“স্বপ্নচূড়ার আহ্বান”
পর্ব-৬৭
‘সব ঠিকঠাক হলো তবে!’
আভাসের রসাত্মক প্রশ্নে লাজুক হাসে পায়রা। নীলাংশ মাত্রই হোটেলের সামনে নামিয়ে দিয়ে গেছে।
নিজের রুমে ঢোকা মাত্রই দেখলো মোবাইলের স্ক্রিনে চোখ রেখেই বিছানায় বসে আছে আভাস। পায়রার আসার আওয়াজ পেয়ে কথাটা বলল। পায়রা লজ্জা মাখা চোখে তাকিয়ে বলল-
‘আপনি কী আগেই জানতেন? ‘
আভাস মৃদু হেসে বলে-
‘সবটা তোমরাই জানো, আমি শুধু নীলাংশ অবিবাহিত জেনেই তোমাকে বাংলাদেশে টেনে আনলাম। ‘
পায়রা পায়ের হিল জুতোজোড়া খুলে স্লিপার পড়ে, পাশের টেবিল থেকে জগ উঠিয়ে গ্লাসে ঢেলে মাত্রই মুখে পানি দিচ্ছিলো তৎক্ষনাৎ আভাস বলল-
‘ভুলেই তো গেছি, আমাদের কাজ শেষ। ব্যাগ পত্র গুছিয়ে নাও। কালই জুরাইখ ফিরবো আমরা। ‘
নাকে মুখে পানি উঠে যাওয়ায় বেষম খেলো পায়রা।
করুণ দৃষ্টিতে আভাসের দিকে তাকালো। সবেমাত্র ভুলগুলো দূর হয়ে পরিস্থিতি আয়ত্ত্বে এসেছে। সবকিছু
আবারও নতুন মনে হচ্ছিল। এই তো, যখন পায়রা গাড়ি থেকে নামছিলো নীলাংশ তার কোমর টেনে কথা নিয়েছে, পায়রা যাতে আর দূরে কোথাও যেতে না পারে। পায়রার তখন মনে হয়েছে, সে ষোলো বছরের কিশোরী প্রেমিকা। আর নীলাংশ সেই আগেরকার টগবগে তরুণ। বয়স আর সেই কৈশোরে থেমে না থেকে অনেকটা পেরিয়ে গেলেও মন তুলোর মতো উড়ে গেছিলো। বুকের ভিতর নতুন প্রজাপতি গুলো ডানা জাপ্টিয়ে আহ্বান করছিলো প্রেমের। এই নব্য নব্য প্রেম ছেড়ে দূরে গিয়ে বিরহে জর্জরিত হতে বড্ড নারাজ। উদাস চোখ দুটো আভাসের দিকে নিক্ষেপ করে বলল-
‘কালই যেতে হবে!’
আভাস গম্ভীর গলায় ‘হুম’ বলেই বের হয়ে গেলো। গুণগুণ করে জমাট বেঁধে থাকা আনন্দ গুলো শুকিয়ে ডায়েরির ভাজে থাকা গোলাপের মতোই খসখসে হয়ে মলিন হয়ে গেলো। ঠোঁট উল্টে ধপাস করে বিছানায় শুয়ে পড়লো পায়রা। প্রতিদিনকার ব্যস্ত যান্ত্রিক সাদামাটা জীবন থেকে রিটায়ার করে আচমকা সাংসারিক হয়ে যেতে মন চাইলো। দামী কোর্ট প্যান্টের
পরিবর্তে কোমরে আঁচল গুঁজে রান্না ঘরে রমরমা ঘ্রাণ ছড়ানো খাবার তৈরি করে সারা বাড়িময় ঘুরে বেড়াতে ইচ্ছে করলো। জুরাইখে যাওয়ার কথাটা মনে আসতেই তরতর করে মন খারাপের রেশ বেড়ে গেলো। বেডসাইড থেকে মোবাইলটা নিয়ে নীলাংশকে কল করলো। উদ্দেশ্য নীলাংশকে ব্যাপারটা জানানো।
তিন বার রিং হওয়ার পরই রিসিভ হলো। গোসল সেরে মসজিদে যাচ্ছিলো তখনই কলটা চোখে পড়লো। নাহলে, নীলাংশ একটু পরই ফোন বন্ধ করে দিতো।
রিসিভ করে কানে দিতেই পায়রা বলল-
‘এত দেরি হলো কেনো! ‘
নীলাংশ অবাক হয়ে বলল-
‘দেরি! আমি তো সাথে সাথেই রিসিভ করলাম।’
‘আচ্ছা আচ্ছা ঠিকাছে। শুনুন, আভাস স্যার বলেছে কালই জুরাইখ রওনা হবে আমাকে নিয়ে। ‘
‘ওহ, সে তো ভালো কথা। ‘
পায়রা মৃদু চমকানো স্বরে বলল-
‘ভালো কথা মানে! আপনি বুঝতে পারছেন না! জুরাইখ চলে যাবো আমি! ‘
নীলাংশ হাই তুলে নির্লিপ্ত ভঙ্গিতে বলল-
‘হ্যা বুঝেছি তো, হ্যাভ এ সুইট জার্নি। ‘
কল টুট টুট শব্দে কেটে গেছে। পায়রা শোয়া থেকে উঠে থম মেরে বসে আছে। কী হলো ব্যাপারটা! রাগে ফসফস করছে সে। এটা কোনো কথা! প্রেমিকার দূরত্বের খবর পেয়ে দুঃখ দেবদাস হয়ে যাওয়া উচিত ছিলো তাইনা?তাহলে, নীলাংশ এতো সহজে কী করে বলে,’হ্যাভ এ সুইট জার্নি!’ এই নীলাংশকে নিয়ে সে আবার সংসারের স্বপ্নও দেখছিলো। নিজেকেই সপাটে চড় বসিয়ে দিলো। হাতে বেডশিটটা দুমড়ে মুচড়ে দিয়ে খিঁচে উঠে দাঁড়ালো। এ তো আর আগের পায়রা না, যে হুহু করে কেঁদে শুয়ে থাকবে। আর কিছু বদলাক আর না বদলাক,উচ্চ ডিগ্রির রাগের সার্টিফিকেটটা পায়রা ঠিকই অর্জন করে নিয়েছে। টাওয়াল নিয়ে গোসল করতে যেতে নিতেই দরজায় নক করলো কেউ। তড়তড়ানো রাগ নিয়ে দরজা খুলে দিতেই হোটেলের ছেলেটা হাসিমুখে বলল-
‘রুমে পরিষ্কার করা লাগবে ম্যাম!’
পায়রা অগ্নিদৃষ্টি ছুড়ে চেচিয়ে বলে-
‘আমি কী বলেছি, রুম নোংরা হয়েছে! আমাকে কী অকেজো মনে হয় আপনার! ‘
ছেলেটা চুপসে গিয়ে মিনমিন করে বলল-
‘ন না ম্যাম। দুপুরের টাইম তো, সবার রুমই একবার ক্লিন করা হয়। ‘
‘আমার এখানে কোনো দুপুর হয়না, রাত হয়না, দিন হয়না! কিচ্ছু হয়না। খবরদার! আর ডিস্টার্ব করতে এসেছেন তো! ‘
ঠাস করে মুখের উপর দরজা লাগিয়ে বিরবির করে খিটমিট করতে করতে গোসল করতে চলে গেলো। ওখানে গিয়েও আরেক দফা ঝেড়ে দিলো। শাওয়ার চালিয়ে চিল্লাতে চিল্লাতে বলল-
‘জীবনটা মাথামোটা লোক দিয়ে ভরপুর হয়ে গেছে!
মাথামোটাময় জীবন আর ভাল্লাগে না! ‘
দরজার বাহিরে দাঁড়ানো ছেলেটা হা করে তাকিয়ে ধীরে ধীরে চলে গেলো। মনে মনে ভাবলো, ম্যাডাম নিশ্চয়ই পাগল হয়ে গেছে। নাহলে, আজ নতুন নয়। প্রতিদিনই একবার ক্লিন করতে আসে সে। এতো রাগ হওয়ার কারণ বুঝলোই না। নিজের ভুল ত্রুটি না পেয়ে হিসাব মিলাতে লাগলো। বেচারা তো জানে না, তার উপর অন্যের রাগ ঝেড়ে দেয়া হয়েছে।
___________________
সকাল বেলা উঠে ঝিমিয়ে ঝিমিয়ে তৈরি হলো পায়রা। রাতের বিরক্তকর ঘুমে শরীরটাও বড্ড বিরক্ত। চুলগুলো আঁচড়ে হ্যান্ডব্যাগ নিয়ে ট্রলি নিয়ে বের হলো। আভাস এসে পায়রার কাছ থেকে ট্রলি নিয়ে নিজেরটা সহ, পাশের হোটেলবয়কে বলল নিচে নামিয়ে দিতে। গাড়িতে বসেও রাগে দুঃখে কান্না পাচ্ছে পায়রার। আচ্ছা, সে চলে যাচ্ছে, এতে নীলাংশ কী একটুও দুঃখ পাবেনা! কত না বলা কথা জমে আছে সাত বছরে। সেসব বলার আগেই আবার এই দূরত্ব। পায়রা আর চায়না এই কাছে আসা, দূরে যাওয়ার গল্প। সে তো সাদাসিধা একটা সংসার চায়, ভালোবাসায় গড়ানো একান্ত একটা মানুষ। হায়! সবার ভাগ্যে বুঝি সবটা থাকে না।
পায়রা চোখ বুঁজে হেলান দিয়ে রইলো। কিছুক্ষণ পর এয়ারপোর্টে পৌঁছতেই নামলো দু’জন। ভেতরের দিকে অগ্রসর হতে নিলেই বুক ধকধক করে পায়রার। চোখে জমা জলটুকু মুছে নেয়। এমন সময় পিছনে থেকে দৃঢ় কন্ঠের আওয়াজে থমকে দাঁড়ালো। চোখ মুখ খুশিতে চকচক করে উঠলো। পেছনে তড়িৎ গতিতে ফিরতেই চমকে উঠলো, নীলাংশ এসেছে!
কোনো কিছুর পরোয়া না করে দৌড়ে এসে জড়িয়ে ধরলো পায়রা। কিছুক্ষণ আগেও মনে হচ্ছিলো, সব ভেঙেচুরে যাচ্ছে। কষ্টে উথালপাতাল শুরু হয়েছিলো।
দমকা হাওয়ায় এলোমেলো হওয়া হৃদয় শান্ত হলো। নীলাংশ হাসিমুখে পায়রাকে জড়িয়ে নিলো গাঢ়ভাবে।
পায়রা কিছুক্ষণ পরই নিজেকে ছাড়িয়ে সজোরে কিল বসিয়ে দিলো নীলাংশের বুকে। নীলাংশ মৃদু আর্তনাদ করে উঠলো। পায়রা অভিমানী গলায় বলল-
‘এখন আসলেন কেন? আমার তো সুইট জার্নি বাকি আছে! ‘
নীলাংশ কিছু বলার আগেই পায়রা চমকে উঠলো।
পেছনে থেকে নীলাংশের পরিবারের সকলেই এসে দাঁড়ালো। রায়ানা আর রুশানী একসাথে পায়রাকে টেনে বলল-
‘হ্যা গো, আমাদের ভুলে গেলে। বিয়ে হলে তো দুজন সময় পাবেই। ‘
সবাই উচ্চ স্বরে হেঁসে ওঠে। পায়রা লজ্জায় মাথা নত করে অপ্রস্তুত হাসে। সবার হাসিঠাট্টায় পায়রা অবাক হয়ে বলল-
‘তোমরা সবাই এখানে কেনো আসলে! ‘
রায়ানা মিটমিট করে হেঁসে বলল-
‘ হবু ভাবি, পেছনে তাকাও একবার। ‘
পায়রা ভ্রু উঁচিয়ে পেছনে তাকিয়ে হকচকিয়ে দুই কদম দূরে সরে গেলো। মুখে দুই হাত দিয়ে চেপে ধরে ফেললো। একি! এতো এতো লোকজনের মধ্যে নীলাংশ হাঁটু মুড়ে বসে আছে। মুখে এক গাল হাসি।
গায়ে নীল রঙের কোর্ট। আর হাতে রিং বক্স। পায়রার অবাক করা মুখ দেখে, আকুলতা নিয়ে বলল-
‘সত্যি বলতে, আমি কখনো ভাবিনি আমি প্রেমে পড়বো। সঙ্গে এতোটা ভালোওবেসে ফেলবো। মুভি, সিনেমা, বই পত্রে ভালোবাসা নাম দেখলেও পেটফেটে হাসি আসতো। ভালোবাসা! সে আবার কী! জীবনে সফলতাই আসল। টাকা, গাড়ি, বাড়ি, নাম, জোশ।
এছাড়া আর কিছু নিয়ে ভাবার সময়ও হতো না আমার। হঠাৎই এক দমকা হাওয়ায় আমার নিয়ম নীতির জীবনটা এলোমেলো হয়ে গেলো। এক পিচ্চির আগমনে, আমি জানতে শিখলাম সফলতা আরাম আয়েশের জীবন দিতে পারলেও সুখ দেয়না। সেই পিচ্চিটা আমাকে শেখালো নাম না জানা নতুন কিছু অনুভূতির প্রকাশ করা। ভালোবাসার মানুষকে পেয়েও না পাওয়া কতটা কষ্টের, তা উপলব্ধি করালো। এলোমেলো জীবনেও কতটা সুখ লুকিয়ে আছে জানালো। ‘
পায়রার চোখ দুটো ঘোলাটে হয়ে গেছে। ঠোঁট ভেঙে কান্না আসছে। নীলাংশের চোখও ভেজা। বুড়ো আঙুল দিয়ে চোখের কার্ণিশ মুছে উঠে দাঁড়ালো। পায়রার গালে লেপ্টে থাকা অশ্রুর সারি মুছে দিয়ে হাস্যজ্জ্বল কন্ঠে বলল-
‘আমার জীবন এলোমেলো করে হারিয়ে যাওয়া কন্যা, আমার প্রেমকন্যা। সারাজীবনের জন্য আমার হয়ে যাও। হারিয়ে যাওয়ার শাস্তি গ্রহণ করো। ‘
পায়রা কাঁদতে কাঁদতে হেঁসে ফেললো। ভীষণ আবেগি হয়ে, বাম হাতটা এগিয়ে দিয়ে বলল-
‘প্রেমকন্যা তার ব্যাক্তিগত পুরুষের শাস্তি গ্রহণ করিলো। ‘
সবার করতালিতে এয়ারপোর্ট মুখরিত। আশেপাশের সবাই এক মিলনের সাক্ষী হলো। পায়রা হাতে হালকা করে অধর ছুঁইয়ে আংটি পড়িয়ে দিলো। পেছনে থেকে আভাস একটা রিং বক্স এগিয়ে পায়রাকে বলল,নীলাংশকে পড়িয়ে দিতে। পায়রা মনে মনে কিছুটা বিচলিত ছিলো। তার সাথে তো কোনো আংটি নেই। কিন্তু আভাস তাকে চিন্তামুক্ত করে দিলো। আংটিবদলের পালা শেষ হতেই, পায়রা জানতে পারলো সবকিছু আগে থেকেই সবাই প্ল্যান করে রেখেছিলো। আর এয়ারপোর্টে আসার কারণ হলো, আভাস সত্যি সত্যিই চলে যাচ্ছে। হাজারও খুশির মাঝে ভাঁটা পড়লো পায়রার। পায়রা মন খারাপ করে বলল-
‘এখন কেনো! স্যার, বিয়ের ডেট তো চারদিন পরই। কয়েক দিন পর গেলে কী হবে! ‘
আভাস মৃদু হেসে বলল –
‘পাগলী মেয়ে! কত কাজ পড়ে আছে! ওখানের সবকিছু থেমে আছে আমার অপেক্ষায়। তোমাদের বিয়েতে থাকতে পারছিনা। কিন্তু মন থেকে দোয়া করি, তোমরা আজীবন সুখে থাকো। ‘
নীলাংশ পাশেই দাঁড়িয়ে ছিলো। আভাস দু’জনের দিকে তাকিয়ে বলল-
‘বিশ্বাস সম্পর্কের খুঁটি। মানুষের উপর অকারণে বিশ্বাস হারানো পাপ! শুনেছো তো! ভগবান এক করে রাখুক তোমাদের। বিপদ আপদে নির্দ্বিধায় আমাকে জানাবে। ‘
পায়রা বাচ্চাদের মতো ঠোঁট ফুলিয়ে কাঁদো কাঁদো হয়ে বলল-
‘আপনি এমন করে বলছেন কেনো! আমি জুরাইখ যাবো আপনাকে দেখতে। আপনিও আসবেন। নাহলে, আমি কিন্তু রেগে যাবো! ‘
আভাস হো হো করে হাসে ৷ নীলাংশের দিকে তাকিয়ে বলল-
‘খেয়াল রেখো, সত্যিই পিচ্চি রয়ে গেছে। বাহির শক্ত দেখালো, আমি জানি সাত বছরে মনটা আগের মতোই আছে। প্রতি দিন তোমার জন্য কাতর হতে দেখেছি আমি। ভালোবাসা নিজের করে পাওয়ার ভাগ্য সবার হয়না, পেয়েছো তাই আঁকড়ে রেখো। ‘
কথাগুলো বলেই ট্রলি থেকে একটা মোটা ডায়েরি বের করে পায়রার হাতে দিয়ে বলল-
‘বিয়ের সময় তো উপস্থিত থাকতে পারবো না। তাই, উপহারটা এখনই দিয়ে দিলাম। যত্নে রাখবে আমি জানি। ‘
পায়রা অবাক হয়ে কিছুক্ষণ তাকিয়ে বুঝতে পারলো, এটা সেই ডায়েরি যেটাতে প্রায়শই আভাসকে লিখতে দেখতো। পায়রা শক্ত করে ধরে রাখলো। আভাস ডায়েরিটার দিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থেকে চিন্তা করলো কিছু। হয়তোবা, নিজের পুরনো সঙ্গী,সুখ দুঃখের সাথীকে রেখে যেতে বুকে ব্যাথা অনুভব হচ্ছে তার। চোখ সরিয়ে যেতে যেতে বলল-
‘অনেক প্রশ্ন জমা আছে তোমার মনে তাইনা? ডায়েরিটা পড়লেই পেয়ে যাবে। ‘
এনাউন্সমেন্ট হয়ে গেছে। সবাই আভাসকে বিদায় দিচ্ছে। আভাস পায়রার মাথায় হালকা করে হাত বুলিয়ে দিয়ে বলল-
‘ভালো থেকো, মিস ইন্টেলিজেন্ট! ‘
অজান্তেই চোখ দিয়ে নোনাপানির নহর বয়ে গেলো পায়রার। কেনো জানি মনে হলো, চিরকালীন রহস্য মোড়ানো লোকটার ভীষণ দুঃখ ৷ আকাশ সম দুঃখ নিয়ে সে বহুদূরে চলে যাচ্ছে। আর কখনো হয়তো সে ফিরে আসবে না।
আভাস চলে যেতেই, দীর্ঘ শ্বাস ফেলে নীলাংশের হাত ধরে হাঁটা শুরু করলো পায়রা। গাড়ি চলছে। নীলাংশের কাঁধে মাথা রাখা। উদ্দেশ্য নীলাংশের বাড়ি।
সেখানে থেকেই বিয়ের কার্যাবলী শেষ হবে। দুঃখের লম্বা এক পাতা উল্টিয়ে সুখের পাতটা বোধ হয় পাওয়া গেলো!
চলবে-
(পিচ্চি ও সুন্দর সাহেবের বিয়ের আমন্ত্রণ রইলো সবাইকে।)