হৃদয় নিবাসে তুই পর্ব-৮

0
2875

#হৃদয়_নিবাসে_তুই
#পর্ব_০৮
লেখনীতেঃভূমি

কিছুটা দূরেই রক্তিম দাঁড়িয়ে। নিরন্তরভাবে তাকিয়ে রইল অদ্রিজা আর দিহানের বাহুবন্ধনের দিকে।কতোটা ভালোবেসে হাতটা আঁকড়ে ধরেছে দিহান। রক্তিম তাচ্ছিল্য নিয়ে হাসল।চোখজোড়া দিয়ে তীক্ষ্ণ চাহনি ফেলল অদ্রিজার দিকে।কি সুন্দর মুখে হাসি।এই মেয়েটা তার সামনে এভাবে কখনো হেসেছে?মনে পড়ে না রক্তিমের।বাম হাতের ঘড়িতে সময় দেখেই অদ্রিজার দিকে আরেকবার চাইল সে।ঠিক তখনই অদ্রিজার সাথে চোখাচোখি হয়ে গেল রক্তিমের।সঙ্গে সঙ্গেই দিহানের হাতটাকে ঝাড়া দিয়ে হাতটা ছাড়িয়ে নিল অদ্রিজা।রক্তিমের দিকে তাকিয়ে ছোট শ্বাস ফেলল।লোকটা কি অন্য কিছু ভাবছে তাকে নিয়ে?দিহান আর তার সম্পর্ককে অন্য কিছু ভাবছে নাহ তো?দু পা বাড়িয়ে রক্তিমের কাছে যাবে তখনই দিহান আবারও অদ্রিজার হাতটা চেপে ধরল।শান্ত কন্ঠে বলল,

‘ হাতটা ছাড়িয়ে নিলে দ্রিজা?আবারও এড়িয়ে যাচ্ছো আমায়?কেন?’

অদ্রিজা চোখ ফিরিয়ে চাইল।কপাল কুঁচকে নিয়েই বলল,

‘ আগে কখনো এভাবে হাত ধরতে না তুমি দিহান।বারবার এভাবে হাত ধরছো কেন তুমি?’

দিহান মুচকি হাসল।হাতটা ছাড়ল না।সেভাবেই ধরে রেখেই বলল,

‘ ভয় নেই।আমি তোমায় আবার আঁকড়ে ধরে রাখতে চাইব না দ্রিজা।হ্যাঁ আগে তোমার হাত কখনো ধরিনি।হয়তো সে কারণেই তুমি আমার হলে না।তোমায় ধরে রাখতে পারলাম না।’

অদ্রিজা দীর্ঘশ্বাস ফেলল।এতক্ষন চাপা থাকা অপরাধবোধটা তড়তড় করে বেড়ে উঠল এবার।দিহানের দিকে সরু চাহনিতে তাকাতেই দিহান হাতটা ছেড়ে দিল।মৃদু কন্ঠে বলল,

‘ স্যরি।আর কখনো এই বিষয়ে কথা বলব না আমি।হাতও ধরব না।বাই দ্রিজা।’

অদ্রিজা কি বলবে বুঝে উঠল না।চোখজোড়া বন্ধ করেই বার কয়েক শ্বাস ফেলল সে। দিহান উল্টোপথে পা বাড়িয়েছে ততক্ষনে।অদ্রিজা চোখ খুলে দিহানকে পেছন থেকে দেখে নিয়েই উল্টোদিকে ফিরল।রক্তিম সেখানেই দাঁড়িয়ে আছে এখন ও।মুখে অদ্ভুত হাসি।যে হাসির মানে অদ্রিজার জানা নেই।তবে মনের ভেতর জ্বলজ্বল করে উঠল রক্তিমের উপর জমে থাকা সহস্র অভিমান। আচ্ছা রক্তিম কি তাকে স্যরি বলতে এসেছে?এভাবে আঘাত করে কষ্ট দিয়ে এখন স্যরি বলতে এসেছে?নয়তো কেন আসবে?এই ভার্সিটিতে তে রক্তিমের আর কেউ থাকার কথা নয়।অদ্রিজা চোখ মুখ কুঁচকে চাইল।রক্তিম স্যরি বললেও সে কোনভাবেই ক্ষমা করবে না এমনটাই সিদ্ধান্ত নিল তার মন।পা জোড়া এগিয়ে রক্তিমের কাছে গিয়েই বলে উঠল,

‘ আপনি আমার ভার্সিটিতে?আমার পিছুপিছু চলে এসেছেন?কেন এসেছেন?’

রক্তিম ভ্রু জোড়া কুঁচকে চাইল অদ্রিজার দিকে।চোখে মুখে ফুটে উঠল তীব্র বিরক্তির ছাপ।ঘড়িতে একনজর সময় দেখে নিয়েই গম্ভীর কন্ঠে বলল,

‘ এনি প্রবলেম?’

অদ্রিজা হতাশ হলো।ভেবেছিল রক্তিম তাকে স্যরি বলবে।নরম গলায় বলবে,” ব্যাথা পেয়েছেন ?তখনকার ব্যবহারটার জন্য আমি দুঃখিত অদ্রিজা। ক্ষমা করে দিবেন আমায়?প্লিজ!” কিন্তু তেমন কিছুই বলল না রক্তিম।বরং পুরোপুরি মুখচাহনি দিয়ে বুঝিয়ে দিল অদ্রিজা তার বিরক্তির কারণ।তবুও হাল ছাড়ল না অদ্রিজা।দাঁতে দাঁত চেপে বলল,

‘ অবশ্যই সমস্যা রক্তিম।একটা লোভী মেয়ের পিছুপিছু আপনি তার ভর্সিটিতে আসবেন কেন?কি কারণ?’

অদ্রিজাকে এবারও নিরাশ করল রক্তিম।ম্লান হাসি হেসে বলে উঠল,

‘ ভুল!ভার্সিটিটা কেবল আপনি আর আপনার প্রেমিকের নয় অদ্রিজা।’

‘ মানে?ভার্সিটিতে আপনার পরিচিত আর কে আছে?বলুন। ‘

রক্তিমের বিরক্তির ছাপটা এবার আরও ঘাঢ় হলো।মুখ চোখ কুঁচকে নিয়েই অদ্রিজার বাহুজোড়া চেপে ধরল দুই হাতে।শক্ত হাতজোড়ার চেপে ধরা সহ্য করতে পারল না অদ্রিজার নরম তুলতুলে পেশীর হাতজোড়া।ব্যাথায় সঙ্গে সঙ্গেই মুখচোখ কালো হয়ে গেল অদ্রিজার।রক্তিম একনজর তাকিয়েই দাঁতে দাঁত চেপে বলল,

‘ সমস্যা কি আপনার?জ্বালাচ্ছেন কেন আমাকে? বুঝতে পারছেন না আমি আপনাকে এড়িয়ে যাচ্ছি?আপনাকে বিরক্ত লাগছে আমার অদ্রিজা।আপনাকে সহ্য করতে পারছি না আমি।বুঝার চেষ্টা করুন।আমায় ছেড়ে দিন। প্লিজ লিভ মি অদ্রিজা।প্লিজ।’

অদ্রিজা টলমলে চাহনিতে তাকাল রক্তিমের দিকে। কেঁপে উঠল হৃদয়ের ভেতরটা।বলার মতো কিছু খুঁজে ও পেল না সে।কান্না পাচ্ছে।রক্তিমের প্রতি সদ্য জম্ম নেওয়া অনুভূতিগুলো নিমিষেই ভেঙ্গে গেল যেন। অস্ফুট কন্ঠে বলল কেবল সে,

‘ হাত ছাড়ুন রক্তিম।আমি আপনাকে ছাড়তে পারব না। বিরক্ত লাগলে ও আমাকে সহ্য করতে হবে রক্তিম।আমি আপনার সাথে থাকতে বাধ্য।’

রক্তিম ঝাড়া দিয়ে ছেড়ে দিল অদ্রিজার হাতজোড়া।অদ্রিজা হঠাৎ টাল সামলাতে না পেরেই দুই পা পিঁছিয়ে গেল।রক্তিম নামক পুরুষটার প্রতি আবার ও জম্মাল শত সহস্র রাগ, ক্ষোভ আর ঘৃণা।চোখজোড়া দিয়ে জ্বলন্ত চাহনি নিক্ষেপ করেই বলল সে,

‘ আমি জানতাম আপনি খারাপ, চরিত্রহীন। তবুও আপনার সাথে জীবনটা জড়িয়েছি। হ্যাঁ, আপনার কাছে আমি লোভী মেয়ে রক্তিম।কিন্তু আপনার এই ধারণাটা যে ভুল সেটা প্রমাণ করতেই আমি আপনাকে ছেড়ে যাব না কোনদিন।কোনদিনও না।’

রক্তিম তাচ্ছিল্য নিয়ে হাসল।ভ্রু নাঁচিয়ে বলল,

‘ ব্যস এইটুকু? বাট ইউ নো হোয়াট অদ্রিজা?আপনি আমায় ছেড়ে যাবেন এটাই সত্যি।সেটা যে কোনদিন যে কোন ক্ষণ।মিথ্যে আশা দেখাবেন না আমায়।’

অদ্রিজা তীক্ষ্ণ চাহনি ফেলল রক্তিমের দিকে।এতটা অবিশ্বাস কেন এই লোকটার?কেন ছেড়ে যাবে সে?উত্তর খুঁজে না পেয়েই জ্বলন্ত নিয়ে চাইল সে।কিছু বলতে যাবে ঠিক তখনই সেই স্থানে আগমণ ঘটল মোমের মতো সাদা সুন্দরী এক নারীর।পরনে কালো রংয়ের জামা।চোখ মুখ চমৎকার।সৃষ্টিকর্তা যেন অনেক সময় নিয়ে অনেক যত্ন করে বানিয়েছে সেই মেয়েটিকে।অদ্রিজা সরু চাহনিতে মেয়েটার দিকে চাইতেই মেয়েটা অদ্ভুত কাজ করে বসল।রক্তিমের বুকে ঝাপটে পড়ল পাগলের মতো।দুই হাত দিয়ে রক্তিমের বুকে ঘুষি দিতে দিতেই ভেজা কন্ঠে বলল,

‘ তুমি খারাপ রক্তিম।এই পৃথিবীর সবথেকে খারাপ মানুষ তুমি। আমার অস্তিত্বটাই আমার কাছ থেকে কেড়ে নিয়েছো তুমি রক্তিম। চাইলেও আমি তোমায় ভুলতে পারছি না রক্তিম।আমার কাছে মনে হচ্ছে মৃত্যু ছাড়া আমার আর কোন কিছু করার নেই রক্তিম।আমি বাঁচতে পারছি না এইভাবে।’

রক্তিম হালকা হাসল।মেয়েটার কাঁধে দুই হাত রেখেই সরে দাঁড়াল সে।মৃদু কন্ঠে বলল,

‘ তুমি অনেক ভালো মেয়ে তানিশা।আমার থেকেও ভালো ছেলে তুমি ডিজার্ব করো।আর আমি তো তোমায় কোনদিনও ভালোবাসি বলিনি তানিশা।শুধু শুধু নিজের মূল্যবান অনুভূতিতে কেন আমায় জড়ালে?কেন ভাবলে আমিও তোমায় ভালোবাসি?আমি তো কোনদিন তোমায় বলিনি ভালোবাসি।’

তানিশা জ্বলে উঠল।ক্ষ্রিপ্ত গলায় বলল,

‘ তুমি রিমুর সাথে যেমনটা করেছো ঠিক তেমনটাই করতে চাইছো আমার সাথে?আমাকে ভেঙ্গে গুড়িয়ে দিতে চাইছো রক্তিম?রিমুকেও তুমি এইভাবেই ঠকিয়েছো।রিমুও মানিসক ভাবে এলোমেলো হয়ে গিয়েছিল।বারবার মরতে চেয়েছিল।ঠিক যেমনটা এখন আমার হচ্ছে। তুমি ঠিক তেমনটাই করতে চাইছো আমার সাথে।তাই না?’

রক্তিম হাসল।বলল,

‘ উহ,তানিশা। প্লিজ, মৃত্যুর কথাটা ভাববে না প্লিজ।যদি সত্যিই আমায় ভালোবাসো তো আমি বলব, জীবনে এই ছাড়াও অনেক কিছু আছে তানিশা।একটা মানুষের উপর ভালোবেসেই যদি পুরো জীবনটা কাঁটানো যেত তবে মানুষ বারবার প্রেমে পড়ত না।আজ আমাকে ভালোবাসছো, কাল ঠিকই অন্য একজনকে ভালোবাসবে তানিশা।এবং আই হোপ, সে আমার থেকে অনেকগুণ ভালো হবে।আর রিমুর সাথেও কিন্তু আমি কিছুই করিনি তানিশা।ও কেও আমি কোনদিন ভালোবাসি কথাটা বলিনি। আমি এই জীবনে কোনদিনও কাউকে ভালোবাসি বলিনি তানিশা।আর বলব ও না।’

তানিশা চোখ ভরা জল নিয়ে চেয়ে থাকল।এই রক্তিম নামক মানুষটা তাকে ভালোবাসেনি ভেবেই হৃদয় ভেঙ্গে যাচ্ছে তার। হু হু করে কেঁপে উঠছে বুকের ভেতরটা।দলা পাকিয়ে কান্না আসছে।তীব্র অভিমান নিয়ে ব্যাগ থেকে বের করল বিয়ের কার্ডটা। রক্তিমের দিকে এগিয়ে দিয়েই বলে উঠল,

‘ আর দশদিন পর আমার বিয়ে রক্তিম।রিমুর পথটাই বেছে নিলাম আমিও।তুমি নামক অভিশাপটা থেকে বাঁচতে বিয়েটাই করতে বাধ্য হলাম। দেখি বর নামক মানুষটা তোমায় ভোলাতে পারে কিনা।’

রক্তিম এগিয়ে নিল কার্ডটা।মুখে হাসি রেখেই বলল,

‘ শুভকামনা তানিশা।অনেক সুখী হবে দেখো।’

তানিশা আর এক পা ও দাঁড়াল না। উল্টোদিক ফিরে হাঁটা ধরল।অদ্রিজা সেখানেই থম মেরে দাঁড়িয়ে রইল।কি অদ্ভুত!মেয়েটা রক্তিমকে কতটুকু ভালোবাসে। অতচ রক্তিম?ফিরিয়ে দিল?কেন?বুঝে উঠল না অদ্রিজা।রক্তিমের কাছাকাছি গিয়েই জিজ্ঞেস করল,

‘ মেয়েটাকে এভাবে ভেঙ্গে গুড়িয়ে দিলেন কেন রক্তিম?আপনাকে ভালোই তো বেসেছিল।’

রক্তিম বাঁকা হাসল অদ্রিজার কথা শুনে।ফিসফিসিয়ে বলল,

‘ ইটস কলড গেইম অদ্রিজা।আপনি বুঝবেন নাহ।আমি মজা পাই ওদেরকে এভাবে ভেঙ্গেচুড়ে গুঁড়িয়ে দিতে।আহ!’

সাথে সাথে মুখচোখ শক্ত হয়ে গেল অদ্রিজার।একটা মানুষ কতটা খারাপ হলে অনুভূতি নিয়ে খেলতে পারে।একটা মেয়েকে নিয়ে খেলতে পারে।ঘৃণায় মুখ চোখে দেখা গেল কুৎসিত এক বর্ণ।ক্ষ্রিপ্ত গলায় বলে উঠল সে,

‘ ইউ আর এ সাইকো রক্তিম।ছিঃ!তানিশা, রিমু, না জানি আরো কত মেয়ের জীবন নিয়ে খেলেছেন আপনি।কত মেয়ের শরীর নিয়ে খেলেছেন।আর কত মেয়ের মনে জাগা পবিত্র অনুভূতি গুলোকে ভেঙ্গে চুড়মাড় করেছেন।ছিঃ!আসলেই আপনি পৃথিবীর সবথেকে খারাপ মানুষ রক্তিম।কোন মনুষত্ব্যই নেই আপনার মাঝে।থাকতেই পারে নাহ।একটা খারাপ, চরিত্রহীন লোক আপনি। কে জানে আরো কতজন আপনার স্বীকার হতে চলেছে।আজ আমি তো কাল অন্য কেউ!ছিঃ!আই হেইট ইউ রক্তিম।’

.

রিক্সায় চড়ে ভার্সিটি থেকেই ফিরছিল অদ্রিজা।রক্তিমের সাথে কথা বলেই ভার্সিটি থেকে বেরিয়ে এসেছিল সে।চোখমুখ লাল টকটকে হয়ে আছে।নাকের অগ্রভাগও লাল।রাগে, ক্ষোভে, ঘৃণায় কান্না পাচ্ছে তার। প্রচুর মাথা ব্যাথা নিয়ে এদিক ওদিক তাকাতেই হঠাৎ রাস্তার পাশে নেহাকে দেখল। ভ্রু জোড়া কুঁচকে নেহার দিকে তাকাতেই চোখাচোখি হলো দুইজনের চাহনি।নেহা সঙ্গে সঙ্গেই ইশারা করল নেমে যাওয়ার জন্য।অদ্রিজা কপালটা আরো কিছুটা কুঁচকে নিল। নেহা বার কয়েক নেমে যাওয়ার অনুরোধ করতেই সেও উপায় পেলনা নেহাকে না করার।রিক্সা থেকে নেমে পড়ে রাস্তা পার হয়ে নেহার কাছে গিয়েই বলল,

‘ কিরে নেহা?কি হয়েছে?এখানে দাঁড়িয়ে আছিসই বা কেন?’

নেহা মুখ কালো করে চাইল।মৃদু কন্ঠে বলল,

‘ দ্রিজা, মামনি দেশে ফিরেছে এক সপ্তাহ হলো বুঝলি।এখন দেখা কি করে করি বলতো।বাবা জানলে তো জীবনেও দেখা করতে দিবে না।আর মামনির সাথে দেখা না করলে আমার ভালো লাগে না।শত হোক আমি তার কার্বন কপি বলে কথা।এটুকু তো টান থাকা উচিত বল?মানুষ ভুল করতেই পারে।আমার পরিবার কেন যে মামনিকে মেনে নিচ্ছে নাহ।কে জানে!’

অদ্রিজা সরু চোখে চাইল।নেহার কাছে তার মামনির সম্পর্কে অনেক শুনেছে সে।দেখাও হয়েছে নেহার মামনির সাথে বার কয়েক।সম্পর্কে নেহার বাবার বোন সে মহিলা।ভদ্রমহিলা জীবনে কোন ভুল করেছে তা নেহার কাছে এই পর্যন্ত হাজারবার শুনেছে সে।কিন্তু কি ভুল তা সে জানে না।নেহাও কোনদিন বলেনি।অদ্রিজা ছোট্ট শ্বাস ফেলে বলল,

‘ থাকছেন কতদিন উনি দেশে?’

‘ এই ধর একমাস।’

অদ্রিজা ছোট্ট শ্বাস ফেলেই বলল,

‘ সে অনেক সময় নেহা।একমাসে ত্রিশটা দিন।আমরা কোন একটা দিন ঠিকই সুযোগ করে দেখা করে আসব।ঠিকাছে?আজ আসি আমি।ভাল্লাগছে না আমার নেহা। ‘

নেহা মুখ ফুলিয়ে ছোট্ট শ্বাস ফেলল।মুখের চাঞ্চল্য টা মুহুর্তেই হারিয়ে গেল অদ্রিজার মন খারাপ দেখে। হতাশ চাহনিতে অদ্রিজার দিকে তাকিয়েই বলল,

‘ হু। বাই।’

#চলবে….

{ আজকের পর্বটা সময়ের কারণে ভেঙ্গে ভেঙ্গে লেখা হয়েছে।অনেক জায়গায় অগোছাল, খাপছাড়া হয়েছে।দুঃখিত তার জন্য।ভুলত্রুটি ক্ষমাস্বরূপ দেখবেন।ভালোবাসা! }

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here