#হঠাৎ_বৃষ্টিতে⛈️
#Part_05
#Writer_NOVA
পরেরদিন………
কখন থেকে দরজা বন্ধ করে বসে আছে ত্রিবু। খোলার নামও নিচ্ছে না। এদিকে সকাল গড়িয়ে দুপুর হয়ে গেছে। কলেজেও যায়নি সে। বিছানায় উপুড় হয়ে শুয়ে কান্না করেই যাচ্ছে। দোষ না করেও তাকে প্রতিবার কথা শুনতে হয়। নিজের জীবনের প্রতি তিক্ততা এসে পরেছে তার।মাঝে মাঝে ইচ্ছে করে সব ছেড়ে নিরুদ্দেশ হয়ে যেতে। বাড়ির উঠোন ঝাড়ু দিতে দিতে জোবেদা খাতুন তার নাতনিকে এক নাগাড়ে বিরতিহীনভাবে ডেকেই যাচ্ছে। তবুও ত্রিবুর কোন রেসপন্স নেই।ছোট দোচালা টিনের ঘরের মাঝে টিনের পাটিশন দিয়ে দুটো ভাগ করা। সেখানে একটা দরজা আছে। ঝাড়ুটা রেখে সেই দরজা ধাক্কাতে ধাক্কাতে জোবেদা খাতুন বললেন,
— ঐ ত্রিবু দুয়ার(দরজা) খোল। কহন (কখন) থিকা দুয়ার বন্ধ কইরা বইসা রইছোত। সকালে খাইলিও না। কলেজও গেলি না। এহনতো(এখনতো) উইঠা গোসলডা করবি। যোহরের আজান দিয়া ফালাইছে। উইঠা গোসল কর। আমার হইছে যত জ্বালা।
ত্রিবু কোন উত্তর দিলো না। একসময় ক্ষান্ত হয়ে ত্রিবুর দাদী বাইরে চলে এলো।তখুনি হনহন করে বাড়ির ভেতরে ঢুকলো ত্রিবু দূর সম্পর্কের চাচী। যিনি হিমেলের আপন ফুপু।নাম তার হামিদা বেগম। কুটনি বুড়ি টাইপের মহিলা। ব্রিটিশ মহিলা তিনি। ব্রিটিশরা দেশে ফিরে যাওয়ার সময় এই মহিলাকে ফেলে রেখে চলে গেছে। ভাই মেম্বার তাই তার বেশ তেজ।ঝাঁঝালো গলায় জোবেদা খাতুনকে বললো,
— কই আপনের আদরের নাতনি কই? আমগো না জ্বালাইলে তো তার পেটের ভাত হজম হয় না। কোন পাপের শাস্তি যে ওর লিগা পাইতাছি তা শুধু আমরাই জানি। মুখপুড়ির তো আমগোরে বিনাশ না করলে শান্তি হইবো না।
জোবেদা খাতুন অবাক কন্ঠে বললো,
— কি হয়েছে? কি কইতাছো এসব? আমগো ত্রিবু আবার কি করলো?
হামিদা বেগম হুংকার দিয়ে বলে উঠলো,
— কি করে নাই তা কন(বলেন) তো? যহন (যখন) থিকা এই অলুক্ষ্মণীর ছায়া আমগো সোনার টুকরা পোলা হিমেলের উপরে পরছে তহন (তখন) থিকা একটার পর একটা বিপদ লাইগাই আছে।
— আহা হামিদা কইবা তো কি হয়েছে?
— কি কমু(বলবো) আর। হিমেল রে খুইজা পাওয়া যাইতাছে না। ঐ পাড়ার রুবেল কইলো(বললো) কাল সকালে এই বাড়ির দিকে আসতে দেখছিলো।বাড়ি থিকা বাইর হওয়ার সময় অনেক রাইগা আছিলো। তারপর থিকা ওর কোন খোঁজ নাই।
ত্রিবু চেচামেচির আওয়াজ শুনে সবেমাত্রই দরজা খুলে বের হয়েছিলো। ত্রিবুকে দেখতেই হামিদা বেগম আঙ্গারের মতো জ্বলে উঠে বললো,
—ঐ কলঙ্কিনী তুই মরতে পারোস না। তুই মরলে তো সব ঠিক হয়। আমগো হাড় মাংস না খাওয়া অব্দি কি তুই শান্ত হবি না। তোর মা তো তোর বাপের জীবন শেষ করছে। এহন কি তুই আমার ভাইয়ের বেটার জীবন শেষ কইরা ক্ষান্ত হবি। এত মানুষ মরে তোরে কেন আল্লাহ চোখে দেখে না। চরিত্রহীন মায়ের চরিত্রহীন মাইয়া। তোর লিগা গ্রামের কোন উন্নতি হয় না। মুখপুড়ি, অলক্ষ্মী, নষ্টা মাইয়া। আয়নায় চেহারা দেখছোস কহনো কালি? তোর মতো কালা মাইয়ার লিগা হিমেলের আজ এতবড় সর্বনাশ হইলো। ওর যদি কিছু হয় তাইলে তোরে কাইট্টা নদীতে ভাসায় দিমু কইলাম(বললাম)।
অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করলো হামিদা বেগম। ভাই মেম্বার হওয়ায় তার মুখের ওপর কেউ কোন কথা বলতে পারে না। ত্রিবু পাথরের মতো দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে সব শুনছে। কোন উত্তর দিচ্ছে না।তবে ভেতরে ভেতরে দাবানলের আগুন পুষছে। যা একসময় ফেটে সবাইকে ভস্ম করে দিবে। এখন শুধু তা ফাটার অপেক্ষায়। জোবেদা খাতুন মুখ কুচোমুচো করে বললো,
— হামিদা আল্লাহর দোহাই লাগি তুমি আর কিছু কইয়ো না। জন্ম থিকা তো ছেমরি কম কষ্ট পাইলো না। গায়ের রং কালা বইলা তুমি এমনে কথা কইতে পারো না।
গরম তেলে পানি পরলে যেমন ছেৎ করে উঠে। তেমনি হামিদা বেগম ছেৎ করে উঠলেন।
— হো কি কমু না, কি কমু না? উচিত কথা কারোই ভালো লাগে না। ওর চরিত্রহীন মা তো ওরে ফালায় চইলা গেছে। ও দেখবেন আপনারে ফালাইয়া আরেক নাগরের লগে যাইবোগা।তাই ওর গুনগান গাইয়েন না।জন্মের পর এমন কালা মাইয়ারে গলা টিক্কা দিয়া মাইরা ফালাইতে পারেন নাই। ওহ অবশ্য মারবেন কেন? মারলে তো আমগো হিমেলের পেছনে লেলাই দিতে পারতেন না। টেকা, সম্পত্তির লোভ কারো থিকা কারো কম না।
দাদীকে অপমান করায় ত্রিবুর মাথায় রক্ত চড়ে গেলো। বেশ শক্ত গলায় বললো,
— আমাকে যা খুশি বলেন। কিন্তু আমার দাদীকে কিছু বলবেন না। নয়তো…..
পুরো কথা শেষ করার আগে জোবেদা খাতুন হাতের ইশারায় ওকে থামিয়ে দিলো। দাদীকে সে যথেষ্ট শ্রদ্ধা করে। তাই চুপ হয়ে গেলো।হামিদা বেগম এগিয়ে এসে বললো,
— কি করবি তুই কি করবি?
ত্রিবুর চুলের মুঠি ধরে রাগের মাথায় ত্রিবুর গালে একটা থাপ্পড় বসিয়ে দিলো। ইতিমধ্যে ঝামেলার ইঙ্গিত পেয়ে আশেপাশের বাসা থেকে মহিলারা চলে এসেছে। কিন্তু কেউ ত্রিবুর সাথে হওয়া অপরাধের প্রতিবাদ করলো না। জোবেদা খাতুন দ্রুত এসে হামিদা বেগমের থেকে নাতনিকে ছাড়িয়ে নিয়ে হাউমাউ করে কেঁদে উঠলেন। দরজার কোণার সাথে লেগে ত্রিবুর মাথা ফেটে গেছে। সেখান থেকে দরদর করে রক্ত গরিয়ে পরছে। জোবেদা খাতুন পরনের সুতি কাপড়ের আঁচল দিয়ে ত্রিবুর মাথায় ধরলো। ত্রিবু তার দাদীকে জড়িয়ে ধরে ক্রোধে ফেটে পরেছে।হামিদা বেগম রাগে থরথর কাঁপছে। জোবেদা খাতুনকে উদ্দেশ্য করে বললো,
— তোমার এই কাইল্লা নাতনিরে সাবধানে রাইখো। আমার চোখের সামনে পরলে আমি গলা টিক্কা দিয়া মাইরা ফালামু। কতবড় সাহস আমার মুখের ওপর কথা কয়।
জোবেদা খাতুন কান্না জোড়ানো কন্ঠে বললো,
— কি ক্ষতি করছে আমার নাতনিটা তোমগো
(তোমাদের)? ওর সাথে সবাই এমন শুরু করছো কেন? অসহায় পাইয়া কি তার ফায়দা লুটতাছো? এই ছেমরি তোরে দরজা খুইলা বাহির হইতে কইছিলো কেডায়? চুপচাপ সহ্য কেন করিস না? মুখ ফুইটা কথা কইতে গেলি কেন?
— কি কইলাম হুইনা রাইখো চাচী। আমগো হিমেলের কিছু হইলে ওরে কিন্তু জবাই দিমু আমি। সবাইরে সাক্ষ্যি রাইখা কইয়া(বলে) গেলাম।
কথাটা বলে এক মুহুর্তেও দেরী করলো না সে। যেভাবে এসেছিলো সেভাবেই হনহন করে বের হয়ে গেলো। আশেপাশের মহিলারা কানাঘুষা করছে। কেউ ত্রিবুর জন্য আফসোস করছে তো কেউ উসকানিমূলক কথা বলছে। জোবেদা খাতুন তাদের দিকে তাকিয়ে বললো,
— অনেক তামশা দেখছো। যাও এহন নিজেগো বাড়ি যাও। তামশা শেষ হইয়া গেছে।
কয়েকজন মুখ বাঁকিয়ে নানা কথা বলতে বলতে বাড়ির বাইরে বের হয়ে গেলো। তাদের এখন একটাই কাজ।এই ঘটনাকে ভালো করে মশলাপাতি মেখে সারা গ্রামে প্রচার করা। জোবেদা খাতুন নাতনিকে নিয়ে খাটে শুইয়ে দিলেন। দৌড়ে পুকুরপাড় থেকে দূর্বাঘাস এনে ডলে রক্ত পরা স্থানে চেপে ধরলেন।রক্ত পরা কমতেই পুরনো কাপড় ছিঁড়ে ভালো করে বেঁধে দিলেন।কাঁদতে কাঁদতে বললেন,
— কথা কইতে গেলি কেন? চুপ কইরা থাকতে পারোস না? আল্লাহ মুখ দিছে বইলা কি কথা কইতে হইবো? ওগো লগে কি আমরা পারমু? ঘাড় ধাক্কা দিয়া গেরাম (গ্রাম) থিকা বাইর কইরা দিবো৷ তহন যামু কই?
ত্রিবু জিহ্বা দিয়ে ঠোঁট দুটো ভিজিয়ে নিয়ে মলিন হেসে বললো,
— এই কারণেই তো প্রতিবাদ করতে পারি না।তবে একদিন আমি সব শোধ তুলবো। কথা কইয়ো না। চারটা খাইতে দাও তো। অনেক খুদা লাগছে।
☔☔☔
বিকেলে…..
মেম্বার বাড়িতে সকাল থেকে বেশ জটলা। থাকবে নাই বা কেন? মেম্বারের আদরের ছেলে যে লাপাত্তা হয়ে গেছে। গত পরশু থেকে আত্মীয়-স্বজন সব এই বাসায় আছে। একটার পর একটা ঝামেলা লেগেই আছে। সাথে গ্রামের মানুষের কানাঘুঁষা তো আছেই।বাগানে প্লাস্টিকের চেয়ারে বসে আছে হিমেলের বাবা মেম্বার খালেক ব্যাপারি। সাথে তার কয়েকজন চেলা পেলা। গ্রামের মুরব্বি, পাশের দুই গ্রামের দুই মেম্বার ও ইউনিয়নের চেয়ারম্যানও আছে। হামিদা বেগম বেশ কয়েকবার ঘুরে গেছেন। কিন্তু ভাইয়ের সাথে কথা বলার মতো সুবিধা করতে পারেন নি। চেয়ারম্যান আবুল হোসেন সাহেব গলা ঝেড়ে খালেক ব্যাপারিকে আশ্বাসের সুরে বললেন,
— চিন্তা করো না মেম্বর। আল্লাহর ওপর ভরসা রাখো উনি সব ঠিক কইরা দিবো।
খালেক ব্যাপারি সামনের ঝাউ গাছের থেকে দৃষ্টি সরিয়ে একবার চেয়ারম্যানের দিকে তাকালো। তারপর আবার দৃষ্টি নামিয়ে নিলো। আবুল হোসেন সাহেব কিছুটা নড়েচড়ে বসলো। তার আশ্বস্ত বাণীতে যে মেম্বার সাহেব সন্তুষ্ট হতে পারেননি তা তার চাহনিতেই বোঝা গেছে। তাই তিনি আবারো কিছু সময় উসখুস করতে করতে বললো,
— হিমেলের বন্ধু-বান্ধবের বাড়িতে খোঁজ নিছো? এমনো হইতে পারে কোন বন্ধুর বাড়ি গিয়া পইরা রইছে। জুয়ান পোলা মানুষের মতিগতি তো বুঝা যায় না। যখন যা মন চায় তাই করে।
খালেক ব্যাপারি দীর্ঘ শ্বাস ছেড়ে নিস্তেজ গলায় বললো,
— কোন জায়গায় বাদ রাখি নাই চেয়ারম্যান সাহেব। কিন্তু পোলাডা কোথাও নাই। আমার বড্ড ভয় করতাছে।গতকাল থিকা পোলাডার খবর নাই।প্রথম প্রথম ভাবছিলাম বন্ধুর বাড়ি আছে। তাই নিশ্চিন্তে আছিলাম। রাত পার হইয়া সকাল গড়ায় গেলো তবু ফিরলো না। ও যেখানেই থাকুক রাত কাটাইয়া সকাল সকাল চইলা আসে। কিন্তু দুপুর হইয়া যায় কোন খবর নাই। তাই খোঁজ খবর নিয়া দেখলাম কোথাও যায় নাই। মোবাইলও বন্ধ। কোন বন্ধুও ওর খবর জানে না। তখন থিকা ভয় করতাছে। কোন বিপদ-আপদ ঘটলো না তো! ওর মা তো সকাল থিকা এক ফোঁটা পানিও মুখে তুলে নাই। বড় আদরের পোলা আমার। ওর কিছু হইলে ওর মায়ের কাছে মুখ দেখাইতে পারমু না।এমনি গত পরশু বদনাম তো কম হইলো না। এমন কইরা বিয়া ভাইঙা যাওনে হিমেল অনেক রাইগা আছিলো। তার জন্য ভয় করতাছে। রাগের বশে নিজের কোন ক্ষতিও তো করতে পারে।তাছাড়া বিপদের তো হাত-পা নাই। যেকোন সময় হানা দিতে পারে।
চেয়ারম্যান সাহেব সহমত প্রকাশ করে বললো,
— হো ঠিক কথাই কইছেন।কখন কি হইয়া যায় তাতো কেউ কইতে পারে না।
মুখে সহমত প্রকাশ করলেও মনে মনে সে ভীষণ বিরক্ত। না, এসব বিষয়ে নয়। আজ ইউনিয়ন পরিষদে চাল এসেছে। সেখান থেকে সিংহভাগ সরাতে হবে। নয়তো তার চালের আড়ত চলবে কি করে? তা না করে এখানে বসে থাকতে হচ্ছে। চাইলেও উঠে যেতে পারছে না। গেলে সন্দেহ করে বসবে। তখন আবার আরেক ঝামেলা। সব মেম্বার এসে একসাথে ধরবে তাদের ভাগের জন্য। তা সে কখনো চায় না। এসব ভাবনার মধ্যে তার পাঞ্জাবীর পকেটে থাকা মোবাইলটা ক্রিংক্রিং করে বেজে উঠলো।কল রিসিভ করতেই অপরপাশ থেকে একজন জোরে চেচিয়ে বললো,
— চেয়ারম্যান সাব চাউল কি করমু?
আবুল হোসেন সাহেবের খুব করে বলতে ইচ্ছে করছিলো,”তোর মাথায় বেঁটে দে শালা”। কিন্তু সামনে এতো মানুষ থাকায় তা বলা হলো না। দাঁতে দাঁত চেপে কিড়মিড় করে বললো,
— আমি আসছি আরেকটু অপেক্ষা কর।
বলেই দ্রুত কল কেটে দিলো৷ সামনের দিকে তাকিয়ে দেখলো সবার দৃষ্টি তার দিকে৷ তাই হে হে করে বেআক্কল মার্কা হাসি দিয়ে বললো,
— দরকারি কল ছিলো। আমাকে এখুনি ইউনিয়ন পরিষদে যেতে হবে। চাইলেও আর বসে থাকতে পারছি না।
কিছু সময় থেমে চেয়ার থেকে উঠতে উঠতে হিমেলের বাবাকে উদ্দেশ্য করে চেয়ারম্যান সাহেব বললো,
— চিন্তা কইরো না ব্যাপারি। সব ঠিক হইয়া যাইবো। আমি তাহলে উঠি।
খালেক ব্যাপারি মাথা নাড়িয়ে সায় দিলো। চেয়ারম্যান সবার দিকে তাকিয়ে হাত উঠিয়ে “আসছি” বলে দ্রুত কেটে পরলো। আবারো সেই লোকটা কল দিয়ে ফেলেছে। সে না যাওয়া অব্ধি কল দিতেই থাকবে। খালেক ব্যাপারি মাথা নিচু করে একবার চেয়ারম্যানের যাওয়ার দিকে তাকিয়ে বড় করে শ্বাস ছাড়লো। আশেপাশের মানুষ নানা কথা বলছে। কিন্তু কোনটাই তার কর্ণগোচর হচ্ছে না। মিনিট খানেক পর একটা লোক এসে ব্যাপারির হাতে মোবাইল ধরিয়ে দিয়ে বললো,
— ভাই আপনার ফোন (কল) আইছে।
শান্ত ভঙ্গিতে খালেক ব্যাপারি মোবাইলটা হাতে নিয়ে কানে দিলো।কিন্তু মোবাইল কানে দিতেই মুহুর্তের মধ্যে তার চেহারার রং পাল্টে গেলো। রেগে মোবাইলের ওপর পাশের ব্যক্তিটাকে বললো,
— কার এতবড় সাহস? আমি এক্ষুনি আসতেছি।
~~~~ চুপ করে থাকার মানে এই নয় সে দূর্বল।এমনও হতে পারে সে মক্ষম সুযোগের অপেক্ষা
করছে 💞।
#চলবে
নায়কের চরিত্রটা ঘোলাটে ও ধোঁয়াশা রেখেছি। তাই গল্পে নায়ক প্রাধান্য পাচ্ছে না। এবারের গল্পটা ভিন্ন ক্যাটাগরির। তাই গতানুগতিক ধারার প্রেম-ভালোবাসার কাহিনী থাকবে না।