#হৃদয়ের_শুভ্রতা🌸🌸
(পর্ব-৩)
#ফাবিহা_নওশীন
🌺🌺
হৃদের সকাল সকাল ঘুম ভেঙে গেছে।তাই উঠে বারান্দায় দাঁড়িয়ে আড়মোড়া ভাংছে।চোখ আটকে গেলো গার্ডেনে।
শুভ্রা টাওজার,ঢিলেঢালা ফুলহাতা টিশার্ট পড়ে,চুলগুলো উচু করে খোপা করে,সামনে কাপড়ের লেইস লাগিয়ে দৌড়াচ্ছে।
ঘেমে নেয়ে একাকার।শুভ্রা গার্ডেনের এ মাথা থেকে ওমাথা চক্কর দিচ্ছে।শুভ্রার দৌড়ের স্পিড দেখে হৃদের মুখ অটোমেটিক হা হয়ে গেছে।শুভ্রা পাশে থাকা টেবিল থেকে দৌড়ানো অবস্থায় পানি নিয়ে দৌড়াতে দৌড়াতে খেয়ে নিলো।তারপর বোতল নিয়ে দৌড়াচ্ছে।হৃদের এক মুহুর্তের জন্য মনে হচ্ছে শুভ্রা অলিম্পিক গেমসে পার্টিসিপিট করেছে।
শুভ্রা ৮টা নাগাত দৌড়,ব্যায়াম শেষ করে বাড়িতে ঢুকে।ফ্রেশ হতে রুমে যায়।
সবাই মিলে নাস্তা করছে।রোদের নাস্তা শেষে উঠে দাড়িয়ে ফুলকে বললো,
—-আমি গাড়িতে আছি।তুমি তাড়াতাড়ি এসো।(ছেলেমেয়েরা বড় হয়েছে ওদের সামনে তুমি বলার চেষ্টা করে)
ফুল নাস্তা শেষ করে ছেলেমেয়ের উদ্দেশ্য করে বললো,
—-আমরা যাচ্ছি,তোদের হয়ে গেলে চলে আসিস।হৃদ অফিস ঘুরে দেখে যাস।
—-ওকে মাম্মা।
শুভ্রা হাতে ব্যাগ নিয়ে নাস্তার টেবিলে এসে বসলো।ব্যাগ পাশে রেখে বললো,
—-মাম্মা নাস্তা দেও।
হৃদ শুভ্রাকে একবার দেখে নিলো।শুভ্রা কালো জিন্স,সাদা টপস পড়া।চুলগুলো ছাড়া।ফোন টিপছে।
রাহাত শুভ্রার হাত থেকে ফোন নিয়ে বললো,
—-মামনি নাস্তার টেবিলে ফোন না টিপলেই নয়।ভালো করে নাস্তা করো।
—-সরি পাপা,সরি।এখন আমি চুপচাপ নাস্তা করবো লাইক এ গুড গার্ল।
—-ওকে গুড গার্ল।
শাওরিন শুভ্রার জন্য নাস্তা নিয়ে এসেছে।শুভ্রার নাস্তা করা শেষ করে উঠে দাড়াতেই শাওরিন রাহাতের দিকে একবার তাকিয়ে বললো,
—-বাড়িতে তাড়াতাড়ি চলে আসিস।
—-হোয়াই মাম্মা?
রাহাত বললো,
—-মামনি হৃদ এসেছে অনেক দিন পর।ওকে তোমার সময় দেওয়া উচিত।
শুভ্রা কাধে ব্যাগ তুলে বললো,
—-বাড়ির ছেলে বাড়ি ফিরেছে মেহমান নয় যে তাকে সময় দিতে হবে,তার সাথে গল্প করতে হবে,ঘুরিয়ে সব দেখাতে হবে।তার সব চেনাজানা।
আর সেরকম কিছু হলে এবাড়িতে আরো অনেক মানুষ আছে।আমি কেন?
আমার কারো জন্য সময় নেই।আমার লাইফ,আমার স্টাডি,আমার ক্যারিয়ার আমার কাছে সবচেয়ে বেশী ইম্পর্ট্যান্ট।
যাইহোক মাম্মা শোন,আমি ভার্সিটির ক্লাস শেষ করে মাহির ড্রান্স ক্লাবে যাবো।লেইট হবে।ওখানে ড্রান্স শেখায় দেখতে যাবো।রাত হতে পারে।বাই এভ্রিওয়ান।
শুভ্রা ঘুরতেই কিছু একটা পড়ার শব্দ পেলো।কিন্তু পাত্তা না দিয়ে নিজের গন্তব্যে এগিয়ে গেলো।হৃদ এমন অপমান সহ্য করতে না পেরে উঠে দাড়ায় চেয়ার ধাক্কা মেরে ফেলে হনহন করে নিজের রুমে চলে যায়।
রাহাত হতাশ হয়ে বললো,
—-এরা দুজন কি শুরু করেছে?
রোজ বললো,
—-কাকাই এদের কি হবে?ভাইয়া চুপচাপ বসে আছে আর এইদিকে শুভ্রাপু রোজ রোজ আরো ডেঞ্জারাস হয়ে যাচ্ছে।এদের তো প্রেমই হয় নি।বিয়ে হবে কি করে?
রাহাত বললো,সেটাই ভাবছি।
রাহাতের মা বললো,রাহাত বলি কি ওদের বিয়েটা দিয়ে দে।
শাওরিন বললো,আমাদের এ নিয়ে কথা বলা উচিত।একমাত্র মেয়ে আমাদের।ওকে থামানো উচিত।আর হৃদকেও।
রাহাত বললো,ঠিক বলেছো।এ নিয়ে কথা বলতে হবে সবার সাথে।
.
.
রোদ ড্রাইভ করছে।ফুল পাশে বসে আছে।রোদ ফুলকে অফিসে নামিয়ে দিয়ে ভার্সিটিতে যাবে।
ফুল রোদকে বললো,
—–শুভ্রার গ্রাজুয়েশন শেষ হলে ওদের বিয়েটা দিয়ে দেবো।আর মাত্র কয়েকমাস।হৃদ অফিসে জয়েন করতে চায়।ভাবছি ওকে সব দায়িত্ব দিয়ে আমি ঘর সংসার সামলাবো।রোজ তো আছেই টুকিটাকি সাহায্য করার জন্য।কি বলো?
—-হুম।ছেলে বড় হয়েছে।উপযুক্ত হয়েছে।বিয়েতে দিয়েই হবে।আর অফিসে বসার মতো সব যোগ্যতা ওর আছে।ও পারবে সব ম্যানেজ করে নিতে।তাছাড়া আমরা তো আছি।আমিও ভাবছি অবসর নিয়ে নেবো।
ফুল ভ্রু কুচকে বললো,
—-কেন?
—-এমনি।বাকি জীবন বাড়িতে থেকে তোর সাথে প্রেম করে কাটিয়ে দেবো।আহা।
—–তোমাকে থাকাচ্ছি বাড়িতে।অফিসে পাঠিয়ে দেবো।সেখানেই কাজের সাথে প্রেম করো।
—–হাহা।
.
.
হৃদ নিজের রুমে পাইচারি করছে।রাগে ওর গা জ্বলছে,হাতের মুঠো শক্ত হয়ে আসছে।জোরে জোরে নিশ্বাস নিচ্ছে আর রাগ কমানোর জন্য বারবার আংগুল দিয়ে কপাল ঘষছে।
—-শুভ্রা তোর এত বড় সাহস হয়ে গেছে তুই আমাকে এভাবে ইগনোর করছিস,সবার সামনে এভাবে ইনসাল্ট করলি?
এই হৃদও তোকে ছাড়বেনা।আই ডোন্ট স্পেয়ার ইউ।তোর খুব ভাব বেড়েছে না?নিজের লাইফ,ক্যারিয়ার দেখাচ্ছিস?এসব কিভাবে হয়েছে?
শুভ্রা বাইরে থেকে ফিরে নিজের রুমে এসে একটা পার্সেল দেখতে পেলো।শুভ্রা মুচকি হেসে পার্সেলের দিকে হাত বাড়িয়ে দিলো তারপর আবার সরিয়ে নিয়ে বললো,
—-উফফফ,শুভ্রা একটা পার্সেলই তো।আগে ফ্রেশ হয়ে নে দেন দেখিস পার্সেলে কি আছে।
শুভ্রা ফ্রেশ হয়ে পার্সেল খোলতেই মেজাজ খারাপ হয়ে গেলো।শুভ্রা খালামনির ছেলে অয়ন আমেরিকা থেকে ওকে পার্সেল পাঠিয়েছে।সেটা ফোন করে আগেই জানিয়েছে।
শুভ্রা পার্সেল নিয়ে মায়ের রুমে গেলো।
তারপর বেডের উপরে ছুড়ে ফেলে দিয়ে বললো,
—-মাম্মা হোয়াট ইজ দিস?
তোমার বোনের ছেলে আমার জন্য কি পাঠিয়েছে দেখো।
—-কি পাঠিয়েছে?
—-ওয়াস্টার্ণ ড্রেস পাঠিয়েছে।হাটুর উপর অবধি।আর হাতা কাটা।পুরো কাধ বের করা।আমি কি নায়িকা?আমি এই টাইপ ড্রেস পড়ি?আমাকে এই ড্রেস কেন দেবে?
শাওরিন মেয়েকে ঠান্ডা করার জন্য বললো,
—-আরে বোকা মেয়ে ও আমেরিকায় থাকে।ওখানে এই টাইপ ড্রেস…
—-মাম্মা স্টপ।হোয়াট ডু ইউ থিংক?তুমি আমাকে যা বুঝাবে আমি তাই বুঝবো?আমেরিকায় কি এর চেয়ে ভালো ড্রেস নেই।আমার জন্য এমন ফালতু ড্রেস কেন দেবে?
—-আচ্ছা না পড়লি রেখে দে।ভালোবেসে দিয়েছে।এতকিছু ভেবে দেয়নি।ও তো আর জানেনা।
—-না জানলে দেবেনা।আমি কি ওকে বলেছি আমার জন্য ড্রেস পাঠাতে?আমার পাপা কি আমাকে ড্রেস কিনে দেয়না?
আমাকে ফোন করে বলে শুভ্রা তোর জন্য পার্সেল দিয়েছি।
আমি জিজ্ঞেস করলাম কি দিয়েছেন।বলে কিনা সারপ্রাইজ।আমি দেখলে নাকি খুশিতে লাফাবো।দেখে তো ইচ্ছে করছে কেটে কুটিকুটি করে ওকে ওর পার্সেল ফেরত পাঠাই।
শুভ্রা রাগে গজগজ করতে করতে রুম থেকে বের হয়ে হৃদকে দেখলো।হৃদকে পাশ কাটিয়ে চলে গেলো।
হৃদ চেচামেচি শুনে ছোটমার ঘরের দিকে এসেছে।
শুভ্রাকে এভাবে ফুসফুস করতে করতে বের হতে দেখে বুঝলো কুচতো হোয়া।
হৃদ ছোটমার ঘরে গিয়ে দেখে সে হতাশ হয়ে কিছু একটা দেখছে।
হৃদ বললো,
—-কি হয়েছে ছোটমা?
শাওরিন ড্রেসটা দেখিয়ে সবকিছু খোলে বললো।হৃদের শাওরিনের কথা শুনে কিছু একটা মনে পড়ে যায় তাই মুচকি হাসলো।
শাওরিন ভ্রু কুচকে বললো,
—-তোর আবার কি হলো? হাসছিস কেন?
হৃদ স্বাভাবিক হয়ে বললো,
—-কিছুনা।এমনি।
শাওরিন হতাশ হয়ে বললো,
—-তোদের নিয়ে আর পারিনা।একজন রেগে আগুন।আরেকজন হাসছিস।দুটোই পাগল।এইবার দুটোই বিয়ে করে আমাদের একটু শান্তি দে তো।
বিয়ের কথা শুনে হৃদের মুখ কালো হয়ে গেলো।দীর্ঘশ্বাস ফেলে বললো,হু।
হৃদ নিজের বিছানায় গা এলিয়ে দিলো।মনে পড়ে গেলো অতীতের কিছু ঘটনা।
হৃদ কফির মগে চুমুক দিতেই শুভ্রা ধাপ করে ওর পাশে এসে বসলো।চুপচাপ কিছু ভাবছে।হৃদের ডাউট হলো।বিপদজনক কিছু একটা বলবেনা তো?
হৃদ শুভ্রার দিকে তাকিয়ে আছে। শুভ্রা আমতা আমতা করে বললো,
—-আমার গুরুত্বপূর্ণ একটা কথা আছে।
হৃদ তাচ্ছিল্য করে বললো,
—-তুই আর গুরুত্বপূর্ণ!!গুরুত্বপূর্ণের সাথে তোর কোনো সম্পর্ক নেই।যা ভাগ।আজাইরা পেচাল আমার শুনতে ইচ্ছে করে না।
শুভ্রা নড়েচড়ে বসে বললো,
—-সত্যি গুরুত্বপূর্ণ কথা।শুনোই না।
—-না বলা পর্যন্ত আমাকে শান্তি দিবিনা।বলে ফেল।
হৃদ মগে আরেকটা চুমুক দিলো।
শুভ্রা বললো,
—-আজকে থেকে তুমি আমার বিএফ।
হৃদের মুখের কফি বের হয়ে ছিটকে পড়ে গেলো।হৃদ পড়ে যাওয়া কফির দিকে চেয়ে আছে।
শুভ্রা বুঝতে পারলো না কি এমন হলো যে কফি পড়ে গেলো।
শুভ্রা বললো,
—-কি হলো কফি কিভাবে পড়ে গেলো?
হৃদ শুভ্রার দিকে তাকিয়ে বললো,
—-তুই একটু আগে কি বলেছিস সেটা বল।
—-কি বলেছিলাম?ওহ হ্যা,শুনো আজ থেকে তুমি আমার বিএফ।
হৃদ জিজ্ঞেস করলো,
—-সেটা কেন?
—-কেন আবার?আমার বান্ধবীর বিএফরা তাদেরকে নিয়ে ঘুরতে যায়,ফুচকা খায়,আইসক্রিম খায়,সেল্ফি তুলে,হাত ধরে হাটে।তুমিও আজ থেকে আমার বিএফ।তুমিও আমাকে নিয়ে ঘুরতে যাবে।আইসক্রিম,ফুচকা খাওয়াবে।সেল্ফি তুলবে।আমার হাত…
—-চুপপ!!আর শুনতে চাইনা।বান্ধবীদের থেকে লুতুপুতু শিখে ফেলেছো বেশ।বাহ ব্রাভো!!
শুভ্রা নখ কামড়ে বললো,
—-এগুলো কে লুতুপুতু?কিন্তু আমি তো শুনেছি চুমু খাওয়া লুতুপুতু।আমি কি তাই চেয়েছি কখনো?
শুভ্রার কথা শুনে হৃদের কাশি উঠে গেলো।তারপর বললো,
—-তুই ছোবড়া,,তোকে দিয়ে বিশ্বাস নেই।কবে এসে বলবি হৃদ ভাইয়া চুমু খাবো।
—-হুহ!!এখন বলো তুমি আমার বিএফ হবে ফাইনাল।
হৃদ উঠে দাড়িয়ে বলল,
—-নিজের চেহেরা দেখেছিস?তুই জানিস কলেজে কত সুন্দর সুন্দর মেয়ে আমার পিছনে ঘুরে?ওরা কত হট জানিস?
শুভ্রা গালে আংগুল দিয়ে কিছু একটা ভেবে বললো,
—-হট!!ওরা কি হাটু বের করে ড্রেস পড়ে?তাহলে আমিও ছোট ছোট জামা পড়ে হট হবো।কালকেই কিনবো,
আমিও হট হবো।তবুও তুমি আমার বিএফ হবে হবে হবে।
শুভ্রার কথা শুনে হৃদের মাথায় হাত।
হায় আল্লাহ এ মেয়ে বলে কি।ও নাকি হাটু বের করে জামা পড়ে হট হবে।
—-শুভ্রা তোকে ছোট জামা পড়ে হট হতে হবেনা।খবরদার ভুলেও এগুলো করবিনা।
শুভ্রা খুশিতে গদগদ হয়ে বললো,
—-তার মানে তুমি এমনিতেই আমার বিএফ হবে।
হৃদ শুভ্রাকে সিরিয়াস ভংগীতে বললো,
—-আমার কথা মনোযোগ দিয়ে শোন।
—-তোমার সব কথাই আমি মনোযোগ দিয়ে শুনি।
—এটা আরো ভালো করে শোন।তুই এখন অনেক ছোট।মাত্র ১৪বছর।এটা প্রেম,ভালোবাসা কিংবা বিয়ে সংসার করার বয়স না।এটা পড়াশোনা করার বয়স।একটু বড় হ প্লিজ,ভালো করে বুঝ।তোর বয়সী মেয়েরা এমন অবুঝ নয়,তবে তুই এত অবুঝ কেন?এই প্রেম,ভালোবাসাই জীবনের সবকিছু না।জীবনে আরো অনেক কিছু আছে।জীবনে তোকে অনেক কিছু করতে হবে।বড় হতে হবে।আমি ছাড়াও তোর জীবনে অনেক কিছু আছে।
—-আমার জীবনে আর কিছু নেই।আমার পড়াশোনা চাইনা।আমি জীবনে কিছু চাইনা,বড় হতে চাইনা।আমি তোমাকে চাই।চাই চাই চাই।
হৃদ হতাশ হয়ে বললো,
—-তোর চাইয়ের চাটনি বানাবো।তারপর তোকে খাওয়াবো।তোকে বুঝিয়ে কোনো লাভ নেই।তুই আর ওই ফালতু মেয়েদের সাথে মিশবিনা।নষ্ট হয়ে যাচ্ছিস দিন দিন।আর আমার সামনেও আসবিনা।
—-কেন আসবোনা?
—-কেন আসবি প্রেম করতে?হাহ?আবার কি হাটু অবধি জামা পড়ে হট হবে।পিটিয়ে তোর মাথায় থেকে এসব ভূত নামিয়ে দেবো।শুধু পড়াশোনা করবি।আমার জন্য আরেক কাপ কফি বানিয়ে নিয়ে আয়।
—-কিন্তু তুমি তো তোমার সামনে আসতে মানা করলে?তাহলে কফি কিভাবে আনবো?
—-যা আনতে হবেনা।
—-আনবোও না।আমার বিএফ হবেনা আবার কফি খাওয়াবো?হুহ।
শুভ্রা রাগ দেখিয়ে চলে গেলো।
হৃদ মনে মনে বলছে,
—-এই মেয়ে কবে বড় হবে?এর কপালে অনেক দুঃখ আছে।সাথে আমাকে জ্বালাচ্ছে।আমি তার আবদারের ঝুলি।কবে এসে বলবে তুমি আমার স্বামী হয়ে যাও।উফফ।আল্লাহ।
হৃদ অতীতের কথা ভেবে হাসছে।
অবশেষে আমাদের শুভ্রা বড় হয়ে গেছে।সে ছোট জামা পড়তে চায়না এখন।সেই ছোট্ট অবুঝ শুভ্রা নেই।অনেক ম্যাচুরিটি এসেছে ওর মধ্যে।আমাকে অপমান করতে শিখে গেছে।নিজের লাইফ,ক্যারিয়ার নিয়ে ভাবতে শিখে গেছে।শুধু আমাকেই ভুলে গেছে।
চলবে…