স্বপ্নের প্রেয়সী 💖 পর্ব- ১১

0
2811

💖 স্বপ্নের প্রেয়সী 💖
Part – 11
___________________

গাড়ি থেকে নামার আগে ফারহান ভাইয়া আমার চোখ বেধে দিলেন ।
রিফাত ভাইয়া বলল ফারহান ওকে নিয়ে তুই কমপ্লেক্স এ আগে ফিরে যাস আমরা একটু পরে যাবো।
ফারহান ভাইয়া বলল
– ওকে। আজকে ফারাবির নন্দন এর সাধ মিটেই যাবে।
সবাই অট্টহাসি তে মেতে উঠলো তারপর রিফাত ভাইয়া বলল
– আচ্ছা দেখা যাক
ফারাবির কি হয়।
আমি ভয়ে শেষ রিফাত ভাইয়া কে বললাম
– ভাইয়া আমি কিন্তু বলেই
ভ্যাঁ ভ্যাঁ করে কেঁদে দিলাম।
সবাই আবার হাসা শুরু করলো।
তারপর জামান ভাইয়া বলল
– ফারাবি ভয় পেয়ো না ।
যার সাথে আছো সে তোমাকে মেরে ফেললে ও অন্য কাউকে মারতে দিবে না ।
আমি আগা মাথা কিছু ই বুজলাম না ।
এরা আমাকে কিছু করার আগে আমি ই ভয়ে মরে যাবো।
রিফাত ভাইয়া ফারহান ভাইয়া কে বলল
– আমরা তো শর্টস সিনেমা দেখব তাই না ফারহান
– হুম তবু ও সব মিলিয়ে দুই ঘন্টা লেগে যাবে তদের ।
– তার মানে এখন 7’15 হলে 9,30 আগে কমপ্লেক্স এ বেগ করতে পারবো না ।
ফারহান ভাইয়া বলল
– হুম 9’30 আগে সম্ভব না । আমরা 9’00 তেই চলে যাবো তোরা পরে আছিস সমস্যা নেই তো।
রিফাত ভাইয়া খুশি মুখে বলল
– ওকে । আচ্ছা ফারাবি কে দেখে রাখিস । আর খুব ভয় পেলে কিন্তু ও বাচ্চা দের মতো কাঁদে।
যেমন টা একটু আগে করলো ।
ফারহান ভাইয়া আমার হাত ধরে বলল
– এখন এই বাচ্চা কেই আমায় সামলাতে হবে ,
যা তোরা নো প্রবলেম।

রিফাত ভাইয়ারা গাড়ি থেকে নেমে গেল।
তারপর ফারহান ভাইয়া আমার হাত ধরে নিয়ে ড্রাইভিং সিটের পাশে বসালো ।
অর্থাৎ ফারহান ভাইয়ার পাশে । কারন ওনি নিজেই ড্রাইভ করতে পছন্দ করেন।
তাই কখনোই সাথে ড্রাইভার আনে না ।
আমার চোখ বাঁধা কোথায় যাচ্ছি আমি কিছুই বুঝতে পারছি না।
আমার আর কি
আমাকে তো নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করার জন্য আনা হয়েছে।
কিন্তু এই হনুমান টা করবে টা কি।
__________________

গাড়ি কোথাও একটা এসে থেমে গেল । ওনি নেমে তারপর আমার হাত ধরে নামিয়ে নিয়ে আসলেন ।
তারপর আমার হাত ধরেই কোথাও একটা নিয়ে যেতে লাগলেন ।
কিছুক্ষন পর আমার চোখের বাঁধন খুলে দিলেন ।

আমি হা হয়ে আছি।
মুখে বলার মতো কোনো ভাষা খুঁজে পাচ্ছি না।
ফারহান ভাইয়া আমার কানের কাছে মুখ নিয়ে কোমর জড়িয়ে ধরে বললেন
– কেমন লাগছে ফারাবি।
নন্দন যাওয়ার শখ ছিলো না ।
তাই তোকে যমুনা তে নিয়ে আসলাম।
দেখি তোর কতো সাহস যার জন্য তুই একা নন্দন যেতে চেয়েছিস ।
তা ও আবার এতো গুলো ছেলের মাঝে।
নিজেকে সামলাতে পারিস তুই ?
আচ্ছা দেখি তুই কতোটা সাহসী ।

আমি নির্বাক বাংলাদেশের সব থেকে ভয়ঙ্কর এই পার্ক।
বিভিন্ন রিভিউ দেখেই আমি কেঁদে দিয়েছি।
আর যদি আমাকে কোনো রাইড এ উঠতে হয় আমি কি করবো ?
নিজের মনে নিজেই ঢোক গিললাম।
আমার পা অষার হয়ে আছে ।
পা যেন কেউ খিচে ধরেছে
আমি বাকশক্তি হীন হয়ে পড়েছি ।
ফারহান ভাইয়া আমার কোমর জড়িয়ে ধরে বলল
– কি যেন বলেছিস। আমি বজ্জাত হনুমান।
আচ্ছা দেখি আজকে তুই বাঁচার জন্য এই বজ্জাত হনুমানের কাছে আসিছ নাকি ।
এই বলেই ডেবিল মার্কা হাসি দিলেন।
আমি ওনার দিকে ছলছল চোখে চেয়ে আছি।
অনেক বলতে ইচ্ছে হচ্ছে আমাকে মাপ করুন আমি আর কখনো এমনটা করবো না ।
কিন্তু ভেতর থেকে যেন একটি শব্দ ও আসছে না ।

ফারহান ভাইয়া আমার কোমর ছেড়ে হাত ধরে কাউন্টারে নিয়ে গেলেন।

কাউন্টারে ও আমার হাত এমন ভাবে ধরে রেখেছেন যেন ছেড়ে দিলেই আমি হাড়িয়ে যাবো ।

কাউন্টারের লোক টা ফারহান ভাইয়া কে দেখেই উঠে দাঁড়ালো।
দাঁড়াবে না কেন ।
ফারহান ভাইয়ার আব্বু তো বিশাল বিজনেসম্যান।
কতো নাম টার আর ফারহান ভাইয়া নিজে ও বেশ কিছু সাহায্য সংগঠনে আছেন ।
যার ফলে তাকে অনেকেই চেনে ।
ফারহান ভাইয়া আমার হাত ধরেই লোকটার সাথে কুশল বিনিময় করলেন ।
তারপর বলল
– ইটস ওকে ।
আপনি এখানকার একজন সম্মানিত স্টাফ ।
আমাকে দাঁড়িয়ে কুশল বিনিময় করতে হবে না ।

লোকটা হেসে বলল
– ঠ্যাংস স্যার । স্যার চা কফি নাকি অন্য কিছু ।

ফারহান ভাইয়া হেসে বলল
– আরে না এখন কিছু লাগবে না ।
অন্য একদিন এসে আড্ডা দিবো ।
জাস্ট একটা হেল্প লাগবে।

লোকটা বলল

– আচ্ছা স্যার আসবেন একদিন । আর বলুন এখন আমি আপনাকে কিভাবে সাহায্য করতে পারি।

ফারহান ভাইয়া পাঁচ টা রাইডস এর নাম বলল
( Tower challenger , 360 suffle, flying disco, tremendous challenger, and lastly Roller coaster )

Roller coaster এর নাম শুনেই আমার মাথা ঘুরে গেল।
বিশ্বের সব থেকে ভয়ানক রাইডস এর একটি এটি ।
আজকে আমি শেষ ।

ফারহান ভাইয়া লোক টাকে বলল
– আমরা যখন এই রাইডস এ উঠবো তখন আদারস কাউ কে উঠাবেন না ।
আমি প্রতিটা সিট বুক করলাম।

আমি মনে মনে বললাম
– আজব তো ,শুধু শুধু টাকা নষ্ট করার কি
দরকার।
আসলে ই বজ্জাত হনুমান।

লোকটা বলল
– ওকে স্যার ।

ফারহান ভাইয়া রাইডস গুলো বিল পে করে দিলো।

তারপর আমাকে নিয়ে সরে এলো , এখনো শক্ত করে আমার হাত ধরে আছে ।
মনে হচ্ছে হাত টা আমার ছিলেই গেছে ।

আমি তো উঠবো ই না ফারহান ভাইয়া আমাকে জোর করে কোনো রখমে উঠিয়াছে কারন আমার নাকি অনেক সাহস ।
তাই তো শুধু ফ্রেন্ডদের সাথে নন্দন যেতে চেয়েছি ।
তাই এটা আমার সাহসের পরীক্ষা ।
অবশ্য প্রথম চারটে রাইডস এ ফারহান ভাইয়া আমাকে শক্ত করে ধরে রেখেছিলো ।
বেশ মজা লেগেছে আমার।
যদি ও একটু একটু ভয় পেয়ে ছিলাম তবু ও সেই লেগেছে ।
কিন্তু সর্বশেষ রাইডস অথার্ৎ roller coaster এর কথা ভাবতেই আমার কান্না পেল ।
আমি তো এবার উঠার আগেই হাফ কেঁদে দিয়েছি।
ফারহান ভাইয়া আমাকে টেনে উঠালো , আমার কান্না দেখে ফারহান ভাইয়া বলল
– ফারাবি ঠাপ্পর দিবো কিন্তু।
আমি ঠাপ্পরের কথা শুনে চুপসে গেলাম ।

ফারহান ভাইয়া কাপলদের জন্য রাখা সিট এ আমাকে নিয়ে বসলেন ।
কিছুটা স্বস্তি পেলাম কিন্তু ভয় তো যাচ্ছেই না ।
যখন রাইড টা শুরু হলো তখন তো কিছুই হলো না কিন্তু যখন উপর থেকে নিচে আর ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে ঘুরছিলো তখন হলো বিপত্তি ।
আমি জোড়ে কেঁদে দিলাম।
কিন্তু ফারহান ভাইয়া এবার আমাকে ধরলো না ।
কারন ফারহান ভাইয়া উঠার আগেই বলেছে আমার সাহস নাকি বেশি হয়েছে ।
তো ওনি এবার আমাকে সামলাবে না ।
আমি নিজেকে সামলাতে না পেরে ফারহান ভাইয়া কে দু হাত দিয়ে জড়িয়ে ধরলাম। প্রচন্ড ভয় লাগছে আমার কান্নার বেগ জেনো বেড়েই চলেছে ।
আমি ফারহান ভাইয়া কে জড়িয়ে কেঁদেই চলেছি ।
ফারহান ভাইয়া এবার আমাকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরলো।
আষ্টে পিষ্ঠে জড়িয়ে ধরায় আমার শরীরে শিহরন
জাগল ।
কিন্তু এই মুহূর্তে আমার ভয় বেশি হচ্ছে।
আমার কান্না থামার নাম ই নিচ্ছে না ।

শেষ মেষ রাইডস এর টাইম শেষ হলো ।
আমি ফারহান ভাইয়াকে জড়িয়ে ই ধরে আছি।
আশে পাশে সবাই আমার দিকে তাকিয়ে আছে কিন্তু এতে যেন আমার কিছুই যায় আসে না ।
আমি ফারহান ভাইয়া কে জড়িয়ে কেঁদে ই যাচ্ছি ।
ফারহান ভাইয়া আমাকে নিয়ে এসে একটা বেঞ্চে বসালেন ।
আমি এখনো ফারহান ভাইয়া কে জড়িয়ে আছি তা ও চোখ বন্ধ করে ।
আমি যে প্রচন্ড ভয় পেয়েছি ফারহান ভাইয়া বুঝতেই পারছে ।
উনি হঠাৎ হাসা শুরু করলেন।
আমি তবু ও ওনাকে ছাড়ছি ই না ।
ফারহান ভাইয়া আমার কানের কাছে মুখ নিয়ে বলল
– বলেছিলাম না ।
নিজেকে সামলাতে আমাকে লাগবেই তোর।
আর তুই একা নন্দন যেতে চেয়েছিস।
তখন কি অন্য ছেলেদের এভাবে জড়িয়ে ধরতি ?
অন্য ছেলেরা তোর গায়ের সাথে গা ঘেঁষে থাকতো ?

এবার আমার শরীরের প্রতি টা নিউরন জানান দিলো আমি ফারহান ভাইয়া কে জড়িয়ে আছি ।
আমার কান্না থেমে গেলে ও হিচকি থামলো না ।
কিছুটা লজ্জা পেয়ে ফারহান ভাইয়া কে ছেড়ে দিলাম ।
কিন্তু ফারহান ভাইয়া আমাকে আবার জড়িয়ে ধরলেন ।
তারপর বললেন
– ফারাবি খুব ভয় পেয়েছিস না ?

আমার হিচকি তো থামার নাম ই নেই প্রতি উত্তরে মাথা দোলালাম ।

ফারহান ভাইয়া আমাকে আবার কাছে টেনে নিয়ে
আলতো ভাবে চোখের পানি মুছে দিলেন ।

তারপর কিছুটা স্বস্তির নিশ্বাস ফেলে বলল
– তোকে সব কিছু খুলে বুঝাতে হয় কেন বল তো ?

তুই কি এখনো পিচ্ছি, হয়তো তুই এখনো পিচ্ছি ।
কিন্তু এই জগত টা কে বুঝ তে হবে তো তাই না ।
তুই একা নন্দন গেলে ছেলেরা তোকে ফ্লাট করার সুযোগ পেতো ।
এই রকম পরিস্থিতিতে সাহায্যের নাম করে শরীরে ছুঁয়ে দিতো ।
এটা কি তুই চাছ ?
আমি কিছু টা লজ্জা পেলাম
আমি আসলেই একটু বেশি ভিতু ।
ফারহান ভাইয়া ছিলো বলে আজকে প্রথম রাইড গুলো তে উপভোগ করেছি ।
কিন্তু শেষে ফারহান ভাইয়া ধরে রাখে নি বলে কতোটা ভয় পেয়েছি যার ফলে আমি ওনাকে জড়িয়ে ধরার পর ও চোখ খুলতে পারি নি ।
লজ্জায় মাথা নিচু করে রইলাম ।
ফারহান ভাইয়া আমাকে বলল তো এবার বুঝেছিস কেন বকা দেই তোকে ।
তুই কেন যে পিচ্ছি হলি
এই বলেই আমার দিকে তাকালো তারপর বলল
– ফারাবি তোকে ভয় দেখানোর জন্য সরি ।
এই যে কান ধরছি ।
আমি দেখলাম ওনি সত্যি ই কান ধরে আছেন ।
এবার আমি জোড়ে ই হেসে দিলাম ।
ফারহান ভাইয়া আমার দিকে নেশারত চোখ নিয়ে বেশ কিছু ক্ষুন তাকিয়ে রইলেন ।
তারপর কিছু একটা ভেবে চোখ নামিয়ে নিলেন।
ফারহান ভাইয়া আমাকে হাত ধরে বেঞ্চ থেকে উঠালেন তারপর বললেন
– আইসক্রিম খাবি ফারাবি।
আমি আইসক্রিমের নাম শুনেই খুশিতে আত্মহারা হয়ে বললাম
– হুম খাবো । তবে অবশ্যই আমার ফেবরেট লেমন ফ্লেবার ।

ফারহান ভাইয়া মৃদু হেসে বলল
– আচ্ছা তাই হবে ।
আমি ও তোর ফ্রেবরেট লেমন ফ্লেবার ই খাবো ।

তারপর দুজোন ই আইসক্রিম সেন্টার থেকে লেমন ফ্লেবার নিলাম ।
ফারহান ভাইয়া আইসক্রিম খুলেই আমার মুখের সামনে নিলেন।
আমি বললাম
– আমার ও তো আছে ।

ফারহান ভাইয়া বলল
– উঁহু। তোকে বলেছি না নিতে, তো নিবি বুঝেছিস।

আমি ফারহান ভাইয়ার আইসক্রিম থেকে একটা বাইট নিলাম।
উফফফ কি ভালো তা বলার বাইরে।
ফারহান ভাইয়া আমার দিকে তাকিয়ে হাসলেন তারপর বলল
– কেমন খেতে ফারাবি।
আমি বললাম অসাধারণ।

ফারহান ভাইয়া বলল
– আচ্ছা তো খাওয়া যাক।
আমি বললাম
– হুম ।
তারপর আমার আইসক্রিম টা খুলে ফারহান ভাইয়া কে বললাম নিন ।
ফারহান ভাইয়া বলল
– আমার তো আছে ।

আমি বললাম আমার ও ছিল। কিন্তু আপনি আমাকে খাইয়েছেন।
আমার ও তো উচিত আপনাকে খাওয়ানো ।

ফারহান ভাইয়া ঠোঁটের কোনে মিষ্টি হাসি এনে বললেন
– আগে তুই একটা বাইট দে।
তারপর আমি দেব ।

আমি বললাম
– আচ্ছা ঠিক আছে ।
পরক্ষণেই একটা বাইট দিলাম ।
উফফফ অসাধারণ খেতে।
তারপর ফারহান কে বললাম এই যে নিন এবার

ফারহান ভাইয়া একটা বাইট নিয়ে বলল
– হুম এবার পারফেক্ট আছে ।
এখন 100% টেস্টি হয়েছে।

ওনার এ কথার মানে আমি বুঝলাম না । আমার বুঝে ও কোনো কাজ নেই ।

আমি আমার মতো আইসক্রিম খেতে লাগলাম।
আইসক্রিম খাওয়া শেষ এ কমপ্লেক্স এর উদ্দেশ্যে রওনা হবো তখন ফারহান ভাইয়া বললো ।
ওয়েট
তারপর কিছু একটা ভেবে বলল না তুই আমার সাথেই আয় ।
তোকে একা রেখে যেতে চাই না।

আবার আমার হাত ধরে একটা শপে ঢুকলেন।
তারপর শপ থেকে এক বক্স কিটক্যাট কিনে নিয়ে আমাকে বললেন
– হ্যাপি ?
আমার চোখ উজ্জ্বল হয়ে উঠলো উফফফ আমার দূর্বলতা।
আমি চকলেট বক্স টা নিয়ে বললাম
– খুববব বেশি হ্যাপি।
ফারহান ভাইয়া মৃদু হেসে আমার গাল টেনে বললেন
– পিচ্ছি টা
আমি হেসে বললাম
– উমম । মোটে ও না ।
ফারহান ভাইয়া আমার ওড়না টা ভালো করে জড়িয়ে দিয়ে বললেন

– তা তো বুঝতেই পারছি ।
ওড়না সামলাতে ও আমাকে লাগছে ।

আমি কিছুটা লজ্জা পেলাম ।
ফারহান ভাইয়া আমাকে গাড়িতে নিয়ে বসালেন ।
তারপর গাড়ি চলা শুরু করলো আপন গতিতে ।

__________________

( আসসালামুআলাই রির্ডাস । আজকে গল্প দেওয়ার মানসিকতাই ছিলো না । আমি যেহেতু রাতে অর্ধেক আর সকালে অর্ধেক গল্প লিখে দুপুরে পোস্ট দেই।
তাই আজকে আমার জন্য গল্প দেওয়া খুব বেশি অস্বস্তিকর হয়ে পড়েছিলো ।
আজকে শপিং এ যাবো বিধায় কাল রাত জেগে গল্প লিখেছি কিন্তু পোস্ট দেওয়ার জন্য ও একটি ঘন্টার প্রয়োজন হয় ।
গল্প রিভাইস দিতে হয় কমেন্ট এর রিপলে দিতে হয় ।
সব মিলিয়ে কম হলে ও একটি ঘন্টা দরকার । রোজা রেখে 40৹ তাপমাত্রা তে শপিং করা কতোটা কষ্ট না গেলে বোঝা যায় না । তারপর বাসায় এসে আম্মু কে কাজে সাহায্য করতে হয়েছে। আর কাজ শেষ করতে করতে সন্ধ্যা ।
ইফতার শেষ করে হালকা রেস্ট নিয়ে গল্প নিয়ে বসেছি যাতে আমার পাঠক/ পাঠিকা দের মন খারাপ না হয় ।
তাদের আগ্রহ নষ্ট করতে চাই নি তাই এতো কষ্ট করে গল্প দিলাম ।
তুলনামূলকভাবে আজকের পার্ট বেশ বড় ।
আশা করি ভালো লাগবে অবশ্যই একটি কমেন্ট করে জানাবেন ।
আর আমার লেখা গল্প পেতে পেজ এ লাইক আর বন্ধুদের ইনভাইট দিয়ে পাশে থাকবেন )

বি : দ্র : ভুল ত্রুটি মাপ করবেন ।

💜 হ্যাপি রিডিং 💜

চলবে
ফাতেমা তুজ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here