#হিংস্র_ভালোবাসা
#Writter_Farhana_Chobi
#পর্ব-৬
.
.
.
.
ফারহা কে যে রুমে রাখা হয়েছিলো মেঘ সেই রুমে গিয়ে দরজা বন্ধ করে দেয় ফারহা এখনো সে ভাবেই অজ্ঞান হয়ে আছে মেঘ ফারহা জ্ঞান ফিরানোর বিন্দু মাত্র চেষ্টা করলো না বরং ফারহা কে নিজের বাহুদ্বয়ের মাঝে আষ্টে পৃষ্ঠে জরিয়ে ধরে ফারহার ঠোটে আলতো করে চুমু দিয়ে ভাবতে থাকে পাচঁ বছর আগে ঘটে যাওয়া অতীত যেটা এক মূহর্তে সব ধংস করে দিলো অনেক গুলো জীবন ……
…………পাচঁ বছর আগে………………..
তিন্নি চল না ফুচকা খেয়ে আসি দেখ ওই ফুচকা গুলো কি ভাবে আমার দিকে ড্যাপ ড্যাপ করে তাকিয়ে আছে …(ফারহা)
লাইক সিরিয়াসলি ফারু ফুচকা গুলো তোর দিকে ড্যাপ ড্যাপ করে তাকিয়ে আছে …(চোখ বড় করে তাকিয়ে ফারহা কে জ্বিগাসা করলো তিন্নি)
তোর কি মনে হয় আমি মিথ্যে বলছি .!! (ফারহা)
না না তা হতে যাবে কেনো বল তুই আর মিথ্যে কখন বলতে পারিস বল চল ওই ফুচকা গুলোর একটা ব্যাবস্থা করে আসি কতোবরো সাহস আমার বেস্টু কে এভাবে ওরা ড্যাব ড্যাব করে তাকিয়ে দেখছে…..আমি জানি তো ম্যাডামের এখন ফুচকা খেতে ইচ্ছে করছে তাই এতো কাহিনি (মনে মনে )
উফফ এই না আমার বেস্টু গালে কিসি দিয়ে …(ফারহা)
ফারু তবে দেরি করবি না জানিস তো একটু পর ক্লাস আছে তাও ওই খরুস স্যারের ..(তিন্নি)
ওকে চল এখন…..ফারহা তিন্নি ফুচকা খাওয়ার জন্য তারা হুরা করে গাড়ি না দেখে রাস্তা পার করতে যায় তখনি কেউ একজন খুব জোড়ে গাড়ির ব্রেক মারে কিন্তু গাড়িটা ফারহার খুব কাছে এসে পরায় গাড়ির ধাক্কায় ফারহা দুরে ছিটকে পড়ে তিন্নি কিছুটা ব্যাথা পায় তবে ফারহার মতো না ,,ফারহা পা কেটে যায় আর হাতের অনেক টা অংশের চামড়া ছিলে যায় তিন্নি ফারহার কাছে দৌড়ে এসে ফারহা কে ধরে হসপিটালের নেওয়ার চেষ্টা করে কিন্তু পায়ে ব্যাথার জন্য ফারহা দারাতে চেয়ে ও দারাতে পারলো না ঠিক তখনি তারের খাম্বার মতো ফারহা কে কোলে তুলে নিয়ে গাড়ির দিকে হাটা শুরু করে ফারহা প্রথমে চেচাতে চেয়েও চেচালো না ….
ওহ মাই গড হু ইজ গাই দেখলে মনে হবে ফরইনার এ দেশের না দুধ সাদা গায়ের রং চোখের মনি গাড় নীল চোখের পাপড়ি দেখলে যে কোন মেয়ে হিংসে করবে কারন এতো ঘনো কালো বড় বড় চোখের পাপড়ি চোখ দুটোর সৌন্দর্য যেনো দ্বিগুন বারিয়ে দিয়েছে সিল্কি চুল গুলো বাতাসের সাথে দোল খেতে খেতে কপাল ছুয়ে যাচ্ছে বার বার লোকটির চুল থেকে চোখ সরাতেই লোকটির ঠোটের দিকে ফারহার চোখ আটকে যায় টকটকে লাল ঠোট ইচ্ছে করছে এখুনি খেয়ে ফেলি কিন্তু না তা ফারহা করতে পারবে না কি করা যায় ……
প্রথম দেখায় ফারহা ঠিক বড় সর ক্রাস খেয়ে বসে তিন্নি ফারহার অবস্তা বুঝে মুখে পানির ছিটে দিতেই ফারহার ধ্যান ভাঙ্গে ….What the …কি করছিস কি তিন্নি মখে পানির ছিটে দিচ্ছিস কেনো..???
রেগে বলতে থাকলো ফারহা কিন্তু ফারহার কথা শেষ হতেই পাশ থেকে লোক টি বলে উঠলো ,,, আমি বলছি মিস…
ফারহা এবার বেশ অবাক হয় পাশে লোক টিকে দেখে ইসস এতোক্ষন তো ও এই লোক টিকে তাকিয়ে দেখছিলাম কি লজ্জা ,,,
তো মিস আমাকে যদি আপনার দেখা শেষ হয় তো আপনাকে হসপিটালে নিয়ে যেতে পারি কি ….???
ফারহা এবার লজ্জায় লাল হয়ে গেলো নিজে নিজেকে ধিক্কার দিচ্ছে ..
ছিঃ ফারহা ছিঃ তুই এতোটা লুচু কবে থেকে হলি এভাবে একটা অজানা লোক কে ড্যাব ড্যাব করে এতোক্ষন তাকিয়ে ছিলি….লজ্জায় মাথা নিচু করে ফেলে ফারহা ,তিন্নি বেশ অবাক হয় এটা বেভে ফারহা লজ্জা পাচ্ছে যে মেয়ে সব সময় অন্য কে লজ্জা দেয় টিস করে সে মেয়ে আজ একটা ছেলের জন্য লজ্জায় লাল হয়ে যাচ্ছে আবার মাথা নিচু করছে ভাবা যায় এগুলা …
এক্সকিউজ মিস্টার উই আর রেইলি সরি আমাদের ভূল এভাবে না দেখে রাস্তা পাড় হওয়ায় আপনার গাড়ির সামনে এসে পড়লাম …!(তিন্নি)
এই তিন্নি তুই চুপ কর আর যে নেংটি ধলা ইদুর আপনি দেখে গাড়ি চালাতে পারেন না আর একটু হলে আমরা দুজন অক্কা পেয়ে যেতাম .,,,
What…What did you say …ধলা ইদুর ইয়াক হাউ ডেয়ার ইউ তোমার সাহস কি করে হয় ইনড্রাষ্ট্রিয়াল মেঘ চৌধুরি কে এই সব বলার ..??(প্রচন্ড রেগে কথা গুলো বলতে লাগলো মেঘ)
ওহ তার মানে আপনি মেঘ চৌধুরি বিজনেস ম্যান মেঘ চৌধুরি কথাটা বলে মনে হয় ফারহা নিজে বোকা বনে গেলো কারন বি ডি তে বিজনেস পজিসনে প্রথম রাংকে আছে M C গ্রপ এন্ড কোম্পানি যার সি ই ও মেঘ চৌধুরি ফারহা বিজনেস সম্পকে না জানলে ও মেঘ চৌধুরি কে সবাই চিনে কারন বি ডি তে এই প্রথম যে মাত্র ২৩ বছর বয়সে এমন এচিপমেন্ট করে দেখিয়েছে দেশে বিদেশে প্রত্যেক টা মেয়ের ক্রাশ মেঘ চৌধুরি তবে আজ ফারহা ও ক্রাশ খেয়েছে মেঘের উপর …
ওহ আপনি সেই মেঘ চৌধুরি যার জন্য আমার ছোট বোন টা দিন রাত আপনার কথা বলে আমার মাথা খারাপ করে …( কথা ঘুরাতে)
মেঘ এতোক্ষন ফারহা কে পুরো স্কান করছিলো এক মুহূর্তের জন্য মেঘের চোখ ফারহার উপর থেকে সরে নি বরং ফারহার ঠোটের নিচে কালো তিল টার দিকে একদৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে ফারহা মেঘের সামনে তুরি বাজাতে মেঘ যেনো অন্য রাজ্য থেকে মাত্র নেমে আসলো এমন অবস্তা মেঘ ফারহার কথা কানে না নিয়ে গাড়ির উপরে থেকে ফারহা কে কোলে নিয়ে গাড়িতে বসিয়ে দিয়ে সোজা হসপিটালে নিয়ে যায় মেঘ ……
.
.
.
মিস্টার চৌধুরি সি এ্যাবসুলোটলি ওকে মেডেসিন দিয়ে দিচ্ছে টাইমলি সব টা মেডেসিন গুলো খেলে খুব তারাতারি উনি সুস্হ হয়ে উঠবেন ….(ডক্টর)
থ্যাংকস ডক্টর….মেঘ ডক্টরের সাথে কথা বলে ফারহা কে দেখার জন্য কেবিনে ডুকতেই দেখে কেবিন ফাকা কেউ নেই মেঘ রেগে নার্সের কাছে জানতে চায় …
কেবিনে যে মেয়েটি ছিলো তিনি কোথায় আর কেবিন ফাকা কেনো ..??(মেঘ)
মেঘের রাগ দেখে নার্স ভয়ে ভয়ে বলে উঠলো ,,,স্যার আমি অনেক বার ম্যাম কে বলেছিলাম রেস্ট করতে কিন্তু উনি আমার কথা শুনলেন না ওনার বন্ধু কে নিয়ে চলে গেলেন আর এই টা আপনাকে দিতে বললো(চির কুট)
মেঘ চিরকুট হাতে নিয়ে হসপিটাল থেকে বেরিয়ে এসে সোজা নদীর পাড়ে চলে আসে গাড়ি থেকে নেমে নদীর সামনে দারিয়ে চিরকুট টা বের করে পরতে লাগলো ,,,
“Sorry মিস্টার মেঘ চৌধুরি এভাবে না বলে আসার জন্য”
মেঘের কেনো যেনো খুব রাগ লাগছে কি জন্য তা মেঘ বুজতে পারছে না বার বার শুধু ফারহার মুখ টা ওর সামনে ভেষে উঠছে,,,,
ড্যাম ইট এই মেয়েটার মুখ কেনো বার বার আমার চোখের সামনে ভাসছে .? মাত্র কিছুক্ষনের পরিচয়ে মেয়েটা কে নিয়ে এতো ভাবছি কেনো..?? মেয়েটার সম্পর্কে কিছু জানি তারপর ও কেনো বার বার মেয়েটার কথা মনে পরছে..???
মেঘের মাথা টা হঠাৎ করেই ঝিম ঝিম করতে লাগলো মেঘ পকেট থেকে একটা ঔষধের পাতা বের করে গাড়ি থেকে পানির বোতল নয়ে একটা ঔষধ খেয়ে নিলো মেঘ তারপর কিছুক্ষণ ওখানে বসে রইল মেঘ…..
.
.
.
.
.
ফারু কাজ টা তুই একদমি ঠিক করিস নি ছেলে টা এতো করলো তোর জন্য আর তুই কি না একটা চিরকুট রেখে আসলি বলে ও আসলি না .!(তিন্নি)
দেখ তিন্নি তুই এখন বক বক করে মাথা খাস না আমার তুই ভালো করেই জানিস কেনো আমি ওভাবে হসপিটাল থেকে চলে এলাম …(ফারহা)
হু জানি আহাদের জন্য তাই তো .?? আহাদ ওই হসপিটালের ডক্টর এটা জানি কিন্তু আমি একটা কথা বুজতে পারছি না তুই আহাদ কে কেনো এতো ইমপ্রটেন্স দিচ্ছিস …??(তিন্নি)
দোস্ত তুই জানিস ফারিহা ওকে কতোটা ভালোবাসে কিন্তু এই বদমাস টা আমার পিছুনে লেগে আছে আমি চাইলে দু মিনিটে এই আহাদ কে সোজা করে দিতে পারি কিন্তু আমার ওই গাম্বাট ছোট বোন টার জন্য পারছি না মেয়েটা এই আহাদ বলতে পাগল …(ফারহা)
আঙ্কেল আন্টি বা কেনো এটা এলাউ করছে..??(তিন্নি)
জানি না কেনো করছে তবে একটা কথা যেনে রাখিস এই ছেলেটা কে না আমি বিয়ে করবো না ফারিহা কে করতে দিবো ..!
যেটা ভালো মনে করিস কর ,,মামা সামনে রাখবেন আমি এখানে নামবো ..(তিন্নি)
তিন্নি আমি আজ পার্স টা বাড়িতে রেখে এসেছি তুই রিকসা ওয়ালা মামা কে ভাড়া টা দিয়ে দে …(ফারহা)
ওকে বাট এটার সুদ তুই দিবি সুস্হ হওয়ার পর..?
ওকে ডান , আসি ,মামা চলেন ,,,
লোকটার কি এটিটিউড কি যেনো নাম ও হ্যা মনে পরেছে মেঘ চৌধুরি ,বেশ হ্যান্ডসাম আছে বলতে হবে আজ ব্লাক ওয়াই শার্ট পরে না পুরো হিরো হিরো লাগছিলো আর কি লম্বা বাবা পুরো তারের খাম্বা উহু আমি ও তো কম লম্বা না পুরো ৫’৫” দেখতে ও মাশাআল্লাহ 😌
এমা আমি কেনো এই সব ভাবছি ধুর একটা সামান্য এক্সিডেন্টে মাথার তার গুলো ছিড়ে গেলো নাকি ..??
ফারহার ভাবনায় পানি ঢেলে দিয়ে রিকসা ওয়ালা মামা বলতে লাগলো…
আফা আমনে ঠিক আছেন তো ..??(রিকশা ওয়ালা)
ফারহা থতোমতো খেয়ে বললো,,,আ ..আমার আবার কি হবে আপনি সামনে তাকিয়ে রিকসা চালান…(ফারহা)
আফা আমনের বলা ঠিকানায় তো সেই কহন আইসসা পড়ছি আমনেরে ডাকতাছি কিন্তু আপনি সেই কখন থেকে ভেবেই যাচ্ছেন…..(রিকসা ওয়ালা)
রিকসাওয়ালা মামার কথা শুনে ফারহা বেশ লজ্জা পেলো আসতে আসতে রিকসা থেকে নেমে বাড়ির দিকে চলে গেলো ফারহা…..
.
.
.
.
জ্বি বস আপনার কথা মতো কলেজের সামনের সি সি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে মেয়েটার ছবি প্রিন্ট করে নিয়েছি আগামি দুঘন্টার মধ্যে সব ইনফরমেশন আপনাকে দিচ্ছি ……
ওকে বাট একটা মেয়ের নয় ওই দুইটা মেয়ের পুরো ইনফরমেশন চাই আমার…(মেঘ)
ওকে বস হয়ে যাবে ………….
.
.
.
.
#চলবে………… 🍁🍁🍁