স্বপ্নচূড়ার আহবান ‘ পর্ব-৬৬

0
1172

“স্বপ্নচূড়ার আহ্বান”
পর্ব-৬৬

প্রবাদ বাক্য আছে একটা, জীবন নাটকের চেয়েও নাটকীয়। কথাটা সত্যিই পায়রার সঙ্গে দারুণ ভাবে মিলে যায়। প্রতিটা পদক্ষেপেই ছিলো অজস্র কাটা।
হোঁচট খেতে খেতে পায়রা আজ এতো দূর। এই আজ যেমন, পায়রার আনন্দের দিন। কিন্তু, অতীতটা কখনোই সুশ্রী ছিলো না। ছিলো, বিভীষিকাময়। পায়রা কখনো ভুলতে পারবে না সেসব। পায়রার মনে হয়, অন্ধকারের সঙ্গে তার খুব জটিল একটা সম্পর্ক আছে। জীবনের প্রতিটা মোড়েই পাশে ছিলো এই অন্ধকার। যেদিন গ্রাম ছেড়ে শহর এসেছিলো সেদিনের রাতটাও ছিলো ঘুটঘুটে আঁধারে নিমজ্জিত।
আবার শহর ছেড়ে যেদিন সাত বছর আগে আভাস তাঁকে নতুন এক আশ্রয় দিয়েছিলো সেদিনও ছিলো এমনই আমাবস্যা রাত। তবে,আভাস নামের মানুষটা
আলোর দিশারি হয়ে অন্ধকারে ঘেরা জীবনে পদার্পণ করে। তার ঋণ এ জীবনে শোধ করতে পারবে না সে।
সাত বছর আগে –

যেদিন পায়রাকে আভাস অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করে সেদিনই ঘটনার সুত্রপাত হয়েছিল। মিথ্যার শুরুটা ওখানেই। হাসপাতালে পৌঁছে যখন আভাস চিকিৎসার ব্যবস্থা করছিলো তখন নার্স তাঁকে জিজ্ঞেস করলো, পায়রা সম্পর্কে কী হয়? ফর্মে আভাস নার্সকে কী লিখতে বলবে তা ভেবে পাচ্ছিলো না। নার্স ভাবলো, হয়তো দুজন স্বামী স্ত্রী। তাই ফর্মের জায়গায় প্যাশেন্টকে “স্ত্রী” লিখে দিলো। আভাস কিছু বলতে নিয়েও চুপ করে গেলো। ঝামেলা করতে চাইলোনা।
কয়েক দিন হাসপাতালেই এডমিট ছিলো। আভাস নিজ দায়িত্বে সকল কিছুর ব্যবস্থা করলো। এক মুহূর্তের জন্যও পায়রাকে একা ফেলে চলে যায়নি। পায়রা পুরোপুরি সুস্থ হওয়ার পর যখন আভাসকে সব খুলে বললো তখন আভাস চিন্তায় পড়ে গেলো। পায়রাকে একা অন্তত কিছুতেই ছাড়বে না। পায়রা তবুও জেদ করে বলেছিলো-

‘আমি পারবো একা থাকতে। ধন্যবাদ এতো কিছু করার জন্য। ‘

পায়রা চায়নি আভাসের উপর বোঝা হয়ে থাকতে। তাই কথাগুলো কঠিন স্বরেই বলল। কিন্তু, আভাস তো আভাসই। সে পায়রার মনোভাব বুঝতে পেরে পায়রাকে বলল-

‘ঠিক আছে, কিন্তু একা থাকবেটা কোথায়? ‘

আসলেই তো! পায়রা চিন্তায় মগ্ন হলো। এতো বড় মুখ করে বলল,একা থাকবে। কিন্তু থাকার জায়গাটা কোথায়? আভাস ঠোঁট বাকিয়ে বলল-

‘হয়েছে! আর ভাবতে হবে না। চলো, আমার বাড়ি থাকবে। ‘

‘কিন্তু.. ‘

‘কোনো কিন্তু না। মহাভারত অশুদ্ধ হয়ে যাবে না আমার বাড়ি থাকলে। পড়াশোনা করে চাকরি করে আমার টাকা ফেরত দিয়ে দিও। ‘

পায়রা হিসেব করতে শুরু করলো। কত টাকা লাগতে পারে। এই বছরটা শেষ হলেই এইচএসসি পাশ করে ফেলবে সে। তারপর অনার্স ফার্স্ট ইয়ারে ভর্তি হবে। তখন না হয়, টিউশনি করে নিজের খরচ চালাবে। তারপর ওখান থেকে জমিয়ে জমিয়ে অর্ধেকটা শোধ করবে। আর মাঝে যদি একটা চাকরি পায় তাহলে সোনায় সোহাগা। আভাস তুড়ি বাজিয়ে হাসতে হাসতে বলল-

‘হে ভগবান! তুমি তো দেখছি হিসাব করতে শুরু করলে! হিসাব পরেও করতে পারবে। এখন চলো। ‘

পায়রা নিজের মনমতো সবটা ভেবে নিলেও সত্যিকারে যা হয়েছিলো তা অন্যরকম ছিলো। পায়রা, আভাস দু’জন হয়তো কল্পনাও করেনি তাদের জন্য কী অপেক্ষা করছে। আভাস সবটা খুব সহজ ভাবে নিলেও তা মোটেও সহজ ছিলো না। সে ভুলেই গিয়েছিল তার বাড়িতে সে একা নয়, তার বৃদ্ধ দাদী ও বাবাও থাকেন। বাড়িতে প্রবেশ করার ঠিক আগ মুহূর্তে আভাসের কথাগুলো মনে পড়লেও খুব একটা পাত্তা দেয়নি। সদর দরজা থেকে বাড়িতে পায়রাকে নিয়ে ঢোকার সঙ্গে সঙ্গে আভাসের দাদী বিদ্যা বোস উপস্থিত হলেন। তিনি এসে জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে দুজনের দিকে তাকিয়ে আভাসকে বললেন –

‘দাদুভাই, কে এই মেয়ে?’

আভাস কিছু বলবে তার আগেই আভাসের বাবা নিজের ঘর থেকে নেমে এসে আভাসের গালে চড় বসিয়ে দিলেন। আভাস হতভম্ব হয়ে তাকিয়ে আছে। কী হলো কিছুই বোধগম্য হয়নি৷ তিনি বাজখাঁই গলায় চিৎকার করে বললেন –

‘ছিছি ছি! এই দিন দেখার জন্য এতো বড় করেছি তোমাকে! ভালো প্রতিদান দিয়েছো আমাকে। ‘

আভাস বিস্মিত হয়ে বলল-

‘কিন্তু আমি করেছিটা কী?’

‘আবার বলছো, কী করেছো! লজ্জা লাগে না তোমার?
এতগুলো বছর যখন আমি তোমাকে বারংবার বলেছি, একটা বিয়ে করো, বিয়ে করো। তখন এড়িয়ে গেছো, আর সবাইকে লুকিয়ে বিয়ে করে নিয়েছো। তাও কাকে? নিজের থেকে এতো ছোট একটা মুসলিম মেয়েকে! ‘

আভাস অস্পষ্টতা নিয়ে বলল-

‘কী বলছো এসব! ‘

‘আর লুকানোর চেষ্টা করো না, এতগুলো দিন তুমি বাসায় না ফিরে কোথায় ছিলে সবই জানি আমি। আমার বন্ধু সুজিতের কাছেই আজ খবর পেয়েছি আমি। এই যে এতদিন তুমি যে হাসপাতালে চিকিৎসা করাচ্ছিলে সেখানে সিনিয়র ডক্টর সুজিত। তোমাকে দেখেই আমাকে কল করেছিলো, জানার জন্য সব ঠিক আছে কিনা। তখনই বললো, তোমার সাথে একটা মেয়েও আছে। যে কিনা তোমার স্ত্রী। ‘

‘এসব তোমার ভুল ধারণা বাবা। পায়রা আমার একজন স্টুডেন্ট। আর..’

‘চুপ করো তুমি! আর একটা কথাও শুনতে চাই না আমি। ‘

পাশ থেকে আভাসের দাদী বিদ্যা বললেন –

‘এসব কথা কী সত্য আভাস? ‘

বলা বাহুল্য, আভাস তার দাদীমার হাতেই বড় হয়েছে। ভালো একজন নিরহংকারী মানুষ। কিন্তু, তিনিও খুব নারাজ হলেন। আভাস করুণ স্বরে বলল-

‘দাদীমা, বিশ্বাস করো আমি..’

‘এই শিক্ষা তো তোমাকে দেইনি দাদুভাই। বিয়ে করেছো ঠিক আছে মানলাম। কিন্তু তা বলে, আমাকে অন্তত জানাতে। এখন যখন করেই ফেলেছো, তখন অস্বীকার করে পাপের বোঝা বাড়িও না। কৃষ্ণ ঠাকুর, এ অনাচার সইবে না। ‘

দীর্ঘ শ্বাস ফেলে কাজের লোকের সাহায্যে বরণ ডালা সাজিয়ে পায়রাকে বরণ করে ঘরে আনলেন। আভাসকে বললেন –

‘যাও ঘরে নিয়ে যাও নাতবউকে। ‘

আভাস এক প্রকার বাধ্য হয়ে ঘরে নিয়ে আসলো পায়রাকে। এদিকে পায়রা এসব কিছুতে কী রিয়েক্ট করবে বুঝতে পারছেনা। হঠাৎ করেই ঘটনাটা ঘটবে চিন্তাও করেনি। স্তব্ধ হয়ে গেছে সে। আভাস সোফায় বসে দুই হাত কপালে রেখে কী যেনো চিন্তা করছে। পায়রার কান্না পেয়ে গেলো। উপকারীকে বাঘে খায়! এখন পায়রার মনে হচ্ছে, আভাসের কথায় রাজি হয়ে আভাসকে বিপদে ফেলে দিলো সে। পায়রা উঠে এগিয়ে আসলো। আভাসের কাছে এসে বলল-

‘আপনি চিন্তা করবেন না স্যার, আমি আপনার দাদীমা আর বাবাকে সবটা বুঝিয়ে বলছি। এখুনি যাচ্ছি আমি। ‘

বলে পায়রা কয়েক কদম এগোতেই পেছন থেকে হাত টেনে আভাস বলল-

‘দাঁড়াও। ‘

পায়রা পেছনে ফিরতেই আভাস বলল-

‘কোথাও যেতে হবে না। যা হচ্ছে হতে দাও। ‘

আকস্মিক ধাক্কা খেলো পায়রা। হতভম্ব হয়ে বলল-

‘কিন্তু, আপনাকে সবাই ভুল বুঝছে। আমাদের তো বিয়ে হয়নি! ‘

‘তা আমিও জানি পায়রা। আমি যেহেতু বলেছি, নিশ্চয়ই ভেবে চিন্তেই বলেছি। তোমাকে এতো ভাবতে হবে না। একটা বিষয়ে চিন্তা করেই সিদ্ধান্ত নিলাম। রাত হয়েছে। খাবার ঘরেই আসবে। তুমি খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ো। ‘

‘আর আপনি?’

‘আমার চিন্তা করার দরকার নেই। আমি সবাই ঘুমিয়ে পড়বো ওখানে। ‘

আঙুল দিয়ে ইশারা করে জায়গাটা দেখালো আভাস।
পায়রা এতক্ষণে খেয়াল করলো, ঘরের ডিজাইন আলাদা। আসবাবপত্র গুলোতেও আটপৌরে ছাপ।
এমন রুম আগে দেখেনি পায়রা। বেডরুমের সঙ্গে জোড়ালো একটা মিনি ড্রইং রুম। সেখানে টিভি, একটা টি-টেবিল,বুকশেলফ আর লম্বা একটা নরম সোফা লাগানো। আভাস সোফায় শোবে বলেছে। বড় সোফায় শুয়ে পড়তে সমস্যা হবে না। কিন্তু পায়রার সংকোচ লাগে। যার বাড়িতে আসলো তাঁকে কী করে সোফায় শুইয়ে নিজে আরাম আয়েশ করে বিছানায় ঘুমাবে! আভাসকে কিছু বলতে নিলে,আভাস ক্লান্ত কন্ঠে বলল-

‘আর কয়েকটা দিন কষ্ট করে নাও, তারপর আমি ব্যবস্থা করছি। ‘

কথা না বাড়িয়ে শুয়ে পড়লো পায়রা। কয়েক দিন যেতেই দেখা গেলো, আভাসের দাদীমা ও বাবা দুজনই তাকে মেনে নিয়েছে। যদিও মুসলিম হওয়ায় মন্দির সহ যাবতীয় জিনিস পত্র ধরা নিষেধ। তবে, পায়রার এদিকে তেমন একটা গুরুত্ব নেই। ঘরেই বেশিরভাগ সময় কাটে। আভাস বাহিরেই থাকে। আর ঘুমানোর সময়টা সোফায়। পায়রার মনে বারবার কিছু প্রশ্ন ধাক্কা দেয়। প্রথমত, আভাস তার জন্য এতকিছু কেনো করছে! আভাস যে তাকে অন্য কোনো নজরে দেখে না সে সম্পর্কে খুব ভালো করে অবগত সে। আর দ্বিতীয়ত, বিয়ে না হওয়া সত্ত্বেও কেনো সবার কাছে বউ বলে পরিচয় করাচ্ছে। এমনকি এখন আভাস পায়রাকে সবার সামনে এমন ভাবে ডাকে যেনো সত্যিই সে তার বউ। মনের প্রশ্ন গুলো সে আভাসকে জিজ্ঞেস করলে আভাস গম্ভীর মুখে বলেছে, সে যা করছে তার যথাযথ কারণ আছে। এক মাস বাড়িতে থাকার পর আভাস তাকে নিয়ে যায় সুইজারল্যান্ডে।
তবে, জীবনে প্রথম বার প্ল্যানে ভ্রমণের অভিজ্ঞতা খুব বাজে ছিলো। পায়রাকে আভাস বসতে বলে ব্যাগ গুছিয়ে রেখে পাশে বসতেই দেখলো পায়রা চোখমুখ খিঁচে বিরবির করে আয়তুল কুরসি পড়ছে। যদিও আভাস তা জানেনা। সে অবাক হয়ে বলল-

‘কী হয়েছে তোমার? এমন করছো কেনো?’

‘স্যার! ‘

‘বলবে তো, হয়েছেটা কী? ‘

‘প্ল্যান ভেঙে যদি নিচে পড়ে যায়! আমরা কী বেঁচে থাকবো? ‘

আভাস বড়সড় চোখ করে কিছুক্ষণ তাকিয়ে ফস করে শ্বাস ফেলে বলল-

‘নাহ, মরে যাবো। ‘

পায়রা ভ্যা করে কেঁদে উঠলো। নিজেকে নিজেই গালি দিচ্ছে। কী দরকার ছিলো এইখানে ওঠার! এখন ভুগো! প্লেন কিছুক্ষণের মধ্যেই ছাড়লো৷ কিছুই হলো না দেখে কান্না থামিয়ে বসে থাকলো। সুইজারল্যান্ড এসে শুরুতে সমস্যা হলেও, ধীরে ধীরে মানিয়ে নিলো।
আভাসের চেষ্টায় পরিবর্তনও হলো। তবে, মন আগের মতোই স্বচ্ছ, নরম রয়ে গেছে। বদলানোটা শুধু বেশভূষায়। লেডিস জিম, ইয়োগা, কারাতে, পড়াশোনা সব মিলিয়েই জীবন কাটছিলো। সাত বছরে এক নতুন পায়রার আবির্ভাব হয়। কিন্তু, যতবার পায়রা আভাসকে তাদের বিবাহিতর পরিচয় দেয়ার কারণ জানতে চেয়েছে ততবারই আভাস এড়িয়ে গেছে নাহয়, বলেছে ‘যা করছি তোমার ভালোর জন্যই। ‘

তাই এই কারণটা পায়রার নিজেরও অজানা।

নীলাংশের বুক থেকে মুখ উঠালো পায়রা। ভাবমূর্তি বোঝার চেষ্টায় আছে। নীলাংশ কিছু একটা ভাবছে দেখে হাতে ধাক্কা দেয়। নীলাংশ চমকে পায়রার দিকে তাকালো। হেসে পায়রার কোলে ধপ করে মাথা রেখে বলল-

‘তাহলে, আমার ধারণাই ঠিক! ‘

পায়রা ভ্রু কুচকে বলল-

‘কীসের ধারণা? ‘

নীলাংশ অভিমানী গলায় বলল-

‘আবার বলছো কীসের ধারণা! তুমি তো ভয় পাইয়ে দিয়েছিলে আমাকে! সেদিন একটা কথা মাথায় না আসলে তো আমি সত্যি সত্যিই সুইসাইড করে ফেলতাম! খুশি হতে তাইনা?’

পায়রার শরীর কেঁপে উঠলো। ছলছল দৃষ্টিতে তাকিয়ে নীলাংশের গালে হাত ছুঁইয়ে বলল-

‘এসব কী বলছেন! সুইসাইড! ‘

‘হুম, রাগে হিতাহিত জ্ঞান হারিয়ে গেছিলো তো। ছাদে চলে গেছিলাম। শয়তানের বুদ্ধিতে প্ররোচিত হয়ে পড়েছিলাম। হঠাৎ মনে পড়লো, আভাস বোস তো একজন হিন্দু ধর্মের। তাহলে তোমার সঙ্গে বিয়ে হলে, মাথায় সিঁদুর, শাখা নেই কেনো! মুহুর্তেই মনে হলো, একবার যাচাই করে দেখা উচিত। তারপরই তোমরা যে হোটেলে ভাড়া আছো, সেখানে খোঁজ নিলাম। আরও অবাক হই,তোমরা আলাদা রুমে থাকছো। সুইজারল্যান্ডে তোমাদের বাড়ি আছে যেখানে, সেখানে লোক পাঠালাম। জুরাইখে গিয়ে কামাল জানালো, তোমাদের হোমমেইডের কাছে থেকে জানতে পেরেছে ওখানেও তোমরা আলাদাই থাকো। বুঝতে পারলাম, কোনো রহস্য আছে যা আড়ালে। অন্তত বিবাহিত তোমার নও। ‘

পায়রা অতশত খেয়াল করছেনা। তার মস্তিষ্কে একটা শব্দই আঁটকে গেছে, ‘সুইসাইড ‘। ফুপিয়ে কেঁদে ওঠে সে, যদি সত্যি সত্যি এমন কিছু করে ফেলতো! নিজেকে কখনো মাফ করতে পারতো না পায়রা। রাগে খুন করতে ইচ্ছে করছে নিজেকেই। নীলাংশ অস্থির গলায় বলল-

‘কী হয়েছে পিচ্চি! কাঁদছো কেনো? ‘

পায়রা বিনাবাক্যে ঝাপিয়ে পড়লো নীলাংশের বুকে।
পাগলের মতো এলোপাথাড়ি ভাবে অধরের তীব্র ছোঁয়া নীলাংশের সারা মুখে ছড়িয়ে দিলো। নীলাংশ হাসে পায়রার কান্ড দেখে। দুই হাতে শক্ত করে জড়িয়ে কানের কাছে বলে-

‘বিয়ের পরের জন্যও কিছু বাঁচিয়ে রাখো পিচ্চি! সব একসাথে দিয়ে দিলে পরে আমি কিন্তু আবার ডাবল করে উশুল করবো। ‘

চলবে-

(যেহেতু, ধর্ম বিষয়ক কিছু ব্যাপার আছে। তাই সাবধানতা অবলম্বন করে লিখছি আমি। তারপরও যদি কোনোভাবে কোনো ভুল করে ফেলি, ধরিয়ে দিবেন সঙ্গে ক্ষমাও করবেন। সব পাঠক পাঠিকাই আমার কাছে এক। সকল ধর্মকেই আমি সম্মান করি।)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here