হিমি পর্ব-১৬

0
1020

হিমি
লেখনী- সৈয়দা প্রীতি নাহার

১৬.

‘দোষ আমার মায়ের‌ও ছিলো না। উনি ভুল বুঝেই কথাগুলো বলে ফেলেছিলেন। তাই ওনার হয়ে ক্ষমা চাইছি। কেউ ক্ষমা চাইছে তাকে ক্ষমা করে দিতে হয়।’

‘আমি মহান ন‌ই ডাক্তার। সবাইকে ক্ষমা করতে পারি না। তবে আপনাকে ক্ষমা করে দিলাম। কারন সেদিনকার সব কথা খেয়াল নেই আমার।’

হিমির কথায় তাহির ভ্রু কুঁচকালো। হিমি একমনে চাঁদকে দেখছে। পাশেই যে কেউ একজন দাঁড়িয়ে তার চেহারায় চোখ দুটো নিরন্তর ছুটিয়ে চলছে সেসবের হুশ নেই হিমির। বেশ অনেকক্ষন নিরবতায় কাটানোর পর তাহির সোহিনীর কথা জিজ্ঞেস করলো। হিমি শান্ত গলায় বললো,

‘ও ভালো আছে। হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফেরার দুদিনের মাথাতেই ফিট একদম!’

তাহির মাথা ঝাঁকালো। কৌতুহলী গলায় বললো,

‘এতো রাতে এখানে কি করছেন? কোনো সমস্যা?’

হিমি চাঁদের দিকে স্থির দৃষ্টি রেখে জবাব দিলো,

‘সমস্যা তো সবখানেই। কোনটা ছেড়ে কোনটার কথা বলি?’

‘বুঝলাম না।’

‘কিছু না। আপনি বাড়ি যান ডাক্তার।’

তাহির অস্বস্তি নিয়ে বললো,

‘আমার নাম তাহির মাহমুদ। ডাকতে হলে নাম ধরে ডাকুন। আর নাহলে ডাক্তার তাহির। শুধু ডাক্তার শুনতে অক‌ওয়ার্ড লাগছে।’

হিমি এবার চোখ ফেরালো তাহিরের দিকে। তাহিরকে আগাগোড়া দেখে নিয়ে বললো,

‘সবাই আপনাকে কি বলে ডাকে?’

‘কোন সবাই?’

‘পেশেন্ট!’

‘ডাক্তার সাহেব, ডাক্তার বাবু, ডক্টর। এসব‌ই। কেনো?’

‘ইংরেজিতে ডক্টর ডাক শুনলে অসুবিধা হয় না আর বাংলায় ডাক্তার শুনতে অক‌ওয়ার্ড লাগে?’

কথাটা বলে বাঁকা হেসে নিচে নদীর দিকে তাকালো হিমি। অন্যমনস্ক গলায় বললো,

‘কিসের ডাক্তার আপনি?’

‘চাইল্ড সাইকিয়াট্রীস্ট!’

হিমি মৃদু হেসে বললো,

‘ডান। আপনাকে আমি বাচ্চা ডাক্তার বলে ডাকবো।’

তাহির থমকে গেলো। গুরু গম্ভীর গলায় বললো,

‘কিহ! কেনো?’

‘ইচ্ছে হলো তাই ডাকবো ব্যাস। এখানে কেনো ফেনোর কোনো স্থান নেই।’

হিমি ঝুলানো পা দুটোই রেলিঙের উপর তুলে নিলো। পা ভাজ করে বসে তাহিরের মুখোমুখি হলো। তাহির আঁত্কে উঠা গলায় বললো,

‘করছেন কি? পরে যাবেন তো!’

‘পরবো না। পরলেও কিছু হবে না। রিলেক্স!’

কয়েক সেকেন্ড থেমে বললো,

‘আপনার চশমায় পাওয়ার আছে?’

তাহির মাথা উপর নিচ করলো। হিমি এক হাত বারিয়ে দিয়ে বললো,

‘আমি একটু পরবো দিবেন?’

তাহির চমকালো। অচেনা অপরিচিত একজনের সাথে কি অদ্ভুত ভাবে কথা বলছে মেয়েটি। কোনো সংকোচ নেই বাধা নেই যেনো। তাহিরকে ভাবতে দেখে ঠোঁট উল্টালো হিমি। অভিমানী গলায় বললো,

‘চশমা পরবো শুধু নিয়ে তো যাচ্ছি না। দিন না!’

তাহির চশমা খোলে এগিয়ে দিলো। হিমি চশমার কাচে ফু দিয়ে টি শার্টে মুছে চোখে দিলো। তাহিরের উদ্দেশ্যে বললো,

‘কি ঝাপসা! আপনি দেখেন কি করে?’

তাহির হাসলো। বললো,

‘আমার চোখে চশমা না থাকলে ঝাপসা লাগে। চশমা পরলে সব পরিষ্কার।’

হিমি তৎক্ষণাৎ চশমা খোলে তাহিরের চোখে লাগিয়ে দিয়ে বললো,

‘তাহলে চশমা খুলবেন না কখনো। ঝাপসা লাগলে খুব অস্বস্তি হয়। উফ!’

তাহির সন্দিহান চোখে তাকালো হিমির দিকে। হিমি দু হাতে ভাজ করা পায়ে চাপ দিয়ে বললো,

‘একটা গল্প বলবো। শুনবেন?’

তাহির জবাব দিলো না। হিমি তাহিরের জবাবের অপেক্ষা না করেই বলতে লাগলো,

‘গল্পের সূচনা হয় তেইশ বছর আগে। পারিবারিক ব্যবসা করা এক যুবক ভার্সিটি পড়ুয়া এক অসম্ভব সুন্দরী তরুণীর প্রেমে পরে। প্রেমে পাগল প্রায় যুবকের কাছে ঘেষতো না তরুণী। মাথা নুইয়ে চলাচল করতো সর্বদা। যুবক কথা বলতে চাইলেও তরুণী এড়িয়ে যেতো তাকে। রাগি গলায় কথা বলতো। তরুণীর মন গলাতে অনেক পরিশ্রম করেছিলো যুবক। শেষমেষ সে সফল হয়। তরুণীয় ভালোবেসে ফেলে তাকে। কিন্তু প্রেমের শত্রুদের জন্য তারা এক হতে চেয়েও পারে না। তরুণীর বাবা, ভাই কিছুতেই প্রেম ভালোবাসা মেনে নিবেন না। যুবকের বাবা মায়ের‌ও এক‌ই রায়। যদিও তরুণীর পরিবার টাকা ওয়ালা ছিলো তবুও যুবকের পরিবার মানতে নারাজ। তরুণীর দিকটাও এক‌ই রকম। এক সময় তরুণীকে ঘরে বন্দী করে রাখা হলো। যুবকের বাবা মাও যুবকের সাথে অন্য মেয়ের বিয়ে ঠিক করলেন। কিন্তু যুবক তখন প্রেমিকাকে ছাড়া নিজেকে কল্পনা করতে পারে না। বাধ্য হয়েই এক রাতে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায় সে। প্রেমিকাকে তার বাড়ি থেকে উদ্ধার করতে সহযোগীতা করে তাদের‌ই দুই বন্ধু। মাঝরাতে কোথাও যাওয়ার জায়গা না পেয়ে ভাড়া করা গাড়িতেই জেগে রয়। পরদিন কাজি অফিস খোলতেই রেজিস্ট্রি করে ফেলে প্রেমিক প্রেমিকা। সুন্দরী প্রেমিকার ইচ্ছে ছিলো লাল টকটকে বেনারসী পরে বিয়ে হবে তার অথচ সেই মুহুর্তে সে পরে ছিলো ফ্যাকাসে রঙচটা শাড়ি। দিনের আলোয় মালা গলায় ঝুলিয়ে বন্ধুদের থেকে বিদায় নিয়ে বাড়ির উদ্দেশ্যে র‌ওনা দিয়েছিলো তারা। ততক্ষনে দু বাড়িতে হৈ হৈ রৈ রৈ পরে গেছে। ছেলে মেয়ে দুজন‌ই নিখোঁজ! যা বুঝার বুঝে গেছেন সবাই। সবার মধ্যে তখন আগুনের লাভা ফুটছে। লজ্জায় মিশে যাচ্ছে তাদের ইজ্জত। এমন সময় প্রেমিকার বাড়িতে উপস্থিত হন সদ্য বিবাহিত স্বামী স্ত্রী। তরুণী তথা নতুন ব‌উয়ের বাবা ভণিতা না করেই চড় বসান মেয়ের গালে। মেয়ের জন্য বাড়ির দরজা বন্ধ বলে ঘোষনাও দেন। ক্রন্দন রত স্ত্রীকে বুকে জড়িয়ে বেরিয়ে আসেন স্বামী। চলেন নিজের বাহির দিকে। সেখান থেকেও অপমান করে বের করে দেয়া হয় তাদের। তেজ্য পুত্র হতে হয় ভালোবাসে বিয়ে করায়।’

হিমির কথাগুলো শুনতে শুনতে ঘোরে চলে যাচ্ছিলো তাহির। হিমি থামতেই সে সচেতন চোখে তাকালো। হিমির কথা ফুরায় নি যদিও, কিছুটা সময় থেমে আবার‌ও বললো,

‘ঝোঁকের বসে পালিয়ে যাওয়ায় সাথে কিছুই ছিলো না তাদের। তবুও প্যান্টের পকেট হাতড়ে সামান্য কিছু টাকা পেয়েছিলেন স্বামী। স্ত্রীকে নিয়ে সুরক্ষিত কোনো জায়গায় থাকতে হবে তাকে। তেজ্য পুত্র হ‌ওয়ায় এখন আর সে অফিসে গিয়ে নিজের কাজ করতে পারবে না। ছোটখাট কোনো কাজ করতে হবে। কাজ না পাওয়া অব্দি হাতের টাকাতেই চলতে হতো তাদের। বাধ্য হয়েই একটা ছোট্ট ঘরে ভাড়া থাকতে রাজি হন। সে ঘরটা ভীষন ছিপছিপে, একটা মাত্র ছোট্ট জানালা আর একটি দরজা। খাট ছিলো না সে ঘরে। মেঝেতে কাপড় বিছিয়ে শুতে হতো তাদের। কি সেই দুর্বিষহ জীবন! তবুও তারা একে অপরকে বুঝতে দেয় নি কষ্ট। এক বছরের মাথায় যখন স্ত্রী সন্তানসম্ভবা তখন‌ও একাই সব সামলেছেন স্বামী। দু পরিবারকেই খবর দেয়া হয়েছিলো। কারো মন গলে নি। প্রায় ছয় মাস পর সে স্বামীর বাবা ছেলে আর ছেলের ব‌উকে দেখতে আসেন। ছোট্ট ঘরটায় তাদের থাকা খাওয়ার অবস্থা দেখে কষ্ট পান তিনি। মন গলে যায়। নাতী নাতনী আসবে, তাদের জীবন সুখের হ‌ওয়া চাই। এই ভেবেই ছেলে আর পুত্রবধুর ঘরে প্রবেশের অনুষ্ঠান করলেন। সাজানো ঘর, সংসার সব‌ই পেলো তারা পেলো না শুধু সুখ।’

তাহিরের মোবাইলের রিংটোন বাজায় থেমে যায় হিমি। বিরক্ত চোখে তার দিকে। তাহির স্ক্রিনে মায়ের নাম্বার দেখেও ফোন উঠায় না। ফোন সাইলেন্ট করে আবার‌ও পকেটে রেখে দেয়। গলা কেশে বলে,

‘তারপর?’

‘প্রেগন্যান্সির সাত মাসের শেষের দিকে হঠাৎ‌ই লেভার পেইন শুরু হয় স্ত্রীর। স্বামী আর তার পুরো পরিবারে ভয়ে জড়সড়। এতো তাড়াতাড়ি কি করে সম্ভব? হাসপাতালে গেলে জানা যায় এক্ষুনি অপারেশন করতে হবে। বাচ্চা প্রি ম্যাচিওর হবে! সবাই রাজি। শর্ত শুধু একটা, দুজনকেই বাঁচাতে হবে। ডাক্তার অপারেশন থিয়েটারে যান। ফিরেন কোলে ফুটফুটে এক মেয়েকে নিয়ে। উদ্বিগ্ন স্বামীর দিকে তাকিয়ে মুখ ছোট করে ডাক্তার জানান স্ত্রী বেঁচে নেই। বাচ্চাকে বাঁচাতে গিয়ে মায়ের মৃত্যু হয়েছে। মুহুর্তেই থমকে যায় সব। যাকে পাওয়ার জন্য বাড়ি ঘর ছাড়লেন আজ সেই তাকে ছেড়ে পরপারে? হাউমাউ করে কাঁদা ছাড়া আর কিছুই করার ছিলো না তার। পরিবারে ছেয়ে গেলো শোকের ছায়া। নবজাতককে তার বড়মা কোলে নেন। বাচ্চার বাবা বাচ্চার মুখটাও দেখেন নি তখন। কোলে নেয়া দূরে থাক। স্ত্রীর মৃত্যুর শোক সহ করতে না পেরে তিনি অসুস্থ হয়ে পারেন। নিজেকে সামলানোর আশায় পারি জমান বিদেশে। ‌ওই সময়টায় বাচ্চার মায়ের পরিবারের দয়া হয়। বাচ্চার নানা মারা যাওয়ায় মামুরা বোনের মেয়েকে নিজেদের ভালোবাসাও দিতে চায়। তবুও দু পরিবারের দ্বন্দ থামে না। বাচ্চা মেয়েটা কখনো এ বাড়ি কখনো ওবাড়ি ছুটোছুটি করে। নিজ ইচ্ছায় নয় বড়দের টানা হেচরায়! এদিকে ছয় বছর পর বাচ্চার বাবা ফিরে এসে নিজের মেয়েকে চিনতে পারেন না। বিদেশ গিয়েও কখনো দেশের কারো সাথে কোনো যোগাযোগ করেন নি। তার যে এক মেয়ে আছে সেটাও হয়তো ভুলে গেছিলেন। মেয়ে তার বাবার ভালোবাসা পাওয়ার জন্য আজ‌ও উশখুশ করে। বাবা আজ‌ও তার দিকে মায়া ভরা চোখে তাকায় না।’

তাহির কৌতুহল দমন করতে না পেরে বললো,

‘এরপর কি হলো?’

‘কি আর হবে? মেয়েটা তার বাবার ভালোবাসার পাওয়ার চেষ্টা করতে করতে ঘৃণিত হয়ে উঠলো অনেকের কাছে। তার সব চেষ্টা‌ই অসফল। বাজে মেয়ে, বেয়াদব মেয়ে, পঁচা মেয়ে, অলুক্ষণে মেয়ে এসব খেতাব আজ তার জন্য‌ই ব্যবহৃত হয়। দু পরিবারের এতো এতো মানুষদের মধ্যে হাতেগুনা দু তিনজন তাকে ভালোবাসে খুব। মন থেকে তার ভালো চায়। তার একটু অসুখে বুক কাঁপে তাদের। কাঁপে না শুধু বাবার। আচ্ছা বাচ্চা ডাক্তার এমন কোনো ইনজেকশন আছে যা পুশ করলেই মেয়ে থেকে দুম করে ছেলে হয়া যায়?’

তাহির ভড়কে যাওয়া চোখে তাকালো। হিমি বললো,

‘আসলে, মেয়ে বলেই বাবা তাকে ভালোবাসে না। সবাই বকে। ছেলে হলে খুব ভালোবাসতো! আছে না কি?’

তাহির হিমির দিকে স্থির চোখে তাকিয়ে বললো,

‘না নেই। কিন্তু আপনি এই গল্পটা কোথায় শুনলেন?’

‘বড়মা বলেছে। এটা না কি আমার জীবনের গল্প। আমিই সেই বাচ্চা মেয়ে যে চোখ খোলার সাথে সাথেই মায়ের চোখ বন্ধ হয়েছিলো!’

তাহির স্তব্ধ চোখে তাকায়। হিমির চোখে মুখে প্রতিক্রিয়া নেই কোনো। তাহিরের চোখের দিকে তাকিয়ে বললো,

‘বিরক্ত হয়েছেন?’

তাহির মাথা নাড়লো। জিহ্বা দিয়ে ঠোঁট ভিজিয়ে নিয়ে বললো,

‘আমাকে এসব বলার কারন কি হিমি?’

‘ইচ্ছে হলো। আমার যখন যা ইচ্ছা হয় আমি করি। নিঃসংকোচে করি। কথা গুলো বলতে ইচ্ছে করছিলো খুব। আপনি আছেন তাই আপনাকেই বললাম।’

‘আমার জায়গায় আর কেউ থাকলে বলতেন তাকে?’

‘সে যদি অপরিচিত হতো তবে বলতাম!’

‘পরিচিতদের বলতেন না?’

‘না। অপরিচিতদের সাথে কথা বলতে ভালো লাগে। তারা অচেনা থাকে বলেই ভয় নেই, সংকোচ নেই, বাঁধা নেই। মন খোলে কথা বলা যায়। আপনি বলবেন কিছু?’

তাহির কপালে ভাজ ফেলে বললো,

‘কি বলবো?’

‘এমন কিছু যা আপনার বলতে ইচ্ছে করছে পারছেন না। ভয় হচ্ছে বা সংকোচ। বলে ফেলুন আমি কাউকে বলবো না।’

হিমির কন্ঠ আড়ষ্ট হতে লাগলো। গলা থেকে শব্দগুলো টেনে বের করছে বলেই বোধ হলো। তাহির ডান হাত উঠিয়ে হিমির কপালে ছুঁয়ালো। যা ভাবছিলো ঠিক তাই। জ্বরে গা পুরে যাচ্ছে হিমির। চোখ দুটোও বুজে আসছে। তাহির লম্বা শ্বাস টেনে হিমিকে নিচে নামতে বললো। হিমি বামে ডানে মাথা নাড়লো। ঠোঁট উল্টে অন্যদিকে তাকাতেই মুঠোফোন বেজে উঠলো তার। পকেট থেকে ফোন বের করে কানে ঠেকালো সে। ওপাশের আওয়াজ না শুনলেও এপাশের হিমির কথা শুনলো তাহির,

‘ফিরবো না আমি। ঘুমিয়ে পরো। টাটা।’

কথাটা বলেই হাত সামনের দিকে লম্বা করে ফোনটা ছেড়ে দিলো। তাহির লুফে নিলো সেটা। ফোনের অপর প্রান্ত থেকে ভেসে আসছে ‘হ্যালো’ শব্দটি। তাহির ফোন কানে লাগিয়ে স্মিত গলায় বললো,

‘ওর এড্ড্রেস টা? আসলে, ওর খুব জ্বর! ‌ওকে দেখে মনে হচ্ছে না ঠিকানা বলতে পারবে। একা ছাড়া সেইফ‌ও হবে না। আমি ড্রপ করে দিচ্ছি।’

আমিনা বেগম স্বাভাবিক গলায় ঠিকানা দিলেন তাহিরকে। কথা শেষ হলে ফোন নিজের পকেটে নিয়ে হিমিকে টেনে নিচে নামালো তাহির। দু বাহু ধরে তাকে গাড়ির দিকে আনতে লাগলো। হিমি টালমাটাল পায়ে এগুলো। বিরবির করে কিছু বলছিলোও। তাহির তার কথা কানে না নিয়েই ড্রাইভিং সিটের পাশের সিটটায় বসালো হিমিকে। সিট বেল্ট পরিয়ে গাড়ি স্টার্ট দিতেই হিমির কথার ঝুলি খোলে গেলো। আবোল তাবোল কথা বলতেই থাকলো সে। তাহির মাঝে মাঝে হা হু করে হিমির বাড়ির উদ্দেশ্যে গাড়ি ছুটিয়ে চললো।

চলবে,,,,,,,,,,

[মন ভালো নেই,কি লিখেছি জানি না। রি চেইক‌ও করি নি। ভুল ত্রুটি মার্জনা করবেন।]

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here