ধূসর_রঙে_আকাশ পর্ব_৩৭

0
1063

#ধূসর_রঙে_আকাশ
#পর্ব_৩৭
লিখা: Sidratul Muntaz

নীলাভ্র-রিম্মির বিয়ের ডেইট ফিক্সড হয়েছিল শুক্রবার। কিন্তু অনিবার্য কারণবশত ডেইট পেছানো হয়েছে। নীলাভ্রর বড়ভাই নীবরাস পাটোয়ারী বন্ধু-বান্ধব নিয়ে বরিশাল ট্যুরে গিয়েছিল। সেই যে গেল আর ফেরেনি। তার ফোন সুইচ অফ। যোগাযোগ করার কোনো ব্যবস্থাই নেই। বরিশালের কোথায় গেছেন তাও অজানা। তিলোত্তমা আর মারুফা ইয়াসমিন নাওয়া-খাওয়া ভুলে সারাক্ষণ চিন্তিত মুখে বসে থাকেন। যেদিন নীবরাস বাসা থেকে বের হচ্ছিল সেই দিনটি ছিল ছুটির দিন। ঘুম থেকে উঠেই তিলোত্তমার কাছে আবদার করলো, তার শ্বশুরবাড়ির মেজবানি মাংস খেতে ইচ্ছে করছে৷ তিলোত্তমা চট্টগ্রামের মেয়ে। চট্টগ্রামের বহুল ঐতিহ্যবাহী খাবার এটি। পুরান ঢাকার কাচ্চি বিরিয়ানির মতোই ফেমাস। নীবরাসের শ্বশুরবাড়ি যাওয়া হয়না বহুদিন। সেই স্মৃতিচারণেই তার মেজবান খাওয়ার আগ্রহ। তিলোত্তমা আয়োজন করে মাংস রাখতে বসে। নীবরাস বাথরুমে ঢুকলো ফ্রেশ হতে৷ তখনি জরুরী ফোন আসলো। বন্ধুরা মিলে হঠাৎ করেই বরিশালে লঞ্চ ট্যুর দেওয়ার প্ল্যান করেছে। নীবরাস কাউকে কিছু না বলেই শার্ট প্যান্ট পড়ে বের হয়ে যায়। মারুফা নিজের ঘর থেকে নীবরাসকে চলে যেতে দেখেন। অন্যদিকে তিলোত্তমা রান্নাঘরে মাংস রান্নার হুলুস্থুল আয়োজনে ব্যস্ত। স্বামী যে বেরিয়ে গেছে সেদিকে তার খেয়ালও নেই। মারুফা শাড়ির আচল মাথায় টেনে রান্নাঘরে গিয়ে দাড়ালেন। তিলোত্তমাকে জিজ্ঞেস করলেন,
” সকাল সকাল তুমি এসব কি করছো বউমা?”
তিলোত্তমা হাসিমুখে জবাব দিল,” এইতো মা, আপনার ছেলের জন্য মাংস রান্না করছি। তার নাকি মেজবানি মাংস খেতে ইচ্ছে করেছে।”
” মাংস কে খাবে? নীবরাস তো মাত্র বেরিয়ে গেল।”
তিলোত্তমা এতো অবাক হলো যে ওর হাত থেকে রান্না করার খুন্তিটা ছুটে মেঝেতে পড়ে গড়াগড়ি খেতে লাগলো। শাশুড়ীর সামনে সে দ্রুতই নিজেকে সামলে খুন্তিটা চট করে মেঝে থেকে তুলে হাসার চেষ্টা করে বললো,
” বেরিয়ে গেল মানে? কোথায় গেল? আমাকে তো বলে গেল না।”
” আমাকেও তো বলে যায়নি। ও ফোনে কার সঙ্গে যেন কথা বলছিল তখন শুনেছি। বরিশাল যাচ্ছে। তিনদিন পর ফিরবে।”
তিলোত্তমার প্রায় কান্না চলে আসলো। নীবরাস তিনদিন বাসার বাহিরে থাকবে। অথচ এই কথাটা তাকে জানানোর প্রয়োজন মনে করলো না? হুট করে এভাবে চলে গেল? সেইদিনের পর থেকে মানুষটার আর কোনো খোঁজ নেই। এক সপ্তাহ কেটে গেছে। নীলাভ্র ভাইকে খুঁজতে বরিশালও গেছিল। ভাইয়ের প্রত্যেকটা বন্ধুর বাসায় খোঁজ নিয়েছে। কেউ কিছু জানেনা। অষ্টম দিন খবরের মাধ্যমে জানতে পারলো অজ্ঞাত এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার হয়েছে। বর্ণনার সবকিছু নীবরাসের সাথে মিলে যায়। বরিশালের উজিরপুর থানা থেকে নীবরাসের লাশ আনা হয়। মারুফা সেদিন মেঝেতে গড়াগড়ি করে কেঁদেছেন। যুবক ছেলে হারানোর ব্যথা এক বৃদ্ধা মায়ের কাছে জগতের সর্বোচ্চ তিক্ত, সর্বোচ্চ বেদনার। তিলোত্তমা নিজের রুমে মূর্তির মতো বসে থাকে। একটা কথাও বলতে পারেনা। ময়না তদন্তের মাধ্যমে অনেক গোপন তথ্য সামনে আসতে থাকে। নীবরাস বন্ধুদের সাথে সেদিন ট্যুরে যায়নি। গিয়েছিল তার আগের অফিসের বস আর কলিগদের সাথে। ফিরে আসার সময় লঞ্চে তাকে ড্রিংক করানো হয়। পাকস্থলীতে অ্যালকোহলের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। মাতাল অবস্থায় লঞ্চের ছাদে উঠেছিল। তারপরই ছাদ থেকে পড়ে যায়। এই দূর্ঘটনার প্রায় পাঁচদিন কেটে যাওয়ার পর লাশ উদ্ধারের মাধ্যমে নীবরাসের মৃত্যুর খবর পায় তার বাড়ির লোকজন। নীবরাসের অফিসের বস আমেরিকা চলে গেছেন। সেই সাথে পলাতক ওই অফিসের কয়েকজন স্টাফ যারা নীবরাসকে ট্যুরে নিয়ে গেছিল। সেদিন কেনো নীবরাস কাউকে কিছু না বলে বেরিয়ে গেছিল সেই রহস্য এখনো পাওয়া যায়নি। অনেকেই আশংকা করছে এটা মার্ডার কেইস। তিলোত্তমার এখন পাঁচমাস চলছে। আর কিছুদিন পরেই কোলজুড়ে ফুটফুটে বাচ্চা আসবে। কিন্তু সে এতোই দূর্ভাগা যে বাবার মুখটাও দেখতে পারবে না। নীবরাসের মৃত্যুর প্রায় দশদিন কেটে গেছে। এর মাঝে তিলোত্তমার আচরণ প্রায় পাগল পাগল। মারুফা ইয়াসমিনও কেমন যেন হয়ে গেছেন। আজ-কাল নীলাভ্রর প্রতি কড়া নজরদারি করছেন। পাঁচমিনিটের জন্য বাসা থেকে বের হলেও মায়ের অনুমতি নিতে হয় নীলাভ্রকে। মারুফার ধারণা প্রথম ছেলের মতো তার দ্বিতীয় ছেলেও এভাবে হারিয়ে যাবে। এই ভয়ে তিনি সর্বদা তটস্থ থাকেন। তিলোত্তমা আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে কয়েকবার। এজন্য চট্টগ্রাম থেকে ওর বাবা-মা এসে ওকে বাপের বাড়ি নিয়ে গেছে। তিলোত্তমার বাচ্চা ওখানেই হবে। নীলাভ্রর ইদানীং জীবনটাকে কেমন যেন শুকিয়ে যাওয়া নদীর মতো মনে হয়। কোনো ঢেউ নেই, তাল নেই, উচ্ছ্বাস নেই। সর্বদা স্থির। মাঝে মাঝে কিছুটা এলোমেলো, মাঝে মাঝে ছন্নছাড়া বা উদ্দেশ্যহীন। আজকে নীলাভ্র বাসায় ফিরতেই মারুফা তাকে নিজের ঘরে ডাকলেন। নীলাভ্র ক্লান্ত শরীর নিয়ে হেলতে-দুলতে মায়ের দরজায় উপস্থিত হয়। মারুফার চেহারার ভাব-ভঙ্গি কঠিন। বোঝাই যাচ্ছে উনি কঠিন কিছু বলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। হয়তো বড় কোনো সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। মারুফা ছেলেকে উদ্দেশ্য করে বললেন,
” বোস।”
নীলাভ্র চুপচাপ বসলো। তার চোখ ফেটে ঘুম আসছে। বড়ই ক্লান্ত লাগছে। মারুফা বললেন,
” এভাবে আর কতদিন?”
নীলাভ্র নির্বিকার জবাব দিল,” কিভাবে?”
মারুফা হঠাৎ করেই যেন রেগে গেলেন। ভারী কণ্ঠে বললেন,” সংসারটা যে ভেসে যাচ্ছে তুই বুঝতে পারছিস না? কয়দিন পর বাসায় নতুন অতিথি আসবে। তাকে খাওয়াবি কি? পড়াবি কিভাবে? নীবরাসের ফেলে রাখা ব্যবসার কি হবে? তুই কি সারাজীবন বেলেল্লাপনা করেই জীবন কাটিয়ে দিবি? এবার অন্তত সংসারের হালটা ধর। এখন সবকিছুর ভার তোর কাধে। একথা ভুলে যাস না।”
নীলাভ্র চুপ করে আছে। সে কিচ্ছু ভুলেনি। জায়গায় জায়গায় চাকরির ইন্টাভ্যু দিয়ে চলেছে। সংসারের চিন্তা তারও আছে। মায়ের থেকে বেশিই আছে। একদমই তো বসে নেই সে। চেষ্টা করছে। আর মা বেলেল্লাপনা বলতে কি বুঝাতে চাইছেন? তার তো বাজে কোনো অভ্যাসও নেই। জীবনে কখনো সিগারেট ছুঁয়ে দেখেনি। সন্ধ্যার আগে বাড়ি ফিরে আসে। কখনো মায়ের মুখের দিকে চেয়ে কথা বলেনি। কঠোর হিসাবের মধ্যে দিয়ে চলে। একটা পয়সাও অকাজে খরচ করে না। তাহলে? মারুফা হঠাৎ শান্তগলায় বললেন,
” তিলু’র বাবা-মা ওর বিয়ের কথা ভাবছেন।”
নীলাভ্র বিস্মিত কণ্ঠে বললো, ” কি?”
মারুফা চোখ গরম করে বললেন,” এতো সুন্দরী মেয়ে এতো অল্প বয়সে বিধবা হয়েছে। তাকে কি ঘরে বসিয়ে রাখবে? বিয়ে তো দিতেই হবে। নাহলে জীবন চলবে কিভাবে?”
” ভাবী বিয়ে করতে রাজি?”
” সেটা আমি কিভাবে জানবো? রাজি না হলেও কানপড়া দিতে দিতে রাজি করিয়ে ফেলবে ওর বাড়ির লোকজন। এজন্যই তো মেয়েকে নিয়ে গেছে।”
” এখানে এতো রাগ করার কি আছে মা? ভাবীর বয়স এতো অল্প, সারাজীবন কি একা থাকবে? বিয়ে তো করতেই হবে। করুক না।”
” তুই জানিস এই বিয়ের পরিণাম কি হতে পারে?”
” কি হবে?”
” তোকে আর আমাকে থালা হাতে রাস্তায় দাঁড়াতে হবে।”
” মানে?”
” নীবরাস তো ছিল বউয়ের গোলাম। মরার আগে পুরান ঢাকায় যে বাড়িটা বানিয়েছিল সেটা তিলু’র নামে করে দিয়ে গেছে। এছাড়া ওর অফিস, ব্যাংক-ব্যালেন্সের টাকা-পয়সা সবই তিলুর নামে। ওই মেয়ের বিয়ে হলে আমরা পথে বসবো। আর আমার ছেলের এতো কষ্টের ইনকাম এসে গান্ডে পিন্ডে গিলবে আরেক বেটা। এইদিন দেখার জন্য কি বেঁচে আছি।”
নীলাভ্র একটা তপ্ত নিঃশ্বাস ছাড়লো। মুখে মালিশ করে বললো,
” আমরা পথে কেন বসবো মা? একটা না একটা ব্যবস্থা নিশ্চয়ই হবে। আমার উপর তোমার বিশ্বাস নেই?”
” বুঝলাম ব্যবস্থা হবে। কিন্তু আমার ছেলের পরিশ্রমের ফল অন্যকেউ কেন ভোগ করবে? আমাদের কেন বঞ্চিত হতে হবে?”
” এখানে তো আমাদের কিছু করার নেই মা। ভাইয়ার সম্পত্তি যদি ভাবীর নামেই থাকে তাহলে সেগুলোর অধিকার একমাত্র ভাবীর। উনি উনার স্বামীর সম্পত্তি কাকে দিবেন, কাকে দিবেন না এটা একান্তই উনার ব্যাপার।”
” এই সম্পত্তির লোভেই দেখবি তিলু’র জন্য পাত্রর অভাব হবে না। আমি তোকে একটা কথা বলি নীল? মা হিসেবে তোর কাছে আমার দাবী বলতে পারিস।”
” কি দাবী মা?”
” তুই তিলুকে বিয়ে কর।”
নীলাভ্রর মনে হলো ওর মাথায় বিকট শব্দ করে প্রকান্ড মাপের কোনো বস্তু ভেঙে পড়ছে।

রাত আটটা। রিম্মি ছাদের এক কোণায় দাড়িয়ে আকাশের বাঁকা চাঁদটাকে দেখছিল। মনে হচ্ছে, এই চাঁদ তাকে দেখে উপহাস করছে। রিম্মির সিক্সথ সেন্স কিছুদিন আগে থেকেই বলছিল বড়সড় কোনো বিপদ আসতে চলেছে। জীবনের চাকা অন্যপথে ঘুরিয়ে দেওয়ার মতো কোনো বিপদ। কিন্তু সেটা যে এতোটা নিদারুণ হবে কল্পনাও করেনি রিম্মি। নীলাভ্রর মা যে এখন তিলোত্তমার সাথে তার বিয়ে দেওয়ার কথা ভাবছেন এটা রিম্মি জানে। আজ সকালে উনার চেহারা দেখেই বুঝতে পেরেছিল। দূর্ভাগ্যবশত আমীর তখন রিম্মির সামনে পড়ে যায়। রিম্মির ফ্যাকাশে চেহারা দেখে আমীরের ধূর্ত মস্তিষ্ক আন্দাজ করে নেয় আসল ঘটনা। আমীর তৎক্ষণাৎ উপহাসের ভঙ্গিতে হাসে। কিছু বলতে যাচ্ছিল, রিম্মি সেটা না শুনেই চলে যায়। আমীরের মুখোমুখি হতেও অস্বস্তি লাগছে। দেখা হলেই খোচা দেওয়া শুরু করবে। রিম্মি হঠাৎ আমীরের হার্টবিট শুনতে পেল। হয়তো সে আশেপাশেই আছে। পেছনে তাকাতেই দেখল ছাদের দরজা দিয়ে ভেতরে আসছে আমীর। রিম্মিকে দেখে হাসি দিল। রিম্মি বাঁকাচোখে তাকিয়ে অন্যদিকে ঘুরে রইল। আমীর তার স্বভাবসুলভ আচরণ শুরু করলো। বিদ্রূপের মতো বললো,
” কি করছেন ম্যাডাম? মনখারাপ? রিভেঞ্জ অফ নেচার বলে হয়তো সত্যিই কিছু আছে। তার প্রমাণ আবারও পাওয়া গেল।”
রিম্মি জবাব দেয়না। দাঁতে দাঁত খিচে দাঁড়িয়ে থাকে। আমীর কিছুটা কাছে এসে বললো,
” আমার তো শুধু কপালের একাংশ ফেটেছে৷ আপনার তো পুরোটাই ফাটলো।”
কথাটা বলেই ভুস ভুস করে হাসতে লাগলো আমীর। রিম্মি আঙুল উঠিয়ে হুমকি দেওয়ার মতো কিছু বার্তা প্রস্তুত করলো।তখনি আমীর রিম্মির একহাত শক্তভাবে ধরে পেছন দিকে মুচড়ে দিয়ে কানের কাছে ঝুঁকে কঠিন গলায় বললো,
” আর কখনো যদি আমার আর তোহার মাঝে আসার চেষ্টাও করো তাহলে পরিণাম এর চেয়েও শোচনীয় হবে। বি কেয়ারফুল।”
রিম্মির হাত ছাড়ানোর চেষ্টা করছে। আমীর শক্ত করে ধরে রেখেছে। কিছুতেই ছাড়ছে না। রিম্মির হাতের চুড়িগুলো মটমট করে ভেঙে যাচ্ছে। রিম্মি ক্ষীপ্ত হয়ে বার্তা দিল,
” ছাড়ো, নীলাভ্র আসছে।”
” সিউর? কই আমি তো দেখলাম না।”
” ও এখন ফোর্থ ফ্লোরে আছে। দুইমিনিটে চলে আসবে।”
” আগে আসুক।”
” বাড়াবাড়ি হচ্ছে কিন্তু।”
” তুমি বাড়াবাড়ি করোনি?”
নীলাভ্র একটা একটা করে সিড়ি ভাঙছে আর চিন্তা করছে মায়ের সিদ্ধান্ত রিম্মিকে কোনমুখে জানাবে? মেয়েটা সারাজীবন কত কষ্ট পেয়েছে। নীলাভ্র ভেবেছিল এবার ওর জীবনে সুখ এনে দিবে। সেই স্বপ্নটা হয়তো আর পূরণ হবে না। কিছু মানুষ দুনিয়াতে শুধু কষ্ট পাওয়ার জন্যই জন্মায়। রিম্মিও কি সেই তালিকাভুক্ত? একটু পরেই নীলাভ্র ছাদে ঢুকলো। আমীর রিম্মির হাত ছেড়ে সোজা হয়ে দাঁড়ায়। নীলাভ্র ভ্রু কুচকে দুজনকে দেখলো। আমীর নীলাভ্রর দিকে একবার তাকিয়ে কলার ঠিক করতে করতে ছাদ থেকে বের হয়ে গেল। নীলাভ্র রিম্মির কাছে আসতে আসতে রূঢ় কণ্ঠে বললো,
” এই হারামীটা এখানে কি করছিল?”
” কথা বলতে এসেছিল।”
” কি এমন কথা? যেটা বলার জন্য হাত চেপে ধরে রাখতে হবে? চূড়ি ভেঙে হাত রক্তাক্ত করে দিতে হবে?”
রিম্মি নিজের হাতের দিকে তাকালো। তার হাত থেকে গলগল করে রক্ত পড়ছে।

চলবে

( নীবরাসের মৃত্যুর গল্প মিথ্যে নয়। আমার ছোট্ট চাচ্চু ঠিক এইভাবেই আমাদের ছেড়ে চলে গেছিলেন। সেই মৃত্যু রহস্য আজ পর্যন্ত জানা যায়নি। কিছু রহস্য এমনো হয়।)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here