#হাতটা_রেখো_বাড়িয়ে
#পর্ব-২৪
Writer: ইশরাত জাহান সুপ্তি
কিছু বুঝে উঠার আগেই ধারাকে টেনে বারান্দায় নিয়ে আসা হলো। অস্পষ্ট অবয়বটিতে চাঁদের আলো পড়তেই ধারা হতভম্ব হয়ে গেলো। সামনের মানুষটির মুখে সেই সুন্দর টোল পড়া হাসি ফুটে উঠতেই ধারা ঝাঁপিয়ে পড়লো তার বুকে। পৃথিবীর সবচাইতে প্রশান্তিময় জায়গাটিতে স্থান পেয়েই ফুঁপিয়ে কেঁদে উঠলো৷ শুদ্ধ আলতো করে ধারার মাথায় হাত রাখলো। কাঁদতে দিলো ধারাকে। কিছুক্ষণ পর নিজেকে ধাতস্থ করে ধারা শুদ্ধকে ছেড়ে উদ্গ্রীব হয়ে বলে উঠলো,
‘আপনি এখানে এতো রাতে কিভাবে এলেন?’
শুদ্ধ একবার মিথ্যা আফসোসের ভঙ্গি করে বারান্দার সিমেন্টের উঁচু বেদির সাথে হেলান দিয়ে বসে বলল,
‘ভেবেছিলাম তো পাইপ বেঁয়ে উঠে একটা ঝাক্কাস হিরোর মতো এন্ট্রি নেবো। কিন্তু তা আর হলো কই! আমার শ্বশুড় মশাই যে আমার জন্য বাড়ির পেছনে একটা মই ফেলে রেখেছেন। শেষমেশ শ্বশুরবাড়ির কদর রাখার জন্য সেই মই বেঁয়েই চলে এলাম। আর এই যে ম্যাম, আপনি আপনার বেলকনির রুমের দরজা আটকিয়ে ঘুমান না কেন? বুঝলাম আজকে আমি এসেছি। কিন্তু রোজ রোজ তো আর শুধু জামাই আসবে না। মাঝে মধ্যে চোরও চলে আসতে পারে।’
ধারা অপলক তাকিয়ে রইলো শুদ্ধ’র দিকে। আজ কতদিন পর তারা এভাবে স্বাভাবিক হয়ে কথাবার্তা বলছে মনে করার চেষ্টা করলো। ধারা খুব ভালো মতোই জানে শুদ্ধ তার মনের ভার কমানোর জন্যই এমন মজা করে কথা বলছে। নয়তো শুদ্ধ’র মনেও যে কতোটা দুশ্চিন্তার বন্যা বইছে তা আন্দাজ করা খুব একটা কঠিন না। শুদ্ধ’র দিকে তাকিয়ে ধারা আবেগ্লাপুত হয়ে দাঁড়িয়ে রইলো। শুদ্ধ ধারার হাত টেনে নিজের সামনে বসাতে বসাতে বলল,
‘বসুন এখানে। কি অবস্থা করেছেন নিজের চেহারার! এতো কাঁদতে হয়?’
এই বলে শুদ্ধ ধারার চোখের পানি মুছে দিলো। তারপর বলল, ‘নিশ্চয়ই কিছু খাননি! আর আমিও তো কথাটা তখন ফোনে শেষই করতে পারলাম না। তখনই বুঝেছি আজকে আর আপনার খাওয়া হয়েছে! সকালেও যেমন তেমন খেয়েছেন। দুপুরের আশা তো ছেড়েই দিলাম। আরবএখন রাতেও না খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েছেন। আপনাকে নিয়ে কি যে করি না ধারা!’
শুদ্ধ হাতের ব্যাগটা থেকে একটা বাটার নান বের করলো। নিজের হাতে ধারার মুখের দিকে বাড়িয়ে ধরলো। ধারা শুদ্ধ’র চোখে চোখ রেখেই একটা কামড় বসালো নানে। তার চোখে আবারও পানি চলে এলো। শুদ্ধ খুব যত্ন করে ধারাকে খাইয়ে দিতে লাগলো। হঠাৎ ধারা শুদ্ধ’র একটা হাত ধরে বলল,
‘আপনি আমার উপর আর রাগ করে নেই তো?’
শুদ্ধ মৃদু হেসে মাথা দুলিয়ে বলল,
‘না। আপনি আজ এতোই বেশি সাহস দেখিয়ে ফেলেছেন যে আপনার পূর্বের দূর্বলতার কথাগুলো আর মনে পড়ছে না।’
তারপর ধারার ধরে রাখা হাতটা শুদ্ধ তার দু হাতের মধ্যে নিয়ে বলল, ‘জানেন ধারা, আজকে আমি আপনার থেকেও একটা জিনিস শিখেছি। যে, আমাদের কখনো আশা হারাতে নেই। যেটা আমি আপনার ক্ষেত্রে করেছিলাম। এই কথাটা আজকে আপনি প্রমাণ করেছেন। আমিও কিছুদিন আগেই আম্মার থেকে এই সত্যিটা জেনেছিলাম৷ বলাবাহুল্য আমিও ভেতর থেকে খুব নড়ে গিয়েছিলাম৷ কিন্তু আপনি আজ যেই কথাগুলো আপনার বাবাকে বলেছেন সেই কথাগুলো আজ আমাকে নতুন করে ভাবিয়েছে। ধন্যবাদ ধারা। ধন্যবাদ!’
‘আপনি যদি এতটুকুর জন্যই বারবার এভাবে ধন্যবাদ জানান তাহলে আমি কি করবো? আমার তো তাহলে ধন্যবাদ বলতে বলতে মুখে ফেনা উঠে যাবে। কারণ আপনি আমার জন্য যা যা করেছেন!’
শুদ্ধ হেসে ফেললো। সাথে ধারাও। তার চোখে এখনও পানি চিকচিক করছে আর ঠোঁটে হাসি। কিছুক্ষণ এভাবেই কাটার পর শুদ্ধ বলল,
‘ধারা, এমন কিন্তু আর কখনো করবেন না। সময় মতো খাওয়া দাওয়া করবেন। নিজের ঠিকমতো খেয়াল রাখবেন। খাওয়া ছেড়ে দেওয়া কখনো কোন সমস্যার সমাধান হতে পারে না। যদি হতো তাহলে পৃথিবীর সব মানুষই ছেড়ে দিতো৷ কিন্তু আসল ব্যাপারটা কি জানেন? খাবার খাওয়াও আমাদের জন্য এতোই গুরুত্বপূর্ণ যে মানুষের জীবনের বেশিরভাগ সমস্যাই মুখে এই খাবার জোটানোর চক্করেই সৃষ্টি হয়। এখন আমরা এমন একটা পরিস্থিতিতে আছি যেখানে সবকিছুই এতো হুটহাট হচ্ছে যে সবার জন্যই এতোকিছু মেনে নেওয়া কষ্টকর। আমাদের সবাইকে একটু সময় দেওয়া উচিত। সব ঠিক হয়ে যাবে। যদি আমরা ঠিক থাকি।’
ঐ প্রসঙ্গ উঠতেই ধারার মন আবারো খারাপ হয়ে গেলো। তা লক্ষ করে শুদ্ধ নিজের স্বাভাবিক গলায় বলল, ‘এই যে মিসেস ধারা, আপনি যেন আমাকে একদিন কি বলেছিলেন আপনার খেয়াল আছে?’
ধারা অবাক হয়ে মাথা তুলে বলল, ‘কি?’
‘এই যে আপনি কোনদিন আমার প্রেমে পড়বেন না। কতো জোর গলায় বলেছিলেন মনে আছে? আপনি আপনার কথা রাখবেনই রাখবেন। শেষমেশ এটা কি হলো ধারা? আপনি তো আপনার কথা রাখতে পারলেন না!’
ধারা লাজুক হাসি দিয়ে অন্যদিকে তাকালো। শুদ্ধ বলল, ‘কথা না রাখাটা আমি একদম পছন্দ করি না। আর আপনি সেই কাজটাই করলেন। এখন কিন্তু এর জন্য আপনাকে পানিশমেন্ট পেতে হবে।’
ধারা সরু চোখে তাকিয়ে বলল, ‘আচ্ছা তাই! কি এর পানিশমেন্ট?’
শুদ্ধ তার টোল পড়া গালটি ধারার মুখের সামনে এগিয়ে দিলো। আঙ্গুল দিয়ে গালে দুটো টোকা দিয়ে ইশারা করে ঠোঁট চেঁপে দুষ্ট হাসি হাসতে লাগলো। ধারা ভীষণ লজ্জা পেয়ে চোখ নামিয়ে ফেললো। হৃদস্পন্দন বহু গুণে বেড়ে গেলো তার। আরেকবার চোখ তুলে তাকালো সামনে। শুদ্ধ’র সেই টোল পড়া গাল! ধারার বহুদিনের আকর্ষণ। ভাবতেই লজ্জায় লাল হয়ে উঠলো তার গালদুটো।
ওদিকে শুদ্ধ তাড়া দেবার গলায় বলে উঠলো,
‘তাড়াতাড়ি! যতো দেরি করবেন পানিশমেন্ট কিন্তু তত দ্বিগুণ হবে।’
রক্তিম মুখে ধারা বসা থেকে উঠে দাঁড়ালো। শুদ্ধ’র আরেকটু কাছে আসতেই মুখের হাসি প্রসারিত হলো শুদ্ধ’র। নিজেকে শুদ্ধ’র আরো একটু কাছে এগিয়ে নিতেই লজ্জায় হেসে ফেলে ধারা এক দৌঁড়ে সেখান থেকে চলে এলো। শুদ্ধ পেছন থেকে ‘আরে!’ বলে উঠে ধারাকে হাত বাড়িয়ে ধরতে গিয়েও পারলো না। ধারার পাতলা ওড়নাটা তার হাতের তালুতে এসেও চলে গেলো নাগালের বাইরে।
__________________________________________
আজিজ সাহেব এবং শাহেদ দুজনে ড্রয়িং রুমে বসে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা করছেন। এতো দিনেও তারা ধারাকে রাজী করাতে পারেনি। এটাই তাদের আলোচনার মুখ্য বিষয়। রাতুল স্কুলে গেছে। আসমা আর জমিরন বিবি বসে আছে রান্নাঘরে। ঠিক তখনই বাইরে থেকে ধারা ঘরে ঢুকলো। তার কাঁধে ব্যাগ ঝুলানো। আজিজ সাহেব ভ্রু কুঞ্চিত করলেন ধারাকে দেখে। ধারা যে এতক্ষণ বাড়িতে ছিল না সেটাই তো জানতো না সে। তাই ধারাকে থামিয়ে বলল,
‘কোথায় গিয়েছিলে?’
ধারা দাঁড়িয়ে পরে বিনীতভাবে বলল,
‘আমি ভর্তি হতে গিয়েছিলাম বাবা।’
‘ভর্তি হতে গিয়েছিলে মানে? কোথায় ভর্তি হতে গিয়েছিলে?’
‘কলেজে। অনার্সের জন্য এপ্লাই করে আসলাম। সাবজেক্ট হিসেবে বাংলা নিয়েছি।’
শাহেদ চোখ কপালে তুলে দাঁড়িয়ে বলল,
‘বাংলা নিয়েছিস মানে? তোর মাথা ঠিক আছে? তুই আমাদেরকে না জিজ্ঞেস করে এপ্লাই করতে গেলি কেন? আর করেছিসই যখন সাইন্সের কোন সাবজেক্ট নিলি না কেন?’
ধারা বিনয়ের সাথে উত্তর দিলো,
‘আমি যখন বাসা থেকে বের হচ্ছিলাম তখন আপনারা কেউ বাসায় ছিলেন না কাকা। আজকেই এপ্লাইয়ের লাস্ট ডেট ছিল। তাই আমাকে যেতে হয়েছে৷’
আজিজ সাহেব গম্ভীরমুখে বললেন,
‘বাংলা নিলে কেন?’
‘সাইন্স পড়তে আমার ভালো লাগে না বাবা। যেটা পড়তে আমার ভালো লাগে না সেটা নিয়ে পড়ে আমি ভালো কিছু করতে পারতাম না। তাই যেটা ভালো লাগে সেটা নিয়েছি।’
‘দুনিয়া তোমার ভালো লাগা দিয়ে চলবে না। চলবে সেটা দিয়েই যেটা বেস্ট।’
‘সাবজেক্ট কখনো বেস্ট হয় না। বেস্ট হয় মানুষের চেষ্টা। একটা মানুষের চেষ্টা আর অধ্যাবসায়ই একটা সাবজেক্টের মধ্য দিয়ে তার সফলতা নিয়ে আসে।’
শাহেদ বলল, ‘এইসব হাবিজাবি কথা তোকে কে বলেছে? এইসব বইয়ের পাতাতেই মানায়। আসল জীবনে এমন কিছু হয় না। প্রাক্টিকেল হও।’
‘শুদ্ধ বলেছে কাকা। আর যেখানে কথা প্রাক্টিকেল হবার, আসল জীবনে আমরা যদি প্রয়োগ করি তাহলেই হবে।’
আজিজ সাহেব বললেন, ‘ঐ ছেলেই তোমার মাথা নষ্ট করেছে। পাগল হয়ে গেছো তুমি! তোমাকে ঐ ছেলের সাথে বিয়ে দেওয়াই আমার জীবনের সবথেকে বড় ভুল ছিল।’
ধারা স্মিত হেসে বলল, ‘এর জন্য আপনার কাছে আমি সারাজীবন কৃতজ্ঞ থাকবো বাবা। আপনার এই ভুলটি আমার জীবন সাজিয়ে দিয়েছে।’
এই বলে ধারা সেখান থেকে চলে এলো। আজিজ সাহেব কিছু বলতে গিয়েও বলতে পারলেন না। শাহেদ থামিয়ে বলল, ‘বাদ দেন ভাইজান, এখন এর থেকেও বড় সমস্যা আমাদের মাথার উপরে আছে। আগে সেটাতে মনোযোগ দিতে হবে। ধারাকে যে করেই হোক ঐ ছেলের থেকে আলাদা করতে হবে। দেখেছেন তো সঙ্গদোষে কতোটা অধঃপতন হয়েছে আমাদের ধারার। এখন সবথেকে জরুরী কি জানেন? এভাবেই ওদের দুজনকে দেখা করতে দেওয়া যাবে না। কয়েকদিন দূরে দূরে থাকলেই ধারার মাথা থেকে ঐ শুদ্ধ নামের ভূত নেমে যাবে। তারপর ঠিকমতো বোঝালেই আমাদের ধারা ঠিক বুঝে যাবে। এরপর তাই করবে যা আমরা করতে বলবো।’
আজিজ সাহেব কিছু বললেন না। কপালে ভাঁজ ফেলে কিছু একটা ভাবতে লাগলোন।
ধারা রুমে এলে আসমাও তার পেছন পেছন চলে এলো। ধারাকে বিছানায় বসিয়ে বলল,
‘ধারা, এসব কি হচ্ছে আমাকে বুঝিয়ে বলতো।’
ধারা বলল, ‘মা, যেই সাবজেক্ট আমি ঠিকমতো বুঝি না সেটা নিয়ে আমি কিভাবে পড়বো বলো তো!’
‘আমি সাবজেক্টের কথা বলছি না। তোর সিদ্ধান্তের কথা বলছি। তুই যে তোর বাপ চাচার বিরুদ্ধে গিয়ে সিদ্ধান্ত নিতাছোস তুই জানোস তো তুই কি করতে যাইতাছোস?’
ধারা মায়ের হাত ধরে বলল, ‘জানি মা। খুব ভালো করেই জানি। মা, শুদ্ধ অনেক ভালো মানুষ। তার মতো মানুষ শুধু আমি কি, আমি নিশ্চিত তুমিও তোমার জীবনে কোনদিন দেখোনি। সে আমাকে অনেক ভালোবাসে। আমার অনেক যত্ন করে। আজ পর্যন্ত উনি আমার জন্য কি কি করেছে তুমি ভাবতেও পারবে না মা। তার কাছে আমি অনেক ভালো থাকবো৷ তার মতো ভালো আমাকে কেউ রাখতে পারবে না।’
আসমা অনেককিছু বলবেন বলে ভেবে এসেছিলেন। কিন্তু বলতে পারলেন না। শুদ্ধ’র কথা বলার সময় ধারার মনে যে খুশি, আনন্দের ঝলক ফুটে উঠছিলো, এতোটা খুশি সে তার মেয়েকে আজ পর্যন্ত কখনও দেখেননি। একটা মায়ের এর চাইতে বেশি আর কি চাই! ধারা শুদ্ধকে নিয়ে আরও অনেক কিছু বলে যেতে লাগলো তার মাকে। আসমা শুধু নির্নিমেষ চেয়ে রইলেন মেয়ের মুখের দিকে। তার চোখে পানি চলে এলো। আর কিছু বললেন না। শুধু দোয়া করলেন তার মেয়ে যেটাতে সুখী হবে সেটাই যেন হয়।
__________________________________________
রাত অনেক হয়েছে। ধারা এখনো জেগে আছে। বসে বসে শুধু বারবার বারান্দার দরজায় চোখ বুলাচ্ছে। রোজ রাতেই শুদ্ধ আসে। এই রাতের বেলাতেই শুধু সবার চোখের আড়ালে দেখা হয় তাদের। নয়তো পুরো দিনেই চলতে থাকে নিরবিচ্ছিন্ন দূরত্ব। এই রাত হওয়ার জন্যই তাই অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে ধারা। জমিরন বিবি ঘুমিয়ে পড়েছে অনেক আগেই৷ ধারা একবার সেদিকে তাকিয়ে শুয়ে পড়ার সিদ্ধান্ত নিলো। এভাবে বেশিক্ষণ লাইট জ্বালিয়ে বসে থাকলে দাদীর ঘুম ভেঙে যেতে পারে। ধারা লাইট বন্ধ করে বিছানার দিকে এগিয়ে যেতে লাগলো। হঠাৎ তার চোখ আবারো বারান্দার দরজায় পড়লো। দরজা খোলা। শুদ্ধ অনেকবার ধারাকে নিষেধ করেছে এভাবে দরজা খোলা রেখে না ঘুমাতে। সে আসলে ফোনে মেসেজ করবে। ধারা সে কথা রাখতেই দরজা বন্ধ করে দিল। ছিটকিনিটা লাগাতেই হঠাৎ পেছন থেকে জমিরন বিবি বলে উঠলো,
‘কিরে! আজকে দরজা লাগায় রাখতাছোস কেন? তোর ভাতারে আজকে দেহা করতে আইবো না?’
দাদীর গলা শুনে ধারা থম মেরে দাঁড়িয়ে রইলো। মুহুর্তেই আত্মা শুকিয়ে এলো তার। দাদী দেখি সব জেনে ফেলেছে। এখন কি হবে?
চলবে,