উপন্যাস :হিয়ার মাঝে-লুকিয়ে ছিলে।
কলমে :চন্দ্রা।
পর্ব:২৯
রূপ সাগরে রূপের নেশায়, মত্ত রইলি চিরকাল,,,
যেদিন চোখের পাতা অলস হবে, চিনবি সেদিন পরকাল।
একজন পুরুষ কি শুধু রূপের মোহে পরকিয়া বা পর নারীতে আসক্ত হয়?নাকি এর পেছনে আরো গুরুহ কোন কারন নিহিত থাকে?
মাতৃ পিতৃহীন রঘুনাথ যতই কাজ কর্মে লিপ্ত থাকুক জয়াকে কখনো অভিযোগ করার সুযোগ দেয়নি।একজন স্বামী হিসেবে নিজের দায়িত্ব,প্রেম, ভালোবাসা দিয়ে তাকে পরিপূর্ণ করে রেখেছে সবসময়। অতিশয় রুপবতী না হলেও উজ্জ্বল শ্যাম গাত্র বর্ণের জয়ার চোখ দুটো ভীষণ মায়াবী। একবার তাকালে শত্রুও মোহে পরে যাবে ও চোখের। রঘুনাথ তার মামা মামির পছন্দে জয়াকে বিয়ে করলেও হাতে গোনা কয়েকদিনের মধ্যেই গভীর মায়ায় পরেছিলো।ভালোবাসাটা হয়েছিলো তারচেয়ে গভীর। কিন্তু কি এমন ঘটলো যে ভালোবাসার সেই গভীরতার মাঝেও অতল নদীতে বালুর চর জাগার মতো বিতৃষ্ণার আস্তরণ পরলো?তবে এত বছরের সংসার জীবনে একটা নতুন মুখ,একটা নতুন প্রাণের অভাবে সব মিথ্যা মরীচিকাময় হয়ে যাবে। ভালোবাসা, দায়িত্ব সেবা,যত্ন তবে কিছুই না?নাকি রঘুনাথের অত্যধিক ষড় রিপুর তাড়না বা ঝলমলে রূপের নেশা? কিন্তু রঘুনাথ বিয়ের আগে বা পরে কখনো কোনো মেয়ের দিকে নোংরা দৃষ্টিতে তাকিয়েছে এমন কথা কোনো শত্রু ও বলতে পারবে না।বিজয়া এমন এক রমনী যে মুখবুজে, হাসিমুখে সব সইতেই পারে।প্রতিবাদ নামে কোনো শব্দ আছে বলে তার বিশ্বাস হয়না।মা,বাবা মারা যাওয়ার পর ভাই বৌদিদের সংসারে উচ্ছিষ্টের মতো পরে থেকেছে কিন্তু কর্ম করেছে কাজের লোকেদের মতো। বিয়ের পরে এ বাড়ির রান্নাঘরকে তার ধ্যানজ্ঞান বানিয়ে নিতে সময় লাগেনি। নিজের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ করার সুযোগ কাউকে দেয়নি।
পতিদেবের অন্য নারীর আসক্তির কথা যেদিন জেনেছিলো সেদিন ঠাকুর ঘরে উপুড় হয়ে পরে কেঁদেছে সবার অগোচরে। তবুও পতির কোনো দোষ দেয়নি,দোষ দিয়েছে নিজের।নিজেই তো অপয়া,বাজা মেয়েমানুষ।স্বামীকে বেঁধে রাখার মতো তার গুন নেই।এতবছরেও একটা সন্তানের মুখ যাকে দেখাতে পারলো না সে কি করে বৌয়ের মুখ চেয়ে বসে থাকবে?
তবে কি প্রেম, ভালোবাসা,পতিনিষ্ঠা, কোনোকিছুর দাম নেই?সন্তানই কি সব একটা সংসারে?হয়তো হ্যা,নয়ত না।
*****
রায় চৌধুরী বাড়িতে হুলস্থুল কান্ড বেঁধেছে।
সকালের জলখাবার তৈরির জন্য ব্যাস্ত ছিলো জয়া।রিতি তখন হাতে হাতে এটা ওটা এগিয়ে দিতে ব্যস্ত।হঠাৎ মাথাটা ভীষণ ভাবে ঘুরে উঠতে রিতিকে আঁকড়ে ধরে জয়া।পরিবর্তে রিতিও জয়াকে ধরলো ঠিকই কিন্তু ততক্ষণে দুজনে মিলে মেঝেতে বসে পরেছে।
পরিবারের অতি পুরাতন ডাক্তার বাবু জয়াকে পরীক্ষা নিরীক্ষা করেছেন নিজ অভিজ্ঞতার আলোকে। বাঁ হাতের নাড়ি দেখলেন বেশ কিছুক্ষণ ধরে, অতঃপর তার পাকা গোঁফের তলায় মিটমিট হাসি দেখে অত্যধিক উৎকন্ঠায় দাঁড়িয়ে থাকা বাড়ির প্রতিটি সদস্যের কুঁচকানো ললাট খানিক মসৃন হলো।রিতি ডাক্তারের পাশেই দাঁড়িয়ে ছিলো,, অধৈর্য হয়ে প্রথমেই বলে উঠলো স্থান কাল ভুলে,,ও কাকা,মনে মনে মিছরি একাই খাবে, নাকি কিছু বলবে বাপু?
রিতির এহেনো বাক্যব্যয়ে বিরূপাক্ষের বিরক্তি লাগে খুব। জয়ার জ্ঞান এখনো ফেরেনি।
অত অধৈর্য হলে চলবে মা জননী?সবুরে মেওয়া ফলে জানো না?হা হা হা। স্বভাব সুলভ হাসেন ডক্টর বাবু।
অতশত বুঝিনা কাকু,,, তোমার মেওয়া নিয়ে তুমি বাসায় ফিরো আগে বলো তো ঘটনা কি?বললো রিতি।
আহা,,ডাক্তার এত কথা খরচ না করে আসল কথাটা বলো দেখি।আর যদি হাসপাতালে নিতে হয় তো সে ব্যবস্থাও করি।প্রভাকর চৌধুরীও অধৈর্য হয়ে পরেন।
না না চৌধুরী,, হাসপাতালে তো যেতেই হবে,বৌমার শরীর অত্যধিক দূর্বল কি না।তবে এ যাত্রায় থাক, বাড়িতেই আরাম করুক না হয়।
এত ভাব ভনিতা দেখার বা শোনার তর সইছে না রিতির।গ্লাস থেকে জল নিয়ে জয়ার নাকে মুখে ছেটাচ্ছে সে।আগে জ্ঞানটা তো ফিরুক।ডাক্তার কাকু বুড়ো হচ্ছেন তো, তার মাথাটা হয়তো কাজ করছে না।নইলে পাশে অজ্ঞান অসুস্থ রোগী রেখে কেউ এত তামাশা করে ?এসই ভাবছে আর নিজের কাজ করছে রিতি। তখনি শুনলো অতি কাঙ্খিত বাক্যটি।মনে মনে যেটা ধারনা করেছিলো রিতি সেটাই হয়েছে। মেডিকেলের শেষ বর্ষের ছাত্রী সে। এটুকু বুঝবে না?তবে বিরূপাক্ষের উপস্থিতিতে নিজের মতো করে কিছু করতে পারেনি তাছাড়া বৃদ্ধ অভিজ্ঞ ডাক্তার কাকা হাতের পালস্ চেক করে যেটা গ্যারান্টি সহকারে বলতে পারেন। এখনকার একজন নব্য ডাক্তার বোধহয় অতটা পারবেন না পরীক্ষা নিরীক্ষা ছাড়া।ডাক্তারকে নিয়ে বেরিয়ে গেছেন প্রভাকর রায় চৌধুরী।রিতি জ্ঞানহীন জয়ার বুকের সাথে নিজের বুক মিশিয়ে কানের কাছে মুখ নিয়ে কথা বলছে,,,ও বৌদিদি শুনেছো তুমি? তুমি মা হবে গো?কত দিনের সাধ তোমার,আজ গোবিন্দ পূরণ করতে চলেছেন। আমার স্নেহে ভাগ বসাতে কেউ একজন আসছে শুনেছো? এবার তো ওঠো।ওকে বলে দিও,ওর মা,বাবা আমাকে যতটুকু যা দিয়েছে আমি ওকে তার শতসহস্র গুন বেশি আদর,স্নেহ, ভালোবাসা দেবো।রিতির চোখের অশ্রু সমানে পরছে ফোটায় ফোটায়। কাঁদছেন অন্নপূর্ণা দেবী। তাঁর চোখেও আনন্দাশ্রু। শান্ত শিষ্ট জয়া,যে সাত চড়েও রা কাটেনা। অন্নপূর্ণা দেবী নিজের মেয়ের মতো ভালোবাসেন তাকে।নিজে পছন্দ করে ভাগ্নে বৌ করে এনেছিলেন জয়াকে।জয়া মান রেখেছে তাঁর।গরীব ঘড়ের মেয়ে হলেও গৃহ কর্মে নৈপুণ্যে এবং আচার আচরণে কখনো সেটা প্রকাশ পায়নি।রঘুনাথের একজন বংশ ধরের জন্য কত জায়গায় কতো মানত করেছেন তিনি কিন্তু একটা সন্তানের জন্য পুনরায় ভাগ্নের বিয়ের কথা মনেও আনেননি।
বিরূপাক্ষ নিঃশব্দে বেড়িয়ে পড়লো ঘড় থেকে। দাদাভাই কে একবার ফোন করতে হবে।
******
নিরুপমার ছোট্ট শোবার ঘড়ের ছোট্ট বারান্দায় একটা চেয়ার দখল করে বসে আছে অখিলেশ। এদিক ওদিক চোখ বুলাচ্ছে অকারণে।অল্প সময়ের মধ্যেই কি সুন্দর গুছিয়ে ফেলেছে জায়গাটা। ঝকঝকে লাগছে সব কিছুই।সাধেই কি মেয়েরা বলে,আমাকে শুধুমাত্র একটা ঘড় দিও আমি পরিপূর্ণ একটা বাড়ি দেবো।হ্যা ঘড়!একটা দীর্ঘশ্বাস মোচন করে অখিলেশ। নিরুপমার সেদিনকার সেই আকুতি ভরা চাহনি আজো তার হৃদয়ের রক্ত ক্ষরণের সঙ্গী হয়। সামান্য এক টুকরো ঘড় চেয়েছিলো মেয়েটা নিজের আত্মসন্মান, লজ্জা, সংকোচ বিসর্জন দিয়ে, বিনিময়ে সে কি দিয়েছে?মিথ্যা কিছু শান্তনা বাণী,আর নিস্বার্থ প্রেমিক সেজে প্রেমিকার বিয়েতে মত দিয়েছিলো।আসলে কি নিরুর ভালোর চিন্তা করে নাকি নিজের অপারগতা ঢাকতে অমনটা করেছিলো। সামনের টেবিলে ধোঁয়া উঠা গরম লাল চা আর ছোট প্লেটে কয়েকটা বিস্কুট। চায়ের কাপটা হাতে নিয়ে আলতো করে ঠোঁট ছোঁয়ায় অখিলেশ।কারন অনিতা দেবী এসে পরেছেন সন্ধ্যা প্রদীপ জ্বালিয়ে দিয়ে।ঘড় থেকে ভুড় ভুড় করে ধূপের ঘ্রান আসছে। শোয়ার ঘড়ের এক কোনায় ছোট্ট সিংহাসন পেতে সেখানেই নিত্য পূজা সারেন অনিতা দেবী।
মাসিমা মামনি ঘুমিয়েছে।আমি তাহলে উঠি আজ।বলে অখিলেশ।
আরেকটু বসো বাবা নিরুপমার সাথে দেখা করে যেও।এখনি এসে পরবে হয়তো।পাশের চেয়ারে বসে বললেন অনিতা দেবী।
অখিলেশের মনের অব্যক্ত ইচ্ছেটাও এটাই কিন্তু অধিক দর্শনে যে মায়ার পাল্লায় টান পরে।পরের জিনিসে মায়া,মোহ ভালো নয়। ছোট্ট অদ্রিকার প্রতি দুদিনেই ক্যমন টান পরে গিয়েছে তার।মেয়েটাও আঙ্কেল বলতে অজ্ঞান কিন্তু ও কি জানে,এই আঙ্কেলই একদিন কতবড়ো দুঃখ দিয়েছে ওর মাকে,কি ভীষণ ঠকিয়েছে প্রেমে পাগল প্রায় এক প্রেমীকে। নিজের মনেই প্রলাপ বকে অখিলেশ,ঘোর কাটে অনিতা দেবীর প্রশ্নে।অনিতা দেবী উত্তরের আশায় তাকিয়ে আছেন অখিলেশের হালকা পাংশুটে চোখের দিকে।যেখানে স্মৃতির ছাই ভস্ম আসল রং টুকু মলিন করে রেখেছে। অখিলেশ যেনো প্রশ্নটা বোঝেনি এমন ভাবে তাকায়,,,আজ্ঞে মাসিমা বুঝিনি কি বললেন?
বলছি বিয়ে থা করেছো কত বছর হলো তোমার?
আজ্ঞে মাসিমা ওটা আর হয়ে ওঠেনি!
মলিন শুনায় অখিলেশ এর স্বর। কিন্তু একজনের মলিন কন্ঠস্বর সামনে বসা অন্য জনের মাথা থেকে যে অনেক মণ ওজনের পাথরের মতো ভারী দুশ্চিন্তার বোঝাটা নামিয়ে দিলো তা বোধহয় এই ত্রিশোর্ধ যুবকটি বুঝলো না।যদি বুঝতে পারতো তাহলে ঐ বৃদ্ধা প্রায় রমনীর মনের মধ্যে যে প্রশান্তির সমীরণ বইতে শুরু করেছে ইতিমধ্যে তার কিছুটা ফাঁকফোকর গলে অখিলেশের বুকেও লাগতো।
*****
বসার ঘড়ে সন্ধ্যার জলখাবার খাচ্ছে সবাই।যে যার মতো কথায় ব্যস্ত হলেও টপিক একটাই বাড়িতে অনেক অনেক বছর পরে নতুন অতিথি আসছে। রঘুনাথ প্রায়শই এসময় বাড়িতে থাকে না। কিন্তু আজ আছে কি এক অদৃশ্য টানে।বেশ কদিন হলো হাসিখুশি রঘুনাথকে কেউ দেখেনি।ক্যমন একটা গম্ভীর হয়ে থাকতো।আজ সেই পুরোনো রঘুনাথ ফিরে এসেছে।বাড়ি থেকে সারাদিন ফোন করেও কেউ তাকে পায়নি। অবশেষে ফিরেছে সেই শেষ বিকেলে।ক্লান্ত,শ্রান্ত হয়ে কিন্তু এত পরিশ্রম সে কোথায় করেছে জানে না কেউ।জানে শুধুমাত্র বিরূপাক্ষ।তার দাদাভাই ইদানিং সব কাজ ফেলে খুঁজে বেড়াচ্ছে তার রূপনগরের রাজকন্যা রূপবতী অর্পিতাকে।যার ছলনায় গুনবতী স্ত্রীর প্রতি নজরই উঠতে চলেছে।
যাইহোক রঘুনাথ গেট দিয়ে ঢুকতেই খুশির খবরটা পেলো কাজের ছেলে গণেশের মুখে।সে ছেলে হাসিতে গদগদ হয়ে বললো,,,বড়দা বাবু খুশির খবরখান শুনিছেন?
রঘুনাথ ভ্রু কুঁচকে ফিরে তাকায়,,
আপনি বাপ হতি চলিছেন।
রঘুনাথ গণেশের মুখের এই খুলনার ভাষাটা শুনে একসময় অত্যধিক কৌতুক বোধ করতো এবং একটা কথা বার বার শুনতে চাইতো আজো পুনরায় শুনতে চাইলো তবে রসিকতা করে নয়।আত্মার তাড়নায় আবার শুনলো কথাটা।
না একমূহুর্তও আর কোথাও দাঁড়ায়নি রঘুনাথ। ছোট্ট বেলার মতো একছুটে দৌড়ে গিয়ে সিঁড়ির তিন ধাপ করে লাফিয়ে উঠে গেলো উপরে।কোনো ক্লান্তি অবসন্নতা তাকে ছুঁতে পারলো না।জয়া ঝিম মেরে আঁখি মুদে বসেছিল বিছানায়। রঘুনাথ এর উপস্থিতি টের পেয়ে চোখ খুললো। এবার তার বুক ফেটে কান্না এলো বাঁধ ভাঙা কান্না। একবার মানুষটাকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে পারলে বোধহয় সকল জালা জুড়োতো।বিধাতা বুঝি জয়ার মনের কথা বুঝলো। রমনীর মনের কথা তার আপনার পুরুষ বুঝবে না তা কি হয়। রঘুনাথ কোনো কথা বললো না। হেঁটে গিয়ে বিছানায় বসে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে ধরলো জয়াকে। জয়ার বাঁধ ভাঙা কান্নায় দেওয়াল গুলিও কেঁপে উঠলো।শত সহস্র চুম্বনে সিক্ত হলো জয়া। বহুদিন বাদে নিজের খায়েস মিটিয়ে বৌকে আদর করলো রঘুনাথ।জয়াও আজ ছোট্ট খুকিটি হয়েছে সব কিছুই ভালো লাগছে তার।জীবন আসলেই মধুর। কখনো কখনো বেদনাবিধুর না হলে এই মধুময় স্বাদটুকু উপলব্ধি করতে পারতো না কেউ।
বুঝলি জয়া আমার রিতি মা এবাড়িতে আসার পরে সবকিছুই ভালো হচ্ছে। একজনের সৌভাগ্যে যে দশজনে খায়। বললেন অন্নপূর্ণা দেবী। বিরূপাক্ষ রঘুনাথের পাশে বসে ছিলো মায়ের কথায় বিরক্তি নিয়ে একবার তাকালো অনতিদূরে বসা রিতির দিকে।
মা সন্তান আসছে দাদাভাই আর বৌদিদির এতেও তুমি অন্যের গুন দেখছো?
তো আর কার গুন দেখবো বাবা? এতবছর এত জায়গায় মাথা কুটেছি কই কিছুই তো হলো না আর বাড়িতে মেয়েটার পা পরতে না পরতেই এত বড়ো সুখসংবাদ?
হ্যা হ্যা কার কপালে কে খায় কে জানে? তাচ্ছিল্যের সাথে বলে বিরূপাক্ষ।
তুই আর এভাবে লাগিস নাতো রূপ। আমাদের একজন নতুন অতিথি আসছে তাকে আসতে দে আগে।বলে প্রদীপ।রিতি শুধু শুনছিলো কথাগুলো এবার উত্তর দিলো নিরুত্তাপ ভঙ্গিমায়,,,প্রদীপদা নতুন অতিথি একজন আসছে না গো আসছে দুজন।একজন দুচোখ মেলে পৃথিবীর সব রঙ দেখবে অন্যজন নিজের দুচোখের তারায় আরেকজনকে পৃথিবীর সকল রঙ দেখাবে।রিতির কথার আগা মাথা বুঝতে পারে না কেউই।সবার প্রশ্নবাণে জর্জরিত হওয়ার আগে রিতি উঠে পরে,,বৌদিদি আমি কিচেনে যাই দেখি ওরা কি করছে,,,,,
চলবে,,,,,
ভুল ত্রুটি মার্জনীয়।
ভালো থাকবেন সবাই।