#হৃদয়_নিবাসে_তুই
#পর্ব_১২
লেখনীতেঃ ভূমি
কেঁটে গেল চার চারটা দিন।অস্থিরতা শব্দটা সাংঘাতিক।আর সেই অস্থিরতাটা যদি সৃষ্টি হয় সদ্য অনুভূতি জম্মানো কোন এক লোকের জন্য তাহলে বোধ হয় আরো সাংঘাতিক।অনুভূতিটা না যায় প্রকাশ করা আর না যায় বুঝানো।অদ্রিজা তপ্তশ্বাস ফেলল।সত্যিই কি রক্তিমকে ভালো টালো বেসে ফেলেছে সে?বুঝে উঠল না।তবে সেই মানুষটিকে দেখার জন্য ছটফট করে উঠল মন।বুকের ভেতর চাপা অস্থিরতাটা জ্বলন্ত হয়ে বেদনায় পরিণত হলে মুহুর্তেই।যে কয়দিন রক্তিমকে চেনে সে কয়দিনে রক্তিমকে দেখেনি এমন কোন দিন ছিল না।কিন্তু এই চারদিন একবারও দেখা হয়নি রক্তিমের সাথে তার।ভার্সিটি আসা যাওয়ার পথে রাস্তার এপাশ ওপাশ এত অস্থির ভাবে তাকিয়ে থেকেও বিশেষ কোন লাভ হয় নি তার।রক্তিমকে কোথাও দেখতে পায় নি সে।সকালের আকাশে সদ্য উঠা সূর্যের দিকে তাকিয়ে দীর্ঘশ্বাস ফেলল অদ্রিজা।নিজের ভেতরের অস্থিরতাটাকে না মানাতে পেরেই কল দিল রক্তিমের নাম্বারে।রক্তিম কল রিসিভড করল না।পরপর পাঁচবার কল দেওয়ার পর কল রিসিভড হলো।অদ্রিজা অস্থিরতায় হাঁসফাস করে উঠল।কি বলবে বুঝে না উঠেই হাত কচালাতে লাগল। এই শীতের সকালেও কপাল ঘেমে উঠল অজানা অস্বস্তিতে।কয়েকবার সরু শ্বাস ফেলে দুই এক মিনিট পরও যখন কিছু বলতে পারল না তখন ওপাশের মানুষটা ঘুমালো কন্ঠে শুধাল,
‘ কেঁটে দিব?’
অদ্রিজা চকচকে চোখে তাকাল।এবারও বুঝে উঠল না কি বলবে।কয়েক সেকেন্ড চুপ থেকেই কপালের ঘামটা হাতের তালুতে মুঁছে নিয়েই জিহ্বা দিয়ে ঠোঁট ভেজাল।জানালার গ্রিল হাত দিয়ে ঘষতে ঘষতেই কাঁপা গলায় বলল,
‘ ন্ না।’
রক্তিম বোধ হয় হাসল।মৃদু গলায় বলে উঠল,
‘ তাহলে বলুন।’
অদ্রিজা থমকে গেল।কি বলবে?কোন কথা কি আদৌ বলার আছে?যে যুবকটিকে এতদিন ঘৃণা দিয়ে এসেছে সেই যুবকটির সাথে কি হঠাৎ করেই প্রণয়ের কাব্য শুরু করা যায় নাকি?অদ্রিজা সেভাবেই চুপ রইল।ওপাশের মানুষটার পরিষ্কার কন্ঠ ভেসে আসল এবার,
‘ রাখছি অদ্রিজা।’
অদ্রিজা বোকা বোকা চাহনিতে মোবাইলের দিকে তাকিয়ে রইল
রক্তিম কলটা কেঁটে দিয়েছে। তৎক্ষনাৎ তীব্র বেদনায় নুঁইয়ে গেল বিশ বছর বয়সী যুবতী মনটা।রক্তিম নামক পুরুষটির উপর অভিমানটা গিয়ে জড়ো হলো মনের আনাচে কানাচে।চোখজোড়া টলমলে হয়ে উঠল মুহুর্তেই।ঠোঁট উল্টে এদিক ওদিক তাকাতেই মনের ভেতর উঁকি দিল রক্তিমের সাথে কথা বলার অদম্য জেদ।মোবাইল হাতে নিয়ে আবারও কল লাগাল একই নাম্বারে।ওপাশের ব্যাক্তিটা এবার কল রিসিভড করতে দেরি করল না।বিরক্তি নিয়ে ঘুমালো কন্ঠে বলল,
‘ কি সমস্যা অদ্রিজা?ঘুমের মধ্যে বারবার ব্যাঘাত ঘটাচ্ছেন কেন?’
অদ্রিজা চুপ রইল।গম্ভীর কন্ঠে বলল,
‘ ওহ।ঘুমোচ্ছেন?’
‘ ঘুমোচ্ছি তা বুঝেননি নাকি বুঝেও না বুঝার ভান করছেন অদ্রিজা?’
অদ্রিজা থমমত খেয়ে গেল।কাঁপা কন্ঠে বলল,
‘ ন্ না, ভেবেছিলাম এখনও আপনি ঘুমোন না।তাই।কিন্তু এখন তো দেখছি দিব্যি ঘুমান।’
ওপাশের মানুষটা আওয়াজ করে হেসে উঠল।অদ্রিজা কল্পনা করল রক্তিম নামক যুবকটির চমৎকার হাসিটা।ট্যারাব্যাকা দাঁতগুলোর দৃশমান হওয়া।চমৎকার হাসিতে সেই রক্তিম কল্পনায় ভেসে উঠতেই কেঁশে উঠল অদ্রিজা।রক্তিম বলল,
‘ আপনি নামক অসুখ থেকে মুক্তি পেয়েছি বলে কথা।তাছাড়া ড্রিংক করা আর সুইটহার্টের আদরের সুফল ও বলতে পারেন!’
অদ্রিজার মুখচোখ হঠাৎ এই কঠিন হয়ে উঠল।কঠিন কন্ঠে বলল,
‘ ছিঃ!আবার কোন মেয়েকে প্রেমিকা বানালেন? কোন মেয়ের সাথে সময় কাঁটিয়েছেন? ড্রিংক করেছেন? আবার গর্বের সাথে বলছেন ও? ‘
‘ তো?’
অদ্রিজা চুপ থাকল।মুখচোখ লাল করে রাস্তায় ছুটে চলা গাড়িগুলোর দিকে তাকিয়ে রইল।রক্তিম আবারও বলল,
‘ আপনি আমায় ভালো টালো বাসতে শুরু করে দেন নি তো অদ্রিজা?’
অদ্রিজা আগের মতোই দৃঢ় গলায় শুনাল,
‘ আপনাকে?আপনাকে ভালোবাসা যায় নাকি রক্তিম?’
রক্তিম পিচেল গলায় বলল,
‘ যারা ভালোবেসেছে তাদের থেকেই জানতে হবে।বলুন?’
অদ্রিজা রাগে দাউদাউ করে জ্বলে উঠল।রক্তিমের সাথে কথা বলার এতক্ষনকার ইচ্ছেগুলো চূর্ণ বিচূর্ণ হয়ে ভেঙ্গে পড়ল মুহুর্তেই।কলটা কেঁটেই রাগে ফোসফাঁস করে বাইরে তাকাল।রক্তিমের প্রতি জম্ম নিল চরম রাগ আর ক্ষোভ।মন থেকে বলে উঠল মুহুর্তেই, ” লোকটা খারাপ।পৃথিবীর সবথেকে খারাপ লোক। না তাকে ভালোবাসা যায় আর না সে কোনদিন কাউকে ভালোবাসতে পারবে অদ্রিজা।” কথাগুলো ভেবেই ছোট্টশ্বাস ফেলল অদ্রিজা।পেঁছন থেকে অদ্রিজার মা বলে উঠল,
‘ অদ্রি?কার সাথে কথা বলছিলি?ভার্সিটি যাবি কি?’
অদ্রিজা হঠাৎ চমকে উঠল।পেঁছন ফিরে চকচকে চাহনিতে মায়ের দিকে তাকিয়ে বলল,
‘ ত্ তুমি কখন আসলে আম্মু?’
অদ্রিজার মা মুচকি হাসল। হাতে একটা বড় লিস্ট করা কাগজ এনেই অদ্রিজাকে দেখিয়ে বলল,
‘ মাত্র এলাম।দেখ তো বাজারের লিস্টটা ঠিক আছে কিনা।পাশে কি কি রান্না হবে তাও লেখা আছে।দেখ তো জামাইয়ের পছন্দের খাবার গুলো আছে কিনা।আর কিছু থাকলে বল।’
অদ্রিজা ভ্রু কুঁচকে তাকিয়ে বলল,
‘ মানে?এই লিস্ট?খাবার? কিছুই তো বুঝলাম না আম্মু।’
অদ্রিজার আম্মু মিষ্টি হাসল।মেয়ের বিছানাটা গুঁছিয়ে নিতে নিতেই বললেন,
‘ তোর বিয়েটা এমনভাবে হুট করে হয়েছে কোন আয়োজনই হয়নি অদ্রি।তোদের বিয়ের আয়োজনটা বড় করে করতে পারব কিনা জানা নেই তবে জামাইকে তো একবেলাও খাওয়ানো হলো না।তাই ভাবলাম একদিন ভালোভাবে জামাইয়ের সব পছন্দের খাবার রান্না করে খাওয়াবো।আর তুই ও তো এই এক কয়দিন আছিস।ভালোই হবে বল?’
অদ্রিজা আনমনে মাথা নাড়াল।মায়ের দিকে তাকিয়ে মেকি হেসেই লিস্টটা হাতে নিল।ভালোভাবে দেখে নিতে নিতেই বেরিয়ে এল রুম থেকে।
.
ভার্সিটির মাঠে উজ্জ্বল চকচকে রোদ।অদ্রিজা নেহা সহ আরো দুই তিনজন যুবতী মাঠের বামপাশটায় গাছের ছায়ায় বসা।অদ্রিজা সরু চাহনিতে এপাশ ওপাশ তাকাতেই গেইট পেরিয়ে ভার্সিটিতে ঢোকা দিহানকে চোখে পড়ল। পাশ ফিরে নেহার দিকে তাকাতেই নেহাকেও সেদিক পানে তাকিয়ে থাকতে দেখল অদ্রিজা।নেহার দিকে ফিরেই মুচকি হাসল।ফিসফিসিয়ে বলল,
‘ এখনো বলিসনি তুই যে দিহানকে ভালোবাসিস?’
নেহা হকচকিয়ে পাশ ফিরে চাইল।দাঁত বের করে খিলখিলিয়ে হেসেই বলল,
‘ দূর!দিহান শুধু ক্রাশ।আর কিছু না।আর রোজই তো কত শত ক্রাশ খাই আমি বল দ্রিজা।সে আর এমন কি?বল।’
অদ্রিজা ভ্রু বাঁকিয়ে তাকাল।কনুই দিয়ে নেহার পেটে ঘুষি দিয়ে মুখে দুষ্টু হাসি ঝুলাল। বলল,
‘ তাই নাকি?’
নেহা চোখ টিপল।ঠোঁট বাঁকিয়ে বলল,
‘ অবশ্যই!দিহান কি হট আর হ্যান্ডসাম দেখেছিস?সো ক্রাশ না খেয়ে উপায় আছে বল?’
অদ্রিজা হাসল।বলল,
‘ ওহ।ওহ।আমি তো ভুলেই গিয়েছিলাম সেইদিন হসপিটালর এক রূপবতী কন্যা কান্না করতে করতে নুঁইয়ে পড়েছিল।চোখমুখ লাল করে কান্না করতে করতে বলেছিল,” দ্রিজা?আমি দিহানকে ছাড়া বাঁচব না।দিহান ঠিক হয়ে যাবে তো?” কে বলেছিল শুনি?তোর ভূত?’
নেহা চোখ ফিরিয়ে একবার অদ্রিজা তো একবার দিহানের দিকে তাকাল।মুখচোখ লজ্জ্বায় লাল করে ফেলতেই অদ্রিজাও মুচকি হাসল।ফিসফিসিয়ে বলল,
‘ কবে থেকে লজ্জ্বাবতী হলি?’
নেহা ঠোঁট টিপে হাসল।বুকের বা পাশে হাত রেখে অদ্রিজার থেকেও নিচু গলায় ফিসফিসিয়ে বলল,
‘ ঐ ছেলেটা এত্ত কেন জোস দোস্ত?তারে দেখলেই হৃদয়ের এইখানে লাগে ।হৃদয়ের ভেতর ধড়পড় শুরু হয়ে যায় আমার।কথা আসে না মুখে।তার সাথে কথা বলার এত ইচ্ছা থাকা স্বত্তেও আমি তার সামনে গিয়ে দুই সেকেন্ডের বেশি কথা এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি না।কি এক যন্ত্রনা বল তো।’
অদ্রিজা মৃদু হাসল।নেহা বুকের বা পাশে হাত রেখে সেভাবেই তাকিয়ে রইল দিহানের দিকে।কয়েক সেকেন্ড পর বসা থেকে উঠে পড়েই এগিয়ে গেল দিহানের দিকে। দিহানের পেঁছনে গিয়ে দাঁড়িয়েই মৃদু গলায় বলে উঠল,
‘ দিহান?’
দিহান পেঁছন ফিরে চাইল।নেহাকে দেখেই মুচকি হাসল।নেহার পেঁছনে তাকিয়ে একনজর মাঠে বসে থাকা অদ্রিজাকেও দেখে নিল।নেহার উদ্দেশ্যেই বলল,
‘ বল নেহা।’
নেহা মিষ্টি হাসল।মুচকি হেসেই বলল,
‘ কেমন আছিস দিহান?’
‘ হু, এই তো ভালো।তুই?’
নেহা উচ্ছ্বাসিত গলায় বলল,
‘ আমিও ভালো।তোর ক্লাস শেষ? ‘
দিহান এবার হাসল।বলল,
‘ হ্যাঁ শেষ।আসি?’
নেহা কিছু বলল না।মৃদু হেসে মাথা নাড়াল।দিহান দ্রুত সেখান থেকে প্রস্থান করল।আর নেহা সেদিক পানেই তাকিয়ে থাকল।
.
অদ্রিজা ভার্সিটির ক্যান্টিনেই বসে ছিল।পাশে নেহাও বসা ছিল।হঠাৎ নিজেদের সামনের চেয়ারটাতে এসে বসল একটা মেয়ে। সুন্দর ধবধবে শরীর।চোখমুখের মায়ায় যে কোন ছেলেই আকৃষ্ট হবে। লম্বা চুলগুলো খোলা রাখা।মেয়েটাকে দুয়েক নজর তাকিয়ে দেখেই চিনতে পারল অদ্রিজা।মেয়েটা সেদিনকার মেয়েটাই।তানিশা।অদ্রিজা ভ্রু জোড়া কুঁচকে নিয়ে তাকাতেই তানিশা বলে উঠল,
‘ তুমিই অদ্রিজা।তাই তো?’
অদ্রিজা দ্বিধান্বিত চাহনিতে তাকাল।মেকি হেসে বলল,
‘ হ্যাঁ, আমিই অদ্রিজা।’
তানিশা মুচকি হাসল।বলল,
‘ আমি তানিশা। রক্তিমের প্রাক্তনও ধরতে পারো আবার নাও ধরতে পারো কারণ ও আমায় কোনদিন ভালোবাসে স্বীকারই করেনি।বলেও নি ভালোবাসে।বোধ হয় আমারই ভুল ছিল। শুরু থেকেই।’
অদ্রিজা ছোট ছোট চোখে তাকাল।তানিশা আবার ও বলল,
‘ রক্তিমের কে হও তুমি?রক্তিমের সাথে সেদিন দেখলাম।আবার নদীর পাড়েও দেখলাম তোমার সাথে।তুমি ওর বর্তমান প্রেমিকা?’
অদ্রিজা ইতস্থত চাহনিতে তানিশা আর নেহার দিকে তাকাল।অস্পষ্ট কন্ঠে বলল,
‘ জ্বী?’
তানিশা হাসল।বলল,
‘ রক্তিমের প্রেজেন্ট গার্লফ্রেন্ড তুমিই?’
অদ্রিজা কয়েক সেকেন্ড চুপ থাকল।তারপর সোজা কন্ঠে বলল,
‘ না।গার্লফ্রেন্ড নই আমি উনার।’
‘ তাহলে?কে হও তুমি ওর?’
অদ্রিজা কিঞ্চিৎ বিরক্ত হলো।রক্তিমের কি হয় সে?এই প্রশ্নের উত্তরে কি বলবে বুঝে উঠল না সে।সরু চাহনিতে তানিশার দিকে তাকাতেই তানিশা আবারও বলল,
‘ প্লিজ রক্তিম নামক বিষাক্ত মানুষটার ফাঁদে পা দিও না অদ্রিজা।পরে ভুগবে। রক্তিমের কাজই হলো মানুষের অনুভূতি নিয়ে খেলা!দেখবে তোমার অনুভূতি নিয়েও খেলবে।প্লিজ ওর সাথে জড়িয়ো না।একেবারেই না।’
কয়েক সেকেন্ড থেমে তানিশা আবারও বলল,
‘ আমি আর রিমু বেস্টফ্রেন্ড ছিলাম অদ্রিজা।এই ভার্সিটিতেই পড়তাম।তারপর রক্তিমের সাথে আলাপ হলো।দুইজন বান্ধবীই তখন রক্তিমের প্রেমে আপ্লুত।রক্তিম কোনদিন আমাদের দুইজনের কাউকেই “ভালোবাসি” বলে নি। তবুও আমরা কি পাগল বলো তো।আমরা সেই ছেলেটার প্রেমে হাবুডুুবু খেয়ে নিজেদের অস্তিত্বটাই হারিয়ে ফেললাম।দুইজন বান্ধবীর সম্পর্ক ভেঙ্গে গেল।কিন্তু রক্তিম?সে নাকি আমাদের কাউকেই ভালোবাসেনি।’
অদ্রিজা তপ্তশ্বাস ফেলল।অগোছাল মনটাকে গুঁছিয়ে কাঁপা কন্ঠে বলল,
‘ আ্ আপু?আপনি কিংবা রিমু, আপনাদের সাথে শারিরীক সম্পর্ক ছিল রক্তিমের?ছিল?’
তানিশা চকচকে তাকাল।তাচ্ছিল্য নিয়ে হেসে বলল,
‘ যে মানসিক ভাবেই একটা মানুষকে ভেঙ্গে চূড়মার করে দিতে পারে তার কি শারিরীক ভাবে সুযোগ নিতে হয় অদ্রিজা?রক্তিম কোনদিন আমাদের হাতও স্পর্ষ করেনি।তাতে কি হবে? মনের দিক দিয়েই আমাদের নিঃস্ব করে দিয়েছে ও।এই যে আমার কালকে হলুদ? তবুও আমি তাকে ভুলতে পারছি না।তাকেই ফলো করছি।তাকেই আড়াল থেকে ভালোবেসে চলেছি।তুমিও যাতে সেই কঠিন কষ্টটা ফেইস না করো তাই সাবধান করতে আসলাম। রক্তিম নামক মানুষটার ফাঁদে পা দিও না অদ্রিজা।’
অদ্রিজা দীর্ঘশ্বাস ফেলল।আর এক মুহুর্তও না বসে উঠে দাঁড়াল।মৃদু গলায় বলল,
‘ ভবিষ্যৎ এবং বিবাহিত জীবনের জন্য শুভকামনা আপু।আসছি।’
কথাটা বলেই উল্টোদিক ফিরে পা বাড়াল অদ্রিজা।পেঁছন পেঁছন হুড়মুড় করে দৌড় লাগাল নেহাও।
#চলবে….
{ আজকের পর্ব অপেক্ষাকৃত অন্য পর্বের থেকে ছোট।আর রক্তিম আর অদ্রিজার কাহিনীও কম এই পর্বে।তার জন্য দুঃখিত।পরবর্তী পর্ব বড় করে দেব। কেমন হয়েছে জানাবেন সবাইকে ভালোবাসা!}