#হিংস্র_ভালোবাসা
#Writter_Farhana_Chobi
#পর্ব-১২
.
.
.
.
আমি কে সেটা এখুনি জানতে পারবে জানপাখি ,,সাথে সাথে রুমের সব লাইট জ্বলে উঠলো ফারহার চোখে হঠাৎ এতো আলো এসে পরায় চোখ বন্ধ করে ফেলে আসতে আসতে চোখ মেলে তাকাতে ফারহা রিতিমতো শক্ট হয়ে যায় কারন ফারহা এই মূহর্তে এটা মটে ও আশা করেনি ফারহা ভেবেছিলো হয়তো ওর বাবার কোন শত্রু ক্ষতি করার জন্য ওকে কিডন্যাপ করেছে কিন্তু ফারহা ভাবতে পারেনি ওর ভাবনা এভাবে ভুল হবে………….
আপনি ..!!!!!
হ্যা জানপাখি আমি মেঘ চৌধুরী …
আমি আপনার কি ক্ষতি করেছি মিস্টার চৌধুরি কেনো আমাকে এখানে নিয়ে এসেছেন ..??
ফারহার কথা শুনে মেঘ রেগে ফারহার গাল শক্ত করে চেপে ধরে বলতে লাগলো ,,,,, কেনো কেনো আমি তোমাকে এখানে নিয়ে এসেছি তাই জানতে চাইছো তাই না হ্যা তার আগে বলো তোমার সাহস কি করে হয় অন্য পুরুষকে জরিয়ে ধরার ..?? কোন সাহসে অন্য পুরুষের সাথে গাড়ি করে ঘুড়তে যাও …?? কথা গুলো বলতে বলতে মেঘ ফারহার গালে কামড় বসিয়ে দেয় ফারহা ব্যাথায় চিৎকার করে ওঠে মেঘ ফারহার চিৎকারের তোয়াক্কা না করে আরো জড়ে গালে কামড় বাসাতে লাগলো ফারহা আর সহ্য করতে না পেরে মেঘ কে সরাতে গিয়ে চেয়ার নিয়ে নিচে পরে গেলো মেঘ ফারহা কে এভাবে পড়ে যেতে দেখে জোড়ে জোড়ে হাসতে লাগলো এদিকে ফারহা গালে ব্যাথা সাথে ফারিহার টেনশনে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে মেঘ ফারহা কে ঝিমিয়ে পড়তে দেখে ফারহা কে কোলে তুলে বেডের উপর শুইয়ে দেয় ,,ফারহার গালে কামড় দেওয়ার ফলে ফারহার গাল টা ফুলে লাল হয়ে আছে মেঘ সেই গালে আলতো করে চুমু দিয়ে ফারহার হাতে একটা ইনজেকশন পুশ করে দিয়ে ফারহার চোখে মুখে পানি ছিটিয়ে দেয় ফারহার জ্ঞান আসতে আসতে ফিরে আসতেই ফারহা কেমন যেনো বিহেবিয়ার করতে লাগলো ফারহার এমন বিহেবিয়ার দেখে মেঘ বাকা হেসে ফারহার হাতে একটা পেপারস দিয়ে বললো,,,জানপাখি এখানে সিগনেচার করে দেও ..
সিগনেচার সেটা আবার কি আগুন ..?? তুমি কোথায় ছিলে আগুন জানো তোমার জন্য আমি এতো বছর অপেক্ষা করছি তুমি আসতে এতো লেট করলে কেনো ..?? ইউ নো আগুন আই লা,,লাভ ইউ সো ম্যাচ ….(ফারহা)
ফারহার মুখে আগুনের নাম শুনে মেঘ চোখ মুখ লাল হয়ে গেলো তার উপর আগুন কে লাভ ইউ বলাটা মেঘ সহ্য করতে না পেরে ফারহা কে কষে একটা থাপ্পোর মারে ,,,মেঘের হাতে থাপ্পোর খেয়ে ফারহা বেডের এক কোনায় ছিটকে পরে ফারহার ঠোট কেটে রক্ত ঝড়তে থাকে কিন্তু মেঘের সে দিকে হুস নেই মেঘ রেগে রুম লক করে ফারহার দিকে এগিয়ে দেয় ফারহা কে নেশার ইনজেকশন পুশ করায় ফারহা উলটা পালটা কথা বলতে থাকে মেঘ কে মেঘ ফারহা কে নিয়ে ওয়াসরুমে ঢুকে শাওয়ার অন করে তার নিচে ফারহা কে দার করিয়ে দেয় মেঘ ফারহা কে ইনজেকশন পুশ করার পর বুজতে পারলো এই অবস্তায় কোন ভাবে ফারহা কে দিয়ে রেজিসট্রি পেপারে সাইন করানো অসম্ভব প্রায় উলটো আরো উলটা পালটা কথা বলে মেঘকে রাগিয়ে দিচ্ছে তাই ফারহার নেশা কাটানোর জন্য মেঘ ফারহা কে শাওয়ার অন করে শাওয়ারের নিচে দার করিয়ে দেয় …..
!
!
!
!
!
আঙ্কেল শান্ত হোন ফারিহার ডেড বডি পোষ্ট মোর্ডেম করার জন্য নিয়ে যেতে হবে …..(আগুন)
বাবা কেনো হলো এটা আমার ছোট্ট পরীটার সাথে এতো নৃশংস ভাবে কেনো মারলো আমার মেয়ে টাকে কি অপরাধ করেছিলো আমার মেয়ে টা ….. মিস্টার আশিক পাগলের মতো কাদতে থাকে আর এদিকে মিসেস মোহনা বার বার জ্ঞান হারিয়ে ফেলছে ডক্টর ঘুমের ইনজেকশন দিয়ে মিসেস মোহনা কে ঘুম পাড়িয়ে দিয়ে চলে যায় ডক্টর ,,,,,,
— মিস্টার খান কিছু ফরমালিটি আছে কাইন্ডলি আপনি যদি একটু থানায় আসতেন …(অফিসার)
— হ্যা অবশ্যই কিন্তু তার আগে আপনি বলুন কে বা কারা ফারিহার এই অবস্তা করেছে …???(আগুন)
— দেখুন মিস্টার খান মিস ফারিহার ডেড বডি আমরা একটা পুরোনো কারখানার সামনে থেকে পেয়েছি তবে ভালো খরব হলো যারা ফারিহা কে ধর্ষন করেছে তাদের ভিতর চার জন কে ধরতে পেরেছি তারা শিকার করেছে তাদের অপরাধ কিন্তু তাদের বসের নাম এখনো জানতে পারি নি তবে খুব তারাতারি নাম টা জানতে পারবো আশা করি….(অফিসার)
— ওকে অফিসার আপনি থানায় যান আমি একঘন্টা পর আসছি আর রাত প্রায় শেষের দিকে …(আগুন)
— ওকে মিস্টার খান তাহলে আশি এখন হ্যান্ডশেক করে…
আপনারা লাশটা গাড়িতে তোলার ব্যাবস্তা করুন ..(অফিসার)
ফারিহার ডেড বডি নিয়ে যাওয়ার পর মিস্টার আশিকের ফারহার কথা মাথায় আসতে আসে পাশে ফারহা কে খুজতে থাকে আগুন আশিক কে চারিদিক তাকিয়ে কাউকে খুজতে দেখে জ্বিগাসা করে ,,আঙ্কেল আপনি কাকে খুজছেন ..??
ফারহা ফারহা কোথায় ও তো ফারিহা কে খুজতে বার হয়েছিলো কিন্তু ও তো এখনো ফিরলো না ….(আশিক)
আশিকের কথা শুনে আগুন ফারহার ফোন নাম্বার ট্রাক করতে থাকে সেই লোকেশন অনুযায়ি আগুন চার রাস্তার মাথায় দারিয়ে এদিক ওদিক খুজতে থাকে কিন্তু কোথায় ফারহা কে খুজে পায় না আগুন কিন্তু ফোনের লোকেশন অনুযায়ী এখানে ফারহার ফোন আছে ,,,আগুন আর একটু সামনে এগিয়ে যেয়ে দেখে রাস্তায় একটা ফোন পরে আছে আগুন ফোন টা তুলে নিয়ে দেখে ফারহার ফোন আগুন খুব ভালো করে বুজতে পেরেছে ফারহার সাথে খুব খারাপ কিছু ঘটেছে এটা ভেবে আগুন গাড়ি নিয়ে ফুল স্পিডে থানার দিকে যায় ………
!
!
!
!
!
এতোক্ষনে নেশা কেটেছে তাহলে …(মেঘ)
মা,,,মানে কি বলছেন আপনি ,,মিস্টার চৌধুরির কথা শুনে অলরেডি আমার মাথা ঘুরতে শুরু হয়ে গেছে আমি নেশা কখন করলাম ,,,,
মেঘের কথা গুলো ফারহার মাথা ঘুরতে বেশিক্ষন সময় লাগে নি ফারহা ভাবতে ভাবতে নিজের শরীলের দিকে তাকিয়ে দেখে নাইট ড্রেস পড়া এটা দেখে ফারহা আতকে ওঠে ফারহার বুজতে বাকি নেই যে মিস্টার চৌধুরি ফারহার সাথে কি করেছে ফারহা বুক ফেটে কান্না আসছে কিন্তু মেঘের সামনে নিজে কে দুর্বলতা প্রকাশ না করে ত্নীক্ষ দৃষ্টিতে তাকিয়ে জানতে চাইলো ….
এই সবের মানে কি মিস্টার চৌধুরি ..?? (ফারহা)
মেঘ বুজতে পারছে ফারহা কি মিন করছে বাট ফারহা এটা জানে না ও যা ভাবছে তার কিছু ঘটেনি মেঘের প্রচন্ড হাসি পাচ্ছে এই মুহূর্তে কিন্তু ফারহার সামনে হাসতে পারছে না মেঘ ঠোট কামড়ে ফারহার দিকে কিছু ছবি ছুড়ে মারে মেঘ ফারহা ছবি গুলো দেখে আতকে ওঠে …..
এটা কি করে সম্ভব আমি আপনার সাথে না এগুলো মিথ্যে আপনি ফেক ছবি বানিয়েছেন মিস্টার চৌধুরি আমি আপনাকে ছাড়বো না ,,,ফারহা মেঘের গলা চেপে ধরতেই মেঘ ফারহার হাত দুটো পিছুনে মুরে নিজের বুকের সাথে চেপে ধরে মেঘ দাতে দাত চেপে বলে ,,, তোমার সাহস দেখে আমি সারপ্রাইজ আজ পর্যন্ত কারোর সাহস হইনি এই মেঘ চৌধুরির গায়ে হাত দিবে কিন্তু তুমি আজ তাই করলে তার শাস্তি তো তোমাকে পেতেই হবে তাই না ,,,,,
শাস্তির কথা শুনে ফারহা ভয় পেয়ে যায় তারপর ও মেঘ কে বলে ,,,, আপনাকে আমি একদিন মাএ দেখেছি আমার জানা মতে আমি আপনার সাথে এমন কোন ব্যাবহার করি নি যাতে আপনি হার্ড হোন বা আপনার কোন ক্ষতি হয় তাহলে আমার সাথে এমন টা কেনো করছেন আপনি ..???(ফারহা)
জানপাখি তোমার হয়তো মনে নেই আমার সাথে তোমার ওই দিন প্রথম দেখা না দ্বিতীয় দেখা ….
না এটা কি করে সম্ভব আমি আপনাকে ওই দিন প্রথম দেখেছি আপনি মিথ্যে বলছেন …(ফারহা)
লিসেন জানপাখি আমি কখনো মিথ্যে বলি না তোমার সাথে আমার প্রথম আলাপ দু বছর আগে যখন তুমি ইন্টার ফাস্ট ইয়ারে পড়তে ,,মনে পড়ে কাউকে রক্ত দেওয়ার কথা ..???
রক্ত রক্ত হ্যা আমি দু বছর আগে একটা মেয়ে কে রক্ত দিয়েছিলাম ,,আমি যখন কলেজ থেকে বাসায় ফিরছিলাম তখন একটা গাড়ি সম্ভবত ব্রেকফেল করে এক্রিডেন্ট করে মেয়েটা একলা ছিলো এক্রিডেন্টের ফলে মেয়েটার প্রচুর রক্ত ক্ষরন হয় আসে পাশের লোকজন কে নিয়ে পাশের সিটি হসপিটালে ভর্তি করিয়ে চলে যাচ্ছিলাম কিন্তু তখনি ডক্টর এসে জানালো AB- রক্ত লাগবে আর তা মেনেজ না হলে রোগী কে বাচানো যাবে না ভাগ্য ক্রমে আমার ব্লাড গ্রপের সাথে মিলে যাওয়ায় আমি ব্লাড ডোনেট করি কিন্তু আপনাকে তো আমি…বাকি টা বলতে না দিয়ে মেঘ বলে উঠলো আমাকে তুমি হয়তো খেয়াল করো নি আমি আমার বোন মিহুর সাথে ছিলাম যে ডক্টর মিহু কে দেখছিলো তিনি আমাদের ফ্যামিলি ডক্টর তিনি আমাকে এক্রিডেন্টের খবর জানায় সাথে তোমার কথাও তুমি কি ভাবে আমার বোনের জীবন বাচিয়েছো রক্ত দিয়ে…..
ওহ আর তাই আজ তার প্রতিদান দিলেন তাই তো মিস্টার চৌধুরি …???(ফারহা)
হা হা হা তুমি খুব বোকা জানপাখি তুমি হয়তো জানো না ওই দিনি আমি তোমার প্রমে পরে গিয়েছি তার পর থেকে ছায়ার মতো তোমার পিছুনে থাকতাম ইভেন কলেজের কোন ছেলে কে তোমার আসে পাশে ঘিসতে দিতাম না ….( মেঘ)
এটা আপনার ভালোবাসা মাস্টার চৌধুরী ..?? তাহলে আমি বলবো এটা আপনার ভালোবাসা না এটা আপনার অসুস্থতা কেউ কখনো তার ভালোবাসা কে এভাবে কষ্ট দিতে পারে না ..?? (ফারহা)
ফারহার কথা শেষ হতে মেঘ ফারহার ঠোট দুটো নিজের ঠোটের আয়োত্তে নিয়ে নেয় ফারহার দুর্বল শরীল নিয়ে মেঘ কে বাধা দিতে গিয়ে ও পারে না কারন স্বাস্থ্যবান পুরুষের শারীরিক শক্তির কাছে একজন নারীর শারীরিক শক্তি কখনো পেরে ওঠা সম্ভব নয় সেটা ফারহার ক্ষেত্রে ও….মেঘ ফারহা কে ছেড়ে দিয়ে ফারহা হাত শক্ত করে চেপে ধরে রেজেস্ট্রি পেপারসে সাইন করিয়ে নিয়ে কার্বাড থেকে কলা পাতা রংয়ের সুন্দরু কারু কার্য করা একটা শাড়ি বের করে ফারহার হাতে দেয় পড়ার জন্য ফারহা আশে পাশে তাকিয়ে খুজতে থাকে যে ড্রেস টা আগে পড়া ছিলো মেঘ ফারহার আর একটু কাছে এসে কপালের চুল গুলো কানে পিঠে গুজে দিয়ে কানের কাছে মুখ এনে বলে,,,,জানপাখি তুমি যদি এখুনি শাড়ি টা না পড়ো তাহলে এর পর যা ঘটবে তার জন্য তুমি দ্বায়ী থাকবে….
মেঘের কথা শুনে ফারহা মেঘের দিকে একরাশ ঘৃনা নিয়ে তাকিয়ে শাড়িটা নিয়ে দ্রুত ওয়াসরুমের দিকে চলে গেলো ফারহার এমন কান্ড দেখে মেঘ এবার মন খুলে হাসতে লাগলো ……
আমি তো একা একা শাড়ি পরতে পারি না আম্মু বা ফারিহা ,,হা ফারিহা এখন কোথায় ওকে খুজতেই তো আমি এতো রাতে বার হয়েছিলাম কিন্তু মাঝ পথে এই সাইকো টা আমাকে তুলে নিয়ে আসে কিন্তু ফারিহা কোথায় ও কি বাড়ি ফিরে গেছে নাকি এখনো ওকে খুজে পাওয়া যায় নি..!!!!
ফারহা ফারিহার টেনশনে শাড়িটা উলটো ভাবে কোন ভাবে পেচিয়ে নিয়ে বার হয় মেঘ ফারহা কে শাড়ি পড়া দেখে কিছুক্ষন তাকিয়ে থেকে আসতে আসতে ফারহার দিকে এগোতে থাকে ফারহা ফারিহার চিন্তায় বিভোর থাকায় মেঘ কে খেয়াল করেনি তবে মেঘ যখন একটানে ফারহার শরীল থেকে টেনে শাড়ি টা খুলে ফেলে ঠিক তখন ফারহার ধ্যান ভাঙ্গে চিৎকার করে দু হাত দিয়ে নিজেকে ব্যর্থ ঢাকার চেষ্টা করে ফারহা এদিকে ফারহার এমন করা কাজে মেঘ বেশ মজা পাচ্ছে শাড়িটা নিয়ে ফারহা কে বেশ জোড় করে পড়িয়ে দেয় ফারহা প্রথমে না না করলে ও পরে আর বারন করে না করে না ফারহা ভাবছে কি করে এখান থেকে বের হতে পারে …..
কি ভাবছো জানপাখি এখান থেকে পালিয়ে যাওয়ার কথা..?? তাহলে সে চিন্তা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলো কারন আমি ন চাওয়া অবদি তুমি এখান থেকে বের হতে পারবে না ,,,
মেঘের কথা শুনে ফারহা ভয় না পেয়ে জানালা খুলে বাইরে তাকিয়ে দেখে সূর্য প্রথম কিরন ,,ওহ তার মানে এখন যাষ্ট ভোর হলো জানালা থেকে চোখ সরাতে টেবিলের উপর বাজ টা চোখে পড়লো ততোক্ষনে মেঘ পিছুন থেকে ফারহা কে জরিয়ে ধরে কাধে বাইট দিতে থাকে ফারহা হাত দিয়ে বাজ টা হাতে নিয়ে মেঘ কে ধাক্কা দিয়ে নিজের কাছ থেকে সরিয়ে দিয়ে সজোড়ে কপালে আঘাত করে বাজ টা ফেলে দিয়ে দৌড়ে সেখান থেকে ফারহা বের হয়ে যায় …………
*
*
*
*
#চলবে…………………. 🖤 ❤️ 🖤
আজকের পার্টটা কিন্তু বড় করে দিয়েছি কেউ আবার বলো না ছোট পার্ট দিসি🙄🙄