হিংস্র_ভালোবাসা #Writter_Farhana_Chobi #পর্ব-১৮ .

#হিংস্র_ভালোবাসা
#Writter_Farhana_Chobi
#পর্ব-১৮
.
.
.
.
🍁
ফারহা আর ফারিহা লোক দুটো কে দরি দিয়ে শক্ত করে বেধে ফেলে ততোক্ষনে আগুন চলে এসে গাড়িতে ফারহা কে না পেয়ে পোরা বাড়ির ভিতর ঢুকে পরে ফারহা কে খুজতে লাগলো কিন্তু একটা রুমে একজনের লাশ দেখে আগুন ঘাবড়ে যায় এটা ভেবে ফারহার কিছু হলো না তো এটা ভেবে পাগলের মতো সব রুম খুজে লাষ্ট রুমে ফারহা কে দেখতে পায় সাথে দেখে একটা বাচ্চা মেয়ে ফারহা আর মেয়ে টা পাশা পাশি বসে আছে আছে আর মেয়ে কি সব কথা বলছে আর ফারহা তা শুনে খিল খিল করে হেসে উঠছে আগুন ফারহার হাসি দেখে ওখানে দারিয়ে রইল …..
!
!
!
!
!
হচ্ছে টা কি এই গাধা গুলো ফোন কেনো রিসিব করছে না ..(আরহান চৌধুরী )

ফারহা ফোন টা হাতে নিয়ে মুচকি হাসছে এটা দেখে ফারিহা প্রশ্ন করলো …আপু তুমি হাসছো কেনো ..??আর ওই বাজে লোক টার ফোন নিয়ে তুমি কি করছো..?? আর কখন থেকে রিং হয়ে যাচ্ছে ফোনটা……

ফারহা ফারিহার গাল টেনে দিয়ে বলে …আমি কেনো হাসছি এটা তুমি বুজবে না তার আগে বলো তুমি থাকো কোথায় আর তোমার বাবার নাম কি..??(ফারহা)

আমি লন্ডনে থাকি আপু ওখানে পড়াশুনা করি এখানে কাল এসেছিলাম ড্যাডের অসুস্থতার কথা শুনে কিন্তু এয়ারপোর্ট থেকে বেরিয়ে আসার সময় এই লোক গুলো আমাকে কিডন্যাপ করে …(ফারিহা)

তোমার বাবার নাম কি ফারিহা ..??

আরমান চৌধুরী ….(ফারিহা)

আরমান চৌধুরী তোমার বাবা..??(আগুন)

ফারিহার মুখে আরমান চৌধুরী নাম টা শুনে বেশ অবাক হয় আর এদিকে ফারহা অবাক না হয়ে খুশি হয় ৷ ফারহা আগুন কে ইশারায় শান্ত থাকতে বলে আগুন ফারহার ইশারা বুঝে আর কোন প্রশ্ন করে না ….

আচ্ছা ফারিহা তুমি আমার সাথে চলো এখন তোমাকে তোমার বাড়িতে ফিরিয়ে দিতে পারবো না কাল তোমাকে তোমার বাড়িতে দিয়ে আসবো ৷ আজ তুমি এই ভাইয়া টার বাড়িতে থাকবে ঠিক আছে….(ফারহা)

ওকে আপু আমার কোন প্রব্লেম নেই …(ফারিহা)

গুড গার্ল…(গাল টেনে দিয়ে)

আগুন লোক দুটো কে নিয়ে যাও যেখানে ওদের অন্য সাথিদের শাস্তি দিয়েছি সেখানে….(ফারহা)

ফারহার কথা মতো আগুন লোক দুটো কে নিয়ে বেরিয়ে গেলো আর ফারহা ফারিহা কে আগুনের বাড়িতে রেখে সব বুঝিয়ে দিয়ে মেঘের বাড়ির উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পরে ……….
!
!
!
!
মেঘ এখনো ঘুমিয়ে আছে হালকা ডোজের ঔষধ টা মেঘ কে ভালো করে ধরেছে এটা ফারহা খুব ভালো করে বুজতে পেরেছে ফারহা একটা ছোট্ট শিশি বের করে ইনজেকশন নিয়ে মেঘে হাতে পুশ করে দিলো …..

মেঘ তোমার সামান্য ভুল আর তোমার বাবার অপরাধের শাস্তি তোমাকে ও পেতে হবে ৷ কিন্ত আরহান চৌধুরী কে আমি ছাড়বো না নাহ ওনাকে জানে আমি মারবো না তবে তিলে তিলে শেষ করে দিবো ওনাকে বুজতে পারবে সন্তান হারানোর কষ্ট টা সন্মান নষ্ট হওয়ার কষ্ট হা হা হা(ফারহা)

ফারহা চেন্জ করে মেঘে পাশে শুয়ে পরে ৷ সকাল হতে মেঘ ঘুম থেকে ওঠে পরে ঘুম থেকে ওঠার পর থেকে মেঘে মাথা প্রচন্ড ভার হয়ে আছে সাথে মাথা ব্যাথা মেঘ মাথা ধরে বসে আছে ফারহা এক গ্লাস লেবু পানি মেঘের সামনে রাখে…….

এটা খেয়ে নেও মাথা হালকা লাগবে …(ফারহা)

তুমি জানলে কি করে জানপাখি আমার মাথা ভার হয়ে আছে..??(মেঘ)

মেঘের কথা শুনে ফারহা একটু ঘাবড়ে যায় কিন্তু মেঘ বুঝে ওঠার আগে নিজেকে সামলে বলে….

মেঘ তুমি হয়তো খেয়াল করো নি আমি অনেকক্ষন ধরে রুমে আছি ৷ তোমাকে এভাবে মাথাটা ধরে বসে থাকতে দেখে মনে হলো হয়তো তোমার মাথাটা ভার হয়ে আছে তাই আমি …বাকি টা বলতে দিলো না মেঘ তার আগেই একহাত দিয়ে ফারহার কমর চেপে ধরে অন্য হাত ফারহার চুল ধরে ঠোটে ঠোট বসিয়ে দেয় …..

ফারহা মেঘের সিক্স প্যাক বডির সাথে না পেরে পা দিয়ে মেঘের পায়ে জোড়ে পারা দেয় কিন্তু মেঘ তাতে ও ফারহা কে ছাড়লো না বরং আরো জোড়ে চেপে ধরলো ফারহা এবার না পেরে মেঘের চুল গুলো টানতে লাগলো এতো জোড়ে জোড়ে চুল টানতে লাগলো যে ফারহার হাতে কয়েকটা চুল অলরেডি ছিড়ে আসলো………

পাক্কা দশ মিনিট পর মেঘ ফারহা কে ছেড়ে দিয়ে বেডের উপর শুয়ে পরলো এদিকে ফারহা রাগে কটমট করে মেঘের দিকে তাকিয়ে হাপাতে লাগলো মেঘ চোখ বন্ধ করে ফারহা কে বলতে লাগলো……..

জানপাখি আজ মরনিং কিস টা যাষ্ট অমৃত ছিলো তবে তোমার চুলটানা টা খেয়ে আমার মাথাটা সত্যি ঘুরছে এরকম যদি রোজ রোজ চুল টানো তো তুমি বাইরে মুখ দেখাতে পারবে না লোকেরা তোমাকে দেখে বলবে ওই টাকের বউ যে নিজে তার স্বামির সব চুল ছিড়ে নিয়েছে ……কথাটা বলে কিট কিট করে হেসে চোখ মেলে তাকিয়ে দেখে রুমে ও ছাড়া আর কেউ নেই মেঘ মাথা চুলকাতে চুলকাতে লেবুর পানি টা খেয়ে নিয়ে ওয়াসরুমে চলে যায় ফ্রেস হতে ……
!
!
!
মতি লিলি ব্রেকফাস্ট রেডি করো আমি অফিসে বের হবো …(আরহান চৌধুরী )

আরহান চৌধুরী চেচিয়ে বলতে বলতে সিরি দিয়ে নামছিলো কিন্তু হঠাৎ করে পা পিচলে সিরি গড়িয়ে নিচে পরে যায় আরহান চৌধুরী সারবেন্টরা দেখে চেচাতে লাগলো ….

ওয়াট দ্যা হেল এটা বাড়ি না বাজার এভাবে কেনো চেচামেচি হচ্ছে …(মেঘ)

মেঘ রেডি হয়ে রুম থেকে বের হচ্ছিলো তখনি সারবেন্টদের চেচামেচি শুনতে পায় মেঘ আর তা শুনে রেগে নিচে নেমে দেখে আরহান চৌধুরী নিচে অজ্ঞান হয়ে পরে আছে মেঘ দ্রুত আরহান চৌধুরী কে তুলে বেড রুমে নিয়ে যায় অন্য দিকে সারবেন্ট ডক্টর কে কল করে আসতে বলে ………..
.
.
.
.
নাহ মেঘ তেমন গভির ইনজিওর হই নি তবে পা টা মচকে গেছে ভেঙ্গে যাইনি কিছুদিন রেস্ট নিলে উনি সুস্থ হয়ে যাবে আর আমি কিছু মেডিসিনের নাম লিখে দিচ্ছি তুমি এগুলো আনিয়ে নিও …..(ডক্টর)

ওকে ডক্টর …(মেঘ)

কিছুক্ষনের মধ্যে আরহান চৌধুরীর জ্ঞান ফিরে আসে জ্ঞান ফিরে আসতেই আরহান চৌধুরী বিছানা থেকে ওঠার চেষ্টা করতে থাকে মেঘ জোড় করে আরহান চৌধুরীকে শুইয়ে দেয়….

ওয়াট ইজ দিস ড্যাড তোমার পায়ের এই অবস্তা আর তুমি বেড থেকে এভাবে ওঠার চেষ্টা কেনো করছো..??(মেঘ)

নো মেঘ আমাকে উঠতে হবে আজ একটা বিরাট প্রজেক্ট য়ের জন্য ফরয়েইনার সাথে মিটিং ফিক্সট করা আছে আর আজ যদি মিটিং টা না হয় তো কম্পানির বড় একটা লস হয়ে যাবে এমনি তে এই ডিল টা হাতানোর জন্য অনেক গুলো কম্পানি ভিতরে ভিতরে ষরযন্ত্র করছে…..(আরহান চৌধুরী)

ড্যাড মিটিং টা আজ আমি এটেন্ড করবো তোমার জায়গায় …(মেঘ)

বাট তুমি তো এই প্রজেক্টের বিষয় কিছুই জানো না মেঘ তুমি মিটিং টা করবে কি করে…??(আরহান চৌধুরী )

ইউ ডোন্ট ওয়ারি ড্যাড তোমার পিএ থেকে সব টা জেনে নিবো ….(মেঘ)

ওয়েল তাহলে তুমি আজকের মিটিংটা দেখো আর আমি আমার পিএ কে সব টা বলে দিচ্ছি …(আরহান চৌধুরী )

আরহান চৌধুরী তার পিএ কে সব টা বুঝিয়ে দিয়ে তিনি রেষ্ট করতে থাকে আর ভাবতে থাকে তিনি হঠাৎ করে আজ এভাবে সিরি থেকে কি করে পরে যেতে পারে যেখানে তিনি চোখ বন্ধ করে পুরো বাড়ি একাই ঘুরে সতে পারে সেখানে উনি পা পিছলে পরে গেলো কি করে…????

এদিকে মেঘ ফারহার সাথে ব্রেকফাস্ট করার জন্য ফারহা কে জোড় করে নিজের কোলে বসিয়ে পরোটা ছিড়ে তাতে মাংস নিয়ে ফারহার মুখে খাবার ঢুকিয়ে দিয়ে মুখ চেপে ধরে যাতে খাবার টা মপখ থেকে ফেলে দিতে না পারে …….

হুমম হুমম ওহ হাদারাম টা খাবার মুখে ঢুকিয়ে দিয়ে এভাবে মুখ চেপে ধরবে এটা আমি সত্যি আশা করি নি,,৷ মন চায়ছে এই হাদারাম টা কে মাথায় তুলে আচার মারি জীবন ডা তেনা তেনা হয়ে গেলো…..(ফারহা)

মেঘ ফারহার মুখের দিকে তাকিয়ে দেখে ওর আর বুজতে বাকি নেই যে ফারহা মনে মনে ওর গুষ্টির সষ্টি করছে মেঘ মুচকি হেসে আর এক টুকরো পরোটা নিয়ে ফারহার মুখের সামনে ধরতে ফারহা রেগে মেঘের দিকে তাকাতে মেঘ কাচুমাচু করতে লাগলো ……..

মেঘ আমি আর খেতে পারছি না আর আমার ঔষধ খাওয়ার সময় হয়ে গেছে আমাকে রুমে যেয়ে ঔষধ খেতে হবে ছাড়ো আমাকে ….(ফারহা)

ওয়াট তুমি ঔষধ খাবে কি জন্য তোমার কি হয়েছে কোথাও লেগেছে তোমার..??

পাগলের মতো উলটা পালটা প্রশ্ন করতে থাকে ফারহা বেশ অবাক হয় মেঘের এতো কেয়ারিং পজেসিবনেস দেখে কিন্তু মেঘ কে এখন এখান থেকে না সরাতে পারলে মেঘের ফ্রুট জুসে মেডেসিন মেসাতে পারবে না তাই মিথ্যে বললো ঔষধের কথা যাতে মেঘ ওকে ছেড়ে দিয়ে উপরে চলে যায়……..

মেঘ আমার কিচ্ছু হয়নি আমি ঠিক আছি ডক্টর আমাকে যাষ্ট কিছু ভিটামিনের ঔষধ দিছে..ফা ..বলতে যেয়ে ও থেমে যায় ফারহা কারন ফারিহার কথা মে বি মেঘ জানে না তাই হইতো এই কথা জ্বিগাসা করলো কারন ফারিহা চলে যাওয়ার পর ফারহা মেনন্টালি অনেকটা ভেঙ্গে পরেছিলো আর খুব দূর্বল হয়ে পরে তাই ডক্টর ফারহা কে কিছু ভিটামিনের ঔষধ দেয় আর সেটা ফারহা সাথে নিয়ে আসে ……

মেঘ ফারহা কে কোল থেকে উঠিয়ে চেয়ারে বসিয়ে দিয়ে মেঘ রুমে চলে যায় ফারহার মেডেসিন নিতে সে সুযোগে ফারহা কমর থেকে কাগজে মোড়া একটা মেডেসিন বের করে মেঘের ফ্রুট জুসে মিশিয়ে দিয়ে চুপচাপ বসে স্যালাট খেতে থাকে ফারহা ৷ মেঘ কিছুক্ষন পর ফারহার মেডেসিন নিয়ে নিচে এসে নিজ হাতে ফারহা কে মেডেসিন খাইয়ে দিয়ে আবার কোলে করে রুমে বেডে শুইয়ে দিয়ে কপালে আলতো করে চুমু দেয়….

জানপাখি এটা আমার অফিসের যাওয়ার আগের মিষ্টি তোমাকে দিলাম আজ হয়তো তুমি এই মিষ্টি আমাকে দিবে না কিন্তু কাল থেকে তোমাকে দিতে হবে নয়তো ….(চোখ মেরে দিয়ে মেঘ হাসতে হাসতে বেরিয়ে যায় অফিসের উদ্দ্যেশ্য )

যাও মেঘ অফিসে যাও আজ তোমার জন্য বিশাল এক সারপ্রাইজ অপেক্ষা করছে শুধু দেখে যাবে কিন্তু কিছু করতে পারবে না (কথাটা বলে ফারহা এক রহস্যময় হাসি দিয়ে বেড থেকে উঠে পরলো )
!
!
!
!
!
!
আপনি আপনি কে ..?? আর না বলে আমার কেবিে ঢুকার পারমিশন কে দিয়েছে আপনাকে ..??(রেগে বলতে থাকলো মেঘ)

নাহ মানে স্যার আমি আপনার ড্যাড মানে আরহান চৌধুরীর পিএ….

কি যাতা বলছেন ড্যাডের পিএ আপনি কেনো হবেন এমজাত তো ড্যাডের পিএ …(মেঘ)

মেঘ লাগাতার আরহান চৌধুরীর নতুন পিএ নেহাল কে কোশ্চেন করতে থাকে নেহাল এতো কোশ্চেনের উওর না দিয়ে হুট কে আরহান চৌধুরী কে কল দিয়ে মেঘের দিকে ফোন টা বারিয়ে দেয়……

হ্যালো ড্যাড তুমি..!!!
স্টপ মেঘ নেহাল আমার নিউ পিএ আগের যে পিএ ছিলো তাকে স্যাককরে দিয়ে একে রেখেছি তোমার প্রশ্ন করা শেষ হয়ে গেলে নেহালের কাছ থেকে সব টা বুঝে নিয়ে মিটিং টা কম্পিলিট করো ওকে…..(আরহান চৌধুরী)

ইয়াহ ড্যাড , কলটা ডিসকানেক্ট হলে ফোন টা নেহালের হাতে দেয় মেঘ…

প্লিজ সিট ডাউন …( মেঘ)

থ্যাংক্স স্যার , স্যার এই ফাইলে পুরো ডিটেইলস দেওয়া আছে প্রোডাক্টের বিষয় আপনি একবার দেখে নিলে সব টা ক্লিয়ার হয়ে যাবে….(নেহাল)

মেঘ ফাইল দেখে নেহাল কে বলে..

মিস্টার নেহাল আমার কম্পানির এই প্রডাক্ট গুলো কোয়ালিটি আর একটু বাড়াতে হবে সাথে প্রাইজ টা কমাতে হবে তাহলে এই প্রোজেক্ট টা আমাদের দিতে পারে ফরইনার …(মেঘ)

একচুয়ালি স্যার আমি ও বড় স্যার কে এটা বলতে চেয়েছিলাম কিন্তু উনাকে বলতে পারি নি…(নেহাল)

নো প্রব্লেম আপনি মার্ক করা জায়গা গুলো ঠিক করে নিন.বাকিটা আমি দেখছি..(মেঘ)

ওকে স্যার ৷ পাচ মিনিট পর মিটিং শুরু হবে আপনি প্লিজ আসুন…

মেঘ চেয়ার থেকে উঠতে যাবে ঠিক তখনি মেঘের মাথাটা ঘুরতে লাগলো মেঘ আবার চেয়ারে বসে পরে….

কি হচ্ছে টা কি আমার এরকম লাগছে কেনো ,,,,মেঘের বেশ অসস্থি হচ্ছে গলার টাই টা আলগা করে ব্লাজার খুলে ফেলে সার্টের সামনের বোতাম গুলো কয়েকটা খুলে দেয় ,ইতো মধ্যে নেহাল আবার ও এসে মেঘ কে মিটিংয়ে যাওয়ার জন্য তারা দিতে লাগলো মেঘ এমন ভাবে হেটে হল রুমের দিকে এগোতে লাগলো যে কোন লোক দেখলে ভাববে মেঘ নেশা করেছে ৷ অফিসের সব স্টাফরা অবাক হয়ে মেঘের দিকে তাকিয়ে রইল মেঘ সে দিকে নজর না দিয়ে হল রুমে ঢুকে পরলো …..

– হ্যালো মিস্টার চৌধুরী (হ্যান্ডশেক করার জন্য হাত বাড়িয়ে দিয়ে বললো জ্যাক)

– হ্যালো মিস্টার জ্যাক হাউ আর ইউ ..(হ্যান্ডশেক করে)

– ইয়াহ আ’ম ফাইন বাট আর ইউ ওকে..??(জ্যাক)

– ইয়াহ আ’ম ওকে নাও মিটিং টা শুরু করা যাক..??(মেঘ)

– ইয়াহ শিওর প্লিজ ক্যারি অন….

মেঘ কথা বলতে বলতে এম ডির চেয়ারে বসতে যাবে ঠিক তখনি নেহাল মেঘ কে থামিয়ে দিয়ে বললো….

সরি স্যার আপনি এই চেয়ারে বসতে পারবেন না আপনি অন্য চেয়ারে বসুন….(নেহাল)

মেঘ নেহালের কথা শুনে বেশ রেগে যায় নেহালের উপর চেচিয়ে ওঠে …

হাউ ডেয়ার ইউ নেহাল আমাকে এখানে বসতে না দেওয়ার তুমি কে ..?? তুমি জানো না আমি এ কম্পানির এম ডি..??? আমি এখুনি তোমার চাকরি টা কেড়ে নিতে পারি এটা কি তুমি জানো না..??(মেঘ)

আ’ম সরি স্যার আপনি এটা করতে পারেন তা আমি জানি তবে আমি এম ডির কথা কি করে অমান্য করবো…(নেহাল)

এম ডি মানে আমি তো এ কম্পানির এম ডি …(মেঘ)

নো স্যার আজ নতুন এম ডি অফিসে আসবে আর এই চেয়ার টা ওনার জন্য…

ওহ রেইলি তাহলে তো এই নিউ এম ডি কে দেখতে হয় কোথায় আপনার নিউ এম ডি ডাকুন ওনাকে…(মেঘ)

আমাকে ডাকতে হবে না মেঘ আমি নিজে চলে এসেছি …….

মেঘ দরজার দিকে তাকিয়ে যেনো আকাশ থেকে পড়লো সাথে সাথে রুমে থাকা বাকি লোক রা দারিয়ে সন্মান জানাতে লাগলো ………………
*
*
*
*
*
#চলবে………… 🖤 ……. 🖤…….. 🖤 …….

#StayHome #StaySafe

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here