হৃদয়ের ওপারে তুমি ❤ পর্ব-১৯

0
1332

#হৃদয়ের_ওপারে_তুমি
#গল্প_ভাবনায়_ফারজানা_ইয়াসমিন_রিমি (আপু)
#লেখিকা_রিয়া_খান
#পর্ব_১৯
-আরে ধুর বোকা, কথা পুরোটা শোন।তারপর বল যা বলার।
-বল তাহলে,
-দেখ আমাদের MBBS কোর্স শেষ হতে আরো দুই বছর,তারপর ইন্টার্নি। মানে পড়াশুনার মেইন ধাপ এই কয় বছর।এখন যদি আমি সংসারের ঝামেলা মাথায় নেই,তাহলে পড়াশুনাটা হবে না। আর যাই হোক ডক্টর হতে পারবো না, বাড়ির সামনে ডিসপেনসারি খুলে বসে থাকতে হবে লাস্টে।তাই আমি ভেবে দেখলাম আপাততো আমি এই কঠিন ধাপের পড়াশুনা শেষ করতে থাকি সে অব্ধি ফুল ইন্টারমিডিয়েট দিয়ে, ভার্সিটিতে ভর্তি হয়ে যাবে ওর বয়সটাতে তখন একটা ম্যাচিউরিটির প্রভাব পড়বে।ততো দিনে সবটা মানিয়ে নিতে শেখবে।
যদি আমাদের এংগেজমেন্ট মানে কাবিন টা করে রাখা হয় তাহলে আমার বউ আমার নামে তোদের কাছে আমানত। তোদের বোন তোদের কাছেই থাকলো।
কেমন লাগলো প্ল্যান?
-এটা তুই কিন্তু খারাপ বলিস নি।এটা জানলে বাড়ির প্রত্যেকেই খুব খুশি হবে।আর পরী তো কথায় নেই।
-হুম আমি অলরেডি আমার প্ল্যানিং টা বাড়িতে জানিয়ে দিয়েছি।তোদের আপত্তি না থাকলে আমাদের বাড়িতেও কোনো আপত্তি নেই।
-ঠিক আছে দেখা যাবে।
-আজকে কত তারিখ যেনো?
-১৪ তারিখ।
-ওহ আচ্ছা।
-হুম।

অভ্র হামি তুলতে তুলতে বললো,
-আচ্ছা শোন আমার খুব ঘুম পাচ্ছে।কাব্য তো অই রুমে ওকে ডেকে বল ঘুমিয়ে পড়তে।আমি ঘুমালাম, কেউ ডাকিস না আমায়।

মাথার নিচে বালিশ দিয়ে নিমেষেই ঘুমিয়ে গেলো।

অনেক্ষণ ধরে ঘুমানোর চেষ্টায় আছে ফুল, কিন্তু ঘুমাতেই পারছে না।চোখ বন্ধ করলেই তাঁর সামনে রাজপুত্র আসছে। ঘুমাতে পারছে না কোনোমতেই। শুধু এপাশ ওপাশ করে যাচ্ছে।

-অনু তুমি কি ঘুমিয়ে গেছো?
-না বলো,
-একটা সত্যি কথা বলবে?
-কি প্রসঙ্গে?
-অভ্র ভাইয়া আমাকে পছন্দ করে এটা তুমি আগে থেকে জানতে তাই না?
অনু মুচকি হেসে দিলো।ফুল উত্তর পেয়ে গেলো।
-আচ্ছা কবে থেকে উনি আমাকে পছন্দ করেন?
-তোমাকে যেদিন দেখেছে।
-কবে দেখেছে?
-টাংগাইল যেদিন এলাম সেদিন ই।
-কেনো এর আগে দেখে নি?কাব্য নানার কাছে তো আমার ছবি আছে, মীরা আপু না বললো তাঁরা সবাই আমাকে ছবিতে দেখেছে আগে।
অনু হেসে দিয়ে উত্তর দিলো,
-তাহলে তোমাকে একটা কাহিনী শুনায়,মন দিয়ে শুনো।তোমার সব প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবে।
-বলো শুনি তাহলে।
-কাব্য ভাইয়া তো সেই শুরু থেকে তাঁর ফ্রেন্ড সার্কেলের কাছে তোমার কথা খুব বলতো। একদম তুমি সম্পর্কিত খুঁটিনাটি
সব বিষয়ই বলতো।কাব্য ভাইয়া সব কথায় তোমার নাম উঠাতো। তাদের ফ্রেন্ড সার্কেলের প্রত্যেকের তোমার প্রতি একটা আলাদা ফিলিংস জন্ম নেয়।তারপর তোমার ছবি দেখে আরো ইম্প্রেস হয়।
কিন্তু এসবের মধ্যে আমার ভাইয়া তোমার ছবি দেখবে তো দূরে থাক তোমার নাম অব্ধিও শুনতে পারতো না।
-কেনো?
-কারণ কাব্য ভাইয়া সব সময় তোমার কথা বলতো,ভাইয়া এক কথা বার বার শুনতে একদমই পছন্দ করে না।ভাইয়া যতটা ঠান্ডা মেজাজের ততোটাই রাগী।বার বার এক টপিক শুনে বোর হয়ে রাগারাগি করতো তোমার কথা উঠলেই।যেদিন এলাম সেদিনও ভাইয়া রাগারাগি করছিলো রাস্তায়।কিন্তু তোমাকে দেখার পর ভাইয়ার রাগ হাওয়া হয়ে যায়।
একদিনেই ভাইয়া তোমার এতো গভীর প্রেমে পড়েছে,ভাবো একটা বার যদি আগে দেখতো ভাইয়ার কি হাল হতো?

ফুল খিল খিল করে হেসে দিলো,
-তুমি হাসছো!জানো ভাইয়া কতটা ভালোবাসে তোমাকে!সারাক্ষণ শুধু তোমার কথা বলে,তোমার কথা জিজ্ঞেস করে।আর বউমণিকে তো তোমার কথা বলে বলে একদম মাথা খেয়ে দিচ্ছে।আমার ভাইকে কোনো দিন কষ্ট দিও না। দেখো আমার ভাইয়া তোমাকে অনেক ভালোবাসবে,কেয়ার করবে। ভাইয়া সবার ব্যাপারেই খুব কেয়ারিং।দেখবে তোমাকে আরো অনেক অনেক ভালোবাসবে ভাইয়া। আচ্ছা তুমি আমার ভাইয়াকে ভালোবাসো তো?

ফুল লাজুক হেসে দিয়ে বললো,
-ধেত কি যে বলোনা। আমি তো সেভাবে কোনো দিন চিন্তাই করি নি।কাব্য নানাকে যেরকম চোখে দেখি অভ্র ভাইয়াকেও সেই ভাবেই দেখি।ওরকম ভালোবাসা বিয়ে নিয়ে কোনো দিন চিন্তাই করি নি।
-এখন থেকে তাহলে সেভাবে ভেবে দেখো। আর ভাইয়ার সাথে বিয়ে নিয়েও চিন্তা করো।আমি জানি ভাইয়াকে ভালোবাসতে তোমারও বেশি সময় লাগবে না।

ফুল লজ্জা পেয়ে কাঁথা দিয়ে মুখ মুড়ি দিয়ে রইলো। অভ্রর ব্যাপারে কিছু ভাবতেই পারছে না, ওর চেহারাটা ভেসে উঠলেই লজ্জা লাগছে। মাঝে মাঝে যে অভ্র মজার ছলে ফুলকে নানান কথা বলতো ওগুলো মজার ছলে হলেও সিরিয়াসলিই বলছিলো।সব সময় তো ফুল ব্যাপার গুলো মজার ছলে ইয়ার্কি মনে করে বসে থাকতো।কখনো ভাবতেও পারে নি যে সত্যি সত্যি অভ্র ফুলকে ভালোবাসে।
-সামনে এসে প্রপোজ না করে দুই ফ্যামিলিতে সোজা বিয়ের কথা বলে দিয়েছে কি আজব ব্যাপার!ঠিকি আছে রাজপুত্ররা তো এমনই হয় সব সময়।
সোজা রাজার কাছে বিয়ের প্রস্তাব দেয়।
সবটা রূপকথার গল্পের মতো ঘটছে!এমনটাই তো চেয়েছি সারাজীবন!
কিন্তু গল্পে তো রাজপুত্র রাজকন্যাকে নিয়ে নিজের রাজ্যে চলে যায়।তার মানে আমাকেও চলে যেতে হবে!না না আমি রাজপুত্রকে বলে দেবো সারাজীবন আমি এখানেই থাকবো।রাজপুত্র যদি আমায় ভালোবাসে তবে আমার কথা ফেলতে পারবে না।

মনে মনে নানান কথা চিন্তা করতে করতে ফুল ঘুমিয়ে গেলো।

আকাশের বাবা রাতেই কাব্যর বাবার সাথে কথা বলে সবটা বলেছে।সকাল বেলা ফুলের বড় চাচার বাড়িতে আলোচনা সভা বসেছে,মনে হচ্ছে আজকেই সব ফাইনাল হবে।ফুলের বাবা-চাচা-মামা-ফুপা,আর বাড়ির সব গিন্নীরা।
সাত ভাই আর তাদের বউ।অভ্র আর ওর ফ্রেন্ড সার্কেল বসে আছে ড্রয়িংরুমে।

ভিডিও কনফারেন্সে অভ্রর ফ্যামিলির সাথে কথা হচ্ছে এখানে।সবাই যেহেতু কর্ম জীবনে ব্যস্ত তাই সরাসরি আলোচনা করাটা সম্ভব না।সবার সময় বের করে টাংগাইলে আসতে হবে।

কথাবার্তার মাধ্যমে সবাই সিদ্ধান্ত পাকা করলো,আগামী ১৭ ই আগস্ট অভ্রর ফ্যামিলির লোকজন আসবে কাবিন করে এংগেজমেন্ট করতে।

ডেট ফাইনালের খুশিতে ফুপিমা সবাইকে নানা রকম মিষ্টি খাওয়াতে লাগলো।কিছুক্ষণ কথাবার্তা চালিয়ে অভ্ররা বেরিয়ে এলো বাড়ি থেকে।আকাশদের ফ্ল্যাটে যাওয়ার আগে ফুলদের ফ্ল্যাটের দিকে নজর পড়লো,

-আকাশ!
-বল
-ফুলকে দেখলাম না যে।
-হয়তো নিজের ঘরে আছে।
-আমি কি ওর সাথে দেখা করতে পারি?যদি কিছু মনে না করিস।
-আরে কে কি মনে করবে,দুদিন পর জামাই হতে যাচ্ছিস এবাড়ির।তুই পুতুলের রুমটা কি চিনিস?চল আমিই দেখিয়ে দেই,গিয়ে কথা বল।তোদের তো তেমন কোনো কথাবার্তাও হয় নি বিয়ের ব্যাপারে।গিয়ে কথা বল যা।কেউ কিছু মনে করবে না।

আকাশ অভ্রকে নিয়ে ভেতরে গিয়ে ফুলের রুম দেখিয়ে দিলো,অভ্র ফুলের রুমে ঢুকতে যাবে অনু ভেতর থেকে বের হলো,
-শাহ্জাদী আমার হুর কি ঘরে আছে?
– শুধু ঘরেই না, আপনার হুর এখন খাটে ঘুমাচ্ছে।
-এখনো উঠে নি!
-হয়তো রাতে ঘুম হয় নি, তাই এখনো ঘুমাচ্ছে।
-ঘুম হয় নি কেনো?খারাপ লাগছিলো ওর?মাথাটা টিপে দিতি একটু তাহলেই তো ঘুম হয়ে যেতো।

অনু হতভম্বের মতো অভ্রর দিকে তাকিয়ে বললো,
-এখনি?
-কি এখনি?
-কিছু না।ওর ঘুম হচ্ছিলো না কেনো সেটা আমি কি করে বুঝবো!তোমরাই ভালো জানো।

কথাটা বলেই অনু পাশ কাটিয়ে চলে গেলো।
অভ্র অনুর যাওয়ার দিকে তাকিয়ে রইলো।কিছুক্ষণ পর হুঁশ ফিরতেই অভ্র আস্তে আস্তে ফুলের রুমে ঢুকতে লাগলো।কেনো জানি বুক ধক ধক করছে খুব।নার্ভাস লাগছে প্রচন্ড ।আজকে প্রথম ফুলের রুমে আসা,আর এভাবে একা একা ওর কাছে আসা।

রুমে ঢুকতেই দেখলো, জানালার সাইডে গুটিশুটি মেরে বেঘোরে ঘুমোচ্ছে। একটা কাঁথা নিয়ে অর্ধেক শরীর ঢেকে ঘুমের দেশে বিরাজ করেছে। অভ্র চুপচাপ ফুলের খাটে ওর পাশে বসে পড়লো আস্তে করে।জোড়াশীন পেতে বসে গালে হাত দিয়ে মন ভরে দেখে যাচ্ছে তাঁর হুরকে।

মেয়েদের চিবুকে তিল নাকি সৌন্দর্য্যকে বাড়ায়।কিন্তু ফুলের চিবুকে তো দূরে থাক ঠোঁট ব্যতিত আর পুরো মুখ মন্ডলে কোনো তিল নেই।

ঠোঁটটাও লালচে গোলাপী রঙের।
– একেতো হুরের পাশাপাশি স্নো হোয়াইটও নাম দেয়া যায়! ভাবতেই অবাক লাগছে একদিন এই মেয়েটা আমার বউ হয়ে যাবে আমার ঘরে।সেদিন দেখা হলো ওর সাথে, কতো তাড়াতাড়ি ভালোবেসে ফেললাম আমি!আচ্ছা এই ভালোবাসা আজীবন টিকবে তো? বিয়ের পর কি ও আমার সাথে ঝগড়া করবে? নাহ ঝগড়া করা যাবে না, ঝগড়া মানে অশান্তি। এমন ভাবে থাকতে হবে সব সময় যেনো ওর অভিমান না জমে কখনো,তাহলে আর ঝগড়া করতে আসবে না।(মনে মনে)

বেশিক্ষণ তাকিয়ে থাকতে পারলো না, মিনিট ছয়েক পর ফুলের ঘুম ভেঙে গেলো।শরীর মোচাড় দিয়ে চোখ খুলে তাকাতেই চোখের সামনে অপ্রত্যাশিত ভাবে অভ্রকে দেখে ফুল লজ্জায় কাঁথা টান দিয়ে মুখ ঢেকে ফেললো,

অভ্র ফুলের কান্ড দেখে হেসে দিলো।
-কতোক্ষণ থাকবে এভাবে?

ভেতর থেকে ফুল উত্তর দিলো,
-আপনি যতক্ষণ এখানে থাকবেন।
-ওহ তাহলে তো আমি আজকে সারাদিনেও এখান থেকে নড়বো না।দেখি কতোক্ষণ তুমি কাঁথা মুড়ি দিয়ে থাকতে পারো!
-ওহো! কেনো এসেছেন এখানে?
-তোমাকে দেখতে,তোমার সাথে কথা বলতে।
-আমাকে দেখেছেন?
-হুম।
-কথা বলেছেন?
-এইতো কেবল ঘুম থেকে উঠলে, দু একটা কথা হলো মাত্র।
-তাহলে তো হলোই।এখন চলে যান।
-এভাবে বলছো কেনো?
-কিভাবে বলছি?

-আচ্ছা তুমি কি আমার উপর কোনো কিছু নিয়ে নারাজ?বাই এনি চান্স তুমি কি এই বিয়েতে রাজি না বলে এমন করছো?আমাকে কি অপছন্দ?
-আরে বাবা আপনাকে অপছন্দ হওয়ার কোনো প্রশ্নই আসে না।আমি আপনার উপর নারাজও না।এরকম কোনো ঘটনাই না।আর বাপ ভাইয়েরা আমাকে যেখানে বিয়ে দিয়ে খুশি আমি সেখানেই খুশি, আমার কোথাও কোনো আপত্তি নেই
-তাহলে তুমি আমার সাথে এমন কঠিন করে কথা বলছো কেনো?
-কোথায় কঠিন করে বললাম! আমি তো জাস্ট রুমে থেকে চলে যেতে বলেছি।
-তুমি চাইলে আমি টাংগাইল থেকেও চলে যেতে প্রস্তুত শুধু কারণটা জানতে চাই।
-আরে কারণ কিছুই না,আমি বিছানা থেকে উঠবো।
-উঠো তো সমস্যা কোথায়?উঠে ফ্রেশ হয়ে আসো।তারপর দুজনে গল্প করি।প্রয়োজনে তুমি খাওয়া দাওয়া করব এসে বসো।
-আপনি চলে যান তারপর উঠবো।
-আমার চলে যাওয়ার সাথে তোমার উঠার কি সম্পর্ক।
-সম্পর্ক আছে আপনি চলে যান।
-আচ্ছা আমি যদি চোখ বন্ধ করি তাহলে হবে?আমি চোখ বন্ধ করে বসে থাকি তুমি ওয়াশ রুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে আসো। না আমি বরং বারান্দায় যাই।তুমি ফ্রেশ হয়ে এসে আমাকে ডাকলে আমি রুমে আসবো।

ফুল কোনো কথা বললো না, অভ্র উঠে গিয়ে বারান্দায় চলে গেলো,ওর উঠে যাওয়ার শব্দ শুনে ফুল কাঁথার ভেতর থেকে মুখ বের করে দেখলো রুমে নেই অভ্র,তার মানে বারান্দায়।

সাথে সাথে বিছানা ছেড়ে উঠে ওয়াশরুমে চলে গেলো।

-কিরে বারান্দায় কি করছিস?
-তোদের বোন আর আমি লুকোচুরি খেলছি, আমি এখানে দাঁড়িয়ে মনে মনে কাউন্টিং করছি, আর ও লুকাচ্ছে।একটু পর গিয়ে আমি খুঁজবো ওকে।

আকাশ হেসে হেসে বললো,
-দুই পাগল এক গারদে পড়ছে! হা হা হা

কথাটা বলেই আকাশ জানালার পাশে থেকে সরে গেলো। অভ্র বারান্দাতেই রয়ে গেলো।কিছুক্ষণ পর ফুল ওয়াশ রুমে থেকে বের হলো । রুমে এসে ফুল অভ্রকে ডাক দিলো
-ভেতরে আসেন।

অভ্র রুমে এলো,ফুলের দিকে তাকিয়ে আছে ফুলের মুখটা শুকনো শুকনো লাগছে, একটা নির্লিপ্ততা কাজ করছে ওর চেহারায়। বিছানায় বসতে বসতে অভ্রকে বসতে বললো,
অভ্রও বসে পড়লো,
-তুমি ঠিক আছো তো?
-হুম ঠিক আছি আমি।
-ওহ তাহলে তো ভালোই হলো।
-এখন বলুন তো রাজপুত্র ওরফে খান সাহেব এই গরীবের রাজ্যে কেনো আসা?

অভ্র হেসে দিয়ে বললো,
-রাজ্যটা গরীব নাকি ধনী সেটা জানিনা, এখানে একটা হুর দেখেছি,তাকে সাথে করে নিয়ে যাবো ভাবছি সেই জন্য আসা।
-আচ্ছা শুনেন আপনি এসে ভালোই করেছেন।আমিই আপনার সাথে কথা বলতে যেতাম।আমার এই বিয়েতে একটা শর্ত আছে,যদি রাজি থাকেন তবে আমি এই বিয়ে করবো। না হলে আমার কিছু করার নেই সরি।
-কন্ডিশন পরে শুনবো।এখন তুমি রেস্ট নাও। আমি পরে আসবো তোমার সাথে কথা বলতে।

ফুলকে কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে অভ্র উঠে চলে যেতে লাগলো।

চলবে…………

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here