উপন্যাস :হিয়ার মাঝে-লুকিয়ে ছিলে।
কলমে :চন্দ্রা।
পর্ব:২১
পূবের জানালা ভেদ করে প্রবেশ করা রবির কিরণ আর উত্তরের বিশাল আম, কাঁঠালের বাগান থেকে ভেসে আসা বিহগ-বিহগীর খুনসুটিময় কলতান ধ্বনিতে অনিচ্ছা সত্ত্বেও নিদ্রাদেবী চোখের পাতা ছেড়ে প্রস্থানের পাঁয়তারা করছে।নাকে সুড়সুড়ি অনুভূতি হওয়াতে ক্লান্ত চোখের পাতা মেলে ধরে রিতি। ঘুম ঘুম চোখে ঝটকা খায় তখনি।গায়ে পায়ে অসম্ভব ওজনে নড়া চড়া দায়। বিরূপাক্ষ আষ্ঠেপৃষ্ঠে জড়িয়ে আছে তাকে। উন্মুক্ত বুকের পশমে রিতির নাকে মুখ শিরশির করে উঠতে ছোট্ট পাখির ছানার মতো বিরূপাক্ষের প্রশস্ত বুকে নড়ে চড়ে উঠলো সে।বিরূপাক্ষের ঘুম আলগা হয়। চোখের উপর রোদের সোনালী আলো।একমুহুর্তে ব্যাপারটা বুঝতে চেষ্টা করে। হাতের বাঁধন আলগা হতেই রিতি পরিমরি করে উঠে যায় কম্বল সমেত।ভেবে পায়না বিরূপাক্ষ,গত রাতে দুজন দুই কম্বলে শুয়েছিলো তাহলে একটার মধ্যে দুজন গেলো কখন।একেতো দূর্বল শরীর তায় আবার মোটা কম্বলের প্যাঁচঘোঁচ।তাল সামলাতে না পেরে পরে গেলো রিতি দুরুম করে।ভেবেছিলো কোমরটা বুঝি গেলো কিন্তু না নিজের কোমর তো ঠিকই আছে তবে কি অন্যের বুকের পাঁজর গ্যালো?
ব্যাথা বিরূপাক্ষ পেয়েছে বেশ খানিকটা।রিতির ওজন নেহায়েৎ কম নয়। কিন্তু কোনো বিরুপ প্রতিক্রিয়া না দেখিয়ে ভীতসন্ত্রস্ত রিতিকে ভীষণ অবাক করে দিয়ে স্নেহ ভরা মোলায়েম কন্ঠে বলল,এত ছটফটে ক্যানো তুই মেয়ে?একটু সাবধানে চলবি তো,দেখলি ক্যামন ব্যথা পেলি?
রিতি বিস্ময়ে দুই বার চোখে পলক ফেললো। মানুষটার ঘুম ভাঙা মোটা কন্ঠঝংকার রিতির কানে ঘি,মধু ঢাললো শত সহস্র মণ।সব ভুলে ভাবলো রিতি,এত শ্রুতিমধুর কন্ঠঝংকার? একবার যদি খাওয়া যেতো, জীবনে আর অন্য আহারের প্রয়োজন পরতো না বোধহয়।
কি ব্যাপার চলছে বলবি আমাকে বুড়ি?রিতির পাশ ঘেঁষে দাঁড়িয়ে বললো জয়া।
কোন ব্যাপারের কথা যেনো বলছো? নির্লিপ্ত রিতি চিরুনি দিয়ে চুল আঁচড়াতে থাকে।
কিছুই জানিস না তুই? একেবারে যে গাছ থেকে পরছিস তার মানে কি? উষ্মার সাথে বলে জয়া।রিতি টুলে বসা অবস্থায় ঘুরে জয়ার হাত ধরে বলে মুচকি হেসে,,এত মাইন্ড ক্যানো খাচ্ছো বিজয়া দেবী?একটু বুঝিয়ে বলো না ক্যানো?
আদিখ্যেতা হচ্ছে আবার?
এই জয়া বাড়াবাড়ি হচ্ছে কিন্তু। সোজাসাপ্টা কথা বলো বলছি না হলে আমার চাইতে খারাপ আর কেউ হবে না। নিজের রসিকতায় নিজেই শব্দ করে হেসে উঠলো রিতি।জয়া চোখ পাকায়,আবার দাদাভাই এর নকল করছিস।নাম ধরে ডাকছিস আমাকে? দাঁড়া বলবো ঠাকুর পো কে।শাসায় জয়া।
হুহ্,,কি এমন লাটের বাট তোমার ঠাকুর পো?কে পাত্তা দেয় আর কে গায় বাঁধায়?
তাই না?দুজনে হাত ধরে রাত করে বাড়ি ফিরছিস? আবার একটু আগে দেখলাম একজন গলায় বুকে সিঁদুর নিয়ে ঘুরছে,সেতো এমনিই। চিবিয়ে চিবিয়ে বললো জয়া। লজ্জায় রিতির শ্বাসরোধ হওয়ার জোগাড়। আপনিই মাথাটা নত হয়ে আসে লাজে।জয়া এবার হাসে প্রসন্ন হাসি রিতির মুখখানি উঁচু করে ধরে আবেগী কন্ঠে বলে,, বলেছিলাম না আমি,এমন রূপ যে একবার দেখবে সে তো পাগল হবেই।এমন প্রতিমা বিসর্জন হয়না রে বুড়ি।সারা জীবনের জন্য হৃদয়ের মন্দিরে অবস্থান করে স্বমহিমায়।ভালো বাসার প্রতিযোগিতায় তুই হারবি গো-হারান দেখিস একদিন রূপেরই জয় হবে।জয়া আপন মনে হাসতে থাকে।রিতিকে নিচে নামার কথা বলে বেরিয়ে যায় ঘড় থেকে।বৌদিদির ঠোঁটের স্বস্তির হাসির তীর রিতির বুকে এফোড় ওফোড় ভেদ করে।তীব্র সে যন্ত্রণা।চোখ দুটো ছলছল করে ওঠে। উচ্চারণ করে ঠোঁট কাঁপিয়ে,,
“আমি তো ঠকিনি কারণ আমি ভালো বাসতে পেরেছি,ঠকেছে তো সে ,সে ভালোবাসতে পারেনি”
(শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়)
*******
কাজটা কিন্তু ভালো করো নাই লিকু ভাই। তোমার এই কাজের জন্য যদি আমার দলীয় কোনো সমস্যা হয় তাইলে কিন্তু ছাড় দিবো না আমি।অত্যন্ত গম্ভীর গলায় নিজের চাপা ক্ষোভ প্রকাশ করে আমির শেখ। এবার উপজেলা নির্বাচনে বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান প্রভাকর রায় চৌধুরীর একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী সে।লিকু সরদারকে এক কথায় নিজের দলে নিয়েছিলো শুধুমাত্র আপন স্বার্থে। দেখতে স্বাস্থ্যবান সুপুরুষ আমির শেখ। পঞ্চাশ এর কাছাকাছি বয়সে এতটা আভিজাত্যের ছোঁয়া আর রূপের জৌলুস যে ত্রিশ বছরের যুবক বললে ভুল হবে না। এমনিতে বড় পরিবারের ছেলে তিনি তার উপর দশ বছর বিদেশ করে ভালোই কামিয়েছেন।এখন ব্যবসা করেন শহরে, বিভিন্ন ব্যাবসা তার।বেশ কয়েক বছর বাবা ,দাদার তৈরী রাজনৈতিক পথে হাঁটছে কিন্তু কোন তাল করতে পারেনি প্রভাকর রায় চৌধুরীর কারনে।নেশা দ্রব্যের পক্ষে তিনি নয় কিন্তু দলের স্বার্থে এখন মেনে নিয়েছেন।মেনে নিচ্ছেন।দু চারটে খুন খারাবি করতে হলেও দ্বিমত পোষণ করবে না।প্রয়োজনে নিজের নবনির্মিত ইঁটের ভাটায় মানব দেহ পুড়বে।গুম হয়ে যাবে খুন গুলো। কিন্তু সহজে কেউ হত্যাকারীদের দলে নাম লেখাতে চায় না।
কিন্তু তুমি জানো ভাই আমি কিয়ের লাইগা এমনটা করছি আর তুমিও তো ঐ মাইয়ার ভালো চাও না।সভয়ে বলে লিকু।
হ্যা ভালো চাইনা তাই বলে তুমি এখনি একটা আহম্মকি করবা? তুমি জানো না ঐ চৌধুরীর চেয়ে তার পুত্র বধুর জনপ্রিয়তা কতো?সারা এলাকার মানুষেরে কাজ কাম দিয়ে সে তো মহান হয়ে গেছে।এমন কেউ নেই যাকে ঐটুকু মেয়ে সাহায্য করে না।ভাগ্য ভালো কাল ছেলে গুলো নিজেদের ফেস দেখায় নি।এখন একটা কিছু হইলে সব টার্গেট আমার আর আমার দলের ছেলেদের উপর পরবে।স্বতেজে বললো আমির। পকেট থেকে সিগারেট বের করে তাতে আগুন দিয়ে টান দেয়।একরাশ নিকোটিন এর ঝাঁঝালো গন্ধে ভরে ওঠে বাহির ঘড়ের পুরো কামরাটি।পাশে সটান দাঁড়িয়ে থাকা দেহরক্ষী আসলাম এর চোখে ভীতি সঞ্চার হয় কারন তার মনিব ধূমপানে অভ্যস্ত ছিলেন না কখনো। ইদানিং শুরু করেছেন তাও যখন একান্ত মুড অফ থাকে।আর তার প্রভাব পরে দেহরক্ষী দের উপর। কিন্তু আজ কিছুই হলো না।চোখ ছোট করে অত্যন্ত কঠিন কন্ঠে বললো আমির,, আসলাম সবাইকে সতর্ক থাকতে বইলো।ঐ মাইয়া চুপ করে থাকবে না।এখনি পুলিশ কেলেঙ্কারির ঝামেলা যেনো না হয়।
জি আচ্ছা ভাই,, আসলাম কুর্নিশ করে বেরিয়ে আসে ঘড় থেকে।আমির দু পা এগিয়ে যায় কাঁচুমাচু হয়ে থাকা লিকুর দিকে অত্যন্ত কুটিল স্বরে বলে,, দাঁড়ি তো এমনে পাকে নাই লিকু ভাই।ঐ হাঁটুর চেয়ে ও কম বয়সী মেয়েটার বুদ্ধির ধারে কাছেও ঘেঁষতে পারবেনা তুমি।বয়সের বুদ্ধি কাজে লাগাও।নইলে আমার মসৃন রাস্তায় সেধে যে কাঁটা বিছিয়ে যাবে তাকে অবশ্যই আমার সরাতে হবে।সে যেই হোক।দল কিংবা বেদল।
মনে মনে মা বাপ তুলে একটা গালি দিলো লিকু। রোষের অনলে জ্বলতে থাকে,, দুই দিনের পোলা আমারে চোখ রাঙানি দেস?তর বাপ কুনো দিন চোখ তুইল্যা চায়নাই আমার দিকে।তোরে ত দেইখা নিমু আমি খালি এট্টু সময় দে হারামজাদা।
বৃথা আস্ফালন লিকুর মনের মধ্যে থাকা বাক্য স্বরতন্ত্রীর সাহায্যে বাহিরে আনার দুঃসাহস নেই তার।হজম করেই নিলো মুখবুজে।
স্কুলের মাঠের দুম দুম আওয়াজে চৌধুরী মহল কাঁপছে। এলাকার ছেলেপুলে নাচছে। একটু পরে শুরু হবে মূল অনুষ্ঠান।অভি,অহনা প্রদীপের সাথে আগেই পৌঁছে গিয়েছে মাঠে।অন্য সবাই রেডি হয়ে দাঁড়িয়ে আছে ড্রইং রুমে।রিতির অপেক্ষা।সে এখনো সাজছে। রাহুল গিয়ে তারা দেয়,,এত সেজে কি হবে বলোতো রিতি? তোমার যা ভাগ্যে আছে তা তো অলরেডি হাসিল করে নিয়েছো। বাঁ চোখে হাত চেপে ফিরলো রিতি রাহুলের দিকে,,অন্য চোখটাও লাল হয়ে গেছে।
সে কি চোখে আবার কি হলো তোমার?ব্যস্ত হয়ে এগিয়ে আসে রাহুল।
কি যে পরলো দেখো না?কি যন্ত্রনা হচ্ছে। রাহুল রিতির হাতটা চোখের ওপর থেকে সরিয়ে নিজের দুহাত এগিয়ে দেয়।
এত বড়ো পোকা ঢুকেছে?মাই গড!পোকারই বা কি দোষ বলো এত সুন্দর চোখ দেখলে একটু তো প্রেমে পরবে,একটু তো ঝাঁপাঝাঁপি করবে পদ্ম লোচন সরবরে।রসিকতা করে রাহুল।রিতি রাহুলের হাতে একটা থাপ্পর মারে আস্তে,,অন্যের দুঃখ দেখলে খুব সুখ লাগে না?
আরে দাঁড়াও পোকা বাবাজি মোটেও বের হতে চাইছে না। খুব সন্তোর্পনে যত্ন সহকারে পোকা টা বের করলো রাহুল।রিতি পুনরায় চোখে মুখে জল দিয়ে বেরিয়ে আসে রাহুলের সাথে।ড্রইং রুমে সুমি এবং জয়া দাঁড়িয়ে আছে।
এই হলো তোর ?চল চল।বললো সুমি।
রূপ দা কোথায় গেলো বৌদিদি?বললো রাহুল।
এই মাত্র বেরিয়ে গেলো হন্তদন্ত হয়ে। উপরে গিয়েছিলো রিতিকে ডাকতে।না ডেকেই ফিরে এলো।কোনো কথা না বলেই বেড়িয়ে গেল।বললো জয়া চিন্তিত সুরে।
ও আচ্ছা,পাংচুয়াল মানুষ কি না!চলো তো দেখি গিয়ে। রাহুল বললো হাঁটতে হাঁটতে।
অনুষ্ঠান শুরু হয়ে গেছে বেশ কিছুক্ষণ।এত এত জনতার ভীড়ে রিতির চোখ দুটো শুধু একজনকেই খুঁজছে কিন্তু কোথায় সে?আজকে গান গাইতে রাজি হয়েছে শুধু তাকে শোনাবে বলে। কিন্তু সে কি শুনবে না রিতির এই বিরোহী হৃদয়ের আর্তি মেশানো সুর।তাহলে যে বৃথা হবে আজকের এই গান গাওয়া।সময় যাচ্ছে,রাত বাড়ছে।অহনা,তিতলির ডুয়েট পারফরম্যান্স হয়ে গেছে এখন তো রিতির নামটা এনাউন্সমেন্ট হবে যেকোনো মুহূর্তে।কারো কাছে জিজ্ঞেস করতেও অস্বস্তি বোধ হচ্ছে রিতির। অবশেষে ঘোষণা করা হলো রিতির নাম, নিজের অস্বস্তি, লজ্জা ঝেড়ে প্রদীপকে ডেকে জিজ্ঞেস করলো,,
প্রদীপ দা , তাঁকে তো দেখছি না? কোথায় গেলো তুমি জানো?
চিন্তিত দেখায় প্রদীপকে কপালে ভাঁজ ফেলে বলে,,না রে,একটু আগে এসে বললো বাইকের চাবি দে।সে কি অগ্নিমূর্তি?সাথে যেতে চাইলাম আমাকে তেড়ে মারতে এলো।বললো,যাবে আর আসবে।আমারো আর এদিকের ঝামেলায় খেয়াল ছিলো না।এখন তো চিন্তা হচ্ছে ফোনটাও ধরছে না। আচ্ছা তুই যা।আমি দেখছি ভালো করে গাইবি কিন্তু।যা।রিতি এগিয়ে যায় অনিচ্ছা সত্ত্বেও।তার আর সুর সাধার ইচ্ছে নেই কিন্তু বড়োমা,জেঠু,বৌদিদি এবং পরিবারের প্রত্যেকটি মানুষ বসে আছে তার গান শুনবে বলে,, অবশেষে গাইলো রিতি নজরুল সঙ্গীত।রিতি যে ভালো ভজন গায় জানতো পূজা কমিটির ছেলেরা। অনুরোধ করলো একটা ভজন গাইতে।একেতো মন অস্থির তার উপর এখনো মানুষটাকে দেখলো না।প্রদীপ দা ও কোথায় চলে গেলো,,,
শ্যাম তেরি বংশী পুকারে রাধা নাম
শ্যাম তেরি বংশী পুকারে রাধা নাম,,,
লোগ করে মিরাকো ইউহি বদনাম।
,,,,,,,,
,,,,,,
শ্যামকো দিওয়ানা সারা ব্রীজ ধাম লোক করে মীরা কো ইউহি বদনাম,,,
একমনে গেয়ে চলেছে রিতি। গানের ভেতরে স্বশরীরে প্রবেশ করেছে বুঝি।তিতলির চোখে জল।হুট করে কেউ কানে কানে কছু বলতেই ঝট করে উঠে যায় প্রভাকর রায় চৌধুরী তাঁর বন্ধুকে নিয়ে। রাহুল ও বেরিয়ে যায় হন্ত দন্ত হয়ে দর্শকদের সারি থেকে কানে বাজতে থাকে রিতির গাওয়া শেষ লাইন টুকু,,
রাধা কা ভি শ্যাম হতো মীরা কা ভি শ্যাম।অদৃশ্য কৃষ্ণের উদ্দেশ্যে করুন মিনতি জানায় রাহুল।হোক সে বনলতার কিংবা রিতির।দুজনে না হয় মীরা আর রাধা হবে কিন্তু বিরূপাক্ষ রূপী কৃষ্ণের দেহের প্রান তুমি কেড়ে নিও না ঠাকুর।
করতালিতে ফেটে পরে উচ্ছল জনতা সবার উদ্দেশ্যে মস্কার করে দ্রুত পায়ে নেমে আসে রিতি। কাউকেই তো দেখছে না। কোথায় গেলো সব।মনটা কু গাইছে।একটু ফাঁকা জায়গায় যেতেই সুমি এসে জড়িয়ে ধরে রিতিকে কাঁদছে সে,,রিতি তোর রূপ,,,
কথা শেষ করতে পারে না সুমি।রিতি হাত উঁচু করে থামিয়ে দেয়।কন্ঠে কাঠিন্য এনে দৃঢ় স্বরে উচ্চারণ করে,, কিছু বলবি না সুমি।আমি কিছুই শুনতে চাই না।আমি তাঁর কাছে যেতে চাই এই মুহূর্তেই।
রাস্তায় গাড়ি নিয়ে ড্রাইভার দাঁড়িয়ে ছিল রিতির অপেক্ষায়। নির্লিপ্ত ভাবে গিয়ে গাড়িতে ওঠে রিতি।ভেতরে জয়া বসে কাঁদছে।গাড়ি চলছে আপন গতিতে, উদ্দেশ্য জেলা শহরের নামকরা প্রাইভেট হাসপাতাল।রিতির মুখের দিকে চেয়ে কারো কিছু বলার ক্ষমতা হারিয়ে গিয়েছে।এ যেনো পাথুরে দূর্গ কিছু বললেই গলে খসে ধ্বসে ধ্বংস করে দেবে সবকিছু।
চলবে,,,
ভুল ত্রুটি মার্জনীয়।
ভালো থাকবেন সবাই।