সেদিনও জ্যোৎস্না ছিল পর্ব-২২

0
7025

#সেদিনও_জ্যোৎস্না_ছিল

#তানিয়া

পর্ব:২২

কয়েকদিন ধরেই শাহেদ আহসান আদ্য আর সোহানার এনগেজডটের কথা বলছিল।কিন্তু লুৎফা এ বিষয়ে গুরুতর আপত্তি জানায় যদিও সে জানে তার আপত্তিতে শাহেদের কিছু যায় আসে না তবুও সে বিভিন্ন ভাবে রাগ প্রকাশ করছে।

“তোমার সমস্যাটা কি শাহেদ তুমি কেনো এমন করছো বলো তো?তুমিই তো বলেছো আদ্য আর মেহুর ডিভোর্স হতে তিনমাস বাকি আছে। তিনমাস পরই না হয় তুমি যা করতে চাও করবে তাহলে এখন কেনো আংটি বদল করার জন্য উঠে পড়ে লেগেছো।”

“তিনমাস পর যা হবে তা এখন করলে তোমারই বা সমস্যা কোথায় বুঝতে পারছি না লুৎফা।নাকি তুমি চাও না বিয়েটা হোক?শুনে রাখো সেই তুমি যা ইচ্ছে করতে পারো আমার কিছু যায় আসে না।আমি তো আর ওদের বিয়ে দিতে বলছি না।শুধু আংটি বদলের কাজটা শেষ করতে চাচ্ছি তাছাড়া সোহানা কি কোনো পরিচয় ছাড়া এ বাড়িতে থাকবে?ওরও তো একটা সম্মান আছে তাই আমি চাইছি ও যেন এনগেজমেন্ট করে এ বাড়ির হবু অর্থে থাকে তাহলে ওরও একটা পরিচয় থাকলো।তিনমাস পর না হয় ধুমধাম করে বিয়ে দিলাম।”

“শাহেদ বিশ্বাস করো তোমার সাথে তর্ক করতে করতে আমি ক্লান্ত হয়ে পড়েছি।এবার আমাকে তুমি শান্তি দাও।কেনো তুমি এমন পাগলামি করছো আমাকে বলবে?কি দোষ আমার বা কি দোষ ঐ মেয়েটার যার জন্য তুমি আমাদের সবাইকে এতটা আঘাত করছো?”

“দোষ আছে বৈকি! দোষ শুধু তোমাদের না আমারও আছে। আমি যদি ঐ মেয়েকে এ বাড়িতে তুলে না আনতাম তাহলে তোমাকেও মানবদরদীর মতো এত বড় অন্যায় করতে হতো না।ঐ মেয়ে যদি শুরুতে তার পরিচয় গোপন না করতো তাহলে হয়তো এতকিছু হতো না।তুমি যেমন আদ্যর সাথে ঐ মেয়ের বিয়ে দিয়ে ঐ মেয়ের জীবন রক্ষা করেছো আমিও আদ্যর ডিভোর্স করিয়ে সোহানার সাথে বিয়ে দিয়ে তোমার দোষের ক্ষমা করছি।সিম্পেল! এত সহজ বিষয় না বোঝার কি আছে বুঝলাম না?”

“আচ্ছা শাহেদ সত্যি করে বলো তো তুমি কি ঐ মেয়ের প্রতি একটুও মমত্ববোধ নও।বারবার ওকে কাজের মেয়ে কাজের মেয়ে বলছো,তোমার ছেলের জীবন নষ্ট হয়েছে বলছো কেনো বলছো?তুমি তো মেহুর অতীত জানো, তুমি কি বুঝতে পারছো না মেহু বাধ্য হয়ে তার পরিচয় গোপন করেছে একটা বাচ্চা মেয়ে নিজের জীবনকে ঝুঁকির হাত থেকে বাঁচাতে কতোকিছুই না সয়ে গেছে। তুমি কি মেহুর কষ্টটা একটুও দেখবে না।তুমিই তো মাঝরাতে কিছু জানোয়ারদের হাত থেকে ওকে বাঁচাতে এ বাড়িতে নিয়ে এসেছিলে সেই তুমি কি করে আবারও জঘন্য জানোয়ারদের হাতে আমাকে বলছো মেহুকে ছেড়ে দিতে?”

“আমি তোমাকে একবারও বলিনি ওকে ওসব লোকের কাছে দিয়ে আসতে শুধু এটাই বলেছি দেশে আইন আছে তুমি তাদের জানালে অবশ্যই একটা ব্যবস্থা হতো।তাছাড়া ঐ মেয়ে এডাল্ট নিশ্চয়ই পুলিশরা একটা গতি করতো।তোমরা না পারো অন্তত আমাকে বললে আমি না হয় ওকে পুলিশ প্রটেকশনে রাখতাম।তুমি তো কোনো সুযোগই রাখলে না মাঝখানে এমন একটা বিশ্রী ঘটনা ঘটালে……”

আচ্ছা শাহেদ একটা কথা বলো তো মেহুকে মেনে নিতে তোমার আপত্তি কোথায়?মেহু পরিচয় গোপন করে এ বাড়িতে ছিলো বলে নাকি কাজের মেয়ের পরিচয় ছিলো বলে?তুমি নিশ্চয়ই জানো মেহু কাজের মেয়ে নয় তার বসতবাড়িতে মেহুর নামে অনেক সম্পত্তি আছে, সে নিজেও একটা শিক্ষিত মেয়ে তাহলে মেহুকে তোমার মানতে অসুবিধা কোথায়?”

“আমার অসুবিধা কোথায় সেটা যদি তুমি বুঝতে তাহলে তুমিও আমার মতো ব্যবসা সামলানোর যোগ্যতা অর্জন করতে।কিন্তু দুঃখের ব্যাপার আমরা যারা বাইরের জগৎ সম্পর্কে জানি তোমরা মেয়েরা তার এতটুকুও জানো না।তাছাড়া আমি তোমার সাথে আর কোনো কথা বলতে চাই না।এমনিতেও অনেক কথা, অনেক কৈফিয়ত ইতোমধ্যে তুমি পেয়েছো আমি আর তোমাকে কিছু বলতে চাইছিনা।তুমি যাও আমি কাজ করবো।”

অগত্যা লুৎফা উঠে দাঁড়ালো।তার নিজেরও শাহেদের সামনে বসে থাকতে ভালো লাগছে না।আশ্চর্য তার পা টা যেন নড়তেও চাইছে না।তবুও পা টেনে টেনে লুৎফা ঘর থেকে বেরুলো।

আদ্য রক্তিম চোখে হাত দিয়ে একটা পেপার ওয়ালেটকে ঘুরচ্ছে।তার কাজ অনেক কিন্তু সেসব দিকে মন নেই। দুই ঘন্টা আগেও আদ্য ব্যস্ত হয়ে পড়েছিল অফিসের গুরুত্বপূর্ণ কাজে কিন্তু এখন কি ঠান্ডা কি শীতল মনে হচ্ছে আজ যেন কাজের কোনো চাপই নেই।

মেহু ভার্সিটি যাওয়ার জন্য তৈরি হতেই আদ্যর কল আসে। সেখান থেকে জানতে পারে আজ গুরুত্বপূর্ণ একটা মিটিং আছে কিন্তু সেই মিটিং এর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ফাইলটা সে বাসায় রেখে এসেছে। এতবেশি কাজের চাপ যে তার পক্ষে যাওয়া সম্ভব না আবার অন্য কাউকেও ফাইল আনতে বলা যাবে না।তাই মেহু যেন নিজেই দুপুরে লাঞ্চের আগে ফাইলটা দিয়ে যায়। আরাকানকে বললে হতো কিন্তু সেই আরো আগে বাসা থেকে বের হয়ে গেছে। আবার অফিসেও এত ঝামেলা যে কেউ বাসায় যেতে পারছে না তাই শেষ পর্যন্ত মেহুকে দায়িত্ব দেওয়া হলো।মেহু ফাইলটা হাতে নিয়ে বেরিয়ে গেলো।

একটা ক্লাস করেই মেহু সিমরান আর রাহাত বের হয়ে যায়। রাহাতের সাথে সিমরানের মাধ্যমে পরিচয় হয় মেহুর।যেমন ভদ্র তেমনি শান্ত। অশালীন আচরণের ছিটাফোঁটা পর্যন্ত নেই। মেহুর জীবন বৃত্তান্ত সম্পর্কে মোটামুটি সিমরান আর রাহাত দুজনে অল্প কিছু জানে তাই মেহুর প্রতি তারা খুব সংবেদনশীল। কথা ছিল তিনজনি নোট কালেক্ট করতে একটা লাইব্রেরিতে যাবে কিন্তু হঠাৎ মেহুর কাজের কথা জানতে পেরে তারা মেহুকে ছাড় দেয়।

তিনজনি ক্লাস থেকে বের হয়ে প্রথমে ভাবে ফুসকা খাবে তারপর মেহু যাবে অফিসে আর রাহাত সিমরান যাবে লাইব্রেরিতে।ক্যাম্পাসের বাইরে একজন ফুসকা বিক্রেতা আছে যার ফুসকা ক্যাম্পাসে খুব জনপ্রিয়।তিনজনে খুব মজা করে ফুসকা খাচ্ছিল।হঠাৎ সিমরানের ফোনটা বেজে ওঠতে সিমরান একটু দূরে গিয়ে কল রিসিভ করে।রাহাত আর মেহু সিমরানের দূরে যাওয়ার বিষয়টা ধরতে পেরে তাকে নিয়ে মজা করে হাসতে থাকে।ফুসকা খেতে গিয়ে মেহুর ঠোঁটের উপরে মরিচের গুঁড়া লেগে যায় যেটা দেখতে অনেকটা গোঁফের মতো হয়।রাহাত সেটা নিয়ে আরেকদফা হেসে উঠে। মেহু মুখটা থমথমে করে থাকলে রাহাত একটা টিস্যু দেয় সেটা মুছার জন্য। দুজনে বেশ মজা করে ফুসকা খাচ্ছিল তখনি ড্রাইভার ধরনের একটা লোক এসে বলে,

“ম্যাম স্যার বলেছেন আপনি যে ফাইলটা এনেছেন সেটা তাড়াতাড়ি করে দিতে।একটু পরই মিটিং শুরু হবে।”

“আদ্য পাঠিয়েছেন আপনাকে কিন্তু ওনি তো বললো লাঞ্চের আগে যেতে এখনো তো বেশকিছু সময় হাতে আছে। আমি নিজেই তো দিয়ে আসতে পারতাম।”

“জ্বি ম্যাম তবে হঠাৎ মিটিংটা লাঞ্চের আগে হওয়ায় তাড়াতাড়ি ফাইলটা নিয়ে যেতে বলেছে।”

মেহু মুখটা কালো করে অনিচ্ছা সত্ত্বেও ফাইলটা ড্রাইভারকে দিলো।মেহুর ইচ্ছে ছিল আজ অফিসে আদ্যকে খুব সামনে থেকে দেখবে।অনেকদিন মানুষটাকে চোখের সামনে দেখা যায় না।বাসায় তো একেবারে নয়ই।মেহু আবারও ফুসকায় মনোযোগী হলো।ওদিকে গাড়ি থেকে তীব্র দৃষ্টিতে সেই দৃশ্য দেখছে আদ্য।প্রথমে সে ভেবেছিল নিজেই ফাইল আনবে কিন্তু পরে ড্রাইভারকে পাঠালো।কারণ ওদের এত আনন্দের খাওয়া হয়তো আদ্যকে দেখলে বন্ধ হয়ে যাবে।এমনকি ড্রাইভারকেও নিষেধ করেছে যেন আদ্য গাড়িতে আছে সেই খবর না দেয়।

আদ্য কাজের ফাঁকে চিন্তা করে ভার্সিটি গিয়ে মেহুকে চমকে দিবে।আর মিটিং শুরু হওয়ার আগে দু’জনে লাঞ্চ শেষ করে ফাইলটা নিয়ে চলে আসবে।হয়তো মেহু রাগ করবে,জেদ ধরবে তাতে কি নিশ্চয়ই আদ্যকে দেখে এতকিছু মনে রাখবে না?তাই কাজ রেখে আদ্য গাড়ি নিয়ে চলে যায় ভার্সিটি আর তখনি দেখে মেহুর সাথে একটা ছেলে ফুসকা খাচ্ছে শুধু তাই নয় ছেলেটা হাসছে আর মেহু গম্ভীর হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। আবার টিস্যুও দিয়েছে কীসের জন্য। একটু পর দু’জনে হাসির খোরাক নিয়ে বসেছে এমন করে হাসছিল।সবটা দেখে আদ্যর শরীর থরথর করে কাঁপছিল।সে পারলে এক্ষনি মেহুকে একটা চড় দিতো কিন্তু ভার্সিটিতে এমন একটা সিনক্রিয়েট করার অর্থ হয় না তাই ইচ্ছেটাকে দমন করে ড্রাইভারকে পাঠালো ফাইল আনতে আর সতর্ক করে দিল যেন আদ্যর খবর না পায়।হায়!আদ্য যদি জানতো মেহু আর রাহাত সিমরানকে নিয়ে ফান করছে আর ফুসকার লঙ্কা নিয়ে মেহু গম্ভীর হয়েছে তাহলে হয়তো আদ্য এতটা রাগ করতো না।

আদ্য পূর্বেই খবর পেয়েছে শাহেদ সোহানার সাথে তার এনগেজমেন্টের কথা বলছে এখন উদ্দেশ্য হচ্ছে আদ্যকে রাজি করানো।শাহেদ সুযোগ করে উঠতে পারছে না আদ্যকে সেটা কীভাবে জানাবে কিন্তু সৌভাগ্য হোক বা দুর্ভাগ্য ছুটির একটা দিন ঠিক করে শাহেদ আদ্যকে ডেকে পাঠালো সাথে উপস্থিত থাকতে বললো বাকিদের।যদিও উড়ো খবর হিসেবে সবাই বিষয়টা জানে তবুও শিউর হওয়ার জন্য সবাই খুব আগ্রহী।

“আদ্য আমি একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছি যদিও জানি সেটা তুমি পছন্দ করবে তবুও তোমার মুখ থেকে জানতে চাইছি।আমি চাই তোমার আর সোহানার আংটি বদল পালা শেষ করতে। ডিভোর্স এর পর না হয় বিয়ে হবে তবে আপাতত তোমাদের মধ্যে একটা সম্পর্ক সৃষ্টি হোক।কতদিনই বা সোহানা এ বাড়িতে থাকবে তাই তোমাদের এনগেজড হলে অন্তত আমিও নিশ্চিত হই।তাছাড়া সোহানার দিক থেকে আপত্তি নেই তোমার বিষয় বলো।”

আদ্য নিচের দিকে তাকিয়ে আছে। তার কিছুই ভালো লাগছে না।সে একবার চোখ তুলে তাকালো মনে হচ্ছে কাউকে খুঁজছে কিন্তু কাকে?আবারও চোখ নামিয়ে মেঝে দেখছে।

“আদ্য তোমার মত বলো।এনগেজডটে তোমার কি আপত্তি আছে? ”

আদ্য কি উত্তর দিবে ভাবতে পারছেনা।তার খুব রাগ লাগছে কিন্তু কার ওপর।বাবার,মেহুর নাকি নিজের ওপর? এদিকে বাবা এমন একটা সিদ্ধান্তের মাঝে দাঁড় করিয়েছে যে সে হা না কি বলবে বুঝে উঠতে সক্ষম না।

“মেহু চা টা টেবিলের ওপর রাখো।আর হ্যাঁ এখানে একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা হচ্ছে তাই তোমারও থাকা উচিত।তুমিও থাকো।”

মেহু এতক্ষণ ছিল না বা তার ইচ্ছে ছিল না এ আলোচনায় থাকতে কিন্তু চা নিয়ে আসতেই সুজাতা থাকে এখানে থাকার আদেশ দিয়েছে। অস্বস্তি নিয়ে মেহু একপাশে গুটিসুটি হয়ে দাঁড়ালো। আদ্য কড়কড়ে চোখে একবার মেহুকে দেখলো। মেহুর দৃষ্টি মেঝের দিকে নিবদ্ধ করে রেখেছে।মেহু দৃষ্টি তুলছে না যদি তুলতো তাহলে দেখতো একজোড়া আগুন চোখ তাকে পর্যবেক্ষণ করছে পারলে ঝলসে দিবে।

“আদ্য আর কতক্ষণ চুপ থাকবে। তোমার কি ভাবা শেষ হয় নি।তার মানে কি তুমি এ বিয়েতে রাজি নও?এখন কি এনগেজমেন্ট হবে না?আদ্য তোমার সিদ্ধান্তের ওপরই কিন্তু নির্ভর করছে সোহানা এ বাড়িতে থাকবে কি থাকবে না?”

“বাবা আমি রাজি।তোমরা এনগেজমেন্টের ব্যবস্থা করো।আমি নিজেই সোহানার আংটির অর্ডার করবো আফটার অল আমার হবু বউ বলে কথা। ”

শেষের কথা গুলো আদ্য অনেকটা জোর গলায় বলে।অনেকটা মেহুকে শোনানোর জন্য।কিন্তু মেহুর কোনো পরিবর্তন হয় না সে পূর্বের মতো নিচের দিকে তাকিয়েই থাকে।আদ্য সভা ছাড়লে শাহেদ আহসান হেসে বন্ধুকে কল করতে যায়। দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে সবকিছুর যেন এক্ষনি পারলে বিয়েটাও দিয়ে দেয়।

মেহু পাথরের মতো বসে আছে। তার মধ্যে কোনো হা হুতাশ নেই। আদ্য যে অনুষ্ঠানের জন্য রাজি হলো তাতে যেন মেহুর কিছু যায় আসে না।কি হবে এসব নিয়ে যেখানে মূল মানুষটাই তাকে নিয়ে ভাবছে না।কেনো সে ভাববে,কাকে নিয়ে ভাববে যে কিনা অনায়াসে অন্য মেয়েকে বিয়ে করতে রাজি হচ্ছে? আংটি বদল মানেই তো বিয়ের অনুষ্ঠানের শুরুর প্রথম ধাপ তার মানে বিয়ে হতে কতক্ষণ?মেহু ফোনটা নিয়ে রাহাতকে কল করলো আর ইমিডিয়েটলি তার জন্য হোস্টেল সিটের ব্যবস্থা করতে বললো।মেহু কিছুদিন ধরে ট্রাই করছে কিন্তু সিট খালি না থাকায় সেটা সম্ভব হচ্ছে না তবে এখন সিনিয়রদের পরীক্ষা শুরু হয়েছে হয়তো এখন একটা সিট পেলেও পেতে পারে।আপাতত একটা সিট পাক পরে ভালো থেকে হলে পরিবর্তন হবে।এ মুহূর্তে এ বাড়ি থেকে তাকে ছাড় পেতে হবে।দিন দিন এ বাড়ির আবহাওয়ায় তার দম বন্ধ হয়ে আসছে এবার মুক্তির দরকার।
,
,
,
চলবে…….

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here