#স্যার_I_Love_You
#শারমিন_আক্তার_বর্ষা
#পর্ব_১৬
______________
আজ বৃহস্পতিবার~
রোজ দিনের মত আজও ব্রেকফাস্ট করে কলেজ চলে আসি। কলেজ শেষ হতেই সবাই বসে গল্প করছি আজ সবাই আমাকে খোঁচাচ্ছে কারণ আমি সব কাজই ওদের কে বলে এবং জানিয়ে করি। কাল যে স্যার কে প্রপোজ করবো সেটা নিয়েই বকবক করছে সব কিছু নিয়ে আমার তো প্রচুর হাসি সাথে একটু একটু রাগ ও হচ্ছে কারণ ওরা এখন একটু বেশিই কথা বলছে।
তারপর সবাই এক সাথে হাঁটতে হাঁটতে চলে এলাম ফুচকা খেতে হিহিহি। সবাই ফুচকার অর্ডার তো দিলাম কিন্তু এখনো আসছে না। অপেক্ষা করছি অপেক্ষার প্রহর শেষ করে ছয় প্লেট ফুচকার জায়গায় দিয়ে গেলো তিন প্লেট ফুচকা কি আর করার আমরা তিন ওদের তিনজনের প্লেট থেকে নিচ্ছি আর খাচ্ছি।
রুবেল, মুন্নি, মিম বলল, “ আমরাও কিন্তু তোদের প্লেট থেকে খাবো। ”
আমি, আব্রু, নাঈম– আরে খাইস খাইস আগে ফুচকা আসতে তো দে. না জানি কোন প্লেনে করে আসছে?
বলে সবাই হাসাহাসি শুরু করে দিলাম।
দোকান একটাই আর আমরা ছাড়াও অনেক মানুষ আছে ভিড় বেশি তাই আমরা আর ওয়েট না করে অর্ডার ক্যানসেল করে চলে আসলাম।
রাস্তার পাশে সব গুলো একটা আরেকটার পেছনে দৌঁড়াদৌঁড়ি করে ৩০ মিনিট পর।
মুন্নী, মিম- হাঁপাই গেছি আর দৌড়াতে পারবো না।
আমি, আব্রু- গলা শুকাইয়া কাঠ হইয়া গেছে।
নাঈম, রুবেল- ঠান্ডা খাওয়া দরকার। চল সবাই মদির দোকানে।
সবাই চলে আসলাম মদির দোকানে এখন টোস হবে বিল কে দেবে? যার নাম উঠবে বিল তার দিতে হবে আর বাকিদের যা যা নিতে নিচ্ছে হবে সব নিতে পারবে কেউ কিচ্ছু বলতে পারবে না।
তো দোকানদারের কাছ থেকে একটা খাতার পেইজ আর একটা কলম নিয়ে আমাদের ছয় জনের নাম লিখলাম কাগজ গুলো বাজ করে টেবিলের উপর ফেললাম।
আব্রু- আজ আমি কাগজ উঠাবো, গতবার মুন্নী উঠাই ছিলো।
সবাই উঠালো!
আমি- আল্লাহ আল্লাহ আমার নাম জেনো না উঠে, উঠলে আজকা আমারে ফকিন্নি বানাইয়া দিবো। (চোখ বন্ধ কইরা মনে মনে বলতে লাগলাম)
আব্রু- ওওও ইতিইইই বিল দিবে আজকাে।
আমি চোখ খোলে তাকালাম মুখ থেকে অস্ফুটস্বরে বের হয়ে আসল,
আমি- হোয়াট?
রুবেল- এত অবাক হচ্ছিস কেনা আজ প্রথম মনে হয় বিল দিবি।
আমি- হো তোরা যেই রাক্ষস!
সবাই একটার বদলের তিন তিন তিন টা কইরা 7up coca cola speed তো আছে চিপস টিপস আরও যা যা আছে সব কিছু চার পাঁচটা কইরা নিছে।
মুন্নী- মামা কয়েকটা আইসক্রিম দাও তো।
আমি- আবার আইসক্রিম কেন? এত এত কিছু তো নিছিস-ই।
রুবেল, নাঈম- ট্রিট।
আমি- কিসের ট্রিট?
মুন্নী, আব্রু, মিম- কাল যে স্যার কে প্রপোজ করবি তার অগ্রিম ট্রিট হিহিহি।
আমি- প্রপোজ করি না আর তার আগেই তোরা।
মুন্নী- হইছে এখন টাকা দে যা।
আমিও আইসক্রিম নিলাম। তারপর সব কিছুর বিল দিয়ে সেখান থেকে চলে আসি।
একটা খেলার মাঠে সবাই বসে আছি আর সব কিছু ভাগ করে সবাই মিলে খাচ্ছি!
আমি- এই ৩টা বেজে গেছে ৪টা বাজে স্যার আসবে। এখন যেতে হবে রে। উঠ উঠ সবাই।
তারপর সবাই উঠে যার যার গাড়িতে উঠে চলে আসলাম।
আসার আগে সবাই আবারও স্যারকে নিয়ে ইয়া এত্তো গুলা কথা শুনাইছে।
মুন্নী, আব্রু, মিম তো একটু বেশিই বলে ফেলছে।
স্যার যখন প্রপোজাল এক্সেপ্ট করবে তখন স্যারকে জরিয়ে ধরে চুম্মা দিতে। ইশশশ কি লজ্জার কথা ফাজিল গুলা বইলা হাসতে হাসতে গাড়িতে উঠে যায়।
ভাগ্যিস ওদেরকে স্বপ্নের কথা বলি নাই। বললে তো আমি শেষই হয়ে যেতাম।
যাক এত কিছু ভেবে কাজ নেই বাড়ি চলে আসছি।
বাড়িতে ঢুকে আম্মুকে জরিয়ে ধরলাম আর একটা চুম্মা দিলাম সাথে আব্বু কেও জরিয়ে ধরে চুমু দেই।
আব্বু, আম্মু- কি আমাদের মামনি আজ এতো খুশি কেনো?
আমি- আম্মু আব্বু আমি আজ খুব খুশি খুব খুব।
আব্বু- কারণ টা কি এত খুশির?
আমি- ওইটা কালকে বলবো। হিহিহি
বলেই দৌড়ে সিঁড়ি বেয়ে উপরে রুমে চলে আসি।
ফ্রেশ হয়ে খেয়ে টেবিলে বসে আছি।
কিছুক্ষণের মধ্যে স্যার চলে এলেন।
স্যারকে দেখে আমি হেঁসে দিলাম স্যার কিছুক্ষণ আমার দিকে তাকিয়ে রইলেন।
তারপর পড়াতে বসেন। স্যারকে আজ কেমন জেনো লাগছে অচেনা অচেনা স্যার তো এমন ছিলো না তাহলে আজ কি এমন হলো যে স্যারকে আজ এমন লাগছে। পড়ানো শেষ হতেই স্যার উঠে যেতে নিলে স্যারকে আমি ডাক দেই।
স্যার পেছনে ঘুরে তাকায়।
স্যার- কিছু বলবে?
আমি- স্যার কালকের সন্ধ্যার পর ৩০ মিনিট সময় আমাকে দিবেন প্লিজ!
স্যার- কিন্তু আমার কাল কাজ আছে।
আমি- প্লিজ স্যার প্লিজ! খুব করে রিকুয়েষ্ট করলাম স্যার হয়তো আমার ফেস দেখে না করতে পারেনি ঠিক আছে বলে চলে গেলো।
একটু ফুচি দিয়ে দেখলাম স্যার আব্বুর সাথে কথা বলছে। কি কথা বলছে যেই কথা ইচ্ছা সেটা বলুক তাতে আমার কি। বেডের উপর শুয়ে ফোন টিপছি আর উদেরকে মেসেজ দিয়ে বললাম স্যার কাল আসবে।
ফোন টিপতে টিপতে বেডের উপর শুয়েই ঘুমিয়ে পরি।
গভীর রাত ৩টা বাজে হঠাৎ করে ঘুম ভেঙে গেলো। এখন কি করবো? কোনো কাজই তো নাই এত রাতে কি করবো ধুত ভাল্লাগে না।
বসে বসে ফোন টিপছি রুমের এপাশ ওপাশ পায়চারি করছি ঘুম বাবা জি প্লিজ আসো না প্লিজ।
দীর্ঘ দুই তিন ঘন্টা পর ঘুম আসে। ঘুমিয়ে পরি সকালে আর তারাতাড়ি উঠতে পারিনা।
ঘুম ভাঙ্গলো তো সকাল ১১টায়।
ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে নাস্তা করলাম আর রেডি হয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে পরলাম।
ফাস্ট মার্কেট গেলাম অনেক বেছে একটা শাড়ি কিনলাম! মার্কেট থেকে বেরিয়ে গোলাপ ফুল। তারপর বাড়ি ফিরে এলাম।
দুইদিন ধরে আমাকে এত খুশি দেখে আব্বু আম্মু তো অবাক কারণ ছাড়া এত খুশি কেন নাকি কারণ আছে যেটা আমি উনাদের কে বলছি না কোনটা।
দুপুরে লাঞ্চ শেষ করে রুমে চলে আসি। এখনই রেডি হবো কিন্তু সন্ধ্যে হতে তো অনেক দেরি।
কি করবো এই সময় তো জেনো কাটছেই না।
এদিকে ওরা পাঁচ জন একে একে কল দিয়েই যাচ্ছে মনে হচ্ছে আজ আমার বিয়ে আর ওরা আমাকে বিদায় দিচ্ছে ব্যাপারটা এমন দাঁড়িয়েছে।
অনেক কষ্টের পর এখন সময় হয়েছে রেডি হওয়ার।
গোলাপি রাঙা শাড়ি পরেছি।
দুই হাত ভর্তি চুড়ি চোখে গাড় করে কাজল!
ঠোঁটে হালকা গোলাপি লিপস্টিক!
আর চুল গুলো খুব সুন্দর ভাবে ফুলিয়ে খোঁপা করে বেধে নিয়েছি!
আর সামনে দিয়ে কয়েকটা চুল বার করে রেখেছি! (স্টাইল)
কানে স্যারের দেওয়া ঝুমকো ঝোড়া পরেছি!
খোঁপায় ফুল বেঁধেছি।
টোটাল রেডি হয়ে স্যারকে মেসেজ করে দেই আমি রেডি আপনি রেডি হয়ে রাস্তার মোড়ে অপেক্ষা করুন আমি আসছি।
আব্বু আম্মু এই সন্ধ্যে বেলা সেজে গুজে বেরো তে দেখে একশো টা প্রশ্ন করে। আমি তাদের জরিয়ে ধরে চুমু দিয়ে তাদেরকে অপেক্ষা করতে বলে চলে যাই।
গাড়ি থেমেছে স্যার গাড়িতে উঠতে যাবে।
স্যার- ড্রাইবার কাকা ইতি কোথায়!
ড্রাইবার কাকা- ইতি মামনি হাইওয়ে রাস্তার পাশে আপনার জন্য অপেক্ষা করছে আর আমাকে আপনাকে নিতে পাঠিয়েছে।
স্যার- আচ্ছা চলুন।
কিছুক্ষণ পর স্যার চলে আসেন কোথায় ইতি।
ড্রাইবার- ওই তো মামনি ওই যে দাঁড়িয়ে আছে।
স্যার- আচ্ছা আমি যাচ্ছি।
স্যার- ইতি।
স্যারের ভয়েস শুনে পেছনে তাকালাম।
“ ওয়াও কি সুন্দর লাগছে স্যার কে এই প্রথম পাঞ্জাবিতে দেখলাম তাও আবার ব্লাক পাঞ্জাবি। ” (মনে মনে)
স্যার- শাড়ি?
আমি- হুম কেনো আমাকে ভালো লাগছে না।
স্যার- আমি কিন্তু সেটা বলিনি। খুব সুন্দর লাগছে। তো বলো কেনো আসতে বলেছো।
আমি- আপনার হাত ধরে রাতের রাস্তায় হাঁটবো।
স্যার- কিহহহহহ।
আর কিছু না বলে স্যারের হাত ধরে নিলাম। চলুন আমার সাথে হাঁটুন।
স্যার- কিন্তু ইতি সবাই দেখছে।
আমি- চুপ দেখুক।
দু’জনেই পাশাপাশি হাঁটছি স্যার আমার দিকে তাকিয়ে আছে আমিও স্যারের দিকে তাকিয়ে আছি।
হাঁটতে হাঁটতে কিসের সাথে জেনো পা আঁটকে পরে যেতে নিলাম আর স্যার আমাকে ধরে নিলো।
আবারও আমাদের চোখে চোখ পরলো।
স্যার আমাকে উঠিয়ে দাঁড় করিয়ে দিলো।
স্যার- আমরা কি এখানে শুধু হাঁটতে আসছি নাকি অন্য কিছু!
বলতে বলতেই আমি স্যারের সামনে হাঁটু গেড়ে বসে পরলাম পুরো ফিল্মি স্টাইলে।
খোঁপা থেকে গোলাপ ফুল নিয়ে স্যারের দিকে বাড়িয়ে বললাম।
আমি- স্যার I Love You ~
লাইক অনেক আগে থেকে কখনো বলার সাহসই হয়ে উঠেনি কিন্তু আজ আমি বলতে চাই পুরো পৃথিবীর সামনে চিৎকার করে বলতে চাই।
সেখানেই উঠে দাঁড়িয়ে আশে পাশের মানুষগুলোকে ডাক দিলাম। সবাই আমাকে দিকে তাকালো।
আবারও সবার সামনে হাঁটু গেড়ে বসে পরলাম। আর চিল্লিয়ে বললাম।
– এই ছেলেটা হচ্ছে আমার স্যার আর আমি উনাকে অনেক বেশি ভালোবাসি।
I Love You স্যার।
স্যার আমাকে কিছু বলে না অন্য দিকে ঘুরে হাঁটতে শুরু করে।
স্যারের এমন আচরণ সবটা আমার মাথার উপর দিয়ে গেলো। আমি উঠে শাড়ির কুচি ধরে স্যারের পেছনে ছুটতে লাগলাম। কয়েকবার ডাক দিয়েছি কিন্তু স্যার পেছনে তাকায়নি।
আমি দৌঁড়ে স্যারের হাত ধরে স্যারকে আমার দিকে ঘুরালাম।
স্যারের চোখে পানি স্যার হাত দিয়ে পানি মুছে নিলো।
আমি- স্যার আপনি এভাবে চলে এলেন কেনো কিছু বলছেন না কেনো আপনার আমাকে পছন্দ নয় আপনি আমাকে ভালোবাসেন না।
স্যার- ইতি ছাড়ো আমার হাত।
– ছাড়বো না আপনাকে বলতেই হবে আপনি আমাকে ভালোবাসেন কি না আমি আপনার চোখে আমার জন্য ভালোবাসা দেখেছি। প্লিজ স্যার!
স্যার- কথা ভালোবাসার নয় ইতি!
– মানে আপনি আমাকে ভালোবাসেন তাহলে সমস্যা কোথায়?
স্যার- হ্যাঁ আমি তোমাকে ভালোবাসি কিন্তু তোমার আমার যায় না।
– কেনো যায় না আমি আপনাকে ভালোবাসি। স্যারের দুই হাত চেপে ধরে বললাম। আর চোখ বেয়ে অনবরত পানি ঝড়ছে।
স্যার- তুমি আর আমি এক না। তুমি অনেক
– অনেক কি? কি আমি অনেক?
স্যার- তুমি অনেক বড় বিজনেস ম্যান কোটিপতি বাবার এক মাত্র মেয়ে আর আমি সাধারণ মধ্যবিত্ত ছেলে আমার কাছে কোনো ভালো জবও নেই ইতি বুঝতে হবে আমি তোমার যোগ্য নই ইতি তুমি আরও ভালো ছেলে ডিজার্ভ করো আমাকে প্লিজ ভুলে যাও।
– আমি কোনো কিছু শুনতে চাই না। আমি শুধু আপনাকে ভালোবাসি আমি সব কিছুর বিনিময়ে হলেও আপনাকে চাই আমি আপনার সাথে আপনার জীবনসঙ্গী হয়ে থাকতে চাই প্লিজ স্যার আমাকে ফিরিয়ে দিবেন না। আমি আপনাকে ভালোবাসি আপ,, আপনি আমাকে ভালোবাসেন না স্যার আপনি আমাকে ছাড়া থাকতে পারবেন আপনি কি একটুও আমাকে ভালোবাসেন না। প্লিজ আমাকে ছেড়ে যাবেন না,, কাঁদতে কাঁদতে স্যারের হাত ধরে মাটিতে বসে পরলাম।
স্যার ও কাঁদছে ভালোবাসার মানুষ কে ছেড়ে যাওয়া অনেক কষ্টের আর সেটা শুধু ছেড়ে যাচ্ছে যোগ্য নই বলে। বাক্ষ্মণ হয়ে চাঁদে হাত দেওয়ার ফল যে খুব একটা ভালো হয় না।
স্যার- ইতি নিজের থেকেও বেশি তোমাকে ভালোবাসি কিন্তু তোমাকে আমি আমার করতে পারবো না আমি কখনো তোমার যোগ্য নই তুমি কোথায় আর আমি কোথায় প্লিজ আমাকে ভুলে যাও।
বলেই স্যার উনার হাত আমার হাত থেকে ছাড়িয়ে হাঁটতে শুরু করেন।
মাটিতে বসে চিল্লিয়ে কাঁদছি আশেপাশের লোকেরা সবাই আমাকে দেখে আফসোস করছে।
আমি কেঁদেই যাচ্ছি কান্না যেনো থামছেই না স্বপ্নে কি দেখেছিলাম আর বাস্তবে হলো সম্পূর্ণ উল্টা!
আর কিছুই ভাবতে পারছি।
স্যারকেও আর দেখতে পারছি না।
রাস্তার সাইডে বসে চিল্লাতে শুরু করলাম।
– আমি আপনাকে ভালোবাসি স্যার আপনি না বাসলেও আমি আপনাকে ভালো বাসি আমি আপনাকেই ভালোবাসি আর আপনাকেই ভালো বাসবো এই ইতি আপনাকে ছাড়া আর কখনো কারো হবে না আমি সারাজীবন আপনার জন্য অপেক্ষা করবো স্যার I Love You ~ I Love You স্যার!
সব শেষে অনেক জোরে চিৎকার দিয়ে বললাম,
– শাওওওওওওনননননননন আআহহহহহহহহহ I Love You স্যার ~
কাঁদতে কাঁদতে সেন্সলেস হয়ে সেখানেই পরে যাই তরপরে আর কিছুই বলতে পারি না।
পরেরদিন দুপুরে~
চলবে?
[কার্টেসী ছাড়া কপি করা নিষেধ]