#হাতটা_রেখো_বাড়িয়ে
#পর্ব-৪
#Writer: ইশরাত জাহান সুপ্তি
একটু রাত হতে না হতেই চারিদিক নিস্তব্ধতায় ছেয়ে গেছে। রাস্তাঘাটে ঘুটঘুটে অন্ধকার। দু ধারে ধানের ক্ষেত। তার মধ্যে থেকে মাঝে মাঝে ডেকে উঠছে একটা দুটো শেয়ালের দল। এমন একটা পরিবেশে গ্রামের পথ ধরে হেঁটে যাচ্ছে শুদ্ধ আর ধারা। আজ বিকেলে শুদ্ধকে ও বাড়িতে দেখেই সবাই আনন্দে আটখানা হয়ে যায়। যাক অবশেষে তাদের জামাই এসেছে। আজিজ সাহেব খানিক কুশল বিনিময় করেই সেখান থেকে চলে যান। সবথেকে বেশি খুশি হয় আসমা। জমিরন বিবিও একটু স্বস্তির নিঃশ্বাসই ফেলেন। হতভম্ব হয় থাকে তো শুধু ধারা। নিজের চোখকে কিছুক্ষণের জন্য বিশ্বাসই হয় না তার। আরো বেশি চমকে উঠে যখন শুদ্ধ ধারার সামনে এসে দাঁড়িয়ে বলে,
‘যাবেন না ধারা? আপনাকে আমি নিতে এসেছি।’
চোখ বড় বড় করে তাকিয়ে কিছুক্ষণের জন্য কথাই বন্ধ হয়ে যায় ধারার। হুঁশ তো ফিরে তখন, যখন জামাইকে এখনও বসতে দিচ্ছে না বলে জমিরন বিবি ধমক লাগায়। এরপর শুরু হয় গ্রামীণ সংস্কৃতির জামাই আদর। শুদ্ধকে না খেতে আসতেই দিল না আসমা আর জমিরন। অগত্যা এই অবেলায় খানা পিনার পর্ব সমাধা করতে হয় শুদ্ধকে। খাওয়া দাওয়া করে ফিরতে ফিরতেই হয়ে যায় রাত। সম্ভবত সাতটা আটটা বাজে। কিন্তু গ্রামের রাস্তায় তো এতটুকু রাত মানেই অনেক। তাই রাস্তায় বেড়িয়ে আর কোন গাড়ির দেখা পেলো না তারা। একটা ভ্যান পেয়েছিল সেটা শুধু মেইন রাস্তাটুকুই পার করে দিয়ে গেছে তাদের। এখনও অর্ধেকের মতো পথ বাকি। হয়তো হাঁটা পথেই আজ পার করতে হবে। দুজনেই চুপচাপ। ধারার সমস্ত ধ্যান রাস্তা দেখে হাঁটায়। যেই অন্ধকার! শুদ্ধ খানিকটা অন্যমনষ্ক। কিছু একটা যেন গভীরভাবে মনে মনে ভাবছে সে।
শুদ্ধ’র ভাবনায় ছেদ ঘটে হঠাৎ একটা ধপাস জাতীয় শব্দে। পেছনে ঘুরে তাকিয়ে দেখে ধারা রাস্তার পাশে বসে আছে। ভালো করে লক্ষ করে দেখলো আসলে বসে আছে না, পড়ে গেছে। রাস্তার পিচ উঠে গর্ত হয়ে ছিল। সেখানে পানি জমে কাঁদার মতো পিচ্ছিল হয়ে আছে। গর্তটা রাস্তার একদম কিনারে। এতো সাবধানে হেঁটেও কিভাবে যেন সেখানেই পা পড়ে যায় ধারার। আর তারপর ধপাস। শুদ্ধ দ্রুত ধারার দিকে এগিয়ে গেলো। ধারা মনে করলো এই বুঝি লোকটা আবারও কথা শুনাবে। কিন্তু ধারার ধারণা ভুল করে শুদ্ধ ঝুঁকে নরম স্বরেই বলল,
‘পড়ে গেলেন কিভাবে?’
কাঁচুমাচু মুখে ধারা একবার শুদ্ধ’র দিকে তাকিয়ে উঠার চেষ্টা করে। কিন্তু উঠতে যেতেই আবারও পা পিছলে পড়ে যায়। শুদ্ধ বলে,
‘এভাবে হবে না। দেখি আপনার হাত দিন। আমার হাত ধরুন।’
শুদ্ধ’র বাড়িয়ে দেওয়া হাতের দিকে তাকিয়ে ধারা আস্তে করে নিজের হাত দেয়। ধারার হাতও কাঁদায় পড়েছিল বিধায় তার হাতও পিচ্ছিল হয়ে আছে। শুদ্ধ শক্ত করে ধারার হাত চেঁপে ধরে বলল, ‘এবার উঠুন।’
এবারও উঠতে যাবার সময় পিচ্ছিল খেয়ে পড়ে যেতে নিল ধারা। কিন্তু এবার আর শুদ্ধ পড়তে দিলো না। শক্ত করে হাতটা আগলে ধরে রাখলো।
ধারা উঠে দাঁড়াল। দু পা কাঁদায় মাখামাখি হয়ে গেছে তার। শাড়ি উঁচু করে একবার পায়ের দিকে তাকালো সে। শুদ্ধ দেখে বলল,
‘এদিকে আসুন।’
রাস্তার ধারেই ধান ক্ষেতের পাশ দিয়ে মাটির আল দিয়ে পানি যাওয়ার জন্য ড্রেনের মতো বানানো হয়েছে। ধারার হাত ধরে শুদ্ধ সাবধানে পা ডিঙ্গিয়ে ডিঙ্গিয়ে যেয়ে সেখানেই নিয়ে গেলো তাকে। স্বচ্ছ পানির ধারার কাছে ধারাকে দাঁড় করিয়ে বলল, আপনার শাড়ির পাড় উঁচু করুন। ধারা খানিকটা উঁচু করলো। বুঝতে পারলো না লোকটা কি করতে চাইছে। আগ বাড়িয়ে কিছু বললোও না। ধারাকে মাটির আলের উপর দাঁড়া রেখে শুদ্ধ নিজের দু হাত একত্রিত করে পানি তুলে ধারার পায়ে দিতে লাগলো। ধারা অবাক হয়ে তাকিয়ে রইলো শুদ্ধ’র দিকে। এই লোকটাকে একদমই বুঝতে পারছে না ধারা। সাধারণ ব্যাপারে রাগ হয়ে যায় আর এখন রাগ করার ব্যাপারেও রাগছে না। বলল যে, ধারাদের বাড়িতে যাবে না। কিন্তু সঠিক সময়েই গিয়ে উপস্থিত হলো। বাঁচিয়ে দিলো ধারাকে। আল্লাহ রক্ষা করেছে যে গিয়েছে। নয়তো আজ ধারার যে কি হতো!
আল থেকে নেমে রাস্তায় উঠতে গিয়েই আবার ধারার জুতো ছিঁড়ে গেলো। ধারা থতমত খেয়ে একবার আড়চোখে শুদ্ধ’র দিকে তাকালো। শুদ্ধ ঠায় দাঁড়িয়ে ধারার পায়ের দিকেই তাকিয়ে আছে। ধারা ছেঁড়া জুতো টেনেই হাঁটতে নিলে থামিয়ে বলল, ‘নিন, আমার জুতো পড়ুন।’
এই বলে খালি পা হয়ে নিজের জুতো জোড়া খুলে দিল। শুদ্ধ’র বড় বড় জুতোর মধ্যে নিজের ছোট পা গলিয়ে দিয়ে ধারা মনে মনে নিজের ভাগ্যের উপর ভীষণ বিরক্ত হলো। সব দূর্ঘটনা কি আজকেই ঘটতে হলো!
কিছুটা পথ পেড়িয়ে গিয়ে আবারও শুদ্ধ খেয়াল করলো ধারা পা খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে হাঁটছে। জিজ্ঞেস করলো, ‘আপনার পায়ে কি হয়েছে? এভাবে হাঁটছেন যে!’
ধারা মনে মনে একটা ঢোক গিললো। পায়ে তার কাঁটা বিঁধেছে অনেক আগেই। হয়তো যখন পড়ে গিয়েছিল তখনই। এতক্ষণ কিছু বলেনি। কি আর বলবে! একটার পর একটা সমস্যা তো তার সাথে লেগেই আছে। শুদ্ধ জিজ্ঞেস করায় মাথা নিচু করে আমতা আমতা করে বলল, ‘পায়ে কাটা বিঁধেছে।’
বলেই ভীত ভীত চোখে একবার আস্তে করে শুদ্ধ’র প্রতিক্রিয়া দেখার চেষ্টা করলো। শুদ্ধ দাঁড়িয়ে পড়ে ভ্রু কুঁচকে সোজা তার দিকেই তাকিয়ে আছে। ধারাকে তাকাতে দেখে থমথমে গলায় বলল,
‘আমার জুতা খুলুন।’
ধারা ঘাবড়ে গিয়ে ঝটপট জুতা খুলে দিল। তাকে নিয়ে একটু হাঁটতে গিয়েই এতো এতো সমস্যা হচ্ছে। এইবার বুঝি লোকটা নিজের জুতা নিয়ে তাকে মাঝ রাস্তায় ফেলে চলেই যাবে। জুতো খুলে পাশে সরে গিয়ে মাথা নিচু করে দাঁড়াল ধারা। শুদ্ধ গটগট করে নিজের জুতো পড়ে নিল। ধারা মাথা নিচু করেই রইলো। হঠাৎ ধারাকে চমকে দিয়ে শুদ্ধ ধারাকে কোলে তুলে নিল। ভূত দেখার মতই চমকে উঠলো ধারা। এরকম কিছু একটা শুদ্ধ করবে সেটা স্বপ্নেও ভাবেনি সে। ধারার বড় বড় হয়ে যাওয়া অপলক চক্ষুযুগল এখন শুদ্ধ’র দিকেই নিবদ্ধ। কিন্তু সেদিকে কোন ভ্রুক্ষেপই নেই এই একগুঁয়ে, নাক উঁচু লোকটার। কুঞ্চিত ভ্রুদ্বয় সামনের দিকে তাক করেই নিজ গতিতে হেঁটে যাচ্ছে সে। সত্যিই কি এই এতোটা পথ এভাবেই পায়ে হেঁটে ধারাকে কোলে করে নিয়ে যাবে লোকটা?
বাড়ি পৌছাতেই খোদেজা ছেলের সাথে ভীষণ রাগ দেখালো। ধারা নতুন বউ। এভাবে রাত করে বাড়ি ফেরাটা মোটেও ঠিক হয়নি তাদের। বিশেষ করে রাস্তার মাথার ঐ বটগাছটার নিচের জায়গাটা একদমই ভালো না। গতবছর ওখান থেকেই তাদের গ্রামের রহিমার উপর জ্বীনের আছর হলো। শুদ্ধদের বাড়িটা পুরনো দোচালা ঘরের মতো। নিচের তলার চারিপাশে ইট দিয়ে ঘেরাও করা। দু পাশে বারান্দা। মাঝখানে রুম। সাধারণত গ্রামের বাড়িগুলো যেরকম হয়। মাঝের থেকে উপরের দিকে একটা সরু কাঠের সিঁড়ি উঠে গেছে। মাঝখানের বেড়াগুলো টিনের। মেঝে পাকা। আর উপরের তলাটা সম্পূর্ণই টিনের। মেঝে কাঠের। উপরের তলায় বড় অংশ জুরে ঐ একটাই রুম। সেখানেই শুদ্ধ থাকে। রুমের বাইরে কাঠ দিয়েই ঘেরাও করে ছোট বারান্দার মতোই বানানো হয়েছে। সেখানে গাঢ় লাল, হলুদ, সবুজ রং করায় চকচক করছে। খোদেজার শ্বশুরের আমলের ঘর। এককালে তাদের অবস্থাও ভালোই ছিল। তার স্বামী মারা যাবার পরই সব থেমে যায়। এখন আশা আছে তার ছেলে তাদের সংসার বড় করে তুলবে। ধারা খোদেজার রুমে একাই বসা ছিল। খোদেজা গেছে ছেলের পেছন পেছন। তখন সেখানে আসলো পনের বছরের একটি মেয়ে। মেয়েটার নাম চুমকি। শুদ্ধ’র মামাতো বোন। স্বভাব চঞ্চল। বাবা মা দুজনেই মারা যাওয়ায় এখন শুদ্ধদের সাথেই থাকে। মেয়েটি
এসেই ধারাকে জাপটে ধরে নিজের পরিচয় দিয়ে বলে, ‘কেমন আছো নতুন ভাবী?’
ধারা স্মিত হেঁসে মাথা নাড়িয়ে বলে সে ভালো আছে। হঠাৎ তার চোখ যায় খোদেজার রুমের দেয়ালে। সেখানেও শুদ্ধ’র রুমের মতো কালো কোট, ক্যাপ পড়া শুদ্ধ’র একটা ছবি। ধারা চুমকিকে জিজ্ঞাসা করে, ‘আচ্ছা চুমকি ওটা কার ছবি?
চুমকি বলল, ‘মাহতাব ভাইয়ের।’
‘আসল?’
‘হুম।’
‘না মানে ছবিটা কি কোন ইডিট করা হয়েছে?’
‘না তো। এইটা তো শুদ্ধ ভাইয়ের সেদিনের ছবি যেদিন ভাইয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সব পড়ালেখা শেষ করে ফেলেছিল।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের কথা শুনে ধারা অবাক হয়। বলে, তোমার ভাইয়া পড়ালেখা করেছে? কোন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে?’
এরপর চুমকির থেকে সে যা শুনতে পায় তার সারমর্ম অনেকটা এই, ‘শুদ্ধ ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এগ্রিকালচার ডিপার্টমেন্ট থেকে ফার্স্ট ক্লাস নিয়ে গ্রাজুয়েশন কম্প্লিট করেছে। গ্রাজুয়েট হওয়ার পর প্রথাগত চাকরীর পেছনে না ছুটে ভিন্ন কিছু করতে চাইছে। সে কৃষি উদ্যেক্তা হতে চায়। পড়ালেখা শেষ করার পর দেঢ় বছর যাবত সে এসব নিয়েই আছে।
চুমকির কথা শুনে ধারা সত্যিই অবাক না হয়ে পারলো না। তাদের গ্রামের মধ্যেও কেউ কখনো বিশ্ববিদ্যালয়ের গন্ডিতে পা দিতে পারেনি। আর সেখানে শুদ্ধ….! আর ধারা কিনা ভেবেছিল শুদ্ধ হয়তো কোন অশিক্ষিত মূর্খ চাষা হবে।
ধারাকে ভাবনায় মগ্ন দেখে চুমকি বলল,
‘কি হয়েছে ভাবী? খারাপ লাগছে? তোমার শরীর এখন কেমন? জ্বর পুরোপুরি সেড়েছে?’
ধারা অবাক হয়। তার জ্বর এসেছিল সেটা মেয়েটা জানলো কি করে? সেটা মুখ খুলে প্রশ্নও করে সে চুমকিকে। চুমকি বলে, ‘আরে! ঐ যে বিয়ের দিন রাতে তোমার জ্বর এসেছিল না? মাহতাব ভাই তো আমাকে মাঝরাতে ঘুম থেকে ডেকে তুললো। বলল যে তোমার শাড়িটা পাল্টে দিতে। বাবা রে বাবা! যে জ্বর তোমার এসেছিল! গায়ে হাত দিলে মনে হচ্ছিল যেন হাত পুড়ে যাবে। তারপর ভাইয়াই তো সারারাত তোমার কপালে জ্বল পট্টি দিয়ে মাথায় পানি ঢেলে রাতের মধ্যেই জ্বর কমিয়েছে। আমি তো ছিলাম অর্ধেক রাত পর্যন্তই। তারপর আমাকে ঘুমানোর জন্য পাঠিয়ে দিয়েছে। আর বলেছে এই কথা যেন কাউকে আর না বলি। বুঝছো ভাবী ভাইয়া এমনিতে খুব ঠান্ডা মেজাজের। সবসময় স্পষ্ট কথা বলে। যা মনে আছে বলে দিবে। হেঁয়ালি কথাবার্তা ভাইয়া একদমই পছন্দ করে না। আর নড়বড়ে স্বভাব তো আরো না। ভাইয়ার মতে সবাইকে নিজের ভেতরে নিজেকে নিয়ে স্ট্রং হতে হবে। নড়বড়ে হওয়া চলবে না। মাহতাব ভাইয়া না খুব ভালো।’
ধারা শুধু অবাকের উপর অবাকই হচ্ছে। শুদ্ধ ওর শাড়ি পাল্টায়নি। তবুও সেদিন সকাল বেলা এমনভাবে বললো যেন সেই পাল্টিয়েছে। আবার ধারাকে টিটকারিও করলো। এতো অদ্ভুত কেন লোকটা?
শুদ্ধ বাইরে থেকে ভেতরে ঢুকে নিজের রুমের দিকে যেতে নিলেই খোদেজা ডাক দিল। বলল,
‘মাহতাব, রুমে যাইসা না। তুই যাওয়ার পর আবুলে তোর রুমের পাশের ওদের গাছের ডালপালা গুলা কাটছিল। একটা ডালে বারি খেয়ে তোর একটা কাঠের জানলা ছুইটা গেছে। গাছে মৌ পোকের বাসা ছিল। রুমে অনেকগুলা ঢুকছে। আজকের রাত নিচেই থাক। বৌ আমার বিছানায় ঘুমাক। তুই বারান্দার ঐ ছোট চৌকিটায় ঘুমাস। কালকে জানলা ঠিক কইরা নিস। শুদ্ধ থেমে গেলো। একবার ধারার দিকে তাকিয়ে ল্যাপটপ নিয়ে মাঝ রুমের মোড়ায় বসে পড়লো। খোদেজা নিজে নিজেই বিরবির করতে লাগলো,
‘উফ! একটা বিয়ের পর কত টুকিটাকি কাজ যে পইরা থাকে। খতম হওয়ার নামই নেয় না। এরপর ব্যস্ত হয়ে পড়ে ধারাকে একটা তালা দিয়ে বলে,
‘বৌ, তুমি একটু ঐ তালাটা মাইরা রাখো তো। ভালো করে মাইরো। অনেক প্রয়োজনীয় জিনিস আছে ঐটার মধ্যে। ওগুলা অন্য আরেক সময় ধরবো।’
ধারা গিয়ে দরজা আটকিয়ে তালা মেরে দেয়। তিন চার বারের মতো তালা টেনে চেকও করে যে ভালো মতো লেগেছে কিনা। তারপরও আবার পাশ দিয়ে যাওয়া চুমকিকে ডেকে বলে,
‘চুমকি দেখো তো, তালাটা ঠিকমতো লেগেছে কিনা!’
চুমকি একবার হাত দিয়ে তালা টেনে দেখে বলে,
‘হ্যাঁ লেগেছে ভাবী।’
এই পুরো ব্যাপারটাই তীক্ষ্ণ চোখে দূর থেকে পরখ করে শুদ্ধ। তারপর হাতের ল্যাপটপটায় পটাপট টাইপ করে ধারা লিখে নিচে আন্ডারলাইন দিয়ে লেখে,
ধারা:
১. ভীতু।
২. কনফিডেন্স নেই বললেই চলে।
৩. পরনির্ভরশীল।
চলবে,