#হৃদয়ের_শুভ্রতা🌸🌸
পার্ট-১৩(প্রেমময় পর্ব❤)
#ফাবিহা_নওশীন
🍁🍁
ভয়ে রোজের হাত-পা জমে যাচ্ছে।গলা বারবার শুখিয়ে যাচ্ছে।
টেডি কোলে নিয়ে টেডির মধ্যে মুখ গুজে বসে আছে আর বারবার ভাইয়ের দিকে তাকাচ্ছে।
হৃদ বাচ্চাদের মতো কাগজ দিয়ে নৌকা বানাচ্ছে রোজের রুমে বসে।
রোজের মাথায় ঢুকছে ভাইয়ের কার্যকলাপ।যদি কিছু বলার হয় এভাবে নিশ্বাস আটকে না রেখে বলে ফেলুক।আর যদি নৌকা বানানোর ইচ্ছে হয় তাহলে নিজের রুমে গিয়ে বানাক।
রোজ এখান থেকে উঠে যেতেও পারছেনা।
রোজ টেডি রেখে উঠতে নিলেই হৃদ নৌকার দিকে গভীর মনোযোগ দিয়ে বললো,
—–যাচ্ছিস কোথায় তোকে যেতে কে বলেছে?
রোজ আমতা আমতা করে বললো,
—-ভাইয়া,তোর কিছু বলার থাকলে বলে ফেল।এভাবে বসে থাকতে পারছিনা।
হৃদের নৌকা বানানো শেষ।
—–একটা নৌকা বানানোর জন্য এত এনার্জি ব্যায় হলো?ছোটবেলায় তো এক চুটকিতেই বানিয়ে ফেলতাম।বড় হয়ে ছোট ছোট জিনিসগুলো ভুলে গেলাম।অদ্ভুৎ।
তারপর রোজের দিকে তাকিয়ে বললো,
—–কতদিন চলছে?
রোজ ঢুক গিলে বললো,
—–এইতো কিছুদিন।
হৃদ ভ্রু নাড়িয়ে বললো,
—–পাপা জানে, তুই তার ভার্সিটিতে তার নাকের ডগার নিচ দিয়ে প্রেম করছিস?নাকি আমি বলবো?
—–ভাইয়া!!(অসহায় ফেস করে)
হৃদ ভ্রু নাচিয়ে বললো,
—–পাপা আর মাম্মা যদি জানে তুই দুদিন যাবত ভার্সিটি গিয়ে প্রেম করছিস কি হবে?
—–তুই কি আমার ভাই না শত্রু?
—–আপাতত শত্রু।
—–ভাইয়া,,,
—–তবে হ্যা,যদি আমার একটা কাজ করে দিস আমি কাউকে বলবোনা,
তোকে সাপোর্ট করবো এবং অরিত্রকে গিয়ে ভদ্রভাবে সরি বলবো।
(নৌকা ঘোরাতে ঘোরাতে)
—–তুই আমাকে ব্ল্যাকমেইল করছিস?
ওকে ডান। বল কি করতে হবে?
হৃদ নৌকা ঘুরানো বন্ধ করে রোজের দিকে তাকালো।
~~~~
শুভ্রা অফিসে গিয়ে জানতে পারলো ইশানকে ফায়ার করা হয়েছে।নিউ মডেল নিয়োগ দেওয়া হবে।রিজন হলো কেউ একজন ইশানের হাত ভেঙে দিয়েছে।সে অসুস্থ তাই শুট করতে পারবেনা।
শুভ্রা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বললো,
—–আই নো ইট ওয়াজ ডান বাই হৃদ।
বেশ হয়েছে ইশানের এমন একটা শাস্তি প্রাপ্য ছিল।
শুভ্রা কয়েক কদম আগাতেই দেখে অনু একটা ছেলের সাথে হাসতে হাসতে আসছে।হাতে কার্ড মনে হচ্ছে।এমপ্লয়িদের ডেক্সের সামনে আসতেই সবাই উঠে দাড়ালো।
শুভ্রা কৌতুহল বশত সামনে এগিয়ে গেলো।অনু সবাইকে বিয়ের কার্ড দিচ্ছে আর সবাই ওকে কংগ্রেস করছে।
—কংগ্রাচুলেশন মিস অনু।এইবার তাহলে বিয়েটা করেই ফেলছেন।
—-জ্বি দোয়া করবেন।
অনু শুভ্রাকে দেখে শুভ্রার দিকে এগিয়ে গেলো।
—-মিস.শুভ্রতা আমার বিয়েতে অবশ্যই আসবেন।স্যারের কাছে কার্ড দিয়ে এসেছি আপনারা ফ্যামিলির সবাই যাবেন তাহলে আমি খুব খুশি হবো।
শুভ্রা মুখে হাসি ফুটিয়ে বললো,
—-অবশ্যই যাবো।উনি কে?
—–আমার উডবি।এনগেজমেন্ট হওয়ার পর থেকেই অফিসের সবাই দেখতে চেয়েছিলো।তাই আজ বিয়ের কার্ড দিতে এসে ওকে সাথে নিয়ে এলাম।
—–এংগেজমেন্ট কবে হয়েছে?
—-ওমা!আপনি দেখি কিছুই জানেন না।একমাস আগে।
—-ওহ।আচ্ছা দোয়া করি সুখী হন।
—-ধন্যবাদ।
শুভ্রা যেতে যেতে ভাবছে এনগেজড একটা মেয়েকে নিয়ে আমি এসব ভেবেছি।ছিহ শুভ্রা ছিহ।
.
রাতের বেলায় শুভ্রা ডিনার শেষে বিছানায় গা এলিয়ে দিলো।আর তখনই রোজ শুভ্রার হাত ধরে টেনে তুললো।
—–আপু চলো ছাদে যাবো।
শুভ্রা ভ্রু কুচকে বললো,
—–এই রাতের বেলায় ছাদে কেন?
—–আরে রাতেই তো মজা ছাদে।না দিনের বেলায় রোদের মধ্যে ছাদে মজা করবে?চলো চলো।
—–এখন ঘুম পাচ্ছে।
—–প্লিজ প্লিজ।
শুভ্রা অনিচ্ছা সত্ত্বেও উঠে দাড়ালো।রোজ শুভ্রাকে আয়নার সামনে নিয়ে দাড় করালো।তারপর চুলগুলো আচড়ে ঠিকঠাক করে দিলো।
—–ওই আমরা ছাদে যাচ্ছি বেড়াতে না।
—–আপি সেল্ফি তুলবো তো।এভাবে এলোমেলো চুলে সেল্ফি সুন্দর হবে না।
শুভ্রা দরজা দিয়ে ছাদে ঢুকতেই রোজ ভিতর থেকে দরজা লক করে দিলো।শুভ্রা শব্দ পেয়ে পিছনে তাকাতেই দেখে দরজা বন্ধ আর রোজ নেই।শুভ্রার বুঝতে বাকি নেই এটা রোজের কাজ।রোজ ওর সাথে মজা করছে।ভয় দেখাতে চাইছে।শুয়া থেকে তুলে এনে এমন মজা করার কোনো মানে হয়।
শুভ্রা দরজা ধাক্কাতে ধাক্কাতে বললো,
—-রোজের বাচ্চা দরজা খোল।রাতের বেলায় এমন মজা করার মানে কি?তুই কি ভেবেছিস আমি অন্ধকারে ভয়ে কান্নাকাটি শুরু করে দেবো।নেভার।আমি এখন আর অন্ধকার ভয় পাইনা।
রোজ দরজা খোল।
রোজের সাড়াশব্দ নেই।ছাদ পুরো অন্ধকার।সুইচ হাততে অন করলো কিন্তু লাইট জ্বলছে না।আশেপাশের বাড়ির দিকে তাকালো সেখানে তো কারেন্ট আছে তাহলে ছাদে কি হলো।তারপর হাতের ফোন দিয়ে ফ্ল্যাশলাইট অন করলো।
অন করতেই পুরো ছাদ আলোকিত হয়ে গেলো।তবে ওর লাইটের আলোতে নয়।পুরো ছাদে লাইটিং করা।শুধু লাইটিং না পুরো ছাদ সাজানো।শুভ্রা পুরো ছাদে চোখ বুলিয়ে একজায়গায় চোখ আটকে গেলো।হৃদ।
ব্লাক প্যান্ট,রেড টিশার্ট পড়ে দুহাত বুকে ভাজ করে দাঁড়িয়ে আছে।
শুভ্রা এগিয়ে গিয়ে বললো,
—-আপনি?
সাথে সাথেই ছাদের দরজার লক খোলার শব্দ পেলো।কিন্তু দরজা খোলেনি।
—-হ্যা আমি।আমি কিছু কথা বলবো।যদি ভালো না লাগে তবে দরজা খোলা আছে আমি আটকাবোনা।
শুভ্রা চুপ করে হৃদের কথা শুনছে।হৃদ এগিয়ে এলো শুভ্রার কাছে তারপর হাটু গেড়ে বসে একটা ছোট বক্স বের করে।শুভ্রা অবাক হয়ে ওর কার্যকলাপ দেখছে।
হৃদ বক্স খোলে শুভ্রা বক্সে একটা রিং দেখতে পায়।হৃদ বললো,
—–এটা আমি লন্ডন থেকে আসার সময় নিয়েছিলাম।ভেবেছিলাম তোমাকে দেবো কিন্তু সিচুয়েশন তেমন ছিলো না তাই দেওয়া হয়নি।
আমি যখন থেকে ভালোবাসার মানে বুঝেছি সেদিন থেকেই ভালোবেসেছি তোমাকে কিন্তু কখনো বলা হয়নি আজ বলছি “শুভ্রা তুমি আমার হৃদয়ের শুভ্রতা”।
আমাকে কি আরেকবার চান্স দেওয়া যায়না?আমাকে কি ভালোবাসা যায়না?সব রাগ,অভিমান কি মুছে ফেলা যায়না?আমি সেই ছোট্ট শুভ্রা আর শুভ্রার পাগলামিগুলো অনেক মিস করি।প্লিজ একসেপ্ট মি।
” ওইল ইউ মেরি মি?”
শুভ্রা চেয়েছিলো হৃদ আগে ওকে সরি বলুক।ওর হৃদয়ের ক্ষত দূর করুক।কিন্তু কেন জানি হৃদের প্রপোজাল ওকে দূর্বল করে দিচ্ছে।যতই রাগ,অভিমান,ক্ষোভ থাকুক না কেন?ভালো তো বাসে।
শুভ্রা গলে যাচ্ছে।শুভ্রার মন বলছে একসেপ্ট করতে কিন্তু ব্রেইন বলছে ফিরে যেতে।শুভ্রা দরজার দিকে তাকিয়ে এক পা আগাতেই হৃদ হতাশ হলো।ওর মনে তোলপাড় শুরু হয়ে গেলো।
“শুভ্রা তুমি আমাকে ফিরিয়ে দিতে পারো তবে আজ যদি ফিরিয়ে দেও,তবে আমি আর কোনোদিন তোমার সামনে এসে দাড়াবোনা”
হৃদের এই কথা শুনে শুভ্রার বুকে মোচড় দিয়ে উঠে।৭টা বছর সহ্য করেছে হৃদের দূরে থাকা।কিন্তু আর কি পারবে সহ্য করতে? সে শক্তি আছে শুভ্রার? শুভ্রা হৃদকে উপেক্ষা করতে পারছেনা।
শুভ্রা হৃদের দিকে ঘুরে ওর সামনে হাটু গেড়ে বসে পড়লো।শুভ্রার চোখ বেয়ে পানি পড়ছে।ফুপিয়ে ফুপিয়ে কাদছে।হৃদ শুভ্রাকে জড়িয়ে নিলো।
—–তুমি অনেক খারাপ।আমাকে অনেক কষ্ট দিয়েছো।
—-আর দেবোনা।কখনো না।সব সুখ তোর কাছে এনে দেবো,শুধু আমাকে ভালোবাসবি।
শুভ্রা মুখ তুলে হৃদকে দেখছে।হৃদের চোখেও পানি।শুভ্রা আজ সেই হৃদকে দেখছে।শুভ্রা হৃদের গালে হাত রাখে।হৃদ চোখ বন্ধ করে নেয়।শুভ্রা হৃদের মুখে হাত বুলাচ্ছে।।কতদিন পর হৃদকে ছুতে পারছে।মুখ থেকে হাত চুলে গেলো।শুভ্রার ছোটবেলার কথা মনে পড়ছে।কতবার হৃদের গাল টেনেছে।কতবার হৃদের এই চুলে ঝুটি করে দিয়েছে।আর এজন্য হৃদ ওকে কত মেরেছে।ওসব মনে পড়তেই শুভ্রার হাসি পাচ্ছে।তবে একটা চাপা অভিমান কাজ করছে।
হৃদ চোখ খোলে শুভ্রার দিকে তাকালো।হৃদ শুভ্রার চোখে ওর জন্য ভালোবাসা দেখতে পাচ্ছে।আর শুভ্রা হৃদের চোখে নেশা দেখতে পাচ্ছে।হৃদের গরম নিশ্বাস শুভ্রার মুখের উপর পড়ছে।হৃদ দুজনের মাঝের দূরত্ব কমিয়ে দিচ্ছে।শুভ্রা বুঝতে পারছে ভয়ংকর কিছু হতে যাচ্ছে।
শুভ্রা মাথা নাড়িয়ে একটু দূরে সরে গেলো।হৃদ ভ্রু কুচকে তাকালো।
শুভ্রা তোতলাতে তোতলাতে বললো,
—–মশা কামড়াচ্ছে অনেক,আমি নিচে যাচ্ছি।তুমিও এসো।
হৃদ কিছু বলার আগেই শুভ্রা উঠে পগারপার।
হৃদ রেগে একাই বলছে,
“ছোবড়া,তোকে মশা কামড় দিয়েছে তাই না!”
.
.
.
(রোদ,ফুল,শাওরিন,রাহাতকে মিস করছি ওদের প্রেম একটু দিয়ে দিলাম।😌)
শুভ্রা মাম্মা শাওরিন রাতের সব কাজ সেরে রুমে এলো।শুভ্রার পাপা রাহাত ফোনে কিছু একটা করছে।শাওরিন ফ্রেশ হতে গেছে।রাহাত এই সুযোগে রিমোটটা নিজের বালিশের নিচে রেখে বালিশে আধশোয়া হয়ে রইলো।শাওরিন ফ্রেশ হয়ে এসেই টিভির রিমোট খোজছে।কিন্তু পাচ্ছেনা।যেখানে যেখানে রাখার খোজে ফেলেছে কিন্তু পাচ্ছেনা।
—–এই শুনছো রিমোট দেখেছো?
—–না।
—-তোমার বালিশটা সরিয়ে দেখো তো পাও কিনা।
রাহাত বালিশ না সরিয়েই বললো,
—–বালিশের নিচে রিমোট নেই।দেখ কোন চিপা চাপায় পড়ে আছে।
—-কোথাও নেই আমি চেক করেছি।তুমি সরো আমি দেখছি।
—-উফফ শুধু শুধু আমাকে বিরক্ত করছিস।বললাম নেই।ঢাকা শহরে বানর বেড়ে গেছে।খোলা বারান্দা দরজা খোলা থাকে দেখ বানরে নিয়ে গেছে।
—-হ্যা ঠিক বলেছো।একটা সাদা বানরে নিয়েছে।আর সেই বানরটা তুমি।
—–তুই আমাকে বানর বললি?
—–আমি কোথায় বললাম,তুমি নিজেই বলেছো।এখন বালিশের নিচ থেকে রিমোট দেও,টিভি দেখবো।
রাহাত নড়েচড়ে বললো,
—–টিভিতে এতো কি দেখবি?আমাকে দেখ।
শাওরিন বললো,
—-মেয়ে বড় হয়েছে তাও ঢং যায়না তোমার।
রাহাত শাওরিনের হাত ধরে বুকে ফেলে বললো,
“আচ্ছা মেয়ে বড় হয়েছে কিন্তু আমাদের ভালোবাসা কি কমেছে?”
শাওরিন ভাবছে,”তাই তো”
শাওরিন এর উত্তরে রাহাতকে আরো গভীরভাবে জড়িয়ে নিলো।
~~~~
হৃদের মাম্মা ফুল বারান্দায় বসে বসে চুপিচুপি আইসক্রিম খাচ্ছে। হটাৎ বারান্দার দিকে কারো পায়ের আওয়াজ পেয়ে তাড়াতাড়ি আইসক্রিম লুকিয়ে ফেলে।
হৃদের পাপা রোদ বললো,
—–আমার বউটা এখানে বসে
বসে কি করে?
ফুল দ্রুততার সঙ্গে বললো,
—-আকাশ দেখি।
রোদ বসতে বসতে বললো,
—-তাই নাকি?আমাকে ছাড়া একাই আকাশ দেখছিস?
—-না মানে..
রোদ ফুলের ঠোঁটে লেগে থাকা আইসক্রিম হাত দিয়ে মুছে বললো,
—-হুম আমার বউয়ের সাথে তো আইসক্রিম আছে আমাকে আর কি প্রয়োজন।
ফুল ধরা পড়ার ভংগীতে রোদের দিকে তাকিয়ে জোরপূর্বক হেসে বললো,
—–একটুখানি খেয়েছি।
—–ডানহাত বের কর দেখি কতটুকু খেয়েছিস?
ফুল বক্সটা রোদের হাতে দিলো।
রোদ বক্সটা দেখে বললো,
—–তিনভাগের দুভাগ পেটে পুরে বলছিস একটুখানি খেয়েছি?বাকিটাও শেষ কর।
ফুল ভয়ে ভয়ে বললো,
—–না আর খাবোনা।
—-তাহলে আমাকে খাওয়া।
ফুল দুচামচ খেয়েই বললো,
—–বাজে টেস্ট।একটু ফ্লেভার,মিষ্টি ঠান্ডা জিনিসে কি আছে এমন যে খাওয়ার জন্য পাগল হয়ে যাস?
—-এই খবরদার,বাজে টেস্ট বলবা না।আইসক্রিম ইস দ্যা মোস্ট টেস্টি ফুড ইন দ্যা ওয়াল্ড।
—–হুম এতো টেস্ট যে আমার এতদিনের আদর-যত্ন,ভালোবাসা সব তুচ্ছ?
—–এভাবে বলছো কেন?
—–তো কিভাবে বলবো?তোকে কতবার না করেছি খেতে?দুদিন পর পর ঠান্ডা লাগাস।এত ঠান্ডা লাগানো ভালো?ডাক্তার বারবার নিষেধ করেছে ঠান্ডা কিছু খেতে।কিন্তু তুই আমার কথা শুনিস ই না।একটুও দাম দিস না।তুই কি বাচ্চা মেয়ে?আগে ছোট ছিলি মানা যায় কিন্তু এই বয়সেও?
—-খালি বকে,,আচ্ছা আর খাবোনা।(গাল ফুলিয়ে)
—-কিছু বললেই গাল ফোলাস কেন?
—–তবে কি নাক ফোলাবো?
রোদ বাকা হেসে বললো,
—–তাও ফোলাতে পারিস।বরাবরের মতোই টুপ করে নাকে চুমু খেয়ে নিবো।
ফুল রোদের পিঠে মেরে বললো,
—–স্যার আপনি কি দিনদিন বাচ্চা হচ্ছেন?
রোদ বললো,
—–তুই বলতে চাচ্ছিস আমি বুড়ো হয়ে গেছি?
—-না না অসম্ভব!
ফুল রোদের মুখে মাথা গুজে বললো,
—-তুমি বরাবরই আমার কাছে এক রকম আছো,থাকবে।আমার জীবনের সমস্ত খুশি,রং সব তুমি।এ ভালোবাসা শেষ হওয়ার নয়।আজীবন,আমৃত্যু থাকবে।
এই নাম,খ্যাতি,সুখের সংসার,আমার হৃদ,রোজ সব কিছু আল্লাহ তোমার উছিলায় দিয়েছে।তুমি আমাকে সব দিয়েছো,এর বিনিময়ে আমি তোমাকে ভালোবাসা ছাড়া কিছুই দিতে পারিনি।আর তুমি আমার ভালোবাসা ছাড়া আর কিছুই চাওনি।
রোদ ফুলের মাথায় চুমু খেয়ে বললো,
—-আজীবন আমি তোর ভালোবাসাই চাই।আর কিছু চাইনা।
হৃদ আর রোজ দুই ভাইবোন অরিত্রের জন্য ভার্সিটিতে অপেক্ষা করছে।রোজ অরিত্রকে দেখে পেছন থেকে ওর নাম ধরে ডাক দিলো।
অরিত্র রোজের দিকে চেয়ে মুগ্ধতাময় হাসি দিলো।
চলবে….