পাহাড়ে মেঘের ছায়া পর্ব – ৫২

0
933

উপন্যাসঃ পাহাড়ে মেঘের ছায়া
পর্ব – ৫২
(নূর নাফিসা)
.
.
মেঘ হুট করেই নাফিসাকে কোলে নিয়ে সিড়ির ধাপ অতিক্রম করতে করতে তার কথায় সুর ধরে বললো,
– আর মেঘকে জড়িয়েছে পাহাড়ি কন্যার মায়া! ভালোবাসি বেগম সাহেবা!
– মেঘ, নামাও আমাকে। কারো বাড়ি যাচ্ছি আমরা, লজ্জা দিও না এভাবে!
– কাদের বাড়ি।
– আরে নামাও আগে, এসে পড়েছি তো!
মেঘ সবগুলো সিড়ি অতিক্রম করে নামিয়ে দিলো। মেঘ দেখলো পাহাড়ের উপর কয়েকটি বাড়ি আছে। প্রথম যে বাড়িটা আছে সেখান থেকে চার-পাঁচ বছরের একটা পিচ্চি মেয়ে দৌড়ে এলো নাফিসার কাছে। নাফিসা খুশি হয়ে মেয়েটা গালে স্পর্শ করে বললো,
– আরে তৌশিমনিটা কেমন আছে?
– ভালো আছি তৌশিমনি! নাফিসা মনি কেমন আছো?
– আমিও ভালো আছি! আম্মু কোথায়?
– ঘরে আছে।
পিচ্চিটা এখান থেকেই চেচিয়ে বললো,
– আম্মু, নাফিসামনি এসেছে!
পিচ্চি মেয়েটা নাফিসাকে আরেকটু নিচু হতে ইশারা করলো এবং কানে কানে বললো, “মনি, উনি কে?” নাফিসা হেসে জবাব দিলো,
– উনি তোমার আংকেল। হ্যালো জানাও,
– হ্যালো আংকেল।
মেঘ হেসে তাকে কোলে নিয়ে বললো,
– হ্যালো। নাম কি তোমার?
– তৌশি চাকমা।
– হুম, খুব সুন্দর নাম।
– তোমার নাম কি আংকেল?
– আমি, মেঘ চৌধুরী।
– মেঘ! মেঘ তো আকাশে থাকে! ওই যে, ওগুলোকে মেঘ বলে।
– হুম, ওগুলো আকাশের মেঘ আর আমি মাটির মেঘ।
– ওহ্! আচ্ছা!
বাসা থেকে একটা মেয়ে বেরিয়ে আসতেই “আপ্পি” বলে নাফিসা তুলনামূলক দ্রুত পায়ে এগিয়ে গেলো। দুজনেই একে অপরকে জড়িয়ে ধরে খুব খুশি হয়ে আছে! নাফিসা ছেড়ে দাড়াতেই মেয়েটি মেঘকে ইশারা করে নাফিসাকে জিজ্ঞেস করলো,
“মেঘ?”
নাফিসা মাথা নাড়িয়ে হ্যাঁ জবাব দিলো আর মেঘকে উদ্দেশ্য করে বললো,
– দিপা খালামনির বড় মেয়ে পৃথা আপ্পি।
মেঘ জিজ্ঞেস করলো,
– কেমন আছেন, আপ্পি?
– ভালো। আপনি কেমন আছেন?
– আলহামদুলিল্লাহ।
– নাফিসা, তোমার গাছের উপর কাঠের বাড়ি বানানোর লোক এসে গেছে তাহলে!
মেঘ কিছু বুঝলো না কিন্তু নাফিসা মৃদু হাসলো। পৃথা তাদের ঘরে যেতে বললো আর এদিকে পিচ্চিটা মেঘকে টেনে তার খেলনার দিকে নিয়ে যাচ্ছে একটু দেখে আসার জন্য! মেঘও চলে গেলো। পৃথা নাফিসাকে পেটের দিকে কিছু ইশারা করলো আর নাফিসা হেসে মাথা নাড়িয়ে হ্যাঁ জবাব দিলো। পৃথা খুশি হয়ে নাফিসাকে আবার জড়িয়ে ধরে বললো,
– কতো খারাপ তুই! আমাকে জানাসনি! কত দিন চলে?
– দু মাসের বেশি। ভাইয়া এসেছে?
– এসেছিলো, আবার চলে গেছে।
– খালামনি আর দিয়া কোথায়?
– দিয়াকে নিয়ে ডক্টরের কাছে গেছে। সর্দি লেগেছে আর সারানোর খবর নেই!
– ঋতু পরিবর্তন হচ্ছে তো তাই এমন।
– হুম। আমি আর দিয়া গিয়েছিলাম তোদের বাসায়। তুই তখন ঢাকায়। আন্টির সাথে একদিন কাটিয়ে এসেছি।
– হ্যাঁ, আম্মি বলেছিলো।
– ভেতরে চল। ভাইয়া আসুন। তৌশি তোমার রান্না খাওয়ানো হলে এবার আংকেলকে ছেড়ে দাও। আবার পরে দাওয়াত করো।
নাফিসা হাসলো পৃথার কথা শুনে। মেঘের দিকেও তাকিয়ে ভাবছে, বাচ্চাদের সাথে খুব মিশতে পারে মেঘ! চেনা নেই জানা নেই খেলায় নেমে গেছে।
পৃথা তাদের জন্য হালকা নাস্তার ব্যবস্থা করলো। তারা দীপা চাকমাদের বাসায় আরও কিছুক্ষণ কাটালো। সন্ধ্যা হয়ে আসছে তাই তারা বিদায় নিয়ে বেরিয়ে এলো। ঠান্ডা পরিবেশে গায়ে শীতের জামা চাপিয়ে হেটে হেটে পথ অতিক্রম করছে দুজন।
– মেঘা, পৃথা আপু কি বললো তখন? কাঠের বাড়ির কথা!
– কিছুনা!
– উহুম, লুকাচ্ছো আমার কাছে। বলো, আমি পরিষ্কার জানতে চাই।
– বললাম তো কিছু না!
– এখনো কি আমাকে তোমার জীবনসঙ্গী হিসেবে মেনে নাও নি?
মেঘের ইমোশনাল ব্ল্যাকমেইল শুনে আর চেপে রাখতে পারলো না। সে বলেই ফেললো,
– খুব ইচ্ছে ছিলো আমার গাছের উপর বাড়ি করার। অনেক ভালো লাগে ওসব বাড়ি। সেটাই আপ্পির কাছে বলেছিলাম আরও তিন-চার বছর আগে। তখন আপ্পি বলেছিলো, “চিন্তা করিস না! তোর রাজা মশাই বানিয়ে দিবে!” সেটাই বললো আজ। কিন্তু এখন আর আমার ইচ্ছে নেই গাছের উপর বাড়ি করার।
– ওহ, আচ্ছা।
পথের এক দোকানের কাছে এসে নাফিসা বললো,
– মেঘ, এ দোকানের চায়ের স্বাদ উপভোগ করেছো কখনো?
– উহুম! বিধু চাকমাদের চা বেশি উপভোগ করেছি!
– তাহলে আজ এখানে এক কাপ চা এ শীতের সন্ধ্যা বরণ করে নেয়া হয়ে যাক?
– তুমি চাইলে অবশ্যই!
দুজনেই এগিয়ে গেলো দোকানের দিকে। দোকানী আর তার মেয়ে আছে দোকানে। নাফিসা দোকানীকে জিজ্ঞেস করলো,
– কেমন আছো মাসি?
দোকানী অবাক হয়ে বললো,
– নাইসা! বহুত ভালা! কিরম আছো?
– আলহামদুলিল্লাহ।
মেয়েটা বললো,
– মা, নাইসা না! নাফিসা কও!
দোকানী ধমক দিয়ে বললো,
– তুই চুপ যা! নাইসা, বয়। অনেক কাল পরে আইলে! মেডামগো বাড়িতে গেছিলা?
– হ্যাঁ মাসি! ভাবলাম তোমার সাথেও দেখা করে যাই! দুকাপ চা দাও, ঠান্ডায় জমে যাচ্ছি!
মেঘের ফোন আসতেই নাফিসাকে বললো,
– তুমি বসো, আমি আসছি।
মেঘ দোকানের এক পাশে গিয়ে কথা বলছে। আর নাফিসা বেঞ্চিতে বসেছে। দোকানী দোকান থেকে বেরিয়ে নাফিসার কাছে এসে ফিসফিসিয়ে বললো,
– নাইসা! নাকফুল ক্যান! সাদী হইয়া গেছে!
নাফিসা মুচকি হেসে মাথা নেড়ে হ্যাঁ জবাব দিলো। দোকানী অবাক হয়ে নজর উঠানোর ভঙ্গিতে নাফিসার মাথার উপর দিয়ে দুহাত নাড়িয়ে নিজের গাল ধরে বললো,
– হায় রব্বা!
মেঘকে দেখিয়ে আবার বললো,
– উনি কত্তা?
– হুম।
– নাইসা! হেব্বি! হেব্বি! মানাইছে তোমার ধারে!
নাফিসা হেসে বললো,
– এবার চা দিবে নাকি উঠে যাবো!
– এই না! বয় বয়!
– তাড়াতাড়ি দাও। দোকানে মানুষজন এলে কিন্তু থাকবো না! ফাকা ছিলো তাই এসেছি।
দোকানী তাড়াতাড়ি দোকানে ঢুকে চা বানাতে লাগলো। নাফিসা লক্ষ্য করছে দোকানীর মেয়েটা মেঘের দিকেই তাকিয়ে আছে! নিশব্দে হাসছে আবার যেন লজ্জা পাচ্ছে! লজ্জা আরেকটু বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য নাফিসা বললো,
– চুমকি, ওদিকে কি?
– কই আপ্পি! কিচ্ছু নাই!
– আমি কিন্তু দেখছি সব!

মেয়েটা জ্বিভে কামড় দিলো! মেঘ কথা বলা শেষ করে নাফিসার পাশে এসে বেঞ্চিতে বসলো।
– মেঘা, চায়ের সাথে আরও কিছু নিবে?
– কসমস বিস্কুট।
– ওকে, বলো।
– চুমকি, দুইটা কসমস দে।
চুমকি তারাতাড়ি করেই দোকান থেকে দুইটা বিস্কিটের প্যাকেট এনে একটা নাফিসার হাতে দিলো আরেকটা মেঘের হাতে! নাফিসা তো অবাক! চেয়েছে সে আর নিজের ইচ্ছাতেই চুমকি ভাগ করে দুইটা দুজনের হাতে দিলো! মেঘ তার দিকে প্যাকেট ধরতে দেখে হাতে নিলো এবং ছিড়ে নাফিসার হাতে দিয়ে দিলো। নাফিসা হাসছে চুমকির কান্ড দেখে! মেঘ বললো,
– হাসছো কেন?
– ইচ্ছে করছে হাসতে তাই।
– অযথা হাসলে আমি ছাড়া অন্য কেউ দেখলে পাগল ভাববে!
নাফিসা আরও বেশি হেসে উঠলো! দোকানী চায়ের কাপ নিয়ে বের হয়ে এলে চুমকি দ্রুত এগিয়ে এলো দেওয়ার জন্য। দোকানী তাকে উপেক্ষা করে নিজেই হাতে দিতে চাচ্ছিলো। নাফিসার হাতে দিতে দিতে এদিকে চুমকি ট্রে থেকে আরেক কাপ নিয়ে মেঘের দিকে এগিয়ে ধরলো। দোকানী ব্রু কুচকে তাকালো তার মেয়ের দিকে! মেঘ তো এমন কান্ড দেখে হতবাক! আর এদিকে নাফিসা মিটিমিটি হাসছে! মেঘ কাপ হাতে নিয়ে নিলো। দোকানী দোকানে বসলো আর চুমকি মেঘের পাশে দাড়িয়ে আছে! শুধু দাড়িয়ে না, এদিক সেদিক নড়ছে, বারবার কানের পাশে চুল গুজে দিচ্ছে, চুল একবার সামনে আনছে, আবার পেছনে নিচ্ছে! মেঘের কাছে চুমকির হাবভাব ভালো লাগছে না! নাফিসা আর চেপে থাকতে না পেরে হিহি করে হেসে বলেই ফেললো,
– চুমকি? সাহেবকে পছন্দ হয়েছে? অনেক পয়সাওয়ালা, দুইটা বাড়ি আছে! একটা ঢাকায়, একটা শ্রীমঙ্গল! হেব্বি রোমান্টিক! সাদী করবি?
নাফিসার কথা শুনে মেঘ চায়ে চুমুক দিয়েও বিষম খেলো! নাফিসা হেসে কুটিকুটি! মেঘ চুমকির দিকে তাকিয়ে দেখলো বেচারি লজ্জায় যেনো মাটিতে মিশে যাচ্ছে! নাফিসা আবার বললো,
– করবি সাদী?
লজ্জিত কণ্ঠে চুমকি তার মাকে বললো,
– মা, দেহো আপ্পি কি কয়!
দোকানী মেয়ের কীর্তি দেখে রেগে এক ধমক দিয়ে বললো,
– এদিক আয়! লুইচ্চা ফুড়ি!
চুমকি দোকানীকে ভেঙচি কেটে এখানেই দাড়িয়ে রইলো। না পারছে মেঘের গা ঘেঁষে দাড়াচ্ছে! নাফিসার এই অদ্ভুত হাসি দেখে মেঘের একটুও ভালো লাগছে না! কাধের পাশে দাড়িয়ে আছে আরেক বেহায়া মেয়ে! সে বেঞ্চিতে কাপ রেখে উঠে বললো,
– মেঘা, তুমি দ্রুত চা শেষ করো। আমি এদিকেই আছি!
মেঘ আর নাফিসার প্রতুত্তরের অপেক্ষা করলো না। দ্রুত দোকানের অন্যপাশে চলে গেলো। রাস্তার পাশে দাড়িয়ে আছে মেঘ। নাফিসা হাসতে হাসতে নিজের কাপসহ মেঘের কাপ নিয়ে উঠে মেঘের কাছে এলো। মেঘ বললো,
– এখানে এলে কেন?
নাফিসা মেঘের দিকে কাপ এগিয়ে দিয়ে বললো,
– একা একা চা খেতে ভালো লাগে নাকি! ধরো।
– উহুম, তৃপ্তি মিটে গেছে আমার!
– রাগ করেছো! চুমকির হাবভাব দেখে মজা করছিলাম একটু! চা টা অনেক মজা শেষ করো। ভালো লাগবে।
মেঘ কাপ নিলো নাফিসার হাত থেকে। কাপটা একটু ঘুরিয়ে ফিরিয়ে দেখে বললো,
– মেঘা এটা আমার কাপ না!
– এটাই তোমার।
– উহুম! এটা আমার না!
– আরে এটাই তো তোমার ছিলো।
– দেখি তোমার হাতেরটা!
নাফিসা তার কাপও মেঘের হাতে দিলো। মেঘ নাফিসার কাপে চুমুক দিয়ে বললো
– এটার স্বাদ বেশি, এটাই আমার ছিলো!
– মেঘ! এটা আমার কাপ!
মেঘ মুচকি হেসে দুকাপের চা একটা অন্যটাতে ঢেলে উলটপালট করে বললো,
– কোনটা তোমার, বলো?
নাফিসা মেঘের দুষ্টুমি এবার বুঝতে পেরেছে! তাই হেসে বললো,
– তুমি যেটা দাও, সেটাই।
মেঘ এক কাপ তার হাতে দিলো, আরেকটা নিজে রাখলো। বেঞ্চিতে বসে নয়, এবার তারা দোকানের একপাশে রাস্তায় দাড়িয়েই চায়ে চুমুক দিচ্ছে! মেঘের কাছে এখন মনে হচ্ছে মাটির কাপে চা খাচ্ছে! এতোক্ষণ মাটির ছিলো না পাথরের ছিলো কোনো খেয়াল ছিলো না ওই চুমকির জন্য! কিন্তু এখন খুব অনুভব করতে পারছে চায়ের স্বাদ! অসম্ভব ভালো লাগার মুহূর্ত! ল্যাম্পপোস্টের আলোতে দুজন দুজনকে দেখেছে, চোখে চোখে, মনে মনে শত রঙের আলাপন বিনিময় করছে! গভীর অনুভূতি নিয়ে একে অপরকে অনুভব করছে!
মেঘের চা শেষ হতেই নাফিসার কাপ নিয়ে যেটুকু ছিলো সেটুকুও শেষ করে দিলো সে। নাফিসা মুচকি হেসে তাকিয়ে আছে তার দিকে। মেঘ দুই কাপ নাফিসার হাতে দিলো। নাফিসা কাপ নিয়ে দোকানের ভেতরে যেতে নিলে মেঘ বললো,
– দাড়াও। টাকা নিয়ে যাও। দিয়ে এসো।
– চুমকিকে ভয় পাও?
মেঘ তাকাতেই নাফিসা হেসে উঠলো। মেঘ ওয়ালেট বের করে পঞ্চাশ টাকার নোট নিতে গেলে নাফিসা বললো,
– একশো টাকার নোটটা দিবে?
– প্রয়োজন হলে ওয়ালেটই নিয়ে নাও। পুরোটাই তোমার।
– পুরোটা লাগবে না।
মেঘ পঞ্চাশ টাকার নোট রেখে একশো টাকার নোট নিয়ে নাফিসার হাতে দিয়ে বললো,
– মেঘা, আরেকটা কাজ করতে পারবে?
– কি?
– চায়ের কাপটা ধুয়ে রেখে এসো! এই চুমকি ছুমকি যেই ডেঞ্জারাস! বলা তো যায় না, যদি আবার কাপ চেটেপুটে রাখে!
নাফিসা ফিক করে হেসে উঠলো! কাপসহ টাকা নিয়ে সে দোকানে এসে বললো,
– মাসি পানি দাও, আর টাকাটা রাখো।
দোকানী পানি দিয়ে ফেরত দেওয়ার জন্য টাকা নিতে নিতে নাফিসা কাপদুটো নিজ হাতে ধুয়ে দিলো। দোকানী টাকা দিতে যাবে, তখন নাফিসা বেঞ্চ থেকে বিস্কিটের প্যাকেট নিয়ে বললো,
– ফেরত দিতে হবে না মাসি। পুরোটাই রেখে দাও।
– ক্যানে! ধরো!
– আরে রেখে দাও তো! আর আমাদের জন্য দোয়া করো একটু। ভালো থেকো। চুমকি, যাইরে! ভালো থাকিস। আর শুন, তোর বিয়ের বয়স হয়নি এখনো! ছোকরাদের দিকে নজর দিবি না এখন! পরে দেখবি রাজকুমার পেয়ে যাবি!
নাফিসা বেরিয়ে যেতে লাগলো আর দোকানী বললো,
– নাইসা, আবার দেহা অইবো!
– ইনশাআল্লাহ, মাসি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here