স্বপ্নের প্রেয়সী 💖 পর্ব- ৩৫

0
1722

💖 স্বপ্নের প্রেয়সী 💖
Part – 35
______________________________

বাসা থেকে বেশ কিছুটা দূরে স্কুলের পাশের পার্ক টা তে ফারহান ভাইয়া আমাকে নিয়ে গেলেন।
বেঞ্চে বসিয়ে পাশে থাকা আইসক্রিম স্টল থেকে দুটো লেমন ফ্লেবার এর আইসক্রিম নিয়ে আসলেন।
বরাবরের মতোই প্রথম বাইট টা আমাকে দিয়ে দেওয়ালেন।
আর আমি ও আমার আইসক্রিম থেকে ওনাকে বাইট দিতে বললাম।
এই বিষয়টা অভ্যাস হয়ে গেছে।
আমি ও কেন এই বিষয়টা মেনে নেই তা জানি না।
বিষয়টা আমার কাছে বেশ ভালো ই লাগে।
আইসক্রিম খেতে খেতে বললাম
– কিছু বলার জন্য এনেছেন?

ফারহান ভাইয়া আমার দিকে তাকিয়ে আবার অন্য দিক ফিরে রইলেন।
আমি ও আর কিছু বললাম না।
আইসক্রিম খাওয়া শেষ হলে ফারহান ভাইয়া আমাকে বললেন
– ফারাবি তুই মিরন এর থেকে দূরে থাকবি।
ইনফেক্ট সব ছেলেদের থেকে ই দূরে থাকবি।
আমি তোকে বলছিনা ঘরে বসে থাকতে , কিন্তু লিমিট যেন ক্রস না হয়।
সৌজন্য তা বজায় রাখতে যতটুকু দরকার ঠিক ততোটুকুই করবি।

আমি মাথা ঝাঁকিয়ে সম্মতি জানালাম।
ফারহান ভাইয়া মুখের কোনে হাসি রেখে বলল
– গুড গার্ল।
আজকের পর থেকে কিন্তু বেশ মনোযোগ দিয়ে পড়তে হবে।

আমি মুখে হাসি ফুটিয়ে বললাম
– আচ্ছা।
তারপর কিছুক্ষণ পার্কে বসে বাসার উদ্দেশ্যে রওনা হলাম।
বাড়ি পৌছে লম্বা সাওয়ার নিয়ে বিউটিশিয়ান আপুর কাছে সাজতে চলে গেলাম।
মেরুন কালারের গরজিয়াজ একটা থ্রি পিস পরলাম তার উপর মেরুন জর্জেট এর কোর্ট ।
কারন প্রচুর শীত , হাতে প্রার্স ঝুলিয়ে বের হয়ে আসলাম।
আমি আর রিমি সেইম কালেকশন আর সেম সাজ দিয়েছি।
তাই আমার কাছে দুজোন কে জমজ জমজ লাগছে।
দুজন একসাথে বাসা থেকে বের হয়ে আসলাম।
সবাই একসাথে হতেই ফারহান ভাইয়া এসে একটা প্লেন বলে গেলেন।
সবাই হো হো করে হাসতে লাগলাম।
সবাই মিলে কার নিয়ে বের হয়ে গেলাম।
বরাবরের মতোই ফারহান ভাইয়া, রিফাত ভাইয়া, আমি , রিমি আর মনিকা আপু এক সাথে যাচ্ছি।
আর ফারহান ভাইয়াদের বন্ধুরা আমার বান্ধবীরা আর মনিকা আপুর বান্ধবীরা অন্য দুটো কার এ করে যাচ্ছি।
আসলে অনেক স্প্রে ফুল , জরি মিষ্টি চকলেট, হাবিজাবি এই সব কেনার জন্য ই শপিং এ যাচ্ছি।
শপিং মল থেকে সবাই সব কিছু কেনা কমপ্লিট করে বাসায় ফিরে আসলাম।
আজকে কনে পক্ষ কে আমরা গোল খাইয়েই ছারবো।
বাসায় এসে সমস্ত টা গুছিয়ে ফেললাম।
বউ ভাতের অনুষ্ঠান বাসাতেই হচ্ছে।
গেটের সামনে সবাই দাড়িয়ে আছি, কনে পক্ষের সবাই কে হাতে চকলেট , ফুল দিয়ে বরন আর মিষ্টি খাইয়ে ভেতরে পাঠাচ্ছি।
আমাদের এমন কান্ডে কনে পক্ষের লোকে রা হাসতে হাসতে গড়াগড়ি খাচ্ছে।
সর্বশেষ কনে পক্ষের মিস্কা শয়তান গুলো আসতেই স্প্রের বর্ষন শুরু হলো।
প্রত্যেক এর হাতে বড় বড় দুইটা করে স্প্রে।
যার দরুন ওরা কেউ স্প্রে সামলে আগাতেই পারছে না।
সব থেকে দেখার মতো চেহারা ছিলো শ্রেয়া আপুর।
জামান ভাইয়া ইচ্ছে করে সমস্ত স্পে ওর মুখে মেরে দিয়েছে।
যার দরুন ওর মেকআপ সব গলে গলে পরছে।
বেচারি তো পারে না শুধু কাঁদতে, রাগে গজগজ করতে করতে ভেতরে চলে যাচ্ছিলো।
মনিকা আপু আবার ফোরন কেটে পিছন থেকে দার করালো।
হাতে চকলেট ধরিয়ে দিলো, আর শ্রেয়া আপু কিছু বলবে তার আগেই মুখে মিষ্টি পুরে দিলো।
এই দেখে সবাই আবার হাসা শুরু করলো।
প্রত্যেকের যায় যায় অবস্থা, স্প্রের সাথে জরি ছিটিয়ে দেওয়ার কারনে সবাইকে ভুতের মতো লাগছে।
আসলে ওরা কেউ ভাবতে ও পারে নি এতো বড় কিছু করবো আমরা।
ভেবেছিলো স্প্রে দিতে পারি , কিন্তু আমাদের কান্ডে বেচারাদের নাস্তানাবুদ অবস্থা।
ওরা সবাই ভেতরে চলে গেলে আমরা সবাই একে একে হাই ফাইপ করতে ব্যস্ত ।
সর্বশেষ ফারহান ভাইয়ার সাথে হাই ফাইপ করতে যাবো তার আগেই ফারহান ভাইয়া আমাকে পেছন থেকে জড়িয়ে ধরে বলল
– যা যা বলেছি মনে থাকে যেন।
কারো সাথে বেশি কথা বলার প্রয়োজন নেই।
ওনার আলতো ছোয়াতে শরীর কেঁপে উঠলো।
বুঝলাম না ওনি হঠাৎ এভাবে জড়িয়ে ধরলো কেন।
মনের ভেতর কেমন ধুকধুক করছে।
ফারহান ভাইয়া আমাকে ছেড়ে ঝরের গতিতে চলে গেলেন।
আমি ও নিজেকে সামলে ভেতরে চলে আসলাম।
সবার সাথে লান্স সেরে নিলাম।
তারপর চলে গেলাম মনি আন্টির কাছে ।
মনি আন্টিকে গোলাপি রঙের লেহেঙা পড়ানো হয়েছে।
অসাধারণ লাগছে, আমি গিয়ে মনি আন্টিকে জড়িয়ে ধরে বললাম
– আন্টি , বাহহহ তোমাকে তো বেশ লাগছে।
চাচ্চু তো আবার ক্রাশ খাবে।

মনি আন্টি আমার থুতনি উঁচু করে বলল
– মেয়ে পেকে গেছে দেখছি।
খুব তাড়াতাড়ি বিয়ে দিতে হবে।

আমি মুখ গোমড়া করে বললাম
– এহহ আমি এতো তাড়াতাড়ি কোথাও যাচ্ছি না।

চাচ্চু রুমে ঢুকতে ঢুকতে বলল
– মামনি এখনো আন্টি বলছিস কেন।
কাকিমা বলতে ভুলে গেলি নাকি ।

আমি খানিকটা লজ্জা পেয়ে বললাম
– অভ্যাস নেই যে।

চাচ্চুর পেছন পেছন রিফাত ভাইয়া আর ফারহান ভাইয়া ও আসলেন।
ফারহান ভাইয়া হেসে মনি আন্টির উদ্দেশ্যে বললেন
– এহহ ঐ পুঁচকে মেয়ে কে , আমার বোনের সমান মনে হয়।
তাকে নাকি কাকি মা বলব।
এহহ পারবো না।

মনি আন্টি চোখ রাঙিয়ে বললেন
– তা বলবি কেন ?
তুই তো একটা পুঁচকে শয়তান ।
তোর কাছে আমার মেয়ে হলে , কোনো মতেই বিয়ে দিবো না যাহহহ।

ফারহান ভাইয়া ইনোসেন্ট ফেস নিয়ে বললেন
– এমা এর জন্য এতো বড় শাস্তি ।
আচ্ছা কাকিমা ডান।

সবাই এক সঙে হেসে উঠলাম।
বেশ কিছুক্ষণ মজা করে চাচ্চু কে আর মনি আন্টি কে বিদায় দেওয়ার সময় হলো।
আমরা কেউ যেতে চাই নি , কারন এ বাড়ি ও বাড়ি ই তো।
এখান থেকে এখানে কি আর যাবো।
কিন্তু সবার জোড়াজোড়ি তে যেতে হলো।
ফারহান ভাইয়া একহাতে আমার হাত আরেক হাতে রিমির হাত ধরেই আছে।
মনে হচ্ছে ছেড়ে দিলেই আমরা দুজন উড়ে যাবো।
অবশেষে আমরা সবাই মনি আন্টির বাসায় গেলাম।
মনি আন্টির বাসাতে একটা দিন বেশ ভালোই কাটল।
ওরা কেউ আর কোনো ঝামেলা করে নি ।
কারন বুঝে গেছে ইট ছুড়লে পাটকেল তো খেতেই হবে।
এর মাঝে মিরন ভাইয়া আমাকে এসে সরি ও বলল।
আমি কিছুই বুঝলাম না।
উনি বলে গেলেন এক্সচেলি তোমার বিষয়টা আমি জানতাম না।তাই সবার সামনে বলে দিয়েছি।
ইটস নট ফেক্ট তুমি আমাকে বড় ভাই হিসেবেই দেখতে পারো।
আমি শুধু মাথা ঝাকালাম।
উনি চলে যাওয়ার সময় ফারহান ভাইয়ার সাথে হাত মেলালো আর সরি বলল।
যার দরুন বুঝলাম নিশ্চয়ই এই বেটা বজ্জাত হনুমান কিছু বলেছে।
সে যাক গে আমার কি , আমার থেকে দূরে সরেছে এতেই শান্তি।

এভাবেই সবার সাথে হাসি মজা করে , তারপরের দিন
চলে আসলাম আমাদের বাসায় ।
আজকেই আমরা সিলেট বেক করবো।
কারন সামনে আমার এক্সাম।
বিকেলের এয়ার টিকেট কাটা হলো।
সমস্ত টা গুছিয়ে বিকেলে রওনা হলাম ঢাকা টু সিলেট এর উদ্দেশ্যে।
মনিকা আপু তার বাসায় চলে গেল।ছোট চাচ্চু আর কাকিমা বাদে সবাই চলে আসলাম ।
ফারহান ভাইয়া দুপুরের ফ্লাইট এই সিলেটে তার আন্টির বাসাতে চলে গেলেন।
তার নাকি কি কাজ আছে আর তাই আগে চলে গেলেন।
আর আমরা সিলেটের বাসাতে পৌঁছাতে পৌঁছাতে সন্ধ্যা হয়ে গেল।
বাসায় ঢুকে কোনো রকম ফ্রেস হয়ে চলে আসলাম ডিনার করতে ।
কোনো মতে ডিনার কমপ্লিট করে রুমে এসে বেডে শুতেই চোখ গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন হয়ে পড়ল।
এই কয়েকটা দিন একটু ও ঘুম হয় নি, আজ শরীর টা বেশ ক্লান্ত লাগছে।
তাই বেডে শোয়া মাত্র ই ঘুম।
___________________________

সকাল বেলা হালকা ঘুম ভাঙলো বড় মার ডাকে।
বড় মা আমায় ডেকেই যাচ্ছে , কিন্তু আমি উঠার নাম ই নেই।
অবশেষে আমার সাথে না পেরে বড় মা চলে গেলেন।
বেশ কিছুক্ষণ পর কারো ধমকে আমি হুরমুরিয়ে উঠলাম।
মনে হচ্ছে এখনি আমার এই ছোট্ট প্রান টা পাখির মতো ডানা মেলে উরে যাবে।
এতো জুড়ে কেউ ধমক দেয়।
আজববব

ঘুমের মধ্যে থাকায় ধমক টা কে দিয়েছেন তা ঠিক বুঝে উঠতে পারলাম না।তাই কোনো মতে আরমোরা ভেঙে চোখ পিটপিট করে তাকাতেই আরেক দফা ধাক্কা খেলাম।
ফারহান ভাইয়া, এহহ না না এটা ওনি হতেই পারেন না।
কালকে ও তো আমার সাথে কতো মিষ্টি ভাবে কথা বললেন।
নিজের চোখ কে ভুল প্রমান করার জন্য চোখ কচলে আবার তাকালাম।
কিন্তু একি , ফারহান ভাইয়া কে দেখাচ্ছে কেন।
আবার চোখ কচলাতে যাবো তার আগেই দিলেন আরেকটা ধমক।
যার ফলে 100% সিউর হয়ে গেলাম এটা সেই বজ্জাত হনুমান ফারহান ভাইয়া।

এই বেটার হলো টা কি ?
মাথা টা কি আবার নষ্ট হয়ে গেল নাকি।
এসব ভাবতে ভাবতেই ফারহান ভাইয়া আমার মুখে এক গ্লাস পানি ছুড়ে দিলেন।
যার ফলে ধ্যান কাটলো, আমি ওনার দিকে চোখ ছোট ছোট করে তাকিয়ে আছি।
ফারহান ভাইয়া দাঁতে দাঁত চেপে বললেন
– এতো দিন লাফালাফি করেছিস, পড়াশুনা ঠিক মতো হয় নি।
কিচ্ছুটি বলি নি , তাই সমস্ত ধ্যান ধারনা পড়াশুনা থেকে উঠে গেছে?
ফাস্ট ফ্রেস হয়ে এসে পড়তে বসবি।

আমি মাথা নিচু করে ফ্রেস হতে চলে গেলাম।
দশ মিনিট পর বের হয়ে দেখি বজ্জাত হনুমান টা নেই।
যাহহহ শান্তি, আয়নাতে নিজেকে দেখছি আর চুল বাঁধছি।
আপন মনেই বকে চললাম
– বেটা বজ্জাত হনুমান ।
কেন তুই আমার পেছনে লেগে আছিস।
ইচ্ছে করছে তোকে ধরেরররররর

আর কিছু বলতে পারলাম না।
তার আগেই আমার মুখ আপনাআপনি বন্ধ হয়ে গেল।
রুমে ওনাকে নাহ দেখে ভেবেছিলাম ওনি চলে গেছেন।
কিন্তু একটি বারের জন্য ও মাথায় আসে নি ব্যালকনিতে ওনি থাকতে পারেন।
উনি ব্যালকনির দরজা তে পিঠ ঠেকিয়ে বুকে হাত গুঁজে আমার সমস্ত কথা মনোযোগ দিয়ে শুনছিলেন।
চুল বেঁধে পেছন ফিরে তাকাতেই ওনাকে ব্যালকনির দরজা তে দেখতে পেলাম।
ইসসস আমি এতো গাধা কেন।
এখন তো ওনি আমাকে কাঁচা ভাজবেন।
ভাবতে না ভাবতে ফারহান ভাইয়া ওনার গুঁজে রাখা হাত নামিয়ে দরজা থেকে পিঠ সরিয়ে আমার দিকে আগাতে লাগলেন।
ওনি এক পা করে এগোচ্ছেন আর আমি পেছনে যাচ্ছি।
উনি এগোতে এগোতে বললেন
– কিহহ জানি বলেছিলি ,আমি বেটা বজ্জাত হনুমান।
আচ্ছা এখন ভয় পাচ্ছিস কেন।

আমি ঢোক গিললাম তারপর তুতলিয়ে বললাম
– আমিইইই তো আসসসলে

ফারহান ভাইয়া আমার কাছে এসে পরলেন।
আর আমি যে পেছনে যাবো তার জন্য এক ইঞ্চি জায়গা ও অবশিষ্ট নেই।

ফারহান ভাইয়া আমার একদম কাছে এসে চুলে হালকা করে টান মারলেন।
ব্যাথা পাচ্ছি কিন্তু কিছুই বললাম না।
ফারহান ভাইয়া হঠাৎ করে আমায় ছেড়ে দিয়ে বললেন
– মাত্র সুস্থ হয়ে ফিরেছিস তাই কিছু বললাম না।
তাহলে আজকে একটা না দুটো ঠাপ্পর পড়তো।

আমি ঢোক গিলে নিলাম।
যাক বাবা অল্পতে বেঁচে গেছি।

ফারহান ভাইয়া বুক স্লেফ থেকে এতো গুলো বই নামিয়ে নিলেন।
মনে হচ্ছে আজকে আমার কেল্লাফতে।
আমাকে দাড়িয়ে থাকতে দেখে ফারহান ভাইয়া রাগি চোখে বললেন
– তোকে কি কোলে করে আনতে হবে।

আমি চুপচাপ এসে বসে পড়লাম।
একটা বই হাতে ধরিয়ে দিলেন।
আমি আমার মতো পড়তে লাগলাম আর ওনি প্রতি টা বই ঘেঁটে মার্ক করে দিলেন।
পাক্কা দুটো ঘন্টা পড়ালেন তারপর এতো গুলো পড়া দিলেন।
যেহেতু 9 টা বেজে গেছে আর কারোই নাস্তা করা হয় নি তাই ছাড়লেন।
কিন্তু সুন্দর মতো আমার মাথায় ঢুকিয়ে দিলেন বিকেলে অনলাইন ক্লাস আছে আর এই সব পড়া যেন বিকেলের মধ্যে কমপ্লিট করে ফেলি।
আমি ঢোক গিললাম, হায় রে এতো পড়া। রিফাত ভাইয়ার ডাকে ফারহান ভাইয়া নাস্তা করতে চলে গেলেন।
আর আমি একবার বইয়ের দিকে তাকাচ্ছি আর একবার ফারহান ভাইয়া র যাওয়ার দিকে।
এভাবেই পাঁচ মিনিট পার হয়ে গেল আর আমি ঐ ভাবে ই বসে রইলাম।
দরজার দিকে তাকাতেই দেখি রিফাত ভাইয়া রাগি চোখে তাকিয়ে আছেন।
আমি একটা মেকি হাসি দিয়ে বললাম
– হুমমম আসছি।
তারপর বই গুছিয়ে নাস্তা করতে চলে গেলাম।
_____________________________

📌.
এখনো 1000 ফলোয়ার হতে প্রায় 95 জন বাকি।
হুমমম কালকের মধ্যে হাজার ফলোয়ার সম্ভব হবে না বুঝে গেছি।
তবুও এই দীর্ঘ একটি মাস আমার গল্পের সাথে থাকার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
আশা করি শেষ অব্দি অবশ্যই থাকবেন।
আমি আমার বেস্ট দিয়ে চেষ্টা করবো আপনাদের জন্য গল্প লিখতে।
আরো চারটে গল্পের কনসেপ্ট ভাবা হয়ে গেছে।
আশা করি সেই গল্প গুলো তে ও আপনারা আমার পাশে থাকবেন।
সবার জন্য অফুরন্ত ভালোবাসা।

( আসসালামুআলাই রির্ডাস । আজকের পর্ব টা কেমন হয়েছে কমেন্ট এ জানাতে ভুলবেন না ।
আপনারা আমার পাশে আছেন বলেই আমি আমার প্রথম গল্পের প্রায় শেষাংশ তে চলে এসেছি।
আশা করি শেষ অব্দি এইভাবেই আমাকে সাপোর্ট করবেন।
আমার লেখা গল্প পেতে পেজ এ ফলো আর বন্ধুদের ইনভাইট দিয়ে পাশে থাকুন )

বি : দ্র : ভুল ত্রুটি মাপ করবেন ।

💜 হ্যাপি রিডিং 💜

চলবে
ফাতেমা তুজ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here