💖 স্বপ্নের প্রেয়সী 💖পর্ব-১

0
7464

💖 স্বপ্নের প্রেয়সী 💖
Part -1
__________________

ভালোবাসা এক নীল আকাশের হঠাৎ আক্রমণকারী ঝড়ের মতো।
কখন কি করে হয়ে যায় তা বলা দায়,,,,

ঠাসসসস
ইংরেজি স্যারের থাপ্পড় খেয়ে হঠাৎ ঘুম টা ভেঙে গেল ।
এখনো আমার দম নিতে কষ্ট হচ্ছে । আশে পাশে চোখ বুলিয়ে দেখলাম এটা তো আমার রুম ।
তার মানে এতো ক্ষন স্বপ্ন দেখছিলাম ।
যাক বাবা বাঁচা গেল।

নিজেকে হালকা করে ঘড়ির দিকে তাকালাম ওমা রাত 2’38 বাজে ।
হায় রে এখনো আমার ইংলিশ পড়া কমপ্লিট হয়নি।
কি ভাবছেন আজ আমার ইংরেজি পরীক্ষা । মোটে ও না । তবে রোজ আমাকে অগ্নি পরীক্ষা ঠিক ই দিতে হয় ।আর এই বিষয় টি পরীক্ষা নিতে আসবেন আমার প্রান প্রিয় জঘন্য তম টিচার
ফারহান স্যার ।
নাম টা যত টা না সুন্দর তার থেকে হাজার গুন জঘন্য ওনি।
তিন মাস ধরে ওনি আমাকে ইংরেজি পড়ান ।

ইংরেজি
এই একটা বিষয় আমার মাথায় হাতুড়ি পিটিয়ে ও কেউ ঢুকাতে পারে নি ।

ইংরেজি তে আমি বড্ড কাঁচা ।
গত আট মাসে 4 টি টিচার বদলিয়েছি ।
আমি বদলাই নি আমাকে বের করে দেওয়া হয়েছে ।
তাঁর বড় একটি কারন আমার নাননা ছা ছোটা ছা পেয়ারা ছা ঘুম ।

ইংরেজি বিষয় মানেই ঘুম ।
স্যাররা যখন ইংরেজি বিষয়ে লেকচার দেন ঠিক তার পাঁচ মিনিটের মাথায় আমাকে ঘুমাতে দেখা যায়।
আর তাঁর জন্য ই আমাকে কোচিং থেকে আট মাসে চার বার বের করে দিয়েছে।

আমি এইবার দশম শ্রেণীতে পড়ি ।
আমি মোটে ও পড়াশুনাতে খারাপ নই শুধু ইংরেজি ছাড়া।
আর ছয় মাস পর এসএসসি পরীক্ষা ।
আব্বু আম্মু চিন্তাতে মনে হয় শুকিয়ে যাচ্ছে ।
আর ঠিক তখনই আগমন ঘটে গন্য মান্য জঘন্য তম ফারহান স্যারের ।
ওনি ই সেই টিচার যে আমাকে তিন মাস অব্দি পড়াতে পেরেছেন ।

ওনি এইবার ইংরেজি তে অনার্স পড়ছেন তৃতীয় বর্ষ।

আমার আব্বুর বন্ধুর ছেলে ওনি ।
বিশ্বাস করেন এমন কোনো দিন নেই এই হনুমান ফারহানস্যার কে গালি না দিয়েছি ।
তিন মাসে আমার জীবন অতিষ্ঠ করে দিয়েছে ।

যাক বাবা নাম টাই তো বলা হলো না আমি ফারাবি।
আম্মু আব্বুর একমাত্র সুযোগ্য কন্যা ।
__________________

পড়তে পড়তে সকাল 6 টা বেজে গেছে ।
এত পড়া আমার জীবনে আমি পড়ি নি ।
এই বেটা বজ্জাত টার জন্য পড়তে হচ্ছে ।
ঘুমিয়ে ও শান্তি নেই । স্বপ্নে ও অত্যাচার । দূর আর ভালো লাগে না ।
ঘুমে আমার যায় যায় অবস্থা যেই না চোখ টা বুজেছি আমার আম্মি জানের ডাক ।
ফারাবি এই ফারাবি কখন থেকে ডাকছি শুনতে পাচ্ছিস না নাকি ।
ফারহান এসেছে
যা তাড়াতাড়ি ফ্রেস হয়ে আয় ।
মাথাটা রাগে ফেটে যাচ্ছে ।
যেই না ভাবলাম দু চারটে কথা শুনাবো ওমনি আমার প্রিয় জঘন্য তম টিচার রুমে এসে হাজির ।
– কিরে কথা কানে যাচ্ছে না নাকি । কাকি যে কতোক্ষন ধরে ডাকছে ।

– ভয়ে গলা শুকিয়ে যাচ্ছে আমার । একটা শুকনো ঢোক গিলে বললাম জীইইই স্যার আসছি ।

– আই ডোন্ট লাইক টাইম ওয়েস্ট । জাস্ট ফাইভ মিনিট আমি তোকে নীচে দেখতে চাই ।
বলে গট গট করে রুম থেকে চলে গেলেন ।

– মনে হচ্ছে এই বেটার মাথাটা ফাটিয়ে দেই ।
বেটা বজ্জাত হনুমান জঘন্য তম আবর্জনা ।

পরক্ষণেই চুপ হয়ে গেলাম।
আমার ঘারে দুইটি মাথা নেই যে ওই বেটা বজ্জাতের সাথে চোখ রাঙাবো ।
আর কি ফ্রেস হতে চলে গেলাম ।
________________

( আসসালামুআলাই আমি একজন নতুন লেখিকা । এটি আমার প্রথম গল্প । জানি না কেমন হয়েছে । আমার পথ চলায় আপনাদের সাহায্য চাচ্ছি । পাশে থাকুন আর আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন ।)

বি: দ্র: ভুল ত্রুটি মাপ করবেন ।
ধন্যবাদ 💜

চলবে
ফাতেমা তুজ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here