হিংস্র_ভালোবাসা #Writter_Farhana_Chobi #পর্ব-১৭

#হিংস্র_ভালোবাসা
#Writter_Farhana_Chobi
#পর্ব-১৭
.
.
.
👇
গানটা গাওয়ার সময় বার বার ফারহার দুচোখ ভরে যায় আকাশের দিকে তাকিয়ে থেকে চোখ মুছে পিছুনে তাকিয়ে দেখে মেঘ পুরো হা করে ফারহার দিকে তাকিয়ে আছে তখনি ফারহার মাথায় দুষ্টু বুদ্ধি চাপলো ফারহা মেঘ কে এক ধাক্কা মারলো ব্যালেন্স না রাখতে পেরে সাথে সাথে মেঘ নিচে পরে গেলো আর এদিকে ফারহা পেট চেপে ধরে হাসতে লাগলো এদিকে ছাদের দরজার কাছে দারিয়ে আছে আরহান চৌধুরী …….

নাহ ফারহা আমি জানি না তুমি কি করে বেচে আছো কিন্তু এই বার আর বাচতে পারবে না এমন এক প্লান তৈরি করেছি যে সাপ ও মরবে আর লাঠি ও ভাঙ্গবে না….

আরহান চৌধুরী এক পৌশাচিক হাসি দিয়ে নিচে নেমে গেলো এদিকে ফারহা আরহান চৌধুরীর মুখে হাসি দেখে কিছু একটা ঘটকা লাগে ….

আরহান চৌধুরী বদলাবে না আমি জানি আর তাই আজ আপনার সাথে যা হবে তার সম্পূন দ্বায়ভার আপনার …..ফারহা মুচকি হেসে মেঘের দিকে হাত বারিয়ে দেয় মেঘ ফারহার হাত ধরে না উঠে এক টানে মেঘের বুকের উপর ফেলে আচমকা ফারহা মেঘের বুকের উপর পরে মেঘের ঠোটে উপর ফারহার ঠোট পরে …..

আহা মারযাবা ইসস এমন ভাবে যদি সময় টা থমকে যেতো …মেঘ ফারহার দিকে তাকিয়ে মনে মনে ভাবতে থাকে এদিকে ফারহার ভিষন রাগ লাগছে ফারহার জায়গায় অন্য কেউ হলে হইতো লজ্জায় লাল হয়ে যেতো এখানে ফারহা ঠিক চোখ মুখ লাল হয়ে গেছে তবে লজ্জায় না রাগে ফারহা মেঘের উপর থেকে হুট করে উঠে দৌড়ে নিচে রুমে চলে যায় এদিকে মেঘ ফারহার এমন আচরন দেখে অবাক হয়ে যায় মেঘ ও দৌড়ে ফারহার পিছু পিছু চলে যায়……
!
!
!
!
!
স্যার আর কতো ড্রিংক করবেন..??(সারবেন্ট)
তাহলে কি করবো রফিক এখন তো এই মদ আমার সঙ্গি…(আগুন)
স্যার কিছু মনে না করলে একটা কথা বলবো..??(রফিক)
হুমমম…..
স্যার আপনি ফারহা ম্যাম কে এতো ভালোবাসেন তাহলে ওনাকে যেতে কেনো দিলেন আপনি চাইলে ওনাকে বিয়ে করে নিজের সাথে রাখতে পারতেন…?(রফিক)
সারবেন্টের কথা শুনে আগুন গ্লাস টা শেষ করে সারবেন্টের দিকে তাকিয়ে বললো ,,,,
কাকে নিজের কাছে আনতে বলছিস রফিক কাকে ..??ফারহা বিবাহিত আইনত মেঘ চৌধুরীর লিগাল ওয়াইফ ফারহা এতো সহজে ওকে আমার করতে পারবো না রফিক এর জন্য অনেক কাটখর পোড়াতে হবে ……….(আগুন)

স্যার তবে কি আপনি চিরকাল একাই থাকবেন..???(রফিক)

রফিকের কথা শুনে আগুন বাকা হেসে গ্লাস রেখে পুরো মদের বোতল টা নিয়ে মদ খাওয়া শুরু করল রফিক আগুনের এই বাকা হাসি দেখে বুঝে গেলো আগুন সহজে ফারহা কে ছাড়বে না নিজের করেই ছাড়বে পৃথিবী এদিক ওদিক হয়ে গেলে ও.রফিক আর কথা না বারিয়ে ফারহার বাবা মায়ের জন্য রাতের খাবার বানাতে চলে গেলো……….
!
!
!
!
!
জানপাখি এভাবে চলে এলে কেনো..??(মেঘ)

মেঘ আমাদের বিয়ের রেজিসট্রি পেপারস টা কোথায়..??(ফারহা)

ওটা আমার কাছে কেনো..??(মেঘ)

মেঘের কথা শুনে ফারহা কিছুক্ষণ চুপ করে থাকলো মেঘ ও আর ঘাটালো না ……

আজ পার্টি স্পোয়েল হয়ে যাওয়া সাথে ফারহার এমন এনট্রি হওয়াতে আরহান চৌধুরী খুব আপসেড হয়ে আছে ঠিক এই সময় মিহু কে ভিষন মিস করছে আরহান চৌধুরী কারন একমাত্র এই মেয়ের কাছে তিনি মনের কথা সব শেয়ার করতে পারে কিন্তু দূর্ভাগ্যে ক্রমে বিজনেসের কাজে মিহু কে সকালে দিল্লি যেতে হয় সে জন্য আজ আরহান চৌধুরী দম মেরে আছে তবে ছাদে ফারহার হাসি মুখ টা দেখে আরহান চৌধুরীর সহ্য হলো না তিনি হুট করে তার লোকদের ফোন করে ….

— হ্যালো হা তোদের একটা কাজ করতে হবে..,,,(আরহান চৌধুরি)

— ইয়েস বস বলুন কি করতে হবে আমাকে..??

— একটা ছবি সেন্ড করছি এ মেয়েটার বাবা মা ভাই বোন যারাই থাকুক না কেনো তাদের সবাই কে তুলে আনতে হবে ….(আরহান চৌধুরী )

— ওকে বস আপনার কাজ হয়ে যাবে কাল আপনি খবর পেয়ে যাবেন….

আরহান চৌধুরী কল ডিসকানেক্ট করতেই সাথে সাথে ফোন টা বেজে ওঠে আরহান চৌধুরী ফোন টা রিসিব করতে ওপাশ থেকে মিস্টার মারুফ চিৎকার করে আরহান চৌধুরী কে
ধমকাতে লাগলো …

-মিস্টার চৌধুরী আপনার কাছ থেকে এটা আমি আশা করে নি আপনার ছেলের জন্য আমার একমাত্র মেয়ে জারা সুইসাইড এটেম করেছে…

– দেখুন মিস্টার মারুফ মেঘ যা করেতে তার জন্য আমি ক্ষমা চাইছি মেঘ যা ভুল করেছে আমি তা সুদরে দিবো ওই মেয়ে কে যতো তারাতারি সম্ভব মেঘের সাথে ডিভোর্স করিয়ে দিয়ে এ বাড়ি থেকে বের করে দিবো ……(আরহান চৌধুরী )

– থামুন মিস্টার চৌধুরি এখন আপনি যা করেন না কেনো কোন লাভ হবে না আমি আপনার ছেলের সাথে আমার মেয়ের বিয়ে দিবো না আমি আপনাকে এটা জানাতে ফোন করেছি যে আমি আপনার সাথে আর বিজনেস করবো না আমাদের পার্টনার শিপ এখানে শেষ …(মারুফ)

মিস্টার মারুফ কথা শেষ করে কল কেটে দিলো এদিকে আরহান চৌধুরী রেগে আগুন হয়ে গেছে ফারহার উপর রাগ যেনো আরো একশত গুন বেড়ে গেলো আরহান চৌধুরী রুমের সব জিনিস পত্র ভাঙ্গচুর করতে শুরু করলো তবে ভাঙ্গচুরের শব্দ মেঘ বা ফারহার কারো কানে পৌছালো না …….
!
!
!
ইউ নো ওয়াট মেঘ আই রেইলি হেট ইউ …(ফারহা)

ফারহার কথা শুনে মেঘ রাগ না করে বরং হাসি মুখে ফারহা কে জরিয়ে ধরে বললো….. আই নো দ্যাট জানপাখি বাট ইউ নো ওয়াট আমার কিছু যায় আসে না যে তুমি আমাকে ভালোবাসো কি না মেইন পয়েন্ট হলো আমি তোমাকে ভালোবাসি আর আমার একার ভালোবাসাই যথেষ্ট ….(মেঘ)

মেঘের কথা শুনে ফারহা কোন রিয়াকশন দিলো না ফারহা হয়তো মেঘের কাছ থেকে এমন কোন উওর পাবে বলে আশা করছিলো …..

মেঘ আমি ঘুমাবো গুড নাইট …

ফারহা যেতে নিলে মেঘ ফারহা কে ধাক্কা দিয়ে বেডে ফেলে দিয়ে নিজের শরীলের সব ভার টুকু ফারহার উপর ছেড়ে দিলো …..

মেঘ তুমি বলেছিলে ….বাকিটা বলতে না দিয়ে মেঘ বললো হুসসস কোন কথা নয় আজ আমাদের বাসর ভুলে গেলে তো চলবে না বাসর তো করতে হবে তাই না …..

মেঘ ফারহার বারন অগ্রাহ্য করে ফারহা কে আদরে আদরে ভরিয়ে দিতে থাকলো ফারহার শরীলের এমন কোন জায়গা বাকি নেই যেখানে ফারহার ভালোবাসার ছোয়া নেই কিন্তু মেঘের এই ভালোবাসার ছোয়া যেনো বিষের মতো লাগছে ফারহার কাছে কিন্তু মেঘের ভালোবাসা গভীর হওয়ার আগে মেঘ অঙ্গান হয়ে ফারহার উপর পরে থাকে ফারহা ধিরে ধিরে মেঘ কে সরিয়ে দিয়ে উঠে দারালো ……..

হা হা হা মেঘ তুমি তোমার ভালোবাসায় আমাকে ডুবানোর আগে তোমাকে আমি শেষ করে দিবো …

ফারহা হাসতে হাসতে ইনজেকশন সিরিজ টা একটা ছোট পেকেটে রেখে ফারহা ব্লাক জিন্স ব্লাক জেকেট পরে বেরিয়ে যায়……..
!
!
!
নো ফারু নো তুই বাইরে দারা আমি এখুনি আসছি ভিতরে যারা আছে তারা খুব ডেন্জারাস তোর ক্ষতি করে দিতে পারে ওরা আমি না আশা পযর্ন্ত তুই ভিতরে ঢুকবি না প্রমিস মি ….(আগুন)

– ওকে আমি বাইরে দারিয়ে আছি তুই আসলে এক সাথে ভিতরে ঢুকবো বাট ফাষ্ট আয় আর কয়েক ঘন্টা হাতে আমার এর পর মেঘের নেশা কেটে যাবে ….(ফারহা)

– ওকে ওকে আ’ম অলরেডি অন দা ওয়ে আর কিছুক্ষন সময় লাগবে পৌছাতে তুই কল কাটবি না ধরে থাক …(আগুন)

– আমাকে কি তোর বাচ্চা মনে হয় আগুন আমি নিজে বাচাতে পারবো না..!! (ফারহা)

– কোন ছাগল বলবে এই কথা বল আর কি বললি বাচ্চা তাই না আরে ঠিক সময় তোকে বিয়ে করলে এতো বছরে ক্রিকেট টিম বানিয়ে ফেলতাম আমি ….

হাসতে হাসতে বললো আগুন কিন্তু কথাটা শুনে ফারহা বেশ চুপ হয়ে যায় হুট করে কল টা কেটে দেয়…..ফারহা হঠাৎ এভাবে কল কেটে দেওয়ায় আগুন বুজতে পারে কথাটা বলা ওর মটে ও ঠিক হয়নি আগুন বার বার ফারহা কে কল করে যায় কিন্তু ফারহা কল রিসিব না করে গাড়ির ভিতর থেকে বার হয়ে ধিরে ধিরে পুরনো বাড়ির ভিতরে ঢুকে যায় কমর থেকে গান টা বের করে নেয় ফারহা …….

বাড়িটার উওর দিকে একটা রুম থেকে আওয়াজ শুনতে পায় ফারহা ধিরে ধিরে সে রুমের দিকে এগিয়ে যেয়ে দরজা একটু ফাক করে দেখে একটা মেয়ে বয়স চৌদ্দ বা পনেরো হবে বাচ্চা মেয়ে টাকে ছিড়ে খাবে বলে জানোয়ার গুলো নিজেদের শীলের কাপড় খুলছে মেয়েটির হাত মুখ বাধা তাই চিৎকার করতে পারছে না অনবরত কেদে যাচ্ছে আর লোক গুলো নিজেদের ভিতরে আলোচনা করছে কে আগে মেয়েটাকে ছিড়ে খাবে……

-হে মিয়া তুই আগে যাবি না আমি আগে যামু খাসা মাল কিন্তু….

– হো তুই আগে যা আমি বস রে কল দিয়া জিগাই মাইয়া ডারে নিয়া কি করমু বেচে দিমু না কি জানে শেষ করে দিমু …?

– হো আচ্ছা তাইলে তুই বস রে কল দে আর সালা তুই (আরেক জন কে উদ্দেশ্যে করে) মদ নিয়া আয় মদ শেষ হইয়া গেছে …

– ঠিক আছে বস …..

আমাকে যা করার এখনি করতে হবে আগুনের জন্য আর অপেক্ষা করাটা ঠিক হবে না ..(ফারহা)

ফারহা ওই রুম থেকে একটু দুরে লুকিয়ে রইল একটা লোক রুম থেকে বের হয়ে যেতে নিলে ফারহা পিছুন থেকে লোকটার মুখ চেপে ধরে মাথায় গান দিয়ে বারি দিতে লোক টা অজ্ঞান হয়ে পরে রইল ফারহা আবার ধিরে ধিরে ওই রুমে সামনে দারিয়ে দেখে লোক টা মেয়েটির গায়ের ওড়না নিয়ে ছুড়ে ফেলে দিয়ে বাকি কাপড় খোলার জন্য শরীলে হাত দিতে যাবে ঠিক তখনি ফারহা লোকটার মাথায় সুট করে গানে সাইলেসার লাগানো থাকায় জোড়ে কোন আওয়াজ হয় না ফারহা রুমে ঢুকে লোকটার লাশ টেনে রুমের বাইরে নিয়ে আসে তারপর মেয়েটির হাত মুখের বাধন খুলে দেয় ততোক্ষনে বাইরে থাকা লোক টা ফোনে কথা বলা শেষ করে ওই রুমে আসতে দেখে পুরো রুম ফাকাঁ এদিক ওদিক তাকিয়ে কাউকে দেখতে না পেয়ে অন্যরুম গুলো খোজার জন্য বার হতে নিলে ফারহা পিছন থেকে আগের টার মতো একি ভাবে মাথায় আঘাত করে সাথে সাথে লোক টা জ্ঞান হারিয়ে মাটিতে লুটিয়ে পরে ফারহা লোক টির ফোন নিয়ে ডায়েল করা নাম্বার গুলো চেকে করে ………

বাহ আমার ধারনা যে এতোটা সত্যি হবে তা আমি সত্যি ভাবি নি এবার দেখো মিস্টার চৌধুরি আপনার পাতা জালে আপনাকে কি করে ফাসাই …..

আপু আমি বাড়ি যাবো…(মেয়েটি)

হা যাবে তার আগে বলো তোমার নাম কি ..??(ফারহা)

আমার নাম ফারিহা…(মেয়েটি)

ফারিহা নাম টা শোনা মাত্র ফারহার দুচোখ ভরে আসলো মেয়েটা কে শক্ত করে জরিয়ে ধরে ,,,,

ভয় নেই বোন তোমার আর কেউ কোন ক্ষতি করতে পারবে না এখন তুমি সেইভ …(ফারহা)

কিন্তু আপু আপনি কাদছেন কেনো..??(ফারিহা)

ওহ কিছু না আমার বোনের কথা মনে পরে গেলো যানো ওর নাম ও ফারিহা ছিলো খুব ভালো শান্ত আর লক্ষি মেয়ে ছিলো….(ফারহা)

ওহ তাই নাকি তা আপু ওই আপু টা কোথায় আছে এখন নিশ্চয় অনেক দুরে আর তাই আপনি এভাবে তার কথা মনে করে কাদছেন..??(ফারিহা)

হা অনেক দুরে এতোটা দুরে যে আমি চাইলে ওর কাছে পৌছাতে পারবো না …(চোখের পানি মুছে বললো ফারহা )

মানে কোথায় ওই আপু টা..

না ফেরার দেশে যেখানে গেলে কেউ ফিরে আসে না সেখানে….(ফারহা)

ফারিহা এতোক্ষনে বুজতে পারলো যে ফারহার বোন ফারিহা এ পৃথিবীতে বেচে নেই ….ফারিহা কথা ঘুরানোর জন্য ফারহার কাছে জানতে চাইলো এখান থেকে কখন বের হবে ওরা…??

ফারিহা আমার বন্ধ আসবে তখন বের হবো তার আগে এই দুজন কে শক্ত করে হাত পা বেধে ফেলতে হবে যাতে জ্ঞান ফিরলে আমাদের এট্যাক না করতে পারে ….(ফারহা)

ফারহা আর ফারিহা লোক দুটো কে দরি দিয়ে শক্ত করে বেধে ফেলে ততোক্ষনে আগুন চলে এসে গাড়িতে ফারহা কে না পেয়ে পোরা বাড়ির ভিতর ঢুকে পরে ফারহা কে খুজতে লাগলো কিন্তু একটা রুমে একজনের লাশ দেখে আগুন ঘাবড়ে যায় এটা ভেবে ফারহার কিছু হলো না তো এটা ভেবে পাগলের মতো সব রুম খুজে লাষ্ট রুমে ফারহা কে দেখতে পায় সাথে দেখে একটা বাচ্চা মেয়ে ফারহা আর মেয়ে টা পাশা পাশি বসে আছে আছে আর মেয়ে কি সব কথা বলছে আর ফারহা তা শুনে খিল খিল করে হেসে উঠছে আগুন ফারহার হাসি দেখে ওখানে দারিয়ে রইল …..
*

*

#চলবে…………………………🔥🔥🔥
(পাঠক পাঠিকাদের উদ্দেশ্য বলছি এটা কিন্তু মেঘ ফারহার অতিত চলছে কেউ বর্তমান ভেবে ভুল করবেন না)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here