#হৃদয়ের_শুভ্রতা🌸🌸
পর্ব-১২
#ফাবিহা_নওশীন
🌼🌼
শুভ্রার নিশ্বাসের শব্দ পাচ্ছে হৃদ কিন্তু শুভ্রা না নড়াচড়া করছে আর না কোনো কথা বলছে।হৃদের মতে শুভ্রার এখন চিতকার চেচামেচি করা উচিত।শুভ্রা হৃদের মাথা ফাটিয়ে দিলেও হৃদ অবাক হবেনা।
শুভ্রার নীরবতা দেখে হৃদ মজা করে বললো,
—–কিরে ডোজ নিতে না পেরে মরে গেলি নাকি?
হৃদের কথা শুভ্রার কানে যেতেই শুভ্রা ছিটকে সরে গেলো।দুম করে দরজা খোলে বেরিয়ে গেলো।যাওয়ার সময় মনে মনে যত প্রকার গালি জানে হৃদকে দিয়ে ফেলেছে।
শুভ্রা খাবার টেবিলে খেতে আসেনি।ওর আপাতত হৃদের সামনে যাওয়ার ইচ্ছে নেই।হৃদ শুভ্রাকে না দেখে কিছুটা চিন্তিত।ডিনার শেষে শুভ্রার রুমের সামনে গিয়ে দরজা ধাক্কা দিলো।ভিতর থেকে লক করা।
শুভ্রার ফোনে একটা মেসেজ এলো।
“কি গো একটা চুমু খেয়ে পেট ভরে গেছে?”
শুভ্রার কপালে চিন্তার ছাপ ফুটে উঠেছে।আননোন নাম্বার থেকে কে এমন মেসেজ করতে পারে?
শুভ্রা রিপ্লাই করলো কে আপনি?
“তোমার চুমুপুরুষ”
মেসেজ দেখে শুভ্রা লাফিয়ে উঠলো।
শুভ্রার মেজাজ খারাপ হয়ে গেলো।
হৃদকে মেসেজ করলো,
“আমি তোর মুখ থিতলে দিয়ে চুমু খাওয়ার শখ মিটিয়ে দেবো।”
মেসেজ দেখে হৃদের হাসতে হাসতে অবস্থা খারাপ।
অপর দিকে শুভ্রা বিরবির করে বলছে,
“প্রপোজ করার নাম নেই চুমু খেয়ে এসেছে।”
🌺🌺
এভাবে অনেকদিন কেটে গেছে।অরিত্র প্রতিদিন রোজকে নানা ভাবে মানানোর চেষ্টা করছে কিন্তু রোজ কিছুতেই অরিত্রকে পাত্তা দিচ্ছেনা।অরিত্র এ নিয়ে অনেক আপসেট।তবে রোজ ফিল করতে পারছে ও অরিত্রকে ভালোবাসে।
কিন্তু কোথাও একটা বাধা পাচ্ছে।
আজকেও ফটোসেশান আছে।সামনের সপ্তাহে ফাইনাল শো।
শুভ্রা আয়নার সামনে দাড়িয়ে নিজের মেকাপ দেখে নিচ্ছে।
পিছনে থেকে কেউ দু কাধে হাত রেখেছে।খোলা কাধে কারো স্পর্শ পেয়ে শুভ্রার মেজাজ বিগড়ে গেলো।কাধে থেকে হাত সরিয়ে ইশানকে দেখে ওর মাথায় ধপ করে আগুন জ্বলে উঠে।নিজের রাগকে কন্ট্রোল করতে না পেরে ইশানের গালে থাপ্পড় মারার জন্য হাত উঠালো।
ইশান অবাক হয়ে গেলো শুভ্রার এমন কান্ড দেখে।
—–আরে আরে কি করছো?
শুভ্রা নিজের রাগ কন্ট্রোল করে বললো,
—–ইয়ে মানে,, সরি।হটাৎ করে গায়ে হাত দেওয়ায়…
যাইহোক,আমার পারমিশন ছাড়া আমার গায়ে কখনো হাত দিবেনা।
—–ওকে ওকে আ’ম সরি।তুমি অন্যদের থেকে আলাদা ভুলেই যাই।আসলে তুমি দেখতে এত হট যে…
শুভ্রা চোখ পাকিয়ে তাকালো।
—–শাট আপ।শুভ্রা নট এ চিপ গার্ল।ডোন্ট ডেয়ার টু টাচ মি নেক্সট টাইম।
শুভ্রার নিজেকে উপরে স্বাভাবিক রাখলেও ভিতরে ভিতরে রাগ হচ্ছে।
শুভ্রা রুম থেকে বের হয়ে গেলো।
শুট শেষে শুভ্রা বসে আছে।ইশান শুভ্রার পাশে এসে বসে বললো,
—-এখনো রেগে আছো?কাম অন শুভ্রতা,ইটস নট ফেয়ার।প্লিজ ফরগেট দিস এন্ড টেক দিস ইজিলি।
—–ইশান লিভ মি এলোন।তোমার সাথে কথা বলতে ইচ্ছে করছে না।
—–ওকে ওকে আ’ম সরি।প্লিজ।
(কান ধরে)
শুভ্রা ইশানের কান ধরার দিকে চাইতেই হৃদকে দেখলো।হৃদ বরাবর দাঁড়িয়ে ওদের দেখছে।সেটা দেখে শুভ্রা বললো,
—-ওকে,ওকে ইটস ওকে।এখন কান ছাড়ো।
তারপর দুজনে কথা শুরু করে দিলো।শুভ্রা হৃদকে দেখিয়ে দেখিয়ে হেসে হেসে কথা বলছে।
হৃদের আর সহ্য হচ্ছে না।হৃদ ভেবেছিলো সেদিনের পর শুভ্রার সাথে ওর সম্পর্ক অনেক বদলে যাবে।ওদের সম্পর্কের উন্নতি হবে।শুভ্রা নিজের ফিলিংস আর লুকাবে না।কিন্তু না শুভ্রা আগের মতোই বিহেভ করছে।হৃদ হটাৎ করে শুভ্রার সামনে গিয়ে ওর হাত ধরে দাড় করালো।ওর কান্ডে ইশান,শুভ্রা দুজনেই হতবাক।
—–কি করছেন?
হৃদ ইশানের দিকে একবার তাকিয়ে শুভ্রার দিকে তাকালো।তারপর দাতে দাত চেপে বললো,
—–কথা আছে।
তারপর শুভ্রাকে কোনো সুযোগ না দিয়ে নিজের কেবিনে নিয়ে গিয়ে দরজা লক করে ওর হাত ছেড়ে দিলো।শুভ্রার আপাতত হৃদকে ভয়ানক লাগছে।আরো বেশি ভয় পাচ্ছে কেননা হৃদ কেবিন পাল্টে ফেলেছে।বাইরে থেকে ভিতরটা দেখা যায়না।তাই হৃদ যা খুশি করতে পারে।
হৃদ শুভ্রার হাত ছেড়ে দিয়ে বললো,
—–সমস্যা কি তোর?
—-কোনো সমস্যা নেই।
—–তাহলে ইশানের সাথে কি করছিলি?
শুভ্রা স্বাভাবিক ভাবেই বললো,
—–ফ্লার্ট করছিলাম।
শুভ্রার এহেন উত্তরে হৃদের শরীর রাগে কাপছে।হৃদ ওয়ালে একটা লাথি মেরে বললো,
—–তুই ওর সাথে কেন ফ্লার্ট করছিলি?
শুভ্রা নির্ভয়ে উত্তর দিলো।
—–কেন আবার?আমি সিংগেল।আমি ফ্লার্ট করতেই পারি।তাছাড়া এখনই বয়স ফ্লার্ট করার।এখন ফ্লার্ট করবোনা তো বুড়ো হলে করবো?আমি চাইলেও তখন কেউ আমার সাথে ফ্লার্ট করবেনা।একদমই না।
—-তুই সিংগেল?
—–ইয়েস।এনি ডাউট?
শুভ্রার কথা শুনে হৃদের নিজের চুল নিজের ছিড়তে ইচ্ছে করছে।হৃদ সামনে যা পাচ্ছে তাই ভাংছে।রুম অলরেডি তছনছ করে দিয়েছে।কেবিনের উপরের জিনিসপত্র ছুড়ে ফেলছে।
শুভ্রা যেখানে দাঁড়িয়ে ছিলো সেখানেই নির্বিকার দাঁড়িয়ে আছে।হৃদকে থামানোর চেষ্টা করছে না।শুভ্রার চোখে পড়লো হৃদের হাত বেয়ে রক্ত পড়ছে।শুভ্রা হৃদের কাছে গিয়ে হৃদের হাত ধরে বললো,
—-একি!তোমার হাতে রক্ত।
হৃদ ঝাড়া মেরে বললো,
—-থাকুক রক্ত।ছুবি না আমায়।
শুভ্রা মাথা নাড়িয়ে বললো,আচ্ছা।ছুবোনা।
তারপর আবার যেখানে দাড়িয়ে সেখানে গিয়ে দাড়ালো।দাড়িয়ে দাড়িয়ে নখ কামড়াচ্ছে।
হৃদ শুভ্রার এমন আচরণের কোনো মানে খোজে পাচ্ছেনা।শুভ্রাকে দেখে মনে হচ্ছে কিছুই হয়নি।
হৃদ শুভ্রার কাছে গিয়ে বললো,
—-তুই কি চাস বলতো আমার কলিজা কেটে তোকে দিয়ে দেই?
শুভ্রা স্বাভাবিক ভাবেই বললো,উহু।তোমার কলিজা দিয়ে আমি কি করবো?
হৃদ শুভ্রার কথায় হতাশ হলো।তারপর ক্লান্তস্বরে বললো,
—–তাহলে কি চাস আমি মরে যাই?
এবারো শুভ্রা স্বাভাবিক।মুখ থেকে নখ সরিয়ে বললো,
—–সেটাও চাইনা।
হৃদ নিজেকে আর শান্ত রাখতে পারছেনা।
চিতকার করে বললো,
—–তাহলে কি চাস?জাস্ট টেল মি হোয়াট ডু ইউ ওয়ান্ট,ডেম ইট?
শুভ্রা হৃদের কাছে গিয়ে নরম কন্ঠে বললো,
—–আসলেই কি তুমি জানোনা আমি কি চাই?তুমি নাকি শুভ্রার নারি নক্ষত্র সব জানো?তাহলে?
হৃদ শুভ্রার চোখের দিকে চেয়ে আছে।শুভ্রার গলা ভারী হয়ে আসছে।শুভ্রা আর কথা বলতে পারছেনা।শুভ্রার ছলছল চোখে হৃদের কেবিন ত্যাগ করলো।হৃদ শুভ্রাকে আটকায়নি।
শুভ্রা দিকবিদিকশুন্য হয়ে অফিস থেকে বের হচ্ছে।হটাৎ করে ওর সামনে ইশান এসে দাড়ালো।শুভ্রা একবার ইশানের দিকে তাকিয়ে পাশে কাটিয়ে হাটা ধরলো।
পেছনে পেছনে ইশান গিয়ে বললো,
—–শুভ্রতা দাড়াও।
শুভ্রা বিরক্তি নিয়ে দাড়ালো।
ইশানের দিকে বিরক্তি নিয়ে চেয়ে বললো,
—–হোয়াট??
ইশান রহস্যময় হাসি দিয়ে বললো,
—–সেটা তো আমি জানতে চাই।নিজেকে বাইরে স্বতী দেখাতে চাও,গায়ে হাত দিলে এমন ভাব করো যেনো শরীর খসে পড়বে।
আর সেখানে স্যার যখন তোমার হাত ধরে নিয়ে যাচ্ছিলো কিছুই বলছিলে না,আর না বাধা দিয়েছো।স্যারের সাথে তার কেবিনে ঘন্টার পর ঘন্টা কাটাও।আর আমি গায়ে হাত দিলেই দোষ।আসলে অন্য মডেলদের মতো তুমিও চিপ গার্ল,আমাকে পাত্তা না দিয়ে নিজের ডিমান্ড বাড়াচ্ছো আর স্যারের কেবিনে ঘন্টার পর ঘন্টা সার্ভিস দিচ্ছো।
শুভ্রা সর্বোচ্চ শক্তি দিয়ে ইশানের গালে থাপ্পড় মেরে বললো,
—–এই থাপ্পড়টা তোকে আরো আগে মারা উচিত ছিলো।তখন না মেরে ভুল করেছি,তাহলে এখন এমন বাজে কথা বলার সাহস পেতি না।তুই জানিস আমি কে?
আমি শুভ্রতা খান।এই যে কোম্পানি,অফিস দেখছিস এটা আমাদের।আমি টাকার জন্য এখানে মডেলিং করতে আসিনি।জাস্ট একটা প্রব্লেম হয়েছে তাই শখের বশে কোম্পানির প্রেজেন্টেশন করতে এসেছি।আর যাকে স্যার বলেছিস ও আমার কাজিন।আমরা এক বাড়িতে থাকি।যত্তসব ফাউল লোক।লাই দিয়ে মাথায় তুলে ফেলেছি।সামান্য একজন এমপ্লয়ি হয়ে আমার দিকে আংগুল তোলার সাহস কি করে হলো?
ইশান শুভ্রার কথা শুনে নির্বাক,নিস্তব্ধ।
শুভ্রা যে এই কোম্পানির মালিকের কেউ হয় ভাবতেই পারেনি।
হৃদ শুভ্রার চেচামেচি শুনে ওর সামনে এসে দাড়ালো।
—-হোয়াটস গোয়িং অন হেয়ার?
ইশান হৃদের কথা শুনে ঘাবড়ে গেলো।তারপর শুভ্রার দিকে তাকালো।শুভ্রা হৃদকে বললো,
—–আমি এই ষ্টুপিডের সাথে কাজ করবোনা।হি ইজ লাইক এ ব্লাডি বিচ।
হৃদের সন্দেহ হচ্ছে।যার সাথে এত ভাব।কিছুক্ষণ আগেও হেসে হেসে আড্ডা দিচ্ছিলো।তার সম্পর্কে এসব কথা বলছে।
—–কি হয়েছে শুভ্রা?
ইশান আমতা আমতা করে বললো,
—–ইয়ে স্যার..
হৃদ হাত উচু করে ইশানকে থামিয়ে দিলো।
—–শুভ্রা কিছু জিজ্ঞেস করছি?
শুভ্রা বললো,
—–ও আমাকে বাজে কথা বলেছে।আমি নাকি তোমার কেবিনে গিয়ে সার্ভিস দেই।
শুভ্রার কথা শুনে হৃদের মাথায় রক্ত উঠে গেলো।হটাৎ করে চোখ মুখ রক্তবর্ণ ধারণ করলো।যার দরুন ফর্সা মুখ লাল হয়ে গেলো।
হৃদ ইশানকে কিছু বলতে যাবে তখনই শুভ্রা হৃদকে থামিয়ে দিলো।শুভ্রা হৃদের হাত ধরে টানতে টানতে নিচে নিয়ে গাড়ির সামনে গিয়ে ছেড়ে দিলো।
হৃদের সারা শরীর তখনো রাগে কাপছে।
শুভ্রা হৃদকে বললো,
—–বাড়ি যাওয়া যাক।
শুভ্রা গাড়িতে গিয়ে বসলো।হৃদের ইচ্ছে করছে ইশানকে পুতে ফেলতে কিন্তু শুভ্রার জন্য পারছেনা।হৃদ ইশানকে পরে দেখে নিবে।গাড়িতে উঠে বসে চুপচাপ ড্রাইভ করছে।শুভ্রাও হৃদের সাথে আর কোনো কথা বলেনি।
রোজের ভার্সিটির সামনে দিয়ে ওদের গাড়ি যাচ্ছে।
রোজ বান্ধবীদের সঙ্গে ফুচকা খাচ্ছে রোডসাইডে।হটাৎ করে অরিত্র এসে রোজের প্লেট থেকে একটা ফুচকা নিয়ে মুখে পুড়ে দিলো।
রোজ রেগে বললো,
—–আমার ফুচকা!!আপনি আমার ফুচকা নিলেন কেন?অসভ্য ছেলে।
অরিত্র আরেকটা ফুচকা নিয়ে হেসে বললো,
—-আমার বউয়ের ফুচকা আমি খেয়েছি তাতে কার কি?
সাথে সাথেই অরিত্রের গালে একটা থাপ্পড় পড়লো।
সবার দৃষ্টি থাপ্পড়দাতার দিকে।
রোজ অবাক হয়ে বললো,
—-ভাইয়া!!
শুভ্রা তাড়াতাড়ি গাড়ি থেকে নেমে এলো।
হৃদ রোজের কথা পাত্তা না দিয়ে অরিত্রকে বললো,
—-তোর এতো বড় সাহস আমার বোনকে ডিস্টার্ব করছিস?
হৃদ এমনিতেই ইশানের কাহিনির জন্য রেগে আছে।আর এখন অরিত্রকে রোজের সাথে এমন বিহেভিয়ার করতে দেখে আরো রেগে যায়।অরিত্রকে এলোপাথাড়ি মেরেই যাচ্ছে।রোজ বারবার বলছে ছেড়ে দেওয়ার জন্য।শুভ্রা কি করবে বুঝতে পারছেনা।রোজ কাদতে কাদতে বললো,
—–শুভ্রাপু কিছু করো।
শুভ্রা হৃদের কাছে গিয়ে ওকে থামানোর চেষ্টা করছে।হৃদের হাত ধরে টেনেও সরাতে পারছেনা।রোজ হৃদের কাছে গিয়ে কাদতে কাদতে চিতকার করে বললো,
—–ভাইয়া ওকে ছেড়ে দে প্লিজ।আমি ওকে ভালোবাসি।
হৃদ রোজের কথা শুনে থমকে গেলো।একবার বোনের দিকে তাকিয়ে আরেকবার অরিত্রের দিকে তাকালো।ছেলেটার নাক দিয়ে রক্ত পড়ছে।হৃদ ওকে ছেড়ে গাড়িতে উঠে বসলো।মাথায় দু’হাত চেপে নিজেকে শান্ত করছে।
শুভ্রা রোজকে বললো,
আগে বলবি তো।
রোজ বললো,
—–আপু আমি বুঝতে পারিনি।আর ভাইয়া এতোটা রেগে গেছে যে কিছুই শুনছিলো না।
শুভ্রা অরিত্রের দিকে তাকিয়ে বললো,
—-ভাইয়া,সরি।ওর ভাইয়ার পক্ষ থেকে আমরা দুঃখীত।আর খুবই লজ্জিত।ও আসলে বুঝতে পারেনি আর তাছাড়া একটা ব্যাপার নিয়ে খুব রেগে ছিলো।আর মিসআন্ডারস্ট্যান্ডিং হয়ে গেছে।তাই,,
অরিত্র হেসে বললো,
—–ইটস ওকে।প্লিজ আপনারা লজ্জিত হবেন না।আমি কিছু মনে করিনি।আমি আজ অনেক বড় কিছু পেয়ে গেছি।
(রোজের দিকে তাকিয়ে)
হৃদ জোরে জোরে গাড়ির হর্ণ বাজাচ্ছে।
শুভ্রা বললো,
—-আমাদের এখন যেতে হবে।আপনি প্লিজ ডাক্তারের কাছে গিয়ে ব্যান্ডেজ করে নিবেন।
—–জ্বী।
রোজ অরিত্রের দিকে একবার চেয়ে গাড়িতে উঠে বসে।অরিত্র ইয়েস বলে সেখান থেকে চলে যায়।কখন থেকে কেদেই চলেছে।শুভ্রা রোজকে বাহুডোরে আবদ্ধ করে বললো,
—–স্টপ ক্রায়িং।আরে বাবা ভালোই তো বেসেছিস মার্ডার তো করিস নি।বেশ করেছিস।তোর পাশে কেউ না থাকলেও আমি আছি।ছেলেটা যথেষ্ট ভদ্র দেখেই বুঝা যায়।কত সুন্দর করে কথা বলে।তোর ভাইয়ের মতো খারুস না।আর দেখতেও মাশাল্লাহ।
হৃদ সামনে থেকে বললো,
—–মুখ বন্ধ।
শুভ্রা কিছু বলতে যাবে তখনই রোজ শুভ্রার মুখ চেপে ধরলো।ফিসফিস করে বললো,
—–আপু আপাতত মুখ বন্ধ রাখাই ব্যাটার।নয়তো ভাইয়া যে পরিমাণ রেগে আছে তাতে এক্সিডেন্ট করে আমাদের মুখ আজীবনের মতো বন্ধ করে দেবে।
শুভ্রা বললো,
—–অনলি ফর ইউ।নয়তো কথা দিয়ে তোর ভাইকে চ্যাপ্টা করে দিতাম।
চলবে…