হিংস্র_ভালোবাসা #Writter_Farhana_Chobi #পর্ব-৫

#হিংস্র_ভালোবাসা
#Writter_Farhana_Chobi
#পর্ব-৫
.
.
.
.
আসলাম তোকে যা বললাম তুই তাই কর বাকি টা আমি সামলে নিচ্ছি…….(মেঘ)
ওকে বস কাজ হয়ে যাবে..(আসলাম)

আসলাম মেঘ কে ক্লাবে রেখে জি কে ক্লাবে যাওয়ার জন্য গাড়ি নিয়ে বের হতেই মেঘের অন্য একজন গার্ড আসলামের পিছু নেয় মেঘের নির্দেশে আসলাম কিছু দুর যেতেই সাইড মিররে চোখ পড়তে দেখে অন্য একটা গাড়ি অনেকক্ষন ধরে ওকে ফলো করছে আসলামের বুজতে আর বাকি রইল না যে এরা মেঘের লোক আর মেঘ ওকে সন্ধেহ করছে আসলাম গাড়ি ইউ ট্রান নিয়ে অন্য চিপা রাস্তা ধরে এদিকে মেঘের অন্য গার্ড আসলামের গাড়ি খুজে না পেয়ে আবার ক্লাবে ফিরে আসে ……

– What ……প্রচন্ড রেগে চেচিয়ে ওঠে মেঘ ..
-সরি বস ইটস মাই মিসটেক প্লিজ ফরগিভ মি (মাথা নিচু করে বললো গার্ড)

গার্ডের কথা শুনে মেঘ খুব জোড়ে হেসে উঠলো তা দেখে অন্যান্য গার্ড রাও ভয়ে কাপঁছে তারা মেঘ কে খুব ভালো করেই চিনে রেগে গেলে মেঘ কি কি করতে পারে ,,,,হঠাৎ করেই মেঘ হাসি বন্ধ করে গান গার্ডের দিকর তাক করে শুট করে দিলো আচমকা এমন ঘটনার জন্য গার্ড রা থমকে গেলো মেঘ আগুন চোখে গার্ডদের দিকে তাকাতেই গার্ড রা ডেড বডি টা কে সরিয়ে নেয় এদিকে মেঘ ওয়াইন খেতে খেতে ভাবতে লাগলো আসলামের গতি বিধি …………..
.
.
.
.
.
ফারহা…(মিসেস মোহনা)

তুমি এখন কিছু বলবে..???(ফারহা)

হুম বলবো বলে তোর কাছে এসেছি আমি তা আমার জন্য তোর কি সময় হবে …(মিসেস মোহনা)

দেখো মা যা বলার আছে তা ক্লিয়ার করে বলো আমি তোমার ঘুড়িয়ে বলা কথা বুঝি না ,,ক্ষানিকটা বিরক্তি নিয়ে জানতে চাইলো ফারহা..

ফারহা তুই আমাদের একমাএ মেয়ে খুব আদর ভালোবাসা দিয়ে তোকে বড় করেছি তোর যদি কোন কষ্ট হয় তুই কোন কারনে অসুখী থাকিস তাহলে কি আমরা ভালো থাকবো ..??

এই সব কথা এখন উঠছে কেনো মা ..!!!(ফারহা)

ফারহা আমি যা প্রশ্ন করলাম তার উওর দে ..??

ওকে মা বলছি হ্যা তোমরা ভালো থাকবে না আমি ভালো না থাকলে তবে মা এটাও ঠিক আমি এখন বিয়ে করতে পারবো না তুমি বাবা কে প্লিজ বুঝিয়ে বলো ….(ফারহা)

ব্যাস অনেক বলেছো তুমি এবার থামো…ফারহা এবার খানিকটা ভোরকে গেলো কারন মিসেস মোহনা নরমালি কথা বলার সময় সব সময় তুই বলে কিন্তু রেগে গেলে তুই বলে না তুমি বলে তাতেই বোঝা যায় পরিবেশ শান্ত আছে নাকি অশান্ত,,,,,,

মা তুমি ঠিক কি বলার জন্য এসেছো এটা ক্লিয়ার করে বলো..??

তোর বাবা যা চায় আমিও তাই চাই …

ওহ বুজলাম তার মানে তুমি ও চাও আমি আগুন কে বিয়ে করি তাই তো..??

আমাদের চাওয়াটা কি ভুল ফারহা..??নাকি অনর্থক কোন টা??(মিসেস মোহনা)

উফফ এরা আমাকে পাগল না করে ছাড়বে না এখন হ্যা বলে দি আগুন দেশে ফিরলে না হয় অন্য কোন ব্যাবস্তা করা যাবে……..ওকে ঠিক আছে তোমরা ভালো মনে করবে আমি তাই করবো এবার হ্যাপি..??

ফারহার কথা শুনে মিসেস মোহনা হাফ ছেড়ে বাচলো কারন মেঘ কে খুব ভালো করেই চেনে মিসেস মোহনা আর যাই হোক কোন বাবা মা চাইবে না তাদের মেয়ে কে কোন সাইকো পাগলের হাতে তুলে দিতে …..

মা আমি একটু তিন্নিদের বাড়ি থেকে আসছি দেরি হলে তুমি আবার টেনশন করো না কথা শেষ করেই ফারহা পার্স নিয়ে বেরিয়ে পরে তিন্নিদের বাসার উদ্দেশ্য নয় কিছু ইনফরমশন কালেক্ট করার জন্য আর তিন্নি,তিন্নি হলো ফারহার ছোট বেলার বন্ধু ফারহা বিপদে আপদে সব সময় এই তিন্নি উপস্থিত থেকে ফারহা কে সামলাতো কিন্তু ফারহার জীবনে একটা ছোট ভূলের জন্য তিন্নি আজ অন্ধ হয়ে গেছে তিন্নি কখনো ওর অন্ধ হওয়ার কারন হিসেবে ফারহা কে দ্বায়ী করে নি তবে ফারহা নিজেকে সব কিছুর জন্য দ্বায়ি ভাবে যার জন্য ফারহা তিন্নি কে সুস্থ করার জন্য একের পর এক ডক্টরের সাথে কথা বলে যাচ্ছে কিন্তু কোন ভাবেই তিন্নির চোখ ভালো করার উপায় বলতে পারছে না ডক্টর ,,ডক্টরদের এক কথা চোখের ভিতরের নার্ভ গুলো এতো মারাত্মক ভাবে জখম হয়েছে যে ওগুলো ঠিক না হওয়া পর্যন্ত তিন্নির চোখের অপারেশন হওয়া সম্ভব নয়……..

হ্যালো আগুন আমি ঠিক জায়গায় এসেছি বাট তোমার লোক দের তো দেখতে পাচ্ছি না ..??(ফারহা)

বেবি আমার লোকেরা অলরেডি তোমার কাছে পৌছে গেছে তুমি ওদের সাথে গেলে সব ইনফরমেশন পেয়ে যাবে …(আগুন)

ওহ থ্যাংকস আগুন..(ফারহা)

ওয়েলকাম ডিয়ার কোন প্রব্লেম হলে আমাকে কল করো..(আগুন)

ফারহা আগুনের কল ডিসকানেক্ট করে সামনে তাকাতে দেখে কালো সুট বুট পরা পাচঁ জন লোক কিন্তু ভাবার বিষয় হলো এই রাতের বেলাও এই লোক গুলো কালো সানগ্লাস পরে আছে আচ্ছা এরা কি অন্ধ ..??একমাত্র অন্ধ লোকেরাই রাত দিন চব্বিস ঘন্টা চোখে কালো চশমা পরে থাকে আর আগুন শেষে কিনা অন্ধ লোকদের সাথে দেখা করতে পাঠালো যারা কিনা নিজেরাই চোখে দেখে না .!!ফারহার বেশ রাগ হতে থাকলো লোক গুলো কে কিছে বলতে যাবে ঠিক তখনি লোক দের ভিতর একজন মুখে কি একটা এক্সপ্রে করলো ফারহা সাথে সাথে বেহুশ হয়ে নিচে পরে গেলো ,,লোক গুলো ফারহা কে খুব সাবধানে গাড়িতে তুলে নিয়ে চলে গেলো…..
.
.
.
.
.
দেখুন স্যার আপনি আমার বসের বাবা আপনাকে আমি রেসপেক্ট করি বাট এটা আমার ধারা করা সম্ভব নয় অলরেডি বস আমাকে সন্ধেহ করা শুরু করে দিয়েছে আমি চাই না বসের সাথে বিশ্বাস ঘাতকতা করতে প্লিজ আমাকে ক্ষমা করুন আমি আসি ,,,,,

আসলাম চেয়ার থেকে উঠে চলে যাবে ঠিক তখনি আসলাম টের পেলো কেউ একজন আসলামের হাত টা ধরে আছে আসলাম ঘুরে তাকিয়ে দেখে মিহু…!!!!!

ম্যাম আপনি ..!! আপনি আমার হাত ধরে আছেন কেনো ছাড়ুন প্লিজ স্যার এখানে বসা …মিহু আসলামের কথার কোন তোয়াক্কা না করে এক টান দিয়ে চেয়ারে আবার বসিয়ে দিয়ে ওয়েটার কে সফ্ট ড্রিং ওডার্র করে আসলামের দিকে তাকালো..

তো মিস্টার আসলাম কি যেনো বলছিলেন ড্যাড কে ..? আপনি বসের সাথে বিশ্বাস ঘাতকতা করতে পারবেন না রাইট..??(মিহু)

ইয়েস ম্যাম আপনি যা শুনেছেন একদম ঠিক শুনতে পেয়েছেন আমি বেচে থাকতে কখনো বসের সাথে গাদ্দারি করতে পারবো না তার থেকে বরং আমি নিজে মরে যাবো ….(আসলাম)

আপনাকে মরতে হবে না মিস্টার আসলাম আপনার বস আপনাকে নিজের হাতে খুন করবে ….(মিহু)

মিহুর কথা শুনে আসলামর মাথা যেনো ছত্রিশ এঙ্গেলে ঘুরতে লাগলো

কি,,,কি বলছেন কি ম্যাম এটা কখনো পসিবেল না…(আসলাম খানিকটা ঘাবড়ে গিয়ে বললো টা দেখে মিহু তার সুযোগ নিলো)

পসিবেল সেটা আপনি খুব ভালো করেই জানেন কজ ভাই মানুষিক ভাবে সুস্হ নয় আর না ভাই কে কোন প্রকার চিকিৎসা দেওয়া যাচ্ছে ওহ আপনাকে বলে রাখি আজ সন্ধায় যখন আপনি গাড়ি নিয়ে বের হন তার কিছুক্ষণ পর ভাই তার লোকদের দিয়ে আপনার পিছু নেওয়ায় আপনি বেপার টা বুজতে পেরে ইউ ট্রান নিয়ে অন্য রোডে ঢুকে পরেন তারপর কি হয়েছে যানেন আপনি..???

আসলাম অবাক হয়ে যায় মিহুর কথা শুনে কি বলবে ভেবে না পেয়ে মিহুর কথার প্রতি উওরে মাথা নারিয়ে না জানার সম্মতি জানালো মিহু ব্যাগ থেকে ট্যাব বের করে একটা ভিডিও অন করে আসলামের হাতে দিলো ভিডিও টা দেখে আসলামের মাথায় যেনো আকাশ ভেঙ্গে পড়লো ট্যাব টা মিহুর হাতে দিয়ে মিস্টার আরহান চৌধুরীর দিকে তাকিয়ে বললো ,,,,স্যার আমি রাজি আপনি যা বলবেন আমি তাই করবো এতে যদি বস সুস্থ হয়ে একজন সাধারন মানুষের মতো জীবন লিড করতে পারে তো আমার থেকে বেশি খুশি কেউ হবে না ……

আরহান চৌধুরী তার মেয়ে মিহুর দিকে তাকিয়ে মিষ্টি একটা হাসি দিয়ে আসলাম কে বললো,,,আসলাম তোমাকে কি করতে হবে তা আজ থেকে মিহু তোমাকে বলে দিবে মনে করো আমার জায়গায় মিহু পক্সি দিবে অলরাইট..!!

ইয়েস স্যার ..(আসলাম)

তাহলে মিহু আসলাম কে সব টা বুঝিয়ে দেও ওকে কি করতে হবে আমি যাচ্ছি মেডেসিন নেওয়ার সময় হয়ে গেছে ,,

ইয়েস ড্যাড এদিক টা আমি সামলে নিচ্ছি তুমি বাড়িতে যাও ….(মিহু)

আরহান চৌধুরী চলে যেতেই মিহু আসলাম কে বলে উঠলো ,,,তাহলে মিস্টার আসলাম শুরু করা যাক….
.
.
.
.
.
বস রুম রেডি আপনি যেমন টা বলেছিলেন তেমন টাই করে সাজানো হয়েছে তবে……তবে কথা টা শুনে তেলে বেগুনে জ্বলে উঠলো মেঘ ,,

তবে কি ..???
বস ম্যামের এখনো জ্ঞান ফিরে নি …কথাটা শুনে মেঘ বাকা হেসে বললো ,,,,আমি তো এটাই চাই আমার জানপাখির এখন জ্ঞান না ফিরে জ্ঞান ফিরলে হইতো তোরা কেউ এখনো বেচে থাকতি না ….কথাটা বলেই মেঘ হাসতে হাসতে চলে গেলো কিন্তু গার্ড এখনো ওখানেই হতবম্ব হয়ে দারিয়ে আছে মেঘ কি বলে গেলো তার মানে এখনো গার্ড বুজতে পারলো না ……………..
.
.
.
.
.
অনেকে মেঘ ফারহার অতিত জানার জন্য খুব আগ্রহী হয়ে আছেন তাদের বলছি আগামি কাল থেকে মেঘ ফারহার অতিতে ফেরা হবে তাই সকলে একটু ধর্য্য ধরবেন সেই সময় পর্যন্ত…

#চলবে……………..💔💔💔

((ভূলট্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন আর ভালো না লাগলে প্লিজ ইগনোর করুন))

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here