বললেন, কিরে নিহির? নিখিল এভাবে গেল কেনো? কোনো সমস্যা?
-নাহ চাচী। কোনো সমস্যা না।
-কয়েকদিন ধরে ওকে খেয়াল করছি আমি। মনে তো হচ্ছে কোনো সমস্যা। আর নাহলে সে এভাবে দরজা বন্ধ করলো কেনো?
-বন্ধুর সাথে ঝগড়া হয়েছে তাই।
-এই সামান্য কারণে ঘরে এসেও মেজাজ খারাপ করবে! পারি না আর এই ছেলেটাকে নিয়ে।
.
বকবক করতে করতে তিনি চলে গেলেন রান্নাঘরের দিকে। কাজের মহিলা থাকলেও রান্নাটা তিনি নিজে করতেই পছন্দ করেন। কারণ তার ছেলেরা তার রান্না বেশ পছন্দ করেন। কোনো একদিন রান্না না করলেও তারা বুঝে যায়, আজ তিনি রান্না করেননি। তাই ফাঁকি দেয়ারও সুযোগ নেই। এই ভেবে হেসে রান্নায় হাত লাগান তিনি।
.
এদিকে বেশ কয়েকবার দরজায় কড়া নাড়ে নিহির। নিখিল কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলল, আর কোনো মিথ্যে আশা আমায় দিও না ভাইয়া। ও আমার হবে না। আর ও আমার না হলে সবকিছু ছেড়ে চলে যাব অনেক দূরে। হয়তো পৃথিবী থেকেও দূরে!
.
দরজার ওপাশ থেকে নিহির বলল-
কিসব বলছিস তুই?
-ঠিকই বলছি। পারবে ওর বিয়েটা আটকাতে? তোমার তো অনেক ক্ষমতা। যদি পারো তবেই এসো আমার সাথে কথা বলতে।
-আমি তোকে এর চেয়েও ভালো মেয়ে এনে দেব। দেখিস তুই! যে অনেক সুন্দরী হবে, আর তোকেও অনেক ভালোবাসবে।
-আমি আর কাউকে ভালোবাসতে পারব না।
-কেনো না!
-কারণ নির্দিষ্ট একজনের মুগ্ধতায় আঁটকে গেলে আর কাউকেই ভালোবাসা দূরে থাক, ভালোও লাগে না। তুমি কাউকে ভালোবাসো না, তাই তুমি বুঝবে না ভাইয়া।
.
তার কথা শুনে নিহির চুপ হয়ে যায়। সে চিন্তিত হয়ে নিজের রুমে আসে৷ ফোন করে সে তায়শা কে। তায়শা এখনো শপিংমলেই ছিল। নিহিরের ফোন পেয়ে তার মেজাজটা বিগড়ে যায়। এখন আশিকও আছে সাথে। তাই সে একটু দূরে গিয়ে রিসিভ করে বলল,
আপনি?
-তুমি প্লিজ নিখিলের সাথে এমনটা করো না।
– দুই ভাই দেখছি একইরকম! আপনি বড়ো ভাই না ওর? পারেন না ওকে বোঝাতে?
-ও তোমাকে অনেক ভালোবাসে।
-ধ্যাত! ছ্যাচড়া কোথাকার। তুই এক ছ্যাচড়া তোর ভাই আরেকটা। কোথায় ছোটো ভাইকে বুঝাবি তা না করে ওর সাথে তাল মিলিয়ে আমাকে ভয় দেখাচ্ছিস?
-অভদ্র ভাষায় কথা বলছ কেনো?
-আরে লাফাঙ্গা গুলো! তোদের কে যে অকথ্য ভাষায় গালি দিচ্ছি না এটাই বেশি বল। ইভটিজিং কেইসে ফাঁসিয়ে দেব নেক্সট টাইম বিরক্ত করলে। ফোন রাখ।
.
ফোন কেটে নিহিরের নাম্বারও ব্লক দেয় তায়শা। পেছনে দাঁড়িয়ে তার সব কথা শুনছিল বুশরা। পেছনে ফিরে তাকে দেখে তায়শা আমতাআমতা করে বলল, এখন আবার বড়ো ভাইকে দিয়ে ফোন করিয়েছে।
-সত্যি করে বল তো কোনো ঘটনা ঘটিয়েছিস না কি?
-কিসব বলছিস!
-তাহলে কেনো সে এমন পাগলামি করছে?
-এখন একটু চুপ থাক বুশরা আপু। আমি তোকে বাসায় গিয়ে সব বোঝাব।
-সত্যি?
-একদম।
.
তায়শার সাথে কথা বলে মেজাজ বিগড়ে যায় নিহিরের। সে খালেকুজ্জামান কে ফোন করে আনে এখানে। রাগান্বিত হয়ে বলল, আপনি বলেছেন কথা বলে চেষ্টা করতে। তা হলো না চাচা। এইবার আমি যেটা চেয়েছিলাম সেটাই হবে।
-কি?
-তুলে নিয়ে আসব ওই মেয়েকে। দেখব ওর এত ত্যাজ কই থাকে!
.
চলবে