সৃজা পর্বঃ২৮

0
1567

#সৃজা
পর্বঃ২৮
লেখিকাঃআরুনীয়া চৌধুরী

ওভাবেই কতক্ষণ সাফওয়ানের দিকে তাকিয়ে রইল সৃজা।ভোরের স্নিগ্ধ আলোতে নিজের সহধর্মীকে দেখার লোভ সামলাতে পারলনা।ভালো করে চেয়ে দেখল সাফওয়ানের দাড়ি ক্লিন সেভ করা।তার মানে রাতেই সেভ করেছে।ভেবেই ঠোঁটের কোনটা প্রসারিত হল সৃজার।

সকাল ৯টা।চৌধুরী বাড়ির স্টাডি রুমে তাদের একমাত্র বৌমা সৃজা পড়ছে।তবে পড়ার থেকে বেশি তার মাথায় সাফওয়ানের কথাই ঘুরপাক খাচ্ছে।একটু আগে সার্ভেন্ট বলে গেল সাফওয়ান তাকে ডাকছে,কিন্তু সৃজা যায়নি ইচ্ছা করেই।সার্ভেন্টকে না করে দেয়ার পরই আবার মনে খচখচ শুরু হয়েছে এটা ভেবে কোনো জরুরি দরকারে ডাকেনিতো?একটু পরে নিজে থেকেই গেল সাফওয়ানের রুমের সামনে।সাফওয়ান হ্যান্ড ওয়াচটার চেইন লাগাচ্ছে।সবসময়ের মতো সৃজার দিকে না তাকিয়েই বলল

“বাইরে দাড়িয়ে আছো কেন?রুমে এসে টাইটা বেঁধে দাও আমার লেট হয়ে যাচ্ছে।” সৃজা নির্বিকার।

“এই ছিল আপনার জরুরি কাজ।”

“হ্যা তো?এটাকে তোমার জরুরী মনে হয় না?আরে দাড়িয়ে আছো কেনো?এদিকে আসো ফাস্ট।”

অগত্যা সৃজাকে শুনতে হল।ধীর পায়ে সাফওয়ানের কাছে যেতেই সৃজার কোমর আকড়ে ড্রেসিং টেবিলে বসিয়ে দিয়ে টাইটা ধরিয়ে দিল।এর মধ্যেই কল আসল সাফওয়ানের ফোনে।সৃজা টাই বাঁধার চেষ্টা করছে আর সাফওয়ান কথা বলছে কম এদিক ওদিক নড়ছে বেশি।সৃজা অধৈর্য হয়ে ফোনটা কেড়ে নিয়ে টাই বাঁধায় মনোযোগ দিল।যতক্ষণে সাফওয়ান বুঝতে পারল সৃজা কি করেছে ততক্ষণে টাই বাঁধা শেষ।সৃজা নামার আগেই সাফওয়ান দুহাতের বেরিতে আকরে ধরল তাকে।সৃজার কানের কাছে অধর ছুঁইয়ে বলল

“এবার কোথায় পালাবে সৃ?”সৃজা ইতিউতি করে দরজার দিকে তাকিয়ে বলল

” বাবা আপনি?ভিতরে আসুন।”

সাফওয়ান হকচকিয়ে সৃজাকে ছেড়ে দিয়ে বুঝতে পারল আসলে বাবা আসেনি সবটাই পালানোর ফন্দি।ইতোমধ্যে সৃজার রুমের বাইরে চলে গেছে,তাড়াহুড়োতে তার চুলের গোছাটা খুলে গেছে।সেদিকেই নিষ্পলক তাকিয়ে ঠোঁটে মৃদু হাসির রেখা ফুটে উঠল সাফওয়ানের।

গ্রাম থেকে এসেছে অনেকদিন হল।এর মধ্যে অনেক কিছুই বদলে গেছে।সৃজা এখন সাফওয়ানের রুমেই থাকে তবে তাকে গভীরভাবে ছোঁয়া বারণ।সাফওয়ান এটাই মেনে নিয়েছে,অন্তত তার সাথে তো থাকবে।প্রায় প্রতিদিনই টিউলিপের সাথে ভিডিও কলে কথা হয় সৃজার।বায়না তার একটাই পুতুল মাম্মার কাছে যাবে।সানিয়াও ধমকে তাকে চুপ করায় আর পাশ থেকে তানভীর সানিয়াকে ধমকায়।নানু বাড়ির পরিবেশ অনেকটাই স্বাভাবিক মনে হয় সৃজার কাছে।

তবে সাফওয়ানের ব্যস্ততাও বেড়েছে আগের থেকে কয়েক গুণ।সৃজার আগুপিছু আর ঘুরে ঘুরে বিরক্ত করার সময় পায় না।রাত হলে অফিস থেকে এসে ক্লান্ত শরীরটা বিছানায় এলিয়ে দেয়।সৃজাও সাফওয়ান আসার সাথে সাথে রুমে পা বাড়ায়।ক্লান্ত, শ্রান্ত মানুষটার কিছু লাগবে নাকি তাই দেখে।সাফওয়ান মাঝে মাঝে অবাক হয়ে যায়।যে মেয়েটা তার একটুখানি কষ্ট সহ্য করতে পারেনা,সে নাকি আবার পাঁচ বছর দূরে থাকবে।

এইযে এখনও সাফওয়ান অফিস থেকে আসার সাথে সাথে সৃজা তার দিকে লেবুর শরবত এগিয়ে দিল।সাফওয়ান নিলো না।সৃজা অবাক হল,আজ আবার কি হয়েছে তার?জিজ্ঞেস করবে ভেবেও করল না।বিছানায় ঘাপটি মেরে বসে রইল।সাফওয়ান ওয়াশরুম থেকে বেরিয়েও সৃজার দিকে তাকাল না।সৃজার রাগ হল এবার,প্রতিদিন তো অফিস থেকে ফিরে চোখের সামনে না দেখলে চেচামেচি শুরু করে আজ কি হল মশাইয়ের।চোখগুলো ছোট ছোট করে কপাল কুচকে সাফওয়ানের সামনে দাড়িয়ে প্রশ্ন করল
“এই যে মশাই কি হয়েছে আপনার?আজ মনে হয় একটু বেশিই চাপে ছিলেন।”

সাফওয়ান তাকাল না উল্টো পাশ কাটিয়ে চলে গেল ডাইনিংয়ে।সৃজার এবার রাগ হল,স্বামীর সামান্যতম অবহেলা সে মানতে পারছেনা অথচ দিনের পর দিন সে ও তো কম অবহেলা করেনি।

ডিনার সেরে চুপচাপ বিছানায় গা এলিয়ে দিল সাফওয়ান।ওপাশে যে তার অবহেলা সইতে না পেরে সৃজার বুকে ক্ষনে ক্ষনে রক্তপাত হচ্ছে তার বিন্দুমাত্র খেয়াল তার নেই।রক্তক্ষরণ তো তার হৃদয়েও হচ্ছে।

বিছানার এক কোনে সৃজা বসে আছে অনেকক্ষণ হল।এর মধ্যে হয়ত সাফওয়ান ঘুমিয়েও গেছে।মাঝরাতে সৃজার মনে নানা ভাবনারা হানা দিল।তবে কি আবার কারো সাথে সম্পর্কে জড়িয়েছে সাফওয়ান,সে জন্যই ঘরের বউকে আর ভালো লাগছেনা।ভাবনাটাকে সত্যি মনে করে হনহন করে যেয়ে রুমের লাইট অন করে দিল।তারপর সাফওয়ানকে ডাক দিল,প্রথমবার আস্তে পরে জোরে।কিন্তু সাফওয়ান উঠল না।এবার সৃজা নিজেই বিছানায় হাটু গেড়ে বসে সাফওয়ানের পোলো শার্টের কলার চেপে ধরল।ক্ষানিকটা চেচিয়ে বলল

“মেয়েটা কে??” এতক্ষণ সাফওয়ান জেগেই ছিল তাই প্রশ্নটা বুঝতে সমস্যা হয়নি।কিন্তু কথা হল কোন মেয়ের কথা বলছে।হাত দিয়ে কলার ছাড়াতে ছাড়াতে বলল

“মাঝরাতে কি শুরু করেছ?ঘুমাও,তোমার ঘুমানো দরকার।এখানে ঘুম না এলে তোমার রুমে যাও?”

সৃজার রাগ এবার তরতর করে বেড়ে গেল। এখন আমার রুমে চলে যেতে বলছে। যাবোনা আমি,রাগে দাতে দাত চেপেই বলল

“কোন মেয়ের কথা বলছি বুঝতে পারছেন না?যেই মেয়েকে পেয়ে আর আমাকে ভালো লাগছেনা তার কথা বলছি।আপনি কি মনে করেছেন বুঝি না আমি?নিশ্চয় আবার নতুন করে কাউকে ধরেছেন।আমি তো ছুঁতে দেই না।বেশিদিন সহ্য করতে পারলেন না তাই না?নিজের পুরুষত্বে আঘাত লেগেছে বলে কথা।”

সাফওয়ানের এবার রাগ উঠে গেল তরতর করে।সৃজার হাত দুটো জোর করে ছাড়িয়ে একটা চড় মেরে বসল।সৃজা কিছুটা পিছিয়ে গেল।গালে হাত দিয়ে হতভম্ব হয়ে সাফওয়ানের দিকে তাকিয়ে রইল।সাফওয়ান এগিয়ে গিয়ে সৃজার চোয়াল আকড়ে ধরল।

“এই তুই কি আমাকে মেয়েবাজ ছাড়া আর কিছু ভাবতে পারিস না?এতো এতো ভালোবাসার পরেও তোর আমাকে চরিত্রহীন মনে হয়?”

সৃজা হতভম্বের ন্যায় তাকিয়ে রয়েছে।কপোলের থাপ্পরটা তার চোখে অশ্রু ঝরতে বাধ্য করছে।সৃজার নীরবতা দেখে সাফওয়ান আবারো দ্বিগুণ রেগে বলল

“এই বলছিস না কেন?এই ২ মাস কি আমি তোকে জোর করেছি সেক্** করার জন্য?”

সৃজা এবার নিজের ভুল বুঝতে পারল কিন্তু দমে গেল না।নিজেকে ধাতস্থ করে প্রশ্ন করল

“তাহলে আজ এরকম করছিলেন কেন?”
সাফওয়ান ছেড়ে দিল সৃজাকে।দুহাত দিয়ে চুলগুলো পেছনে ঠেলে বলল

“তোমার আগামী মাসে ফ্লাইট।আজ টিকিট কনফার্ম হয়েছে।তুমি তো চলেই যাবে তাহলে শুধু শুধু মায়া বাড়িয়ে লাভ কি?”

সৃজার ভেতরটা ধক করে উঠল।এই কথাটা তার মাথা থেকে বেরিয়ে গেছিল।তাকে তো বিদেশ যেতেই হবে।সে একবার ভেবেছিল ইমরান চৌধুরীকে বলবে সে যাবেনা এখানেই পড়বে।বেশি না দুদিন আগে ভেবেছিল সে।এর মধ্যে নানা অযুহাতে তার সাথে কথা বলার সুযোগ বা সময় কোনোটাই হয়ে ওঠেনি।

সাফওয়ান শান্ত স্বরে বলল
“তুমি কি আমাকে একটু ও পছন্দ করো না?আমার নামে যে জায়গাটা তোমার হৃদয়ে রয়েছে তা কি পুরোটাই বিষাক্ত?আমাকে কি একটুও ভালোবাসা যায় না?”

সৃজা আর পারলনা ফুপিয়ে কেঁদে দিল।মানুষটা কিভাবে বলল তার বরাদ্দকৃত জায়গাটা বিষাক্ত।সে তো জানেনা সাফওয়ান নামে তার হৃদয়ে বরাদ্দকৃত জায়গাটা তার সবচেয়ে প্রিয়।সে জায়গাটা নানা রঙের ফুলে পরিপূর্ণ হয়ে বাগানে পরিণত হয়েছে।প্রতিদিন তার কত যত্নই না সৃজা করে।কই তাতো দেখল না।শুধু বাইরেটা দেখে কি বিচার করা যায় সব??

কান্নার আওয়াজ সাফওয়ানের কর্ণগোচর হল কিন্তু নড়ল না।ঠায় কতক্ষণ সেখানেই বসে রইল।কতক্ষণ বাদেই মনে হল চড়টা কি বেশি জোরে হয়ে গেল?বেশি ব্যথা পেয়েছে?ব্যথা বেশি না পেলে তো এভাবে কাদবেনা।মনটাকে শান্ত করে সৃজার কাছাকাছি বসল।

গালে ভাসমান সাফওয়ানের পাঁচ আঙ্গুলের দাগ।সেদিকে তাকিয়ে থেকেই বলল

“খুব বেশি ব্যথা করছে,বরফ লাগিয়ে দেই এক মিনিট আমি আসছি।” সাফওয়ান আর পিছু ফেরার সময় পেল না।তার আগেই সৃজা ঝাপিয়ে পরল সাফওয়ানের বুকে।সাফওয়ানের শরীর ভারসাম্য হারিয়ে কিছুটা পেছনে হেলে পরল।কতক্ষণ নির্বাক রইল সাফওয়ান বোঝার চেষ্টা করল কি হয়েছে।

ক্ষনিকের জন্য খুশি হলেও পরক্ষণেই সৃজার হাত দুটো সরিয়ে দিল,নিজেও উঠে বসল।তার স্পর্শে অভিমান স্পষ্ট প্রকাশ পাচ্ছে।মায়া করে কি লাভ সে তো আর সাফওয়ানকে ভালোবাসেনা৷

সৃজা কান্না করা ফোলা ফোলা চোখেই তাকিয়ে রইল সাফওয়ানের যাওয়ার দিকে।তার কি দোষ এখানে?প্রথম ভুলটাতো সাফওয়ানেরই।অফিস থেকে এসে একটু ভালো করে বলতে পারতো তুমি কিন্তু কোথাও যাবেনা।তাহলেই তো সৃজা শুনত তার কথা।এভাবে রাগ দেখানোর কি মানে?সৃজাও গো ধরে বসে রইল সাফওয়ান ভালোভাবে মনের কথা না বললে সেও টিকিট ক্যান্সেল করবেনা।

কিয়ৎক্ষণ সাফওয়ানের অপেক্ষা করে সৃজা ঘুমিয়ে পরল বালিস ছাড়াই।মাঝরাতে কেউ একজন তার শিয়রে ঠিকই বালিস পৌঁছে দিল।সৃজাও আরাম পেয়ে গাঢ় ঘুম দিল।

আজ সকাল হতে সাফওয়ান আর সৃজাকে ডাকেনি।সৃজাও স্টাডি রুমের দরজার কাছে একবার আসছে তো আরেকবার চেয়ারে যে বসছে।তার মনে হচ্ছে এই বুঝি সাফওয়ান ডাক দিবে সৃ বলে।কিন্তু না ওকে ভুল প্রমাণ করে সাফওয়ান নাস্তা না করেই অফিসে চলে গেল।সৃজা বুঝতেও পারেনি সাফওয়ানের অভিমানটা কত গাঢ়।দীর্ঘদিনের অবহেলার মাশুল এভাবে ফেরত পাবে সৃজা বোঝেনি।

এদিকে ছেলে না খেয়ে যাওয়ায় সাফিয়া চৌধুরী স্টাডি রুমে এলেন।দরজায় কড়া না নেড়েই নিঃশব্দে সৃজার পেছনে এসে দাড়ালেন।দেখলেন সৃজা পরছে ঠিকই তবে বইয়ের পাতা ভিজে একাকার টপটপ করে চোখের জল পরছে বইয়ে।

“সাফীর জন্য যদি এতই টান থাকে তাহলে ওকে শুধু শুধু কষ্ট দাও কেন তুমি?”

সৃজা চমকে উঠলো,তার শরীর কেঁপে উঠল হঠাৎ আওয়াজে।তড়িঘড়ি করে দুহাতে চোখের জল মুছে ফেলল।চেয়ার ছেড়ে উঠলেও তাকানোর সাহস পেলনা।মাথা নিচু করেই দাঁড়িয়ে রইল।

“আমার দিকে তাকাও,তুমি জানো আজ ছেলেটা না খেয়েই চলে গেছে।সারাদিন কাজের চাপে সময়ও পায় না কিছু খাওয়ার,লাঞ্চটাও ঠিক করে হয়না তার।”

কথাগুলো শুনে আরো বেশি খারাপ লাগা কাজ করছে সৃজার মনে।সাফিয়া চৌধুরীর কথাগুলো যেনো সৃজার মনে অকাম্য এবং অসহ্যকর।কই সে তো এসব জানতো না।

“আমি জানলাম কি করে তাইতো?আমি তো মা তাই সন্তানের ভালো মন্দ সব কিছুর খবর রাখতে হয়।কিন্তু তোমারও তো স্ত্রী হিসেবে এসব জানার দরকার ছিল।”

মুহূর্তেই অনুশোচনা ঘিরে ধরল সৃজাকে,তাও আষ্টেপৃষ্টে যেন এসব কথা ক্ষনে ক্ষনে তাকে কষ্ট দিচ্ছে।কান্নামাখা কন্ঠেই কিছু বলার চেষ্টা করল সৃজা কিন্তু মুখ দিয়ে আওয়াজ বেরলোনা।সব কেমন গলায় এসে আটকে যাচ্ছে।সাফিয়া চৌধুরী আর কিছু বললেন না।তিনিও নিজেও বুঝতে পারছেন মেয়েটাও কষ্ট পাচ্ছে।তাই যেমনভাবে এসেছিলেন তেমন করেই প্রস্থান করলেন।

বিকেলে সৃজার শ্বশুর মশাই সৃজাকে ডেকে পাঠালেন।সৃজা চুপচাপ ইমরান চৌধুরীর অপর পাশের চেয়ারে বসে আছে গত পাঁচ মিনিট যাবৎ।তারা এখন বাড়ির লনে বসে আছে।ইমরান চৌধুরী বিকেলে বাড়ি থাকা মানে তাকে লনেই পাওয়া যাবে।এসময় এলাকার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সাথে মাঝে মাঝে আলোচনা করেন আর নয়তো চা পান করে আর প্রকৃতি বেক্ষণ করেন।

হাতের চায়ের কাপটা টেবিলে রেখে বললেন

“তোমার টিকিট কনফার্ম হয়ে গেছে বউমা নিশ্চয় সাফওয়ানের কাছ থেকে শুনেছো।তবে এর আগে আমি চাইছি তুমি একবার নিজ গ্রামে যেয়ে ঘুরে আসো।বাবা মায়ের দোয়া নিয়ে আসো।”

কথাটায় কি ছিল সৃজা সঠিক জানেনা তবে এই রাগী অসম্ভব গম্ভীর শ্বশুরের প্রতি গভীর শ্রদ্ধাবোধ জাগ্রত হল তার।এভাবে তো ভেবে দেখেনি সে,ভাববে কিভাবে তার তো হুজুগের বশেই সিদ্ধান্তটা নেয়া হয়েছে।তার চেতন মন হয়তো এখনো মানতে পারছেনা এই বাড়ি,এই সংসার সর্বোপরি সাফওয়ানকে ছেড়ে তার পাঁচ বছর থাকা লাগবে।

চলবে….

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here