হৃদয়ের_রং_জানে_না < চতুর্থ পর্ব > #ঈপ্সিতা_মিত্র

0
232

#হৃদয়ের_রং_জানে_না < চতুর্থ পর্ব >
#ঈপ্সিতা_মিত্র
<৭>
এরপর প্রায় দশ ঘন্টা কেটে গেছিলো | ঘড়িতে এখন রাত বারোটা | রূপকথা এখনো ওই ড্রইং রুমের সোফাটাতে চুপচাপ বসে | কিছু না খেয়ে | অনন্তর মার্ এবার এই দৃশ্য দেখে খারাপ লাগতে শুরু করেছে | রূপকথার শুকনো থমথমে মুখটার দিকে আর তাকাতে পারছে না যেন | ঠিক এই সময়েই ছিটকিনি খোলার শব্দটা কানে এলো | অনন্তর মা খেয়াল করলো অনন্ত দরজা খুলে আবার নিজের ঘরে চলে গেলো আনমনে | না , অনন্তর মা এবার আর এক সেকেন্ডও অপেক্ষা না করে ওর কাছে গেলো | তবে মায়ের কাছে কিছু শোনার আগেই অনন্ত বলে উঠলো ,
” এতক্ষনে নিশ্চয়ই চলে গেছে সে | যাই হোক , ভালো হয়েছে | আর মা , কেন তুমি আমার ব্যাপারে একটা বাইরের মেয়েকে জানাতে গেলে ? যে কি না নিজে এতগুলো দিন আমাদের সাথে কোনো যোগাযোগ না রেখে কাটিয়ে দিলো ! কি দরকার ছিল আমার এক্সিডেন্টের ব্যাপারে ওকে বলার ! ওর সিম্প্যাথির কোনো দরকার নেই আমার |”
অনন্তর মা এতক্ষন চুপ ছিল | কিছু না বলে শুধু শুনছিলো ওর কথাগুলো | কিন্তু এবার আর নিঃস্তব্ধ থাকতে পারলো না | অনন্তর মুখের ওপর বলে উঠলো ,
” তুই যাকে বাইরের মেয়ে বলছিস সে যদি শুধু তোকে সিম্প্যাথি দেখানোর জন্য আজ এখানে আসতো তা হলে সেই দুপুর থেকে রাত বারোটা অব্দি না খেয়ে ড্রইং রুমে বসে থাকতো না | তোর দরজা খোলার অপেক্ষায় | আর দু বছর আগে রূপকথা কেন গিয়েছিলো সেই কারণটা কিন্তু তুই জানিস না | কোনো কিছু না জেনে ওকে এতো কিছু শুনিয়ে দেয়াটা কি ঠিক ?”
না , এই প্রশ্নের কোনো উত্তর খুঁজে পেলো না অনন্ত | আর রূপকথা এতক্ষন ধরে কিছু না খেয়ে ওর জন্য বসে আছে শুনে হঠাৎ ভাবনাগুলো সব এলোমেলো হয়ে গেলো যেন ওর | মনে পরে গেলো সেই বাবা মারা যাওয়ার দিনগুলোর কথা | সেই সকালটার কথা | যখন রূপকথা না খেয়ে শুকনো মুখে ওর ঘরের দরজার সামনে দাঁড়িয়েছিল | তাহলে কি আজও কিছু বদলায়নি ! আজও রূপকথা ওর জন্য সেই একই রকমভাবে ভাবে ! কথাটা মনে হতেই ও হাত দিয়ে হুইল চেয়ারের চাকাগুলোকে যত টুকু সম্ভব তাড়াতাড়ি ঘুরিয়ে ড্রইং রুমে গেলো | আঁধো অন্ধকারের মধ্যে রূপকথার শুকনো মুখটা ও স্পষ্ট দেখতে পেলো এরপর | হালকা ঘুমিয়ে পড়েছে এখন | সোফায় আলতো করে শরীরটা এলানো ওর | অনন্ত এবার রূপকথার সামনে গিয়ে ওর হাতটা ধরে একটু ঝাঁকালো , আর তন্দ্রাটা কেটে সঙ্গে সঙ্গে ও চমকে উঠলো |
অনন্ত এসেছে ওর সামনে | দু বছরের তৈরী কাঁচের দেয়াল ভেঙে | রূপকথা এই মুহূর্তে ঠিক কি বলবে বুঝতে পারলো না | তখন অনন্তই বলে উঠলো ,
———- ” তুই এতক্ষন ধরে এখানে বসে আছিস ! বাড়ি যাসনি কেন ?”
রূপকথা এর কি উত্তর দেবে ঠিক বুঝে উঠতে পারলো না | তাই নিরুত্তরই থেকে গেলো | অনন্ত খেয়াল করলো রূপকথার মুখটা কেমন অন্ধকার হয়ে এসেছে | চোখ দুটো ভিজে গেছে জলে | এই দৃশ্য দেখে এখন হঠাৎ সকালের কথাটা মনে পরে গেলো ওর | একটু কি বেশিই রুড ছিল তখন ! কথাটা ভাবতেই অনন্ত এবার কিছুটা নরম গলায় জিজ্ঞেস করলো , ——–
” খেয়েছিস কিছু ? ওঠ ওঠ , খেতে চল আমার সাথে |”
কথাটা শেষ করেই অনন্ত এবার রূপকথার হাতটা ধরে টানলো , ওকে ডাইনিং টেবিলে নিয়ে যাওয়ার জন্য | কিন্তু রূপকথা এবারও সোফা থেকে উঠলো না | তবে ঘরের নিঃস্তব্ধতা ভেঙে বলে উঠলো হঠাৎ ,
” তোমাকে চ্যারিটি কেস ভেবে দেখতে আসিনি আমি | শুধু দেখবো বলে দেখতে এসেছি | তবে তুমি যদি না চাও , আমি তোমাকে আর কখনো ডিস্টার্ব করবো না | আমার নিজের লোকই আমার সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে চায় না | মামা মামী তো এখন চিনেও চেনে না | সেরকম তুমিও !”
না , কথাটা আর শেষ করতে পারলো না রূপকথা | অনন্ত এবার বেশ দৃঢ় গলায় ওকে থামিয়ে দিলো | ওর গলার আওয়াজটা আবার ভীষণ কঠিন হয়ে গেছে এই মুহূর্তে | বেশ রেগেই তাই বললো,———- ” শাট আপ .. তোর এতদিন বাদে এটা মনে হলো যে তোর মামা মামী আর আমি একই ? যদি তোর সাথে যোগাযোগ না রাখতে চাইতাম তাহলে তোকে পাগলের মতন খুঁজতাম না এতদিন ! তবে ভুলটা প্রথম থেকে আমারই ছিল | সব সময় মনে হয় একটু বেশিই ভালো থেকেছি তোর সাথে | তাই এতো সাহস বেড়েছিল , যে কিছু না বলে ভ্যানিশ হয়ে গেলি | তবে আর না | এই দু বছরে আমি অনেক চেঞ্জ হয়ে গিয়েছি | এবার যদি তুই আমাকে না জিজ্ঞেস করে এই বাড়ি থেকে বাইরে পা রাখার কথাও ভেবেছিস , তাহলে দেখে নিবি , আমি কতটা খারাপ হতে পারি | এবার চল খেতে | অনেক রাত হয়েছে | আর এটা আমি তোকে জিজ্ঞেস করছি না | বলছি |”
কথাগুলো প্রায় এক নিঃশ্বাসে শেষ করেই অনন্ত রূপকথার হাত ধরে টানলো এবার , বেশ জোরে | না , রূপকথা এখন না উঠে থাকতে পারলো না আর | তবে খুব অদ্ভুত লাগছিলো হঠাৎ | আজও যে অনন্তর মনে এতটা অধিকারবোধ কাজ করে ওর জন্য এটা জেনে ! আর রূপকথা সেটা অস্বীকারও করতে পারলো না এখন | তবে হঠাৎ মনে হচ্ছিলো সারাদিনের অপেক্ষার পর পুরোনো অনন্তকে আবার ফিরে পেয়েছে নিজের কাছে | একদম বিনা নোটিশে |
<৮>
সেই রাতে রূপকথা অনন্তদের বাড়িতেই থেকে গেছিলো | আসলে ওর আর কখনোই মামা মামীর বাড়িতে ফিরে যাওয়া হবে না | সন্ধ্যেবেলা মামী নিজে দায়িত্ব নিয়ে অনন্তর মা কে ফোন করে রূপকথাকে নিজের কাছে রেখে দিতে বলেছে | এমন কি ওরা রূপকথার থাকার ঘরটাও এই দু বছরে ভাড়া দিয়ে দিয়েছে , যাতে ও আর কখনোই ওই বাড়ি ফিরতে না পারে | অনন্ত রাতে ডিনারের পর কথাগুলো জানতে পেরেছিলো | রূপকথা সেই সময় খেয়াল করেছিল অনন্তর মুখটা রাগে লাল হয়ে গেছে | সত্যি , অবাক লাগছিলো রূপকথার আজ | প্রত্যেকটা মুহূর্তে | যতবার অনন্তকে দেখছিলো মনে হচ্ছিলো এতদিন বাদেও এই ছেলেটা ওকে নিয়ে এতটা ভাবে ! এতটা চিন্তা করে ! হিসাবের বাইরে লাগছিলো সব কিছু | আসলে ও তো ভেবেছিলো এই দু বছরে অনন্তর জীবনের মতন মন থেকেও ওর অস্তিত্ব মুছে যাবে পুরোপুরি | কিন্তু আজ বুঝলো , রূপকথা নিজের জায়গা হারায়নি কখনো | তবে আজ রাতে শুয়ে শুয়ে এটাও মনে হচ্ছিলো আর দু বছর আগের মতন না বলে চলে যাওয়া যাবে না এরপর | আর সেটা ঠিক ও হবে না | যে মানুষটা ওকে নিয়ে এতটা ভাবে , সে শুধু ভালোবাসতে পারেনি বলে সব যোগাযোগ শেষ করে দেয়া কোনো ঠিক কাজ নয় | তবে এই মুহূর্তে হঠাৎ মিথিলার কথাগুলোও মনে পরে গেলো রূপকথার | ও অনন্তর সাথে যোগাযোগ রাখলে মিথিলা রেগে যাবে না তো ! ওদের দুজনের রিলেশনে যেন কোনো প্রব্লেম না হয় ওর জন্য ! অনন্ত যে মিথিলারই , এটা রূপকথা অনেকদিন আগেই বুঝে গেছে | আর এতসব জেনে বুঝে রূপকথা কোনোদিনই নিজের ফিলিংসের কথা জানতে দেবে না অনন্তকে | মিথিলা এই ব্যাপারে একদম নিশ্চিন্তই থাকতে পারে | কথাগুলো এইবার ওদের দেখা হলে ও মিথিলাকে বোঝাবে |
এইসব সাত পাঁচ ভাবতে ভাবতেই সেইদিন রূপকথার চোখে ঘুম জড়িয়ে এসেছিলো আস্তে আস্তে | ক্লান্ত শরীরটা স্বপ্নের দেশে চলে গেছিলো তারপর | ঘুম ভাঙলো অনন্তর গলার আওয়াজ শুনে | ঘড়িতে তখন সাড়ে আটটা | রূপকথা অনন্তকে কফি হাতে সামনে বসে থাকতে দেখে একটু অবাক হয়ে খাটে উঠে বসলো | তারপর একটু ইতঃস্তত করে বললো ,
” তুমি আবার কফি নিয়ে কেন আসতে গেলে ? আমার শরীরটা ক্লান্ত ছিল বলে মনে হয় এতক্ষন ধরে ঘুমোচ্ছিলাম | নইলে সাতটায়ই উঠে পরি |”
অনন্ত এবার একটু হেসে উত্তর দিলো ,
” হ্যাঁ. ঠিক আছে | একদিন এইটুকু দেরীতে উঠেছিস বলে এতো এক্সপ্লিনেশন দেয়ার কিছু হয়নি | আর কফি নিয়ে এসেছি তো কি হয়েছে ? আমি চলতে পারি না বলে কি এইটুকু কাজও করতে পারবো না !”
অনন্তর এই শেষ কথাটা শুনে রূপকথার মুখটা এবার হঠাৎ থমকে গেলো | চোখ চলে গেলো অনন্তর নিথর দুটো পায়ের দিকে | আর মুখে অন্ধকার এসে ভিড় করলো |
অনন্ত ব্যাপারটা বুঝে পরিস্থিতিটাকে হালকা করার জন্য আবার বলে উঠলো ,
” আরে মজা করছিলাম আমি | এতে এতো সিরিয়াস হওয়ার কিছু নেই | নে, এবার কফিটা খা , নইলে ঠান্ডা হয়ে যাবে |”
কথাটা শোনার পর থেকে রূপকথার ভেতরটা এখন খাঁ খাঁ করলেও মুখের অন্ধকার সরিয়ে অল্প হেসে বললো ,
” বুঝলাম | আমি কিন্তু জানি তুমি খুব তাড়াতাড়ি ঠিক হয়ে যাবে | ফিজিওথেরাপিটা এবার রেগুলারলি করতে হবে কিন্তু | নইলে ছাড়ছি না | আর মিথিলাকেও দলে নিয়ে নেবো আমার | দু জনে মিলে জমিয়ে শাসন করবো তোমাকে | ঠিক না হয়ে যাবে কোথায় দেখি!”
কিন্তু কথাগুলো শুনে অনন্তর মুখটা এবার গম্ভীর হয়ে গেলো | একটু সময় নিয়ে থেমে থেমে বললো,
” মিথিলার সাথে আমার আর কোনো রিলেশন নেই | ছ মাস আগে এক্সিডেন্টের পরই ব্রেক আপ হয়ে গেছে | আসলে ওর বাবা মা চায়নি কোনো ইনভ্যালিড ছেলের সাথে ওর সম্পর্ক থাকুক | হ্যাঁ, ও চাইলে হয়তো জোর করে থাকতো পারতো ! কিন্তু কি দরকার এতো ঝামেলায় গিয়ে | তার থেকে আমাদের মধ্যে যা কিছু ছিল সেটাকে ভুলে যাওয়া অনেক সহজ | ”
কথাটা শেষ করে অনন্ত এবার একটু জোর করে হাসলো , আর খেয়াল করলো সকালের নরম আলো জানলা দিয়ে এসে লাগছে রূপকথার মুখে | তাতে কি ওর মুখটা আরো করুণ মনে হচ্ছে ! ওর চোখ দুটো কি এখন চিকচিক করছে জলে ! তাহলে কি অনন্তর কষ্টে কারোর চোখে জল আসে ! প্রশ্নগুলো একসঙ্গে মনে এসেই মিলিয়ে গেলো ওর | আর তার মাঝেই রূপকথা ঘরের নিঃস্তব্ধতা ভেঙে আস্তে গলায় আনমনে বলে উঠলো,
” আমার থাকা উচিত ছিল | ওই সময়টায় আমার তোমার সঙ্গে থাকাটা উচিত ছিল |”
অনন্ত ওর কথাটা শুনে এবার নিজেকে আটকে রাখতে না পেরে অনেকদিনের জমানো প্রশ্নটা করে ফেললো রূপকথাকে | ওর চোখের দিকে তাকিয়েই জিজ্ঞেস করলো , ———-
” তাহলে চলে গেছিলিস কেন ? কি হয়েছিল যার জন্য দু বছর তোকে এতো দূরে থাকতে হলো ?”
প্রশ্নটা শুনে কয়েক মুহূর্তের জন্য রূপকথা নির্বাক হয়ে গিয়েছিলো | কিন্তু আজ অনন্তর সামনে কিছুতেই মিথ্যে বলতে পারবে না ও | আবার সত্যিটাও বলার নেই | তাহলে কি উত্তর দেবে ! এইসব ভাবতে ভাবতেই অনন্তর মার্ আওয়াজ কানে এলো হঠাৎ | রান্নাঘর থেকে রূপকথাকেই ডাকছে এখন | ব্যাস, আর অপেক্ষা না করে রূপকথা বিছানা থেকে উঠে দাঁড়ালো | তারপর অনন্তর সামনে কথা ঘুরিয়ে বললো , ——- ” কাকিমা ডাকছে | মনে হয় কোনো দরকার আছে | যাই দেখে আসি |” …
কথাটা শেষ করেই ও আর অনন্তর প্রত্তুত্যরের অপেক্ষা না করেই ঘর থেকে বেরিয়ে গেলো | তবে অনন্তর এই মুহূর্তে বুঝতে বাকি রইলো না রূপকথা নিজেকে অদ্ভুতভাবে আড়াল করার চেষ্টা করছে ওর সামনে | তার মানে কি ওর জীবনে এমন কোনো কথা আছে যা অনন্তকেও বলা যায় না ! এমন কি ঘটনা আছে যেটা অনন্তকেও শেয়ার করা যায় না ! আগে তো দিন থেকে রাত , প্রত্যেকটা মিনিট সেকেন্ডের হিসেবে দিতো রূপকথা ওকে | তাহলে আজ কি হলো ! ওদের মাঝে এতো দূরত্ব কোথা থেকে চলে এলো ! না কি এই দূরত্বটা দু বছর আগেই তৈরী হয়েছিল , অনন্ত আজ খেয়াল করলো ! প্রশ্নগুলো একসঙ্গে এসে জড়ো হয়েছিল সেইদিন ওর মনে | কিন্তু কিছুতেই কোনো উত্তর খুঁজে পাচ্ছিলো না যেন | তবে এই প্রশ্নগুলোর সাথে একটা অদ্ভুত কষ্ট এসেও জমা হয়েছিল ভেতরে | কারোর দূরে চলে যাওয়ার কষ্ট | কিন্তু কি অদ্ভুত ! এরকম কষ্ট তো মিথিলার সাথে ব্রেক আপের দিনও হয়নি ওর ! আজকের এই কষ্ট, এই খারাপ লাগাটা যেন একেবারে আলাদা , একদম নতুন অনন্তর কাছে |
পরবর্তী পর্ব প্রকাশিত হবে কাল। এইরকম নানান স্বাদের ভালোবাসার গল্প পড়তে চাইলে সংগ্রহ করতে পারেন আমার সম্পূর্ন নতুন দুটি উপন্যাস ‘ শহরের উষ্ণতম দিনে ‘ এবং অগোছালো মন। দুটো বই এর পিডিএফ সংগ্রহ করলে মূল্য ১০০ টাকা। আর যে কোনো একটি বই এর পিডিএফ সংগ্রহ করলে মূল্য ৫০ টাকা মাত্র। পেমেন্ট ডিটেলস জানার জন্য এবং বইয়ের পিডিএফ সংগ্রহ করার জন্য মেসেজ করতে পারেন আমার হোয়াটস অ্যাপ নাম্বার 089103 33272 তে। পেমেন্ট করে একটা স্ক্রিন শট পাঠিয়ে দিলে বইয়ের পিডিএফ পাঠিয়ে দেয়া হবে হোয়াটস অ্যাপে।
প্রথম পর্বের লিঙ্ক
https://www.facebook.com/share/p/wvmwpTFdBoC6FGhd/?mibextid=oFDknk
দ্বিতীয় পর্বের লিঙ্ক
https://www.facebook.com/share/p/SjT8MMXEbZ24aQJR/?mibextid=oFDknk
তৃতীয় পর্বের লিঙ্ক
https://www.facebook.com/share/p/oE2Cis46UTH1Ubph/?mibextid=oFDknk

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here