মেঘের আড়ালে চাঁদ পর্ব ৮

0
353

মেঘের আড়ালে চাঁদ
(৮)

নিলয় এলো দুই দিন পর, যেসব ডিভাইস আমি ব্যবহার করব, দিয়ে গেল। আমার ফোন, ল্যাপটপ সরিয়ে ফেলেছে ,নিলয় খুব গুছিয়ে কাজ করে, আমরা সবগুলো পেজ, গ্রুপ থেকে এক যোগে পোস্ট দিলাম, লাইভে আসতে পারিনা, তাই মেয়েদের কিছু গ্রুপের এ্যাডমিন কে লাইভে এসে আমার সাজানো পোস্ট পড়তে দেয়া হল, নিলয়ের আনা সিসিটিভি ফুটেজে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে গাড়িতে আসফিকে , সাথের লোকদের ও বিভিন্ন ফুটেজে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে….
একটা মেয়ের জন্য বিচার চাইতে গিয়ে, মিজান, মিজানের বাবা আহত হল, তাও যখন সে সাক্ষী দিতে গেল তখন, আরো দুটো প্রাণ আমরা হারালাম, মিজানের কাছে আর গোপন রইল না, লাশটাও শেষ দেখা দেখতে পারেনি বলে খুব মুষড়ে পড়ল, কিছুক্ষণ একা থাকতে চাইল, নিলয় ও কে সারাদিন ঘাটল না, আমরা পুরো দিন অনলাইনে কাজ করে যাচ্ছি, বড় বড় প্রকাশনা গ্রুপ গুলো আমার লাইভ চায়, অনলাইন পত্রিকার ফোনে অস্থির নিলয়, কিন্তু আমার ফোন থাকলে আরো কাহিল দশা হত,
আমার শ্বশুর মানে শিশিরের বাবা কল দিলেন,
•বাবা আপনি?

•পুলিশ অফিসার এই নম্বর দিলেন।

•জি বাবা, নম্বর নিরাপত্তার জন্য বারবার বদলাতে হবে।

•আমি খুব চিন্তায় পড়ে গিয়েছিলাম, বারবার একে তাকে ফোন করছিলাম, পরে নিলয় নামের এক অফিসার আমায় নম্বর দিল

•জি বাবা

•তুমি বলেছিলে, তুমি কোন কাজ করলে আমি পাশে থাকব কিনা….. আমি ভেবেছিলাম নতুন করে জীবন শুরু করবে, কিন্তু তুমি এত ভয়ংকর কাজে জড়াবে আমি ভাবিনি।

•বাবা আমার তো কেউ নেই! আমার কিছু হলে কারো বিশেষ ক্ষতি হবেনা, কিন্তু এই ছেলেটার বাবা,মা, ছোট একটা বোন আছে, জানেন বাবা? ওর বড় বোন প্রেগন্যান্ট ছিল, তাকে ভয় ভয় দেখিয়ে অসুস্থ করে এরা মেরে ফেলেছে৷ কিরকম জন্তু এরা ?

•হ্যা একটা লাইভে শুনলাম

•আপনি লাইভ শুনেছেন?

•হ্যা, প্রকাশক গ্রুপের একজন লাইভে বললেন কথাগুলো

•আচ্ছা!

•অথচ মেয়েটা যখন মারা যায়, নিউজেই তেমন আসেনি, আমাদের পত্রিকা থেকেও তো কিছু আসেনি, ভাবা যায়? বাংলাদেশের লিডিং পত্রিকা আমরা!

•জি বাবা

•আচ্ছা, যাই হোক, আজ থেকেই কভার করবে আমার পত্রিকা, শিমুলের(শিশিরের বড় ভাই) একটু অমত আছে, ও যদি কিছু বলে কানে নিওনা, ও ব্যবসায়ী মানুষ, ওর সবকিছুতেই টাকার চিন্তা!

•না না! আমি ভাইয়ার কথায় কিছু মনে করব না।

•আচ্ছা রাখছি, কি হয় জানিও, আর হ্যা কোনকিছুর প্রয়োজন হলে, এই বুড়ো বাপকে একবার স্মরণ করিস মা!

আমার চোখ ভিজে এলো, নিজের পরিবার, নিজের বাবা কখনো এভাবে মা ডেকেছে? শেষ কবে টাকা ছাড়া অন্য প্রসঙ্গে কথা হয়েছে, আমার বাবা মা বেঁচে আছে, কেউ বিশ্বাস করবে? বিধবা হওয়ায় পরপরই তারা বিয়ের জন্য উঠে পড়ে লাগল, এক বিপত্নীক বয়স্ক ভদ্রলোক, ছেলে মেয়েরা সব বিদেশে, তার সঙ্গে বিয়ে দেয়ার জন্য। আমি না করতেই, জন্মের শত্রু হয়ে গেলাম, আমি শুধু নিজেকে গুছিয়ে নেওয়ার জন্য সময় চেয়েছিলাম,
বোন, বোন জামাই এসেই এটা সেটা বলা শুরু, নিজেকে ক্রমশ গুটিয়ে নিলাম, কারো সাথে পারতপক্ষে কথা বলতাম না, একদিন বাসায় বাবা ( শ্বশুর) এলেন, তিনি সব দেখে সাথে সাথে তার ধানমন্ডির একটা ছোট ফ্ল্যাট ভাড়াটিয়া উঠিয়ে আমাকে থাকার ব্যবস্থা করে দিলেন, আমাকে ব্যাবসায় শিশিরের অংশ দেখতে বললেন, আমি অফিসে যেতে শুরু করলাম, কিন্তু আমি ব্যবসার কি বুঝি! শিমুল ভাইয়ের প্রবল প্রতিপত্তিতে বারবার হেরেই যাচ্ছিলাম, একটা প্রেজেন্টেশনে ভয়ংকর অপমানিত হলাম, সেদিন প্রথম বারের মত অফিসের ছাদ থেকে লাফ দেয়ার চেষ্টা করলাম,
অফিসের সিকিউরিটি গার্ড আমাকে হাসপাতালে ভর্তি করায় ,খুব খারাপ অবস্থা হয়েছিল, খুব ভেঙে পড়েছিলাম শারীরিক মানসিক ভাবে। আমার পরিবার দেখতেও আসেনি! একমাত্র পাশে ছিলেন শিশিরের বাবা, অদ্ভুত কষ্টের সময়গুলো আজো চোখের কোণ ভিজিয়ে দেয়, শিশিরের প্রতি অভিমানে মন ভারাক্রান্ত হয়, মাত্র কটা দিনের সাথী, তারপর এভাবে আমাকে একা করে চলে গেল….

বাবা হাসপাতালে আমায় দেখতে এলেন, তিনি বললেন,

•আমি বুঝিনি রে মা, তুই এই ধাতুর তৈরী না। তুই পারবি না শিমুলের সাথে। তোর ক্ষমতা কোথায় জানিস?

•কোথায়? ক্ষীণ কন্ঠে জিজ্ঞেস করি।

•বাবা আমার ডান হাত ধরে বলেন, তোর কলমে, তোর লেখায়! শিশির তোর লেখার প্রেমে পড়েছিল। মনে আছে?

•আছে বাবা! ওর সাথে কাটানো প্রতিটি মুহূর্ত, ওর বলা প্রতিটা কথা আমার বেঁচে থাকার পাথেয়।

•তাই যদি হয়, তাহলে হাসপাতাল থেকে রিলিজ হয়েই তুই লেখা শুরু করবি, রেফারেন্স বই যা যা লাগবে কিনবি, কিসে লিখবি, কোন ডিভাইস, কাগজ কলম সব নিজের মত করে ঘুরে ঘুরে কিনবি, ফ্ল্যাটে বন্দী থাকলে লেখায় প্রাণ আসবেনা, পার্কে, লেকের পাড়ে, মানুষের ভীড়ে গল্প খুঁজতে হবে, বছরে দুবার ট্যুরে যেতে হবে।

•সে তো অনেক টাকার ব্যাপার!

•টাকা নিয়ে ভাবতে হবে না, আমি যতদিন আছি শিশিরের ব্যবসার অংশ তুই পাবি, প্রতি মাসে তোর একাউন্টে জমা হবে, আর আমার পরেও যাতে পাস সেই ব্যবস্থা করে যাব। কিন্তু একটাই শর্ত!

•কি?

•তোকে বাঁচতে হবে! বাঁচার মত বাঁচতে হবে!

আমি বাসায় ফিরে ধীরে ধীরে নিজেকে গুছিয়ে নিলাম, স্কুল কলেজের পুরনো বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে শুরু করলাম, পুরো সুস্থ হয়ে, পূর্ণিমায় সেইন্ট মার্টিন দ্বীপ ঘুরে এলাম, মাথায় অনেক আইডিয়া ঘুরপাক খাচ্ছিলো, কিন্তু সব লেখা অসমাপ্ত, বাবা একদিন জানালেন আগামী বইমেলার জন্য লেখা আর দশদিনের মধ্যে শেষ করে, প্রুফ দেখে পান্ডুলিপি জমা দিতে হবে। আমি শুরুতে ভ্যাবাচ্যাকা খেলেও পরে, একটা লেখা বেছে নিলাম, আপাতদৃষ্টিতে আমার প্রিয় যেটা, যার অংশ ফেসবুকে বেশ প্রশংসা পেয়েছে। রাতদিন এক করে পান্ডুলিপি শেষ করে, প্রুফ দেখে জমা দিলাম, শিমুল ভাই প্রকাশনা দেখেন না, তাদের দৈনিক খবরের কাগজের সাহিত্য সম্পাদক খুব প্রশংসা করলেন, বই এলো মেলাতে, প্রথম বইয়ের তৃতীয় মুদ্রণ লেগেছিল। এবার শিমুল ভাই আমাকে সিরিয়াসলি নেন,
তিনি এসে একদিন প্রস্তাব করলেন,
গল্প কুটিরে আমাকে প্রতি বছর একটা লেখা দিতে হবে, তার জন্য মোটা টাকা রয়ালটি তারা আমায় দেবে, আমি অন্য কোথাও লেখা জমা দেয়ার আগে অনুমতি নিতে হবে। আমি এক কথাতেই রাজি, পেপার ওয়ার্ক হল। বেশ মোটা টাকা তখন আমার হাতে…. কদিন বাদে মা, আপু আর দুলাভাই হাজির। প্রথম এসেছে, আমি সাধ্যমতো আপ্যায়ন করলাম, বোনের আবদার টাকা ধার দিতে হবে, তারা নতুন ব্যাবসা করবে, মায়ের কথা এই অভিজাত ফ্ল্যাট ভাড়া দিয়ে, আমাদের বাড়ি গিয়ে উঠতে, ভাড়াটাও হাতে আসবে। আমি বললাম, আমার লেখালেখির জন্য শান্ত পরিবেশ দরকার, তাছাড়া আমার লেখক, প্রকাশক বন্ধুরা আসেন (এটা অবশ্য বানিয়ে বলা, আমার তেমন বন্ধু ছিল না)
দুলাভাই যেন গর্জে উঠলো, এজন্য বিয়ে না করে একা একা ফ্ল্যাটে বেহায়াপনা করছ? কোন মান সম্মান রাখলে না আমাদের…. চলুন মা, এসো নিতু। ওরা চলে গেল, আমি মেঝেতে হাটু মুড়ে বসে নিঃশব্দে কেঁদে যাচ্ছি, এই পরিবার আমার? আমার কাছ থেকে স্বার্থ উদ্ধার না হতেই রঙ বদলে গেল?
অতীতে হারানো আমি কে বর্তমানে ফেরত আনল মিজানের কন্ঠ,

•কিছু ভাবছেন?

•না তেমন কিছু না

•দেখলাম আপনার লেখা উপন্যাস বেজ করে হচ্ছে যে মুভি, তার সেটে হামলা হয়েছে! লাইভ দেখাচ্ছে নিউজে।

•কি?

আমি সাথে সাথে প্রযোজক জয়া আপুকে কল দেই,
•হ্যালো

•আপু আমি মিতু

•তোমার নিউ নম্বর?

•আসলে পরিস্থিতির জন্য নম্বর বদলাতে হবে আমাকে
•ইটস ওকে,

•আপু আমি খুব খুব দুঃখিত, আপনার তো অনেক ক্ষতি হয়ে গেল।

•রিল্যাক্স, কিছু কো ল্যাটালার ড্যামেজ ছাড়া ভালো কিছু আসেনা, আর আমি হয়তো কান বা অস্কার মনোনয়নের সুযোগ পেয়ে যাব তোমার নতুন উপন্যাস বেজ করে মুভি বানিয়ে, প্রতিটি খুটিনাটি নোট কর, স্পেশালি ভিক্টিম সম্পর্কে যা যা তথ্য পাওয়া যায়

•জি আপু

•আর সাক্ষী ছেলেটাকে গুড লাক, এতদিন একা লড়েছে এখন আমরা সাথে আছি

•অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু

•আরে কি বল

•থ্যাংকস তো তোমার আর ছেলেটার প্রাপ্য, তোমরা আওয়াজ তুলেছ, আমরা তো শুধু পাশে আছি। আমি ভাবছি মুভির বিদেশের অংশটার শুটিং এ চলে যাব, অভিনেতা, অভিনেত্রীর সিডিউল আই হোপ ম্যানেজ হয়ে যাবে, কিছু লাগলে জানিও

•জি আপু

পুরো কথপোকথন শুনলো মিজান।
•ইনি কি সেই জয়া?
•মানে? কোন জয়া?
•ঐ যে, লেসবিয়ান, আরো কি কি যেন শুনেছি উনার সম্পর্কে…
•হুম, উনিই, এদেশে কোন অনাচারের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুললেই, তার চরিত্র নিয়ে টানাটানি শুরু হয়, তুমি কি জানো, দু চার দিনের মধ্যে তোমার আমার সম্পর্কে ও বাজে কথা শুরু হবে? কোর্টে, পত্রিকায়।
•পুলিশ আমাকে আর আশরাফুন্নেসা কে নিয়ে বলেছে, কিছু অভিজ্ঞতা আমারো আছে!

🌼
মিজানের দুলাভাইয়ের মামা বাড়ি,
রাতের খাবার খেয়ে পায়চারি করছেন মিজানের বাবা। আর কতদিন এভাবে লুকিয়ে থাকা সম্ভব? সঞ্চিত টাকা শেষ, ছোট মেয়েটার পড়াশোনার ক্ষতি হচ্ছে, আর বড় মেয়েটা…..উঠানের এক পাশ থেকে ক্ষীণ ফোঁপানোর আওয়াজে এগিয়ে যায় মোহনা।
•কে? বাবা?
•হ্যা রে মা!
•তুমি ঘুমাওনাই?
•ঘুম আসে না রে মা!
•ভাইজান এইডা কি করল বাবা? আপু, বাচ্চাটা….
•এইখানে তোর ভাইজানের কি দোষ?
•আমার কি দোষ বাবা? স্কুলে যাওয়া বন্ধ, এ বাড়িতে এভাবে বইসা খাওয়া, মানুষ জন কটু কথা বলা শুরু করছে….
•আশরাফুন্নেসা মাইয়াডা ভালো আছিল
•বাবা আপায় ভালো আছিল। কিন্তু ঢাকায় কামে যাওনের কি দরকার ছিল?
•ওদের বাড়ির হাল তো জানিস
•তাও মাইয়া মানুষের সব শোভা পায় না।
•আমাগো যদি ভাতের অভাব হয়? তর ভাই যদি একা না পারে? আমার শরীরে যদি না কুলায়? কি করবি রে মা? তুই যাবি না? আমরা না খায়া মরুম?
কোন উত্তর খুঁজে পায়না মোহনা, সে জানে সে যাবে, তার পরিবার কে সে না খেয়ে মরতে দেবেনা! তাহলে দোষ কার? যে মেয়েটা প্রয়োজনে কাজে যায়, তার? নাকিতার ভাইয়ের? নাকি রেপিস্টদের? বাবা মেয়ের চোখে জল… রাতের গভীর কালো আকাশে মিটিমিটি জ্বলা তারাগুলো সাক্ষী রইল এই বেদনাদায়ক মুহুর্তের।

শাহবাগে মোমবাতি জ্বলছে, স্কুল, কলেজের শিক্ষার্থীরা রাস্তায় নেমেছে, ইউটিউবাররা প্রতিদিন কন্টেন্ট আপলোড করছে। বিবিসি বাংলায় ও চলে গেছে উত্তাল বাংলাদেশের খবর!

পুলিশ ভীড় ঠেকাতে লাঠিচার্জ করেছে, তার লাইভ ভিডিও ফেসবুকে ঝড় তুলে তান্ডবে ঘটাচ্ছে৷
বারবার লাইভে এসে বিভিন্ন মহিলা গ্রুপ থেকে সহিংসতা এড়াতে বলা হচ্ছে, আমিও ঘন্টায় ঘন্টায় পোস্ট দিচ্ছি, একটা গাড়ি যেন ভাঙচুর না হয়, পুলিশ যদি কোন অন্যায়, অত্যাচার করে তার বিচার হবে, কিন্তু বিচার চাইতে গিয়ে আমরা কোন অন্যায় করব না।
সব নামকরা মহিলা স্কুল, কলেজ থেকে কালো ব্যাজ ধারণ ও প্রতিদিন অ্যাসেম্বলিতে ফেসবুক লাইভে এসে আশরাফুন্নেসার জন্য বিচার চাইছে সমস্বরে….

এত অভূতপূর্ব সাড়া পড়ে যাবে আমিও ভাবিনি। মিজানকে কেমন যেন অন্যমনস্ক লাগে, আমরা আশুলিয়া ছেড়ে এখন পূর্বাচল আছি, শিমুল ভাইয়ের ডুপ্লেক্স বাড়িতে, শিমুল ভাইয়ের স্ত্রী সুমনা ভাবি আমাকে চাবি দিয়ে গেছে, দেখা করেছে,
মিজান খুব অবাক হয়, সে আমার নিজের পরিবারের কাউকে আজ অব্দি দেখেনি, কিন্তু শিশিরের পরিবারের সাথে আস্তে আস্তে পরিচিত হচ্ছে। মিজান রোজ নাস্তা বানায়, ওর আন্তরিকতা, ওর প্রতি আরো আকর্ষিত করছে আমাকে…. কিন্তু আমি জানিনা। এটা উচিত হচ্ছে কিনা। ভালোবাসা বয়স মানেনা, মানেনা জাতি ধর্মের ভেদ! কথাটা সাহিত্যের পাতায় সুন্দর বাস্তব জীবনে ততটাই কদাকার। আমি স্বপ্ন দেখছি, আবার স্বপ্ন ভঙ্গের আশংকায় ভেতরটা অস্থির, কি উচিত, কি অনুচিত সব ভেদাভেদ মাথা থেকে সরে যাচ্ছে। দুচোখ জুড়ে সুদিনের স্বপ্ন…..

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here