হৃদয়ের শুভ্রতা🌸পর্ব-১৪

0
1785

#হৃদয়ের_শুভ্রতা🌸🌸

পর্ব-১৪

#ফাবিহা_নওশীন

🍁🍁
অরিত্র মাথা নিচু করে বসে আছে।কপালের কোনায় ব্যান্ডেজ করা।হৃদ এক হাতের আংগুলের সাথে অন্য আংগুল ঘষছে।রোজ হৃদের দিকে চেয়ে আছে।হৃদ মুখ খুলল।

—–আ’ম সরি ফর এভ্রিথিং।আসলে আমার একটা মিসআন্ডারস্ট্যান্ডিং হয়ে গিয়েছিলো।আমি ভেবেছিলাম কোনো বাজে ছেলে আমার বোনকে ডিস্টার্ব করছে।তাই রাগ উঠে গিয়েছিলো।অফিস থেকেই কোনো বিশেষ কারণে রাগের মাথায় বেরিয়ে যাই আর রাস্তায় এই ঘটনা দেখে আমার রাগ আরো চড়ে যায়।যার ফলে আমি খুব বাজেভাবে তোমার গায়ে হাত তুলে ফেলি।আমি আসলে জানতাম না তোমার সম্পর্কে।রোজ আমায় কিছুই বলেনি।

অরিত্র মুচকি হেসে রোজের দিকে একবার তাকিয়ে বললো,
—–বলার মতো কোনো সম্পর্ক আমাদের নেই তাই বলে নি।

হৃদ বললো,
—–হ্যা আমি জানি।রোজ আমাকে সবটা বলেছে প্রথম থেকে।রোজ হুট করেই তোমার কাছ থেকে প্রপোজ এক্সপেক্ট করেনি।তোমার প্রপোজে ও হতবিহ্বল হয়ে পড়েছিলো।তোমাকে চিনেনা,জানেনা।তারপর তোমার পাগলামি দেখে খোজ খবর নিয়ে তোমার সম্পর্কে সবটা জেনেছে।কিন্তু তারপরেও ও কোথাও একটা বাধা পেয়েছিলো সেটা হলো পাপা।পাপার ভার্সিটিতে পাপার নাকের নিচ দিয়ে প্রেম করার সাহস পায়নি।তাই তোমাকে যথাসম্ভব এড়িয়ে চলেছে।কিন্তু মনকে তো এড়িয়ে চলতে পারেনি।অবচেতন মনে তোমাকে ভালোবেসে ফেলেছে।এখনো পাপার ভয় আছে কিন্তু অপর পাশে ভাইয়ের সাপোর্ট আছে যা ওর শক্তি আর সাহস জুড়িয়েছে।আশা করি দুজনের সমস্যা মিটিয়ে নিবে।আর আমি সত্যিই ওই দিনের ঘটনার জন্য লজ্জিত।প্লিজ ফোরগিভ মি।

—–আরে বাদ দিন।যখন আমি কিছু মনেই করিনি ক্ষমার কথা কোথায় থেকে আসছে?আপনার জায়গায় আমি থাকলে এটাই করতাম যদিও আমার কোনো বোন নেই।বাট রাস্তায় আমি এমন ঘটনা দেখলে ছাড় দেইনা।ভুল আমারি হয়েছে।আমার এমন করা উচিত হয়নি।সরি।এন্ড সরি রোজ।
(রোজের দিকে তাকিয়ে)

হৃদ অরিত্রের হাতের উপর হাত দিয়ে বললো,
—–ফরগেট দিস।এন্ড স্টার্ট এ নিউ লাইফ।বেস্ট অফ লাক বোথ অফ ইউ।সি ইউ।বায়।

হৃদ সানগ্লাস চোখে দিয়ে উঠে গেলো।অরিত্র রোজের দিকে তাকিয়ে আছে।রোজ অরিত্রের এমন দৃষ্টি দেখে আমতা আমতা করছে।
অরিত্র রোজের আমতা আমতা করা দেখে বললো,
—–তুমি আমাকে অযথা এতোদিন কেন ঘুরালে?আমি কিন্তু কিছুই ভুলিনি।এর শাস্তি তোমাকে পেতে হবে।

—–শাস্তি!!(আর যাই বলুক চিপস খেতে যেনো মানা না করে)

—-হ্যা ঠিক ধরেছেন মেম।চিপস!আগামী দুদিন তুমি চিপস খাবেনা।

রোজ কাদো কাদো হয়ে বললো,
—–ইটস নট ফেয়ার।আমি চিপস না খেয়ে থাকতে পারবোনা।ইম্পসিবল।

—-ইম্পসিবল??? তোমার শাস্তি আরেকটা বেড়ে গেলো এখন আমাকে আই লাভ ইউ টু বলবা রাইট নাও।

রোজ ভ্রু কুচকে তাকিয়ে বললো,
—–এখনো বিএফ হন নি আর এখনি এত শাসন আর শাস্তি?এ কেমন বয়ফ্রেন্ড?হিটলারের বংশধর নাকি আপনি?

—-কি বললা?আমি হিটলারের বংশধর?তোমার শাস্তি আরেকটা বেড়ে গেলো।তুমি এখনি ব্যাগ থেকে চিপস বের করে আমাকে দিবে।আজকেও চিপস পাবেনা।

রোজ অসহায় ফেস করে মনে মনে বললো,
—–আব্বে শালার বয়ফ্রেন্ড,এর মতো বয়ফ্রেন্ড জীবনেও দেখিনি।কথায় কথায় শাস্তি।আমার চিপ্স।আর মুখ খুলবো ই না এর সামনে।রোজ তোর শান্তির দিন শেষ।

.
.

“আরে হাত ধরে টেনে আমাকে কোথায় নিয়ে যাচ্ছো?মানুষ দেখলে কি ভাববে?”
শুভ্রা হাত ছাড়ানোর চেষ্টা করছে আর হৃদকে বলছে।

“যার যা খুশি ভাবুক,বলুক আই ডোন্ট কেয়ার বেবি”
টেডি স্মাইল দিয়ে হৃদ বললো।

বিরক্তিতে শুভ্রার কপাল কুচকে আছে।
হৃদ শুভ্রাকে নিজের কেবিনে নিয়ে বসিয়ে দিলো।
তারপর হৃদ ওর দিকে চেয়ে রইলো।এভাবে অনেকক্ষণ কেটে যাওয়ার পরও হৃদ কোনো কথা বলছেনা।শুভ্রা বিরক্তি নিয়ে বললো,
“আমার মাথায় কি শিং জালিয়েছে?”

হৃদ বললো,
—–তা কেন হবে?

—–তাহলে এভাবে চেয়ে আছো কেন?

—-কি করবো আমার শুধু তোমাকেই দেখতে ইচ্ছে করে।ইচ্ছে করে সারাদিন চোখের সামনে রাখি।

এমন কথা শুনে শুভ্রার খুশি হওয়ার কথা থাকলেও শুভ্রা খুশি হতে পারছেনা।ওর মনে হচ্ছে এতবছর কিভাবে থেকেছে না দেখে।
—-হৃদ আমি যাচ্ছি।আমাকে ভার্সিটি যেতে হবে।

হৃদ এমন মুহূর্তে শুভ্রার কাছে থেকে এমন কথা আশা করেনি।হৃদের ঘাপলা লাগছে।
হৃদ শুভ্রার সামনাসামনি দাঁড়িয়ে বললো,
—–শুভ্রা কি হয়েছে তোমার?

—-কি হবে?

—-কিছু তো একটা হয়েছে।তুমি কি এখনো আমাকে মেনে নিতে পারোনি?যদি না মানতে পারো সোজাসাপটা বলে দেও।আমার মন রক্ষার জন্য নিজেকে কষ্ট দিওনা।আমি চাইনা আমার খুশির জন্য তুমি কষ্ট পাও।

শুভ্রা শুকনো হাসি হেসে বললো,
—–তেমন কিছু নয়।

—–তাহলে এমন করছো কেন?মনে হচ্ছে আমাকে এড়িয়ে চলতে চাইছো।গতকাল কি হলো জানিনা হুট করে চলে এলে।আজও কেমন যাই যাই করছো।আমাকে একটু ক্লিয়ার করে বলবে প্রব্লেম কি?

—–হৃদ আমি জানিনা আমার প্রব্লেম কি?তোমার যদি মনে হয় আমার মধ্যে প্রব্লেম আছে তবে তার কারণ খোজে বের করো।আমি আমার মধ্যে কোনো প্রব্লেম খোজে পাচ্ছিনা।

হৃদ শুভ্রার কোমড় জড়িয়ে নিজের সাথে মিশিয়ে নিলো।গালের উপর পড়ে থাকা চুলগুলো কানের পিছনে গুজে শুভ্রার চোখে চোখ রেখে শান্তস্বরে বললো,
—–আমি আমার সেই শুভ্রাকে চাই।যে আমার সঙ্গ পাওয়ার জন্য,আমার ভালোবাসার জন্য পাগলামি করতো।দুষ্টুমিতে মেতে থাকতো।

শুভ্রা অভিমানমিশ্রিত হাসি দিয়ে বললো,
—–ভুলে যেওনা তুমি সেই শুভ্রার অন্ত চেয়েছিলে।

—–শুভ্রার ভুলগুলোর অন্ত চেয়েছিলাম পাগলামো ভালোবাসার নয়।

—–কিন্তু সেই শুভ্রার ভুলগুলোর সাথে সাথে শুভ্রার চাঞ্চল্য হারিয়ে গেছে।হারিয়ে গেছে শুভ্রার ছেলেবেলার স্মৃতি।যেখানে শুরু হৃদের জায়গা ছিলো।

—–শুধু আমার জায়গা আমি কখনো চাইনি।তোমার সবটা জোরে আমি থাকতেও চাইনি।তবে চেয়েছি সবকিছুর মধ্যেই আমায় ভালোবাসো।কিন্তু এখন সেটাও পাচ্ছিনা।কেন বলোতো?

—–আমি তোমাকে ভালোবাসি আমি শুধু এটুকুই জানি।যদি আমার মাঝে কিছুর অভাব তোমার চোখে পড়েই থাকে তবে হয়তো এর জন্য তুমিই দায়ী।
শুভ্রার সোজাসাপ্টা উত্তর।

শুভ্রা নিজেকে ছাড়িয়ে নিলো।হৃদের দিকে একবার চেয়ে দরজা খোলে বেরিয়ে গেলো।
হৃদ নির্বাক হয়ে শুভ্রার চলে যাওয়া দেখছে।

সকাল সকাল হৃদ নিজের চুলে টান খাচ্ছে।মনে হচ্ছে নরম একটা হাত ওর চুলের গোড়া ধরে টানছে।হৃদ চোখ মেলে ঘুমঘুম চোখে শুভ্রাকে দেখলো।সকাল সকাল শুভ্রাকে দেখে ওর মুখে হাসি ফুটলো।শুভ্রার গালের দিকে হাত বাড়িয়ে ছুয়ে দিয়ে বললো,
—–গুড মর্নিং মাই লাভ।

শুভ্রা রহস্যময় হাসি দিয়ে বললো,
—-গুড মর্নিং টু।তাড়াতাড়ি উঠো।অনেক বেলা হয়ে গিয়েছে।

হৃদ মাথার কাছ থেকে ফোন নিয়ে দেখলো ওর বিছানা ছাড়ার সময় হয়নি কিন্তু শুভ্রা এতো তাড়া কেন দিচ্ছে?
—–এত তাড়া দিচ্ছো কেন?

—–অফিসে যাবে তাই।উঠো উঠো।

—–অফিস এখনো অনেক দেরী।আমার ঘুম কাটেনি পুরোপুরি।আরেকটু ঘুমাই।চাইলে তুইও আমার পাশে ঘুমিয়ে নিতে পারিস।

শুভ্রা ভ্রু কুচকে বললো,
—-তোমার পাশে কেন ঘুমাবো?অবিবাহিত ছেলে-মেয়েদের এক বিছানায় ঘুমানো ঠিক না।বাণীতে রাইসান হৃদয়।

হৃদ হোহো করে হেসে দিলো।
—-আসলেই অনেক বড় হয়ে গিয়েছিস।

—–তুমি আমাকে তুমি আবার হুটহাট তুই করে কেন বলো?

—–তুমি করেই বলতে চাই বাট বারবার ভুল করে ফেলি।ছোটবেলায় চলে যাই।পুরনো অভ্যাস চাইলেই ছাড়া যায়না।

—–তাহলে তুমি ঘুমাও।আমি যাই।

—–তাহলে সত্যি সত্যিই আমার পাশে ঘুমাবিনা?

—–উহু।তুমিই তো বললে আমি বড় হয়ে গেছি।

হৃদ বাকা হেসে শুভ্রার হাত ধরে বললো,
—–তাহলে তো বিয়েটা সেড়েই ফেলা যায়।
কথাটা শেষ করে আরো জোরে শুভ্রার হাত টান দিলো।
শুভ্রা হৃদের মুখে বিয়ের কথা শুনে লজ্জা পেয়ে গেলো।লজ্জা মাখা মুখে বললো,
—-জানিনা।
হাত ছাড়িয়ে নিয়ে দৌড়ে চলে গেলো।

কিছুক্ষণ পর হৃদ বিছানা ছেড়ে ফ্রেশ হওয়ার জন্য ওয়াশরুমে গেলো।বেসিনের সামনে দাড়াতেই ওর চোখ চড়কগাছ।
মাথায় ছোট একটা তালগাছ দাড়িয়ে আছে মানে শুভ্রা ওর চুলে ঝুটি করে দিয়েছে।
“ছোবড়া!!!!”

চিতকার শুনে শুভ্রা মুচকি হেসে নিচুস্বরে বললো,কাজ হয়েছে।

হৃদের চিতকার শুনে সবাই জড়ো হলেও শুভ্রা আসেনি।হৃদের মাম্মা জিজ্ঞেস করছে,
—–কি হয়েছে হৃদ?

—–মাম্মা শুভ্রা কই ওকে ডাকো?

পিছনে থেকে শুভ্রা বললো,
—–আমি এখানে।

—–তুই আমার চুলের সাথে কি করেছিস?

—–কি করেছি?(না জানার ভান করে)

হৃদ কটমট করে শুভ্রার দিকে তাকিয়ে বললো,
—–যদি নিজের মাথার চুল রাখতে চাস তবে বল কেন করেছিস?

হৃদের পাপা বললো,
—–শুভ্রা মামনি কি করেছিস?

—–কিছুই না বাবাই জাস্ট একটা ঝুটি করেছি।

শুভ্রার পাপা বললো,ঝুটি!!
তারপর সবাই হোহো করে হেসে দিলো।

হৃদ সবার দিকে তাকিয়ে বললো,
—–পাপাই তুমিও?

—–আরে এতো রাগ করছিস কেন একটা ঝুটিই তো করেছে।

—–হুম তাও মাথার মাঝখানে মনে হচ্ছে তালগাছ।হাসো হাসো।তোমাদের সাথে এমন হলে বুঝতে কেন রাগ করছি।হুহ।

হৃদের পাপা মুখ চেপে হাসছে সাথে ওর মাম্মাও।হৃদ সন্দেহবশত বললো,
—–কাহিনী কি?

হৃদের পাপা বললো,
—-তোমার মাম্মা আমার এই চুলের উপর অনেক অত্যাচার করেছে।বিয়ের পর কতবার ঝুটি করিয়েছে হিসেব নেই।

শুভ্রা বললো,
—–তাহলে আমিও অত্যাচার করবো।এটা আমার বংশগত অধিকার।

হৃদের পাপা বললো,
—–কিন্তু এর জন্য তো তোকে হৃদকে বিয়ে করতে হবে।

শুভ্রা বেখেয়ালিভাবে বললো,
—–করবো।

সবাই শুভ্রার মুখের দিকে চেয়ে আছে।ওরা তো আর জানে না এদের ঝামেলা মিটে গেছে।
শুভ্রা কয়েক সেকেন্ডের মাথায় বুঝতে পারলো ও মুখ ফস্কে কি বলে ফেলেছে।শুভ্রা সবার দিকে তাকিয়ে লজ্জা পেয়ে গেলো তারপর বললো,
—–ইয়েয়ে,,,মানে,,,
শুভ্রা তরি ঘটি করে কেটে পড়লো।

তারপর সবাই হৃদের দিকে জিজ্ঞাসুক দৃষ্টিতে চেয়ে রইলো।
হৃদ মাথা চুলকে মুচকি হেসে বললো,
ফ্রেশ হতে যাচ্ছি।

তারপর হৃদের পাপা বললো আমি যা ভাবছি তোরাও কি তাই ভাবছিস?

শুভ্রার পাপা বললো,
ভাইয়া টুইস্ট হে।

রোজ বললো,কইয়ি টুইস্ট নেহি।ওদের সব ফিট হয়ে গেছে।আর এর ক্রেডিট সম্পুর্ণ রুহানিয়া রোজের।

শুভ্রার পাপা গর্ব করে রোজকে বললো,
—–ওয়েল ডান,তোর মাঝে আমি নিজেকে দেখতে পাই।

🌺🌺
—-স্যার ইশানের রিপ্লেসের জন্য মডেল হায়ার করতে হবে।৪দিন বাকি আছে শো এর জন্য।

—–ডোন্ট ওরি ম্যানেজারের সাথে কথা হয়েছে।উনি ব্যবস্থা নিচ্ছেন।

—–এখন ৪দিনে সব ম্যানেজ করা গেলেই হয়।নিউ হায়ার করলে অনেক ঝামেলায় পড়তে হবে।এমন মুহূর্তে ইশানকে ফায়ার…

—–ইটস নান অফ ইউর বিজনেস।

—–সরি স্যার।

শুভ্রা পেছনে থেকে বললো,
—–এর সমাধান আমার কাছে আছে।

সবাই শুভ্রার দিকে তাকালো।
হৃদ বললো,
—–হোয়াট?

—–এভ্রিওয়ান লিসেন টু মি। রাইসান হৃদয়।হি ইজ এ হট,ইয়াং বিজনেসম্যান।আর তার শোতে যদি সে পার্টিসিপ্যান্ট করে তবে ইউনিক হবে।

সবার মুখেই একি কথা দ্যাটস গুড।শুভ্রার প্রস্তাবটা সবার পছন্দ হয়েছে।
হৃদ সবার কথা শুনে বিচলিত হয়ে যায়।শুভ্রাকে টেনে এক কিনাতে নিয়ে গিয়ে বললো,
—–মাথা গেছে তোর শুভ্রা?আমি আর মডেলিং? হাও ফানি ইয়ার?

—-কেন নয়?ফানি কেন?

—-কজ আমি কোনো মডেল নই।

—-শুনো হৃদবাবু কেউ মডেল হয়ে জন্মায় না।আর কিছুক্ষণের জন্য মডেলিংই তো।তোমাকে কেউ মুভির অফার করে নি।

—-আমি পারবোনা।

—–তুমিই ইশানের রিপ্লেস হবে।আমার ফাইনাল কথা।আমি আর কিছু শুনতে চাইনা।

—–শুভ্রা এটা আমাদের প্রেস্টিজের ব্যাপার।গড়বড় হলে অনেক বড় ক্ষতি হয়ে যাবে।আমি মডেলিংয়ের বিষয়ে কিচ্ছু জানিনা।

—–মে হো না..
আমি তোমাকে সব শিখিয়ে নেবো।প্লিজ প্লিজ।

হৃদ মুখটা ছোট করে বললো,ওকে।

শুভ্রা খুশিতে হৃদের দুগাল টেনে ধরে বললো,ইউ আর সো সুইট।

হৃদ গালে হাত বুলাতে বুলাতে বললো,
—–আমার গাল ছিড়ে ফেলবি?

—–হ্যা ছিড়ে ফেলবো।

চলবে…

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here