#হৃদয়_নিবাসে_তুই
#পর্ব_০৯
লেখনীতেঃভূমি
শীতের রাতের ঠান্ডা বাতাসে শরীরটা কেঁপে উঠল অদ্রিজার।নেহার সাথে তার মামনির বাসার সামনেই দাঁড়িয়ে রইল এই ঠান্ডার মধ্যে।বাড়ির গেইটে তালা ঝুলছে।দাড়োয়ান সাফ সাফ জানিয়ে দিয়েছে,” বাড়ির মালিক এখন নেই।ডুকতে দেওয়া হবে নাহ।”। এই ঠান্ডায় প্রচন্ড মন খারাপ নিয়েও রাত দশটায় অবশেষে নেহার জন্য ছুটেই আসতে হলোই অদ্রিজাকে।কাল সকালেই ভদ্রমহিলা চলে যাবে এই দেশ থেকে।এক মাস থাকার পরিবর্তে হুট করে এভাবে চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ার কোন কারণ খুঁজে পেল না অদ্রিজা। সারাটাদিন রাগ, ক্ষোভ আর রক্তিমের উপর পাহাড় সমান অভিমান নিয়ে মাথাটাই ভারী হয়ে আছে তার।মুখ চোখ কুঁচকে নেহার দিকে তাকাতেই মনে পড়ল রক্তিমের কথা।নেহাকে আর দিহানকে রক্তিম কিভাবে চেনে তা তো জিজ্ঞেসই করা হয় নি তার।আর এক মুহুর্তও দেরি করল না অদ্রিজা। দ্রুত প্রশ্ন ছুড়ল,
‘ নেহা?তুই রক্তিম মাহমুদকে আগে থেকে চিনিস? আর উনিই বা তোকে কিভাবে চেনে নেহা?কে হয় উনি তোর?’
নেহা ভ্রু কুঁচকে চাইল।রক্তিমকে নিয়ে অদ্রিজার সিরিয়াসলি প্রশ্ন করা দেখেই ফিক করে হাসল নেহা।চোখ টিপেই বলল,
‘ কিরে বান্ধবী? বরকে নিয়ে এত চিন্তা। একে তো তুই তোর বরের সাথে আমাদের পরিচয় করিয়ে দিলি না তার উপর যখন দেখলি চেনা মানুষ তখন টেনশনে পড়ে গেলি?তোর বরকে নিয়ে কি ভাগব নাকি দ্রিজা?’
অদ্রিজা বিরক্ত হলো নেহার কথায়।কাঙ্খিত উত্তর না পেয়েই কপাল কুঁচকে বলল,
‘ যেটা জিজ্ঞেস করছি তার উত্তর দে।উল্টোপাল্টো কথা বলিস কেন?আজব!’
নেহা হেসে উঠল খিলখিলিয়ে।কয়েক সেকেন্ড হেসেই বলল,
‘ উনি?উনি তো আমার প্রেমিক।যেদিন প্রথম দেখেছিলাম উনাকে সেদিনই বড়সড় ক্রাশ খেয়েছিলাম উনার উপর।তখন তো উনি অবিবাহিত ছিল।কিন্তু মাঝখান দিয়ে তুই আমার সতীন হয়ে গেলিরে দ্রিজা।’
অদ্রিজা ভ্রু বাঁকিয়ে নেহার দিকে তাকাল।মুখ কালো করে বলল,
‘ সত্যি করে বল না কে হয় উনি তোর?আমি জানতে চাই।’
অদ্রিজার কথার উত্তরে নেহা কিছু বলার আগেই পেছনে এসে দাঁড়াল শক্তপোক্ত, লম্বা চওড়া একটা লোক।রাস্তার ল্যাম্পপোস্টের আলোতে নিজের পেঁছনে সেই মানুষটার অবয়ব দেখেই ভ্রু জোড়া কুঁচকে এল অদ্রিজার।তৎক্ষনাৎ পেঁছন ফিরতেই মানুষটার শক্ত পেশির চওড়া বুকের সাথে ধাক্কা খেয়ে কয়েক পা পিঁছিয়েই মাথা তুলে চাইল অদ্রিজা।তার সামনে সেই ঘৃণাময় লোকটা।রক্তিম নামক পুরুষটা।সঙ্গে সঙ্গেই মুখচোখ লাল হয়ে উঠল অদ্রিজার।বুকের ভেতর থাকা ক্ষোভ ঘৃণা আবারও তরতাজা হয়ে উঠল মুহুর্তেই। দাঁতে দাঁত চেপে বলল,
‘ রক্তিম? আপনি?এখানে?’
রক্তিম মৃদু হাসল।মুচকি হেসে বলল,
‘ আমি আপনাকে অনেকটা ভালো ভেবেছিলাম অদ্রিজা।আপনাকে নিয়ে আমার ধারণা গুলো অনেকটা স্বচ্ছ আর সুন্দর ছিল।কিন্তু আপনি আসলেই তেমন না।নয়তো রুহানা চৌধুরির সাথে দেখা করতে আসতেন নাহ।’
অদ্রিজা ছোটছোট চোখ করে তাকাল।রুহানা চৌধুরী নেহার মামনির নাম। নেহার কাছেই শুনেছিল সে।কিন্তু তার সাথে দেখা করতে আসার সাথে অদ্রিজাকে ভালো, খারাপ ভাবার কারণ কি?অদ্ভুত।কপাল কুঁচকে চেয়ে থেকেই বলল অদ্রিজা,
‘ তো? খারাপ ভাবতে শুরু করে নিয়েছেন?’
রক্তিম মুচকি হাসল। কানের কাছে ফিসফিসিয়ে বলল,
‘ আমি আপনাকে খারাপ ভাবতে আরো আগে থেকে শুরু করে দিয়েছি অদ্রিজা।আপনি সবথেকে নিকৃষ্ট নারী।আমাকে ক্ষণে ক্ষণে নিঃস্ব করে দিচ্ছেন আপনি।এনিওয়েজ, গাড়িতে গিয়ে বসুন।আমি নেহার সাথে কথা বলে আসছি।’
অদ্রিজা জোরে জোরর শ্বাস ফেলল।রক্তিমের কথাবার্তা কিছুই তার মস্তিষ্ক বুঝে উঠে না।কখনো বুঝে উঠা সম্ভব কিনা তাও জানে না।এই লোকটা এত অদ্ভুত কেন বুঝে উঠে না অদ্রিজা।রক্তিমের বলা কথাটাকে মান্যতা না দিয়েই ক্ষ্রিপ্ত গলায় বলল,
‘ গাড়িয়ে গিয়ে বসব?আমি মামনির সাথে দেখা করে তারপরই যাব রক্তিম।আপনি চলে যান।’
রক্তিম মুচকি হাসল।অদ্রিজাকে একবার দেখে নিয়েই নেহার দিকে তাকাল।চোখ টিপে বলল,
‘ হাই লিটল ওয়াইফ।’
নেহা মুখ ফুলিয়ে হাসল।কাছাকাছি দাঁড়িয়েই উচ্ছ্বাসিত গলায় বলল,
‘ হ্যালো রক্তিম ভাইয়া। দাদিমা কেমন আছে?’
রক্তিম মিষ্টি হেসেই বলল,
‘ আমি থাকতে খারাপ থাকে কি করে?’
নেহা হাসল।রক্তিমও হাসল। অদ্রিজার তাদের দুইজনের কথোপকোথন শুনেই হা হয়ে চেয়ে রইল।এদের কথোপকোতন বলছে দুইজন দুইজনার কতটুকু পরিচিত।অথচ অদ্রিজা এদের সম্পর্কটা কি আজও জানল না।নেহার দাদিমার সাথেই বা কি সম্পর্ক রক্তিমের?অদ্রিজা বুঝে উঠল না।রক্তিম হেসেই বলল,
‘ ঐ মহিলার সাথে তো দেখা হবে না লিটল ওয়াইফ।বাসায় ফিরে যাও। আমি মনে করি ঐ মহিলাটার সাথে তোমার দেখা করা উচিত ও না নেহা।’
নেহার হাসিতে ফুলে উঠা মুখটা মুহুর্তেই চুপসে গেল।বার কয়েক নিঃশ্বাস নিয়ে বলে উঠল,
‘ তোমরা এমন করো কেন মামনির সাথে? এতটা ঘৃণা কি মামনির আসলেই প্রাপ্ত ভাইয়া?অন্তত তুমি এমনটা করতে পারো না ভাইয়া।’
রক্তিম আওয়াজ করে হেসে উঠল।তারপরই বলল,
‘ ঐ খারাপ মহিলাটা সম্পর্কে বলার মতো কিছু নেই আমার।ভালো থেকো।এত রাতে রাস্তায় না দাঁড়িয়ে বাসায় যাও।উনি দেখা করবেন না লিটল ওয়াইফ।ফিরে যাও।’
অদ্রিজা কিছুই বুঝল না।ঠোঁট চেপে প্রশ্ন করল,
‘ নেহার মামনির সাথে আপনার কি সম্পর্ক রক্তিম?খারাপ বলছেনই বা কেন উনাকে?এতটা ঘৃণাই বা করেন কেন আপনি উনাকে।উনি কে আপনার?’
রক্তিম উত্তর দিল না।আশেপাশে তাকিয়েই একটা রিক্সা ডেকে নিল।নেহাকে ইশারা করেই বলল,
‘ উঠে পড়ো নেহা।আমি চাই না তুমি এখানে মাঝরাস্তায় এতরাতে ঐ মহিলাটার জন্য দাঁড়িয়ে থাকো। উনি কাল সকালেই ব্যাক করবে।তোমার সাথে উনার দেখা হবে না নেহা।তারপরও যদি চাও তো কাল সকালে এসে দেখা করতেই পারো।তবে আজকের মতোই ফিরে যেতে হবে আই হোপ।আর হ্যাঁ, অদ্রিজাকে সাথে নিয়ে নয়।আমি চাই না অদ্রিজা ঐ মহিলার সাথে দেখা করুক।মনে থাকবে?’
নেহা ড্যাবড্যাব করে চেয়ে থাকল কেবল।অদ্রিজাও নিশ্চুপ হয়ে দাঁড়িয়ে রইল।রক্তিম নামক পুরুষটাকে বুঝে উঠতে না পেরেই নিজের ভেতরটা জ্বলে উঠেছে নিরবে।এত কিসের ভাব এই লোকটার?তাকে, তার কথাকে এভাবে উপেক্ষা করার সাহস কি করে হয় এই যুবকটির?জ্বলন্ত চাহনিতে রক্তিমের দিকে তাকিয়ে থাকতেই রক্তিম ফিরে চাইল অদ্রিজার দিকে।বাঁকা হেসে বলল,
‘ উহ, মিসেস অদ্রিজা।প্লিজ এভাবে চেয়ে থাকবেন নাহ।আই নো, আমি দেখতে সুন্দর।সুন্দর পুরুষের প্রেমে পড়ে গেলে পরে আমাকে দোষারোপ করবেন না।’
অদ্রিজা বিরক্তি নিয়ে তাকাল। রক্তিমের স্বাভাবিক আচরণ দেখে অবাক ও হলো।আগের মতোই হাসিটা আর কথাগুলো শুনে মনের ভেতর জমলো বিস্তর কৌতুহল।দৃঢ় কন্ঠে বলল,
‘ নেহা কোথাও যাবি না।আমরা মামনির সাথে দেখা করে তারপরই যাব।রাত একটা হোক বা রাত দুটো।দেখা করে তারপরই যাব।’
নেহা হতাশ চাহনিতে তাকাল। উত্তর দিল না।রক্তিমের চোখমুখের পরিবর্তন ঘটল খুব দ্রুত।চোয়াল শক্ত হয়ে গেল দ্রুত।অদ্রিজার বৃথা তর্কে ধপাধপ জ্বলে উঠল তার মস্তিষ্ক।অদ্রিজার নরম তুলতুলে হাতটা হাত দিয়ে শক্তভাবে ধরেই টেনে আনতে আনতে চেঁচিয়ে বলল,
‘ লিটল ওয়াইফ? উঠে পড়ো রিক্সায়।বাই।’
অদ্রিজা হাত ছাড়ানোর চেষ্টা করল নিজের সবটুকু দিয়ে। কিন্তু পেরে উঠল না রক্তিমের হাতের সাথে।নিজের হাতটাকে ছাড়াতে না পেরেই চেঁচিয়ে বলে উঠল অদ্রিজা,
‘ রক্তিম?ছাড়ুন আমার হাত।ব্যাথা পাচ্ছি আমি।’
রক্তিম ছাড়ল না হাতটা।হিঁচড়ে টেনে নিয়ে গাড়িতে বসিয়ে দিয়েই ঝুঁকে পড়ল অদ্রিজার উপর।হাত জোড়া অদ্রিজার দুপাশে সিটে রেখেই মুখোমুখি মুখ রাখল।কঠিন কন্ঠেই বলল সে,
‘ আপনার প্রেমিক যখন হাত ধরে তখন কিন্তু আপনার হাত ব্যাথা হয় না অদ্রিজা।একেকজন ধরলে একেকরকম অনুভূতি হয় নাকি আপনার?অদ্ভুত!’
অদ্রিজা জ্বলে উঠল। দাঁতে দাঁত চেপে বলল,
‘ ফালতু কথা বলবেন না একদম রক্তিম।নেহার মামনির বিষয়টাকে ঢাকাচাপা দিতে এসব তুলছেন। তাই তো?’
রক্তিম সরে আসল এবার অদ্রিজার সামনে থেকে।নিজের সিটে গা এলিয়ে দিয়েই গাড়ির আয়নায় অদ্রিজার মুখটা পরখ করল।ফর্সা ধবধবে মুখটা লাল হয়ে আছে।হালকা বাতাসে উড়ছে চুলগুলো।রক্তিম মুচকি হাসল।অদ্রিজার দিকে ফিরে বলল,
‘ আপনি দেখা করবেন না উনার সাথে। আমি যখন বলে দিয়েছি দেখা করবেন না তখন করবেন নাহ অদ্রিজা।নয়তো ভালো হবে না।একদম ভালো হবে না। ‘
অদ্রিজা তৎক্ষনাৎ জ্বলে উঠে বলল,
‘ অধিকার দেখাচ্ছেন?আমার উপর অধিকার দেখাচ্ছেন আপনি?’
রক্তিম আওয়াজ করে হাসল। অদ্রিজার কাছাকাছি মুখ এনে ফু দিয়ে উড়িয়ে দিল অদ্রিজার কপালের চুলগুলো।কানের কাছে মৃদু গলায় বলে উঠল,
‘ অধিকার? কে জানে।আপনি যা ভাবেন।এনিওয়েজ,আপনার অদ্ভুত লাগছে না আমায় দেখে?আমি আজ হাসছি, আপনার সাথে আগের মতোই কথা বলছি দেখুন।অনেকটা খুশি আজ।সে হিসেবে আপনার উপর অধিকার প্রয়োগ করা হলেও কি। আর না করলেও কি।’
অদ্রিজা ছোট ছোট শ্বাস ফেলল।রক্তিমের সাথে পাল্লা নিয়ে দৃঢ় কন্ঠে বলল,
‘ দেখা তো আমি করবোই রক্তিম।আর আপনার কথা শুনে মনে হচ্ছে উনি কাল চলে যাবেন এইজন্যই আপনি এতটা খুশি।আপনি বাধ্য করেছেন উনাকে চলে যেতে?’
রক্তিম ঠোঁট চেপে হাসল।অদ্রিজার প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে গাড়ি চালানো শুরু করল।শীতের রাতে ঠান্ডা বাতাসে কেঁপে উঠল অদ্রিজা।কাঁপতে থাকল সাদা তুলতুলে মুখের মোহনীয় ঠোঁটজোড়াও।রক্তিম মাঝে মাঝেই নেশাতুর দৃষ্টিতে তাকাল সেই ঠোঁটজোড়ার দিকে।আঙ্গুল দিয়ে ছুঁয়ে দিতে মন চাইল সেই ঠোঁটজোড়া।তবুও ছুঁলো না।গাড়ি চালাতে চালাতেই বলল,
‘ অদ্রিজা?আপনি কি আমার খেলায় আমায় হারিয়ে দিবেন? আমি হেরে যাচ্ছি। খুব করে হেরে যাচ্ছি আমি অদ্রিজা।আপনি চান কি আমি হেরে যাই? ‘
অদ্রিজা হতবাক হয়ে চাইল।রক্তিমের কথার আগাগোড়া কিছু বুঝে না উঠেই বলল,
‘ কি বলছেন কি?কিসবই বা বলছেন? আমি কোন খেলায় আপনাকে হারিয়ে দিচ্ছি?’
রক্তিম মুচকি হাসল।হঠাৎ গাড়ি থামিয়েই অদ্রিজার দিকে তাকাল গভীর দৃষ্টিতে।হাত দিয়ে সরিয়ে দিল অদ্রিজার কপালের চুলগুলো।মুখটা অদ্রিজার কানের কাছে নিয়েই ফিসফিসিয়ে বলল,
‘ আপনি আমায় মুক্তি দিন ।আপনি নামক রমণী থেকে আমায় মুক্তি দিন অদ্রিজা। আমি জড়িয়ে যাচ্ছি।না চাইতেও আপনার সাথে জড়িয়ে যাচ্ছি।এখনও সময় আছে অদ্রিজা।আমায় মুক্তি দিন।আমি আমার মতো বাঁচতে পারব।আমি চাই না আপনি আমায় নিয়ে খেলেন।আমি সেই খেলায় অবশ্য হারব।এটাই আমার নিয়তি।কিন্তু আমি আপনার খেলার স্বীকার হতে চাই না অদ্রিজা।বাঁচতে চাই।নিজের মতো বাঁচতে চাই।তানিশা, রিমু, ওদের মতো নিজের নিজস্বতা হারিয়ে ছটফট করে মরতে চাই না আমি।আমি আজ তাদের অনুভূতি গুলো বুঝতে পারছি।বেশ করে বুঝতে পারছি আমি। জীবনের এত লড়াই পেরিয়ে আসা যুবকটা এই লড়াই টা মানিয়ে উঠতে পারছ না অদ্রিজা।সে এই লড়াইয়ের ময়দান থেকে পালাতে চাইছে।আমায় ছেড়ে দিন অদ্রিজা।প্লিজ।মুক্তি চাই আমার।’
অদ্রিজা মূর্তির মতো বসে স্তব্ধ হয়ে চাইল রক্তিমের দিকে।এতক্ষন চুপচাপ রক্তিমের বলা সব কয়টা কথা শ্রবণ করেই কঠিন হয়ে উঠল তার চাহনি।তাচ্ছিল্য হেসেই বলে উঠল,
‘ শেষ?আমার মেয়াদ কাল শেষ আপনার কাছে রক্তিম?রিমু, তানিশা,এরপর আমিই ছিলাম।তাই না?এখন আমায় নিয়ে খেলা শেষ রক্তিম?এতটাই ঠুনকো একটা নারী আপনার কাছে?কেন?একটা মেয়েকে এতটা ছোট নজরে দেখেন কেন? আমি জানি, আমার থেকে মুক্তি নিয়ে আপনি আবারও অন্য কোন মেয়েকে ঠকাবেন।তার বিশ্বাসকে ঠকাবেন।কিন্তু আম তো মুক্তি দিব না।আপনাকে এই লড়াইটা লড়তে হবে রক্তিম।দেখা যাক কে এই লড়াইটা জিতে।আমি নাকি আপনি?’
রক্তিম সিটে গা এলিয়ে চোখ বুঝল।বুকের ভেতর মুহুর্তেই জেগে উঠল অদ্ভুত ব্যাথা।নিজের পাশে বসে থাকা রমণীটির কাছে এভাবে ভিক্ষুকের মতো চেয়েও মুক্তিটা পেল না সে।তবে কি এতদিন সে যেভাবে সবার অনুভূতিকে নিয়ে যেভাবে মানুষকে ভেতর থেকে ভেঙ্গে দিয়েছে সেভাবে সেও ভাঙ্গবে?সেও সেভাবে মিশে যাবে হাজারটা কষ্ট নিয়ে?
#চলবে…..
{ কেমন হয়েছে জানাবেন।ভালোবাসা।ভুলত্রুটি মার্জনীয়।}